নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো প্রায় একটা বাজতে চলেছে । এতো রাতে ছেলেটার ফোন পেয়ে একটু অবাক হল নওরিন। অফিসের কোন ইমার্জেন্সি? মনে মনে ভাবলো সে । তারপর ফোনটা রিসিভ করলো।
-হ্যালো!
-নওরিন ।
-বল । এতো রাতে ?
-তোমার সামনে বিপদ । একদল লোক আসছে তোমাকে তুলে নিয়ে যেতে !
-মানে?
-মানে বুঝিয়ে বলার সময় নেই । তুমি এখন বাসা থেকে বের হও। টাকা পয়সা যা আছে নিয়ে নাও আর পাসপোর্ট নিয়ে এসো । প্লিজ দেরি কর না । আমি ঠিক তোমার বাসার পাশের গলিতে এসেছি । দেরি কর না।
-কিন্তু মানে কি? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না । আর আমি ফোন দিচ্ছি থানাতে !
-থানাতে ফোন দিয়ে লাভ নেই । কেউ আসবে না । যে তোমাকে তুলে নিয়ে যেতে আসছে সে প্রচুর ক্ষমতার অধিকারী । আর তুমি জানো এদেশে ক্ষমতা থাকলে কি হয় । প্লিজ আমার কথাটা একটু শোন । আমাকে তো অনেক দিন ধরে চেন । আমার কথাটা শোনো প্লিজ !
নওরিন কি করবে বুঝতে পারলো না । রিয়াদকে সে আসলেই অনেক দিন ধরে চেনে । সেই ইনিভার্সিটি থেকে । যদিও খুব বেশি ঘনিষ্ঠতা ওদের ছিল না । তবে রিয়াদ পড়াশুনাতে বেশ ভাল ছিল । এই জন্য ক্লাসের সবাই ওকে চিনতো । মানুষ হিসাবে বেশ চুপচাপ থাকতো বলে কারো সাথেই খুব একটা ভাব হয় নি । পড়াশুনা শেষ করে নওরিন ওর বর্তমান অফিসে যোগ দেয় । এর বছর খানেক পর একদিন রিয়াদ একই অফিসে জয়েন করে । রিয়াদকে ওখানে জয়েন করতে দেখে নওরিন একটু অবাকই হয়েছিলো । শুনেছিলো রিয়াদ নাকি ব্যাটে চাকরি করতো । ওখান থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়ে এসে ওদের অফিসে জয়েন কেন করলো কে জানে । অফিসে এসেও দেখতো রিয়াদ কেবল নিজের মনে কাজ করে যাচ্ছে । কারো সাথে খুব একটা মিশতো না, আড্ডা দিতো না । কাজ ছাড়া ওদের আর কোন কথাও হত না ।
নওরিন কি করবে বুঝতে পারলো না । রিয়াদ এখনও ফোনে ওপাশেই রয়েছে । নওরিন বলল, আচ্ছা আমি নামছি । আমাকে কয়েক মিনিট সময় দাও ।
রিয়াদ বলল, দেরি করবে না । একদম না । ওরা রাস্তায় রয়েছে । জলদি ।
ফোন রেখে নওরিন ট্রাভেল ব্যাগে কয়েকটা দরকারি জিনিস পত্র নিয়ে নিল । কোথায় যাবে সেটা সে জানে না । টাকা পয়সা যা ছিল সব নিলো । পাসপোর্টটাও নিয়ে নিল । রিয়াদ ওকে আলাদা ভাবে পাসপোর্ট নিতে কেন বলল কে জানে । ওকে কি দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে?
