নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দরজাটা খুলতেই নিম্মি একটু অবাক হল । এই মানুষটাকে সে এখন আশা করে নি মোটেও । দরজার ওপাশে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে সোহেল । সম্পর্কে সোহেল নিম্মির দুলাভাই । অবশ্য কালকের পরে আর সেই সম্পর্ক থাকবে না । নিম্মির বড় বোন নীলার সাথে সোহেলের ডিভোর্সের সব কাজ কর্ম শেষ । কাল কেবল দুইজন এক সাথে সই করলে সেটা কার্যকর হয়ে যাবে । আর আজকে এই সময়ে সোহেল নিম্মিদের বাসায় এসে হাজির ।
-ভাইয়া আপনি?
সোহেল একটু যেন হাসার চেষ্ট করলো । তারপর বলল, তোমার আপু আছে?
-হ্যা, আপু একটু আগে অফিস থেকে ফিরেছে । শুয়ে আছে ঘরে ।
-একটু বলবে যে আমি এসেছি ?
-হ্যা হ্যা ভেতরে আসুন ।
-না ঠিক আছে । আমি বাইরে দাঁড়িয়ে আছি । ওকে একটু বল প্লিজ ।
নিম্মি কিছু বলতে যাচ্ছিলো এমন সময় নিম্মি ওর বাবার কন্ঠ শুনতে পেল । খানিকটা আদেশের কন্ঠেই বলল, তুমি এখনো এই বাড়ির আত্মীয় । ভেতরে এসো । যা বলার ভেতরে এসে বল।
সোহেল আর কোন কথা না বলে ভেতরে প্রবেশ করলো । খানিকটা সংকোচ নিয়ে সোফার উপর বসল । অনেক দিন সে এই বাড়িতে আসে নি । এমনিতেও শশুর বাড়িতে সে খুব একটা আসতো না । নীলার সাথে ঝগড়া শুরুর একটা কারণ এই শশুর বাড়িতে না আসা । কেবল শশুর বাড়িতেই না, সোহেল আসলে ঠিক কারো বাড়িতেই যেত না । এমন কি নিজের বাবার বাড়িতে যাওয়া নিয়ে তার ছিল প্রবল অনীহা । নীলাকে সব অনুষ্ঠানে যেতে হত একা একা । এটা নিয়েই প্রথম অসন্তুষ্টির সুত্রপাত । তারপর আস্তে আস্তে নানান বিষয়ে একটু একটু করে সেটা বৃদ্ধি পেয়েছে কেবল ।
সোহেল নিজের শশুরের সামনে বসে রইলো মাথা নীচু করে । কী বলবে সেটা খুজে পেল না । শশুর মশাইয়ের বেলাতেও তাই । তার জামাই এমনিতে কম কথা বলে, এটা সে জানে । আর এখন সম্পর্কটা এমন হয়ে গেছে যে স্বাভাবিক কথা বার্তা যেন বের হবার নয় মুখ দিয়ে । তবুও কেমন আছি ভাল আছি টাইপের কথা বার্তা হল দুজনের ভেতরে । এর ভেতরে নিম্মি এসে বলল, ভাইয়া আপু আপনাকে ঘরে যেতে বলেছে ।
সোহেল একটু অবাক হল । দেখা করতে রাজি হবে এটা সোহেল জানতো তবে একেবারে ঘরের ভেতরে ডাকবে সেটা ভাবে নি । যদিও এখনও তারা স্বামী স্ত্রীই আছে । সোহেল নিজের শশুরের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ঘরের দিকে রওয়ানা দিল । হাটার সময় অনুভব করলো যে একটু যেন সে কাঁপছে উত্তেজনাতে । দরজার কাছে এসে দেখলো সেটা খোলা । বিছানাতে নীলা শুয়ে আছে চাঁদর গায়ে দিয়ে। ওর ফর্সা পা বের হয়ে আছে । এটা নীলার একটা অভ্যেস । গরম কালেও সে চাঁদর গায়ে দিয়েই শুয়ে থাকে সব সময় এবং সব সময় দুইটা পা বের করে রাখে ।
দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো সে । তারপর দরজার কাছেই দাঁড়িয়ে রইলো কিছু সময় । কোথায় বসবে সেটা ভাবছে । নীলা অন্য দিকে ফিরে ছিল । তাই তার মুখ এখনো দেখতে পাচ্ছে না । নীলা মুখ না ফিরিয়েই বলল, দাঁড়িয়ে আছো কেন?
