নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার শৈশবের কোন কোন ঘটনা আপনার মনে আছে? নিচের গুলোর সাথে মিলে যায় কি?

৩০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩



সত্যি বলতে কি আমি এবং আমার আশে পাশের বয়সে যারা আছে তাদেরকে আমি সব থেকে ভাগ্যবান জেনারেশন মনে করি । কারণ হচ্ছে আমরা আমাদের এই বয়সে একই সাথে একেবারে গ্রাম্য শৈশব পেয়েছি অন্য দিকে আধুনিকার সকল সোঁয়াও আমাদের হাতের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে এই সঠিক বয়সেই । সঠিক বয়স বলতে আমি বুঝিয়েছি যে আমরা ছোট বেলাতে কাদামাটির ঘর নিয়ে যেমন খেলা করেছি এবং কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয় জীবনে স্মার্টফোন নিয়ে ঘুরে বের হয়েছি । ঠিক যেই বয়সে যে জিনিসটা দরকার একেবারে ঠিক ঠিক সেই সময়েই সেই জিনিসটাই আমাদের হাতে এসেছে । যাই হোক যে কারণে এই পোস্ট লেখা শুরু সেটার দিকে যাই ।

আজকে শৈশবের কিছু কাজের কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করি । আশা করি এর ভেতরে অনেক গুলোই আপনারা করেছেন । বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়েরা এই কাজ গুলো আর করে না ।

১. রিমোট ছাড়া টিভি দেখা । এই ঘটনা আগে বলি । আমার এক স্টুডেন্ট এখন ক্লাস টেনে পড়ে । বছর দুয়েক আগে একদিন পড়ানোর সময় তাকে বললাম আমাদের বাসায় থাকা প্রথম সাদা কালো নিপ্পন টিভির কথা যেটার কোন রিমোর্ট ছিল না । টিভি স্ক্রিনের পাশে গোল রেগুলেটরের মত একটা সুইট থাকতো সেটা ঘুরিয়ে টিভির চ্যানেল ঘুরাতে হত । এই কথা শুনে সে যেন আকাশ থেকে পড়লো । তার কাছে টিমোর্ট ছাড়া যে টিভি হতে পারে এই ব্যাপারটা একেবারে নতুন । আমার থেকে যারা বয়সে বড় কিংবা আমার সম বয়সী, সবাই এই রিমোর্ট ছাড়া টিভি দেখেছে । প্রায় সবার বাড়িতেই এই টিভি ছিল তখন । তখন অবশ্য খুব সমস্যা হত না । কারণ চ্যানেল বলতে একটাই ছিল । বিটিভি । চ্যানেল বদলানোর খুব একটা দরকার পড়তো না ।

২. টিভি এন্টেনা। যদিও বেশ ছোট থেকেই আমাদের বাসাতে ডিস সংযোগ ছিল তবে বাড়িতে টিভির একটা এন্টেনা ছিল । বিটিভি দেখার জন্য এই এন্টেনা দরকার পড়তো । কিন্তু যখন এই এন্টেনা নড়ে যেত তখন ছবি আসতো না পরিস্কার । ঝিঝির করতো । তখন ছাদে উঠে এই এন্টেনা ঘুরাতে হত । আর একজন দাড়ানো জানালার কাছে । এন্টেনার বাশ নাড়ানো একটু একটু করে আর বলতো ছবি এসেছে, জানালার ধারে দাড়ানো মানুষটাকে বলতে হত ছবি পরিস্কার হয়েছে কিনা ! বড় এন্টেনার বাঁশ নাড়ানোর আমাদের কর্ম ছিল না । আমরা ছোটরা জানালার সামনে দাড়িয়ে দেখতাম ছবি এসেছে কিনা পরিস্কার !

৩. হেরিকেন ও কুপি বাতি । গতদিনের কথা । আমার আরেক স্টুডেন্টকে বললাম সে হেরিকেন আর কুপির নাম শুনেছে কিনা ! সে আসলে এসবের নাম শুনে নি । এমন কি চেনে পর্যন্ত না । শেষে গুগল থেকে ছবি বের করে তাদের দেখালাম । তারপরেও সে সেটা চিনতে পারলো না । কুপি বাতিটা সে কার্টুনে দেখেছে । তবে অন্য রকম খানিকটা । আমাদের ছোট বেলাতে সন্ধয়া হলেই নিয়ম করে বিদ্যুৎ চলে যেত । এটা নিয়ম ছিল । আমরা এই হেরিকেন বাতি জ্বালিয়ে পড়তে বসতাম । হেরিকেন জ্বালানো একটা ঝামেলার কাজ ছিল বাড়ির মেয়েরাই কেবল সেটা করতে পারতো । মাঝে মাঝে এমন হত হেরিকেনের কাঁচ ধোঁয়ায় ঘোলা হয়ে যেত । সেটা পরিস্কার করতে হত । কুপি দিয়ে পড়তাম না যদিও । কুপি ব্যবহার হত রান্না ঘরে । সন্ধ্যা বেলা বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরে রান্না ঘরে কোন কাজের জন্য এই কুপি ! এখন বিদ্যুতের সমস্যা অনেকই কেটে গিয়েছে । তারপরেও যখন বিদ্যুৎ চলে যায় তখন আর হেরিকেন জ্বালানো হয় না । চার্যার বাতি এখন খুব সহজলভ্য হয়েছে ।

