![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপাততঃ আমি একজন কনফিউজড মানুষ। জীবনে বিবর্তনের অপেক্ষায় আছি, দেখি বিবর্তনের পরে কিসে পরিনত হই...
সেদিন ব্লগার শফিকুল ভাই একটা পোস্ট দিলেন তার মেয়ের অংক ভীতি নিয়ে। আমাদের এক ভাতিজী সুমাইয়া অংক ভয় পাচ্ছে, সাথে শফিকুল ভাইজানও চিন্তিত। উনার পোস্ট দেখে আমার নিজের অংক শিখার কাহিনী লিখতে মন চাইল। তাই শুরু করলাম।
ক্লাস সেভেন পর্যন্ত আমি কোন গোনার মত কোন ছাত্রই ছিলাম না। বাবা-মা আমাকে নিয়ে হতাশ ছিলেন যদিও কিন্তু বিশেষ কোন উদ্যোগ নিতে দেখিনি আমার ভবিষ্যত উদ্ধারে। স্কুলের পড়তাম, বাসায় টিচার আসত এই পর্যন্ত। বিশেষ লক্ষ্য নিয়ে পড়তে হবে এমনটা আমি নিজেও ভাবিনি কখনও, আর দশজনের মতই স্কুলে যেতাম, টুকটাক হোম ওয়ার্ক করতাম, পরীক্ষা দিতাম। ভাল রেজাল্ট যেমন কখনও করি নাই, তেমনি যারা ভাল রেজাল্ট করত তাদের খবরও রাখি নাই কখনও। ফেল করিনি কখনও, বেশি না পেলেও অন্তত ৩৩ পেয়েছি সবসময়। যদিও টিচাররা বলতেন ৩৩ পাওয়ারা আসলে ৩০/৩১ পাওয়া, দয়া করে পাশ করানো হয়েছে। তবে হ্যা, ক্লাস ফাইভের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় আমি অংকে ৯৫ পেয়েছিলাম। কিভাবে তা আমিও জানি না!!! এরপর থেকে আবার সেই টাইনা-টুইনা পাশের খেলা।
ক্লাস সেভেনে উঠলে আমাদের ভাইবোনের জন্য নতুন টিচার রাখা হল, সুশীল কুমার সাহা। অতিশয় বৃদ্ধ এই শিক্ষক, তখন সবে মাত্র কলেজের শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। সপ্তায়ে পাঁচদিন পড়াতেন, দুই ঘন্টা করে। সব বিষয় পড়াবার কথা থাকলেও উনি মূলত অংকই পড়াতেন। পড়াতেন বলাটা ভুল উনি অংক করিয়ে যেতেন।
প্লাসে প্লাসে প্লাস, প্লাসে মাইনাসে মাইনাস, মাইনাসে মাইনাসে প্লাস এইসব টুকটাক বলে উনি অংক করানো শুরু করতেন। উনি একএকটা লাইন বলে যেতেন আমি লিখে যেতাম। প্রথম দুই মাসেই উনি পুরো বইয়ের অংক শেষ করিয়ে ফেললেন। বই শেষ হবার পরে স্যার প্রতিদিন এসেই সংবাদপত্র চাইতেন এবং আমাকে অংক করতে দিতেন। প্রতিদিন এক একটা অনুশিলনী করতে হত। যেহেতু একবার শুধু স্যারে কথা শুনে অংক তুলে গিয়েছি, তাই নিজে নিজে অংক করা সম্ভব ছিল না। আমি আগে করা খাতা পায়ের উপর রেখে দেখে দেখে অংক করে যেতাম। স্যার দেখতেন, যদিও কিন্তু কিছু বলতেন না কখনই এবং এভাবেই চলতে থাকল। প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক গেল রেজাল্ট আগের মতই থাকল। যেহেতু বাবা মা লেখাপড়া নিয়ে তেমন চিন্তিত ছিলেন না, তাই গায়ে লাগে নাই। বার্ষিক পরীক্ষায় অংক পরীক্ষা দিতে গেলাম। বরাবরের মত পরীক্ষা দিয়েও আসলাম। পরীক্ষার রেজাল্ট ছিল আমি অংক সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছি। এরপর আমি সবসময়ই অংকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছি। দেখে দেখেই হোক না দেখে দেখে, প্রতি সপ্তাহে পাঁচদিন দুইঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে স্যার পাশে বসে আমাকে অংক করিয়েছেন। স্কুলে, এককথায় বলতে গেলে বইয়ের সব অংক আমার মুখস্তই থাকত।