নওরিনের এই দেশে আসলে কেউ থাকে না । এটা ওর বাবা দেশ হলেও ওর মা একজন সুইডিশ । জন্মসুত্রে নওরিন সুইডেনের নাগরিক । ছোট বেলাতে সেখানে বড় হলেও, স্কুলে থাকতে থাকতে সে এখানে চলে আসে বাবার সাথে । ওর বাবা আর মা আলাদা থাকে । নওরিনের আরও একটা ভাই আছে ওখানে। তারপর এক সময়ে ওর বাবা হঠাৎ ক্যান্সারে মারা যায় । চাকরিতে ঢোকার কয়েকদিনের মাঝে । তারপর থেকেই নওরিনের মা ওকে বারবার বলছে ওখানে চলে যেতে । তবে নওরিনের কেন জানি এই দেশে যেতে মন চায় নি । বাবার কবরটা এখানেই । মাস অন্তত একবার সেখানে গিয়ে ঘুরে আসে সে । একটা শান্তি শান্তি লাগে ।
আজকে পুরো ফ্ল্যাটে সে একা । মোট তিনজন মেয়ে এই ফ্লাটটা ভাড়া করে থাকে । বাকি দুজন আজকে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছে । গতকালকে সকালে অফিস থেকে আসার সময় খেয়াল করেছে নিচের ফ্লোর এবং উপরের ফ্লোরের ভাড়াটিয়া ব্যাগ নিয়ে বাইরে যাচ্ছে, সম্ভবত ট্যুরে । এর উপরের দুই ফ্লোর আসলে দুইটা অফিস । সন্ধ্যার পরে যা বন্ধ থাকে । হিসাব মত পুরো বিল্ডিং নওরিন এখন একা । সাথে সাথেই রিয়াদের কথাটা কেন জানি সত্য মনে হল । কেউ প্লান করেই ওকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে । এবং তাদের ক্ষমতা প্রচুর ।
ব্যাগ কাধে দরজা দিয়ে বের হল । লিফটের কাছে গিয়ে একটু অবাক হল সে । এই বিল্ডিংয়ের লিফট বারোটার ভেতরে বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু এখনও এটা চালু আছে । একটু সন্দেহ হল ও । লিফটে উঠলো না । এমন কি সিড়ি দিয়েও গেল না । ডান দিকে ছোট একটা ইমারজেন্সী সিড়ি আছে । সেটা দিয়ে নামতে শুরু করলো আস্তে আস্তে । তখন কানে আওয়াজ পেল । কয়েকজন নিচে এসেছে বুঝা যাচ্ছে । নওরিনের বুকের ভেতরে কেমন যে ভয় ভয় করতে লাগলো । ওকে কেন কেউ কিডন্যাপ করতে চাইবে? এটা সত্য যে সে বিদেশী । তবে এটাও সত্য যে বড়লোক বলতে যা বুঝায় তা ওরা মোটেও না । সেখানেও সাধারন জীবন যাপন করে । তাহলে?
সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে একবার উকি দিলো চারপাশে । অনুভব করলো কেউ নেই । যারা এসেছিলো সবাই উপরে চলে গেছে । সম্ভবত ওরা কেউ ভাবে নি যে নওরিন এভাবে পালিয়ে যেতে পারে । খুব দ্রুত গেট দিয়ে বের হয়ে এল । বাড়ির সামনে দাড়িয়ে থাকা মাইক্রোটা দেখতে পেল । মাইক্রোর ড্রাইভার এক মনে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে তাই ওকে দেখতে পাই নি । পা টিপে টিপে সে পার হয়ে গেল । পাশের গলিতে যেতে দেখতে পেল রিয়াদকে । একটা বাইকের পাশে পায়চারি করছে । ওকে দেখতে পেয়েই এগিয়ে এল । বলল, চল চল । একটুও দেরি করা যাবে না ।
-ওরা কারা?
-এসব পরে হবে । আগে চল ।
বাইক স্টার্ট দিতেই আলো জ্বলে উঠলো । তখনই উপর থেকে আওয়াজ শুনতে পেল ।
-ওস্তাদ মাইয়া পালাইতাছে ....
-এই থাম ।
-এই থাম কইলাম !
কিন্তু ততক্ষনে রিয়াদের বাইক চলতে শুরু করেছে । রিয়াদ ওকে কেবল বলল, শক্ত করে ধরে থাকো ।
নওরিনকে বলতে হল না । ও এমনিতেও রিয়াদকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে । নওরিন দেখতে পেল রিয়াদ কতটা দ্রুত বাইক চালাচ্ছে । শান্ত স্বভাবের এই ছেলে যে এই ভাবে বাইক চালাতে পারে সেটা ওর ধারনার বাইরে ছিল ।
একটা সময় ও আবিস্কার করলো ওদের বাইক এয়ারপোর্টের সামনে চলে এসেছে ।
বাইক থেকে নামতেই ওরা এয়ারপোর্টের দিকে রওয়ানা দিল । গেট পর্যন্ত এসে রিয়াদ ওকে কয়েকটা কাগজ পত্র এগিয়ে দিল । তারপর বলল, এখানে তোমার টিকেট কাটা আছে । প্রথমে সোজা যাবে দিল্লিতে । সেখানে গিয়ে নিজের দেশের যাওয়া ব্যবস্থা আশা করি তুমি করে ফেলবে ।
-কিন্তু আমাকে কেন কেউ ধরে নিতে চায় ?