৪. পঞ্চের স্যান্ডেল । আমরা অনেকেই এই পঞ্চের স্যান্ডেল পরতাম তখন । এখনও অবশ্য মানুষ এই স্যান্ডেলই পরে। এটা নিয়ে গল্প বলার একটা কারণ আছে অবশ্য । যখন কোন কারণে এই পঞ্চের স্যান্ডেলটা ছিড়ে যেত, বিশেষ করে নিচের দিকে হুকটা ছিড়ে গেলে আমরা অনেকেই কুপি আগুনে সেই হুকটা আবার জোড়া দিয়ে পরতাম । সেটাও টিকে যেত অনেক দিন ।

৫. এখন বিয়ের অনুষ্ঠান গুলো বড় বেশি প্রোফেশনাল হয়ে গেছে । কিন্তু আগে ঠিক এমন ছিল না । আমার এখনও মনে আছে অনেক বিয়ে বাড়ির গেট আমি কলা গাছ দিয়ে বানাতে দেখেছি । কলা গাছের উপরে রং বেরংয়ের কাপড় পেঁচিয়ে গেট সাজানো হত । এমন গেয় জানানো আপনাদের চোখে পড়েছে কি?

৬. এমনিতে সব সময়ই আমরা টুথপেস্ট দিয়েই দাঁত মাজতাম । তবে যখন গ্রামে বেড়াতে যেতাম, তখন দেখতাম আমাদের চাচী কিংবা নানীরা পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজেন না । তারা কয়লা ব্যবহার করেন । কৌতুহলী হয়ে মাঝে মাঝে আমিও সেই কয়লা দিয়ে দাঁত মাজতাম । দাঁত মাজার আরেকটা বস্তু দিল ম্যাকিজ ট্যুথ পাউডার । এই জিনিসটা এখনও আছে কিনা কে জানে !

৭. বর্ষা কালে আমাদের প্রিয় খেলা ছিল ফুটবল । বর্ষা কালে দুপুর কিংবা বিকেলে যদি বৃষ্টি নামতো তাহলে তো আর কথাই নেই । ফুটবল খেলতেই হবে। ফুটবল খেলার কোন নিয়ম কানুন নেই । বল যেদিকে সব প্লেয়ার সেদিকে । মৌমাচির ঝাকের মত সব প্লেয়াররা বলকে ঘিরে লাথি দেওয়ার চেষ্টা করছে । তবে মাঝে মাঝে এমন হত যে বল কোন পেরেক কিংবা সুঁচালো বস্তুতে লেগে ফুটো কিংবা লিক হয়ে গেছে । কিছুতেই হাওয়া থাকছে না । তখন আমরা সেই বল নিয়ে যেতাম মুঁচির কাছে । মুঁচি মশাই তখন সেই লিক সাইকেলের টিউয়ের পট্টি মেরে দিত । তবে এও বলে দিতো যে বেশি হাওয়া ভরা যাবে না । কারণ বেশি হাওয়া ভরলে সেটা খুলে যাবে । আমরা তারপর সাবধানে খেলতাম । তবে সেই টিক পট্টি খুব বেশি সময় টিকতো না । খুলে গেলে আবারও নিয়ে যেতাম মুঁচির কাছে । এছাড়া বল না থাকলে আমরা জাম্বারা দিয়েও ফুটবল খেলতাম । এটাও মজার একটা কাজ ছিল ।

৮. ছেলেরা এখন চুলে তেল দেয় না । কিন্তু সেই সময়ে ছেলেদের চুলে তেল দেওয়া খুবই সাধারন ব্যাপার ছিল । সরিসার তেল কিংবা নারিকেল তেল । স্কুলের সেভেন এইচ পর্যন্ত আমি নিয়মিত মাথায় তেল দিতাম । একবারের একটা মজা ঘটনা বলি । স্কুলে তখন বড় চুল রাখলেই স্যারেরা কেঁচি দিয়ে কেটে দিতো । একদিন স্কুলে এসে শোনা গেল যে হেড স্যার বড় চুলওয়ালাদের ধরে ধরে কেটে দিচ্ছে । তখন আমাদের থেকে বড় ক্লাসের এক ছেলে কি করলো দৌড় দিয়ে সরিসার তেল নিচে আনলো । তারপর সেটা প্রায় পুরোটুকুই মাথায় ঢেলে দিলো । মাথার চুল তেলে একেবারে জুবুজুবু করতে লাগলো । স্যার যখন তার কাছে এল সেই তেলের চুল ধরলেনই না । তার চুল কাটা হল না আর !

