নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার স্কুল জীবনের জব্বার স্যার একটা কথা প্রায়ই বলতেন । দুই হাত তুলে আমাদের দিকে তাকিয়ে বলতেন, ''ওরে শোন শোন, এই পৃথিবীতে একমাত্র বলদই সব থেকে বেশি জানে । তারা সব কিছুই জানে ।'' স্যারের কথাটা তখন পুরোপুরি আর ভাল করে না বুঝতে পারলেও এখন খুব ভাল করে বুঝতে পারি যে স্যার কি বলতে চেয়েছিলেন ! একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে আসলে সব কিছু জানা সম্ভব না । এমন কি প্রখর বুদ্ধিসম্পর্ন মানুষটিও সারা জীবন সাধনা করে অল্প কয়েকটি বিষয়ে হয়তো জ্ঞান অর্জন করতে পারে কিন্তু একজন বলদ শুরু থেকেই সব বিষয়ে সব কিছুই উপর সকল জ্ঞান অর্জন করে বসে থাকে । সে সব কিছু জানে এবং সব কিছুর ব্যাপারে তার জ্ঞান অপরিসীম ! এটা যে একধরনের মানসিক রোগ সেটা নিয়েই আজকের পোস্ট !
সায়েন্স বী নামে একটা চমৎকার বাংলা ওয়েবসাইট আছে ! বাংলাতে বিজ্ঞানের নানান বিষয় সংবাদ আবিস্কার এই সব নিয়মিত প্রকাশ হয় সেখানে । আমি নিয়মিত সেখানে ঢু মারি ! আপনারাও ঢু মারতে পারেন । এই ডানিং-ক্রুগার ইফেক্ট নামের মাসিক রোগটার ব্যাপারে প্রথমে এই সাইটেই পড়েছি । এই ব্যাপারে আমাকে আগ্রহী করে তোলার পেছনে কারণ হচ্ছে এই ব্যাপারটা যেভাবে আবিস্কার হয়েছে সেই মজার ঘটনাটা । মূলত ঘটনা পড়েই ডানিং গ্রুগার ইফেক্ট নিয়ে একটু পড়াশুনা করেছিলাম কিছুদিন আগে । মজার ঘটনাটা আগে বলি !
ঘটনা ১৯৯৫ সালের । আমেরিকার পিটসবার্গের একজন বাসিন্দার ম্যাক আর্থার হুইলার । ভদ্রলোকের বয়স ৪৪। জীবনের এই পর্যায়ে এসে সে জানতে পারলো যে লেবুর রসের ভেতরে এক আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে । এই লেবুর রস অদৃশ্য কালী হিসাবে ব্যবহৃত হয় । অর্থ্যাৎ লেবুর রস দিয়ে কিছু লিখলে সেটা দেখা যায় না । পরবর্তিতে আগুনের নিচে ধরলে সেই লেখা ফুটে ওঠে । অতীতে গুপ্তচরেরা এই ভাবে চিঠি আদান প্রদান করতো । তো এই তথ্য জানতে পেরে তার মনে একটা ধারণা জন্মালো যে কাগজের মত করে যদি লেবুর রস যে কোন কিছুর উপরে মাখা হয় তাহলে সেটা অদৃশ্য হবে । ব্যাপারটা পরীক্ষা করার জন্যই সে নিজের শরীরে লেবুর রস মাখলো এবং একটা ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলল নিজের ।
কিন্তু ক্যামেরার ত্রুটির কারণেই হোক কিংবা অন্য যে কারণেই হোক, সেই ছবি উঠলো না। হুইলার সাহেবের মনে তখন দৃঢ় বিশ্বাস জন্মালো যে লেবুর রস যদি কোন কিছুর উপরে মাখা হয় তাহলে সেটা অদৃশ্য হয়ে যায় । এবং এই থিউরির উপরে তার অঘাত বিশ্বাস জন্মালো । বিশ্বাস আর আস্থা এতোই তীব্র হল যে সেটার থেকে তার ব্যাংক ডাকাতির করার ইচ্ছে জাগলো । যেহেতু সে অদৃশ্য হবে লেবুর রস মেখে তাই কেউ তাকে ধরতে পারবে না । হুইলার সাহেব তারপর একই দিনে দুইটা ব্যাংক ডাকাতি করলো । যেহেতু তার নিজের এবং নিজের উদ্ভাবিত থিউরির উপরে দৃঢ় বিশ্বাস ছিল তাই সে ব্যাংক ডাকাতি করার সময়ে কোন মুখোশ পরলো না । এমন কি সিসিটিভি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসিও দিল । সে জানে অদৃশ্য । লেবুর রস মেখে সে অদৃশ্য হয়ে আছে । তাকে দেখা যাচ্ছে না ।