সোহেল ভেতরে ঢুকলো । নীলা বলল, দরজাটা বন্ধ করে দাও। দরজা খোলা থাকলে মশা আসে ।
সোহেল দরজাটা বন্ধ করল । তারপর ধীর পায়ে খাটের দিকে এগিয়ে গেল । বিয়ের পরে এই ঘরে খুব কমই থেকেছে সে । তবে ঘরটা তার পরিচিত । ড্রেসিং টেবিল আছে একটা । তার সামনে একটা টুল । এছাড়া ঘরে বসার জন্য আর কিছু নেই । সোহেল ঐ টুলটা টেনে বসতে পারে । তবে সেটা করলো না । বিছানার উপর বসলো । বসে রইলো কিছু সময় । কিছু সময় কেউ কোন কথা বলল না ।
নীলা বলল, কেন এসেছো? আরো কিছু টার্ম কি বদলাতে চাও?
সোহেল নীলার কন্ঠে একটা উত্তাপ ঠিকই বুঝতে পারল। সোহেল মৃদ্যু কন্ঠে বলল, তুমি জনো ঐ টার্ম গুলো আমার কথা না । আমার ছোট ফুফার কথা ।
-তোমার ঐ ফুফাকে আমার কোন দিন পছন্দ হয় নি ।
-আমারও তাকে পছন্দ না ।
এই কথা শুনে নীলা পাশ ফিরে তাকালো সোহেলের দিকে । সোহেলের দিকে তাকিয়ে নীলা বলল, কিন্তু তার উপর সব দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছ ! কী ভয়ংকর সব ফ্যাক্ট এনে সে আমাদের ভয় দেখিয়েছে । আমার পুরো শরীর ঘৃণায় রিরি করে উঠেছিল !
সোহেল বলল, আসলে বাবা এসবের দিকে যেতে চান না । তাই এই রকম সব কিছু ফুফাকে দিয়ে করান । উকিল মানুষ । তাই এইভাবে চিন্তা করেন তিনি । আমি এসবের কিছুই জানতাম না । সত্যিই জানতাম না । আজকে জানার পরে মনে হল যে কাজটা মোটেও ঠিক হয়নি । আমি তোমার কাছে সরি বলতে এসেছি ।
নীলা এবার উঠে বসল । সোহেল ওর দিকে তাকাল । কিছুটা সময় সে ঘোর লাগা চোখে তাকিয়েই রইলো নীলার দিকে । কতদিন নীলাকে এমন এলোমেলো মেকাপ-সাজগোজ ছাড়া দেখে নি !
নীলা বলল, এখন আর এসব বলে লাভ কী?
-তুমি চাইলে টার্ম আবার লেখা হবে । দরকার হলে ……।
-কিছু যায় আসে না । মুক্তি চেয়েছিলে মুক্তি পাচ্ছো ।
-শুধু আমিই চেয়েছিলাম? তুমি চাও নি?
-আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি থাকতে । যখন পারি নি তখন……
সোহেল কিছু যেন বলতে গিয়েও বলল না । চুপ করে বসে রইলো । ওর চোখ তখন নীলার হাতের দিকে। হঠাৎ সোহেল বলল, তোমার হাতটা একটু ধরবো?
-কেন ?
