নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক
মাইক্রো বাস চলছে দ্রুত বেগে । তাকিয়ে দেখি স্পীড মিটারের কাটা টা ৯০ ছুই ছুই করছে । এই ঢাকা শহরের রাস্তায় নম্বই কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালানো আসলেই কঠিন ব্যাপার ।
কিন্তু সৌমিককে দেখলাম নিশ্চিন্ত মনেই গাড়ি চালাচ্ছে ।
আশ্চার্য ছেলেটা এতো শান্ত আছে কিভাবে ? আমি বসে আছি ড্রাইভারে পাশের সীটে । মুখ ঘুড়িয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখি ইরফান চোখ বন্ধ করে আছে । কানে হেড ফোন লাগিয়ে গান শুনছে ।
ফাজিলের ফাজিল গান শুনছে ! এমন একটা ভাব যেন আমরা পিকনিক করতে বেড়িয়ে !
একটা থাপ্পড় দিতে পারলে ভাল লাগত ।
হঠাত্ অনুভব করলাম আমার বুকের ভেতর কাঁপনটা এখনও থামে নি । বরং বেড়েই চলেছি ।
কিন্তু এই দুই জন এতো নিশ্চিন্ত আছে কিভাবে ? আর তাহলে আমি বা এতো চিন্তা করছি কেন ?
হঠাত্ ইরফান চোখ না খুলেই বলল
-রিলাক্স তানভীর ভাই ! এতো টেনশিত হওয়ার কিছু নাই । সব প্লান মোতাবেক হচ্ছে ।
এমন ভাবে রিলাক্স বলল যেন ইরফান প্রতিদিন দুচার টা করে মেয়ে কিডন্যাপ করে ! এটা তার বাঁ হাতের খেলা !
মাইক্রো বাসের পেছনের সিট টা ফাঁকা । মাঝের সিটে ইরফার বসে আছে চোখ বন্ধ করে । ওর কোলের উপর আধ শোয়া হয়ে বর্ষা শুয়ে আছে ।
অজ্ঞান ।
ক্লোরোফম দিয়ে মেয়েটাকে অজ্ঞান করা হয়েছে । এই মেয়েটাকেই আমরা তিন জন মিলে কিডন্যাপ করেছি ঘন্টা খানেক আগে !
দুই
-ভাই বিজি ?
ইরফানকে এই সময়ে অফিসে দেখে একটু অবাক লাগলো । এখন তো ওর ক্লাসে থাকার কথা । এখানে কি করে ?
-কি রে তুই এখন এখানে ? ক্লাস নাই ?
ইরফান বুয়েটে পড়ে । তৃতীয় বর্ষ । একটু অনলাইনে বেশি থাকে তবে ভাল স্টুডেন্ট । ক্লাস মন দিয়ে করে । কিন্তু আজকে এখানে কি ?
-অফ ডে নাকি ?
ইরফান গোমড়া মুখ করে বলল
-জি না । ক্লাস চলে ।
-তাইলে তুই এখানে কি করস ?
-ক্লাসে যাই নাই ।
-কেন ?
এই প্রশ্নের জবাবে ইরফান কিছু বলল না । চুপ করে বসেই রইলো ।
-কি হল কথা বলছিস না কেন ?
-ভাই আমি বিয়ে করবো !
প্রথম মনে হল ভুল শুনলাম । আমি নিজে এখনও যেখানে বিয়ে করি নি সেখানে ইরফান আমার কাছে এসে বিয়ের আবদার করতে পারে না । এতোটা অবিবেচক নিশ্চই ইরফান না ।
কোন ডায়বেটিস রোগীর কাছে গিয়ে মিষ্টি খাওয়ার আবদার করা আর অবিবাহিত যুবকের কাছে গিয়ে বিয়ে করার আবদার করা একই কথা ।
আমি বললাম
-কি বললি তুই ? বিয়ে ?
