![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রদ্ধাভাজন এক প্রিয় বড় ভাই লন্ডনে থাকতে আমাকে প্রায়ই কারো ব্যাপারে কোন বিষয়ে রেগে গেলে বা কারো আচরণ দেখে অনেক সময় মজা করে বা রেগে বলতো আশরাফ ভাই এই সব মানুষের সাথে চলা যায় তবে এদের নিয়ে সমাজে চলা যায় না।কথাটা এক সময় ডায়লগ হয়ে গিয়েছিল।তখন কথাটা এতোটা অনুভব করতে না পারলেও এখন কিছুটা পারি।
আসলেই কিছু মানুষ আছে যাদের সাথে আপনি সঙ্গ দিতে পারেন,এক সাথে থাকতেও পারেন (বাধ্য হয়ে বা করুণা ভরে) কিন্তু তাদের নিয়ে সমাজে চলা সম্ভব না।কারণ সমাজে কিভাবে চলতে হয়,কিভাবে কথা বলতে হয় বা কিভাবে খেতে হয় তা তাদের বোধে পরে না।
ঘরে যেভাবে চলে সমাজেও ঠিক ওভাবেই চলে।কথার ব্যালেন্স এর অভাব,কোন কথা কোথায় বলতে হবে কাকে বলতে হবে,বলা ঠিক হবে কি না,বলার মত আমি উপযুক্ত কিনা কিংবা যেখানে বলতে চাচ্ছি সেখানে আমি কতটুকু পরিচিত অথবা আসলেই কি সেখানে আমার কথার গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা।এসব ভাবনা না ভেবেই অনেকেই সর্বত্র জ্ঞান বিতরণ আর খই ফোঁটাতে ব্যাস্ত।
সম্পূর্ণ অপরিচিত বা অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন লোকদের সামনে বসে অনবরত কথা বলতে পারা আসলে কোন ব্যাক্তিত্ত সম্পন্ন লোকের কাজ না।শ্রোতা হওয়ার মধ্যে বরং বেশী ব্যাক্তিত্ত নিহিত।
আবার পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে দেখা গেলো গেঞ্জি পরিহিতদের ভীরে বিশাল টাই কোট পরে চলে আসা (বিশেষ প্রোগ্রামে গেস্ট দের জন্য ভিন্ন) কিংবা টাই কোটের জায়গায় চিরাচরিত ইস্ত্রি ছাড়া কাপড় আর এক জোড়া চটি নিয়ে হাজির।সব কিছুই যথেষ্ট বেমানান।
খাওয়ার বেলায় ও শব্দ করা,রাক্ষসের মত গিলতেই থাকা,অশালীন ভাবে খাওয়া এসব মানুষ নিয়েও সমাজে চলা মুশকিল।
খুব সিম্পল অথচ ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ এই বিষয়গুলো।বেখেয়ালের চোটে এই বিশয়গুলুই ব্যাপক খেয়ালের আর পরিচয়ের বিষয় হয়ে দাড়ায়।যা অনেকেই কল্পনাই করতে পারে না।অথচ মাপকাঠি পরিমাপের জন্য এগুলোর ভূমিকা বিশাল।
সেনাবাহিনীতে আইএসএসবি তে পরীক্ষার সময় এই বিষয়গুলো খুব দারুণ ভাবে দেখা হয়।যারা সেখানে পরীক্ষা দিয়েছে তারা বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবে।কারণ একজন অফিসার শুধু মেধায় না ব্যাক্তিত্তের দিক থেকেও সেরা হতে হবে বলেই সেখানে এই বিষয়গুলোকেও গুরুত্ব দেয়া হয়।
বাস্তব জীবনেও তাই।
শুধু সঙ্গী হয়ে নয় সমাজে চলার মতও গুন থাকা দরকার।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৪৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সহমত...