নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ হি ইজ ওয়াচিং

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৭



ছুটির দিন গুলোতে আলদিতে সোফিয়ার ব্যস্ত সময় কাটে । ক্যাশ কাউন্টটারে লম্বা লাইণ লেগে থাকে সব সময়ই । একটু বিশ্রাম নেওয়ার সময় থাকে না । পরপর দুইদিন সোফিয়ার ডিউটি পড়েছে ক্যাশ কাউন্টারে । অন্য মেয়েটা আজকে আসে নি শারীরিক অসুস্থতার জন্য । সকাল থেকেই তাই সোফিয়ার মন মেজাজ একটু খারাপ । তার উপরে সকালের কফিটাও একটু ঠান্ডা ছিল । ঠিক মত সকালের নাস্তা না হলে পুরো দিনটা যেন আরও খারাপ যায় । আজকে ওকে সম্ভবত ওভার টাইমই করতে হবে ।

তখনই সোফিয়া মেয়েটাকে দেখতে পেল । আপাদমস্তক কালো বোরখা পরা । কেবল মুখটা খোলা । মেয়েটিকে দেখে সোফিয়ার মেজাজটা আরও একটু খারাপ হল । মেয়েটিকে সোফিয়া চিনে । রিফিউজি । এর আগেও বেশ কয়েকবার এই সুপারসপে এসেছে মেয়েটি । মেয়েটিকে আলাদা ভাবে চিনে রাখার কারণ হচ্ছে প্রতিবার মেয়েটির সাথে একটা বাচ্চা থাকে । সম্ভবত মেয়েটির বাচ্চা । বাচ্চাটা দারুন দুষ্ট । সারাটা সময় এটা ওটা ধরতে যায় । মেয়েটা সামলে রাখতে পারে না । এই সপ্তাহ খানেক আগেই বাচ্চাটা একটা ক্যানের সারি ফেলে দিয়েছিলো । ভাগ্য ভাল ছিল যে খুব বেশি ক্যান সেখানে ছিল না । আর একটা ক্যানও ফেটে যায় নি । তবে সোফিয়াকেই সেই ক্যান গুলো তুলে সাজাতে হয়েছিলো । সোফিয়ার মেজাজ খারাপ হলেও কিছু বলতে পারে নি । কেবল বলেছিলো যেন এরপর থেকে এই বাচ্চাকে সাথে করে না নিয়ে আসে । মেয়েটি বারবার আরবিতে কি যেন বলছিলো । সম্ভবত বাচ্চার আচরনের জন্য সে ক্ষমা চাইছিলো ।

গতকালকেও মেয়েটিকে আসতে দেখেছে । যথারীতি সাথে বাচ্চাটা ছিল । তবে গতকাল সে অন্য কিছু করে নি । করলেও সোফিয়ার নজরে আসে নি । গতকাল তার অনেক ব্যস্ততার সময়ে গিয়েছে । অন্য দিকে তাকানোর সময় ছিল না । আবারও করোনার প্রকোপ বাড়ছে তাই মানুষজন কেনাকাটা করে রাখছে ।

সামনের কাস্টমারকে বিদায় করে দিয়ে সোফিয়া অন্যজনকে ডাকতে যাবে তার আগেই বোরকা পরা মেয়েটি সামনে এসে দাড়ালো । লাইণ ভেঙ্গে চলে এল দেখে সোফিয়ার মেজাজ একটু খারাপ হল । সে ইংরেজিতে মেয়েটিকে বলল, তুমি লাইন ধরে আসো ।
মেয়েটি বুঝলো বলে মনে হল না । মেয়েটি আরবি ছাড়া আর সম্ভবত অন্য কোন ভাষা বুঝে না । মেয়েটি দাড়িয়ে রইলো একই ভাবে ।

সোফিয়া বলল, কী ব্যাপার তোমাকে না বললাম লাইন ধরে আসো ।
মেয়েটি এবার নিজের ছোট ব্যাগ থেকে একটা ৫০ ইউরোর নোট বের করে সোফিয়ার দিকে তাকিয়ে আরবিতে কিছু বলে উঠলো । সোফিয়া কিছু বুঝলো না । তারপর আবারও কথা গুলো বলতে শুরু করলো । সোফিয়া এক সময়ে একটু বিরক্তই হয়ে উঠলো । একটু গলা চড়িয়েই বলল, তুমি লাইন থেকে বাইরে যাও । তুমি তো কিছু কেনই নি । টাকা কেন দিচ্ছো?

