নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে একটু অস্থিরবোধ করলো নীলিমা । যতই কাজে মন দিতে চাচ্ছে কিন্তু বারবার ঘুরে ফিরে মাহিরের চেহারাটা বার বার ভেসে উঠছে । বারবার ওর হাস্যজ্ঝল চেহারাটা চোখের সামনে ফুটে উঠছে । কাল সারা রাত ও একদম শান্তিমত ঘুমাতে পারে নি । বার বার কেবল মনের ভেতরে একটা তিক্ত না পাওয়ার বেদনা ফুটে উঠেছে । নিজের কৃত কর্মের জন্য নিজেকে দোষারোক করেছে বারবার । আজকে মাহির ঐ হাসিটা ওর দিকে তাকিয়ে দিতো যদি সেদিন মাহিরকে ওভাবে ছেড়ে না যেত । জীবনের মোড়টা ঘুরে যাবে সে কোন দিন ভাবতে পারে নি । একটা অচেনা কষ্ট এসে ভর করেছে ওর ভেতরে । কিছুতেই সেটা মন থেকে দুর করতে পারছে না ।
জীবনে একটা বড় ভুল সে করেছে । সেটা সে মেনেও নিয়েছিলো কিন্তু তাই বলে মাহির কে কেন ওর জীবনে আবার আসতে হবে ? কেন আবার পুরানো কষ্টটা জেগে উঠতে হবে ! রায়হানের সাথে ওর বিয়েটা সুখের হয় নি । যে টাকা পয়সা আর নিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য রায়হানকে সে বিয়ে করেছিলো সেসবই সে পেয়েছে কিন্তু তারপরেও সে সুখী হয় নি । রায়হান নিজের কাজ ছাড়া আর কিছু বোঝে না । রায়হানের কাছে নীলিমা কেবল একটা দেহ ছাড়া আর কিছু না । শারীরিক চাহিদা মেটানো ছাড়া রায়হান ওর কাছে আর কিছুই চায় না। কোন চেষ্টাও করে না । সপ্তাহ নিয়ম করে ঘনিষ্ঠ হয় তারপর ঘুমিয়ে পরে । সকালে অফিস যায় । রাতে ফেরে । খেয়ে দেয়ে ঘুম । এই হচ্ছে রায়হানের জীবন । এই চার বছরেই নীলিমা একেবারে হাফিয়ে উঠেছে যেন ।
নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্যই এই অফিসে জয়েন করেছিলো । কাজও চলছিলো বেশ ভালই । তখনই আবারও মাহির ওর জীবনে এসে হাজির হল । গতকালকে অফিস থেকে বের হয়ে সিড়ির উপরে দাড়িয়ে ছিল । কোন দিকে যাবে এই ভাবছিলো ঠিক সেই সময়েই সে মাহিরকে দেখতে পায় । ওদের অফিসের সামনে এসে হাজির হয়েছে । কাউকে যেন খুজছে । চার বছর পরে মাহিরকে দেখছে । তবে চিনতে একদম ভুল হয় নি । দেখতে আগের থেকে আরও সুন্দর হয়েছে । পোশাক পরিচ্ছদে আরও পরিপাটি হয়েছে । বাইক কিনেছে নতুন । আগের বাইকটা নয় এটা । সেই বাইকে নীলিমা কত চড়েছে । ক্যাম্পাসের পুরোটা সময় সেই বাইকেই কাটিয়ে দিয়েছিলো দুজন ! পুরানো আমলের একটা হোন্ডা । মাহিরের ছোট মামার বাইক ছিল সেটা । ছোট মামা হঠাৎ করে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় সেটা ওর হাতে চলে এসেছিলো !
নিজেকে একটু লুকিয়ে ফেলল থামের আড়ালে যাতে মাহির ওকে দেখতে না পারে । তবে মাহিরের দিকে চোখ রাখলো ঠিকই । বারবার কেবল মনে হতে লাগলো যে মাহির এখানে কি করছে ? কার সাথে দেখা করতে এসেছে সে ?
উত্তরটা পেয়ে গেল কিছু সময়ের ভেতরে । রিদি ম্যাডামকে দেখতে সে । মাহির কাছে গিয়ে দাড়ালো । মাহির কেমন হেসে হেসে কথা বলছিলো । রিদিও তাই । তারপর রিদি উঠে বসলো বাইকে । বাইকটা বের হয়ে গেল গেট দিয়ে । অনেকটা সময় ভেসে রইলো চোখের সামনে দৃশ্যটা । কিছুতেই মন থেকে মুছে ফেলতে পারলো না সেটা । যখন বাসায় যাওয়ার জন্য সিএনজিতে উঠেছে কেবল অনুভব করলো যে ওর ভীষণ কষ্ট হচ্ছে ।
এতো দিন পরে মাহিরকে দেখার জন্য ?