-জি ভাই বিয়ে ।
আমার মনে হয় একটু ভুল হয়েছে শুনতে । ও হয়তো আমার আর হৈমর বিয়ের কথা বলতে এসেছে । হৈম সম্পর্কে ওর চাচাতো বোন হয় । যে চাচার বাড়ি ও থাকে ।
আমাদের অনেক হেল্প করে ইরফান । বিশেষ করে ইরফান না থাকলে তো হৈর পুলিশ বাপের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওর সাথে যোগাযোগ করা মুস্কিল হয়ে যেত । ইরফানের চাচা অর্থাত্ হৈমর বাবা এখানকার থানার এএসপি । আমি ইরফানকে বললাম
-আমার বিয়ে ?
ইরফান চোখ কপালে তুলে বলল
-ভাই এইসব কি বলেন ? আপনার বিয়ে হবে কোন দুঃখে ? আমার বিয়ে ?
-সে কিরে ? তোর বিয়ে মানে ? নাক টিপলে এখনও দুধ বের হয় তুই বিয়ে করবি মানে ? আমি নিজেই এখনও বিয়ে করতে পারলাম না ।
-আপনার বিয়ে আর হয়েছে । আমি কিছু জানি না । আমি বিয়ে করবো । একটা ব্যবস্থা করতে হবে । কোন কথা শুনতে চাই না । ঐ মেয়েকে একটা শিক্ষা দিতেই হবে । আমাকে ভীতু বলে ! এতো বড় সাহস !
তিন
গাজী পুর চৌরাস্তা পার হয়েছি অনেকক্ষন হল । এখন একটু নিশ্চিন্ত লাগছে । তা না হল প্রতিটা জ্যামে যখন গাড়ি এসে থামছিল বুকের ভিতর কেমন একটা ভয় এসে ভর করছিল । বারবার মনে হচ্ছি এই বুঝি পুলিশ এল । অথবা বর্ষার বাপের লোকজন এসে মাইক্রো বাসটা ঘিরে ধরলো বুঝি । পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও না একটা ব্যবস্থা হবে কিন্তু যদি বর্ষার আব্বা ধরতে পারে তাহলে খবরই আছে ।
অবশ্য এখনও কারো টের পাওয়ার কথা না । দেড় ঘন্টার মত পার হয়েছে মাত্র ।
চার
দুজন মিলে প্লান করেছি । সব কিছু এখনও পর্যন্ত ঠিকঠাকই চলছে । সব থেকে বড় ঝামেলার কাজটা ছিল রাস্তা থেকে বর্ষাকে তুলে নেওয়া । সেইটাই যখন ঝামেলা ছাড়া হয়ে গেছে তখন আশা করা যায় সামনের সব কিছু প্লান মতাবেকই হবে ।
বর্ষাদের বাসাটা এলাকা র একদম শেষ মাথায় । বলতে গেলে ওর কলেজের উল্টো পথে । এদিকটাতে বাড়ি ঘর আর দোকান পাটের সংখ্যা একেবারেই কম । লোকজনের চলাচলও বেশ কম ।
আমরা বর্ষার বাসা আর কলেজের মাঝের রাস্তায় ওকে তুলে নেওয়ার জন্য ঠিক করি । মাইক্রোবাস অবশ্য ইরফান নিছেই ঠিক করেছে । এমন কি বর্ষাকেও ও নিজেই গাড়ীর ভিতর তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । আমাকে কেবল বলেছিল আপনি শুধু আমাদের লুকিয়ে থাকার ব্যবস্থাটা করবেন ।
আমাকে আসার দরকার নেই বলেও বলেছিল কিন্তু টেনশন হচ্ছিল তাই আমিও ওর সাথে চলে আসি ।
আমি একটু আগে আগেই পৌছে যাই । ইরফান মাইক্রবাস টা নিয়ে পৌছায় আরও পনেরো মিনিট পরে ।
