নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

©All Rights Reserved

আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

বিবর্তনবাদী

আপাততঃ আমি একজন কনফিউজড মানুষ। জীবনে বিবর্তনের অপেক্ষায় আছি, দেখি বিবর্তনের পরে কিসে পরিনত হই...

বিবর্তনবাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ধর্ম চিন্তা~১

০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:০৪

ইচ্ছা হল ধর্ম নিয়ে কি ভাবি সেটা ব্লগার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবার। কয়েকভাবে চেষ্টা করেও নিজের চিন্তাধারা সহজ ভাবে লিখতে সমর্থ হলাম না। অবশেষে ঠিক করলাম আমার ধর্ম শিক্ষা কেমন হল সেটাই লিখি, হয়ত এভাবেই নিজের সঠিক ভাবটা প্রকাশ করতে পারব। লেখা শুরু করলাম আমার বাবা বাল্যকাল থেকেই।



আমি জন্ম হয়েছি এক বাংলাদেশী মধ্যবিত্ত পরিবারে এবং পরিবারটি মুসলিম। অন্যদিকে আমার বাবা জন্ম হয়েছিল এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে, তবে পরিবারটি ঘোর মুসলিম। বিধায় ছোটবেলা হতেই বাবার কোরান তিলাওয়াতে হাতে খড়ি হয়। ১৯৬৯-এ বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষের ছাত্র এবং দুইটা টিউশুনি করত। একদিন ছাত্রের মা বাবাকে এসে অনুরোধ করল ছেলের জন্য ভাল কোরান শিক্ষক (হুজুর আর কি) ব্যবস্থা করে দিতে। আমার বাবা দেখল কোরানতো সে নিজেই পড়াতে পারে বরং হুজুরের থেকে বাবার নিজেরই পয়সার দরকার বেশি। সেই থেকে ঐ ছেলেকে বাবা নিজেই কোরান পড়ানো শুরু করে।



এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন কমিউনিজমের জোয়ার, সেই জোয়াড়ে বাবাও ভেসে গেল এবং স্বগর্বে নাস্তিকতার গান গাইতে লাগল। দেশ স্বাধীন হল, মুজিব গেল, জিয়া গেল এমনকি রাশিয়া থেকেও কমিউনিজম উড়াল দিল কিন্তু, আমার বাবার মাথা থেকে কমিউনিজম গেল না। দাদির বড়ই দুঃখ ছিল যে তার মত এমন নিষ্ঠাবান ধর্মপ্রাণ মহিলার গর্ভে জন্ম নেওয়া এককালের কোরান শিক্ষাদানকারি আমার বাবা এখন কোরান তিলাওয়াত তো দুরের কথা নামাজও পড়ে না। যাইহোক এভাবে চলতে চলতে বাবার বিয়ে হল মায়ের সাথে, তিন বছরের মাথায় আবির্ভাব হল আমাদের ভাইবোনের। আমার নানা নাস্তিক না হলেও, তেমন ধর্মকর্ম করতেন না, যদিও মারা যাবার কয়েক বছর আগে নামাজ রোজা ধরেছিলেন। ফলে আমার মায়ের দিক হতেও তেমন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ছিল না।





সময় গড়াল, আমরা ভাইবোনও বড় হতে থাকলাম, কিন্তু আমার বাবা আমাদের ধর্ম শিক্ষাদানে কোন তাগিদ অনুভব করল না। স্কুলের বন্ধুদের তিলাওয়াতের সংখ্যা বাড়তে লাগল কিন্তু, আমাদের ভাইবোনের গাড়ি যাত্রাই শুরু করল না। মাঝে মাঝে দাদি কিছুদিনের জন্য গ্রাম হতে আমাদের বাড়িতে আসত। তখন যতটুকু সম্ভব আমাদের দুইজনকে অন্তত নামাজ, রোযা জাতীয় ধর্মীয় কর্মকান্ডগুলোতে হাতেখড়ি দিতে চেষ্টা করতেন, যদিও তেমন লাভ হয় নি। ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় ইসলাম শিক্ষা বইতে ৮/৯ টা সূরা ছিল। পরীক্ষার তাগিদে পড়া সেই সূরাগুলো দিয়েই আমার ধর্ম শিক্ষা শুরু। নামাজ রোযার নিয়ম কানুন গুলো শিখেছিলাম স্কুলের ইসলাম শিক্ষা বইয়ের আলী ও যেবুর এসো নিজে করি ধরনের অধ্যায় গুলোর সাহায্যে। বাবা নিজে ধর্ম কর্ম না করলেও কখনই ধর্মবিরোধী কথা বলত না আমাদের সাথে। মা মাঝে মাঝে নামাজ পড়ত। আমি নিজে থেকেই মাঝে মাঝে নামাজ পড়তাম, আর রোজার মাসে অন্তত একটা হলেও রোজা রাখতাম। আমরা ভাই বোন রোজা রাখলে, বাবা নিজেই সেদিন বিশেষ ইফতারে ব্যবস্থা করত।





