![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“কাশেম বিন আবু বকর”এর ছবি আর বিশাল ঘটনা ফোনে ফোনে যখন শুনছিলাম তখন নিজের হাসি নিজেই আটকে রাখতে পারছিলাম না।মানে পুরো ঘটনাটা আরব্য রজনীর অবাস্তব অকল্পনীয় কাহিনীর মত মনে হয়েছিল।তাই টিপিক্যাল বাঙ্গালীর মতই বোঝার আগেই ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলাম।যা ছিল অভ্যাসগত ভুল যা একদমই উচিত নয়।মন্তব্যের জন্য সময় নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় নেয়া উচিত।
যাই হউক পরে বিভিন্ন মন্তব্য আর বেশ কিছু বিষয় জেনে একটা জিনিষ ভাবলাম যে যার এত পাঠক আছে তার সম্পর্কে সমালোচনার অর্থই নিরর্থক কারণ বিশ্বের কোন সাহিত্যিকই তো আপামর জনতার সাহিত্যিক হতে পারেননি।সেখানে কাশেম বিন আবু বকর কে কেন সকলের লেখক হতে হবে?
যদি তাই হয় তবে মমতাজের মত একজন সঙ্গীত শিল্পী কিভাবে সংসদে যেতে পারে এবং তাকে কিভাবে আপনারা বরণ করে নিলেন !
সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে আসিফ আকবর ও তো সঙ্গীত বোদ্ধাদের মন ও জয় করতে পারে নি এমনকি এক শ্রেণীর শ্রোতা ছাড়া বাকীরা আসিফ আকবর কে গ্রহণ করতে নারাজ।
তাই বলে কি মমতাজ বা আসিফ আকবর কে এভাবে ছুড়ে ফেলেছেন বা এমন ঠাট্টা বিদ্রূপ করেছেন?
নাহ!
তাহলে ঘটনাটি কোথায়!
তাহলে কি এক মুঠো দাড়ি,পাঞ্জাবী মূলত আসল চর্ম রোগ ! আর সেটিই সম্ভবত চুলকানির কারণ! তাই তার রাসালো সাহিত্যের গায়ে বেশভূষা কে জড়িয়ে ইসলাম এর লেবাস চড়িয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারার প্রয়াস চালানো হচ্ছে ?
হুমায়ুন পাঠকরা মজার কারণে হুমায়ুন আহমেদ কে বিশাল সাহিত্যিক ভেবে নিলেও সাহত্যিকদের মতে বাংলা সাহিত্যের মানের মানদণ্ডে উনি অত বড় সাহিত্যিক না কিন্তু তাই বলে উনাকে কি ছুড়ে ফেলা যাবে বা ফেলা হয়েছে এবং এরূপ ঠাট্টা বিদ্রূপ হয়েছে?
বা ইমদাদুল হক মিলন এর লিখা!
নাহ!
কারণ প্রতিটা সৃষ্টির আলাদা আলাদা গ্রহণযোগ্যতা আছে হয়তো আমার আপনার ভালো নাও লাগতে পারে।কিন্তু সে সৃষ্টি করতে পেরেছে এমন কিছু যা অনেক মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করতে পেরেছে বা পারছে।মানদণ্ডের বিচারে হুমায়ুন আহমেদ কে যদি গ্রহণ করা যায় তবে সেও সাহিত্যের কোন এক পাতায় ঠাই পাওয়ার দাবী রাখে।
আরেকটা জিনিষ ও সত্য,নিজেরা হাঁটতে পারি না বলেই দৌড়াচ্ছে কাউকে দেখলে হিংসা হয় আর আটকে দিতে আমরা করি নানা ফন্দি,ছুড়ে দেই তির্যক মন্তব্য।আমরা কবিতা গল্প লিখে বই বের করে যখন কাঠখড় পুড়িয়েও বই বিক্রি করতে পারি না তখন হৃদয়ের সমস্ত ক্ষোভ ঝাড়তে চাই অন্যের উপর আর সে যদি হয় বেশভূষায় সামান্য তবে কিরূপ ভয়ঙ্কর আমরা হয়ে যাই তার প্রমাণ কি এটা নয়!