মাইক্রোর ড্রাইভারটার বয়স বেশ কম । নাম সৌমিক । আমার একটু অস্বস্তি লাগছিল কিন্তু ইরফান বলে যে এই কাজে সৌমিকের আগেও অভিজ্ঞতা আছে । আসলেই তাই । ঠিক সময় মতই সৌমিক ঠিক মতই গাড়ীটা চালিয়েছে । যেখানে যেমন গাড়ির গতি হওয়া উচিত্ ছিল সেখানে একদম সেই রকমই ছিল ।
অমরা অপেক্ষা করছিলাম । বর্ষা যখন আমাদেরকে ক্রস করে গেল তখনই আমরা মাইক্রোবাসে উঠে বসলাম । আমি বসলাম সৌমিকের পাশে । আর ইরফান মাঝের সিটে মাইক্রোর দরজা খুলে ।
বর্ষা হাটছে আস্তে আস্তে । আমরা মাইক্রো নিয়ে চলছি ওর পিছু পিছু । আমি চোখ রাখছি আশে পাশে । হাটতে হাটতে এমন একটা জায়গায় চলে আসলাম যেখানে লোকজন নেই বলতে চলে । দুরে দুটা রিক্সা দেখা যাচ্ছে । কিন্তু কোন রিক্সাওয়ালাদের দেখা যাচ্ছে না । তায় একটু পাশেই এক টোকায় রাস্তা থেকে কি যেন খুজতেছে ।
আর এই পাশে একটা ভাংড়ির দোকান । হাজারও ভাঙ্গা চোড়া জিনিস পত্র পরে রয়েছে । কিন্তু কোন মানুষ দেখা যাচ্ছে না । এই সুযোগ ।
আমি সৌমিক কে বললাম
-রেডি হও । দিস ইজ দ্য সুযোগ !
গাড়ির গতি একটু বেড়ে গেল । দেখতে দেখতে একেবারে বর্ষার কাছে চলে এল । বর্ষা মনে হয় ততক্ষনেই বুঝতে পারে নি । কানে হেড ফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে হেটে চলেছে ।
ইরফান যখন ওর কোমরে হাত দিয়ে এক টানে মাইক্রোটার ভিতরে টেনে নিল তখন ওর হুস হল । কেবল অবাক হওয়া চেহারা দেখতে পেলাম ওর । একবার আমার দিকে আর একবার ইরফানের দিকে ।
ইরফান দেরী না করে গাড়ির দারজা বন্ধ করে দিল । এদিকে সৌমিক ততক্ষন এক্সেলেটরে চাপ দিয়ে ফেলেছে । ভাঙ্গা রাস্তায় তীর বেগে গাড়ি চলতে শুরু করলো কিছুক্ষনের ভিতর ।
বর্ষা যখন বুঝে ফেলেছে ওর সাথে কি হতে যাচ্ছে তখনই একটা চিত্কার দিতে গেল । কিন্তু ততক্ষনে দেরী হয়ে গেছে । ইরফান ক্লোরোফম মেশানো রুমাল ওর মুখে চেপে ধরেছে !
পাঁচ
ইরফানকে চুপ করে থাকতে দেখে আমি খানিকটা চিন্তিত কন্ঠে বললাম
-তুই কি সত্যিই সিরিয়াস নাকি ?
-আপনার কি মনে হয় ?
-আরে এই ভাবে বললেই হল নাকি ? বিয়ে কি ছেলে খেলা নাকি ? ছেলে মেয়ে রাজি হলেই তো আর বিয়ে হয়ে যায় না ।
ইরফান ক্ষীণ কন্ঠে বলল
-মেয়ে রাজী না ।
আমি খানিকটা ধাক্কার মত খেলাম ।
-কি বললি ? মেয়ে রাজী না মানে ? মেয়ে রাজী না হলে বিয়ে করবি কাকে ?
ইরফান কিছু না বলে চুপ করে রইলো । আমি কিছু বুঝতে পারছি না । এই বলছে বিয়ে করবে আবার এই বলছে মেয়ে রাজি না ।
তাহলে বিয়ে করবে কাকে ? তখনই হঠাত্ করেই একটা সন্দেহ মাথা চারা দিয়ে উঠল ।
না না । এটা হতে পারে না । আমি বললাম
-তুই মেয়েকে জোর করে উঠানোর প্লান করছিস ?
