নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বছর দুয়েক আগে মেলা থেকে স্টিফেন কিংয়ের একটা বই কিনেছিলাম । বইটির নাম ছিল গোয়েন্ডি’স বাটন বক্স । বইটি স্টিফেন কিংয়ের সাথে সহ লেখক ছিলেন রিচার্ড চিযমার । বইয়ের মুখ বন্ধে স্টিফেন কিংয়ের কয়েকটা কথা আমার বেশ চমকপ্রদ মনে হল । লেখক লিখেছেন যে এই গল্প লিখতে গিয়ে তিনি অন্য লেখকের সাথে গল্পের কাহিনী নিয়ে কোন আলোচনা করেন নি । তিনি গল্পের একটা অংশ লিখেছেন । তারপর সেটা রিচার্ডের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন । ঠিক একই একই ভাবে রিচার্ড পরের অংশ লিখে তার কাছে পাঠিয়েছে । এভাবে গল্প এগিয়ে গিয়েছে ।
এই ব্যাপারটা আমার কাছে সত্যিই বেশ চমৎকার লালগলো । যারা লেখালেখি করেন তারা যে কোন কিছু লেখার আগে মাথার ভেতরে একটা প্রাথমিক ধারণা নিয়ে নেন যে গল্পের কাহিনী কোন দিকে যাবে কী কী হবে এই সব । অনেকে আবার নোটস রাখেন । মোট কথা পুরো গল্পের একটা থিম তার মাথায় থাকে । অথচ এখানে গল্পের লেখক জানেন না সামনে কি আসবে সে কি লিখবেন কিংবা গল্পের কাহিনী আসলে কোন দিকে যাবে । কেবল মাত্র অন্যের লেখা পড়েই তাকে পরের অংশ ভাবতে হবে এবং কাহিনী তিনি যেভাবে ভেবেছিলেন পরে দেখা যাবে অন্য দিকে চলে গেছে কারণ পরের অংশ তো অন্য জন লিখবেন ।
বেশ কিছু দিন কলকাতা ভিত্তিক একটা গল্পের গ্রুপের যুক্ত ছিলাম । সেখানেও ঠিক এমন একটা কাজ হতে দেখেছি । একজন একটা কিছু লিখে পোস্ট করতো তারপর নিচে কমেন্টে অন্যজন সেই গল্পের পরের অংশ লিখতো । এরপর আরেকজন আর একটু । এভাবে গল্প এগিয়ে যেত । বেশ কয়েকজনের চিন্তা মিলে একটা গল্প গড়ে উঠতো । সব সময় যে খুব ভাল কিছু হত তা কিন্তু না । তবে মাঝে মাঝে চমৎকার গল্প তৈরি হয়ে যেত ।
একই পদ্ধতিতে আমার ফ্রেন্ডলিস্টের একজন একটা সম্মিলিত বইয়ের অংশ হয়েছে । মোট ১০ লেখক মিলে একটা গোয়েন্দা উপন্যাস লিখেছেন । এটাও একটা চমৎকার ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। বইটা সংগ্রহ করার আগ্রহ প্রকাশ করছি । বইটার নাম 'ভাঙ্গা কাচের আয়না'। আমাদের ব্লগেও ঠিক এমন একটা কাজ হয়েছে । রিম সাবরিনা জাহান সরকারের লেখা নভোনীল শুরু হয়েছিলো । যতদুর জানি সেটা ১২ পর্ব পর্যন্ত গিয়েছে । কত চমৎকার একটা কাজ হয়েছে । একজন লেখকের মাথা একটা কনসেপ্ট বের হয়ে এল । তারপর সেটা নানান মাথা ঘুরে সমাপ্তির দিকে এগিয়ে গেল । গল্প শেষ করে দেখা গেল যে প্রথমজন ঠিক যেভাবে ভেবেছিলেন গল্প সেদিকের ধারে কাছ দিয়েও যায় নি ।