ক্লাস সিক্সে উঠবার পরে স্কুলের সিলেবাসে আরবী শিক্ষা চালু হয়। তখন কিছু আরবী শিখি, যা পরবর্তীতে কোন কাজেই আসে নাই। স্কুল শেষ করে কলেজে ভর্তি হলাম। ২০০১ এর ২ জুন এইচএসসি শেষ হয়। ভাবলাম, এবার নিজের ধর্মটা নিয়ে কিছু জানা উচিত। অন্ততপক্ষে, কোরানে কি বলা আছে সেটুকু জানা অবশ্যই উচিত, মানি আর না মানি। নিজের বিদ্যাবুদ্ধির ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, না বুঝে যেমন বিজ্ঞান পড়ি না ঠিক তেমনি না বুঝে কোরানও পড়ব না। যেহেতু আরবী শেখা সম্ভব নয়, তাই মাতৃভাষাতেই কোরান পড়তে হবে। পরীক্ষা শেষে বাসায় যাবার পথে কাটাবন থেকে উচ্চারণ ও অর্থসহ কোরান কিনি। কোন অনুবাদ কিনব বা তার দাম কেমন, কোন আইডিয়া ছিল না। ভাবলাম ধর্ম কর্মের ব্যাপার দোকানদার নিশ্চয়ই সাহায্য করবে। আমার বিশ্বাস ভুল ছিল, ধরা খেয়েছি!

এই শুরু আমার কোরান পড়া। বিশেষ কারণে পড়া এক পর্যায়ে থামিয়ে দিতে হয়। থেমে যাওয়ার কারন, আমি যে কোরানের অনুবাদটা কিনেছিলাম, সেটার অনুবাদ বিচ্ছিরি রকম ছিল অশুদ্ধ ছিল। একে তো গুরুচন্ডালি দোষ অন্যদিকে, যে মৌলভি অনুবাদক, সে হয়ত বাংলার থেকে উর্দু-আরবী বেশি পড়েছে। অনেক লাইনেই উর্দু আরবী শব্দের ছড়াছড়ি, অথচ প্রত্যেকটির সুন্দর বাংলা শব্দ রয়েছে। যেমন, একটা আয়াতে ছিল, “ওদের প্রশ্ন কর”; এটাকে অনুবাদে লেখা হয়েছে, “ওদের পুছুন”। কি বিচ্ছিরি ব্যাপার? পুছুন কেন? “প্রশ্ন কর” বা “জিজ্ঞাসা কর” লিখতে ক্ষতি কি ছিল! সূরা ৪১-এর ২৪ নং আয়াতে আছে, “এখন ওরা ধৈর্য ধরলেও জাহান্নামই হবে ওদের আবাস এবং ওরা ওজরখাহী করিলেও গ্রহণ যোগ্য হবে না”। এই ওজরখাহীর অর্থ কি আল্লাহ মালুম! সূরা ৩৬ এর ২১ নং আয়াতে আছে, “অনুকরণ কর তাদের যারা চাহে না উজরত”। উজরত কি অনুবাদকই জানে! এরকম হাজারো অদ্ভুত সব শব্দ। ধৈর্য ধরে বেশ খানিকটাই পড়েছিলাম, একপর্যায়ে এমন অদ্ভুত অনুবাদ পড়া আর সম্ভব হল না। বাদ দিলাম। তবে যতটুকু পড়েছি খাটি বিজ্ঞানের বই যেমন খুটিয়ে খুটিয়ে পড়ি তেমনই পড়েছি। ততটুকুর ভিত্তিতেই ইসলাম সম্পর্কে অনেক অনেক অস্পষ্টতা কেটেছে।