-আমাদের ক্লাসে একজন ক্ষমতাসীন মানুষের ছেলে পড়তো । সে তোমাকে পছন্দ করতো । এটা তার পরিবার জানতে পেরে তোমাকে ধরে নিয়ে জোর করে তার সাথে বিয়ে দিতে চায়। বুঝেছো ? এই দেশের যেখানেই তুমি থাকো না কেন তোমাকে ঠিকই ধরে নিয়ে যাবে ।
-কে?
কে সেটার জবাব দিল না রিয়াদ । কেবল বলল, তুমি আপাতত চলে যাও । তোমার বাকি জিনিস পত্র আমি পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো । কেমন !
নওরিন কি বলবে বুঝতে পারলো না । যাওয়ার আগে কেবল ধন্যবাদ দিল অনেক বার । কাছের গেট দিয়ে ঢুকে পড়লো ভেতরে ।
দুই
রিয়াদ সব কিছু ঠিক করেই রেখেছিলো । টিকিও কেটে দিয়েছে । ছেলেটা ওর এতো কিছু কিভাবে জানে কে জানে ? তারপর মনে হল হয়তো অফিস থেকে জোগার করেছে । প্লেনের আর কিছু সময় পরেই ছাড়বে । ও কখনও ভাবে নি এই দেশ থেকে এভাবে ওকে পালিয়ে যেতে ! বারবার মনে করার চেষ্টা করলো ওদের ক্লাসে কোন ছেলেটা এমন থাকতে পারে !
এক সময় হঠাৎ অনুভব করলো ওয়েটিং রুমে একটু আগে অনেকেই বসে ছিল। এখন একজনও নেই । পুরো ফাঁকা । বুকের ভেতরে একটু ধক করে উঠলো । হাতের ঘড়ির দিকে তাকালো । এখনও কিছু সময়ে বাকি রয়েছে । এনাউন্সমেন্ট হয় নি এখনও । তাহলে গেল কোথায় সবাই ?
তখনই লোকটাকে দেখতে পেল সে । ওয়েটিং রুমের দরজা দিয়ে ঢুকছে । সাথে সাথেই চিনতে পারলো তাকে । আজমল চৌধুরী । দেশের একজন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী । হাসি মুখে ওর দিকে এগিয়ে এল । তাকে দেখেই নওরিনের গলা শুকিয়ে গেছে । রিয়াদ যে ক্ষমতাধর মানুষটার কথা বলেছে সে যে ইনি সেটা নওরিনের বুঝতে বাকি রইলো না । পালানো সম্ভবত আর হল না । নওরিন ভীত চোখে তাকিয়ে রইলো আজমল চৌধুরীর দিকে । তবে আজমল চৌধুরী হাসলেন । এবং কাছে এসে নরম কন্ঠে বলল, মা, তুমি ভয় পেও না । আর আমার বড় ছেলের কাজ কর্মে আমি তোমার কাছে লজ্জিত ! বস প্লিজ ।
নওরিন বসলো বটে । তবে ভয় গেল না । আজমল চৌধুরী বলল, আমি জানি তুমি পালিয়ে যাচ্ছো। কেন যাচ্ছো সেটাও জানি । আমি এসবের কিছুই জানতাম না । জানলে হয়তো অন্য ভাবে তোমার সাথে পরিচয় হত । আসলে আমার বড় ছেলের মাথা একটু গরম । এই বুদ্ধি নিয়ে সে কিভাবে যে রাজনীতিতে নেমেছে সেটা আমি আজও ঠিক বুঝি না । ছোট ভাই এক মেয়েকে পছন্দ করে, বলতে পারে নি সে মেয়েকে ধরে নিয়ে এসে বিয়ে দিয়ে দাও । কী বুদ্ধি আমার !
নওরিন কি বলবে বুঝতে পারছে না । তবে তার ভয় একটু একটু কমছে ।
আজমল চৌধুরী আবার বলা শুরু করলো, আমি আবারও তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । তোমার অবশ্যই পালিয়ে যাওয়ার দরকার নেই । এবং আমি নিজে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে এরপর এমন কিছু আর হবে না । তুমি যদি চলে যেতে চাও তারপরেও আমি তোমাকে বাঁধা দিবো না । কিন্তু নিজের ছেলের জন্য একটা চেষ্টা আমি করতে চাই । বুঝোই বাবা হয়েছি ।
নওরিন তখনও চুপ করে তাকিয়েই আছে । আজমল চৌধুরী বলল, তুমি কি চেনো আমার ছোট ছেলে কে?
