নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্জনতার গল্প

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২২

-আপনি এখানে কতক্ষন থাকবেন ?

আমি এতোক্ষন মেয়েটার দিকেই তাকিয়ে ছিলাম । একটু অবাক লাগছিল মেয়েটাকে দেখে । এতো নির্জন একটা রাস্তায় একা একটা মেয়ে এতো দুর হেটে চলে আসছে, ব্যাপারটা একটু অন্য রকম ।



আমার অবশ্য ভুলও হতে পারে । হয়তো মেয়েটার সাথে আরো কেউ আছে । কিন্তু আমি যেখানটাতে বসে আছি সেখান থেকে তাকিয়ে আর কাউকে দেখা যাচ্ছে না ।

মেয়েটাকে হেটে সরাসরি আমার পাশেই বসতে দেখলাম । একটু মনে হয় দম নিচ্ছিল । অনেক দুর হেটে এসেছে ।

আমি চুপচাপ চারপাশ দেখছিলাম । নির্দিষ্ট কোন কিছু না । তাকিয়ে থাকা আর কি ! আমার কেবল তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করার নাই । হঠাৎই মেয়েটি প্রশ্নটা করলো ।

-আপনি এখানে কতক্ষন থাকবেন ?

-কেন বলুন তো ?

-না মানে আমি পথ হারিয়ে ফেলেছি । কোন দিকে যাবো ঠিক বুঝতে পারছি না ।

আমি খানিকটা রহস্য করে বললাম

-আমি যে সঠিক পথটা জানি সেটা আপনি কিভাবে জানেন ?

মেয়েটি একটু অবাক হয়ে বলল

-আপনিও কি পথ হারিয়েছেন আমার মত ?

আমি হাসলাম ।

-না ! আমি পথ হারাই নি ! আমি পথ হারাতে পারি না ! আর এই পথ কোন দিন আমাকে হারাতে দিবে না ।

-মানে ?

মেয়েটার চেহারায় একটু দ্বিধা দেখতে পেলাম ।

-কোন মানে নেই । বাদ দিন । আমি কতক্ষন থাকবো কেন জানতে চাইছেন ?

-না মানে জায়গাটা খুব সুন্দর । এতো গাছ গাছালী আমি এর আগে কোন দিন দেখি নি । হাটতে হাটতে তাই কখন পথ হারিয়ে ফেলেছি বুঝতে পারি নি । আপনি যদি আরো কিছুক্ষন থাকতেন তাহলে ঐ দিকটা একটু ঘুরে দেখতাম ।



আমি মেয়েটির কথা শুনে হেসে ফেললাম । মেয়েটি পথ হারিয়েছে তবুও আর একটু ঘুরে দেখতে চাইছে । আমি বললাম

-ঐ দিকটায় গেলে এই পথটাও আবার হারিয়ে ফেলবেন । তখন ?

-ও !

একটু যেন হতাশ হল মেয়েটি । আর একটু মনেহয় বেড়াতে মন বলছে মেয়েটির । আসলেই এই জায়গাটাই এমন । কেমন একটা নেশা ধরিয়ে দেয় । প্রথম প্রথম আমারও এমন হত । আমি বললাম

-আপনার আমার পাশে হাটতে আপত্তি না থাকলে আর একটু সামনে যাওয়া যায় । সামনে একটা চমৎকার বাঁধানো পুকুর আছে ।

-তাই নাকি ?

মুহুর্তের ভিতর মেয়েটির মুখটা উজ্জল হয়ে উঠলো । আমার আর কিছু বলার আগেই মেয়েটি উঠে দাড়ালো ।



আমি মেয়েটিকে আবার ভাল করে তাকালাম । সাদা রংয়ের একটা কামিজ পরেছে মেয়েটা সাথে সাদা ল্যাগিংস । নিলার পছন্দের পোষাক । প্রায়ই ও এই রকম পোষাক পরত ।

শেষবার যখন ওকে এখানে নিয়ে এসেছিলাম সেদিনও নিলা সাদা সেলোয়ার কামিজ পরেছিল । চুল গুলো খোলা ছিল । বাতাছে উড়ছিল । মাঝে মাঝে ও সেই অবাধ্য চুল গুলো সামলানোর চেষ্টা করছিল ।