-না মানে অনেক দিন ধরি না । কালকের পরে তো আর ধরতেও পারবো না ।
এই বলে সোহেল নীলার দিকে তাকালো । নীলা খানিকটা অবাক হয়েই তাকিয়ে আছে সোহেলের দিকে । সম্ভবত এমন কোন কথা সে আশা করে নি সোহেলের কাছ থেকে । তবে নিজের হাতটা বাড়িয়ে দিল সোহেলের দিকে ।
সোহেল সব সময়ই নীলার হাত ধরতে পছন্দ করতো । এক সাথে বাইরে বের হলে সব সময় নীলার একটা হাত সোহেলের হাতে থাকতো । এমন কি আত্মীয় স্বজনের সামনেও । নীলা কয়েকবার লজ্জায় হাত সরিয়ে নিতে চাইলেও সেটা করতে দিত না । বাসায় যখন একা থাকতো টিভি দেখতে তখনও সোহেল নীলার একটা হাত ধরে থাকতো ।
হাত ধরে বেশ কিছু সময় সোহেল চুপ করে বসে রইলো । নীলার মনে হল সোহেল নিজেকে সামলানোর জন্য চেষ্টা করছে যেন । হাত ধরা ছাড়াও আরেকটা কাজ সোহেলের খুব পছন্দ ছিল । সেটা হচ্ছে নীলার কপালে চুমু খাওয়া । এই কাজটা সে প্রতিদিন করতো । বিশেষ করে অফিস যাওয়ার আগে । কতদিন এই কাজটা করা হয় না । নীলার মনে হল আজকে শেষ বারের মত সোহেল কি এই কাজ দুটো করতে এসেছে?
কী মনে হওয়াতে নীলা একটু এগিয়েই গেল সোহেলের দিকে । এমন একটা কাজ যে সে কেন করছে সে নিজেও জানে না । এমন ভাবেই সে এগিয়ে যেত প্রতিদিন । কপালটা সামনে নিয়ে আসতেই সোহেল সেখানে মৃদ্যু ভাবে চুমু খেল । নীলা অনুভব করলো ওর হঠাৎ করেই কান্না আসছে খুব । সব কিছু ছাপিয়ে সব ঝগড়া বিবাদ এক পাশে রেখে ওদের দুজনের ভেতরে থাকা ভালোবাসা টুকুই কেবল মনে হতে লাগল ।
নীলার মনে হল, আচ্ছা আরেকটা চেষ্টা করলে কি এক সাথে থাকা যেত না? এভাবে একটা সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে!
সোহেল অবশ্য কপালে চুমু খেয়েই থামলো না । নীলার নাকে এবং পরে ওর ঠোঁটে চুমু খেল আরও কয়েকবার । মাস ছয়েকের ভেতরে এই প্রথম সোহেল আর নীলা এতো কাছাকাছি এল। মুখটা নীলার কাছে রেখেই সোহেল বলল, ডিভোর্সটা কি হতেই হবে? আরেকটা চান্স কি দেওয়া যায় আমাকে?
-দিয়ে কী লাভ ? বদলাবে তুমি?
-হয়তো না । কিন্তু হুয়তো তুমি বদলে যেতে পারো !
-তবুও বলবে না যে হ্যা তোমার জন্য বদলে যাবো !
সোহেল হেসে ফেলল । তারপর নীলাকে আরেকবার চুমু খেল । নীলা বাঁধা তো দিলই না তাতে নিজেকে যুক্ত করলো আরও ভাল ভাবে । একটা সময় নিজেকে সরিয়ে বলল, এখন আমি বাসায় কী বলব শুনি? এতো ঝামেলা এতো প্যারা নিয়ে এখন বলব যে ডিভোর্স চাই না?
সোহেল বলল, কাউকে কিছু বলতে হবে না । চল আজকে কক্সবাজার ঘুরে আসি ।
-মানে?
-মানে এখন চল বের হই । বলবে যে একটা কাজে বের হচ্ছি । শেষবার আমার ঘরে কিছু রয়ে গেছে । নিচে চল । ট্যাক্সি দাড় করিয়েই রেখেছি ।
নীলাকে অবাক করে দিয়ে সোহেল নিজের পকেট থেকে একটা টিকিট বের করলো । নীলা সত্যি অবাক হল একটু । এখানে আসার আগে সোহেল টিকিট কেটেই নিয়ে এসেছে ।
টিকিটের দিকে কিছু সময় তাকিয়ে থেকে নীলা বলল, আমি রাজি না হই তবে?
-সত্যিই রাজি হবে না?
নীলা কথাটার জবাব দিতে পারলো না ।
সোহেল বলল, আমি জানি ডিভোর্সের জন্য তুমি কোন দিন একা সিদ্ধান্ত নাও নি । তোমার আত্মীয় স্বজনেরা তোমাকে ফোর্স করেছে, ইন্ধন জুগিয়েছে । আমার বেলাতেও তাই । একটা বার কেবল আমরা নিজেদের মনের কথা শুনি । শুনবে?
