![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে ইসলামের নানা নিয়ম কানুনকে অসঙ্গতি মনে করে সারাক্ষণ তার বিরুদ্ধে মন,মেধা,মস্তিষ্ক আর কলম চলে ঠিক সেই ইসলামকেই যখন কেউ ডিফেন্ড করে তখনই “বালহুম আদল” বাক্যটি যেন বারবার নাযিল হচ্ছে মনে হয়।
ঠিক যখনই পর্দার ব্যাপারে হিজাবের ব্যাপারটি আসে অথবা নারীদের সম্পত্তির বিষয় কিংবা ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্মের ব্যাপার অথবা গ্রিক মূর্তির বিরোধিতায় ইসলামের বক্তব্য সামনে আসে তখনই শাহরিয়ার কবির,খুশী কবির,সুলতানা কামাল,মাইনুদ্দিন খান বাদল প্রমুখেরা ইসলামের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধারে যেন আদা জল নিয়ে নামে।মনে হয় যেন এ পৃথিবীর বিরোধিতার একমাত্র বিষয় হলো ইসলাম আর তার তার মূলোৎপাটন করাটাই মানুষের প্রধান কর্ম।
আবার মৃত্যুর সাথে সাথেই জানাজার বিষয়টি যখন আসে তখন যেন ইসলাম না আসলেই শুরু হয়ে যায় ইসলামকে ডিফেন্ড করার কাজ।খুশী কবির এসে ইসলামের শান্তির বাণী প্রচার শুরু করে দেয় আবার হুমায়ুন আজাদের জানাজা না পড়লে যেন দেশেরই জাত যায়।মাইনুদ্দিন খান বাদলের জানাজাই যেন ইসলাম আর ইসলাম।
যাই হউক আসছি পতিতার জানাজার বিষয়ে।ইসলাম পতিতার জানাজার বিষয়ে “না” বাক্য ব্যাবহার করেনি তবে পতিতার জানাজার জন্য যারা পতিতাতদের পক্ষে সাফাই গাচ্ছে তাদের কে প্রশ্ন করতে চাই যে আপনারা দেশের সকল ক্ষমতার ধারক (দুনিয়াবি) ও বাহক কেন পতিতা বৃত্তি বন্ধ করে তাদেরকে প্রশ্নমুক্ত জানাজার ব্যাবস্থা করতে চান না ?এক টক শো বক্তাকে দেখলাম বলতেছে যে এসব নিয়ন্ত্রণ করে গডফাদাররা,যদি তাই হয় তবে সরকার কিংবা ওই সকল ব্যাক্তিরা জানাজার জন্য লাফালাফি না করে কেন এসব গডফাদারদের শেষ করে পতিতাবৃত্তি কে খতম করে তাদেরকে সাধারণ জীবন যাপন ফিরিয়ে দিচ্ছে না?
সস্তা কিছু বক্তব্য এনে মানুষকে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত করাই যাদের কাজ তারাই পতিতাকে সমর্থন করে জানাজার জন্য ফতোয়া খুঁজছে অথচ তারা ঠিকই ই সরকারের অন্দর মহল। মাদক,ইয়াবা,নেশাকে “না” বলুন বলে তারাই মাদক ও নেশাকে ব্যাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং তার বিস্তৃতি ঘটাচ্ছে আর সভা সেমিনার করে এগুলোর ক্ষতিকারক দিক বুঝায় জনগণকে।
আবার কোন গার্মেন্টসে নামাজ কে বাধ্যতামূলক করলে তারাই আবার তেড়ে উঠে।স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ বলে নামাজ বাধ্যতামূলক কে বেআইনি বলে।
জানাজার জন্য অথবা ঈদের মার্কেটিং এর জন্য কিংবা হজরত উপাধির জন্য ইসলাম কে শান্তির ধর্ম প্রচারের যে হিড়িক ঠিক এই ইসলামের অনুশাসনের ব্যাপার আসলেই ইসলামের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধারের প্রয়াস মূলত ফ্যাসিবাদ ও মুনাফিকি চরিত্রের প্রকাশ।
জানাজার সাথে জান্নাতের সম্পর্ক যথসামান্য তাই এর পড়া নিয়ে বেশী মাতামাতির যেমন কিছু নেই তেমনই সারা জীবন বিরোধীরা নিজেদেরকে জানাজার নামাজের জন্য এতো প্রচারণায় কেন ব্যাস্ত রাখে সেটাই সচেতন মানুষের ভাবা উচিত এবং ভেবে এদেরকে সমর্থন অসমর্থনের বিষয়টা পুনর্বিবেচনাতে নেয়া উচিত।
পতিতা বৃত্তি বন্ধ করা সরকারের জন্য ফরজ জানাজার নামাজের জন্য ফতোয়া খুঁজা না,আবার নামাজ কায়েম (প্রতিষ্ঠিত করা বাধ্যতামূলকভাবে) করা সরকারের জন্য ফরজ জানাজার নামাজের জন্য উঠে পড়ে লাগা টা না।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩০
চির চেনা বলেছেন: আপনার প্রশ্ন যৌক্তিক এবং ইসলাম এ ক্ষেত্রে কোন বিধি নিষেধ আরোপ করেনি বরং আমি এখানে এ কথাটি বুঝাতে চেয়েছি যে জীবন্ত মানুষের মানবিক এবং ইসলামিক নৈতিক মানের উন্নয়নের জন্য চেষ্টা না করে কেন জানাজার জন্য ফতোয়া খোঁজাকে ফরজ মনে করা হয় ?