মেয়েটা বলল

-কৈ চলুন । আলো কমে আসছে ।

আমি উঠে দাড়ালাম ।



পাশাপাশি হাটছি । মেয়েটা এক মনে কথা বলেই চলেছে । যেন ওর সাথে আমার কত দিনের চিন-পরিচয় ।

এই মেয়ে গুলো কত অদ্ভুদ হয় । কত দিনের পরিচিত মানুষের সাথে কেমন অচেনার মত আচরন করে । আবার নাম না জানা কারো সাথে কত পরিচতি ভঙ্গিতে কথা বলে !

সব মেয়ে কি এমন হয় ? কত দিনের পরিচিত নিলা কেমন করে অপরিচিত হয়ে গেল ।

আর এই মেয়েটি ?

আচ্ছা এই মেয়েটির নাম কি ?

একবার কি জিজ্ঞেস করবো ?

থাক ! দরকার নেই । চেনা পরিচয় হলেই বরং ঝামেলা ।

না চেনাই থাক । আমি মেয়েটির পাশে হাটতে লাগলাম চুপচাপ ।





পুকুর দেখিয়ে যখন আবার ফিরে এলাম তখন আলো মিলিয়ে গেছে । আর একটু এগুতেই দেখি কয়েকটি টর্চ লাইটের আলো এদিকে এগিয়ে আসছে । মেয়েটিকে খুজতে আসছে মনে হয় । হল ও তাই । মেয়েটির জন্যই এসেছে ওরা ।



মাঝ বয়সী এক লোক মেয়েটিকে কিছুক্ষন বকাবকি করলো । আমি মেয়েটিকে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসছিলাম শুনে আমাকে ধন্যবাদ দিল ভদ্রলোক । আরো কিছুক্ষন কথাবার্তা বলে ওরা চলে গেল ।



আমি দাড়িয়ে রইলাম । আলো গুলো যখন মিলিয়ে গেল তখন মনে হল মেয়েটির নামটা তো জানা হল না । একবার জিজ্ঞেস করলেই হত ।





*****

-আচ্ছা আপনি কেমন মানুষ বলুন তো ?

আমি কিছুক্ষন মেয়েটির চেহারার দিকে তাকিয়ে রইলাম । কিছু একটা বোঝার চেষ্টা করছি । মেয়েটার চেহারায় দেখে ঠিক মত বুঝতে পারছি না আসলে মেয়েটা কি বলতে চাচ্ছে । আমি কিছু না বোঝার ভান করে বললাম

-বুঝলাম না । কেমন মানুষ মানে আসলে কি বোঝাতে চাচ্ছেন ?

মেয়েটা এমন একটা মুখ ভঙ্গি করলো যেন আমি বড্ড ছেলেমানুশী প্রশ্ন করে ফেলেছি । মেয়েটি বলল

-কালকে আপনার সাথে এতো কথা বললাম আপনিতো একটা বারও আমার নাম জানতে চাইলেন না ! এমন কি নিজের নাম টাও তো বললেন না ! জানেন আমি রাতের বেলা অনেকক্ষন এইটা নিয়ে ভেবেছি ।



আমি কিছু না বলে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকলাম কিছুক্ষন । গতকাল যাওয়ার পরে আমি বেশ কিছুক্ষন ধরে মেয়েটির কথা ভেবেছি । বেশ কয়েকবার মনে হয়েছিল মেয়েটির নাম টা জিজ্ঞেস করা উটিত্‍ ছিল । এমনটা মনে হওয়ার কি খুব বেশি কারন ছিল ?

আমি নিজেও খানিকটা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম মেয়েটাকে নিয়ে এতো ভাবছি দেখে । এতো তো ভাবার কথা না ।

তাহলে ?