নীলা সোহেলের চোখের দিকে তাকালো । সেখানে নীলার জন্য কী এক আকুলতা দেখা যাচ্ছে ।
সোহেল আবার বলল, কাউকে কিছু বলার দরকার নেই । কিছু নেওয়ার দরকার নেই । এমন কি ফোনটাও না । আমিও আমার ফোন বন্ধ করে এখানে রেখে যাই ।
-আরে এভাবে বললেই যাওয়া যায় নাকি ! অফিস আছে বাবা মা কত চিন্তা করবে আমি…।।
নীলা কিছু বলতে যাচ্ছিল সোহেল আবারও ওকে থামিয়ে দিল নিজের ঠোঁট দিয়ে । নীলা আর কিছু বলতে পারলো না । কোন প্রতিবাদও করতে পারলো না ।
সোহেলের সাথেই নীলা বের হল এক কাপড়ে । সাথে কেবল কিছু টাকা নিল । আর কিছু না । সোহেল নিজের ফোনটা বন্ধ করে নীলার ঘরে রেখে দিল । তবে যাওয়ার আগে মোবাইল জড়িয়ে একটা ছোট কাগজে নোট রেখে এল ঠিকই । নয়তো সবাই অন্য কিছু ভাবতে পারে । কাগজ পেলে সবার মনে আর অন্য চিন্তা আসবে না । নীলা যে সোহেলের সাথেই আছে এবং সুস্থ আছে সেটা সবাইকে জানিয়ে দিল । যতক্ষণে সবাই কাগজটা পাবে ততক্ষনে ওরা অনেক দুরে !
যখন বাইরে বের হল, দেখতে পেল নীলার আব্বা ড্রয়িং রুমে বসে টিভি দেখছে । ওদের দুজনকে এক সাথে বের হতে দেখে চোখে জিজ্ঞাসু চোখে তাকালো । নীলা বলল, বাবা ওর বাসায় আমার কিছু জিনিস পত্র রয়েছে। সেগুলো নিয়ে আসি।
নীলার বাবা কিছু বললেন না । তবে বাবার চোখ দেখেই নীলার মনে হল যেন ওর বাবা কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন । তবে তিনি নীলাদের থামালেন না । এদেশের কোন মেয়ের বাবাই আসলে চান না তার মেয়ের ডিভোর্স হোক ।
ঘন্টা খানেক পরে গ্রিন লাইন বাসটা ছুটে চলেছে কক্সবাজারের দিকে । নীলা সোহেলের কাধে হেলান দিয়ে বসে আছে বাসের সিটে । ওর এখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না যে ও সোহেলের সাথে কক্সবাজার যাচ্ছে। আগামীকাল ওদের আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা ছিল অথচ ওরা এক সাথে আগামীকাল সমুদ্র দেখবে ।
আমি আসলে সব সময় বিশ্বাস করতে পছন্দ করি যে মানুষ অন্য সব কিছু বাদ দিয়ে কেবল ভালোবাসার কারণে একে অন্যের কাছে ফিরে আসবে বারবার । বাস্তবে এমন না হলেও গল্পে এই ভালবাসাকে জিতিয়ে দিতে আমার বড় ভাল লাগে ।
গল্পটি আগে নিজেস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
pic source
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২১
অপু তানভীর বলেছেন: অবসরে পড়িয়া ফেলিবেন
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯
দীপ্ত অধিকারী বলেছেন: ভালো লাগলো অপু ভাই
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২১
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: লাইক দিয়া মন্তব্য দিয়া প্রথম স্থান অধিকার করিয়া চলিয়া গেলাম
অবসরে পড়ে নেবো ইংশাআল্লাহ।
না পড়েই লাইক!!!