অন্তত এটুকু বুঝতে পেরেছি, ইসলাম খুব কঠিন কোন ধর্ম নয়। মুক্ত মনে মানবিকতার ভিত্তিতে আমরা নিজের জীবনকে যেভাবে চালাতে পছন্দ করব, ইসলামের সাথে সেই জীবন পদ্ধতির খুব কমই অমিল হবে বলে আমার মনে হয় এমনকি কোরান পড়তে গিয়ে আমার মনে হয় নি ইসলামের নারীপুরুষের সম্পর্ক নিয়ে খুব বেশী বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। হাদিস কি বলে তা আমি জানিও না, জানতেও চাই না। আমরা যেখানে এই রেডিও, টেলিভিশনের যুগে ৩৭ বছর আগের ঘটে যাওয়া ইতিহাসই ঠিক মত ধারণ করতে পারলাম না, সেখানে মহানবী (সঃ) মৃত্যুর ২৫০ থেকে ৩০০ বছর পরে মানুষের মুখস্তের উপর ভিত্তি করে যে হাদিস সংকলন করা হয়েছে তা নিয়ে আজাইরা কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি (অনেক ক্ষেত্রে রক্তপাত) নিতান্তই বোকার কাজ বলেই মনে হয়।





আসলে ধর্ম, সৃষ্টিকর্তা ইত্যাদি বুঝতে হবে মুক্ত মন নিয়ে। মনকে খাঁচায় বন্ধ করে কখনই সৃষ্টিকর্তা বা ধর্ম নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। আমার বাবা আমাদের এই সুযোগটাই দিয়েছিল। আমাদের বাবা আস্তিকতা, নাস্তিকতা, ধর্ম কর্ম কোন কিছুই চাপিয়ে দেয় নি। ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি আমার বাবা সবসময় ১৫ মিনিট আগে অফিসে পৌছায়, কখন বাবা দেরীতে অফিসে গেছে বলে শুনিনাই। কখনও কাউকে ধোকা দিয়েছে এমন শুনি নাই। অফিসে, ঘরে বাইরে সবার মুখে শুনেছি বাবার সততার কথা, যদিও মাত্রাতিরিক্ত রাগী ও একরোখা হিসেবে বাবার দূর্নাম করে সবাই (আমিও:(()। ওহ, আর একটা দূর্নাম আছে বাবার সে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান গুলো (যেমন নামাজ, রোজা) পালন করে না। বাবার জীবন যাপন থেকে শিখেছি, এমন কাজ করা পাপ, যা করলে নিজেকে শ্রদ্ধা করা যায় না। বাবা বলে, নিষ্ঠার সাথে নিজের দায়িত্ব পালন ও অন্যের কোন ক্ষতি না করে জীবন যাপনের পর, মহান সৃষ্টিকর্তা যদি শুধু তার গুনকীর্তন তথা দৃশ্য ইবাদত না করার জন্য কাউকে জাহান্নামে দেয়, তবে জাহান্নামই ভাল। বাবার কাছ থেকে শিখেছি নিজেকে শ্রদ্ধা করতে, অপরকে শ্রদ্ধা করতে, নিজের দায়িত্বকে শ্রদ্ধা করতে।





ইচ্ছা থাকলেও আমার নামাজ, রোজা তেমন করা হয় না। তবুও নির্দ্বিধায় আমি বলতে পারি আমি মুসলমান। কারন আমি এক সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি। যতটুকু বিজ্ঞান পড়েছি তার ভিত্তিতে সৃষ্টিকর্তায় ভৌত উপস্থিতি কোথাও আছে, এমন প্রমান পাই না। তবুও কেন জানি না বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে, কেউ আছেন কোথাও। মৃত্যুতেই আমার অস্তিত্ব শেষ হবে না। হোক না সে অস্তিত্ব জাহান্নামেই, তবুও আমিতো রইব।















আস্তিক নাস্তিক সকলেরই শত্রু হলাম কি? :P

(চলবে.........................................................................................হয়ত!!!!

মন্তব্য ৭১ টি রেটিং +২৮/-০

মন্তব্য (৭১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:০৬

সুশীল সমাজ বলেছেন: মহানবী (সঃ) মৃত্যুর ২৫০ থেকে ৩০০ বছর পরে মানুষের মুখস্তের উপর ভিত্তি করে যে হাদিস সংকলন করা হয়েছে তা নিয়ে আজাইরা কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি (অনেক ক্ষেত্রে রক্তপাত) নিতান্তই বোকার কাজ বলেই মনে হয়।

এটা ই তো পাবলিকরে বুঝানো যায় না!

০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১১

বিবর্তনবাদী বলেছেন: কাউকেই কিছু বোঝানো যায় নারে ভাই!!

২| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১০

না বলা কথা বলেছেন: শেষের দিকের কথাগুলো ভালা হইচে।
চালাইয়া যান। লগে আছি।

০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১৩

বিবর্তনবাদী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১১

মুকুল বলেছেন: ভালো লাগছে। চলুক...
*****

০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১৭

বিবর্তনবাদী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১৩

হোসেইন বলেছেন: এতো লম্বা পোস্ট দিছেন কেন ?
ধাপে ধাপে দেন , রয়েসয়ে পড়ি ।

০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১৫

বিবর্তনবাদী বলেছেন: মাইন্ডে লাগল;)

৫| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১৬

মানুষ বলেছেন: আপনার সাথে দেখি আমার বেষ মিল

৬| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:২১

তূর্য্য বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।আপনার সাথে আমারও অনেক মিল।

৭| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:২২

সোনার বাংলা বলেছেন:
কিচাল ওরপে শুশীল @ তুমার থেকে গিয়ান নিয়ে কেউ বুঝটে চায় না।
তুমি আচো কেচালে..........


২য় পর্বের অপেক্ষায়.....

৮| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:২৫

সেলিম তাহের বলেছেন: পড়ে ভাল লাগলো। ...+

৯| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:২৬

নাজিম উদদীন বলেছেন: তবুও কেন জানি না বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে, কেউ আছেন কোথাও।"

এটা আপনার না শুধু মানুষের দূর্বলতা। এখানেই সব শেষ এটা ভাবতে চায় না। নিজেকে এত কম গুরুত্বপূর্ণ ভাবা ঠিক মানুষ মানতে পারে না। সবকিছুরই একটা উদ্দেশ্য থাকতে হবে এরকম একটা ধারণাও কাজ করে।

ভাল লিখেছেন, চালিয়ে যান।

০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৩০

বিবর্তনবাদী বলেছেন: এখানেই সব শেষ এটা ভাবতে চায় না। যদি ভাবেই ফেলা হয়, তবে যে আর পথ চলাও সম্ভব হয় না। সব কিছু থেমে যায়।

১০| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৩৭

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: খুব ভালো লেখা।
এই রকম নিজেকে মেলে ধরা খুব কঠিন ব্যপার।বিশেষ করে ধর্মীয় অনুভূতি গুলো নিয়ে কথা বলা।
ছেলেবেলা থেকে কত ঘটনা যে সম্পৃক্ত হয়ে আছে স্মৃতিতে।
এই লেখা পড়ে মনে হলো লিখবো।
আমার খুব ভালো লাগলো।আরো পড়বার প্রত্যাশায়।
শুভেচ্ছা।

১১| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৪২

মিরাজ বলেছেন: আপনার জানার আগ্রহ দেখে ভালো লাগলো । লিখেছেনও চমৎকার ।

চলুক ।

১২| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৫০

নেমেসিস বলেছেন:
আসলে ধর্ম, সৃষ্টিকর্তা ইত্যাদি বুঝতে হবে মুক্ত মন নিয়ে। মনকে খাঁচায় বন্ধ করে কখনই সৃষ্টিকর্তা বা ধর্ম নিয়ে কথা বলা উচিত নয়।


একমত । জানতে চাওয়া আর আলোচনা করা অবশ্যই উচিৎ ।

১৩| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৫৯

ভাঙা চাঁদ বলেছেন: খুব সুন্দর বিশ্লেষণ

১৪| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৩২

রাশেদ বলেছেন: ভাল্লাগছে।

১৫| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৩৭

সবুজমিয়া বলেছেন: সুন্দর বর্ননা, ভাল লাগল...
মুক্ত মন নিয়েই খুজতে থাকুন...অবশ্যই সুন্দর সঠিক পথের সন্ধান পাবেন..

১৬| ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৩৪

আরণ্যক যাযাবর বলেছেন:
>“ওদের পুছুন"
হাহ হা!

১৭| ০২ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ১:০৬

ফজলে এলাহি বলেছেন: হাঁ বর্ণনাধারা সত্যিই ভালো লাগলো। পাশাপাশি উপন্যাসের স্বাদ দিতে পেরেছেন লেখনীতে।

তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আপনার জীবন থেকে লিখলেন এবং চলবে..........অপেক্ষায় থাকলাম।

১৮| ০২ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ১:১৩

কাঙাল মামা বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম
+

১৯| ০২ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ২:১৪

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: পোস্ট ভালো লাগছে, :)