কিন্তু পুলিশ তাকে রাতের ভেতরেই ধরে ফেলল । হুইলার মিয়া তো অবাক । তার তো ধরা পড়ার কথা না । সে তখন পুলিশকে জিজ্ঞেস করলো তাকে তারা কিভাবে খুজে পেল । পুলিশ জানালো যে তাকে সিসি টিভিতে দেখা গেছে । এই কথা মার্ক হুইলার কোন ভাবেই বিশ্বাস করলো না । কারণ নিজের উদ্ভাবিত থিউরি মতে তাকে কোন ভাবেই দেখা সম্ভব না । এমন কি তাকে সেই ফুটেজ দেখানোর পরেও সে বিশ্বাস করে নি । সব জুড়ি পুলিশ জজ মিলেও তার সেই বিশ্বাস থেকে টলাতে পারে নি ।
তাইলে বুঝেন বলদের কন্ফিডেন্স লেভেল কতবড় ! এই বলদের বলদামীর পরিমান এবং তার কন্ফিডেন্স লেভেল, মূলত এই দুইটার সাথে সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে ডানিং-ক্রুগার ইফেক্টে । হুইলার মিয়ার এই মজার ঘটনা জানতে পারলেন কর্নেল উইনিভার্সিটির ডেভিড ডানিং এবং জাস্টিন ক্রগার । তারা ব্যাংক ডাকাত হুইলার সাহেবের এতো কনফিডেন্স লেভেল দেখে এটা নিয়ে একটা গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নিলেন এবং কিছু সাধারণ মানুষের উপরে গবেষণা চালালেন । তারা দেখতে পেলেন যে যে সব মানুষ অল্প জানে সেই অল্প জানার উপরে তাদের কনফিডেন্স অনেক বেশি থাকে । তারা তাদের পুরো পরীক্ষাটার একটা গ্রাফে রূপান্তর করলেন ! গ্রাফটা নিচের দেওয়া হল !
এই গ্রাফ খেয়াল করলে দেখা যাবে যেই মানুষের মাঝে জ্ঞান একদম নেই তার আত্মবিশ্বাসও একেবারে শূন্যের কোঠায় । অন্য দিকে যেই না একটু জ্ঞান এসে হাজির হল তখনই একদম আত্মবিশ্বাস গিয়ে ঠেকলো চুড়ায় । চিত্রের এ স্থানের মত । তারা এই এ স্থানের নাম দিলেন মাউন্ট স্টুপিড । বাংলায় এটার নাম দেওয়া যাক বলদ পাহাড় । আমাদের আশে পাশে এই স্থানে বসবাস করা মানুষের অভাব নেই । আমাদের ব্লগেই এই বলদ পাহাড়ে বেশ কয়েকজন উঠে বসে আছে । কষ্ট করে খুজে বের করতে হবে না তাদের । যাদের আসলে জানার কিংবা জ্ঞানের পরিধি কম তারা নিজেদের কে অন্য সবার থেকে বেশি যোগ্য মনে করে । এরপর গ্রাফের দিকে যদি তাই তাহলে দেখা যাবে যতই মানুষ জ্ঞানের দিকে ধাবিত হচ্ছে তাদের আত্মবিশ্বাসের পরিমান ততই কমছে । একটা পর্যায়ে গিয়ে সে বি স্থানে পৌছায় । তারপর আবারও যখন সে জ্ঞান অর্জন শুরু করে তখন তার ভেতরে আস্তে আস্তে একটা আত্মবিশ্বাস এসে বাসা বাঁধতে শুরু করে । ভেবে বসে যে হ্যা আমি ব্যাপারটাা সম্পর্কে কছুটা হলেও জানি । তারপর এক সময় সে এগিয়ে যায় একেবারে সি স্থানে । প্রকৃত পক্ষেই তারা আসলে জ্ঞানের শিখরে পৌছান । তখন আবারও তাদের আত্মবিশ্বাসের পরিমানটা বৃদ্ধি পায় !