আর এই যুগে এসে তো লেবাসের ব্যাপারটিও বেশ প্রণিধানযোগ্য।তাই চুলকানি টা চুলকাতেই হবে।
সাহিত্য মান নিয়ে আলোচনা সমালোচনা আর ঠাট্টা বিদ্রূপ মোটেই এক কথা নয়।তবে সত্যিকারের মন্তব্য করতে হলে সম্ভবত তার লেভেলে এসেই তখন মন্তব্য করা উচিত।
০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ২:০১
চির চেনা বলেছেন: না ভাই আমি আপনাদের মত এত জ্ঞানী,বিজ্ঞ,বিদগ্ধ না।আমার সীমানা খুব ছোট তবে তার মধ্যেও যদি পাণ্ডিত্য বা মহাপাণ্ডিত্য দেখানোর মত কিছু করে থাকি আর তার মাধ্যমে অহংকার করে থাকি তবে স্রস্টার নিকট ক্ষমা চাই।আর অজ্ঞাতসারে কোন মানুষের সাথে এমনটা হয়ে থাকলে তা নিতান্তই আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল।
আমার মনে যা হয়েছে তা লিখলাম আর এর জন্য না আমি পণ্ডিত বা না মহাপণ্ডিত হয়ে গেছি।
ব্যাঙ্গাত্তকভাবে আপনি যেহেতু লিখেছেন তাই বিষয়টি মাথায় থাকবে (শুধরানোর নিমিত্তে) যদিও আমি খুব সাধারণ চিন্তা থেকেই নিজের মত টুকু শুধু উপস্থাপন করি বা করেছি যা মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার বলেই আমার বিশ্বাস।
আপনারা যারা অনেক জানেন তাদের সামনে ধৃষ্টতা প্রদর্শনের জন্য আমার লিখা না।
২| ০১ লা মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭
শাহাদাত হোসেন বাবলু বলেছেন: এই যুগে এসে তো লেবাসের ব্যাপারটিও বেশ প্রণিধানযোগ্য।তাই চুলকানি টা চুলকাতেই হবে
৩| ০১ লা মে, ২০১৭ রাত ৮:০১
হাফিজ রাহমান বলেছেন: বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল বিজয় নিয়েও কথা উঠেছিল। তাঁর গীতাঞ্জলি নিয়েও কথা উঠেছিল। এ কথা উঠা বা প্রশ্ন উঠা থেকে বাদ যাবে না অনেক কিছুই। কোনো বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হলেই তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায় না। আজ কাসেম বিন আবুবাকার সম্বন্ধে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, তাকে কেন বিশ্ব মিডিয়াতে তুলে আনা হলো ? বস্তুত কাসেম বিন আবুবাকার একটি আদর্শিক দর্শনকে সামনে রেখে উপন্যাস লেখেন। এ দর্শনটা বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ জন-মানুষের সেন্টিমেন্টের সাথে মিলে যায়। তাই বাংলা আপামর জনতা লেখকের রচনাকে লুফে নিয়েছে। লেখকের ঔপন্যাসিক উপস্থাপনায় পাঠকের হৃদয় হরণ করার একটা শক্তিমত্তা রয়েছে। দর্শনগত ও উপস্থাপনাগত এ শক্তিমত্তার কারণেই তিনি বিশ্ব মিডিয়াতে জায়গা করে নিতে পেরেছেন। এক্ষেত্রে লবিং টবিং এর প্রসঙ্গ তোলা নিতান্তই প্রান্তিকতার পরিচয়ক। একজন নিরক্ষর ব্যক্তিকে যদি বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্যের কারণে বাংলার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর ময়ূর সিংহাসনে বিসয়ে দেয় তাহলেও তিনি বিশ্ব মিডিয়াতে উঠে আসবেন। এক্ষেত্রে বিশ্ব মিডিয়াকে দোষারোপ করা বোকামো হয়ে যাবে। কাসেম বিন আবুবাকার এর রচনার সাহিত্য মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এটা নিতান্তই প্রান্তিকতা ও একরৈখিক দৃষ্টিভঙ্গি। কারণ ফুলের সৌরভে যেমন বৈচিত্র্য আছে তেমন সাহিত্যের রসবোধ ও স্বাদেও বৈচিত্র্য আছে। হুমায়ূন আহমেদ আকাশচুম্বী পাঠক প্রিয়তা পেয়েছেন একমাত্র তাঁর সাহিত্য শিল্পের কারণে নয়; তাঁর লেখার সারল্য রীতিটাই মানুষকে মুগ্ধ করেছে। তাঁর রচনায় যে উচ্চাঙ্গের সাহিত্য থৈথৈ করছে ব্যাপারটা এরকম নয়। অনেক উঁচু মর্গের সাহিত্যিক রয়েছন যারা পাঠককে এতটা বিপুলভাবে টানতে পারেন নি। তাই বলে কি তাঁরা সাহিত্যিকদের শ্রেণী থেকে ছিটকে পড়বেন ? বাংলাদেরশের মিডিয়াতে কি কম বেশ কাসেম বিন আবুবাকারকে নিয়ে মাতামাতি হয় নি ? অমর একুশে বই মেলায় বাংলা একাডেমির মঞ্চ থেকে কাসেম বিন আবুবাকার এর উপন্যাসের advertiseও তো আমরা শুনেছি। তো এমন একজন অসাহিত্যককে কেন তাঁরা সাহিত্যিকের মর্যাদা দিতে গেলেন ? প্রশ্নটা বিশ্ব মিডিয়াকে না করে বাংলা মিডিয়া বা বাংলা একাডেমিকে করা প্রয়োজন ছিল। বস্তুত তাদের কাসেম বিন আবুবাকার কোনো প্রসঙ্গ নয়। তাদের মূল প্রসঙ্গটা হলো মূল্যবোধ, রক্ষণশীলতা, নৈতিকতা ইত্যকার বিষয়। এ বিষয়গুলো নিয়ে যারা কলম চালনা করবে তারা সাহিত্যে নোবেল পেলেও ওইসব মানুষগুলো সেখানে খুঁত বের করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি নিজেই একজন মহাপন্ডিত, বাকীরা থাক।