৯. আরেকটা মজার ব্যাপার হল টিউবয়ের নিচে বসে গোসল করা । বিশেষ করে যখন পুকুর থেকে কিংবা বৃষ্টিতে ভিজে আসতাম তখন বাসায় এসে আবারও কলের পানিতে গোসল করতে হত । তখন এমন হত আমি টিউবলের নলের নিচে বসেছি আর কেউ কল চাপছে । সেই পানিতে গোসল করছি । মাঝে মাঝে উঠতে গিয়ে মাথায় ঠুয়া খেতাম কলের মুখের সাথে । তারপর মাথা ডলতে ডলতে ঘরে যেতাম ।

১০. আমি জীবনে কোন দিন সিগারেট মুখে দেই নি । তবে পাঠকাঠির এক পাশে আগুন লাগিয়ে অন্য দিকে মুখ দিয়ে টেনে ধোঁয়া ছেড়েছি অনেক । এই কাজটা করতে মজাই লাগতো । এছাড়া তেজপাতা গুটিয়ে সেটাও সিগারেটের মত করে টানা হয়েছে বেশ ।

১১. সাইকেলের টায়ার নিয়ে খেলা আমার জীবনের আনন্দময় ঘটনা গুলোর একটা । এই টায়ার গুলো আমরা সংগ্রহ করতাম সাইকেলের দোকান থেকে । অনেক পরিত্যাক্ট টায়ার সেখানে পড়ে থাকতো । ১০/২০ টাকা দিয়ে পাওয়া যেত । সেই টায়ার গুলো আমরা একটা লাঠির সাহায্যে চালাতাম । আর তার পেছন পেছন দৌড়তাম । সেই লাঠি দিয়েই টায়ারটাকে এক ওদিক নিয়ে যেতাম । এই ব্যাপারটা অবশ্য আমার বাসার লোকজন পছন্দ করতো না । তাদের কাছে এই টায়ার চালানো মানে কোথাও গিয়ে ধাক্কা লাগা । এক্সিডেন্ট করা !

১২. সুপারি গাছের ডাল দিয়ে খেলা ছিল আরেকটা মজার ব্যাপার । একজন সেই ডালের গোড়ার দিকে বসতো । আর অন্য একজন কিংবা দুইঝন পাতা ধরে তাকে টেনে নিয়ে যেট । এই ভাবে বসার পালা বদল হত । আমি অবশ্য ঠিকঠাক মত বসতে পারতাম না কোন কালেই । ডান কিংবা বাম দিকে কাত হয়ে পড়ে যেতাম । তাই আমি বসার থেকে টেনে নিয়ে যাওয়াটা বেশি পছন্দ করতাম !




আমার ছোট বেলা এই রকম কত কাজ করে কেটেছে । এই গুলো সামান্য কয়েকটা ঘটনা । আরও কত ঘটনা যে রয়েছে । এখনকার ছেলে মেয়েরা এই সবের ধার দিয়েও যায় না । আমি যে ফ্যামিলির সাথে সাবলেট থাকি, তাদের একটা বাচ্চা আছে । সবে মাত্র ক্লাস টুতে পড়ে । জন্ম হওয়া থেকে তাকে দেখছি । খেলা বলতে সে এখন প্রতিদিন বিকেল বেলা বাসার সামনে রাস্তার উপরে আশে পাশের বিল্ডিংয়ের ছেলেমেয়েদের কিছু সময় দৌড়াডৌড়ি করে । ব্যাস আর কিছু না । আর সারাটা দিন সে ঘরে বন্দী । পড়াশুনা করে আর বাকি সময়ে সে টিভি, কম্পিউটার নয়তো স্মার্ট ফোন নিয়ে কাটায় । এই হচ্ছে এদের জীবন ।


ছবি সুত্র

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫১

জটিল ভাই বলেছেন:
৪ নং-এ চটি পরার বিষয়টাও বলতে পারতেন =p~

সুন্দর পোস্ট :)

৩০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:১০

অপু তানভীর বলেছেন: তখন আসলে স্যান্ডেল হিসাবেই চিনতাম । এটাকে যে চটিও বলে সেটা জেনেছি ঢাকাতে এসে !

২| ৩০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯

সাসুম বলেছেন: ১১ নাম্বার টা বাদে প্রতিটা করেছি। একদম গ্রামে বড় হয়েছি তাই।

তবে আরেক টা জিনিষ বাদ দিছিস- কসাই এর দোকান থেকে বা কোরবানির পর মাংস কাটার পর রানের মাংস ছাড়ানোর পর টেনিস ব্যাটের মত একটা জিনিষ বের হত সেই হাড্ডী দিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলতাম। আর চোয়ালের হাড্ডি দিয়ে ডাংগুলি খেলতাম অনেক শক্ত ছিল।

আরেকটা জিনিষ- গাব গাছের ঢাল দিয়ে ডাংগুলি বানানো হত কারন এটার মত শক্ত গাছ আর কিছু ছিল না। ভাইরে ভাই!

৩০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:১২

অপু তানভীর বলেছেন: এই কাজ অবশ্য আমি করি নি । আর ডাংগুলি খেলার ব্যাপারটা বাসা থেকে কঠিন ভাবে নিষেধ ছিল । তাই এই খেলা থেকে দুরে থাকতাম সব সময় । আমার বড় ভাই অবশ্য এই ডাংগুলি খেলার জন্য অনেক মাইর খেয়েছে । আমি মারের ভয়ে খেলতামই না !