ভারতের রিয়ালিটি শো ইন্ডিয়ান আইডল অনেকেই দেখে থাকবেন । মূল পর্ব শুরু আগে সেখানে অডিশন পর্বের বেশ কিছু পর্ব থাকে । সেখানে দেখে থাকবেন যে সেখানে ভাল শিল্পীর সাথে সাথে অনেক আনাড়ি শিল্পীও এসে থাকে । যখন সেই আনাড়া শিল্পী অডিশন দেয় এবং জাজরা তাদেরকে রিজেক্ট করে দেয় তাদের মুখ দেখলে মনে হয় যেন তারা খুব হতাশ হয়েছে । এই কাজটা জাজদের মোটেই করা ঠিক হয় নি । এটা উদাহরন ডানিং ক্রুগার ইফেক্টের ।
আমি আসলে সব জানি, আমি ভুল হতেই পারি না - মূলত এমন মনভাব থেকে বের হয়ে আসতে হবে যদি এই ডানিং ক্রুগার ইফেক্ট থেকে আমরা মুক্ত পেতে চাই । আপনি নিজে এই রোগে আক্রান্ত কিনা সেটা নিজে নিজেই পরীক্ষা করতে পারেন । যদি আপনার মনে হয় যে আপনি সব সময়ই ঠিক, অন্য সবাই ভুল করছে, আপনি ভুল করতেই পারেন না, তাহলে খুব সম্ভবত আপনি এই রোগে ভুগছেন ।
আশে পাশের মানুষের কথা শুনুন । তাদের কাছে আপনার আচনর সম্পর্ক ফিডব্যাক নিন । তবে তোষামুদে কারো কারো কাছে না যাওয়াই ভাল ।
স্যারের কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম, স্যারের কথা দিয়ে শেষ করি । জব্বার ছিলেন বড় মজার মানুষ । খুব চমৎকার গান করতেন । সেই সাথে তার ইংরেজির জ্ঞান অসাধারণ । একদিন স্যারকে আমরা কয়েকজন মিলে ডিকশনারী থেকে ইংরেজি শব্দার্থ ধরে পরীক্ষা করেছিলাম । স্যারের সাথে সম্পর্ক খুব ভাল ছিল তাই স্যারও হেসে রাজি হয়ে গেলেন । আমরা ৫/৬ জন মিলে স্যারকে অন্তত ২৫/৩০তা ডিকশনারী ঘেটে তাকে শব্দার্থ ধরলাম । একটাতেও তাকে আটকাতে পারলাম না । কিন্তু স্যারকে কোন দিন তার জ্ঞান নিয়ে বড়াই করতে দেখি নি । সব সময় বিনয়ী আর হাসি মুখ নিয়ে কথা বলতেন । আমরা কোন কিছু ভুল করলে হাসি মুখেই সেসব ঠিক করে দিতেন বুঝিয়ে দিতেন ! স্কুল জীবনের পরেও স্যারের সাথে যোগাযোগ ছিল নিয়মিত । জ্ঞান মানুষকে বিনয়ী করে তোলে ! আর অমানুষকে করে তোলা অহংকারী ! আর সামান্য জ্ঞান বলদকে করে মহা অহংকারী !
এই পোস্টটি লিখেছিলাম নিজের ব্লগে গত এপ্রিল মাসে । সামুতে প্রকাশ করা হয় নি। আজকে করলাম !
পোস্ট তৈরি করতে যে কয়টি পোস্ট পড়েছি, তাদের লিস্টঃ
উইকিপিডিয়া
ডানিং ক্রুগার ইফেক্ট
ডানিং ক্রুগার ইফেক্ট
ডানিং ক্রুগার ইফেক্ট - আমি সব জানি
ইউটিউব ভিডিও
pic source
০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: আমি কয়জনকে চিনি, সেটা জেনে আপনার কী লাভ?