প্রতি দিন বিকেলের এই ভ্রমনটা শেষে যখন বাংলোতে ফিরি মনটা আশ্চার্য রকম উদাস হয়ে থাকে । একটা সীমাহীন বিষন্নতা আমাকে পেয়ে বসে । তখন নিলার কথা খুব বেশি করে মনে পড়ে । ওর প্রয়োজনীয়তাটা খুব বেশি করে অনুভত হয় । বারবার মনে হয় ওর পাশে থাকাটা হয়তো দরকার ছিল খুব বেশি । কিন্তু ও পাশে থাকে নি ।



কিন্তু কাল সন্ধ্যায় এমনটা মনে হয় নি । কালকে সন্ধ্যা থেকে রাতের ঘুমানোর আগ পর্যন্ত মেয়েটির কথা ভেবেছি ।

কেন ভেবেছি ?

এই প্রশ্নটার উত্তর হয়তো আমার কাছে জানা । আবার হয়তো জানা নেই । তবে আমার মেয়েটির কথা ভাবতে ভাল লেগেছে ।

আচ্ছা মেয়েটিও কি নিলার মত আচরন করবে । সব কিছু জানার পরে আমার সাথে অচেনার মত আচরন করবে ?

কে জানে !



-কি হল চুপ করে গেলেন যে ?

মেয়েটির কথায় আবার বাস্তবে ফিরে এলাম ।

-আমি ?

-জি আপনি ? আচ্ছা আপনি এমনই নাকি ?

-কেমন ?

মেয়েটি এবার একটু কপট রাগ দেখানোর মত মুখ ভঙ্গি করলো । বলল

-বুঝেছি । থাক এ ব্যাপারে আর কথা বলে লাভ নেই ।

-হুম ।

আমি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললাম

-আচ্ছা আজকেও কি আপনি পথ হারিয়েছেন ?

-নাহ । আজকে পথ হারায় নি । পথ চিনেই এসেছি ।

-যদি হারিয়ে যেতেন কালকের মত ? আর যদি আজকে আমি এখানে না থাকতাম ? তাহলে ?

-উহু ! আপনি বড্ড বেশি "যদি" ব্যবহার করেন দেখছি ।

কয়েক মুহুর্ত আমার দিকে তাকিয়ে থাকার পর বলল

-আসলে আমার মন বলছিল আপনি আজকেও এখানে থাকবেন । আর পথ যেন না হারাই যেই জন্য একজন কে নিয়ে এসেছি !

-কোথায় ?

-আছে আসেপাশেই ! এই জায়গাটায় নাকি ভুত থাকে তাই সে আসতে চায় নি । তাকে ঐ মোড়ের মাথায় রেখে এসেছি !





আমার মনটার ভিতর একটু চাঞ্চল্য দেখা দিল । এই জায়গাটাতে আসলেই লোকজন আসতে চায় না । বনের ভিতর যারা কাঠ কাটে তারাও এই জায়গা টা এড়িয়ে চলে । তাদের চোখেও নাকি কখন কি পড়েছে !

কে জানে ?

আমি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললাম

-তা আপনার ভয় লাগে না ? জায়গাটা এতো নির্জন ? ভয় লাগারই তো কথা !

মেয়েটা আবার সেই মুখ ভঙ্গি করলো যেন আমি খুব হাসির কোন কথা বলে ফেলেছি । বেঞ্চে বসা থেকে উঠতে উঠতে মেয়েটি চারিদিকে একবার ঘুরে চোখ বন্ধ করলো । হাত দুটো বুকের কাছে নিয়ে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে বেশ কিছুক্ষন চুপ থেকে বলল

-নির্জনতা আমার অসম্ভব প্রিয় । বিশেষ করে এই রকম নির্জনতা ! ইচ্ছে হয় সারা জীবন এখানেই থেকে যাই ।

-সারা জীবন থাকার জন্য কিন্তু এই রকম নির্জনতা মোটেই ভাল নয় । এই রকম নির্জন নিস্তদ্ধতায় মানুষ কিন্তু বেশিদিন বাঁচতে পারে না !

-কেন ? আপনি বেঁচে নেই ?