ক্লাস টেনে উঠবার পরে স্কুলের এক স্যারের কাছে কিছু দিন পড়েছিলাম। স্যারের নামটা মাথায় কোথাও আটকে গেছে, মনে করতে পারছি না, প্লিজ আমাকে অকৃতজ্ঞ ভাববেন না। এমন আমার সাথে প্রায়ই হয়। সেই স্যার অংকের কোন চ্যাপ্টার শুরুর আগে তার পেছনে কথা বুঝাতেন। যেমন, সমীকরণ করাতে গিয়ে, প্রথমেই শুরু করতেন নানা পদি চলক, সমীকরন কি, কেন ইত্যাদি কথা। সবসময়ই তিনি অংক করাতে গিয়ে বাস্তব জীবনের উদাহরণ টেনে আনতেন। এখনও মনে আছে, গ্রাফ করাতে গিয়ে স্যার বলেছিলেন, ‘একটা ছবি হাজার কথা বলে। কাউকে খুজতে গেলে তার চেহারার হাজারটা বর্ণনা দেবার চাইতে, একটা ছবি দেখানোই যেমন যথেষ্ট। তেমনি সমীকরণ নিয়ে হাজার কথা বলার চাইতে তার গ্রাফ দেখিয়ে বুঝানোই সহজ’। আমি তখন একটা ব্যাপার খেয়াল করেছি যে, অন্য সবার চাইতে আমি স্যারের কথা গুলো স্পষ্ট ভাবে বুঝেছি। কারন বইয়ের অংক যেহেতু সব মুখস্তই ছিল, তাই নিয়ম জানার-বোঝার পরেই, অংক করতে হবে এমন কোন টেনশন আমার ছিল না। স্যার মাঝে মাঝে আমাদের অংক করতে দিতেন যেগুলো বইতে থাকত না, আমি সবসময়ই অন্যদের চাইতে বেশি অংকই করতে পারতাম। কারন হয়ত আমার বইয়ের অংকগুলোর নিয়ম প্রায় মুখস্তই ছিল।
দুইজন শিক্ষকের কাছ থেকে অংক শিখে আমার ধারনা এমন যে, স্কুলের বাচ্চাদের বইয়ের অংকগুলো করিয়ে, প্রতিদিন দেখে দেখে প্রাকটিস করালে এক সময় এমনি এমনি শিখে যাবে। তখন অংকের নিয়ম শেখালে খুব সহজে ক্যাচ করতে পারবে এবং যথার্থ অংক শিখবে। প্রথমেই নিয়ম শিখিয়ে তারপর নিজে নিজে সমাধান করতে দিয়ে অহেতুক কোমল মনে অংকভীতি সৃষ্টি করার কোন অর্থ নেই। পরবর্তীতে ছাত্রছাত্রী পড়াতে গিয়ে (টিউশুনি) আমি দেখেছি, বুঝিয়ে বুঝিয়ে অংক করালে ছাত্রছাত্রীরা প্রথমে খুব মজা পেলেও তারা অংক করতে পারে না তেমন। প্রথমেই নিজে নিজে অংক করতে দিলে ভয় পাবে এবং অবশেষে পরীক্ষায় ডাব্বা মারবে।
আমার নিজের শিক্ষা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমার মনে হয়, যেকোন খারাপ ছাত্রছাত্রীর লেখা পড়ায় উন্নতি ঘটাবার সহজ উপায় হচ্ছে তাকে অংকে ভাল নম্বর পাওয়ানো। কারন অন্য বিষয়গুলোতে কিভাবে পড়লে, বা পড়ালে নিশ্চিত ভাল নম্বর পাবে, সেরকম কোন স্টান্ডার্ড পদ্ধতি নেই। কিন্তু সারা বছর প্রতিদিন পাশে বসে দুই একঘন্টা দেখে দেখে অংক করানোটাতো সম্ভব। এভাবে সে আর কিছু না পারলেও যেই অংকগুলো প্রতিদিন করছে সেগুলোতো পারবে। অংকে কয়েকবার ভাল নম্বর পেলে ছাত্রছাত্রীরা ভাববে, অংকে ভাল নম্বর পেলে অন্য বিষয়ে কেন পেতে পারি না? আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং নিজের ভেতর থেকেই চেষ্টা আসবে। আর যে নিজে থেকে চেষ্টা করে সে কখনই ব্যর্থ হয় না।
(বিদ্র: লেখাটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে লেখা। বিদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমার কোন ধারণা নেই)
পোস্টের সাথে সম্পর্কহীন মন্তব্য এখানে করুন।
০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৩
বিবর্তনবাদী বলেছেন: তাড়াতাড়ি প্যারাসিটামল নেন, জ্বর বাড়বে না
২| ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৫
আউলা বলেছেন:
০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৮
বিবর্তনবাদী বলেছেন:
৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৭
রাঙা মীয়া বলেছেন: মুকুল বলেছেন: অংকের কথা মনে পড়লেই গায়ে জ্বর আসে!
০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৯
বিবর্তনবাদী বলেছেন: হায় হায় কি কয়!! গাইড বই আছিল না??
৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৯
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: আগে প্রচুর গণিতচর্চা হত। এখন আর ভালো লাগে না।
আগে নিয়মনীতি জেনেই অনুশীলন করাই কি ভালো নয়?
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০০
বিবর্তনবাদী বলেছেন: পোলাপানের ক্ষেত্রে তেমন একটা কাজে আসে বলে মনে হয় না। যদিও এটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত মতামত
৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০২
নাফিস ইফতেখার বলেছেন: আমাদের দেশে অংক করানো হয় না......গেলানো হয়........ভয়টা স্বাভাবিক.........তবে অংক আমার খুব প্রিয়.........
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৩
বিবর্তনবাদী বলেছেন: গিলায়া কোন ভাবে হজম করাতে পারলে, এক পর্যায়ে তা করানোর সমতুল্য হয়ে উঠে। আমার মনে হয় সেটাই কার্যকর।
৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০২
একরামুল হক শামীম বলেছেন: গণিত বিষয়টা নিয়া স্কুল লাইফে বেশ ফুটানি করতাম।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৪
বিবর্তনবাদী বলেছেন: ক্লাস সেভেনের পর থেকে, কেউ আমারে টপকাইতে পারে নাই এসএসসি পর্যন্ত।
৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৪
নাজিম উদদীন বলেছেন: গণিত শেখানোর ভাল শিক্ষকের অভাব আর আমাদের কুসংস্কার দায়ী। আমাদের সময় বিজ্ঞানে 'এসো নিজে করি' টাইপ ফালতু জিনিসে বই বোঝাই ছিল। এখন বই অনেক ভাল।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৬
বিবর্তনবাদী বলেছেন: আমরা ক্লাস এইট পর্যন্ত এসো নিজে করি বই পড়েছি। কপাল ভাল এসএসসিতে ঐগুলা পড়তে হয় নাই ।
৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৯
অপ্রিয় সত্য বলেছেন: ব্লগার শফিকুলে ভাই যে বিবাহিত এইডা প্রকাশ করার আগে উনার অনুমতি নিছেন তো.......নাইলে কইলাম "কুমারত্ত" হানীর মামলা খাইতে পারেন........
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৭
বিবর্তনবাদী বলেছেন: আমি কোথায় লিখলাম যে উনি বিবাহিত
৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১০
বরুণা বলেছেন: তবে হ্যা, ক্লাস ফাইভের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় আমি অংকে ৯৫ পেয়েছিলাম। কিভাবে তা আমিও জানি না!!!
মনে হয় টিচার খাতা দেখতে ভুল করছিলো।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৮
বিবর্তনবাদী বলেছেন: সম্ভবনাটা উড়ায়া দেওন যায় না। Click this link
১০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৫
ভাঙা চাঁদ বলেছেন: অংকরে ব্যাপক ভয় পাই,।
যদিও অলিম্পিয়াড করছি, মেডেলও পাইছি। কিন্তু সত্য কথা হইল আমি ডর পাই আর ম্যাক্সিমাম টাইম কিছু না বুইজা খামাখাই কেমনে কেমনে জানি কি কইরা ফালাই।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৯
বিবর্তনবাদী বলেছেন: মনে হয় তুমিও আমার মত সুশীল স্যারের মত কারো ট্রিটমেন্ট পাইছিলা।
১১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৯
অ্যামাটার বলেছেন: "আমাদের দেশে গণিত চর্চা হয়না, গেলানো হয়"---আমি এটার সাথে একমত না, বিশেষ করে কারিকুলাম সম্বন্ধে আমার কোন আপত্তি নাই, তবে হ্যাঁ, শিক্ষকদের নিষ্ঠার বেপারে প্রশ্ন তোলা যায়...মূলত তারাই গেলানোর জন্য দায়ী(যদি গেলানো হয়!)
যা হোক...ভাল লাগল লেখাটা, ব্লগে যারা ডায়েরী লিখে, আপনি তাদের মধ্যে অন্যতম।
স্কুল-কলেজে গণিতে আমার ফলাফল কখনোই আহামরি ছিল না, আবার খুব বেশি খারাপও করতাম না, তবে আমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছিল এটা, বিশেষ করে আউট সাইড টেক্সটবুক সমস্যাগুলো...কখনও ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দিতাম কোন একটা সমস্যা মেলাতে গিয়ে...
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২২
বিবর্তনবাদী বলেছেন: অংকের মজা আমি পেয়েছি ক্যালকুলাস আর বলবিদ্যা পড়বার সময়, সেই কলেজে। তারপর আর অংকের সান্নিধ্য লাভ হয়ে উঠে নাই, যোগবিয়োগগুনভাগ ছাড়া।
১২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৪
প্রলয় হাসান বলেছেন: শিরোনামে দেয়া ব্রাকেটের ডিসক্লেইমারটা দেয়া না থাকলে জনগন হয়ত আপনাকে ুল বলিয়া ধরিয়া নিত
প্রিয়তে রাখলাম। পরে পড়ে আবার কমেন্টাবোনি। খালি এইটুকু বলি, ক্লাস ৬ থেকে প্রি-টেস্ট পর্যন্ত টাইনা টুইনা পাস করছি।
টেস্ট আর ফাইনালে গিয়া ছক্কা মারসি!