২| ০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
৪৪ শে আর্থারের লেবুর এক্সপেরিমেন্টে কি মনে হয় আপনার,উনি শিক্ষিত? সঠিক ভাবে ভাবতে পারে? সঠিক ভাবে ভাবতে পারলে নিশ্চই লেবু মেখে ব্যাংক লুট করতে যেতো না।
০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: বলদের এই তো সমস্যা ! নিজেরা জানে না অনেক কিছু ভাবে অনেক কিছু জানে, জেনে ফেলেছে ! এবং বলদের আরও একটা ভাবনা যে তারা সব থেকে বুদ্ধিমান, তাদের চালাকি কেউ ধরতে পারে না !
এই যেমন ধরেন আমাদের ব্লগে জনৈক ব্লগার, নিজের পোস্টে মন্তব্য বাড়ানোর জন্য নিজেই মাল্টি নিক খুলে নিজের ব্লগে তিন চারটা মন্তব্য করে ফেলে পরপর ! আলোচিত পাতায় চলে যায় !
৩| ০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: “আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়, লোকে যাকে বড় বলে বড় সেই হয়।”
এটা একটা রোগ। এই রোগের নাম নারকিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারের (NPD)। এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি নিজেকে অনেক বড় মনে করে। এধরনের ব্যাক্তিদের মধ্যে হিংসাত্মক মনোভাব দেখা দেয়। যেহেতু আক্রান্ত ব্যক্তির মাঝে নিজের বিশ্বাসের প্রতি প্রচন্ডরকমের অহংবোধ কাজ করে এবং নিজেদের সঠিক মনে করার প্রবণতাটাই কাজ করে তাই এইধরনের রোগীকে একক ভাবে চিকিতসা করে ভালো ফল পাওয়া যায়না। সেক্ষেত্রে গ্রুপ থেরাপি, মানে অনেকগুলো সাইকিয়াট্রিস্ট/কাউন্সিলর এর সম্মিলিত থেরাপি কার্যকর হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এক্ষেত্রে অনেকেই Mentalization based therapy, transference-focused psychotherapy, ও schema-focused psychotherapy পদ্ধতিগুলোর প্রয়োগ করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। এই পদ্ধতির কথা একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের লেখায় পড়েছিলাম।
০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের ব্লগে অবশ্য এই চিত্র আলাদা । লোকে নয়, নিজেকে বড় বলে বড় সেই হয় !
দিন দিন তাই দেখে আসছি ! এটা সত্য যে কিছু কিছু মানুষ চিকিৎসার বাইরে চলে যায় । তাদের কোন ভাবেই আর ঠিক করা যায় না । যাবেও না ।
৪| ০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আর্থার বলদ,ডেভিড/জাস্টিন চালাক, আপনি আমি এটা জেনে অতি চালাক হয়ে গিয়েছি ; যদিও আমি কম বুঝি আপনি অনেককিছু বুঝেন "মাল্টি প্যার্টান, কপি/পেস্ট বিদ্যা ও প্রথম কমেন্টের বাক্য " এটা জেনে আপনার লাভ?
০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: বুঝলাম !
৫| ০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: লেখক বলেছেন: বলদের এই তো সমস্যা ! নিজেরা জানে না অনেক কিছু ভাবে অনেক কিছু জানে, জেনে ফেলেছে ! এবং বলদের আরও একটা ভাবনা যে তারা সব থেকে বুদ্ধিমান, তাদের চালাকি কেউ ধরতে পারে না !
এই যেমন ধরেন আমাদের ব্লগে জনৈক ব্লগার, নিজের পোস্টে মন্তব্য বাড়ানোর জন্য নিজেই মাল্টি নিক খুলে নিজের ব্লগে তিন চারটা মন্তব্য করে ফেলে পরপর ! আলোচিত পাতায় চলে যায় ! - মজার ব্যাপার সেই শ্রেষ্ঠ বল্গারের মন্তব্যের সাথে তার সহযোগীদের মন্তব্যের ধরনও একই রকম! অতএব, আকলমান্দ কি লিয়ে ইশারাই কাফি!
০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: সামান্য ইশারাই যথেষ্ঠ । কিন্তু তারা ভাবে যে আমাদের কেউ ধরতে পারছে না । কেউ কিছু দেখছে না !