নওরিন মাথা নাড়ালো ।
-সে তোমার অফিসেই চাকরি করে ।
কথাটা শোনার সাথে সাথে চোখ বড় বড় করে তাকালো আজমল চৌধুরীর দিকে। মুখ দিয়ে বের হয়ে এল, কে?
-যে তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছে ।
-রিয়াদ !
-হ্যা রিয়াদ !
নওরিন এতোটাই অবাক হল যে কিছু বলতেই পারলো না । আজমল চৌধুরী বলল, ভাবছো রিয়াদ কেন তোমাকে নিয়ে আসবে ! আসলে ও এমন কি! নিজের বাবার ক্ষমতা দিয়ে সে কোন দিন কিছু করতে চায় নি । এই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে, নিজের চেষ্টায়, ব্যাটে চাকরি পেয়েছিলো সেটাও নিজের চেষ্টায় । জীবনে কেবল একটা সুপারিস তার জন্য আমি করেছি । সেটা হচ্ছে তোমার অফিসে ঢোকার জন্য সে আমার সাহায্য চেয়েছিলো । দেখো মা, আমার ছোট ছেলেটা একটু লাজুক । মেয়েদের সাথে কথা বার্তা বলতে পারে না । এই জন্য সম্ভবত তোমাকে নিজের মনের কথা বলতে পারে নি । বাবা হয়ে কেবল তোমাকে একটা অনুরোধ করবো, একবার কি আমার ছেলেটাকে একটু সুযোগ দেওয়া যায়?
নওরিন আসলে এসব বিশ্বাসই করতে পারছে না । আজমল সাহেব আবার বললেন, আমি বলছি না যে তাকেই বিয়ে কর । একবার একটু মেশো তার সাথে । তারপর যদি মনে হয় যে এই ছেলের সাথে বাকি জীবন কাটানো সম্ভব তাহলেই আমি তোমার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করবো । আর যদি মনে হয় যে, না তোমার মন মত হচ্ছে না দ্যান আই প্রমিজ ইউ, যে তোমাকে কেউ কোন প্রকার ডিস্টার্ব করবে না । আর আমার বড় ছেলে যে কাজটা করেছে তার জন্য সে তোমাকে সরি বলবে । এটা আমি নিশ্চিত করবো ।
নওরিন আসলে এমনটা আশা করে নি । এতো বড় আর ক্ষমতাধর মানুষ হয়েও আজমল চৌধুরী ওর সাথে কি মোলায়েল স্বরে কথা বলছে । রিয়াদ চাইলেই ওকে তুলে নিয়ে বিয়ে করতে পার। এখনও পারে । এছাড়া এতোদিন ধরে ছেলেটাকে দেখে আসছে, কোন দিন ওর মনে হয় নি যে ওর বাবা আজমল চৌধুরীর মত কেউ হতে পারে ।
আজমল চৌধুরী বললেন, এরপরেও যদি তুমি চলে যেতে চাও আমি তোমাকে বাঁধা দেব না । কেবল অনুরোধ করলাম ।
তিন
রিয়াদের মন একটু খারাপ । আজকে সে অফিসে যায় নি । বারবার মনে হচ্ছে কাজটা কি সে ঠিক করলো?
এতোদিন নওরিনকে চোখের সামনে সে দেখতে পেত । এখন তো তাও দেখতে পাবে না আর ! ভাইয়াটা এমন কাজটা না করলেই কি হত না । কী দরকার ছিল ! যেমন চলছিলো তেমনই চলতো সব !
এতো সময়ে নিশ্চিত ভাবেই নওরিন চলে গেছে অনেক দুরে । যখন গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকছিলো, বারবার মনে হচ্ছিলো চিৎকার করে ওকে বলে নিজের মনের কথা ।
এমন সময় ওর মেসেঞ্জারে একটা কল আসলো । ফোন হাতে নিয়েই বুকের ভেতরে মোচড় দিয়ে উঠলো । নওরিন ফোন করেছে । মেয়েটা নিশ্চিত ভাবে দিল্লীতে পৌছে গেছে ।
-হ্যালো ।
-কী জনাব মন খারাপ?