মেয়েটি একটু ভয় পেল বটে তবে সামনে থেকে চলে গেল না । এবার আরও একটু আকুল কন্ঠে কিছু বলে উঠলো । কিছু যেন বলতে চাইছে । বোঝাতে চাইছে সোফিয়াকে কিন্তু বুঝতে পারছে না । মেয়েটির অসহায় মুখ দেখেই সোফিয়া একটু নমনীয় হল । তারপর লাইনের দিকে তাকিয়ে উদ্দেশ্য করে বলল, তোমাদের কেউ কি এরাবিক জানে? একটু এদিকে এসো তো !

একটা ছেলে লাইন ছেড়ে বের হয়ে সামনে এল । সোফিয়া ছেলেটির দিকে তাকিয়ে বলল, দেখো তো এই মেয়ে কী বলতে চাচ্ছে । আমি কিছু বুঝতে পারছি না ।
ছেলেটি বোরকা পরা মেয়েটির দিকে তাকিয়ে কিছু যেন বলল। মেয়েটি এবার ছেলেটিকে আবারও সেই একই কথা বলতে শুরু করলো । সোফিয়া ছেলেটির মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল । দেখতে পেল সেটা হঠাৎই কেমন বদলে গেল । একবার মেয়ের দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো সে ।
কথা গুলো বলা শেষ হলে সোফিয়ার দিকে তাকিয়ে ছেলেটি বলল, সে বলছে যে গতকাল সে এখানে এসেছিল । তার কাছে দশ ইউরো আর একটা ৫০ ইউরোর নোট ছিল । কেনা কাটা করার পরে সে তোমাকে ১০ ইউরোর নোট দিয়েছিলো । তাড়াহুড়ার কারণে তুমি তাকে খুচরো ভুল করে ৫০ ইউরোর একটা নোট ফেরৎ দিয়েছিলে। বাসায় গিয়ে খেয়াল করে দেখে সে তার কাছে দুইটা ৫০ ইউরোর নোট । সে একটা ফেরৎ দিতে এসেছে ।

সোফিয়া যেন ধাক্কার মত খেল । একজন রিফিউজির কাছে এই সময়ে ৫০ ইউরো মানে অনেক টাকা । এই টাকা সে ফেরৎ দিতে এসেছে ! সোফিয়া নিজে একবার রিফিউজি ক্যাম্পে গিয়েছিলো । সেখানে মানুষ গুলো কী কষ্টে থাকে সেটা সে নিজের চোখে দেখেছে । এতো কষ্টের ভেতরে থেকেও এমন ভাবে মেয়েটি কাজটা করলো কিভাবে?
ও কি করতো ?
এমন করে যদি ওর কাছে টাকা চলে আসতো তাহলে সে কি ফেরৎ দিতো?

সোফিয়া হাত বাড়িয়ে নোট টা নিল । তারপর একটু হেসে বলল, ধন্যবাদ তোমাকে ।
ছেলেটি সেই কথা গুলো আরবিতে অনুবাদ করে দিল ।


মেয়েটির মুখেও একটু হাসি দেখতে পেল সে এবার ! সোফিয়ার মনে হল মেয়েটির চেহারা থেকে একটা কালো চিন্তার ছায়া চলে গেল । সেখানে একটা নির্মল আনন্দের আলো দেখা যাচ্ছে । টাকাটা ফেরৎ দিয়ে সে যেন কোন চিন্তা থেকে দায় মুক্ত হল ।

মেয়েটি আর দাড়ালো না । দরজা ঠেলে বের হয়ে গেল । সোফিয়া মেয়েটির চলে পথের দিকে তাকিয়ে কিছু সময় । পুরো দিন সোফিয়া কেবল মেয়েটির কথাই ভাবতে লাগলো । কোন ভাবেই মন থেকে সেটা বের করতে পারলো না ।