নাকি মাহির অন্য কোন মেয়ের সাথে সুখে রয়েছে এই জন্য ?
লাঞ্চ আওয়ার শুরু হতেই নীলিমা পায়ে পায়ে এগিয়ে গেল ক্যান্টিনের দিকে । রিদি রহমান হচ্ছে ওদের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ । তার আন্ডারেই নীলিমা কাজ করে । মেয়েটা এমনিতে ভাল বেশ । ওর থেকে বড় হবে কয়েক বছরের । মাহির সমান হবে । কিংবা একটু বড় ।
ক্যান্টিনে পাওয়া গেল রিদিকে । এক কোনাতে বসে হটপট বের করে খাবার খেতে ব্যস্ত । মোবাইলের দিকে চোখ । রিদির সামনের গিয়ে নীলিমা বলল, বসবো আপু ?
রিদি মুখ তুলে তাকালো । তারপর একটু হেসে বলল, আরে বস বস । লাঞ্চ করেছো ?
-এই তো আপু করবো।
-ওকে ওকে বস । শেয়ার কর আমার সাথে ।
-না না আপু ঠিক আছে । আমার সাথে খাবার আছে ।
-আরে আছো তো বুঝলাম । আমার থেকে নাও । বাসার খাবার ।
নীলিমা দেখলো হটপটের ভেতরে পরোটা আর খাসির মাংস ভুনা করা । দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে রান্না ভাল হয়েছে । তখনই মনে হল রান্নাটা মাহিরের । মাহির ভাল রান্না জানতো । ওকে কতবার খাইয়েছে রান্না করে । কৌতুহল দমাতে না পেয়ে এক টুকরো মুখে নিল সে । এবং সাথে সাথেই বুঝতে পালরো যে রান্নাটা মাহিরের । এতো বছর পরেও মাহিরের হাতের রান্না একদম ভুলে যায় নি সে ! বুকের ভেতরে আবারও খচ করে উঠলো । তাহলে কি রিদিকে বিয়ে করে ফেলেছে মাহির ?
অফিসে নীলিমা নতুন । কলিগদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে এখনও সে খুব একটা কিছু জানে না । রিদি রহমান বিবাহিত কিনা সেটা সে জানে না ।
টুকটাক খেতে খেতে ওরা এটা ওটা নিয়ে গল্প করতে লাগলো । নীলিমা এক সময় বলল, কালকে আপনাকে মাহির ভাইয়ার সাথে দেখলাম ।
রিদি অবাক হয়ে বলল, তুমি মাহিরকে চেনো নাকি?
তারপর নিজেই যেন কি একটা মনে পড়লো এমন ভাব করে বলল, ওফ ! দেখছো আমি ভুলেই গিয়েছিলো তোমার আর ও একই ভার্সিটি । তুমিও ওর মত আইআর এ পড়তে । ওর জুনিয়র । ওকে চিনতেই পারো ! হ্যা মাহিরই ।
-বয়ফ্রেন্ড ?
রিদি একটু হাসলো । তারপর, বয়ফ্রেন্ড ! আরে বোকা মেয়ে এখন কি আর বয়ফ্রেন্ডের বয়স আছে ! হাসব্যান্ড !
নীলিমার বুকের ভেতরে আবার কেউ যেন একটা ছুরি চালিয়ে দিল । রিদি খাবার দিকে ইঙ্গিত করে বলল, ওরই রান্না । বউ হয়েছি আমি অথচ ও আমাকে রাত দিন নানা রকম রান্না করে খাওয়ায় ।
নীলিমা অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, আপনাদের কিভাবে পরিচয় ?
-আরে ও তো আগে এখানেই জব করতো । একই সাথে কাজ করতাম আমরা । তারপর এক সময় ঘনিষ্ঠতা হল !
-ভাইয়া খুব কেয়ারিং । তাই না?
-তা আর বলতে । আসলে যখন বন্ধুত্ব হল তখনই টের পেয়েছিলাম যে ছেলেটা একটু বেশি সেনসেটিভ ! একটু ইমোশনাল । যখন ওকে আকড়ে ধরলাম অদ্ভুত ভাবে আবিস্কার করলাম যে রত্ন আমি পেয়েছি । তারপর ওর বাংলাদেশ ব্যাংকে জবটা হয়ে গেল । আমাদের বিয়ের কয়েক দিন পরেই অফার লেটার এসেছিল । ও বলে দিল আমাকে ছেড়ে যে ওখানে যাবে না। এখানেই জব করবে । এতো টাকা পয়সা দিয়ে হবে কি ! শেষে আমি ধমক দিয়ে পাঠিয়েছি । এই যে দেখো কালকে আমার একটু মাথা ঘুরছিলো দুপুরের দিকে । এই কথা ওকে বলতেই জনাব বাইক নিয়ে হাজির আমাকে নিতে । আজকে নিজে রান্না করেছে সকালে উঠে । আমাকে পৌছে দিয়ে অফিস গেছে আবার বিকেলে আসবে !