তবে, ২৫০-৩০০ বছরের টাইমফ্রেইম gross exaggeration. ইমাম বুখারীর আগেও হাদীস সংকলন করেছেন অন্যান্যেরা। যেমন ইমাম মালিক মদীনা ভিত্তিক ইমাম ছিলেন, তিনি কিন্তু মুহাম্মদ (সা) এর মৃত্যুর ৯০ বছর পার না হতেই এসেছিলেন, এবং মদীনায় তখন অনেক সাহাবীরা বেঁচে ছিলেন (মুহাম্মদ (সা) কিন্তু বেশি দিন বাঁচেন নি, মোটে ৬৩ বছর)। তাঁর একটা বিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থ ছিল--মুতাওয়াত্তা বা এরকম কিছু নাম, ভুলে গিয়েছি, সেটা এখনও আছে... ইমাম বুখারী বা অন্যান্যদেরটা সিস্টেমেটিক আর সবার জন্য পঠনযোগ্য বলে বেশি বিখ্যাত। অথচ এরও অনেক আগে হাদীস গ্রন্থ ছিল। আপনি হাদীসের সাইন্স নিয়ে আরেকটু পড়তে পারেন, বেশ ইন্টারেস্টিং একটা সাইন্স।

০২ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ২:২৮

বিবর্তনবাদী বলেছেন: ধন্যবাদ সন্ধ্যাবাতি। আর একটু ভাল করে কোরান পড়ে নেই তারপর হাদিসে যাবার চেষ্টা করব সময় পেলে। ;)

২০| ০২ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ২:২৭

নিবেদীতা বলেছেন: এভাবে গুছিয়ে নিজের কথা ক'জনই বা বলতে পারে।
ভাল লাগলো।

০২ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ২:৩৩

বিবর্তনবাদী বলেছেন: ধন্যবাদ নিবেদীতা। কেমন আছেন?

২১| ০২ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ২:৩৪

দ্বিতীয়নাম বলেছেন: +

২২| ০২ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ৩:১৫

নিবেদীতা বলেছেন: ভাল আছি। আপনি কেমন আছেন?

০২ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ৩:২৪

বিবর্তনবাদী বলেছেন: ভাল ;)

২৩| ০২ রা মার্চ, ২০০৮ সকাল ৭:১৯

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: ভাইজান তো সেই রকম একখান পোষ্ট দিছেন। একদম মনের কথাগুলো বলেছেন।+
ভালো লাগল।
চলুক।
ভালো থাকুন।
আপনার সাথে আমার একটা মিল...আমিও ২০০১ সালে এইচ.এস.সি দিয়েছি।:)
বন্ধু ভাবতে তো দোষ নেই??

০২ রা মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:৩১

বিবর্তনবাদী বলেছেন: আজ থেকে আমরা বন্ধু। আসেন প্রথমেই ভার্চুয়াল কোলাকুলি করি।

২৪| ০২ রা মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:০১

অহেতুক অকারণ বলেছেন: বিবর্তনবাদী,
ভাল লাগলো,পোষ্ট খানা।
আপনার সাথে আমার ও অনেক মিল।
একদম মিল।।

২৫| ০২ রা মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:০৫

পুসকি বলেছেন: বিবর্তনবাদী ভাইয়া,
ইসলাম ধর্ম অনুসরণকারীদের মধ্যে এরকম মুক্ত চিন্তা থাকা খুব দরকার।(যেমন আপনার বাবার মধ্য দেখলাম)
এই যুগের অনেকেই এখন গোড়ামি চিন্তা ছেড়ে ইসলাম কে মুক্ত দৃষ্টিতে দেখছে...........বিষয়টা খুব ভাল লাগে আমার।

আপনার সুন্দর পোস্ট টা পড়ে খুব ভাল লাগল
ধন্যবাদ আপনাকে
+++

২৬| ০২ রা মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৩

ত্রিভুজ বলেছেন:

চলুক....

২৭| ০২ রা মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:০০

অচেনা বাঙালি বলেছেন:
ভাল্লাগছে লেখাটা।

আমি তো দিন দিন আপনার লেখার পাঙখা হইয়া যাইতেছি। :)

হাদিস লইয়া পড়েননাই বলেই উদার ও পরিস্কার মনের আছেন। ঐটা নিয়া বেশি কচকি করার দরকার নাই । কারণ ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে উপলব্ধি করতে হইলে দুইটা জিনিস যথেষ্ট; এক কোরান , দুই নিজের বিবেক। হাদিস আর কোরান মিলায় দেখলেই দুটার মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক টের পাওয়া যায়। 'শয়তানের দুই ঠ্যাংয়ের মাঝখান দিয়া সূর্য উদয় হয়' - এই সব পড়ার চেয়ে না পড়াই ভাল।