-জি ।
-জি মানে ?
ইরফান এমন ভাবে জি বলল যেন রাস্তা থেকে মেয়ে না চকলেটের বাক্স থেকে চকলেন উঠাবে । থাপড়িয়ে সামনের সব কটা দাঁত ফেলে দেওয়া উচিত্ ! জোর করে মেয়ে তুলবে !আমি অবাক হয়ে কিছুক্ষন ইরফানের দিকে তাকিয়ে রইলাম । এই ছেলের মাথায় চলছেটা কি ? এই ছেলের সমস্যা টা কি ? ইরফান বলল
-ভাই আপনার কিছু করতে হবে না । বর্ষাকে আমি নিয়ে আসবো ! আপনি কেবল আমাদেরকে লুকানোর মত একটা সেফ জায়গা ম্যানেজ করে দেন ।
-এই দাড়া দাড়া । বর্ষা মানে ? কোন বর্ষা ? তোদের এলাকার মাহতাব আলীর মেয়ে ?
ইরফান বলল
-জি !
-তোর কি মাথা সত্যিই খারাপ হয়ে গেছে ? এলাকার সব থেকে প্রভাবশালী লোকার মেয়েকে দিনে দুপুরে কিডন্যাপ করার কথা বলছিস ? তোর তো লাশটাও খুজে পাওয়া যাবে না । সাথে সাথে আমিও বালিশ ছাড়া শুয়ে পড়বো ।
-আরে রাখেন । এখন ওদের দল ক্ষমতায় নাই । কিছু হবে না । আপনি পারবেন কি না বলেন ?
তারপর মুখে একটু রাগের ভাব করে বলল
-এতো বড় সাহস ! আমাকে বলে আমার নাকি সাহস নাই । সাহস আজকে ওকে দেখাবো ।
তারপর আমার দিকে আবার বলল
-ভাই আপনে বড় ভাই । আপনার কাছে আসছিলাম একটু সাহায্যের জন্য । না করলে আর কি করা । যার কেউ নাই তার আল্লাহ আছে ।
-হয়েছে আর ঢং করতে হবে না । দেখি কি করা যায় । ভেবেছিস কিছু ?
ইরফান হেসে বলল
-আরে আপনে আছেন না ? দুজন মিলে প্লান বানিয়ে ফেলবো নে ।
হুম । হয়েছে । পরে ভাবা যাবে । চল আগে নুর বিরিয়ানী হাউজ থেকে কাচ্চি খেয়ে আসি ।
-চলেন !
ইরফান খুব ভাল করেই জানতো ওকে আমি ঠিকই সাহায্য করবো । তাই বলে কিডন্যাপ ? আল্লাহ রক্ষা কর !
ছয়
-ভাই পুলিশ !
একটু তন্দ্রার মত চলে এসেছিল । ইরফানের ডাকে তন্দ্রা ছুটে গেল । পুলিশের নাম শুনে ধাক্কা লাগলো বুকের ভিতর । আমি খানিকটা জোরেই বললাম
-কোথায় কোথায় ?
-পিছনে ? পেট্রল কার !
আমি পেছনে তাকিয়ে দেখি আমাদের পেছনে পুলিশের একটা পেট্রল কার ছুটে আসছে ।
এতো জলদি তো খোজ পাওয়ার কথা না !
তাহলে ? রেগুলার পেট্রলিং ? হতে পারে !
আমরা ততক্ষনে জঙ্গল এলাকায় ঢুকে পড়েছি । নির্জন রাস্তায় এতো জোরে মাইক্রো বাস ছুটে যেতে দেখে নিশ্চই সন্দেহ করেছে । আমি ইরফানের দিকে তাকিয়ে দেখি ওর মুখের নিশ্চিন্ত ভাবটা আর নেই । ওকে অভয় দিয়ে বললাম
-চিন্তা করিস না ।
তারপর সৌমিককে বললাম গাড়ির গতি কমাতে । দেখতে দেখতে পেট্রল কারটা আমাদের ক্রস করে সামনে গিয়ে থামলো । আমাদের কে থামতে হল ।
পুলিশ অফিসার নামার আগেই আমি চলে গেলাম অফিসারের গাড়ির সামনে ।
-কোন সমস্যা অফিসার ?