নীলিমা কেবল তাকিয়ে ছিল রিদির দিকে । কথা গুলো বলার সময় রিদির চোখ মুখে কেমন আনন্দে ঝলমল করছিলো । নীলিমা আর কিছু বসলো না । উঠে গেল । অফিসের ওয়াশ রুমে ঢুকলো । কেন জানি ওর খুব বেশি কান্না আসতে লাগলো । সেটাই আটকানোর চেষ্টা করতে লাগলো সে !
ক্যাম্পাসে তিন বছরের জুনিয়র ছিল নীলিমা মাহিরের । ফার্স্ট ইয়ার পার করতেই ওদের প্রেম হয় । মাহির আসলেই এমন ছেলে ছিল যে তাকে পছন্দ করতেই হয় । বিশেষ করে খুব বেশি কেয়ারিং তবে পজেসিভ না । চুটিয়ে প্রেম করেছে ওরা । নীলিমার অনার্স শেষ হওয়ার আগেই ওর জন্য বিয়ের প্রোপোজাল আসতে শুরু করে । এমন একটা প্রোপোজালে বাড়ির সবাই রাজি । সত্যি বলতে কি নীলিমা নিজেও রাজি ছিল । বেশ ভাল চাকরি ছেলেটার । ইঞ্জিনিয়ার । বেসরকারি জব হলেও বেতন বেশ ভাল । রাজি হয়ে গেল সে । ওর কাছে তখন নিশ্চিত জীবনের হাত ছানি ।
মাহির খবরটা শোনার পরে একেবারে ভেঙ্গে পড়েছিলো । বলেছিলো যে ওকে কয়েক দিন সময় দিতে । একটা চাকরি সে করছে । এর থেকে ভাল চাকরি সে জোগার করবে । মাহির যদিও চাকরিতে ঢুকেছিলো তবে সেটা খুব একটা ভাল ছিল না । বেতনও খুব বেশি না । ওর হবু বরের সামনে তো কিছুই না ।
কিন্তু আজকে ! মাহির ঠিকই ভাল একটা চাকরি জোগার করে নিয়েছে । ও যদি এই সময়টা মাহিরের সাথে থাকতো তাহলে রিদির মত এই ঝলমলে আনন্দময় মুখ নিয়ে অন্য কারো কাছে মাহিরের গল্প করতে পারতো !
দুই
পাতলা কম্বলটা রিদির গায়ের উপর তুলে দিতে দিতে মাহির বলল, আজকে শরীরে ভাল তো ? কালকের মত কিছু মনে হচ্ছে না তো?
রিদি বলল, হ্যা খুব মনে হচ্ছে ।
-তাই নাকি?
রিদি হেসে ফেলল । তারপর বলল, এতো চিন্তা কেন কর শুনি? আমি কি বাচ্চা ?
মাহির কোন কথা বলল না । নিজেও কম্বলের ভেতরে চলে এল । রিদি বলল, একটা কথা জিজ্ঞেস করি ?
-কর?
-ডু ইউ মিস ইয়োর এক্স?
-হঠাৎ এই প্রশ্ন?
-আহা বল না?
-এক সময় করতাম । মিথ্যা বলবো না । তবে তুমি যেদিন থেকে আমার জীবনে এলে । আস্তে আস্তে উপলব্ধি করলাম যে তুমি ছাড়া আর এখন কারো দরকার নেই আমার । কারো না । ওর কথা মনেও পড়ে না আমার । হ্যা এক সময় কাছের ছিল । তবে সেটা অতীত । হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন শুনি ?
রিদি একটু দুষ্টামির হাসি দিয়ে বলল, তোমার এক্স এখন আমার নিচে কাজ করে !
-কি! সত্যিই নাকি?
-হুম !
মাহির একটু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রিদির দিকে । রিদি বলল, আমাকে অফিসে কদিন আগেই কর্মী নিয়েছে । সেখানে সে এপ্লাই করেছে । সিভিতেই আমি চিনেছি । তুমি তো তার কথা বলেছো । প্রথমে ভাবলাম বদটাকে চাকরি দেব না ।
-তারপর?
-তারপর মনে হল না, চাকরি দেব এবং এখানেই তাকে মজা বুঝাবো?
-কেন খুব বেশি প্যারা দাও নাকি?
-আরে না । তার সাথে আমি খুব ভাল ব্যবহার করি।
-তাহলে প্যারা দাও কিভাবে?