-মানে?
-মানে বললাম মন খারাপ?
-না মানে .....
-শুনো আমি তোমার বাসায় নিচে । নেমে এসো তো !
রিয়াদের মন হল যেন ও ভুল শুনছে । বলল, কী বললে ? বাসার নিচে মানে?
-বাসার নিচে মানে বাসার নিচে । জলদি বেরিয়ে আসো তো !
রিয়াদ যখন নিচে নেমে এল তখনও ওর ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না । কী থেকে কি হল সেটা কোন ভাবেই ওর মাথায় ঢুকছে না । নওরিনকে না এয়ারপোর্টে রেখে আসলো তাহলে ও বাসার সামনে এল কিভাবে?
নওরিন ওদের বাসার সামনের ফুটপাথেই বসে ছিল । আজকে নওরিনকে অন্য রকম লাগছে । বয়স যেন একটু কমে গেছে । জিন্স আর একটা শার্ট পরেছে । চোখে কালো একটা সানগ্লাস আর ঠোঁটে গাঢ় করে লিপস্টিক দিয়েছে ।
ওকে বের হতে দেখেই বলল, কই বাইক কোথায়?
রিয়াদ বলল, রিক্সায় যাই?
-হ্যা চল !
রিক্সাতে যখন পাশাপাশি বসে ওরা যাচ্ছিলো তখনই রিয়াদের ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না । কত গুলো প্রশ্ন মাথায় খেলা করছে কিন্তু কিছুই জিজ্ঞেস করছে না । ওর কেবল সব কিছু স্বপ্ন সপ্ন মনে হচ্ছে । নওরিন বলল, আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি?
-কর!
-তুমি চাইলেই আমাকে জোর করে বিয়ে করতে পারতে । কেউ কিছু করতে পারতো না । এমন কি আমিও না । তাহলে কেন করলে না ?
রিয়াদ একটু চুপ করে রইলো । তারপর বলল, আমার কাছে আসলে মনে হয়েছে যে ঐ কাজটা করলে তোমার কাছে অন্য কোন অপশন থাকতো না । এক সময়ে হয়তো তুমি আমার ঘর ঠিকই করতে কিন্তু আমার মনে সারা জীবন এই কাঁটা বিঁধেই থাকতো যে তোমার কোন অপসন ছিল না বিধায় তুমি আমার সাথে আছো ! এটা আমাকে শান্তি দিতো না । আমি কেবল চেয়েছিলাম যে তুমি নিজ ইচ্ছেতে আসো !
রিয়াদ একটু চুপ থেকে আবারও বলল, আমার ভাইয়া ভাবীকে এক প্রকার জোর করেই বিয়ে করেছে । ভাবী এখন সুখে আছে কিন্তু আমার এখনও কেন জানি মনে হয় এই সুখের মাঝেও একটা দুঃখ তার লুকিয়ে আছে । তার সামনে কোন পথ খোলা ছিল না !
নওরিন বলল, ইস! সবাই যদি তোমার মত ভাবতো !
রিয়াদ হাসলো !
নওরিন বলল, দেখো আমি বলছি না আমি তোমার প্রেমে পড়ে গেছি কিংবা তোমাকেই বিয়ে করবো । ঠিক আছে তবে .... তুমি আমাকে অবাক করেছো, ইম্প্রেসও করেছো । আমরা কিছুদিন মিশি, গল্প করি সময় কাটাই । এরপর যদি আমাদের মনে হয় যে এক সাথে জীবন কাটানো সম্ভব তাহলে সামনে এগোনে যাবে ! ওকে?
রিয়াদ বলল, ওকে !
রিক্সাটা এগিয়েই চলেছে । কোন নির্দিষ্ট দিকে যাচ্ছে না । রিক্সাতে ওঠার সময় নওরিন ঘন্টা হিসাবে রিক্সা ঠিক করেছিলো । ওদের দুজনের রিক্সাও কী কোন নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাবে? যেতে পারে । সেটা অন্য কোন গল্প । এই গল্প এখানেই শেষ ।
এই সব গল্প অবশ্য বাস্তবে হয় না । মাঝে মাঝে এই রকম চিন্তা আসে মাথায় । নাটকে এমন কাহিনী দেখা গেলেও যেতে পারে । ইহা কেবলই একটা নাটকীয় রূপ কথার গল্প ...
picture source
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: বাস্তবে জীবনে আসলে এতো অমিল আর কষ্টের গল্পে ভরপুর যে বানানপ গল্পে আর কষ্ট দিতে ভাল লাগে না । এই কল্পনার গল্প গুলো অন্তত একটু আনন্দময় হোক ।
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭
শায়মা বলেছেন: জোর করে বিয়ে !