৩| ৩০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মধুর সৃতি রোমন্থন আপনার।
১। আমার ধারনা ১৯৮৪ সালের আগে বাংলাদেশে টিভি রিমোট ছিল না। সাদা কালো টিভির রিমোট কখনও ছিল না।
২। টিভি অ্যান্টেনা ঘোরানোর আপনার আমার অভিজ্ঞতা একই রকম। ৩ বার ৪ জন লাগতো পুরো ব্যাপারটা নিওন্ত্রন করার জন্য। ১৯৮৬ সালের পরে সীমান্তের কাছের জেলাগুলির ( উত্তর-পশ্ছিম দিকের দিনাজপুর, রংপুর বগুড়া, রাজশাহি ইত্যাদি জেলা) মানুষ এন্টেনার সাথে আরও কিছু বাড়তি হাড়ি পাতিল লাগাতো, ফলে ভারতের কলকাতার দূরদর্শন তারা দেখতে পারতো। যদিও ছবি কিছুটা খারাপ আসত।
৩। আমরা যখন ১৯৮০ সালের দিকে টাঙ্গাইল থাকতাম তখন মাগ্রিবের আজান দেয়ার পরপরই বাসায় হারিকেনের চিমনি পরিষ্কার করে হারিকেনের তেজ কমিয়ে জ্বালিয়ে রাখা হতো। কারণ যে কোন সময় বিদ্যুৎ চলে যাবে অন্তত ২ বা ১ ঘণ্টার জন্য। কুপির ব্যবহার অবশই ছিল।
৪। স্পঞ্জের স্যান্ডেলের ফিতাও আলাদাভাবে বিক্রি হত মেরামত করার জন্য।
৫। শহরেও বিয়ের অনুষ্ঠান বাসাতেই হতো। কমিউনিটি সেন্টারের প্রচলন অনেক পরে এসেছে।
৬। কয়লা দিয়ে আমিও দাত মেজেছি। দাত বেশী চকচক করে। অনেকে নিমের ডাল বা টুথ পাউডার ব্যবহার করত।
৭। বর্শা আর কাদাতে ফুটবল খেলেতে সবচেয়ে বেশী মজা।
৮। তখন ধারনা ছিল যে চুলে তেল না দিলে চুলের ক্ষতি হবে। ফলে ছেলেরাও চুলে তেল দিত এবং মাথার বাম পাশে সিঁথি তৈরি করে চুল আঁচড়াত।
৯। টিউবওয়েল চাপার মধ্যে আনন্দ আছে। মফস্বলে যখন ছিলাম তখন আমাদের বাড়ির উঠানে কুয়া ছিল। আমরা কুয়ার পানি খেতাম।
১০। আমার নানিকে সিগারেট খেতে দেখেছি। ওনার হামান দিস্তা ছিল। আমরা ঐ হামান দিস্তা দিয়ে ওনার পান, সুপারি পিষতাম মজা করে।
১১। লোহার রিং নিয়ে ছেলেদের দৌড়াতে দেখেছি। নিজে অবশ্য খেলি নাই।
১২। সুপারি গাছের এই খেলা গ্রামে দেখেছি।

আমরা ঝরনা কলম দিয়ে লিখতাম। পরীক্ষার হোলে দোয়াত নিয়ে যেতাম। কালি শেষ হোলে আবার ভরতাম। এই ফাউনটেন পেনের পার্টসগুলি খুলে আমরা মাঝে মাঝে পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করতাম। একজনের কলম অন্যজনকে দিতে চাইতাম না। কারণ কলমের নিব মালিকের লেখার অভ্যাসের সাথে সাথে মসৃণ হত। অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দিলে পরবর্তীতে কলমের মালিকের পক্ষে মসৃণভাবে লিখতে সমস্যা হতো। একটা কলম অনেক কয়েক বছর ব্যবহার করত।

৩০ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৬

অপু তানভীর বলেছেন: সাদা কালো টেলিভিশনে আসলেই রিমোর্ট ছিল না। তবে আমাদের ওখানে টিভি মেজানিকরা কেমন করে জানি সাদাকালো টিভিতেও রিমোর্টের ব্যবস্থা করে ফেলতো । অবশ্য সেটা শেষের দিকে । তখন আস্তে আস্তে রিমোর্টওয়ালা টিভি আসতে শুরু করে দিয়েছে । লোহার রিং নিয়েও খেলতো অনেকে তবে সেটার খরচ ছিল বেশি । সবারই পারতো না ।
দেখা যাচ্ছে অনেক মিল রয়েছে !

আমার ঝর্ণা কলম ছিল বেশ কয়েকটা । আমি নিজেও লিখেছি তবে সেটা দিয়ে পরীক্ষা দেওয়া হয় নি । এতো সময় ছিল না । আমরা লিখতাম ইকোনো আর রেডলিফ কলম দিয়ে । রেডলিফ তখন খুবই জনপ্রিয় । দাম ছিল সম্ভবত ১২/১৪ টাকা । তখন ১২/১৪ টাকার কলম মানে অনেক টাকার কলম !

ভাল থাকুন সব সময় !

