![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কতোটা পথ পেরুলে তবে পথিক বলা যায় ......
হেফাজতে ইসলাম লং মার্চ করে ঢাকা অভিমুখে আসতে চায়,আসুক ।আমাদের কোন আপত্তি নেই । জনসভা করতে চায়, বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র, তাতে বাধা দেবার ও কিছু নেই । কিন্তু ঢাকা থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে চট্টগ্রামে যেতে চাইলে কেন রক্তের নদী বয়ে যাবে বলে হুমকি দেওয়া হোল ?
শান্তিপূর্ণ বিশাল জনসভা হয়েছে ।আলহামদুলিল্লাহ !কিন্তু তার মধ্যে নারী সাংবাদিক এর উপর আক্রমন কেন ? ১৩ দফা দাবী দেওয়া হোল । দাবী পূর্ণ না হলে লাগাতার হরতাল এরও হুমকী দেওয়া হোল ! বিরোধী দলীয় নেত্রী তাতে সমর্থন দেবার কথা ও জানালেন । এরশাদ তাদের সাথে সংহতি জানালেন ।শামীম ওসমান নৈশভোজের আয়োজন করলেন !! ভোটের রাজনীতি কি সূক্ষ্ম ,কত জটিল ! একটা প্রশ্ন, সমর্থন দিবেন বলার আগে কি বেগম জিয়া কি ওই ১৩ দফা পড়ে দেখেছেন ? তিনি কি ভেবে দেখেছেন যে ওই ১৩ দফা দাবী পূর্ণ হলে তাকেও বিরোধী দলের নেত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে সুসজ্জিত শিফন জর্জেট এর ভূষণ পর্দাবৃত করে ঘরে গিয়ে বসে থাকতে হবে ।আর মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে বাংলাদেশ কে যে নাজুক পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিয়েছেন তিনি ও বোধহয় আগে তা ভাবতে পারেন নি । তাঁর এখন শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা !
এবার হেফাজতে ইসলাম নিয়ে কিছু কথা বলি ।
ছবির বুলেটিন খানা ২০০৪ সালে প্রকাশিত । ডেইলি স্টার এর আর্কাইভ থেকে সংগৃহীত । আফগানে ইসলামী তালেবান মোজাহেদীন এর বিজয় উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ বুলেটিন এটি !এবার বলি ছবির সাথে হেফাজতে ইসলামের সম্পর্ক । প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মাদ হাবীবুর রাহমান খেলাফত মজলিশ এর নায়েবে আমীর এবং ঢাকাগামী লংমার্চ
এর অন্যতম একজন আয়োজক । তিনি লং মার্চ র্যালীর একজন বক্তা এবং বৃহস্পতিবার লালবাগ মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্স এ তিনি নেতৃবৃন্দের সাথে সামানের সারিতেই বসে ছিলেন । বুলবুলি হুজুর নামে খ্যাত এই মাওলানা হাবিবুর সিলেট কাজী বাজার মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং নিষিদ্ধ হারকাতুল জেহাদ এর একজন নেতা ছিলেন । আর বেশি কিছু বলার নাই ।নির্দোষ হেফাজতীদের মধ্যে নিষিদ্ধ জঙ্গিবাদী দলের নেতা ! তালিবান দের উল্লাসে উল্লসিত হয়ে বাংলাদেশে ও বিশেষ বুলেটিনে তিনি জাতির উন্নয়নের জন্য এদেশকেও আফগান বানানোর স্বপ্ন দেখছেন ! লিঙ্ক https://www.facebook.com/NewsBD
নাস্তিক,আস্তিক ব্লগার এসব নিয়ে অনেক কিছুই দেখাইলেন আমাদের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী !! একের পড় এক টুইস্ট !! সমস্যা হচ্ছে আমাদের জনগন নিয়ে । ফিফার দেওয়া পোস্ট,দিন মজুর এর বর্তমান পোস্ট খানার মন্তব্য গুলো পড়লেই বুঝা যায় মানুষ এখনো আস্তিক নাস্তিক ইস্যু নিয়েই পড়ে আছে । ঠিক অন্তরালের নাড়ানো কলকাঠি অনুযায়ী পুতুল নাচের মতো নাচতেছে । আসল পয়েন্টে কেউ নাই ।আফসোস !! এই দেশে এখনো এমন মানুষ ও আছে যারা কিনা চাঁদে সাইদী সাবের চাঁদবদন দেখা গেছে বলে বিশ্বাস করে, পবিত্র জীন জাতি তাদের সাথে মিছিলে নামে আর সেসব শেয়ার আর স্ট্যাটাস এ হাজার হাজার লাইক পড়ে । ভাইয়েরা আমার, একটু চোখ খুলেন,কান দিয়ে ভালো করে শোনেন,বিবেক দিয়া বুঝতে চেষ্টা করেন ।এই দেশ আমার,আপনার ।এখানে মুসলিম,হিন্দু , বৌদ্ধ ,খ্রিস্টান,আস্তিক ,নাস্তিক সবার । আপানদের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে খেলতেছে সবাই । সবার উদ্দেশ্য একটাই ।