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৮
বিবর্তনবাদী বলেছেন: হ, লাস্টের দশ ওভারে পিটায়া জিতলেই মজা। যাইহোক না কেন, আল ওয়েলস্ দ্যাট এন্ডস্ ওয়েল
১৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৭
অ্যামাটার বলেছেন: "লেখক বলেছেন...তারপর আর অংকের সান্নিধ্য লাভ হয়ে উঠে নাই, যোগবিয়োগগুনভাগ ছাড়া।"---
হায়রে কপাল! আমার এখনও মাফ নাই...বহুৎ জ্বালাইতেছে...
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৯
বিবর্তনবাদী বলেছেন: বাট আমি মিস করতেছি। যে কোন বিষয় পইড়া পরীক্ষা দেওনের ভূত মাথায় না থাকলে সেইটা মজার, কি কও??
১৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩০
অপ্রিয় সত্য বলেছেন: মিষ্টার- মিস্- মিসেস বুঝাইয়া দেন.......
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৩
বিবর্তনবাদী বলেছেন: এত খাটতে পারুম না
১৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৫
নিঃসঙ্গ বলেছেন: মুকুল বলেছেন: অংকের কথা মনে পড়লেই গায়ে জ্বর আসে!
আমারও একি অবস্থা
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৩
বিবর্তনবাদী বলেছেন: হায় হায় এ কি কন
১৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪০
বৃষ্টি ভেজা সকাল বলেছেন: নিঃসঙ্গ বলেছেন: মুকুল বলেছেন: অংকের কথা মনে পড়লেই গায়ে জ্বর আসে!
আমারও একি অবস্থা
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৪
বিবর্তনবাদী বলেছেন: হায় হায় এ কি কন!!
১৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৩
নিবিড় অভ্র বলেছেন: লেখক বলেছেন: অংকের মজা আমি পেয়েছি ক্যালকুলাস আর বলবিদ্যা পড়বার সময়, সেই কলেজে। তারপর আর অংকের সান্নিধ্য লাভ হয়ে উঠে নাই, যোগবিয়োগগুনভাগ ছাড়া।
আর আমি কলেজ লাইফে এসেই অংককে ভয় পাওয়া শুরু করেছি। বলবিদ্যা!!!!!!
তবে স্যার খুব ইন্টারেস্টিং করে পড়াতেন...... ক্লাস এনজয় করতাম কিন্তু পরীক্ষায় সমস্যা হত কারণ আমি বাড়ি ফিরে আর বই নিয়ে বসতাম না.... চর্চাটা খুব প্রয়োজন আসলে.....
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৬
বিবর্তনবাদী বলেছেন: হুম........... একটা পর্যায় পর্যন্ত চর্চা গুরুত্বপূর্ণ
১৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৯
বকলম বলেছেন: আমার অংকের জ্ঞানের একটা নমুনা দেই, আমি উৎপাদক করতে করতে আবার প্রশ্নে ফেরত আসতাম, বুঝতাম না কোথায় গিয়ে থামতে হয়।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১২
বিবর্তনবাদী বলেছেন: কমেন্টে মজা পাইলাম। থ্যাঙ্কু।
১৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৫
পারভেজ বলেছেন: অংক পরীক্ষার আগের দিন খুব ফূর্তিতে থাকতাম। আর মুখস্থ যেকোন কিছু ছিল দুচোখের বিষ। এইটের বৃত্তি পরীক্ষার সময় অনেক কষ্টে একটা ইংরেজী রচনা মুখস্থ করেছিলাম। এসএসসিতেও সেটাই। ভাগ্য ভালো দুইবারই কমন পরেছিলো।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১৪
বিবর্তনবাদী বলেছেন: মজার ব্যাপার হল, আমি আমার শিক্ষাকালে খুব কম যে সব বিষয়ে সাজেশন ফলো করেছি, রচনা তার মাঝে অন্যতম। আমি এ যাবৎ প্রতি পরীক্ষার আগে একটা করে রচনা পড়তাম, এবং সেটা আসত।
২০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৬
বৃষ্টি ভেজা সকাল বলেছেন: অংক শাস্ত্রে তেমন একটা দখল নেই। তারপরও প্রবাসে একাউন্ট রিলেটেড অনেক কাজ করতে হয় (দেখে শেখা - চেষ্টা দিয়ে)। ভাবছি একাউন্টটা পড়া উচিৎ ছিল।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১৬
বিবর্তনবাদী বলেছেন: পইড়া ফালান না কেন?