৪| ৩০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ৭ নাম্বার ছাড়া সবই মিলে গেছে :)
সেই মাত্রার নস্টালজিক পোস্ট ।
ম্যাচ বা সিগারেটের বক্সে ছোট্ট পাখি করব দেয়া। হাটু ছিলে গেলে গাঁদা পাতা বা ঘাস চিবিয়ে দেয়া। বহু আকাম কুকামের সাক্ষ্মী আমরা ।

৩০ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: এই পোস্টটার কথা কদিন থেকেই ভাবছিলাম । পুরানো দিন গুলো আমরা কিভাবে কাটিয়েছি আর এখনকার বাচ্চারা কিভাবে কাটায় !

যাক নস্টালজিক হয়েছেন জেনে আনন্দিত হলাম !

৫| ৩০ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ১. রিমোট ছাড়া টিভি দেখা ।
এই অভিজ্ঞতা আছে আমার।


২. টিভি এন্টেনা।
এই অভিজ্ঞতা আছে আমার।


৩. হেরিকেন ও কুপি বাতি ।
আমরা বিদ্যুৎ চলে গেলে মোমবাতি ব্যবহার করতাম।


৪. পঞ্চের স্যান্ডেল ।
খুব একটা ব্যবহার করিনি।


৫. কলা গাছের উপরে রং বেরংয়ের কাপড় পেঁচিয়ে গেট সাজানো হত ।
এলাকায় না হলেও গ্রামের দিকে দেখেছি। আমরা কলাগাছ দিয়ে শহিদ মিনার বানাতাম।


৬. তারা কয়লা ব্যবহার করেন । দাঁত মাজার আরেকটা বস্তু দিল ম্যাকিজ ট্যুথ পাউডার । এই জিনিসটা এখনও আছে কিনা কে জানে !
কয়লা ব্যবহার করা হয়নি। ম্যাকিজ ট্যুথ পাউডার এখনো আছে মনে হয়।


৭. বর্ষা কালে আমাদের প্রিয় খেলা ছিল ফুটবল ।
আমি ফুটবল খেলতে পারি না।।


৮. ছেলেরা এখন চুলে তেল দেয় না ।
আমি খুব একটা দিতাম না।


৯. আরেকটা মজার ব্যাপার হল টিউবয়ের নিচে বসে গোসল করা ।
এই অভিজ্ঞতা আছে আমার।


১০. এছাড়া তেজপাতা গুটিয়ে সেটাও সিগারেটের মত করে টানা হয়েছে বেশ ।
আমি ধুমপান করি না। তবে তেজপাতার এই অভিজ্ঞতা আছে আমার।


১১. সাইকেলের টায়ার নিয়ে খেলা আমার জীবনের আনন্দময় ঘটনা গুলোর একটা ।
খুব একটা খেলিনাই।


১২. সুপারো হাছের ডাল দিয়ে খেলা ছিল আরেকটা মজার ব্যাপার ।
খুব একটা সুযোগ পাই নাই।

৩০ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: বাহ চমৎকার । অনেক মিল রয়েছে । তবে আপনি সম্ভবত আমার থেকে বড়ই হবে । আরও অনেক কিছুই দেখা হয়ে থাকবে আপনার !

৬| ৩০ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩১

কামাল১৮ বলেছেন: আমি ছিলাম খড়মের যুগের মানুষ,টিভি চালু হয় যখন কলেজে পড়ি।

৩০ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: খড়ম আমি দেখি নাই পরতে !
আপনি তাহলে আরও অনেক কিছু দেখেছেন !

৭| ৩০ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:১৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি ৮৩-র লোক

৩০ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:২৪

অপু তানভীর বলেছেন: আপনি আমার বড় ভাইয়ের সম বয়সী তাহলে..

৮| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৩৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: ১ নম্বর ঠিক আছে।
২ নম্বর ঠিক আছে তবে এ্যান্টেনা ঠিক করার পাশাপাশি আরেকটা বিরক্তিকর বিষয় ছিল পর্দা পড়া।
৩ ঠিক আছে। সে সময় ঘুটঘুটে অন্ধকারে হারিকেনের আলোতে অনেক কিছু দেখা যেত, এখন ইলেকট্রিসিটিতে অভ্যস্ত হওয়ার কারণে হারিকেনের আলো আর চোখে লাগে না।
৪ ঠিক আছে।
৫ এটা গ্রামে দেখেছি।
৬ খেজুর গাছের ডাল, জয়তুনের ডাল, কয়লা তবে মেইন ছিল রাম মূখার্জির দাঁতের মাজন।
৭ আমার জন্য নহে।
৮, ৯ ঠিক আছে।
১০ ইহা ছোটবেলায় করা হয়নি।
১১ টায়ার দিয়ে নয় আমি চালিয়েছি লোহার রিং। ঐ রিং চালিয়ে মাইলের পর মাইল যেতে পারতাম অলসতা ছিল না।
১২ ইহা আমার জন্য নহে।

০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ১:০১

অপু তানভীর বলেছেন: গ্রেট । অনেক গুলো মিলেছে !