এই কাজ গুলো দেখেই আমারও মাথায় এল যে এরকম ভাবে একটা গল্প লিখলে কেমন হয় ! ফেসবুকে আমার ছোট একটা পেইজ আছে । সেখানে অল্প কয়েকজন মানুষের সাথে নিয়মিত আমার ইন্টারেশন হয় । সেখানে পাঠকের সাথে সাথে অনেকের লেখালেখির হাত বেশ চমৎকার । আমি একদিন এই বিষয়টা নিয়েই পোস্ট দিলাম । বলে দিলাম দিলাম যে গল্প লেখা হবে সম্মিলিত ভাবে । যারা যারা লিখতে আগ্রহী তারা যেন ইমেল আইডি আমার কাছে সরবারহ করে ।
ইনবক্সে প্রায় গোটা ৫০টা ইমেল এসেছে হাজির হল । যদিও জানি যে যারা যারা ইমেল আইডি দিয়েছে তাদের অনেকেই লিখবে না কিংবা পরে আর কোন আগ্রহ দেখাবে না । প্রত্যেেকর সাথে ইমেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হল । অনেকেই ইমেল দেখলো না কিংবা জবাব দিলো না । যারা ইমেলের জবাব দিলো না তাদেরকে বাদ দেওয়া হল । শেষে ৩৫জনের মত লেখক পাওয়া গেল যারা মোটামুটি একটিভ । ভেবে দেখলাম যে একটা গল্প যদি ৩৫টা পর্ব নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে সে গল্পের যে কী অবস্থা হবে কে জানে । এখানেই আলাদা একটা বুদ্ধি মাথায় এল । আমি লেখকদের দুইটা আলাদা আলাদা দলে ভাগ করলাম । তবে এই ব্যাপারে তাদের কিছু বললাম না । এবার গল্পের প্রথম অংশ লিখলাম । এবং একই গল্প দুইজনকে পাঠালাম ! পরের দিন দুইজন লেখক তাদের অংশ লিখে আমাকে পাঠালো । একই ভাবে গল্প আমি প্রতিদিন দুজনকে পাঠাতে শুরু করলাম । এভাবে একই শুরু দিয়ে দুটো গল্প এগিয়ে চলল । বেশ কিছু দুর এসে আবিস্কার করলাম যে গল্প দুটি দুদিকে চলে সরে গেছে । গল্পের শুরুটা হয়েছিলো একদম একই ভাবে কিন্তু কাহিনী যাচ্ছে একেবারে অন্য দিকে । এখানেই ব্যাপারটা চমৎকার । প্রত্যেক মানুষ আলাদা আলাদা ভাবে চিন্তা করে, আলাদা করে ভাবে । এমন ভাবে চিন্তা করে যে অন্যজন সেটা ভাবতেও পারবে না এমনি এখানে চিন্তার একটা সুত্র ধরিয়ে দিলেও । যেমন গল্প নায়ক নদীর পাড় দিয়ে হাটছে এমন জায়গাতে গল্প শেষ করলে অন্য জন যখন সেখান থেকে গল্প লেখা মানে ভাবা শুরু করবে সে নায়ককে নদী ঝাপ দেওয়াতে পারে আবার পাশের জঙ্গলেও নিয়ে যেতে পারে ।
যাই হোক গল্প লেখা শেষ হল । দুটো গল্প পেয়ে গেলাম । এক গল্পের লিখেছেন ১২ জন অন্য গল্পে লিখেছেন ১৫ জন । কয়েকজন লেখক লিখতে পারেন নি নানান কারণে । গল্প দুটো পড়ার আমন্ত্রন রইলো । এখানে যারা লিখেছেন তারা সবাই শখের লেখক । নিজেকের মত করে লিখেছেন। চিন্তা করেছেন । পড়তে গেলেই বুঝতে পারবেন যে গল্প কয়েক স্থানে দিক পরিবর্তন করেছে ।
প্রথম গল্প
দ্বিতীয় গল্প
হ্যাপি রিডিং !
pic source
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৫
অপু তানভীর বলেছেন: মাঝে মাঝে আমি ভাবি যে মানুষ এতোটা নির্লজ্জ আর বেহায়া কিভাবে হতে পারে?