২১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০০
শফিকুল বলেছেন:
আপনার লেখাটা সত্যই চমৎকার।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১৫
বিবর্তনবাদী বলেছেন: ধন্যবাদ।
২২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১১
অপ্রিয় সত্য বলেছেন: আমার কলা ছিড়লা ক্যান বুঝাইয়া দেও.......
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১৫
বিবর্তনবাদী বলেছেন: বুঝলাম না।
২৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২৩
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমিও স্কুলে এমন একজন শিক্ষক পেয়েছিলাম। শামসুল হক। তিনি বলতেন- অংক হলো জটিল জিনিসকে সহজ করার বিদ্যা। অংকে কিছু প্যাঁচ থাকে, সেগুলো ধরতে পারলেই খোলা যায়!নিয়ম-কানুন শেখা কোনো ব্যাপার না!' তিনি সেই প্যাঁচগুলো ধরতে এবং খুলতে শিখিয়েছিলেন। তাঁর জন্যই আমার এমন ভয়াবহ অংক প্রীতি জন্মায় যে, আজ পর্যন্ত ওটাকে আর ছাড়তে পারলাম না!
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১৮
বিবর্তনবাদী বলেছেন: কলেজে আমি সব চাইতে বস অংক শিক্ষক পেয়েছিলাম। নজরুল ইসলাম ভূইয়া, উনি বলতেন সৃষ্টিকর্তা আছে বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাতে।
২৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২০
ফারহান দাউদ বলেছেন: কলেজে অংকে ফেইল করসিলাম পয়লা বারেই
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩৫
বিবর্তনবাদী বলেছেন: আমি ৩৩% পাইছি, কিন্তু ফেল দেই নাই কখনও।
২৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৪০
নরাধম বলেছেন:
আমি অংকে আপনার মতই গর্ধব ছিলাম। শিক্ষকরা কোনমতেই আমাকে ভাল করাতে পারতেছিলনা। অন্য সব বিষয়ে খুব ভাল কিন্তু অংকে ডাব্বা! ক্লাশ ফাইভে এসে ভাইয়া আমাকে অংকে ভাল করানোর প্রজেক্ট হাতে নিল, সে তখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ত! সে প্রথম ৪/৫ মাসেই আমাকে কিছু না বুঝিয়ে ২৬ বার (হ্যাঁ, ২৬ বার!) অংক শেষ করাল। ১ম সাময়িক পরীক্ষায় পাইলাম ১০০! আমাকে আর পাই কে। এরপর থেকে আমার অংকের জন্য আর কোনদিন শিক্ষক লাগেনি। ষষ্ঠ, সপ্তম, ...দশম পর্যন্ত সবসময় ৯৫+ পেয়েছি। কিন্তু এসএসসি'তে পাইলাম টেনেটুনে ৮১!! কেন কম পাইলাম সেটা আরেক ইতিহাস।
তবে আপনার পদ্ধতিটা কাজের, তাতে কোন সন্দেহ নেই। অন্তত যারা প্রথম ম্যাথ-লজিক বুঝেনা তাদের জন্য এটাই বেস্ট। উপমহাদেশের ছেলে-মেয়েরা অংকে কম্প্যারেটিভলি ভাল তার একটা কারণ প্রচুর প্র্যাকটিস। আম্রিকায় তো পোলাপাইন অংক পারেনা, কারণ তাদেরকে প্রথমে বুঝাতে হবে, তারপর করবে ওরা!
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৪০
বিবর্তনবাদী বলেছেন: হ্যা বুশও একবার চিন্তিত হইছিল আম্রিকার পোলাপানের অংকজ্ঞান নিয়া। আমাদের দেশে যেই শিক্ষাপদ্ধতি তাতেই আমাদের সিস্টেমই কাজের। ফলও মিলতেছে। পোলাপান যতগুলা অংক পারে, তাদের বেশির ভাগই এই সিস্টেম ফলো করে।
২৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:০৯
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: গণিত অলিম্পিয়াডে আমেরিকান দল টি দেখুন। সব চাঙ্কুতে ভর্তি। ওরা মুখে মুখে জটিল ডেফিনিট ইন্ট্রিগ্রালের উত্তর বলে দিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখস্থ করেছি লেজেন্ড্রা, বেসেল ফাংশনের সমস্যা গুলো, শুরুতে জ্যাকোবিয়ান আর গামা ফাংশনের উপর মুখস্থ বিদ্যা ঝালাই। সাথে স্বাভাবিক গণিত ভীতির জন্ম, যদি উত্তর ভুল হয় পরীক্ষক শূণ্যও দিয়ে দিতে পারেন।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:২৫
বিবর্তনবাদী বলেছেন: লোকে বলে সাইন্সে নাকি মুখস্ত করতে হয় না। আমি বলি, সাইন্সে যে কতকিছু মনে রাখতে হয় সেট যিনি রাখেন তিনি জানেন না।
ঠিক বললাম?
২৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:১৩
কঁাকন বলেছেন: আপনার পদ্ধতিটা কাজের মনে হচ্ছে
তবে আমি সারাজীবন উল্টোটাই করছি
ভালো থাকেন
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:২৩
বিবর্তনবাদী বলেছেন: আমার পদ্ধতিটা যথেষ্ট কাজের বিশেষ করে আমার মত পোলাপানদের জন্য (অবশ্য ছোট কালে)
২৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:৩২
অপ্রিয় সত্য বলেছেন: " লেখক বলেছেন: বুঝলাম না"আমি ও তো হেইডাই কই, তুমি যা বুঝাইছো- নিজেই বুঝবার পারনাইক্যা.........
২৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:৪৪
আবীর বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি ইচ্ছা শক্তিতে। যার অংক শিখার ইচ্ছা নেই সে কখনো অংক করতে পারবেনা। এবার আপনি যে পদ্ধতিই অবলম্বন করুন।
ইচ্ছা শক্তিই আসল।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:১৩
বিবর্তনবাদী বলেছেন: সেই ইচ্ছা শক্তিকেই জাগিয়ে তুলবার একটা টেকনিক হল অংক গিলিয়ে হজম করানো
৩০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:২৯
ফেরারী পাখি বলেছেন: মাঝে মইধ্যে নিজের বর রে কই, তুমি তো ভাই মহা কিপ্টা। খরচ করতেই চাও না। বর বলে তোমার খরচের ঠেলায় তো আমি আর খরচ করতে সাহস পাই না। দুইজনে এক লগে খরচ করলে- অর্ম গেইটে থালা নিয়া দাঁড়ানো ছাড়া উপায় নাই।
আমার কি দোষ কন তো?
চিনির দাম কত কমলে বা খরচ কমিয়ে আনলে সংসারে সাশ্রয় হবে, ফুটা ট্যান্কির অংক আর বানরের বাঁশের মাথায় উঠার কাহিনী জীবনে যে এত কাজে লাগে তা তো ছোট বেলায় টের পাই নাই------
তবে আমিও নাছোড়বান্দা জীবনের অংক মিলে না তাই কি হইছে---- বান্দরের মত বাঁশের মাথায় উঠতে মন চায়না।
আচ্ছা অংক ছাড়া ছেলেপুলে মানুষ হইলে কি হয়?
শফিক ভাই মেয়েরে ছাইড়া দেন। জীবনের অংক একদিন এম্নি মিলায় লইবো।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৮
বিবর্তনবাদী বলেছেন: হোপ সো
৩১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৩১
ফেরারী পাখি বলেছেন: ফার্ম গেইট কেম্নে অর্ম গেইট হইল বুঝতাসি না।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৮
বিবর্তনবাদী বলেছেন: ব্যাপার না
৩২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:২১
ইউনুস খান বলেছেন: আমি অংকে সবসময় ৯০-১০০ পেতাম। কিন্তু এসএসতি পেলাম ৫২। ফলে একটা ল্যান্ডমার্ক অল্পের জন্য মিস করেছিলাম। যদিও কেউ কিছু বলে নাও কারন এসএসতি পরীক্ষার তিন মাস আগে থেকেই চরম অসুস্থ ছিলাম। অপারেশনও লেগেছিলো।
যাউগ্গা এইচএসসি থেকে অংকে আবার পুরা ফর্মে............
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০
বিবর্তনবাদী বলেছেন: হা হা হা, অনেক সময় প্রথম ওভারে খুব পিটাবার পর ৩০/৩৫ এ টুপটাপ কয়েকটা উইকেট পড়ে যায়। তারপর আবার চল্লিশ ওভারে পিটাপিটি করে খেলা লাইনে আসে।
আপনারোও সেম অবস্থা.....................