সোফিয়ার সাথে মেয়েটির দেখা হল আরও দুই সপ্তাহ পরে । যথারীতি কেনা কাটা করতে এসেছে । সাথে সেই বাচ্চাটা রয়েছে । তবে আজকে সোফিয়ার মোটেই মেজাজ খারাপ হল না । বরং মেয়েটিকে দেখে তার মনটা ভাল হয়ে গেল যেন একটু । কাউন্টারে বিল দেওয়ার সময় মেয়েটির দিকে তাকিয়ে সোফিয়া হাসলো । প্রতিউত্তরে মেয়েটিও হাসলো একটু । আজকে অবশ্য সোফিয়া কোন ভুল করলো না । সোফিয়া তাকে জানে ইংরেজি কেমন আছে জানতে চাইলো । সোফিয়া জানে যে মেয়েটি সেটা বুঝতে পারবে না । তবে মেয়েটির আরবিতে তাকে কিছু বলল প্রতি উত্তরে । ভাষা না বুঝলেও সোফিয়ার বুঝতে অসুবিধা হল না যে মেয়েটি তার কুশলের জবাব দিচ্ছে । কিভাবে দিচ্ছে সেটা জানে না । আজকে বাজারের সাথে সোফিয়া নিজ পকেট থেকে বাচ্চাটার হাটে একটা চকলেট ধরিয়ে দিল , মেয়েটি নিতে না চাইলেও সোফিয়া হাতের ইশারাতে বলল যে এটা উপহার ।


তারপর কেটে গেছে কিছু দিন । মেয়েটির সাথে সোফিয়ার একটা আলাদা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে । মেয়েটি ততদিনে ভাঙ্গা ভাঙ্গা জার্মান ইংরজি বলা শিখেছে । মেয়েটির নামও সে জানতে পেয়েছে । জয়নাব। বাচ্চাটার নামও সে জেনেছে । আরও জেনেছে যে মেয়েটির স্বামী যুদ্ধে মারা পরেছে । সে এখানে ছোট ছেলেটিকে নিয়ে এসেছে একা ।
সোফিয়ার মনের ভেতরে অনেক দিন থেকেই একটা প্রশ্ন লুকিয়ে ছিল । সে একদিন জয়নাবকে প্রশ্নটা করেই ফেলল । বলল, তুমি কেন সেদিন টাকাটা ফেরৎ দিতে এসেছিলে । তুমি যদি না ফেরৎ দিতে তাহলে কেউ কোন জানতে পারতো না ।
জয়নাব হেসে বলল, কেউ হয়তো দেখতো না, জানতো না তবে উঁনি ঠিকই দেখতেন । আল্লাহ দেখতেন ঠিকই । তিনি সব দেখেন।

সোফিয়া সত্যিই অবাক না হয়ে পারলো না । এতো কষ্ট এতো দুঃখ সহ্য করেও এই মানুষটার ধর্ম বিশ্বাস উপরওয়ালার প্রতি বিশ্বাস দেখে সোফিয়া সত্যিই অবাক হল ।




উপরের গল্প দৃশ্যটা বানানো তবে এই গল্পের দৃশ্যপট একেবারে বাস্তব । কদিন আগে জার্মানিতে থাকা একজন ভদ্রলোক এই দৃশ্যটি নিজের চোখে দেখেছেন । সেটা লিখেছিলেন নিজের ফেসবুক ওয়ালে । এই গল্পের উৎস সেখান থেকেই । স্টাটাস লিংক


picture source

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩১

জুল ভার্ন বলেছেন: ভিন দেশীর প্রেক্ষাপট হলেও গল্পের দৃশ্যপট সার্বিক ভাবে সমাদৃত, যদিও আমাদের নীতি নৈতিকতা অত্যন্ত দূর্বল!
গল্প ভালো লেগেছে। +

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: আমার নীতি নৈতিকতা আসলেই এতো দুর্বল যে এদেশে কেউ কুড়িয়ে পাওয়া কিছু ফেরৎ দিলে সেটা পত্রিকাতে চলে আসে । মনে হয় যেন কত রেয়ার একটা ব্যাপার ঘটেছে অথচ এমনটাই কিন্তু স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিল । হারিয়ে যাওয়া জিনিস মানুষ স্বাভাবিক ভাবে ফেরৎ দিবে।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য !