এমন ব্যক্তিত্বহীন মানুষ হয় !
আপনার মন্তব্য কেবল পোস্টে দুর্গন্ধই ছড়ায় । দুর্গন্ধকে আমি দুর করতে হয় !
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ে আবার ফিরবো । আশা করছি চমৎকার কিছু হয়েছে, আমাদের নভোনীল ও এমন ভাবেই এগিয়েছিল।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: গল্পের পর্ব যখন আসছিল একে একে তখনই আমার পড়তে বেশ চমৎকার লাগছিলো । একেক মানুষ একেক রকম ভাবে চিন্তা করে কত বিচিত্র ভাবে চিন্তা করে সেটা দেখে বেশ চমৎকৃত হয়েছি । সময় করে পড়ে নিবেন ।
৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: এভাবে গল্প উপন্যাস লেখার আইডিয়াটা ইন্টারেস্টিং। স্কুল কলেজ জীবনে আমরা৫/৫ জন এর একটা গ্রুপ এভাবে গল্প বলতাম। আর একটা গ্রুপ গল্প মনিটর করতো।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের স্কুলে অবশ্য এমন কার্যক্রম হত না খুব একটা । আমরা এসব পাই নি ।
রকমারি থেকে ভাঙ্গা কাঁচের আয়না বইটা পড়ে দেখতে পারেন যদি গোয়েন্দা গল্প পড়ার অভ্যাস থেকে থাকে । আমি আজকে মেলা থেকে বইটা কিনতে পারি নি ভীড়ের কারণে । সামনের বার সংগ্রহ করার ইচ্ছে আছে !
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২
আল আমিন হাসান সাদেক বলেছেন: পৃথিবীর বুকে জেনো এক টুকরো স্বর্গ । স্বপ্নের দেশ সুইজারল্যান্ড । Switzerland । DURBEEN BANGLA ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৭
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার ফাৎরামি আর গেল না ?
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫২
জটিল ভাই বলেছেন:
স্কুলের কথা মনে পরে গেলো......
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: আরে আপনার স্কুলেও এমন কিছু হয়েছে ?
কেবল কি আমার স্কুলেও কিছু হয় নি !!
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০১
জটিল ভাই বলেছেন:
আমরা স্কুলভ্যানে যাতায়াত করতাম। ভ্যান দেরি করলে সেদিন পুরোটা গ্রুপ কিছুটা সময় একত্রে বসে থাকতে হতো। আর সেই বসে থাকার মধ্যে আড্ডা-গল্পে এমন হতো গ্রুপ গল্প রচনা। একজন শুরু করতো। তা শুনে শুনে সে যেখানে থেমে যেতো পাশেরজন ধারা বজায় রেখে সেখান হতে শুরু করতো। এভাবে চক্রাকারে গল্প শেষ হতো। আবার কখনও ছেলে-মেয়ে ২ গ্রুপ হয়েও কাজটা হতো।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৮
অপু তানভীর বলেছেন: আরে দারুন ব্যাপার তো ! এমন কিছু আমার সাথে হলে দারুন হত !
আমার স্কুল সব সময় প্রায় বাসায় কাছেই ছিল । তাই স্কুল ভ্যানে করে গেলেও খুব বেশি সময় পাওয়া যেত না । অন্য দিকে একটু বড় হলে সাইকেল নিয়ে হাজির হতাম । আমার কপাল খারাপ যেন এমন কিছু হয় নি আমার সাথে !
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫২
সোনাগাজী বলেছেন:
খিচুড়ি তৈরির কারখানা