০২ রা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

বিবর্তনবাদী বলেছেন: 'শয়তানের দুই ঠ্যাংয়ের মাঝখান দিয়া সূর্য উদয় হয়' - এই সব পড়ার চেয়ে না পড়াই ভাল। --------- সহমত। ধন্যবাদ।

২৮| ০২ রা মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:১৭

কোলাহল বলেছেন: ভাল লাগল। মুক্ত চিন্তার যে কোন মানুষের সাথে আমি একাত্ব হতে পছন্দ করি।

২৯| ০২ রা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

আউলা বলেছেন: নানু খুব সুন্দর লেখা

ধর্ম এটা না যে আমি ৫ ওয়াক্ত নামাজ কালাম পড়লাম আর সারা দুনিয়ার খারাপ কাজ করলাম। আমার মনে হয় আগে তো নিজের কাছে নিজের কর্মের জবাব দিবো তারপরে আল্লাহর কাছে। নিজের কাছে সঠিক মানে আবার এই নয় যে, আমার সব অন্যায় গায়ের জোরে বললাম ঠিক।
ধর্মটা আসলে অনেক সহজ কিন্তু এটাকে অতিরিক্ত কচলাই আমরা। (ঠিক মত লিখতে পারলাম না যা বলতে চাইছিলাম

০২ রা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

বিবর্তনবাদী বলেছেন: নানুভাই, তুমি কি বলতে চেয়েছ তা খুব সুন্দর করেই লিখেছ। আমি বুঝেছি। তোমাকে নানুর আদর ও ভালবাসা রইল।

৩০| ০২ রা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আউলা বলেছেন: থ্যাংক ইউ নানু ভাই

সূরা মূলক বাংলায় পড়ে দেখো খুব সুন্দর

০২ রা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

বিবর্তনবাদী বলেছেন: ওকে ;)

৩১| ০২ রা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

বিজয় ৭১ বলেছেন: +

৩২| ০২ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪৬

কাঙাল মামা বলেছেন: ২ নামবার কবে দিবেন?:(

০৩ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৩৪

বিবর্তনবাদী বলেছেন: (চলবে.....................................................................হয়ত!!!!


বিধায়, ২ নংএর ঠিক ঠিকানা নাই ;)

৩৩| ০২ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৫৭

কালপুরুষ বলেছেন: খাইছে! এইটা যে মস্ত বড় লেখা। পড়তে সময় লাগবো। পরে পড়ুমনি।

৩৪| ০৩ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ২:০১

খোলাচিঠি বলেছেন: apnar honest opinion tay valo laglo.
beshi valo laglo eta dekhe u are proud of yourself, and on your deeds which is excellent and praise worthy.

০৩ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ২:০৪

বিবর্তনবাদী বলেছেন: প্রিয় খোলাচিঠি, মন্তব্যটা ভাল লাগল। আরো ভাল লাগল অনেক অনেক অনেক দিন পরে আমার ব্লগে তথা এই ব্লগে আসলে তাই।

৩৫| ০৩ রা মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:০২

১৯৭১ আমার চেতনা বলেছেন:
ভাই, আপনি তো দারুন লিখেন ! একদমে পড়া শেষ করলাম।

+

৩৬| ০৩ রা মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:১৬

হলদে ডানা বলেছেন: আরেকবার পড়লাম।


আপনার যদি কোন ব্যাক্তির প্রতি বিশেষ বিদ্বেষ বা আক্রোশ না থাকে তবে একটি বইয়ের রেফারেন্স দেব।

অধ্যাপক গোলাম আযমের লেখা "আল-কুরআনের সরল বাংলা অনুবাদ" । বইটিতে অনুবাদের সাথে সাথে প্রতিটি সূরা থেকে কি শিক্ষণীয় তা সংক্ষেপে দেয়া আছে। কামিয়াব প্রকাশনী।

প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে ২০শে মার্চ পর্যন্ত ৯০০ টাকা দামের তিন খন্ডের এ সেট বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। সংগ্রহে রাখতে পারেন। পড়ে দেখতে পারেন।

ধন্যবাদ।

০৩ রা মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:৫৯

বিবর্তনবাদী বলেছেন: অন্য কোন রেফারেন্স দিলে খুশি হতাম প্রিয় হলদে ডানা। গোলাম আজমের বই আমি কিনব না। হোক না তা কুরানের অনুবাদ।

দুঃখিত।

৩৭| ০৩ রা মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:২৯

দ্বিতীয়নাম বলেছেন: সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মোঃ হাবিবুর রহমানের সহজ বাংলা কোরআন শরীফ।