৯| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ১:০৮

জগতারন বলেছেন:
আমিও কামাল১৮-এর মতো খড়ম-এর যুগের।
আমিও খড়ম ব্যাবহার করেছি।
আমাদের গ্রামে কেহই জুতো বা স্যান্ডেল ব্যাহার করতো না।
চৈত্র মাসের কড়া রৌদ্রে দেখেছি আমার চাচা্রা পায়ে একপ্রকার চামড়ার স্যান্ডেল দড়ি দিয়ে ফিতা বানিয়ে পরে হাল চাষ করতো বলদ গরু দিয়ে। যাতে পা'এর চামড়া উওঠে রক্ত বাহির না হয়। এর পরও অনের পা'এর চামরা ছিরে রক্ত বাহির হতো।
প্রাইমারী ও হাই স্কুলে গিয়েছি পায়ে কোনও জুতো বা স্যান্ডেল পরা হতো না।
নাইন টেনে মনে হয় স্পঞ্জ-এর স্যান্ডেল ব্যাভার করিছিলাম।
১৯৭৮ সালে আমি আই-এস'সি পরীক্ষার পড়া পর্যন্ত মহকুমা সদরে হ্যারিকেন-এর আলোতে পড়ে পাশ করেছি।

সে-ই গ্রামের ছেলে আমি, উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার বানানো কাজ করেছি গত ৩০ বছর যাবত।
সে তো এক যোযন ব্যবধান বলতেই হয়।

০১ লা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪৬

অপু তানভীর বলেছেন: তাহলে তো আপনি দেখছি আমার থেকে অনেক বেশি বড় । আমরা গল্পের সাথে অনেকটা আমার বাবা চাচাদের গল্প মিলে যায় । তারাও এমন গল্প করতেন । একদিন সময় করে লিখে ফেলুন সেই সব অতীতের কথা । তখন কিভাবে সময় কাটাতেন কী কী করতেন এই সব ! দারুন হবে ব্যাপারটা !

১০| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ৩:২৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমার সাথে সবগুলোই মিলে গেল প্রায়! যখন ইউনিভার্সিটিতে পড়ি তখন মোবাইল মানুষের হাতে হাতে আসা শুরু করল। আমি কলেজে থাকা অবস্থায় কাউকে মোবাইলই ব্যাবহার করতে দেখি নাই, তবে ব্যবসায়ীরা মনে হয় সিটিসেল ব্যাবহার করত! গ্রামীণ ফোনের কলরেট মনে হয় আট টাকা ছিল! আমার বাড়ি গ্রামে নয়, ঢাকার কেরানীগঞ্জে, তবে আমাদের এলাকায় তখন বিল ঝিল সব ছিল, বর্ষায় পুকুরে এবং বিলে গোসল করতাম, ডেজার ছোয়া তখনো লাগেনি। সত্যকার অর্থেই আমাদের শৈশব কৈশোর চমৎকার ছিল! নষ্টালজিক হলাম!

০১ লা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: আমি যখন স্কুলে পড়ি তখনই মোবাইল ফোনের প্রচলন শুরু হয়েছে । তখন থেকেই কারো কারো হাতে মোবাইল ফোন দেখা যেত । তবে সেটা কেবলই বড়দের হাতে । আমাদের স্কুলে একজন ছিল সে প্রায়ই বাসার মোবাইল স্কুলে নিয়ে আসতো । খুব ভাব নিত ।
তারপর কলেজে উঠেই অনেক মানুষের হাতেই মোবাইল আসা শুরু করেছে । তবে স্মার্টফোন তখনও আসে নি ।

একদিন আপনিও লিখে ফেলুন ছোট বেলার সেই সব কথা । আমরা পড়ে ফেলি !

১১| ০১ লা জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিরোমন্থন করেছেন। আমি নিজেও ১ থেকে ১২ পর্যন্ত সবগুলো সংগে পরিচিত। সবগুলোর অভিজ্ঞতা আছে। ধন্যবাদ।






ভালো থাকুন নিরন্তর।

০১ লা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫২

অপু তানভীর বলেছেন: বাহ ! বেশ । আমার বয়সী কিংবা আমার থেকে বেশি বয়সী সবারই কম বেশি এই অভিজ্ঞতা গুলো হবে !

১২| ০১ লা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পোষ্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে।সত্যি আমাদের সময় ছেলে বেলাটা অনেক মজার ছিল।যা এখনকার সময় বাচ্চারা পাচ্ছেনা।
আমি স্মার্ট ফোন হাতে পেয়েছি অনার্সে পড়ার সময়।
আর ছোট বেলায় কত যে সব মজার খেলা খেলতাম।খুব আনন্দময় শৈশব ছিল আমার ।

০১ লা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪

অপু তানভীর বলেছেন: আমিও স্মার্ট ফোন কিনেছি অনার্সে থাকাকালীন সময়েই । দুই তিন বছর পড়ার পরে !
আর এখন স্কুলে ভর্তির আগেই বাচ্চাদের হাতে স্মার্ট ফোন চলে আসে !

আমাদের শৈশব আসলেই অন্য রকম ছিল !