৬| ০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪২
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনার স্যার কথাটা রুপক অর্থে ব্যবহার করেছে । আপনি সেটা অন্য অর্থে ব্যবহার করলেই । তবুও লেখাটা ভাল লাগলো ।
০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: স্যার মূলত বুঝাতে চেয়েছিলেন যে যাদের যত কম জ্ঞান সব বিষয়ে তারা সব থেকে বেশি জানার ভান করে। নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করে। বিশেষ করে যে যত কম বোঝে তার ভেতরে এই লোককে দেখানোর মনভাবটা সব থেকে বেশি থাকে । এটা আমি বাস্তব জীবনে পদে পদে খেয়াল করে দেখেছি ! অন্য দিকে যে লোকটার ভেতরে যত বেশি জানে সে ততবেশি বিনয়ী হয় !
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময় !
৭| ০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩
রানার ব্লগ বলেছেন: ভাগ্যিস আমি একদম কিছুই জানি না !! এটা তাহলে সাপেবড় হলো আমার জন্য !!!
০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৫০
অপু তানভীর বলেছেন: সবাই কিছু না কিছু জানে ! আপনিও জানেন ।
৮| ০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যার 100% সঠিক কথাই বলেছেন। স্যারের কথা মনে রেখে তাহলে মানতেই হবে এখন সম্মানিত প্রাণিটির উৎপাত তো সহ্য করতেই হবে।
০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:০১
অপু তানভীর বলেছেন: স্যারের কথা যে সত্য সেই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই ।
আর উৎপাত তো সহ্য করেই যাচ্ছি ! সেটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না !
৯| ০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৫
আরইউ বলেছেন:
“মাউন্ট স্টুপিড”-এর সঠিক বাংলা হবে “গাছ বলদ” বা “রাম পাঠা“ বা ”রাম ছাগল“। ব্লগমাস্তান (এবং উহার যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর মাল্টিনিক) হচ্ছে গাছ বলদের উপযুক্ত উদাহরণ। ব্লগমাস্তানের শিষ্য-চ্যালা-মোসাহেব-খয়ের খাঁ ও উহাদের স্থাবর-অস্থাবর সকল মাল্টিনিক হচ্ছে অতি নিন্ম শ্রেনীর গাধা!
ডানিং-ক্রুগার ইফেক্ট নিয়ে একদমই জানাশোনা ছিলনা। বিষয়টা ইন্টারেসটিং; আরেকটু বিস্তার পড়ালেখা করে দেখতে হবে।
পোস্টর জন্য ধন্যবাদ, অপু।
০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৩
অপু তানভীর বলেছেন: লিংক গুলো আগে দেখুন । নিউইয়র্ক টাইমসের একটা আর্টিকেল আছে সম্ভবত । আমি আগে একদিন পড়েছিলাম । সেটা বেশ ভাল । আমার মূলত পটভুমিটা এতো চমৎকার লেগেছিলো যে এই জন্যই বিস্তারিত পড়েছিলাম । আপনিও পড়তে পারেন । মজাই পাবেন । বিশেষ করে যখন মাউন্ড স্টুপিডে অবস্থান করা বলদদের আশে পাশে দেখবেন তখন বেশি মজা লাগবে !
১০| ০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কারণ নিজের উদ্ভাবিত থিউরি মতে তাকে কোন ভাবেই দেখা সম্ভব না । এমন কি তাকে সেই ফুটেজ দেখানোর পরেও সে বিশ্বাস করে নি । সব জুড়ি পুলিশ জজ মিলেও তার সেই বিশ্বাস থেকে টলাতে পারে নি ।
সত্যিই তো!! উহাকে দেখিতে পাইবার কোনই কারণ বিধ্যমান নাই। সিসিটিভি ভুল ফুটেজ তুলিয়াছে।
০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৪
অপু তানভীর বলেছেন: ঠিক ঠিক সবাই ভুল কেবল হুইলার মিয়াই ঠিক !
১১| ০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৭
সোনালি কাবিন বলেছেন: ব্লজ্ঞাধাকে কি আমরা এখন থেকে ব্লগবলদ বা গাছভুদাই বলে ডাকব ?
