নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিমুর সারা জীবনের ইচ্ছে ছিল এই রকম একটা বাগান বাড়ি হবে । বেশি বড় না, ছোট একটা । দুই তিনটা রুম থাকবে । একটা কিচেন থাকবে । আর থাকবে একটা বারান্দা । বর্ষা কালে প্রবল বৃষ্টির মাঝে বারান্দায় বসে বসে বৃষ্টি দেখবে । অথবা যখন প্রবল তুষার পাত হবে তখন ফারার প্লেসের পাশে বসে গরম কফির কাপে চুমুক দিবে আর কাঁচের জানালা দিয়ে বাইরে থাকিয়ে থাকবে । সেই রকমই একটা ইচ্ছে পূরন হয়ে গেল ওর । অপু যে ওর জন্য এই রকম একটা বাড়ি কিনে ফেলবে সেটা ও একদম ভাবতেই পারে নি ।
বাড়িটা শহর থেকে বেশ খানিকটা দুরে । আশে পাশে রিজার্ভ ফরেস্ট থাকলেও ওদের মত আরও বেশ কয়েকটা বাড়ি আছে আশে পাশে । ওদের বাড়িটা একেবারে সবার শেষে । বাড়িটা যে কেবল ওদের অবকাশ যাপনের জন্য তাও নয় । অপুর পরিকল্পনা আছে বাড়িটা সে ভাড়া দিবে । সব সপ্তাহে হয়তো এখানে আসা হবে না । তখন বাড়িটা ভাড়া দেওয়া হবে । মিমুর তাতে কোন আপত্তি নেই । ওর আসার সময় কাউকে ভাড়া না দিলেই চলবে !
আপাতত ওরা দুজন মিলে বাড়িটা গোছগাছ করে চলেছে । অপু পুরো আসবার পত্রের ভেতরে যেগুলো বাতিল সেগুলো বাইরে বের করার চেষ্টা করছে অন্য দিকে মিমু ঘর থেকে সব ওয়ালপেপার খুলে ফেলছে । পুরো বাড়িরটার দেওয়াল ওয়ালপেপার দিয়ে ঢাকা । ওরা ঠিক করেছে ওয়াপপেপার গুলো খুলে ফেলে নতুন করে দেওয়ালে রং করবে । হয়তো কিছু স্থানে প্লাস্টার করতে হতে পারে । সেটাও করবে ।
মিমুর দেওয়াল থেকে কাগজ গুলো ছাড়াতে বেশ মজাই লাগছে । কাগজ গুলো ঠিক কেমন যেন ! তবে দেওয়াল থেকে উঠাতে বেশ মজাই লাগছে । টান দিলেই উঠে আসছে আস্তে আস্তে । ওয়ালপেপার গুলো ছাড়িয়ে এক পাশে জড় করে রাখছে সে ।
মিমু কয়েকটা ওয়াল পেপার উঠিয়ে ফেলল খুব সহজেই । তারপরই ব্যাপারটা লক্ষ্য করলো সে । প্রতিটা ওয়ালপেপারের এক কোনায় একটা নাম লেখা আর একটা তারিখ লেখা । যেমন মাত্রই যে ওয়ালপেপারটা মিমু ওঠালো সেটার নাম এনি বেক্স । তারিখ লেখা ২২/০২/২০১১ । মিমু কিছু সময় তারিখ আর নামের দিকে তাকিয়ে রইলো। তারপর কি মনে হল যে ফোন বের করে ওর নাম আর তারিখটা টাইপ করলো । একটু অবাক হয়েও লক্ষ্য করলো যে এনি বেক্স নামে কয়েকটা লিংক এসে হাজির হল গুগলে । এবং আরও অবাক করা ব্যাপার যেটা ধরা পড়লো সেটা হচ্ছে এনি বেক্স নামের একটা মেয়ে ঐ তারিখেই গায়েব হয়ে গিয়েছিলো ।
মিমু এবার একটু নড়ে চড়ে বসলো । সে ধীরে ধীরে সব গুলো ওঠানো ওয়ালপেপারে লেখা নাম আর তারিখ গুলো একটা কাগজে আলাদা ভাবে লিখলো । এবং একে একে সব গুলো গুগলে সার্চ দিয়ে দেখলো । দেখতে পেল যে সব গুলো নামের মানুষেরাই মিসিং হয়েছে এবং তারা নির্ধারিত তারিখেই মিসিং হয়েছে । এবার মিমুর একটু ভয় পেয়ে গেল । এটা কি কোন কাকতালীয় ব্যাপার হতে পারে? একটা হয়তো মিলে যেতে পারে কিন্তু সব গুলো নাম আর তারিখ কিভাবে মিলে গেল !
অপু দেখাতেও সেও খানিকটা ভুরু কুচকে তাকালো । এবং সাথে সাথেই পুলিশকে খবর দেওয়া হল ।
এই বাড়িটা ওরা কিনেছিলো একজন এজেন্টের কাছ থেকে । বাড়ির আগের মালিক নাকি মারা গাছে বেশ কিছুদিন । তার কোন উত্তরসূরি না থাকায় সরকার সেই এজেন্টকে বাড়ি বিক্রির দায়িত্ব দেয় । সেখান থেকে বাড়িটা কিনে নিয়েছিলো ওরা ।
পুলিশ এল কিছু সময় পরে । তারপর পুলিশের টিম পুরো বাড়িটা পরীক্ষা করে দেখতে লাগলো । দেওয়াল গুলো পরীক্ষা করছে । মিমু দেখলো তারা কেমন গম্ভীর হয়ে কি যেন আলোচনা করছে । এরপরই মাঝে একজন বলল, হ্যা এটা মানুষেরই !