১৩| ০১ লা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২৪

রানার ব্লগ বলেছেন: সব গুলোই মিলে গেছে, ৮০ তে জন্ম আমার

০১ লা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪

অপু তানভীর বলেছেন: এই সময়ে জন্ম হলে সব গুলোরই মিল থাকার কথা !

১৪| ০১ লা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩৯

হাবিব বলেছেন: সবই মিলে যায় .........

০১ লা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭

অপু তানভীর বলেছেন: চমৎকার !

১৫| ০১ লা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯

রানার ব্লগ বলেছেন: হ ভাই মিলে গেছে , কি খাওয়াবেন বলেন। খিচুরি হলে ভালো হয় সেই সাথে ইলিশ, বর্ষাকাল চলছে।

০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৩৩

অপু তানভীর বলেছেন: একদিন খাওয়ানো যাবে ইলিশ খিচুড়ি !

১৬| ০১ লা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: ঢাকায় বড় হলেও সবগুলোর সাথেই পরিচিত গ্রামে নিয়মিত যাওয়া হতো বিধায়। কুপি জ্বালিয়ে মা-দাদী রান্না করতেন, এখনো মনে হয় কেরোসিনের সেই গন্ধ পাই।
২/৩ দিন পর পরই সন্ধ্যে হবার আগেই বাড়ীর একজনকে দেখা যেতো ছাইমাটি দিয়ে হারিকেনের গ্লাস পরিস্কার করতে।
মেয়ে বিধায় সাইকেলের টায়ার দিয়ে গাড়ী চালানো হয়নি কিন্তু খুব অবাক হয়ে দেখতাম কীভাবে ব্যালেন্স করে ছেলেরা চালায়। আরেকটির কথা মনে আছে আপনার, লোহার গোল রিং দিয়ে এভাবেই চালাতো ছেলেরা।

সত্যিই খুব চমতকার ছিল সেই সময়।

০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৩৫

অপু তানভীর বলেছেন: হ্যারিকেনে পড়ার ব্যাপারটা কোন ভাবেই ভোলার উপায় নেই । তখন সবার বাড়ি এই হ্যারিকেন থাকতোই থাকতো । এখন চার্যার লাইট সেটার স্থান নিয়েছে ।

লোহার রিংও ছিল অনেকের । আমিও দেখেছি যদিও আমার লোহার রিং ছিল না ।

সেই সময় গুলো যদি আমাদের ছেলে মেয়েরা পেত !!

১৭| ০১ লা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৪০

স্বপ্নাশিস বলেছেন: আগে কি সুন্দর ছিল দিনগুলো ।

০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: সত্য

১৮| ০১ লা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬

আমি সাজিদ বলেছেন: এক থেকে নয় মিলে। এরপর বারো।

০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৩৭

অপু তানভীর বলেছেন: আমার বয়সের কাছাকাছি কিংবা বেশি সবারই মিল পাওয়া যাবে । বেশি ছোট হলে মিল পাওয়া যাবে না ।

১৯| ০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: সব করেছি। এত বয়স হয়ে গেছে!

০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৩৭

অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা আমারও ভাবলে অবাক লাগে যে বেশ বয়স হয়ে গেছে !

২০| ০২ রা জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



শৈশবের স্মৃতিময় দিনের কথা সুন্দরভাবে লেখাটিতে উঠে এসেছে ।
দুচারটি বাদে প্রায় সবগুলিতেও মিল রয়েছে । যথা
১. রিমোট ছাড়া টিভি দেখা
এই অভিজ্ঞতা আছে আমার। আমার প্রথম ব্লেক এন্ড হোয়াইট টিভিতে রিমোট কন্ট্রোলের কোন ব্যবস্থাই ছিলনা ।

২. টিভি এন্টেনা।
টিভির সাথে ফিট করা এন্টিনাই যথেষ্ট ছিল , ছাদে এন্টিনাও ফিট করা ছিল । তবে দেশে সেটেলাইট
টিভি চালুর পরে ছাদে বাঁশের মাথায় হাড়ি পাতিল টানিয়ে ডিস এন্টিনা তৈরী করে ভারতীয় টিভি চ্যানেল
দেখতাম ।

৩. হেরিকেন ও কুপি বাতি
হারিকেরন ও কুপি ছিল তবে কুপি জলত রেসডের তেলে।

৪. পঞ্চের স্যান্ডেল ।
পঞ্চের স্যান্ডেল আসার আগে কাঠের চটি আর বৈলা ওয়ালা খড়ম পড়তাম ।


৫. কলা গাছের উপরে রং বেরংয়ের কাপড় পেঁচিয়ে গেট সাজানো হত ।
কলা গাছ দিয়ে গেইট বানানো হতো । তবে দেবদারু গাছের পাতা দিয়েই বেশীর ভাগ সময়ে গেইট
বানানো হতো । চিকন ঘন লম্বা দেবদারু পাতার তৈরী গেইট দেখতে খুব সুন্দর হতো ।
দেবদারু গাছ ও দেখতে খুব সুন্দর ।