অফিসারের বয়স বেশি না । তবে ভুড়ির বেশ মোটা ।
-সমস্যা তো অবশ্যই । স্পীড লিমিট ক্রস করেছেন আপনারা । এতো তাড়াহুড়া কিসের শুনি ?
-মেয়ে নিয়ে পালাচ্ছি তো তাই এতো তাড়াহুড়া ?
আমার হাসি মুখ দেখে অফিসারটিও হেসে ফেলল । আমার হাতে ততক্ষনে দুটা পাঁচশ টাকার নোট চলে এসেছে । আস্তে গুজে দিলাম । তারপর বললাম
-আশা করি একটু লিমিট ক্রস করতেই পারি কি বলেন ?
-হে হে হে !
নোট দুটো পকেটে ঢুকাতে ঢুকাতে বলল
দেখুন পুলিশ তো জনগনের বন্ধু । আপনাদের সেফটির বিষয়টাতো আমাদের দেখতেই হয় ।
-তা তো অবশ্যই ! তা তো অবশ্যই ।
-আচ্ছা ঠিক আছে । এবার থেকে একটু আস্তে চালাবেন ঠিক আছে ।
-অবশ্যই ।
পুলিশ অফিসার আবার গাড়ির ভিতর ঢুকে গাড়ি স্টার্ট দিল ।
পরিশিষ্টঃ
গাজীপুরের রিজার্ভ ফরেষ্টের ভিতর শফিকের একটা বাংলো বাড়ি আছে । মাঝে মাঝেই এখানে আসা হয় বেড়াতে । বাড়ির কেয়ার টেকার ভাল করেই চিনে আমাকে ।
আজ দুদিন হল এখানে এসেছি । এখনও পর্যন্ত কোন সমস্যা হয় নি ।
তবে ঐ দিকে নাকি তুল কালাম কান্ড । মাহতাব আলী নাকি সারা এলাকায় তোলপাড় শুরু করে দিয়েছে । যাক সে দিক । কারো অবশ্য এখনও ধারনাই হয় নি ইরফানের মত একটা ছেলে এমন একটা কাজ করতে পারে । ইরফান বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বলে এসেছে যে ওদের ক্লাস থেকে স্টাডি ট্যুরে যাবে দুদিনের জন্য । তাই এখনও ওদের বাসায় কোন সমস্যা হয় নি । আর এদিকের খবর বেশ ভাল । পরশুদিন সন্ধ্যার একটু আগেই এখানে এসেছি । সৌমিক কে মোটা বকশিস দিয়ে বিদায় করেছি । কেয়ারটেকারের হাতেও কিছু টাকা দিতে হয়েছে ।
একটু ভয় ছিল বর্ষাকে নিয়ে । বর্ষার জ্ঞান ফিরে হয়তো চিত্কার চেঁচামেচি করবে কিন্তু সেই রকম কিছুই করে নি । রাতটা ঘুমিয়েই কাটিয়েছে । সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় এসে দেখি ওরা দুজন বাগানের ভিতর হাত ধরে হাটছে । এরই মাঝে মেয়েকে পটিয়ে ফেলেছে ।
ট্যালেন্ট পুলা ।
যাক এখন হয়তো বর্ষার চোখে ইরফান আর ভীতু নয় । বরং সাহসী ছেলে ।
কিন্তু যখন আবার বাসায় ফিরে যাবো তখন কি অবস্থা হবে ? একদিকে ইরফানের চাচা পুলিশ অন্য দিকে বর্ষার বাপ রাজনৈতিক নেতা ! দুই পাটাপুতার দুদ্ধে না আবার আমি পিষ্ঠ হই ?
যাক সেটা পড়ে দেখা যাবে । পরের টা পরে ! এখন ওদের বিয়ের ব্যবস্থাটা করে ফেলা দরকার !
কিন্তু সাক্ষীর কি হবে ?