-সেটা তোমাকে বলবো না । তবে আমি জানি সে রাতে শান্তিমত ঘুমাতে পারবে না আর !
মাহির হাসলো । বলল, তুমি বাচ্চাই রয়ে গেলে ।
-তোমাকে সে কষ্ট দিয়েছে । একটু প্যারা তো দিতেই হবে ।
-কষ্ট দিয়েছে বলেই তোমার কাছে এসেছি । আর ওর ভাল থাকার ইচ্ছে ছিল । সবারই এই ইচ্ছে থাকে ।
-ভাল থাকার ইচ্ছে থাকা অন্যায় না । কিন্তু একজনকে স্বপ্ন দেখিয়ে মাঝ পথে হাত ছেড়ে দেওয়া অন্যায় । ঘোর অন্যায় ।
-আচ্ছা ঠিক আছে বাবা । অন্যায় । আসো ঘুমানো যাক । ওর কথা চিন্তা করে আমাদের মুভ অফ করার কোন মানে নেই ।
রিদি বলল, আরে শোনো না, আজকে যখন আমি তোমার কথা বলছিলাম তখন ওর চোখে কী যে একটা বেদনার ছাপ দেখতে পেয়েছি । দেখে এতো ভাল লাগলো । আমি নিশ্চিত সে স্বামীর সাথে সুখে নেই ।
-কিভাবে জানো?
-জানি । মেয়েরা জানে । শোনো এই কদিন আমার অফিসে নিয়মিত যাবে । কেমন ? আগামীকাল লাঞ্চ আওয়ারে যাবে । তাহলে মজা হবে খুব !
মাহির হাসলো । তারপর বলল, তুমি আসলেই ছেলেমানুষ!
-হলাম ! এই ছেলেমানুষী খেলাটা আমি খুব আগ্রহ নিয়ে খেলতে চাই ।
মাহির রিদির চোখে মুখের ভাব দেখে বুঝতে পারলো সে আসলেই খুব মজা পাচ্ছে । আরও কি কি করবে সেটা নিয়ে কথা বলতে বলতে রিদি এক সময়ে চুপ করে গেল । ঘুম চলে আসছে ওর !
নীলিমার কথা সে এক প্রকার ভুলেই গিয়েছিলো । রিদির প্রভাব ওর জীবনে এখন এতোই প্রবল যে অন্য কোন মেয়ে সেখানে আসতেই পারে না । নীলিমার জন্য ও মাহিরের মন খারাপ হল? নিজের মনকে প্রশ্ন করলো সে ? ততক্ষনে রিদি ঘুমিয়ে পড়েছে । বাইরে থেকে আলো এসে রিদির মুখের উপরে পড়েছে । রিদির ঘুমন্ত চেহারা দেখে মাহিরের কেবল এই কথাই মনে হল যে রিদি ছাড়া এখন ওর জীবনে আসলেই কেউ নেই । নীলিমা এক সময়ে ছিল বটে ওর জীবনে তবে সেটার কোন মূল্য এখন মাহিরের কাছে নেই । নীলিমা ভাল থাকুক কি মন্দ থাকুক তাকে ওর কিছুই যায় আসে না ।
রিদির কপালে একটা ছোট চুমু খেল মাহির । কালকে রিদির অফিসে যাবে ঠিক করলো সে । রিদির ছেলেমানুষীতে সেও যোগ দিবে ! তারপর ওকে খানিকটা জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়লো ।
গল্পটি আগে নিজেস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
পিকচার সোর্স
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৮
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪২
ইসিয়াক বলেছেন: নীলিমার কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি হওয়া উচিত, ও যেন জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যে মাঝপথে নিজের স্বার্থে আপনজনের হাত আচমকা ছেড়ে দেয় সেই সব বেইমানদের কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তিই হওয়া উচিত। কোন ক্ষমা নেই। কভি নেহী
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০১
অপু তানভীর বলেছেন: শাস্তি তো সে পাচ্ছেই । এমন এক শাস্তি যার থেকে কোন মুক্তি নেই । অবশ্য বাস্তবে কিন্তু এমনটা কম হয় । বাস্তবে এই স্বার্থপরেরা বেশ ভালই থাকে ।
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আর একটু চলতে পারতো।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০১
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়েই মনে হল আরও একটু চলতে পারতোই ।
৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভাল শাস্তি হইছে নীলিমার। নিরাপদ নিশ্চিত জীবনের স্বপ্ন আসলে একটা ইলিউশান ।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৬
অপু তানভীর বলেছেন: নিশ্চিত জীবনের স্বপ্ন আসলেই একটা ইলিউশান । এই ইলিউশান থেকে কেউ বের হতে পারে না ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার গল্প! +