কথাটার উত্তর দিতে গিয়েও দিতে পারলাম না । চুপ করে তাকিয়ে রইলাম মেয়েটার দিকে ।





*****

নির্জনতার আলাদা একটা শব্দ আছে । আলাদা একটা সুর । প্রথম প্রথম সবাই সেই সুরটার প্রেমে পড়ে যায় । নির্জনাকে আপন করে নিতে চায় । মনে হয়ে যেন পৃথিবীর সবটুকু সুখ বুঝি এরই ভিতর নিবদ্ধ । কিন্তু আস্তে আস্তে এই সুরটাই হয়ে যায় সব থেকে অসহ্যের কারন ।



নিলাও ঠিক একই ভাবে আমার কাছে এসেছিল । আমার কাছে, এই নির্জনতার কাছে নিজেকে সপে দিয়েছিল । আমার হাতে হাত রেখে বলেছিল আমার পাশেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিবে এই নির্জন নিস্তবদ্ধ জগতে । যেখানে কেবল থাকবো আমি আর তুমি !



কিন্তু নিলা পারে নি । পারবে না জানতাম । এরকম মৃত্যুপুরির ভিতর কেউ বেশি দিন বাঁচতে পারে না ।



মেয়েটির কথায় আবার আমি বাস্তবে ফিরে আসি ।

-কি ব্যাপার ? কথা বলছেন না ? আপনি বেঁচে নেই ?

এই বলে মেয়েটি বাচ্চা মেয়ের মত হেসে উঠল । এমন একটা ভাব যেন খুব মজার কোন কথা বলেছে । মেয়েটার হাসি টা সুন্দর । দেখলে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে । আমার বিবর্ণ জীবনে অনেক দিন পর এমন মিষ্টি হাসি দেখতে পেলাম ।

-এই যে মিষ্টার ! আপনার সমস্যা কোথায় বলুন তো ? কথা জিজ্ঞেস করলে জবাব দেন না কেন ?

-আমি ?

-জি আপনি ?

-লেখক মানুষ তো ! মুখ চলে কম ! চিন্তা করি বেশি !

মেয়েটার চোখে এবার বিশ্ময় দেখতে পেলাম ।

-আপনি লেখক ? সত্যি ? কি লেখেন ? গল্প নাকি কবিতা ?

-কবিতা অনেক কঠিন জিনিস । আমি ঠিক বুঝি টুঝি না । হালকা পাতলা গল্প লেখার চেষ্টা করি ।

-তাই নাকি ? প্রেমের গল্প লিখেন ?

-নাহ । তাও না । হরর গল্প লেখার চেষ্টা করি আর কি !

-ভুত ! হুম বুঝেছি ! এই জন্য লোকে বলে এখানে ভুত থাকে । ভুত থাকে না । ভুতের লেখক থাকে ।

মেয়েটি আবারও বাচ্চাদের মত হেসে উঠল । তারপর হাসি থামিয়ে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল

-আচ্ছা লেখক সাহেব । আমার নাম তানজিনা কবির । তবে আমার বন্ধুরা আমাকে লিয়া ডাকে । ইচ্ছে করলে আপনিও লিয়া ডাকতে পারেন ।

-আচ্ছা ! লিয়া ডাকবো ।

-এবার আপনার নাম বলেন !

আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললাম

-আমি যতদুর মনে হচ্ছে আপনি আমার নাম জানেন । আমার সম্পর্কে খোজ খবর নিয়েই তারপর এসেছেন । তাই না ?



লিয়া এবার কিছুটা সময় আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো । বাচ্চা মেয়ের অপরাধ বা মিথ্যা ধরা পড়ে গেলে যেমন মুখ ভঙ্গি করে লিয়া ঠিক সেই রকম করে রইল । তারপর বলল

-আসলেই লেখকদের বুদ্ধি বেশি থাকে । তবে কাল কিন্তু আমি সত্যিই পথ হারিয়ে ফেলেছিলাম ।

-জি আমি জানি ।

-আর সত্যি কিন্তু আজকে ঠিকই আসতাম আপনার সাথে দেখা করতে । আপনার পরিচয় যাই হোক না কেন ! আসলে আমরা যে রেস্ট হাউজটাতে উঠেছি সেখানে আপনার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেই এতো গুলো কথা বলল আর কি বলব । আর বলুন এতো বিখ্যাত একজন লেখকের সাথে কে না দেখা করতে চাইবে বলুন ।

আমি একটু হাসলাম ।

-আমি কি আসলেই বিখ্যাত কেউ ?

-কি বলেন ! আপনি তো সব সময় নিজের চারিপাশে একপ্রকার ধোঁয়া তৈরি করে রাখেন । এই জন্য মানুষ জনের আপনার সম্পর্কে দারুন আগ্রহ । লেখেন ভুতের গল্প । থাকেন জঙ্গলের ভিতর । ফোন ব্যবহার করেন না কারো সাথে যোগাযোগ করেন না । একা একা থাকেন । বিকেল হলে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান । আগ্রহ হবে না কেন বলুন ?

-বাহ ! আমার সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন দেখছি ।

লিয়া একটু হেসে বলল

-আরও অনেক কিছু জানি ।

-হুম ।



একটু হতাশ হলাম মনে মনে। কেন জানি এই মেয়েটিকে আর ভাল লাগছে না । গতকাল মেয়েটিকে কেন জানি পরিচিত মনে হয়েছিল আজকে বড্ড অপরিচিত মনে হচ্ছে ।

মনে হচ্ছে আমার নির্জন পৃথিবীতে বড কোলাহল ঢুকে পরেছে । যা পছন্দ নয় মোটেও ।

-আচ্ছা আজকে উঠি ।

মেয়েটিকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আমি উঠে পড়লাম ।

কালকে থেকে কদিন আর এখানে আসা যাবেনা । মেয়েটার কাছ থেকে দুরে থাকতে হবে ।





******

নিলাও ঠিক এই রকম ভাবেই একদিন আমার কাছে এসেছিল ! আমার হাত হাত রেখে বলেছিল আমাকে ছেড়ে যাবে না কোন দিন । কিন্তু সে কথা রাখে নি !

কিছুদিন এই নির্জনতার ভিতর থেকে কেমন যে হয়ে গেল ! কোন কিছুতেই আর তাকে বেধে রাখা যাচ্ছিল না ! আমার ভালবাসাও না !

আমাকে রেখে সে চলে যাবেই । কিন্তু আমি কিভাবে তাকে যেতে দেই ?

তাকে যেতে দেই নি !



ও যখন আমাকে রেখে চলে যাবেই ঠিক করেছিল আমি ওকে শেষ বারের মত আমার সাথে এই নির্জনতার ভিতর এনেছিলাম শেষ বারের মত ওর হাত ধরে হাটবো !



হাটছিলাম ওর হাত ধরে ! সাদার শুভ্রতায় ওকে কেমন দেবীর মত লাগছিল ! আমি খানিক্ষন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি আবার খানিকক্ষন বিষন্যতা নিয়ে ! নিলা চলে যাবে ?

কেন চলে যাবে ? ভাবতেই পারছিলাম না !



আমরা ঐ সান বাঁধানো পুকুরের পাড়ে বসেছিলাম অনেকক্ষন ! নিলা উঠতেই যাচ্ছিল হঠাৎ কি হল ওর পা পিছলে গেল ! আমার চোখের সামনে নিলা ঘন কালো পানির ভিতর পরে গেল !



আমি দাড়িয়ে রইলাম চুপচাপ ! যখন পানির ভিতর হাবুডুবু খাচ্ছিল মাঝে মাঝে কেমন অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল ! এমন একটা ভাব যেন আমিই ওকে ধাক্কা মেরেছি !

তাই কি ?

কি জানি ! ঠিক মত বলতে পারি না ! আমি নিজেই তখন একটা ঘোরের ভিতরে ছিলাম ! কি করেছি কিছুই জানি না !



নিলা যেতে পারলো না ! রয়ে গেল আমার কাছেই !



এ মেয়েটিও তেমন হবে ! প্রথমে আমার সব কিছুই ভাল লাগবে তারপর আস্তে আস্তে সব কেমন অসহ্য হয়ে উঠবে !

