![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপাততঃ আমি একজন কনফিউজড মানুষ। জীবনে বিবর্তনের অপেক্ষায় আছি, দেখি বিবর্তনের পরে কিসে পরিনত হই...
কয়েক বছর আগে হতে নানা কারনে নিজেকে এই ব্যস্ত ঢাকা শহরে বড় একা লাগত। বন্ধু খোঁজার প্রয়োজন ছিল, যদিও কপালে বন্ধু জুটল না তখন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত নিঃসঙ্গতাকে জীবনের অভিশাপ মনে করতাম। কিন্তু, আজ প্রিয় নিঃসঙ্গতা আমার কাছে ধরা দিয়েছে এক নতুন রুপে। এক আশির্বাদ রুপে।
আজ আমি ২০ টি ঘন্টা পেয়েছিলাম একাকী নিজেকে নিয়ে কাটাবার জন্যে। ছিলাম সম্পূর্ণ একাকী, ছিল না কোন তাড়া, এমনকি কারও ফোন রিসিভ করারো বাধ্যবাধকতা ছিল না। একাকী এ সময়ে ভোগ করলাম, আমার প্রিয় নিঃসঙ্গতার সঙ্গ। একাকী সময়ে মনের খুব কাছে পেয়েছি আকাশ, চাঁদ, কুয়াশা, শিশির, শীত, উষ্ণতা, সূর্যের আলো, রাতের অন্ধকার আরও কত কি! কারও সঙ্গ তো আমাকে একত্রে জীবনের এত গুলো উপাদানকে ভোগ করতে অনুমতি দেয় না। কেউ সাথে থাকলে, সে আমার যতটা মনোযোগ কাড়ে, এ বিশ্বমন্ডল হতে আমার মনযোগ ততটাই সরে আসে। একটি মানুষের সঙ্গ যদি এতগুলো নৈসর্গিক আনন্দ হতে বঞ্চিত করে তবে, কেন চাইব সে সঙ্গ?
প্রিয় নিঃসঙ্গতাকে সাথে করেই তো আমি বইপড়ে ঢুকে গেছি উপন্যাসের চরিত্রে অথবা হাজার লোকের মাঝে ডুবে গেছি সংগীতের জগতে। পদার্থবিদ্যা পড়বার কালে ঘুরেছি মহাবিশ্বের গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে, অনুর পরমানু থেকে পরমানুতে, জীব কোষের ভেতর ঢুকেছি, প্রোটিনের একএকটি অ্যামিনো এসিড থেকে অপরটিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়িয়েছি। প্রিয় নিসঙ্গতা আমাকে খুঁজে দিয়েছিল, কম্পাস দিয়ে আঁকা বৃত্তের মাঝে সৃষ্টিকর্তাকে। নিসঙ্গতা আমাকে ভালবাসতে দিয়েছে একই সাথে “লা নুই বেঙ্গলির” মৈত্রয়ীকে, অথবা গোরার (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) ললিতাকে। খানিকের জন্য ভালবেসে ছিলাম শেষের কবিতার লাবন্যকেও। যদিও তা দুদিনের বেশি টিকেনি।
প্রিয় নিঃসঙ্গতা আমাকে বুঝতে বলেছে পৃথিবীকে, বুঝতে বলেছে জীবনকে, দেখতে শিখিয়েছে বাংলাদেশকে, এর মানুষকে। নিসঙ্গতার এ আশির্বাদ, কি শুধু আমার জন্যই? না, মানুষের যা কিছু মহান তার মাঝেই আছে প্রিয় নিসঙ্গতার ছোঁয়া। যখন চিন্তা করি মহাবিজ্ঞানী নিউটনের কথা, একাকী প্রিয় নিসঙ্গতার সাথে না থাকলে কি আপেল পতন তার দৃষ্টি সেভাবে কাঁড়তে পারতো, অথবা শ্রদ্ধেয় বিজ্ঞানী ডারউইন যদি গ্যালাপাগোস দ্বীপে নিজ নিঃসঙ্গতাকে সাথে নিয়ে প্রকৃতির মাঝে ডুবতে না পারতেন, তবে আজ এ বিবর্তনবাদী কোথা হতে উদয় হত। নিঃসঙ্গতা আমাদের উপায় করে দিয়েছে জগতের সব কিছুর মাঝে এক আনন্দ, এক সুখ, এক প্রেম খুঁজে নিতে। খানিকের জন্য প্রিয় নিসঙ্গতা আমার কাছ থেকে সরে গেলেই, ডুবে যেতে চাই কোন একজনের প্রেমে, জগতের সব আনন্দ, সুখ, প্রেম খুজতে চাই সেই একেরই মাঝে। সেখানে পান থেকে চুন খসলেই, প্রিয় নিঃসঙ্গতার এক বিকৃতরুপ আমাদের সামনে ভাসতে শুরু হয়। প্রতিনিয়ত সাথির কাছে সঙ্গ প্রার্থনা বা সাথি খোজার ছলে হত্যা করি প্রিয় নিঃসঙ্গতাকে। মনের কাছে নিসঙ্গতা ধরা দেয় এক অভিশাপ রুপে।
আমার প্রিয়াকে বলেছিলাম, “তুমি আমার হও কায়মনোবাক্যে, আমি তোমার হব বিনা শর্তে”। কিন্তু আজ আর শর্ত আরোপ না করে পারছিনা। প্রিয়াকে আজ শর্ত দেব, “আমার মন যখন চাইবে, তখনই আমাকে ছেড়ে দিতে হবে প্রিয় নিসঃঙ্গতাকে উপভোগ করতে, কোন প্রকার টালবাহানা চলবে না”।
আজ অনেক অনেক দিন পর এক অতিইন্দ্রিয়িক আনন্দের স্বাদ পাচ্ছি, প্রিয় নিসঙ্গতাকে নতুন রুপে আবিস্কার করে। জোরে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করছে, “ভালবাসি, নিঃসঙ্গতা তোমায় আমি ভালবাসি”।
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:৩০
বিবর্তনবাদী বলেছেন: আমি যতটা মন দিয়ে লিখি, মন্তব্য গুলো আমার মনের ঠিক তত কাছে যেতে না পারলে, সে মন্তব্য আমি মুছে দিব। ধন্যবাদ সবাইকে।
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:৪৫
খোলাচিঠি বলেছেন: এখনতো মন্তব্য করতে কনফিউশন লাগছে . . . .
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:০০
বিবর্তনবাদী বলেছেন: কেন তোমার কেন কনফিউশন হবে?
৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:১৮
খোলাচিঠি বলেছেন: মানুষ কিংবা প্রকৃতি খুব কম সময়ই মানুষকে একান্ত নিসঙ্গতা উপহার দেয়। আপনি পেয়েছেন এবং সেটাকে দেখলাম খুব যথার্তই কাজে লাগিয়েছেন।
" “তুমি আমার হও কায়মনোবাক্যে, আমি তোমার হব বিনা শর্তে”। কিন্তু আজ আর শর্ত আরোপ না করে পারছিনা। প্রিয়াকে আজ শর্ত দেব, “আমার মন যখন চাইবে, তখনই আমাকে ছেড়ে দিতে হবে প্রিয় নিসঙ্গতাকে উপভোগ করতে, কোন প্রকার টালবাহানা চলবে না”। "
নিসঙ্গতাকে এমন ভাবে আকড়ে ধরে বসতে লাগলে কিন্তু একসময় নিজেকে আর বেশি একা মনে হবে। একসময় পৃথিবির সবকিছু থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাইবেন। এটা হয়তো সবক্ষেত্রে ভাল হবেনা। যদিও আপনার নিসংগতা ভালবাসাতে একটু আপত্তি প্রকাশ করলেও লেখাটা আমার কাছে ভাল লাগল। একাকিত্ব এত কিছু দিতে পারলে কিছু সময় নিজের সাথে কাটালে খুব একটা মন্দ হয় না, কি বলেন?