০৩ রা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

বিবর্তনবাদী বলেছেন: এই অনুবাদটির কথা শুনেছি। কিনব অবশ্যই।

৩৮| ০৩ রা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:০৫

হলদে ডানা বলেছেন: কারো বই কেনা না কেনা, সেটি আপনার স্বাধীনতা।

তবে আমি যে কারো বই কিনতে বা পড়তে রাজি আছি। মানবতার চরমতম শত্রুও যদি কোন বই বের করে আমি তার চিন্তা জানতে আগ্রহী। বইয়ের সাথে শত্রুতা করে কি লাভ। বিবেক বোধ থাকলে বই কাউকে বিচ্যুত করতে পারেনা।

০৩ রা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

বিবর্তনবাদী বলেছেন: বিবেক বোধ থাকলে বই কাউকে বিচ্যুত করতে পারেনা। কথাটা ঠিক নয়।

৩৯| ০৩ রা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:১১

সামী মিয়াদাদ বলেছেন: নাস্তিকের কোন শত্রু আছে নাকি?

৪০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৪৯

আউলা বলেছেন: নানু মনখারাপ কেন?

০৪ ঠা মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৫৩

বিবর্তনবাদী বলেছেন: আঁড়ি :((

৪১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০০৮ রাত ১:০৫

আউলা বলেছেন: কেন? আমি যাব কই

০৪ ঠা মার্চ, ২০০৮ রাত ১:২১

বিবর্তনবাদী বলেছেন: -) /:) :( :((

৪২| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:২৬

বিহঙ্গ বলেছেন: আপনার চমতকার ,সুন্দর,চিন্তাশীল লিখাগুলো মিস করেছি।
মেইল করে খোঁজ নেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪৩| ১৩ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:৪৩

যীশূ বলেছেন: আপনার কনফিডেন্সটা ভালো লেগেছে। কিন্তু খানিকটা দ্বান্দ্বকতা আছে আপনার শেষ বক্তব্যে। আপনি বলেছেন, "ইচ্ছা থাকলেও আমার নামাজ, রোজা তেমন করা হয় না। তবুও নির্দ্বিধায় আমি বলতে পারি আমি মুসলমান। কারন আমি এক সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি।" আর তারপরের লাইনে, "যতটুকু বিজ্ঞান পড়েছি তার ভিত্তিতে সৃষ্টিকর্তায় ভৌত উপস্থিতি কোথাও আছে, এমন প্রমান পাই না। তবুও কেন জানি না বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে, কেউ আছেন কোথাও।"

তারমানে কি? আপনার বিশ্বাসটা খাঁটি বিশ্বাস না?

১৩ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:৪৯

বিবর্তনবাদী বলেছেন: আল্লাহ্‌ জানে!!!!!!

৪৪| ১৩ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:৫৬

মাহমুদ রহমান বলেছেন: আপনার প্রতি অনুরোধ রইল, আপনি দুটি বই পড়বেন.......

প্রথমটি, উপেক্ষা ও উগ্রতার বেড়াজালে ইসলামী জাগরণ (আল্লামা ইউসুফ আল কারযাভী) বইটি কাটাবনের দোকানে পাওয়া যাবে।

এটি শেষ হলে, "কুরআন অধ্যায়ন সহায়িকা" (লিখেছেন খুররাম জাহ মুরাদ)। কুরআন পড়তে আপনাকে হেল্প করবে।

১৩ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:০৩

বিবর্তনবাদী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪৫| ১৩ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:৪৮

ইলা বলেছেন: বাপরে অনেক লিখছেন। তবে পড়তে কিন্তু কষ্ট হয় নাই।
শুধু মাত্র একটা বই পড়ে (আর আপনার ভাষ্য মতে তাও অস্পষ্ট ভাষায় রুপান্ত রিত) আপনি কোন বিষয়ে শুদ্ধ ধারনা পাবেন না। আর ইসলামে জানার জন্য উৎসাহীত করা হয়েছে।

সামী মিয়াদাদের সাথে তাল মিলিয়ে আমিও বলছি আপনার েতা শত্রু থাকার কথা নয়।

১৩ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৫১

বিবর্তনবাদী বলেছেন: ইলা, কষ্ট না করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।


একটা বই!!!! যাই হোক, জানার আগ্রহ আছে বলেই ঐ একটা বই বুঝে পড়তে আগ্রহী। সামী ভাইয়ের কমেন্টসের শানে নযুল আমি বুঝতেই পারি নাই। যাই হোক, আমার মনে হয় তেমন শত্রু নাই ;)