৬. দাত মাঝতে কয়লা ব্যবহার
কয়লার ব্যবহার ছিল একটি কমন ব্যপার,
কাঠ কয়লা দিয়ে বার বি কিউ অয়োজনের
পরে পাওয়া যায়না কয়লা দিয়ে এখনো
আমি মাঝে মাঝে দাঁত মাজি । তবে নীমের
ডালই বেশী ব্যবহার করা হতো ।

৭. বর্ষা কালে আমাদের প্রিয় খেলা ছিল ফুটবল ।
ফুটবল খেলতাম , তবে সে ফুটবলটি ছিল কচি জাম্বুরা ফল

৮. ছেলেরা এখন চুলে তেল দেয় না ।
আমি জীবনেও চুলে তেল দেই নাই । তবে
ছোটকালে মা চুলে তেল দিত কিনা মনে নাই ।
সে সব স্মৃতিতে নাই ।

৯. আরেকটা মজার ব্যাপার হল টিউবয়ের নিচে বসে গোসল করা
এই অভিজ্ঞতা নেই , তবে পুকুরে , নদীতে খালে বিলে ঘন্টা কয়েক
লাগিয়ে ডুব সাতার খেলে গোছল করতাম। চোখ লাল করে ঘরে
ফিরে গুরুজনদের বকা খেতাম ।

১০. এছাড়া তেজপাতা গুটিয়ে সেটাও সিগারেটের মত করে টানা হয়েছে বেশ ।
হ্যাঁ তেজ পাতা দিয়ে বিড়ি খুব খেয়েছি । দাদার হুক্কার কলকেতে তামাক সাজিয়ে টিক্কা
জ্বেলে ফু দিতে দিতে দাদার কাছে নিয়ে যাওয়ার কালে গোপনে কষে কয়েক টান
দিয়ে নিতাম , এর ফলে যত সব দুস্টু বুদ্ধির দোয়ার যেতো খুলে। ছেলেবেলার দুরন্ত
কথা নিয়ে এই ব্লগে একটিকাব্য গাথাও রয়েছে আমার ।

১১. সাইকেলের টায়ার নিয়ে খেলা আমার জীবনের আনন্দময় ঘটনা গুলোর একটা ।
টায়ার দিয়ে নয় , তবে বাঁশের চিকন ফালী বাঁকিয়ে টায়ারের মত করে কাঠি দিয়ে ঠেলে পাড়াময়
ঘুরে বেড়াতাম ।

১২. সুপারো হাছের ডাল দিয়ে খেলা ছিল আরেকটা মজার ব্যাপার ।
হ্যাঁ এটা ছিল একটা মঝার খেলা , পালা করে শুপারী গাছের খোল টানা হতো ।
টানতে কষ্ট হলেও খোলে বসে চলতে বড় আরামদার ছিল ।


স্মৃতিকে অনেক পিছনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

ছবি সুত্র : কৃতজ্ঞতার সহিত গুগল ইমেজ


০৩ রা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: ডিস সংযোগ নেওয়ার পরেও আমাদের বাসাতে বাঁশের উপরে এই এন্টেনা ছিল । কারণ তখন স্যাটেলাইটে বিটিভি আসতো না । আর তখন আমাদের বিনোদনের প্রধান উৎসই ছিল বিটিভি । তখন মা চাচীরা ভারতীয় সিরিয়াল চিনতেই শিখেনি । তখন বিটিভির অনুষ্ঠানের মানও ভাল ছিল । ২০০৫/০৬ পর্যন্ত এন্টেনা ছিল আমাদের বাসায় । এরপর আর ছিল না সম্ভবত ।

আমি অবশ্য খড়ম দেখি নি কাউকে পরতে । তবে আমার নানীর এক বোন ছিল । তার খড়ম দেখেছি ।

দেবদারুর ব্যাপারটা তো জানতাম না । আমাদের ওদিকে এই গাছের পরিমান কম । কলাগাছই বেশি । তাি কলাগাছই বেশি ব্যবহার করা হত !

আপনি যদিও একটু বড়ই হবেন আমার থেকে তবুও দেখা যাচ্ছে অনেক কিছুই মিলে গেছে একেবারে !

ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময় !

২১| ০৩ রা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩২

হাসান রাজু বলেছেন: এই লিংকটা দেখতে পারেন, একটা বাদে সবই করেছি কোন না কোন ভাবে।

https://www.youtube.com/watch?v=gYHkNt_UHCE

০৩ রা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: বাহ !

২২| ০৩ রা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: অপু তানভীর,
আপনিও কপি পেস্ট করলেন লেখা ! দু'একটা বাদে এতো monejomethakaharanosmriti.com-এর ভার্চুয়াল সাইট থেকে প্রায় হুবুহু কপি !!! হাহাহা । লেখার অনেকাংশই সর্বাংশে নিজের ছেলেবেলার সাথে মিলে গেলো !

০৩ রা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২

অপু তানভীর বলেছেন: অন্য কপিপেস্ট আর আমার কপিপেস্টের ভেতরে মেলা তফাৎ । আমি কপি পেস্ট করতে মাউস কিবোর্ড ব্যবহার করি না । সরাসরি স্মৃতি থেকে রেডিও ওয়েভের মাধ্যমে নিজের স্মৃতিতে নিয়ে নিই B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.