![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনুস্বার শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক ছোটকাগজ
‘কী চমৎকার দেখা গেল এইবারেতে আইসা গেল, ঢাকার শহর দেখেন ভালো। কী চমৎকার দেখা গেল।’
এভাবেই বায়োস্কোপের কাচের জানালায় চোখ রাখলে ছবি আর বর্ণনায় জীবন্ত হয়ে ওঠে অজানা পৃথিবী। আর গ্রামের সেই ছোট শিশু বা কিশোরের কাছে সেটা এক নতুন পৃথিবী। বায়োস্কোপ, বাংলাদেশের চিরচেনা হারিয়ে যাওয়া একটি লোকজ ঐতিহ্যের নাম যা এক সময় ছিল গ্রাম বাংলার শিশুদের চিত্ত বিনোদনের মাধ্যম। ভেঁপু বাঁশি বাজিয়ে সবাইকে আহবান জানিয়ে দুলদুল ঘোড়া, মক্কা-মদিনা, আজমির শরীফ ও ক্ষুদিরামের ফাঁসির বায়োস্কোপ দেখিয়ে আজও শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষকে সমান তালে আনন্দ দিয়ে যায়। খঞ্জনি আর গানের তালে বাক্সের ভেতর পাল্টে যায় ছবি। আর তা দেখে যেন গল্পের জগতে হারিয়ে যায় ছেলে বুড়ো সবাই। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেলা, পূজা-পার্বণে তার বায়োস্কোপ প্রদর্শনী হয়ে থাকে।
বায়োস্কোপ মূলত কাঠ ও টিনের তৈরি একটি কাঠের বাক্স, যার ৬টি আয়না যুক্ত চোখ থাকে । সে আয়নাতে চোখে লাগিয়ে গানের তালে ছবি দেখার দৃশ্য খুবই উপভোগ্য। বায়োস্কোপে সর্বোচ্চ ৬ জন একটি প্রদর্শনী উপভোগ করতে পারেন। রিল হিসেবে টিকেট মূল্য নির্ধারিত হয়। প্রদর্শনীর সময়সীমা অনুযায়ী টিকেট মূল্য কম-বেশিও হয়ে থাকে। আবার শহর অঞ্চল-গ্রামাঞ্চল ভেদে প্রদর্শনী মূল্যের তারতম্য আছে। বায়োস্কোপ আমাদের দেশিয় সংস্কৃতির একটি ঐতিহ্য বহন করে। তবে আজ এর অবস্থা একেবারেই সংকটাপন্ন। তবে বায়োস্কোপে নানা রং-ঢংয়ের মাধ্যমে বর্ণনা দিয়ে একটি দৃশ্যকে বাস্তবে রূপান্তর করতে হয়, যা একটি কষ্টসাধ্য কাজ। প্রকৃতপক্ষে বায়োস্কোপ গ্রামবাংলার সিনেমা হল। রঙ-বেরঙের কাপড় পরে, হাতে ঝুনঝুনি বাজিয়ে বিভিন্ন রকমের আলোচিত ধারা বর্ণনা করতে করতে ছুটে চলত গ্রামের স্কুল কিংবা সরু রাস্তা ধরে। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো তার পেছন পেছন বিভোর স্বপ্ন নিয়ে দৌড়াত গ্রামের ছেলেমেয়েরা। বায়োস্কোপওয়ালার এমন ছন্দময় ধারা বর্ণনায় আকর্ষিত হয়ে ঘর ছেড়ে গ্রামের নারী-পুরুষ ছুটে আসত বায়োস্কোপের কাছে। একসাথে সবাই ভিড় জমালেও তিন কী চারজনের বেশি একসাথে দেখতে না পারায় অপেক্ষা করতে হতো। সিনেমা হলের মতো এক শো, এরপর আবার আর তিন বা চারজন নিয়ে শুরু হয় বায়োস্কোপ।
লেখা: হাসান ইকবাল
ছবি: গুগল
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৯
কালনী নদী বলেছেন: তোমার বাড়ির রঙের মেলায় দেখেছিলাম বায়োস্কুপ, বায়োস্কোপের নেশায় আমায় ছাড়ে না!
ডাইনে তোমার চাচার বাড় বায়ের দিকে পুকুর ঘাট, সেই ভাবনায় বয়স আমার আড়ে না-
বৃষ্টির দিনে আপনার পোস্টটি পড়ে দলছোটের গানটি মনে পড়ে গেল।
৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩১
কালনী নদী বলেছেন: সংশোধিত মন্তব্য* তোমার বাড়ির রঙের মেলায় দেখেছিলাম বায়োস্কুপ, বায়োস্কোপের নেশায় আমায় ছাড়ে না!
ডাইনে তোমার চাচার বাড়ি বায়ের দিকে পুকুর ঘাট, সেই ভাবনায় বয়স আমার বাড়ে না-
বৃষ্টির দিনে আপনার পোস্টটি পড়ে দলছোটের গানটি মনে পড়ে গেল। (প্রসঙ্গত আমার কিবোর্ড সমস্য থাকায় অনেক শব্দ লিখতে সময় আদ পড়ছে)
৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এখন আর বায়োস্কোপ আলাদের দেখিনা
৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১
ডি মুন বলেছেন: প্রকৃতপক্ষে বায়োস্কোপ গ্রামবাংলার সিনেমা হল।
--- সুন্দর বলেছেন। বায়োস্কোপ দেখেছি বলে মনে পড়ে না। তবে ছোটবেলায় একটা জিনিস দেখতাম; রঙবেরঙ্-এর কাপড় পরে অনেকে চানাচুর ভাজা, ঘটি গরম ইত্যাদি বিক্রি করতে আসত হাতে চোঙা নিয়ে। খুব মজা পেতাম উনাদের দেখে। এটাও এখন আর দেখি না।
সবকিছুই ধীরে ধীরে বদলে যায়।
পোস্ট পড়ে ভালো লাগল
+++
৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩
আমিই মিসির আলী বলেছেন: ছুডু বেলায় একটা বায়োস্কোপ ক্যামেরা কিনেছিলাম। গল্প ছাড়াই বায়োস্কোপ! দেখে মজা পাই নাই।
আসল বায়োস্কোপ দেখার সুযোগ আর সময় কোনটাই হয় নাইই।
৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১১
মুসাফির নামা বলেছেন: তোমার বাড়ির রংয়ের মেলায় দেখেছিলাম বায়োস্কোপ
বায়োস্কোপের নেশায় আমায় ছাড়ে না.....
৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১২
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: বায়োস্কোপ দেখার জন্য কত কেদেছি!! ভালো লাগলো । ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৯
শায়মা বলেছেন: বায়োস্কোপ কথাটাতেই জড়িয়ে আছে আনন্দ!