০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৩৮
অপু তানভীর বলেছেন: মহান শব্দটা সামনে অবশ্যই যোগ করতে হবে । নয়তো সম্মান রক্ষা করা যাবে না !
১২| ০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৩৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সমগ্র জীবন যারা অবুঝের মতো চলে, বেবুঝের মতো কথাবার্তা বলে - এরা আসলে মাটিতে নেই, নেই পানিতেও! - সামগ্র জীবন কাঁদায় গড়াগড়ি করে।
০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪০
অপু তানভীর বলেছেন: এরা কোন দিন মাটিতে উঠবে না ? নিজে নিজে যে উঠতে পারবে না সেই ব্যাপারে তো নিশ্চিত । আশে পাশের মানুষ গুলোর এগিয়ে আসা উচিৎ এদের সাহায্যের জন্য । কিন্তু আবার সেখানও সমস্যা আছে । এরা যেহেতু নিজেদের সব সময় সঠিক বলেই মনে করে তাই এদের ভুল ধরিয়ে দিতে গেলে হিতে বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখায় !
১৩| ০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নার্সিস্টিক পারসোনালিটি ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের সহানুভূতির দৃষ্টি থাকা উচিত। এরা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। আমি আবার যে কোনও প্রতিবন্ধীদের প্রতি দয়া-মায়া দেখাতে ভালবাসি!!!!
আসলে এই অসুখের জন্য এরা যতোটা না দায়ী, তার চেয়েও দায়ী এদের আশেপাশে থাকা কিছু চামচা-শ্রেণীর মগজহীন মানুষ। এরা এনপিডিতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এমনভাবে তৈলাক্ত করে যে, সেই ব্যক্তি এক পর্যায়ে আকাশে উড়তে থাকে। আর যখনই এই ধরনের ব্যক্তিকে কেউ মাটিতে নামিয়ে আনতে যায়, এরা অভিমান করে। সমস্যাটা আসলে খু্বই জটিল!!
সোশ্যাল কমিউনিকেশানে একটা টার্ম ব্যবহার করা হয়.........আই নো সিনড্রোম (I Know Syndrome)। এটা নিয়ে অনেকদিন ধরেই লেখার ইচ্ছা ছিল। তবে সময় করে উঠতে পারি নাই। আপনার এই লেখাটা সেটার সার্থক পরিপূরক। এই ধরনের মানুষ সম্পর্কে আইনস্টাইনের একটা উক্তি আছে, Any fool can know. The point is to understand.
০৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৪১
অপু তানভীর বলেছেন: এটা একটা সত্যিই কথা যে তাদের মানসিক অবস্থার জন্য তাদের প্রতি একটা সহানুভূতির মনভাব আমাদের মাঝে জেগে ওঠা উচিৎ । এই ব্যাপারটা চিন্তা করেই অনেকেই তাদেরকে তেমন দৃষ্টিতেই দেখে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই সহানুভূতির দৃষ্টি এবং সহ্য করাটাকে তারা মানুষের দূর্বলতা এবং নিজেদের সবলতা ভেবে এমন আচরন করে যে সেই সহানুভূতিট বিরক্তিতে রূপান্তর হয় ।
আরেকটা ব্যাপার আমার ব্যক্তিগত পর্যন্তবেক্ষণ যে একজন স্বাভাবিক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ যখন নিজের নামে প্রশংসা শুনে তখন সে ঠিক ঠিক বুঝতে পারে যে সে ঠিক কতটুকু প্রশংসার যোগ্য । তার বেশি প্রশংসা পেলেই সে খানিকটা লজ্জা অনুভব করে । কিন্তু এই ডানিং-ক্রুগার ইফেক্টে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের প্রশংসা যতই শুনে ততই মনে করে যে এটাই সঠিক । এমনটাই হওয়া স্বাভবিক । এটাতে বলদের কনফিডেন্স লেভেল বাড়ে আরও । কোনটা তোষামদ কোনটা প্রকৃত প্রশংসা সেটা সে বুঝে না কিংবা বুঝতে চায় !
আপনি আপনারটা নিয়ে লিখে ফেলুন জলদি । পড়ে ফেলি । আমরা তো সাধারন মানুষ । অনেক কিছু জানি না । জানতে আগ্রহী !