মিমু ঠিক বুঝতে পারলো না । মানুষের বলতে কি বোঝাতে চাচ্ছে । একজন অফিসার এসে মিমুর দিকে তাকিয়ে বলল, ম্যাম, আপনি যে ওয়ালপেপার গুলো খুলেছেন সেগুলো কোথায় ?
মিমু হাত দিয়ে বাইরের বারান্দা দেখিয়ে দিল । সব ওয়ালপেপার গুলো ওখানেই রাখা । অফিসারটি বলল, আপনি যেগুলো ওয়াপপেপার ভাবছেন আসলে সেগুলো ওয়ালপেপার না ! কাগজের তৈরি না ।
বিস্ফারিত চোখে মিমু বলল, তাহলে?
অফিস একটু অস্বস্তি নিয়ে বলল, ওগুলো মানুষের চামড়া দিয়ে তৈরি !
মিমুর মাথাটা ঘুরে উঠলো । আরেকটু হলে হয়তো মাথা ঘুরে পড়েই যেত তবে অপু ওকে এসে ধরে ফেলল। মিমু অপুর দিকে তাকিয়ে বলল, এখনই এখান থেকে চল । আমি এখানে একদমই থাকতে চাই না । একদম না । আমার দরকার নেই এই বাগান বাড়ির !
(গল্প উৎস ইউটিউব, একটি অডিও স্টোরী থেকে)
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০৯
অপু তানভীর বলেছেন: আদিম যুগ থেকেই এই রকম কর্মকান্ড চলে আসছে । তখন এই সব অনেকটা স্বাভাবিক ছিল কিন্তু মানুষ যত সভ্য হতে শুরু করেছে তত এসব থেকে দুরে সরে গেছে । কিন্তু কিছু মানুষ এখনও সেই আদিম মনভাব নিজেদের ভেতরেই রেখেছে । এরাই এই ধরনের বিকৃত কাজ গুলো করে !
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বহু আগে এমন একটা গল্প পড়েছিলাম। তবে অনুগল্প না, বড় গল্প। আপনারটাও ভালো হয়েছে.......তবে তৃপ্তি মিটে নাই।
অনুগল্প পড়ে তেমন একটা মজা নাই। চোখের পলকে শেষ হয়ে যায়!
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১১
অপু তানভীর বলেছেন: আমার অবশ্য অনু গল্প বরাবরই পছন্দ । গল্প পড়ার কিছু সময় নিজের মনের কাছেই চিন্তা চলে গল্প নিয়ে ।
এই থিমের অনেক গল্পই আছে ।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য !
৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: কি থেকে কি হয়ে গেল!!!
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১১
অপু তানভীর বলেছেন: এই রকমই হয় ! কি থেকে যে কি হয়ে যায় !
৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩
অজ্ঞ বালক বলেছেন: হে হে হে। নাইস ওয়ান ম্যান। এই রকম গোরি, ক্রিপি এন্ডিং ভাল্লাগে।
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১২
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সন্তুষ্ট নই অপু ভাই।
এত ছোট ।শুরুর আগেই শেষ। গল্পের প্লট ভাল কিন্তু
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১২
অপু তানভীর বলেছেন: ছোট বড় নিয়েই মানুষের জীবন !
আজ ছোট কাল বড় !
নো টেনশন!
৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৫৩
মা.হাসান বলেছেন: ধ্যাত, মানুষের চামড়া খুব পাতলা; এমনকি ক্রোম ট্রিটমেন্ট করলেও ওয়াল পেপার বানানোর জন্য মোটেও ভালো হবে না।
তবে হ্যা , চামড়া মোটা কিছু লোক আছে। কিছু ছাগোল-পাঁঠা আছে। এদের দিয়ে ওয়াল পেপার বানালে খারাপ হয় না।
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৩
অপু তানভীর বলেছেন: আরে ঠিক ধরেছেন । গন্ডারের চামড়াওয়ালা কিছু লোকজন তো আছে জগতে । তাদের চামড়া দিয়ে ঠিকই ওয়ালপেপার বাবানো সম্ভব
৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩১
খাঁজা বাবা বলেছেন: অনেক ছোট
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১১
অপু তানভীর বলেছেন: ছোট গল্প ছোটই হবে।
৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৫
ইসিয়াক বলেছেন: কি ভয়ংকর!
গল্প ভালো লাগলো।
২২ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৩
অপু তানভীর বলেছেন: আসলেই ভয়ংকর গল্প ! এমন অবস্থা যদি সত্যি সত্যিই তৈরি হয় তখন উপায় আছে !!
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩২
কল্পদ্রুম বলেছেন: নাৎসিদের কর্মকান্ডের মতো বিভৎস ব্যাপার।তারা নাকি মানুষ মেরে তা দিয়ে সাবান,বোতাম তৈরি করতো।জেফরি ডেহমার না কি ভিক্টিমের হাড় গোড় দিয়ে মোমদানি,চাবির রিং এর মতো শো পিস বানাতো।