৪৬| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০

শিয়া বলেছেন: নিষ্ঠার সাথে নিজের দায়িত্ব পালন ও অন্যের কোন ক্ষতি না করে জীবন যাপনের পর, মহান সৃষ্টিকর্তা যদি শুধু তার গুনকীর্তন তথা দৃশ্য ইবাদত না করার জন্য কাউকে জাহান্নামে দেয়, তবে জাহান্নামই ভাল।(বির্বতনবাদী'র লেখার কিছু অংশ)
দেখুন আপনার বাবার কথাগুলো সুন্দর কিন্তু সেই সাথে দেখতে হবে যে, আমাদের মহানবী বা মহামানবগণ তাঁরা কি শুধুই ভাল কাজ করে গেছে না-কি সেই সাথে তাঁরা আল্লাহর ইবাদতও করেছেন! যদি তাই হয় তাহলে আপনার বাবা তো আর তাদের চেয়ে ভাল মানুষ নয়। তাই যদি মুক্তি চাই তাহলে মহামানবদের মত ভাল কাজের পাশাপাশি আল্লাহর প্রকাশ্য ইবাদতগুলিও সম্পাদন করতে হবে। আর আপনি একজনের তরজমাকৃত কোরআন পড়ে তো আর সকলকে দোষারোপ করতে পারেন না। তাছাড়া যেখানে আপনি আরবি কিছুই বোঝেন না সেখানে আপনাকে তিনি কয়েক পারসেন্ট হলেও কোরআনের ভাষা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। আপনি তার মাধ্যমে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। তাই একজন সৎ লোকের (আপনার পিতার মত) কর্তব্য হল উপকারীর উপকারকে স্বীকার করে তার কৃতজ্ঞা করা। আশাকরি এই ভাল কাজটি করবেন। আর বাজারে এখন অনেক ভাল মানের অনুবাদের কোরআন পাওয়া যায়। দয়া করে একটা কিনে আবার একটু পড়া শুরু করুন। দেখবেন আজ এত দিন পড়ে যে সব বিষয় বিজ্ঞান প্রমাণ করছে তা আল্লাহ তায়ালা হাজার হাজার বছর পূর্বে পবিত্র কোরআনে বর্ণনা করেছেন। আমরা মুসলমানগণই সর্ব প্রথম বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন জিনিস আবিস্কার করেছেন। তাই আজও যদি আমরা সতর্ক হই ও ইসলামবিরোধীদের বিভিন্ন আজে বাজে ধাঁ ধাঁ'তে সময় ব্যয় না করে কোরআন নিয়ে গবেষণা করি আমরাও তাদের চেয়ে অনেক বেশি উন্নতি করতে পারবো। কারণ, আমাদের কোরআন সাধারণ কোন বই বা উপন্যাস নয় বা কোন মানুষের লেখা গ্রন্থ নয় যে তাতে হাজার ভুলের সম্ভাবনা থাকবে। যদি ভুলের সম্ভাবনা থাকে তাহলে সে সম্ভাবনা হচ্ছে আমাদের বোঝতে ভুল হওয়ার। তাই আশাকরি আবার পুরোদমে মনবলের সাথ ইসলাম ও কোরআন নিয়ে চিন্তা শুরু করবেন। আল্লাহ হাফেজ

২১ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:০৩

বিবর্তনবাদী বলেছেন: আচ্ছা!!!

৪৭| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৩

শিয়া বলেছেন: যদিও আমি বিবর্তনবাদীদের সম্পর্কে বেশি কিছু জানিনা তার পরেও বলতে চাই যে বিবর্তনবাদীরা দাবি করে মানুষ বানর হতে উৎপত্তিলাভ করেছে। কিন্তু এখনও আমার মাথায় আসে না যে যদি তাই হয় তাহলে এ যাবৎ পর্যন্ত একটা বানরও কেন মানুষে রুপান্তর হল না? আর এই রুপান্তর কি শুধু ওরাই সে সময়ে দেখেছিল যে বানর মানুষে রুপান্তর হয়েছে? এইসব অযৌক্তিক কথা বলে মানুষকে চাই ব্যস্ত রাখতে। তাই যদি ইসলাম ও কোরআন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেন তাহলে আশাকরি সকল প্রশ্নের সমাধান পাবেন।

২১ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:০৬

বিবর্তনবাদী বলেছেন: এই পোস্ট ও তার আনুসঙ্গিক মন্তব্য ও সেখানের লিংকগুলো ঘেটে দেখতে পারেন

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.