১৪| ০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওহ, বলতে ভুলে গিয়েছি। ডানিং-ক্রুগার ইফেক্ট বিষয়টা একেবারেই জানতাম না। ব্লগের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।
০৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: এটাই স্বাভাবিক । আমি অনেক কিছু জানবো না, আপনারও অনেক কিছু অজানা থাকবে ।
সব জান্তারা সব কিছু জানে ! আমরা এখনও ততমহান হয়ে উঠতে পারি নি ।
১৫| ০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মফিজ ভাইয়ের সুরে বলি বিষয়টি আমার কাছেও একেবারেই অজ্ঞাত ডানিং ক্রুগার এফেক্টক। যদিও ব্লগ পাড়ায় শব্দটি বহুদিন ধরে অভ্যাসে আছে, আপনি বিষয়টি সামনে আনায় অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
০৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: আজকে জেনে ফেললেন । সামনে আরও অনেক কিছু আসবে যা আমরা জানবো না । কিছু আমি জানি না কিছু আপনি জানবেন না । এটাই স্বাভাবিক !
১৬| ০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৩১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর বিষয়। দেখা যাক সবজান্তারা এবার কি করে?
০৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: তাদের কাজ তারা করবেই । তারা সব জানে !
১৭| ০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তারপরও তারা নিজেদের শ্রেষ্ট ভাবে!
০৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: সব সময়ই তারা তাই ভেবে এসেছে !
১৮| ০৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার ধারণা কম বেশী আমরা
সবাই এই রোগে আক্রান্ত; এমনকি
আপনিও। পাগল যেমন নিজেকে
ছাড়া সবাইকে পাগল ভাবে, বলদও
তাই। আমরা সবাই সব জান্তা শমশের।
০৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭
অপু তানভীর বলেছেন: হয়তো সবার মাঝেই এই রোগ আছে । তবে আমি নিজের ব্যাপরে বলি যে যে কোন ব্যাপারে কিছু বলা কিংবা লেখার আগে আমি নিজে নিজে ধরেই নিই যে ব্যাপারটা সম্পর্কে আমি জানি সব থেকে । এই জন্য যে কোন কিছু লেখা বা বলার আগে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করি ।
১৯| ০৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১২
ঢাবিয়ান বলেছেন: উস্তাদ সবজান্তা শমশের এবং তার মুরিদদের কি কমেন্টে ব্যান করে রাখসেন?
০৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:২১
অপু তানভীর বলেছেন: কেবল একটা পোস্টে বহিভূর্ত মন্তব্য কারীর নিক ব্যান করা !
তবে একেবারে উপরে খিয়াল করেন । কমেন্ট দেখলেই বুঝবেন যে, তাকে কি আটকানো যায় !
২০| ০৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:২১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: খুবই করুণ পরিস্থিতি। বেচারাদের অবস্থা চিন্তা করতে পারেন যখন তারা মাউন্ট স্টুপিড এ উঠে এবং ওখানেই থাকে আর যখন মানুষ তাদের প্রসংশাও করে..... বেচারারা বুঝতেও পারে না যে কি আকামডা হইতেছে।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: এইটা যদি তারা একটু বুঝতো । এই বেচারা মনে করেই আছে যে তারাই আসলে সর্বেসর্বা এবং যখন প্রসংশা শুনে তখন ভেবেই নেয় যে এটা তাদের প্রতিভার কারণেই হচ্ছে ! যদি তারা নিজেদের আসল অবস্থাটা বুঝতে পারতো ....!!
২১| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'ডানিং ক্রুগার ইফেক্ট' টার্মটা এবং তা আবিষ্কারের কাহিনি আমরা হয়ত জানতাম না, কিন্তু 'সবজান্তা' শব্দটা তো জানতাম, এবং সবজান্তা ক্লাবের আজীবন সদস্যদের সাক্ষাৎ পাই আমরা স্কুললাইফ থেকেই, তাই না?
