![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গবেষণায় দেখা গেছে, লুঙ্গীর সূচনা হয়েছে দক্ষিণ ভারতে বর্তমানে তামিলনাডুয়। ভেস্তি নামক এক ধরনের পোষাককে লুঙ্গির পূর্বসূরী বলে মনে করা হয়। ইতিহাসে উল্লেখিত আছে মসলিন কাপড়ের ভেস্তি পোষাক তামিল থেকে ব্যবিলনে রপ্তানী হত।
ব্যবিলনের প্রত্নতাত্বিক নিবন্ধে 'সিন্ধু' শব্দ খুঁজে পাওয়া যায়। তামিল ভাষায় সিন্ধু অর্থ কাপড় বা পোষাক। 'বারাদাভারগাল' নামের তামিলনাডুর জেলে সম্প্রদায় পশ্চিম আফ্রিকা, ইজিপ্ট বা মিশর এবং মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে লুঙ্গি রপ্তানীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
সময়ের সাথে, সাদা কাপড়ে ফুল এবং অন্যান্য নকশা চিত্রিত হয়ে পরবর্তীতে লুঙ্গিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে লুঙ্গি বাংলাদেশ, বার্মা, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া এবং পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোয় বেশি জনপ্রিয়।
বাংলা এবং বাঙ্গালীদের কাছে লুঙ্গী একটি প্রথাগত পোশাক।বাঙ্গালী পুরুষদের চিত্র বলতে লুঙ্গী গেঞ্জিকেই বুঝানো হয়।
পৃথিবীর সব দেশই তাদের প্রথা এবং ঐতিহ্যকে সম্মানের সাথে দেখে।একমাত্র গোলাম শ্রেণীর মানুষ তাদের প্রথা আর ঐতিহ্যকে ঘিন্নার চোখে দেখে।কারণ মাই লর্ড প্রভুর তুষ্টি অর্জন করতে গিয়ে গোলাম রা তার অস্তিত্বকে প্রভুর ইচ্ছার উপর সমর্পণ করে আর তখন সে শুধু বর্ণচোরার মত পরিবর্তন হতে থাকে।
বাংলাদেশীরা সব সময় ইতিহাস ঐতিহ্যের কথা বললেও প্রভুদের ইচ্ছার মূল্যকেই নিজদের অস্তিত্ব মনে করে তাই গুলশানে লুঙ্গীকে নিষিদ্ধ করে এবং এই ঐতিহ্যের ধারক ও বাহকদের অপমান করা হয়।
২০০০ বছরের বৌদ্ধ মূর্তি ভেঙ্গে তালেবান যেমন জঙ্গি হাজার বছরের লুঙ্গীকে অপমান করে একটি জাতী অবশ্যই সেরকম জঙ্গি খেতাব পাওয়ার দাবীদার।
লুঙ্গী সবাইকে পড়তে হবে এমন না,তবে ঐতিহ্যকে ধারণ করা একটি জাতির অবশ্য কর্তব্য এবং যারা ধারণ করে তাদের সস্রদ্ধ সালাম জানানো উচিত।
"যে সব বঙ্গেতে জন্মে হিংসে বঙ্গবাণী
সে সব কাহার জন্ম,নির্ণয়-ন জানি।"
জি এরকমই,যে জন বঙ্গেতে জন্মে বঙ্গের ইতিহাস আর ঐতিহ্য কে ঘৃণা করে সেসব এর জন্ম বঙ্গে নয়,হয় ভিনদেশে নয় জারজ।
১২ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:০৬
চির চেনা বলেছেন: জটিলস
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:০৯
আলগা কপাল বলেছেন: আমি এখন লুঙ্গি পড়ে মন্তব্য করছি।