তুলে নিয়ে যাওয়া!!!!!!
ফুহ!!!!!!!!!!!!!!!!
শুনেই মেজাজ খারাপ হচ্ছে কিন্তু!!!!!!!!!!!!
রুপকথার গল্পের রাক্ষসের উপরও এত রাগ লাগেনা।
আসলে সকাল থেকে উঠেই মেজাজ খারাপ ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!!!
কি কববো!!!!!!!!!!!!!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: জোর করে বিয়ের ব্যাপারটা আমার নিজেরও পছন্দ না । এই জন্য দেখো না কখনও আমার গল্পের নায়কেরা এমন কিছু করে না । তারা সব সময় ভাল ।
তা তোমার মেজাজ কেনু খারাপ শুনি? সকাল বেলাতে আবার কী হল?
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: এখনতো মনে হচ্ছে নাওরীনই বোকা ছিল।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: একটু হয়তো বোকা ছিল । নয়তো টের পেয়ে যেত রিয়াদের মনভাবের কথা !
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৪
শায়মা বলেছেন: হলো হলো কি হলো একটু চোখ কান খোলা রাখলেই বুঝে যাবে ভাইয়ু!!!!!!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৮
অপু তানভীর বলেছেন: আরে কোন বলদের জন্য নিজের দিন খারাপ করার কোন মানে আছে?
৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২৩
নীল আকাশ বলেছেন: হুর কাটারা বিয়েঃ
হুর কাটারা বিবাহ হচ্ছে জোর করে বিবাহ। কোন যুবক যদি কোন যুবতীকে ভালোবেসে ফেলে এবং সেই যুবতী যদি তাকে অপছন্দ করে ও বিয়েতে অসম্মতি জানায় এক্ষেত্রে যুবক তাকে পাবার জন্য হাটে যায়। সেখানে সে যুবতীর খোঁজ করতে থাকে। যুবতীর সাক্ষাৎ পেলে যুবক সুযোগ মত যদি যুবতীর কপালে সিঁদুর পরিয়ে দিতে পারে তাহলে সে যুবতীর অন্যত্র বিয়ে হতে পারে না। সাঁওতালদের মধ্যে প্রচলিত সংস্কার হল অবিবাহিত যুবতীর কপালে সিঁদুর পরিয়ে দিলে সে যুবতীর আর অন্যত্র বিয়ে হতে পারে না। তার গ্রামের মাতব্বরদের মাধ্যমে যুবককে অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয় এবং তা আদায় হলে যুবক যুবতীর বিবাহ কার্য সমাধা করা হয়। এই ধরণের বিবাহের ক্ষেত্রে যুবতীর পছন্দ-অপছন্দ এবং সামাজিক অবস্থান ইত্যাদি সবই উপেক্ষিত।
ইদানিং সাঁওতালদের উপর পড়াশুনা করছিলাম। সেখানেই এটা পেয়েছি। গল্পের সাথে মিল আছে দেখে দিলাম আপনাকে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: এই ব্যাপারটা তো জানা ছিল না । এমন একটা নিয়ম যদি আমাদের সমাজে প্রচলিত থাকবে বেশ ভাল হত । তখন আর এমন জোরে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার দরকার হত না । সুযোগ বুঝে এমন করে বিয়ে ফেলা যেত ।
ভাল থাকুন সব সময়
৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩০
রানার ব্লগ বলেছেন: একটূ বেশি মিস্টি গল্পটা, বহুমূত্র হয়ে যেতে পারে পরতে গিয়ে
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: সমস্যা নাই গল্পে জিরো ক্যালোরি দেওয়া আছে । বেশি মিষ্টি মনে হলেও সেটা থেকে বহুমুত্র হওয়ার সম্ভবনা নেই ।
৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গল্পটা নাটকীয় রুপকথার মতই হয়েছে। সিনেমাটিক বললেও ভুল হবে না। মূল কথা বাস্তবে এরকম হয় না।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: নাটকে আসলে এমন কিছু দেখাই যেতে পারে । তবে বাস্তবে এমন কিছু হবে না কোন দিন প্রথমে গল্পটা যখন ভেবেছিলা তখন অবশ্য এমন ছিল না । তখন অন্য রকম ছিল ।