নিজ নিজ স্বার্থ হাসিল । নাস্তিক রা তো এই ২ মাস থেকে লিখেনা,অনেকদিন থেকেই লিখতেসে । হঠাৎ করেই এদের উপর এমন খাঁড়া নেমে আসলো কেন ! কারন একটাই । একটি বিশেষ শ্রেণীর সহানুভূতি অর্জন ।ভোট রাজনীতি ।যে কারনে সমান অপরাধী হয়েও বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসী হয় আর কাদের মোল্লার হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড । আর আমাদের মতো আমজনতার নাকের সামনে ঝুলতে থাকে যুদ্ধাপরাধীর বিচার নামক মুলো । বেগম জিয়া যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাওয়া আন্দোলনকারীদের সবাইকে গনহারে নাস্তিক উপাধী দিয়ে দেন এবং উদ্দেশ্য সেই একটাই । আর ধর্মপন্থী সব রাজনৈতিক দল ব্লগারদের কেও একই উপাধীতে ভূষিত করেন, যদিও তাদের অধিকাংশ লোকেরই ব্লগ সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই ।
নাস্তিক আস্তিক ইস্যু কে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে যে বিভেদ তৈরি করা হোল তার জন্য আওয়ামী,বিএনপি দুটি দলই সমানভাবে দায়ী । বেগম জিয়া তো আগে থেকেই ধর্মীয় রাজনীতি কোলে নিয়ে বসে আছেন,প্রধানমন্ত্রী ও কাঁখে নেবার চেষ্টা করছেন । মানুষের বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ করে দিয়ে ভোট সংগ্রহ করছেন। লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায় ! ছুরি,পিস্তল,এ কে ৪৭ না,সামনে ল্যাপটপ ,হার্ড ডিস্ক এর ছবি নিয়ে মাথা নত করে যেভাবে ৩ জন ব্লগার এর ছবি তোলা হয়েছে,দেখে মনে হবে ভয়ংকর কোন খুনী । যারা মন্দির ভাঙ্গে, সঙ্খ্যালঘুদের ঘর দোরে আগুন দেয়, লুট পাট করে তাদের কে ধরে এরকম কিছু ছবি তুলুন । এরা অন্তত নাস্তিকতার নামে কাউকে খুন করেনি,ঘর দোর ভাংচুর করেনি । আর ইসলাম ধর্ম,নবীর মর্যাদা এতো ঠুনকো নয় যে কতিপয় নাস্তিকের লেখনীতে তা টুটে যাবে । আর যারা এই ধরনের উশকানী দিয়ে,মিত্থ্যা সংবাদ প্রকাশ করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে তারা কিভাবে আপনার চোখ এড়িই যায় !আপনার তুরুপের তাস তো এরাই,তাইনা মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী?সবাই বাহবা দেবে । প্রধানমন্ত্রী কত ধর্মভীরু ! ধর্মের অবমাননা সহ্য করেনা । এক কাজ করুন,সেইবারের মতো আবার ও মাথায় হিজাব লাগিয়ে ফেলুন,আপনার ভোট আরও বাড়বে । কেউ যদি ধর্ম কে কঠাক্ষ করে থাকে,আমি তার নিন্দা করি ।কিন্তু তাদের এবং ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভুতিকে পুঁজি করে আপনারা যে ভোটের রাজনীতি করেন তাকে থুঃ ! আর এই সুযোগে তৃতীয় শক্তি বাংলার বুকে বসে এর পতাকা পোড়ায়, আমাদের প্রানের ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রস্তাব দেয়,বাংলাকে তালেবানী আফগান বানানোর স্বপ্ন দেখে ।
৩০ লক্ষ শহীদ,অগনিত মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা একটি পতাকা পেয়েছি।পেয়েছি একটি স্বাধীন ভূখণ্ড । সেই অগনিত প্রানের দীর্ঘশ্বাস এখনো বাতাসে ভেসে বেড়ায় ।এখন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়নি ।মনে রাখবেন, জাতির সাথে প্রতারনা করে পার পাবেন না আপনারা । ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবেনা,একদিন আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে ।তার অসংখ্য উদাহরন পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা আছে ।