৩৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১৮
নুভান বলেছেন: আশ্চর্য বিবর্তনবাদী ভাই, আপনার অবস্থা আর আমার অবস্থা হুবুহু একই রকম। শুধু পার্থক্য আপনি সপ্তম শ্রেণীতে আর আমি নবম শ্রেণীতে আমার মামাতো ভাই এর কাছে গণিত সম্পর্কে ভালোবাসা পেয়েছি। গণিত শিক্ষাদান সম্পর্কে যা বললেন তার সাথে সম্পুর্ণ একমত আমি, অহেতুক বাচ্চাদের গণিত সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করানো হয় বড় বড় সমীকরণ দেখিয়ে, কিন্তু খুব কম শিক্ষক-ই জীবনের বাস্তবতার সাথে গণিতের প্রয়োগ দেখান যা গণিত শিক্ষায় কার্যকর।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:১৫
বিবর্তনবাদী বলেছেন: এই ব্লগে এসে দেখেছি, আমাদের অনেক চিন্তা-জীবনের কাহিনী অন্যদের সাথে মিলে যায়। অংক শেখাও যে মিলে যাবে ভাবিনি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৩৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৪৪
ইয়াহিয়া বলেছেন: আমি ও আমার গৃহ শিক্ষকের কাছেই ঋণী এক্ষেত্রে।চর্চাটা আসলেই ইম্পর্টেন্ট আর একটা পর্যায়ে এসে সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামানো টাও কাজে আসে।ম্যাথ এ স্কুল কলেজ ইউনি সব জায়গায় ই ভালো করেছি মোটামুটি।আমার ভাগ্নী কে (ক্লাস থ্রী তে পড়ে)প্রথমে নিয়ম পরে করতে দেয়া সিস্টেম টা ফলো করার চেস্টা করছিলাম,সে একদম নিজে করতে চায় না/পারে না।বিরক্ত হয়ে মাঝে মাঝে খুব বকা দেই,তখন খুব অভিমান করে বলে তুমি এমন কর কেন।তবে কেন যেন আমার কাছে পড়তে খুব আগ্রহী।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:১৬
বিবর্তনবাদী বলেছেন: নিজে না করতে না চাইলে চাপ নাদিয়ে দেখে দেখে প্রাকটিস করানোই ভাল। অংক পারতে থাকলে, আস্তে আস্তে নিজে করার ইচ্ছা জাগবে।
৩৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:০৬
শিরোনামহীন বলেছেন: ামি এখনো অঙ্ক ভয় পাই। বিবিএ তে ম্যাথের ২টা কো্স ছিলো। টেনেটুনে পাশ ... মানে সি গ্রেড।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:১৮
বিবর্তনবাদী বলেছেন: আমাদের তো তরী পার হয়েই গেছে........... আর অংকে নম্বর তুলতে হবে না।
৩৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:২৭
রুবেল শাহ বলেছেন: আমার স্কুল জীবনে এই অংকে জন্য অনেক উত্তম মাধ্যম হজম করেছি........ মাগার ৮ম থেকে মোটামুটি লাইনেই ছিলাম..... টেষ্টে ডাব্বা মারছিলাম, এসএসসিতে ৮৫ পেয়েছিলাম ...............
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৩৬
বিবর্তনবাদী বলেছেন: কেমনে জানি আমরা সবাই, প্রথমে যাই থাকি, লাস্টে ছক্কা চার পিটায়া খেলা নিজের কন্ট্রোলে নিয়া আসি, তাই না?
৩৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:২৯
নুশেরা বলেছেন: অঙ্ক বিষয়ক পোস্ট দেখলেই মন খারাপ হয়। এমনকি আমার অতিপ্রিয় ব্লগার বিবর্তনবাদীর পোস্ট হলেও। সারাজীবন অঙ্ক বিষয়টাকে রীতিমতো উপভোগ করে এসেছি; যখন যেভাবে পেরেছি কোর্সের মধ্যে অঙ্ক নিয়েছি, খুব ভাল ভাল স্কোর জুটেছে... আফসোস, শুধু জীবনের অঙ্কই মিললোনা...
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৩৮
বিবর্তনবাদী বলেছেন: জীবনের অংক মেলাতে এবার প্রাকটিস শুরু করেন যারা সফল তাদেরকে কপি করে, যদিও জীবনের অংক মেলাতে পেরেছে এমন মানুষ পাওয়া ভার।
৩৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫১
আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: কলেজ পর্যন্ত গণিত প্রিয় সাব্জেক্ট ছিলো।এরপরে যেকোন কোর্সের চেয়ে ম্যাথের কোর্সগুলো সবচেয়ে আতন্কজনক ছিলো।
শয়ে শয়ে অংক মুখস্থ করলে এমনই হওয়ার কথা
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় ম্যাথমেটিক্স যে পুরা মুখস্থনির্ভর এইটা এখন আমার বদ্ধমুল ধারণা।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:২২
বিবর্তনবাদী বলেছেন: আমি যদিও উচ্চ শিক্ষা ম্যাথে নিচ্ছি না, তবুও ছোটবোনকে যা দেখলাম, তাতে আমারো একই বদ্ধমূল ধারনা।
৩৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৫২
কাঙাল মামা বলেছেন: অংক ভালো লাগে, কিন্তু দেশের এই গতানুগতিক "পড়াশোনার" নিয়মটা বিরক্ত লাগে। এটার জন্য যে কত মানুষ অংককে ঘৃণা করে!!!