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪২

জোভান আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ এতো সুন্দর গল্পটি পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে :)

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৪

অর্ক বলেছেন: দারুণ লাগলো! সত্যি, রোমাঞ্চিত হলাম। ২০২২ এর পৃথিবীতে কতো রিফিউজি! আগামীতে নিশ্চিতভাবেই আরও বাড়বে! সৃষ্টির সেরা মানুষ! জয় হোক মানুষের!

শুভেচ্ছা রইলো।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: অনেক দিন পরে আপনার উপস্থিতি দেখা গেল ব্লগে । নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো ।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

জটিল ভাই বলেছেন:
লিখনী জটিল।
তবে আজ যদি আমাদের নৈতিক অবক্ষয় না হতো, তবে এইগুলো নিত্যনৈমিত্তিক সাধারণ ঘটনাই হতো। বরং ফেরত না দেওয়াটা হতো এমন অবাক করা ঘটনা। সমাজ এই পরিশুদ্ধ হবে সেই আশাতেই বেঁচে থাকা।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের দেশে এই সব ব্যাপার ঘটলে সেটা নিউজ হয়ে যায় । এই ব্যাপার জানার পরে আমরাও বড় বাহবা দিই । এই বাহবা দেওয়া থেকেই স্পষ্ট যে আমাদের কাছে কত রেয়ার একটা ব্যাপার অথচ এটা হওয়া দরকার ছিল স্বাভাবিক !

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩

ইসিয়াক বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার নীতি নৈতিকতা আসলেই এতো দুর্বল যে এদেশে কেউ কুড়িয়ে পাওয়া কিছু ফেরৎ দিলে সেটা পত্রিকাতে চলে আসে । মনে হয় যেন কত রেয়ার একটা ব্যাপার ঘটেছে অথচ এমনটাই কিন্তু স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিল । হারিয়ে যাওয়া জিনিস মানুষ স্বাভাবিক ভাবে ফেরৎ দিবে।

তোমার করা এই কথা টাই আমিও বলতে চাইছিলাম, আফসোস নিউ নরমাল এই সামাজ ই :(

লেখা ভালো হইছে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: এটাই হয়ে আসছে এবং এটাই বরং চিন্তার একটা ব্যাপার । অন্যায় করলেই বরং মানুষ সেটা কে স্বাভাবিক হিসাবে ধরে নেয় । ভাল কিছু করলে অবাক হয় !

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০

সাসুম বলেছেন: যে পোস্ট অবলম্বনে এত লম্বা গল্প লিখলি সেই পোস্ট পুরাটাই একটা গালগল্প। বিদেশে কিছু হারাইলে খুব ছেচড়া কারো হাতে না পড়লে ফিরে পাওয়া যায়। লেখক এমন ভাবে জার্মান সমাজ কে উপস্থাপন করছে সিরিয়ান মহিলাকে কিংবা সেই ধর্মকে গ্লোরিফাই করতে মনে হবে সেটা জার্মানি না বরং মোহাম্মদপুর।

আমি গত সপ্তাহে বাসে করে যাওয়ার টাইমে পেছনের পকেট থেকে মানিব্যাগ পড়ে যায়। সেখানে জাতীয় পরিচয় পত্র, রেসিডেন্সি পারমিট, ক্যাশ টাকা, ব্যাংক কার্ড সহ টুকিটাকি অনেক কিছু।

কি করলাম? জাস্ট কাউন্টারে গিয়ে বললাম হারায় ফেলছি। একজন বের করে দিল। গাড়ির ড্রাইভার কুড়িয়ে পেয়ে ফেরত দিছে।

এখানে ধর্ম বা খোদার ভীতি কিছুই কাজ করেনি। যেটা কাজ করেছে সেটা সততা।

ওই মহিলা একজন সৎ মানুষ। তাই সততার চর্চা করেছে। সততার চর্চা রিফিউজি হোক আর এলন মাস্ক হোক সবাই করা উচিত। মানুষ এই সিম্পল সততার চর্চাকে দেখিয়ে তার স্পেসিফিক ধর্ম কে গ্লোরিফাই করার কি মহান চেস্টাটাই না করছে!!