স্বাধীন দেশে আমরা দু মুঠো ডাল ভাত খেয়ে বাঁচতে চাই, দুটো কথা বলার অধিকার চাই, নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে চাই, পহেলা বৈশাখে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আনন্দ উল্লাস করতে চাই, আমাদের গৌরব আমাদের ভাস্কর্য গুলো নতুন প্রজন্ম কে দেখিয়ে জানাতে চাই আমাদের উজ্জ্বল, সংগ্রামী ইতিহাস । সমস্বরে গাইতে চাই আমার সোনার বাংলা,আমি তোমায় ভালবাসি । বড় বেশী ভালোবাসি !আমাদের চাওয়া খুব বেশি না । দয়া করে এইটুকু চাওয়া নিয়ে ,দুঃখিনী এই দেশটা কে নিয়ে আপনাদের ক্ষমতা লোভের রাজনীতি বন্ধ করুন । দেশটাকে ভালবাসুন ।আপনাদের পারস্পরিক কোন্দল দেশকে নিয়ে যাচ্ছে এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে । এভাবে চলতে থাকলে একসময় দেখবেন আপনাদের স্বার্থের রাজনীতি করার জন্য বাংলাদেশ নামের দেশটির অস্তিত্ব ও মানচিত্র থেকে মুছে গেছে ।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
অপরাজিতা মুন্নি বলেছেন: ইসলামের সঠিক হেফাজত হচ্ছে আফগানিস্থানে । আমাদের এমন হেফাজত প্রয়োজন নেই ।
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাংলাদেশ চরম পন্থি কোন মুসলিম রাষ্ট্র নয়।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
অপরাজিতা মুন্নি বলেছেন: বাংলাদেশ চরম পন্থি কোন মুসলিম রাষ্ট্র নয়। সহমত ।কিন্তু চারিদিকে যা ঘটছে ,মনে হয় সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছি ।
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৬
ত্রিভকাল বলেছেন: বেশী খারাপ লাগে আসলে সেইসব সহজ সরল গ্রামের মানুষদের জন্য যারা অন্তরালের এইসব সত্য গুলো কখনোই জানতে পারবে না... আর যতদিন তাদের কাছে পিছনের এই সত্যগুলো উন্মোচিত হচ্ছে না, আমার 'বাংলার মাটির আগাছাও ' পরিষ্কার করা যাবে না।
যাইহোক আপনার লেখাটি অসম্ভব ভালো লাগলো। সত্যি কথা বলতে কি, ভালো লাগার চাইতে খারাপ লাগলো বেশি। যাই হোক ভালো থাকবেন, আর আমাদের জন্য নিয়মিত লিখবেন ...
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:১৩
অপরাজিতা মুন্নি বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:২৩
অপরাজিতা মুন্নি বলেছেন: বাংলার মাটির আগাছা দূর করতে কিন্তু আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে ।
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৩১
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: দারুন লিখেছেন, সব কথার শেষ কথা হচ্ছে, উনারা ভোটের জন্য বিভিন্ন রুপ ধারন করছেন, আমাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন, আমাদের অনুভতি অথবা চেতনাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আখের গুছানোর চেষ্টা করছেন।
অন্যদিকে আমরা সাত-পাঁচ না ভেবে গাঁধার মতো তাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:২১
অপরাজিতা মুন্নি বলেছেন: "সব কথার শেষ কথা হচ্ছে, উনারা ভোটের জন্য বিভিন্ন রুপ ধারন করছেন, আমাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন, আমাদের অনুভতি অথবা চেতনাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আখের গুছানোর চেষ্টা করছেন ।" একদম ঠিক কথা বলেছেন । আমাদের বোধোদয় যে কবে হবে !
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: এরা ধর্মান্ধ
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:২৪
অপরাজিতা মুন্নি বলেছেন: কোন ধর্মই মানুষ কে অনৈতিক কাজে উৎসাহিত করেনা ।
৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
শিপন মোল্লা বলেছেন: প্রমান আছে আওয়ামি সরকারীই বিএনপি জামাতকে শায়েস্থা করার জন্যে হেফাজত গঠন করেছেল। কিন্ত এখন তাদের গলার কাটা হয়ে গেছে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩২
অপরাজিতা মুন্নি বলেছেন: বলেছেন: কোন দল ই ধোওয়া তুলসী পাতা নয় । আমার লেখার বক্তব্য ও কিন্তু সেটাই । আপনি যদি কিছু জেনে থাকেন ,তাহলে দয়া করে উপযুক্ত প্রমান সহ উপস্থাপন করুন ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: যে দেশের অধিকাংশ মানুষ মুসলমান, সেখানে ইসলামকে রক্ষা করার নামে "হেফাজতে ইসলাম" গঠন করার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। জন্মের পর থেকেই দেখছি আমাদের ধর্ম ইসলাম যেমন ছিল ঠিক তেমনই আছে।