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:০৫
বিবর্তনবাদী বলেছেন: হুম, অনেকেই অংক ঘৃণা করে
৪০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪০
বৃষ্টি ভেজা সকাল বলেছেন: সময় পাইনা। েদশে গেলে চেষ্টা করতে হবে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫
বিবর্তনবাদী বলেছেন: বেস্ট অফ লাক
৪১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫
শফিকুল বলেছেন:
আমি যখনই আমার মেয়েকে অংক করাই তখন দেখি সে ঠিক মত করে বুঝেও কিন্তু ৪ ৫ দিন পর যখন সেই অংকই আবার করতে দিই এমন ভাব করে যেন জীবনে এমন জিনিষ দেখেনি।
এটার কি কোন সমাধান আছে , বলবেন কি ?
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪
বিবর্তনবাদী বলেছেন: তখন তাকে আবার সেই আগে করা অংক দেখিয়ে দিবেন এবং করতে বলবেন। ৪/৫ দিন পরে আবার একই ব্যাপার ঘটবে, তখন সেম ঘটনার রিপিট করবেন। প্রাকটিস করতে করতে সে পাকা হয়ে যাবে।
৪২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: আপনারা সবাই পরীক্ষার মার্কস নিয়ে এত চিন্তিত কেন ?
বাচ্চাদের তাদের মত করে বুঝতে দিন , শিখতে দিন ...
মাঝে মাঝে বইয়ের বাইরে ছোট খাট সমস্যা করতে দিন, প্রথমে সাধারন সমস্যা করতে দিন, অইগুলা যখন সে নিজে নিজে করে মজা পাবে তখন আস্তে আস্তে বইয়ের দিকে যান ...
আমি জানিনা এটা কতটা কার্যকর, তবে একটু সময় দিলে কার্যকর হবার কথা ...
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫৯
বিবর্তনবাদী বলেছেন: কথা হইল বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পোলাপানদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবার একমাত্র পদ্ধতি হইল তাদের পরীক্ষায় সফলতা। তাই পরীক্ষার মার্কসের কথা চিন্তা করতেই হয়।
৪৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৫১
প্রীটি সোনিয়া বলেছেন: দারুন লেখা....আমার অংক শেখার কাহিনীও মনে পড়ে গেল তো....লিখে ফেলব নাকি ভাবছি....তোমার লেখাটা পড়ে আমি উৎসাহিত...
আমিও অংকে যমের মত ভয় পেতাম....
ভাল থাকো।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৬
বিবর্তনবাদী বলেছেন: ভাবছেন কেন? লিখে ফেলুন অপেক্ষায় থাকলাম।
আপুকে শুভকামনা, আপনিও ভাল থাকু।
৪৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:০৩
জেরী বলেছেন: অংকের জন্য কতবার যে আমার বারোটা বাজছে
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১৯
বিবর্তনবাদী বলেছেন: হ্যাঁ দেইখা আসলাম তো
৪৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:২২
রাশেদ বলেছেন: আই হেইট ম্যাথ!
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০৪
বিবর্তনবাদী বলেছেন: তাইতো ইঞ্জিনিয়ার
৪৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৭
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ভাল লিখেছেন বিবর্তনবাদী ভাই ।
গার্জিয়ানদের সচেতন হওয়া জরুরী , শুধু অংক বই শেষ করানোর যে প্রথাটা তারা ফলো করেন , সেটা যে কত বেশি আত্মঘাতী , সে বিষয়ে তাদের সম্ভবত কোন ধারণাই নেই , বা ধারণা পাবার ইচ্ছাও নেই
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০৪
বিবর্তনবাদী বলেছেন: ঠিক
৪৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৯
আকাশনীল বলেছেন: হা হা হা, অংক নিয়া অনেক কথা মনে পড়ল
ক্লাশ এইটের ফাইনাল আগ পর্যন্ত আমি সব অংক দু একবার হয়ত করতাম
এক্সামে কেমনে কেমনে জানি পারতাম
আভারেজ মার্কস থাকত ধরেন ৭০ আপ
ফাইনালের আগে আর একবারো করলাম না
খালি দেখে দেখে গেলাম
পাইলাম ৪০
বৃত্তি পরীক্ষাতে ও মারলাম ডাব্বা
আমার মা জননী তখন আমাকে বিশেষ একটা ট্রীটমেন্ট দিলেন
এরপর আর কোনদিন লেটার মিস হয় নাই
টেস্ট পরীক্ষাতে পেলাম পুরা ১০০
এখনো পোলাপান দের অংক পরাতেই ভাল লাগে
০৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৪৯
বিবর্তনবাদী বলেছেন: বিশেষ ট্রিটমেন্টগুলার কাহিনী লিখবেন না।
৪৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৪
রায়হান(তন্ময়) বলেছেন: আমি কেম্নে কেম্নে জানি এম্নেই মোটামুটি ভাল মার্কস পাইতাম।
১৩ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:০০
বিবর্তনবাদী বলেছেন: আমার ঐ সুশীল স্যার ছাড়া সম্ভব হইত না।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫২
মুকুল বলেছেন: অংকের কথা মনে পড়লেই গায়ে জ্বর আসে!