আপনাকে বলি বরং । তখন কাহিনীটা । মেয়েটি থাকে অবিশ্বাসী এবং সে ধর্মকে নিয়ে সব সময় যা ইচ্ছে তা লিখে বেড়ায় । তার কাছে ধার্মিক মানেই হচ্ছে কল্লা ফেলা । এমন ভাবে একদম লোক মেয়েটিকে তুলে নিয়ে হত্যা করবে। তখন ছেলেটি জানতে পারে । ছেলেটি বিশ্বাসীদের দলে । মেয়েটি সব ছেলেটিকে কটাক্ষ করতো ধর্ম নিয়ে । তারপরেও ছেলেটি এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে এয়ারপোর্টে পৌছে দেয় । এই ছিল প্রথম কাহিনী । এতে করে মেয়েটির মনে খানিকটা পরিবর্তন আসবে যে সবাই আসলে এমন নয় । এটাই ভেবেছিলাম প্রথম কাহিনী ।
৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫
জ্যাকেল বলেছেন: আপনার লেখা আমাকে একেবারে দম বন্ধ করে দিয়েছিল প্রায়।
অসাধারন একটা গ্ল্প।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৪
অপু তানভীর বলেছেন: কী বলেন ! ইহা কেবলই একটা সাধারন গল্প । আর কিছু না. । যাক ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম । ভাল থাকুন সব সময় !
৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইহা একটি নাটকীয় রূপকথার গল্প না, ইহা একটি অতি নাটকীয় রূপকথার গল্প! যাই হোক, ''কল্পনার গরু আকাশে উড়ে'' কিংবা ''দুনিয়াতে সবই সম্ভব'' এর ফর্মুলায় ফেললে এখানে সমালোচনা করার কিছুই নাই। আপনার এই গল্পটা রাস্তার ঝালমুড়ির মতো হইছে। মুখরোচক.......কিন্তু পেট খারাপের সম্ভাবনা আছে!
বরাবরের মতোই আপনের মনের মাধুরী মেশানো চমৎকার গল্প। লাইক ইট!!!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৭
অপু তানভীর বলেছেন: আমার জীবনের সাথে আসলে যা হয়েছে, এখনও যা হচ্ছে তার সাথে তুলনা দিলে আসলে এসব খুব স্বাভাবিক ঘটনা মনে হয় । সত্যি বলতেছি । এই জন্য এমন গল্প মাথায় আসে সহজে । আমার কাছে এখন সব কিছ সম্ভব ! সব কিছুই ঘটতে পারে আসলে ।
গল্প যে ভালা পাইছেন এইটা শুইনা ভালা লাগিলো ।
ইয়ে মানে কিছু টের পাইটেছেন কি ! হা হুতাশ করতেছে কেউ
১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ভালো লেগেছে আপনার নাটকীয় রূপকথার গল্প। সত্যিই রূপকথায় বটে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৮
অপু তানভীর বলেছেন: এতো আর বলতে । সব রূপকথা । জীবন একটা রূপকথা !
গল্প ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো !
১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার সর্বশেষ পোস্টে আপনার লাইক পেয়ে অনুপ্রেরণা পেলাম।সময়াভাবে হয়তো কমেন্ট করতে পারেননি। কোনো একদিন নিশ্চয়ই সময় মিলবে। সেদিনের অপেক্ষায় রইলাম।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার গল্পটা আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়েছি এবং পড়ে আরাম পাচ্ছি । দ্রুত গল্পটা শেষ করুন ।
১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৬
হাবিব বলেছেন: লেখা পড়ার আগে কমেন্টস পড়লাম। মনে হচ্ছে গল্পটা ভালো হবে। যাই হোক এবার পড়া শুরু করি।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: গল্প কিন্তু রূপকথার গল্প এবং নাটুকে ! পড়ে দেখুন কেমন লাগে !