জানাজা তো খুব সাধারণ বিষয়,আল্লাহ্র ঘোষণাকৃত মুনাফিক সর্দারেরও জানাজা হয়েছিল,এটাকে অনেক মানুষের ক্ষেত্রে ফর্মালিটিও বোলা চলে।
ক্ষমতাধর ব্যাক্তিরাই পতিতাতদের বাঁচিয়ে রাখে,বাঁচিয়ে রাখে ধর্ষকদের আবার এদেরকেই ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করাতে বাধ্য করে এবং এদেরকে জানাজার সময় ফতোয়া খুঁজতে ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে উঠে।কিন্তু যখন নামাজ কে বাধ্যতামূলক করা হয় তখন তারাই ইসলামের এই আরোপিত বিষয়টিকে বেআইনি বলে ঘোষণা দেয়,নারী অধিকারের কোরআনই অধিকারকে অগ্রাহ্য করে নিজেরা আইন পাশ করে।
আর জঙ্গি ?
নিঃসন্দেহে জঙ্গিরা সবচেয়ে পাপিষ্ঠ।জঙ্গি দের অন্যতম তো শামিম উসমান বা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা,যারা আজকেও বরিশালে ৫০০ টাকার জন্য ছাত্র মারধর করেছে বা বিশ্বজিৎ আব্রারের মত ছেলেদের পৈশাচিক ভাবে হত্যা করেছে।
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:১২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: লেখা খুবই ভালো লাগলো।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩০
চির চেনা বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: ৭০টা হূর পরী দিয়া আমার তো কাম নাই।ও... আমি দোযকে যাবো....
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭
চির চেনা বলেছেন: হুর পরীর চিন্তা গৌণ বিষয়। ধর্মকে জানাজার জন্য না রেখে জীবন্ত মানুষের জন্য দেয়া হয়েছে। ধর্ম যদি কেউ জীবন্ত না মানে তবে জানাজা তো শুধুই খেলা।
পতিতার জানাজা তে কোন বাঁধা নেই,কিন্তু জানাজার পক্ষে কথা বলার জন্য ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার মসনদে আসীন করা হয়নি বরং পতিতাবৃত্তিকে বন্ধ করে একটা সুস্থ ধারার জীবন দেয়ার জন্য ক্ষমতাসীনদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মানুষ নিজের মনমত করে ইসলামের বিধিবিধান জাহির করছে এটাই পরিতাপের বিষয়।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭
চির চেনা বলেছেন: ব্যাবসায়িক ঢাল।
৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪০
খাঁজা বাবা বলেছেন: মৃত্যুর পরে জানাজার চেয়ে মৃত্যুর আগে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দেয়া অনেক বেশি জরুরি এবং মানবিক।
অন্তত যারা ফিরতে চায়। আমাদের সুশীল রা এ ব্যপারে কখনো বলে না।
আপনার লেখা অত্যন্ত লজিক্যাল।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯
চির চেনা বলেছেন: সুশীল এবং ক্ষমতাশীল দুই পক্ষই খান্নাস।
৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৯
রাশিয়া বলেছেন: জানাযার নামাজের দোয়ার অর্থ সবার মুখস্ত করা উচিত। তাহলে জানাযা বিষয়ক সকল সন্দেহ দূর হবে।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪০
চির চেনা বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩২
নীল আকাশ বলেছেন: লেখা পছন্দ হয়েছে। সহমত। দেশে এখন ভন্ড আর ধর্ম ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম বেশি।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
চির চেনা বলেছেন: দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমায় ষড়যন্ত্রের ভিতর দিয়ে আজকের এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সময়ে বুঝতে ভুল করেছি। এখন শুধুই বিচ্ছিন্নতার ছড়াছড়ি। আর তরীকার পোদ্দারি।
৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০২
একাল-সেকাল বলেছেন:
পবিত্র বো'খারী শরীফে এসেছে, প্রত্যেক মুসলমানের উপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক রয়েছে। সালামের উত্তর দেয়া, কোন মুসলমান অসু'স্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া, মুসলমানের জানাজা আদায় করা, কেউ নিম'ন্ত্রণ করলে সাড়া দেয়া এবং কেউ হাঁচি দিলে তার উত্তর দেয়া।
আমাদের উচিৎ অর্পিত দায়িত্ব পালন করা। আমাদের প্রতিপালক জান্নাতি / জাহান্নামি নির্বাচন করার অধিকার দেন নাই।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্ বলেনঃ
যখন সময় আসবে তখন অবশ্যই তোমার প্রতিপালক তাদের সবাইকে তার কর্মফল পুরোপুরিভাবে দেবেন। তারা যা করে, নিশ্চয়ই তিনি সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (সুরা : হুদ, আয়াত : ১১১)
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭
চির চেনা বলেছেন: ঠিক।জান্নাত জাহান্নাম এর টিকেট দেয়া আমাদের কাজ না।
তবে মানবেতর জীবনকে পৃষ্ঠপোষকতা করা আমাদের কাজ না। ক্ষমতাশীলদের দায়িত্বই হচ্ছে জীবনের মানোন্নয়নের কাজ করা।সেটা না করে তাদের জানাজার জন্য এতো লোক ভাড়া করে এনে ফতোয়া দেয়া তাদের কাজ না।
আবার কেউ নামাজ বাধ্যতামূলক করলে তাকে বেআইনি বলাও তার কাজ না।
৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৬
রাজীব নুর বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:৫২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পতিতালয়ে গমনকারি খদ্দেরের জানাজা হতে পারলে, ধর্ষকদের, জঙ্গিদের জানাজা হতে পারলে
বেচারা পতিতার জানাজায় বাধা কেন?
ধর্ষক তো সবচেয়ে খারাপ, জোড় পুর্বক একই কাজ করে।
আর জঙ্গি সবচেয়ে পাপিষ্ঠ।
এত পাপিষ্ঠদের জানাজা হতে পারলে বেচারা পতিতাকে অসম্মান কি কারনে শুনি?