নাহ ! দরকার নেই !



আমি পুকুরের দিকে হাটতে থাকি ! নিলা ওখানে আমার জন্য অপেক্ষা করছে !!





Click This Link

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৬

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: চমৎকার লাগলো । ++++++++++++++++++++++

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !! :):):)

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১১

মাহবু১৫৪ বলেছেন: দারূণ

+++++

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৭

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !! :):):)

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৭

শায়মা বলেছেন: :)

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

অপু তানভীর বলেছেন: :):):)

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সুন্দর ছিমছাম গল্পে ++++ রইল।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী ভাই !! :):)

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০১

প্রবাল ক্ষ্যাপা বলেছেন: পুরাই ডিফ্রেন্ট!! খুব ভাল লেগেছে।।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ !! :):):)

৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

একজন আরমান বলেছেন:
বিখ্যাত অপু মিয়া অনেক দিন পর তোমার গল্প মন দিয়ে পড়ার সময় পেলাম। ব্যাতিক্রম লিখেছো। আমার অনেক ভালো লেগেছে। :)

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

অপু তানভীর বলেছেন: আমি আর বিখ্যাত হইলাম কই ?

যাক অনেক দিন পর আমার গল্প পড়লা দেখে ভাল লাগলো !!

ভাল থাকো !! :):)

৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

অশ্রু কারিগড় বলেছেন: রোমিও, গল্পের ডাইমেনশনতো দিন দিন বহুরূপী হচ্ছে :-& ।
ভাল লাগল ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

অপু তানভীর বলেছেন: রোমিও !! :!> :!> :#> :#>


আপনেরে থেঙ্কু !!

৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সুন্দর গল্প। ভালো লেগেছে বেশ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

অপু তানভীর বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর শঙ্কু !!

:):):)

৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৬

নিরপেক্ষ মানুষ বলেছেন: বেশ চমত্‍কার

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !! :):):)

১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৯

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :) :) :) :)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

অপু তানভীর বলেছেন: :) :) :)

১১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ওয়াও! অন্য রকম গল্প! নির্জনতা ফুটিয়ে তুলাতে বেশ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। শেষে এসে সাইকো থ্রীলার টার্ন! আপনার লেখা সেরা গল্পগুলোর মধ্যে একটা! চালিয়ে যান, দিনদিন কিন্তু এক্সপোনেশিয়ালি লেখার মান ভাল হচ্ছে। :)

শুভকামনা রইল।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার কথা সব সময় মন ছুয়ে যায় ভাই ! সত্যি বলছি !
আমি গল্প লিখে কোনদিন এটা দেখি নি আমার গল্প কতবার পঠিত হল বা কে কে আমার ব্লগেই মন্তব্য করলো । কিন্তু এখন মনে মনে একটা আশা থাকে যেন কয়েকজন মন্তব্য করুক । তার ভিতর আপনি একজন !


ভাল থাকবেন সব সময় ! আমার নিয়মিত আসবেন আমার ব্লগে !! :):)

১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

নওরীন ইশা বলেছেন: Apner gotanugotik golpogulo theke ektu different.valoi laglo

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ !! :):)

১৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৪০

বটবৃক্ষ~ বলেছেন:

ডিফরেন্ট .... রিয়েলি ডিফরেন্ট ফ্রম ইওর আদার ক্রিয়েশানস......

ভালো লাগছে বেশ পড়ে!

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

অপু তানভীর বলেছেন: আমার সব লেখাই তো তোমার ভাল লাগে । লাগে না বল ?:):):)

১৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: হুমম। রহস্য, প্রেম, বিষাদ আর অপরাধ। ভাল । খুব ভালো।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

অপু তানভীর বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ!! :):)

১৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৫

দরোজা বলেছেন: ল্যাগিংস কে দেখি এক মিনিটের জন্যও ভুলতে পারেন না ভাইডি...এত ভালা পান ল্যাগিংস কে ...

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

অপু তানভীর বলেছেন: কি আর করা বলেন!!! :D :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.