আমি আর কেয়ারটেকার না হয় ইরফানের পক্ষের সাক্ষী হলাম ।
বর্ষার পক্ষের সাক্ষী কে হবে ?
কি হবেন নাকি সাক্ষী ?
চলে আসুন তাহলে !!
(গল্পের সময় কাল: ২০১৭)
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৩
অপু তানভীর বলেছেন: আপু যত তাড়াতাড়ি সাক্ষী যোগার হবে তত তাড়াতাড়ি বিয়ে!! তুমি আজকেই চলে আসো
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
শায়মা বলেছেন: কিন্তু একটা কথা। বর্ষার বাবার নাম মাহতাব চৌধুরী তো? তুমি আবার ভুল করোনিতো শেষে দেখা যাবে তার বাবা না স্বামীর নাম অনন্ত জলিল। তখন কিন্তু আমি নাই।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৫
অপু তানভীর বলেছেন: কুনো চান্সই নাই!!! আমার গল্পপ্রেমিদের অনন্ত মিয়া জায়গা পাইবো না!!! তুমি একবার চলে আসো তো!!
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৩
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: জলিল মিয়ার দশটা না পাশটা না একটা মাত্র বউ সেইটা নিয়া আপনারা এমনে টানদিবেন?? মনে রাইখেন উনি কিন্তু অসম্ভবরে সম্ভকইরা ফেলান।
আমি স্বাক্ষি দিয়া দিমু। তয় জলিল মামু আইয়া পরলে আমার কুনু দোষ নাই। আমি কইটা পরমু।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৭
অপু তানভীর বলেছেন: হাহাহাহাহা!!!? যতই অসম্ভব সম্ভব কারী হোক! এখানে তার বেইল নাই!
চইলা আহেন!!
৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১১
তওসীফ সাদাত বলেছেন: বিয়ের তো সাক্ষী ও লাগবে, অপু ভাই! আপনি আছেন, আরেকজন দরকার, ওইটা নাহয় আমিই হবো।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
অপু তানভীর বলেছেন: আরে মিয়া কইছিলা?? জলদি আহোরন!!! সাক্ষীর অভাবে বিয়া আইটকা আছে!!
৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা, মজা পেলাম!
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
অপু তানভীর বলেছেন: মজা পেলেই আমার লেখা সার্থক!! পড়ার জন্য ধন্যবাদ!
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৩
শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে কাল সকালেই বোনরসী কিনতে যাবো......
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: জলদি আসো!! শুভ কাজে দেরী করতে নাই
৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩১
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন:
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: কি হইলো মিয়া?
৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
মাহবু১৫৪ বলেছেন: হা হা হা
না, এইসব ঝামেলায় পরতে চাই না।
+++++
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
অপু তানভীর বলেছেন: আমিও পরতে চাই না!!
৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫০
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: থাপড়িয়ে সামনের সব কটা দাঁত ফেলে দেওয়া উচিত্ !
আমি বলি নাই!
@শায়মা'পু,মেয়ে স্বাক্ষী হলে তো চারজন লাগে!তো তুমি যাওয়ার সময় আমাকেও সাথে নিও পারলে...
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০১
অপু তানভীর বলেছেন: আসলেই থাপড়িয়ে দাঁত ফেলে দেওয়া উচিৎ!!
১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
শায়মা বলেছেন: ওকে শুকনোপাতা আপুনি তুমিও রেডী থেকো। আমাদের শাড়ীগুলাও কিনতে হবে নইলে আমরা বউ এর জন্য বেনারসী কিনবো আর নিজেরা বুঝি সাজুগুজু ছাড়া বিয়ের সাক্ষী হবো!!!
অপুভাইয়ার ঘাড় মটকে আমার শাড়িটা নেবো আর তুমি বর্ষনভাইয়ার ঘাড়টা মটকে দিও ওকে?
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৫
অপু তানভীর বলেছেন: হাহাহাহা!!
তোমরা জলদি জলদি চলে আসো!!! আমরা অপেক্ষা করে আছি!!