১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৯
জিকোব্লগ বলেছেন:
আপনি খুবই ভালো গল্প লিখতে পারেন। এবার দুষ্ট শিশুকে নিয়ে একটা
শিশুতোষ গল্প লিখতে পারেন। গল্পের হিন্টস অতি সংক্ষেপে বলছি :
দুষ্ট শিশুটা এমন যে সে দুষ্ট বলে কেউ তাকে খেলতে নিতে চাইতো না।
এতে সে কান্না কাটি শুরু করলো। সবাই কান্নাকাটি দেখে আবার খেলতে
নিতে চাইলো। কিন্তু তার শর্ত একটাই সে দুষ্টমি করবে, কিন্তু তার দুষ্টমি
ধরা যাবে না। সবাই এই দুষ্ট শিশুকে নিয়ে মহাঝামেলায় পড়লো। কেউ
কেউ হেলমেট পড়ে তার সাথে খেলতে নামলো। না দুষ্ট শিশুর এটাও চলবে
না। তার সাথে খেলতে হলে হেলমেট খুলেই খেলতে হবে। এই ভাবে শিশুটা
বড় হলো। দুষ্ট শিশু বড় হলো। প্রেম করতে গিয়েও অনেক ছেঁকা খাইলো।
দেশে যুদ্ধ লাগলো। দুষ্ট ছেলেটা এবার যুদ্ধে না গিয়েও যুদ্ধে যাওয়ার
সার্টিফিকেট নীলক্ষেত থেকে বানিয়ে নিল। তারপরে তারে আর ঠেকায় কে!
কেউ ঐ ছেলেকে তার দুষ্টমি নিয়ে কিছু বলতে আসলেই যুদ্ধে যাওয়ার
সার্টিফিকেট তার সামনে ধরে মুখ বন্ধ করে দিত। এই ভাবে দুষ্টমি করে করে
একটা সময় বৃদ্ধ হলো। তার অভ্যাস গত দুষ্টমি ছিল বলে তার বউ পোলাপাইনরাও
আর তাকে সময় দিতে চাইতো না। কি আর করবে মনের দুঃখে কলম ধরলো।
কিন্তু তার লেখালেখি ও পড়লো না। শেষে সে ব্লগে আসলো।
এখানে তার শিশুতোষ দুষ্টমি চলতেই থাকলো।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২০
অপু তানভীর বলেছেন: দুষ্টামী! এতো ভদ্র শব্দ !
বলেন বলদ আর বলদামী !
তবে টেনশন নাই । কোন না কোন সময়ে গল্প আসবে । একটু অপেক্ষা করতে হবে আর কি !
১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: একদম শেষের কথাটুকুর সাথে একমত!
তবে জমজমাট একটা গল্প লিখেছেন- রিয়াদ তো আপনারই প্রতিরুপ !
ব্যাট না লিখে বি এ টি লিখলে বুঝতে সুবিধা হোত। পোষ্টে ভাল লাগা
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: বিএটি লিখলে সুবিধা হত । একবার মনে হল এটাই লিখি । আমার স্টুডেন্ট আছে একজন । তার আবার ব্যাটে চাকরি করার খুব শখ । বিশ্বাস করেন যে আমি প্রথম যেদিন শুনেছিলাম ওর মুখে সেদিন আমি নিজেও ঠিক মত বুঝতে পারে নি । পরে বুঝেছি । আমার মত অনেকেই হয়তো বুঝতে পারবে না প্রথমে ।
না না বিয়াদ মোটেই আমার প্রতিরূপ নয় । আমার সামনে যদি এমন অবস্থা আসতো যে প্রিয় মানুষটাকে কাছে পাওয়ার, তাহলে আমি শেষ পর্যন্ত যে কোন উপায় অবলম্বন করতে রাজি । তাকে পাওয়া টাই মূখ্য, কিভাবে পেলাম সেটা না !
পোস্ট ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো !
১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইয়ে মানে কিছু টের পাইটেছেন কি ! হা হুতাশ করতেছে কেউ হ..........চারিদিকে কেমন একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস, ভারী বাতাস আর ব্যর্থ মানুষের হাহাকার!! মানুষের এতো দুঃখ-কষ্ট আমি আবার সহ্য করতে পারিনা। জানেনই তো, অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের মানুষ আমি!!!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: বেশি কষ্ট লাগলে আপনিও খানিকটা দুঃখে সামিল হয়ে আসেন । তাইলে মনে হয় খানিকটা শান্তি পাইতে পারে । আমার তো মনে হইতেছে যে সামনের দিন থেকে আর ল্যাদাইতে পারিবে না এই দুঃখে বেচারার ঠিক মত রাতে ঘুম হয় নাই । সামনের কদিন আসবেও না !
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বাহ, সুন্দর মিলের গল্প ভালো লাগে