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২২
অপু তানভীর বলেছেন: আমার লেখার প্রতি ছবির আপুর অঘাত বিশ্বাস । তাই এই লাইক
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: #সোহেন ভাইয়া...। আসলেই অপু ভাইয়ার গল্পগুলা ভালো লাগে
শেষ পরিণতি ভালো হয় সব সময়। শেষ পর্যন্ত পড়া যায়।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৭
অপু তানভীর বলেছেন: এই কথাই তাকে বললাম আমি
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দারুন গল্প। আমিও ভাইয়া দুঃখ চাই না। ভালোবাসা চাই মানুষ ভালোবেসে কাছে থাকুক। এই দুনিয়া এই আনন্দ ফূর্তি একদিন থেমে যাবে নিশ্চিত কিন্তু মাঝখান দিয়া ঝগড়া ঝাটি মনোমালিণ্য ডিভোর্স এসব করে শুধু শুধু সময়টা নষ্ট।
গল্প ভালো লাগলো
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৮
অপু তানভীর বলেছেন: গল্পের মত সব কিছু যদি হয় তাহলে জীবন কতই সুন্দর হত । কিন্তু বাস্তবে আসলে এমন কিছু হয় না । বাস্তবে এমন ভাবে কক্সবাজার যাওয়া হয় না । ঠিক ঠিক আলাদা হয়ে যায় দুটো ভালোবাসার মানুষ !
৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: অপু ভাই , শুধুই ভাল লাগা।
জয়তু ভালবাসা।
আহা !!!!!!!!!!!!!!!! জীবনে সব কিছুর ই যদি এমন সুন্দর সমাপ্তি হতো।
আর, বতমানের বেশীর ভাগ বিচছেদ এর পিছনে নিজেদের থেকে আপনজনদের খলভূমিকাই বেশী থাকে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১০
অপু তানভীর বলেছেন: সম্পর্কে যখনই তৃতীয় পক্ষ এসে যুক্ত হয় তখন থেকেই ঝামেলা শুরু হয় । এমন কী সেই তৃতীয় পক্ষটা যদি আপন পরিবার হয় তবুও । দুইজনের ভালোবাসার সমস্যার ভেতরে কখনও অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দিতে নেই । তাহলে বোধকরি সম্পর্ক গুলো আরও মজবুদ হবে আর টেকশই হবে !
৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫৬
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ব্লগে যে ক'জন গল্পকার আছেন তাদের মধ্যে আপনি যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য। এমন লেখকের গল্প ভালো না লেগে উপায় আছে। একসময় আমি কেবল আপ্পনার গল্প পড়েই যেতাম। লাইক কমেন্ট করতে পারতাম না ব্যস্ততার কারণে। তা যাই হোক। আজকের অনাকাঙ্ক্ষিত মিলনটা আসলেই খুব প্রয়োজন ছিল। এসব সম্পর্ক বিচ্ছেদের পেছনে নিজেদের চেয়ে পার্শ্ববর্তী মানুষগুলোর ভুমিকাই বেশি দায়ী। খুব অল্প ভালো মানুষ আছে এমন যারা সম্পর্কের ভেতরের সমস্যা দূর করতে এদের পাশে দাঁড়ায়।
অনেকটা বাস্তবতা ফুটে উঠেছে গল্পে। ভালো লাগা জানবেন। পরবর্তী বলবো, গল্পের কোন এক জায়গায় (যদিও এখনও তারা) 'ও' বর্ণটি পাশাপাশি দু'বার আসায় বাক্যের সৌন্দর্যে কিছুটা তেতুল মিশে গেছে তারপর ৬নং প্যারায় একটা আকার ছুটে গেছে (খোঁইজা লন )। তারপর অন্য এক প্যারায় বলেছেন 'সোহেলের দিকে তাকিয়ে বলল, কিন্তু তার উপর সব দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছে । কী ভয়ংকর সে এনে ভয় দেখিয়েছে ।' এই প্যারায় ভয়ংকর শব্দের ব্যবহারের কারণে প্যারাটাই যেন বুঝতে পারিনি। আর পিকে ফিল্মের মত হাত ধরার যে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন সেটা আসলে এতো বেশি আকর্ষণ এনে দিয়েছে যা চুম্বনও নিয়ে আসতে পারেনি। যাই হোক, এখানে যাই বললাম তার পুরোটাই আমার আপেক্ষিক মত।
সবশেষে গল্পটি আসলেই চমৎকার হয়েছে। আবারো ভালোলাগা জানবেন।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১২
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার কাছে অনুরোধ থাকবে যে এরপর থেকে লেখার ভেতরে এই ভুল গুলো চোখে পড়লে ধরিয়ে দিবেন । এমন মন্তব্য আমি সব সময়ই খুব এপ্রিশিয়েট করি । প্রথম কারণ হচ্ছে আপনি যে মনযোগ দিয়ে গল্পটা পড়েছেন সেটার জন্য দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে এমন মন্তব্যের কারণে আমার লেখাটা আরও নির্ভুল হয়ে ওঠে । আমার লেখায় ভুল থাকে আজীবন । মাঝে একজন প্রুফরিডার ছিল । সে খুব যত্ন নিয়ে সব ঠিকঠাক করে দিতো এখনও সে আর নাই তাই ভুল থাকেই ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ! ভাল থাকুন সব সময় !