জার্মানির মত সভ্য দেশে এটা সবাই চর্চা করে।

তবে এই মহিলার এই সততার চর্চায় সবাই অবাক হয়েছে কারন তারা ঐ মহিলার সমসাময়িক দের কাছ থেকে এই সততা দেখেনা। তারা দেখে জংগিবাদ আর টেরোরিজম আর অসততা।

এটা একটা সিম্পল কাজ। যেটা সব সভ্য সমাজে, সভ্য দেশে হয়ে থাকে।

যখন দেখবি কোন সিম্পল কাজকে বিশাল গ্লোরিফাই করা হচ্ছে তখনই বুঝতে পারবি কুচ তো গড়বড় হ্যায়। ধর আমাদের দেশে টমটমের মাথায় সোলার প্যানেল লাগায়া সেটাকে বিশাল গ্লোরিফাই করা হয় আমাদের দেশের ইলেকট্রনিক ভেহিকেল কিংবা আমাদের গুলশান এলাকায় ৫ জি চালু করে গ্লোরিফাই করা হয় আমরা অনেক আগায় গেছি ৪র্থ শিল্প বিল্পবে বিশাল স্পিডে নেট পাব যদিও এই বাল আরো ৩ বছর আগেই চালু হইছে অন্য যায়গায় এবং আমরা নরমাল ২ জি ইন্টারনেট স্পিড দুনিয়ার সব থেকে জঘন্য পাই। কিংবা আমাদের একটা ফ্লাইওভার আর একটা সেটেলাইট ভাড়া নিয়া উৎক্ষেপণ কইরা কি বিশাল গ্লোরিফাই চলছে। আসল কাহিনি ভেতরে গড়বড় তাই এসব।


সিম্পল কাহিনি কে রুপকার গল্প মিথের আকারে টাইনা করতাছিস টা কি সবাই মিলে।


০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: বেশির ভাগ মানুষই সততার প্রথমপাঠ শিখে ধর্ম থেকেই । ইভেন সব ভাল গুণের প্রথম পাঠ মানুষ পায় ধর্ম থেকে । ধর্ম শিক্ষা থেকে । মানুষের ধর্ম বিশ্বাস খুব কঠিন হতে পারে । খুব বেশি কঠিন এবং শক্ত । এই ধর্মের কারণেই মানুষ যেমন নিজের প্রাণ উৎসর্গ করতে পারে আবার কারো কল্লাও নামিয়ে দিতে পারে ।

এই গল্প আমার কাছে সত্যই মনে হয়েছে । সত্যিই তাই । কারণ এই গল্প আমি নিজের সাথেই রিলেট করতে পারি ।

৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সাসুম বলেছেন: সততার ১ম পার্ট ধর্ম থেকে শিখে বলেই বাংলাদেশে আজ এত এত সৎ ব্যাক্তি আর চারদিকে সততা উপছে পড়ছে।

এই ন্যারেটিভ চেঞ্জ হওয়া দরকার।

ধর্ম বলছে তাই সৎ হতে হবেনা বরং সৎ না হওয়া বা সততা না ধারন করাটা অধর্ম এটা শিখানো দরকার। একই জিনিস বাট শিখানোর মধ্যে তফাত।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০০

অপু তানভীর বলেছেন: তোর আমার মত মানুষ এতো প্রিভিলিজ না । এই রিফিউজির কথাই যদি ধরি, তার জীবন থেকে যদি ধর্মের শিক্ষাটা যদি মুছে দেওয়া হয় তাহলে তোর কী মনে হয় সে এই ৫০ ইউরো ফেরৎ দিতো?
আমার নিজের গল্পই আমি বলি । আমি আমার জীবনে কারো একটা টাকা মেরে খাই নি । নট এ সিঙ্গলে পয়সা ! এই যে না মেরে খাওয়ার ভিত তৈরি হয়েছে এটা তৈরি হয়েছে ধর্ম শিক্ষা থেকেই । তখন ক্লাস সেভেন কি এইটে পড়ি । একবার এক দোকানদার আমাকে ভুল করে ১০ টাকা বেশি দিয়ে ছিল । সেটা বাসায় এসে যখন টের পাই এবং পরদিন যত সময়ে না সেটা ফেরৎ না দিয়ে আসি ততসময়ে আমার মনে শান্তি শান্তি ছিল না । এই যে বোধ, এটা তৈরির পেছনে মুল কারণ ছিল ধর্ম শিক্ষায় । অন্য কিছু নয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.