১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১২
চাদের জোসনা বলেছেন: আরে ভাইসব সবাই খালি সাক্ষি সাক্ষি করেন হুজুর লাগবো না ?? আমি আছি হুজুর হিসেবে নামকরা একজন। লাগলে খবর দিয়েন। ব্লগারদের জন্য হাদিয়া ফ্রি। (পালাইয়া বিয়া জানলে কিন্তু যামু না। )
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
অপু তানভীর বলেছেন: আরে ভাই আপনে এতোক্ষণ কই আছিলেন?? আপনারেই তো খুঁজতাছি!!! জলদি আইয়া পড়েন!!
১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪১
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন:
আমি তো আশা করছিলাম আপনে বিয়াডাও দিয়া দিবেন.....
সৌমিকরে ড্রাইভার বানাইছেন!!!
সব মিলায়া চ্রম হইছে!!!!!!
আপনারে এত্তগুলা পিলাচ..........
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৭
অপু তানভীর বলেছেন: আরেকটা পর্ব লিখবো কিনা বুঝতে পারছি না!!
মনে কর মাহতাব মিয়ারে দিয়ে একটা দৌড়ানি দিলাম!!! কি কও??
১৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
শায়মা বলেছেন: চাদের জোসনা বলেছেন: আরে ভাইসব সবাই খালি সাক্ষি সাক্ষি করেন হুজুর লাগবো না ?? আমি আছি হুজুর হিসেবে নামকরা একজন। লাগলে খবর দিয়েন। ব্লগারদের জন্য হাদিয়া ফ্রি। (পালাইয়া বিয়া জানলে কিন্তু যামু না। )
হায় হায় চাঁদ থেকে হুজুর নেমে আসছে!!!
সর্বনাশ!!! এর ছবি কিছুদিন আগে চাঁদে দেখা গেছিলো নাকি ভালো করে শিওর হয়ে নাও ভাইয়া। নয়তো বিবাহ না জায়েজ হইবেক!!!
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
অপু তানভীর বলেছেন: না না কুনো সমস্যা নাই আপু!! আমাদের একটা হুজুরও দরকার!!! ওনাকে আসতে দাও
১৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫০
সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম বলেছেন: তানভীর নামের মানুষটা কে?? আমি না তো......
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
অপু তানভীর বলেছেন: হেহেহে!! পুলিশের মাইর খাওনের এতোই ইচ্ছা!! বউকে আমার পক্ষ থেকে আপনি যাইয়েন
১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২০
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: পুরোটাই ঠিক ছিলো! লাস্টে এইটা দেখে>>>>
(গল্পের সময় কাল: ২০১৭!!!!
অসাম!! তবে ইরফু তো বুয়েট না আমাদের স্বপ্নের ঢাবি স্টুডেন্ট হবে!! সিএসই-তে!! তাইনারে বাচ্চো???
বর্ষার কোন ডায়লগ থাকলে ভালো হত!
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪০
অপু তানভীর বলেছেন: আরে ইরফান এইবার ইন্টার দিবে! ২০১৭ সালেই না ও থার্ড ইয়ারে পড়বে!! তাই না?
আর মাইয়া মানুষ বেশি কথা কইলেই ঝামেলা!! তাই কুনো কথা কইবার সুযোগ দেই নাই!!
১৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: মজাই লাগল পড়তে ।
বর্ষার এই রকম একটা ডায়ালগ দিলেও হইত, "ছেড়ে দে শয়তান । তুই আমার দেহ পাবি কিন্ত মন পাবি না" ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪১
অপু তানভীর বলেছেন: না না!! নায়িকা এমুন কথা কইতেই পারে না
১৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
পুরাই বাংলা সিনেমা দেখলাম মনে হইল!!
হিউজ হইছে গপখানা
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: নায়ক বলে কথা!!! সিনেমা তো হইবোই!!!
১৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
কামরুল আহসান খান বলেছেন: পড়তে পড়তে ভাবতাসিলাম এই বুঝি জলিল কাগু আইয়া আপ্নাগর হাড্ডিগুড্ডি বেসম্ভব গুড়া কইরা দেয়
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: আমার গল্পে জলীল মিয়ার কুনো বেইল নাই!!!
১৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮
শান্তির দেবদূত বলেছেন: খাইছে! জটিল কাহানী!!! হিউমার গুলো ভাল ছিল!
আপনে তো শেষ ভাই! অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এই সবকাজে সবচেয়ে বেশি ধরা খায় সাক্ষী বেচারাগুলা। যতকিছুই হোক, ছেলে পক্ষ আর মেয়ে পক্ষ মিলে যাবেই, আজ হোক কাল; সর্বোচ্চ একটা নাতী হওয়া পর্যন্ত। কিন্তু শেষে গিয়া দুই পক্ষেরই চক্ষুশূল হয় তৃতীয় পক্ষ , তাই সাধু সাবধান
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
অপু তানভীর বলেছেন: তা আবার বলতে!!! এ সাধু অনেক আগেই সাবধান!!! নিজের বিয়ার কুনো খবর নাই আর আমি যামু অন্যের বিয়ার সাক্ষী হইতে!!! আর পুলিশের বাড়ি খামু???
না না!! তা হইবে না
২০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: বর্ষন আর বর্ষা- ভাল মিলছে।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫০
অপু তানভীর বলেছেন: নাম তো বর্ষণ নিজে সিলেক্ট করছে!!
২১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩০
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: পুরুষ দুইজন হলেই চলে সাক্ষী হিসাবে -_-
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: হে হে হে !! আপনে ঠিক জানেন তো ?
২২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৭
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: মুসলিম পারিবারিক আইনে এবং শরিয়তের বিধান অনুযায়ী দুইজন পুরুষের সাক্ষী থাকতে হবে অথবা যদি দুইজন নারী সাক্ষী দেয় তাহলে সেখানে অবশ্যই একজন পুরুষ সাক্ষী থাকতে হবে। আর এটা আমাদের ভ্রান্ত ধারনা যে দুই পক্ষের সাক্ষী লাগবে।
তবে সবাইকে অবশ্যই প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৬
অপু তানভীর বলেছেন: নিয়ামুল ভাই আমার ভুল হইছে ! আমি ক্ষমা প্রার্থী !!
২৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৬
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: কি যে বলেন না ভাই। :#> :#>
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৫
অপু তানভীর বলেছেন: :!> :!> :#> :#>
২৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১১
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: ভাই তো জটিল লিখছেন...........
কাহিনি পুরাই পাঙ্খা.....
পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে নাকি!!!
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
অপু তানভীর বলেছেন: আরে কি যে কন !! এমুন কাহিনী বাস্তবে হয় নাকি ??
২৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আর মাইয়া মানুষ বেশি কথা কইলেই ঝামেলা!! তাই কুনো কথা কইবার সুযোগ দেই নাই!!
তাই নাআআআআ ?????
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
অপু তানভীর বলেছেন: হে হে হে হে হে !!
কুনো সন্দেহ আছে ??
২৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৩৭
বটবৃক্ষ~ বলেছেন:
নেক্সট পর্ব লাগবে জলদি!!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: আরে এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে লিখবো ?? একটু টাইম দিবা তো !!
২৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৯
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ইয়ে মানে নেক্সট পর্ব কবে? বিয়া করতে অধীর আগ্রহে বইসা আছি!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০১
অপু তানভীর বলেছেন: আমার পিসি অতি শ্লো !
তাই দেরি হইতাছে !!
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
শায়মা বলেছেন: আমি বর্ষার পক্ষে সাক্ষী আছি ভাইয়া। আহালে এমন সিনেমা স্টাইলে কিডন্যাপ হওয়া একটা মেয়ে বিয়ে করতে যাচ্ছে তার দিকে কেউ নাই তাই হয় নাকি?? কবে বিয়ে তাড়াতাড়ি বলো বিউটিবক্সটা নিয়ে এসে যাচ্ছি বেনারসী লাগলে সেটাও মিরপুর বোনরসী পল্লী থেকে নিয়ে এসে যাবো।