গল্প ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো !
৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি আসলে সব সময় বিশ্বাস করতে পছন্দ করি যে মানুষ অন্য সব কিছু বাদ দিয়ে কেবল ভালোবাসার কারণে একে অন্যের কাছে ফিরে আসবে বারবার । বাস্তবে এমন না হলেও গল্পে এই ভালবাসাকে জিতিয়ে দিতে আমার বড় ভাল লাগে ।
বাস্তবেও এমন হয়। সবসময়ে হয়তো না......তবে হয়। মিলনাত্মক গল্প সম্পর্কে আপনার যে ফিলোসফি, সেটা আমার কাছে গ্রহনযোগ্য। দুঃখ-কষ্টের এই পৃথিবীতে গল্পে হলেও সুখের দেখা পাওয়া খারাপ না একেবারে।
আপনার এই গল্পের সবচেয়ে দুর্বল দিক হলো, দু'জনের মোবাইল অফ করে রেখে যাওয়া।
নীলা তার স্বামীর সাথে সবার সামনে দিয়েই এক কাপড়ে বের হয়ে এসেছে একটু পরেই ফিরবে বলে। গ্রহনযোগ্য সময়ে ফিরে না আসলে তার পরিবার সোহেলের বাসায় যোগাযোগ করবে। যাদের পরদিনই ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার কথা, এমন ক্ষেত্রে দু'জনেই যদি মোবাইল রেখে যায় তাহলে মেয়ে-পক্ষ সবচেয়ে আগে যেটা করবে, সেটা হলো জামাইয়ের বিরুদ্ধে অপহরণ আর গুমের মামলা। আপনি যদিও নীলার বাবার আচ করতে পারার কথা বলেছেন, তবে সেটা যথেষ্ট শক্ত না। শুধু অনুমানের উপর ভিত্তি করে কোন বাবাই মেয়ের নিখোজে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবে না।
''গল্পে সবই সম্ভব'' এই কথা বলে আপনি এখানে পার পাবেন না; কারন, দুই জন পরিণত-বয়স্ক মানুষের এমন অপরিনামদর্শী ভুল করার কথা না। এই এন্ডিংটার আরো সুন্দর এবং গ্রহনযোগ্য সমাধান কিন্তু খুবই সম্ভব। চিন্তা করে দেখতে পারেন।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৫
অপু তানভীর বলেছেন: কেবল ভালোবাসার জন্য থাকার ব্যাপারটা আমি খুব কম দেখেছি । নিজের সাথে ঘটে যাওয়ার ঘটনা দিয়ে বিচার করলেও দেখেছি যে কেবল ভালোবাসা বিচার করলে মানুষ এক সাথে থাকে না । বেশির ভাগ সময়েই সেটা যেন যথেষ্ঠ না । তবুও আমার বিশ্বাস করতে ভাল লাগে যে কেবল ভালোবাসার কারণে দুজন এক সাথে আছে !
আপনার মন্তব্য দেখেই মনে হল আরে তাই তো এমন তো হতেই পারে । পরে তো থানা পুলিশ করে আরও ঝামেলা বাঁধিয়ে দিবে । তাই লেখাতে আরও কয়েকটা লাইণ যোগ করে দিলাম । এবার আশা করি থানা পুলিশ আর করবে না নীলার পরিবার !
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ !
৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো কথা...........সেই গল্প কদ্দুর!!!!
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: গল্প চলে আসবে খুব জলদি । তবে সামু ব্লগে আসতে দেরি আছে । আপনার সেই পোস্টের নিচে লিংক দিয়ে আসবো নে কদিনের ভেতরেই !
১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালোবাসার জয় হোক। গল্পে সুন্দর করে আপনি বিষয়টি তুলে ধরেছেন। পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: গল্পে ভালোবাসার জয় চাইলেই করা যায় কিন্তু বাস্তবে কী এমন টা সম্ভব হয় না বললেই চলে !
গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ
১১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ফেনী হতে স্টার লাইন বাস কক্স বাজার যায় কিন্তু নব্বই দশকে ছিল না। নীলা সোহেলের কাঁধে হেলান দিয়ে কক্স বাজার যায় পড়ে স্বপ্নে নব্বই দশক এসে গেলো। হা হা
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: গল্পের গরু কত জায়গাতেই না যায়
১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৭
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আমিও ভুয়া মজিফ ভাই, এবং নেওয়াজ আলি ভাইয়ের সঙ্গে একমত অপু ভাই। ডিটেইলস গুলির পাশাপাশি প্লটে কিছু বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেন। দীর্ঘ সময় ধরে যখন লিখছেন, সময় দিচ্ছেন, আর একটু প্যাঁরা নিলে আরও ভালো কিছু বেরুবে ভবিষ্যতে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: আসলে সত্যি বলতে কী আমি কখনই নিজেকে সাহিত্যিক বলে ভাবতে পারি না । আমার গল্প লেখার প্রোসেস টা আমি বলি । ধরুন আমি বাসে বসে আছি কিংবা রাতে বিছানাতে শুয়ে আছি হঠাৎ মাথায় কোন কল্পনা এল । একটা দৃশ্য যেখানে কোন ঘটনা ঘটলো কিংবা আমি সাজালাম । সেই অংশটুকুই পরে আমি লিখে ফেলি । আর কিছু না ।
গল্প লেখা নিয়ে রিসার্চ আমি করেছি খুব কম । প্যারা নিয়ে কয়েকটা গল্প আমি লিখেছি । সংখ্যায় তা একদমই কম । সামনে আরও লেখার ইচ্ছে আছে । শীতকালটা যাক আগে !
মানুষ যখন গল্পের সমালোচনা করে তখন আমার বেশ চমৎকার লাগে । তখন ভাবি গল্পটা আরও একটু ভাল করে লিখলে আরও ভাল হত !
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
মন্টব্য
১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: শুধু হাজিরা দিলাম। পড়া হয় নাই।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: সময় করে পড়ে ফেলবেন
১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৬
ইসিয়াক বলেছেন: শেষ বেলায় এসে আবারও অতল জলে ডুব আহা ভালো থাকুক ওরা কারও ঘর ভেঙে না যাক।
জগতের সকল প্রেমিক প্রেমিকারা সুখী হোক।
তারা একে অপরের প্রতি আসক্ত হোক মদিরা মাতাল হয়ে।
নিপাত যাক ডিভোর্স।
গল্পে ভালো লাগা।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৪
অপু তানভীর বলেছেন: বিচ্ছেদ সব সময়েই বেদনার বিশেষ করে যখন দুজন ভালোবাসার মানুষ একে অন্যের থেকে আলাদা হয়ে যায় তখন কষ্ট হয় সব থেকে বেশি ।
পৃথিবী হয়ে উঠুক ভালোবাসা ময় !
ধন্যবাদ
১৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প। আমিও ভালোবাসা চাই, মানুষ ভালোবেসে মানুষের কাছে থাকুক। +
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৭
অপু তানভীর বলেছেন: আমার দোয়াও সব সময় এটাই । মানুষের ভালোবাসা সব সময় মানুষের কাছেই থাকুক ।
ভাল থাকুন সব সময় !
১৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সম্পর্কে টানাপোড়েন থাকবেই, তাই বলে ছাড়াছাড়ি কাম্য নয়। মিলনাত্মক গল্প ভালো লাগল।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৮
অপু তানভীর বলেছেন: সব সম্পর্কেই টানা পোড়েন থাকবে এটাই স্বাভাবিক । বেশির ভাগ মানুষ আসলে একেবারে দেওয়ালে পিঠ না ঠেকলে একটা ভালোবাসার নষ্ট করতে চায় না । কিন্তু বাস্তবে তো বিচ্ছেদ ঘটেই । গল্পে না হয় মিলন হোক ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: লাইক দিয়া মন্তব্য দিয়া প্রথম স্থান অধিকার করিয়া চলিয়া গেলাম
অবসরে পড়ে নেবো ইংশাআল্লাহ।