=)
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:৩৩
বিবর্তনবাদী বলেছেন: নিসঙ্গতাকে এমন ভাবে আকড়ে ধরে বসতে লাগলে কিন্তু একসময় নিজেকে আর বেশি একা মনে হবে। ----------- হয়ত
একাকিত্ব এত কিছু দিতে পারলে কিছু সময় নিজের সাথে কাটালে খুব একটা মন্দ হয় না, কি বলেন?----------------- ঠিক বলেছেন।
৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৬
নাদান বলেছেন: আসলে আপনার এমন সুন্দর একটা লেখায় এমন মজা করে কমেন্ট করাটা আমার ঠিক হয়নি। আমি নিজেই অনেক লজ্জিত। আসলে মানুষ যখন কোন কিছু থেকে পালিয়ে বাঁচতে চায় তখনি মনে হয় সেটা কে অবহেলা করে হেসে উড়িয়ে দিতে চায়। : নিসঙ্গতা কি তা আমি জীবনে প্রতিটি মুহূর্ত অনুভব করেছি। বেঁছে থেকেছি নিজের মধ্যে একটা পৃথিবী তৈরি করে। এটি হয়তো অনেক কিছু দেয় মানুষকে কিন্তু কেড়ে নিয়ে যায় তার থেকে বেশী কিছু। এটি আমার জীবন দিয়ে দেখা। সবারি কিছু সময় একান্ত ভাবে নিজের জন্য প্রয়োজন কিন্তু এটি বেশী হয়ে গেলে জীবন কে এমন একখানে দার করায় যেখানে মানবিক সতঃফুর্তটা ও জীবন বোধটাই গৌন হয়ে পড়ে। যাই হোক আমি আবারো লজ্জিতো ও ক্ষমাপ্রার্থী আগের মন্তব্যের জন্য।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:২২
বিবর্তনবাদী বলেছেন: প্রিয় নাদু, তোমাকে ধন্যবাদ। এই ব্লগে তুমি আমার প্রথম বন্ধু। ভাল থাইক।
৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:২২
বিবর্তনবাদী বলেছেন: প্রিয় নাদু, তোমাকে ধন্যবাদ। এই ব্লগে তুমি আমার প্রথম বন্ধু। ভাল থাইক।
৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৪৬
েজবীন বলেছেন: মানুষের হলো কি??.....নিসঙ্গতা কেন কারো কাম্য হবে....আমি বুঝিনা ..বাধ্য হলে অন্যকথা...
ভালো থাকেন
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:০২
বিবর্তনবাদী বলেছেন: এইটাইতো কথা। পাবলিকের হইলটা কি? আসলে দুনিয়াটা গোল, সবাই একা এখানে আসে, ঘুরিয়া ফিরিয়া আবার একাই হইয়া পড়ে।
৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৭:১৯
বিহঙ্গ বলেছেন:
অনেক সুন্দর করে দরদ মাখিয় লিখেন। এতো সুন্দর প্রান্জল ভাষায় নিঃসংগতাকে তুলে ধরলেন। মনটা কেমন যেন হয়ে গেলো।
আপনি প্রায়সময় আমার খবর নেন। আমি নিতে পারিনা।
মনটাকে যদি আরো বড় করতে পারতাম, ঠিক আপনার মতো।
আপনার প্রুফাইলের ছবিটা দেখে যে কেউ আপনাকে রুক্ষ মনে করতে পারে। কিন্তু ,আপনি মনে হচ্ছে অনেক কুসুম কোমল।
ছবিটা কি চেন্জ করা যায়।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৩৮
বিবর্তনবাদী বলেছেন: এই ছবিটা আমার বড়ই প্রিয়। নইলে এতদিনে সত্যিই সরিয়ে ফেলতাম।
৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৭:৪০
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আপনি এত সুন্দর লিখেছেন amazing, splendid, awesome, wonderful বললেও আমার মনে হয় কম হয়ে যাবে। আমি টুকিটাকি লেখালেখা করি কিন্তু, এতটুকু বলতে পারি সামান্য একটা বিষয়কে নিয়ে আপনার মত এত অসাধারণ আমি লিখতে পারতাম না। আপনি লিখে যান ভাইয়া...বই বের হলে বলবেন কিন্তু। by da way, আপনি চাইলে আমি আপনার বন্ধু (ভক্তবন্ধু) হতে চাইব, আমার email add: [email protected]
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৪১
বিবর্তনবাদী বলেছেন: খাইছে আমারে। বই???????? কি কন.............. আমারে ব্লগ থেইক্যা তাড়াইতে চান নাকি???
ধন্যবাদ।
১০| ০৬ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৩
ভাঙা চাঁদ বলেছেন: ভাইজান, চরম লেখা দিছেন..।
একদম মনের মত....
০৬ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৬
বিবর্তনবাদী বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১| ২৩ শে মে, ২০০৮ রাত ১১:০৬
প্রিয়জন বলেছেন: গুড
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৪:০৯
নাদান বলেছেন: Congratulation !!
আপনি মহাপুরুষ হয়ে যাচ্ছেন।