ভালো লেগেছে এ কথাটা - জ্ঞান 'মানুষকে' করে বিনয়ী, অমানুষকে করে অহঙ্কারী, আর সামান্য জ্ঞান বলদকে করে মহা-অহঙ্কারী। স্মর্তব্য, অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী
সুন্দর যুগোপযোগী পোস্ট।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: একদম ছোট বেলা থেকেই আমরা সাধারনত এমন সব জান্তাদের দেখা পাই । সেটা শুরু হয় পরিবার দেখে । একেবারে পরিবারের ভেতরে নয়তো আত্মীয়দের ভেতরে কেউ না কেউ এমন থাকেই যে নিজেকে সব সময় সবজান্তা হিসাবেই জাহির করে । এরপর যত চেনা জানার গণ্ডি বাড়ে, বাড়ে এই সবজান্তার লোকের সংখ্যা !
এই যে জ্ঞান মানুষকে বিনয় করে এই কথাটা কি চরম সত্য নয়? বিশাল এই বিশ্বের কতটুকুই বা আমরা জানি । একজন মানুষ যত জ্ঞান অর্জন করে ততই সে আসলে বুঝতে শিখে যে সে আসলে কতকম জানে কত ক্ষুদ্র এই বিশাল জগত থেকে । বিনয় আসতে তো বাধ্য !
২২| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৫৩
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: এটা আসলে হবে সবজান্তা সমশের ইফেক্ট, কারণ ক্রুগারদের আগে এক বাঙালি লেখক এটি আবিষ্কার করেছেন। কিছু সমশেরীয় উপমা-উদাহরণ হচ্ছে, সূর্যের চেয়ে বালি গরম, বারো হাত কাঁকুড়ের তেরো হাত বিচি , নায়িকার হাতব্যাগ বহন করে নিজেকে পরিচালক ভাবা।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: এটাই তো দেখছি যে সূর্যের চেয়েও বালি গরম বেশি । গাছের থেকেই স্বর্ণলতার নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করছে, লাফালাফিও বেশি !
বাংলার কেউ এই জিনিসটা আবিস্কার করলে, নাম সত্যিই সবজান্তা সবশের ইফেক্টই হত ।
২৩| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:১১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মোটামুটি জানলে কনফিডেন্স আকাশ ছোঁয়া হয়, এই ব্যাপারটা আমার মাঝে আছে
ধন্যবাদ অপু কিভাবে এর থেকে বের হয়ে আসতে হবে সেইটা লেখার জন্য
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৫৪
অপু তানভীর বলেছেন: ভাসা ভাসা কে পুরো পুরি জেনেও কোন ব্যাপারে আমার ঠিক পুরিপুরি কন্ফিডেন্ট আসে না । এই কারণে আমি চুপচাপ থাকতে পছন্দ করি সব সময় ।
২৪| ১০ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৩৬
গরল বলেছেন: জিনিষটার কথা শুনেছিলাম কিন্তু বুঝি নাই বা আগ্রহ দেখাই নাই তবে এখন বুঝতে পারলাম। তবে একটা বিষয় নিয়ে একটু খটকা লাগছে সেটা হল এখানে বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন দুটি, একটি হল ভূল বিষয় নিয়ে অগাধ আত্মবিশ্বাস আর একটি হল সবজান্তা ভাব। কোনটা আসলে DKE, আপনার উদাহরণ অনুযায়ি ভূতে বিশ্বাস, ঝাঁড়-ফুক, কবিরাজি বা হোমিওপ্যাথি বিশ্বাসও কি DKE হিসেবে ধরা যায়?
১০ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১১
অপু তানভীর বলেছেন: ডানিগন ক্রুগার ইফেক্টটা মূলত নিজের উপরে একটা উচ্চতর ইলিউশন তৈরি হওয়া । নিজের উপরে একটা অঘাত বিশ্বাস স্থাপন তৈরি যে আমিই সব থেকে বেশি জানি, এই ব্যাপারে আামর মত জ্ঞানি আর কেউ নেই ।
চিত্রটার দিকে খেয়াল করে দেখুন আরেকবার ।
এই ইফেক্টের বেলাতে মানুষ যখন কোন কিছু পুরোপুরি না জেনে কেবল সামান্য কিছু জ্ঞান অর্জন করেই নিজের উপর এই বিশ্বাস স্থাপন করে সে এই বিষয়ে সব জানে ।
উদাহরন আরেকটা যদি দিই । আমি কদিন থেকে গ্রাফিক্সের কাজ শিখছিলাম । টুকটাক কাজ শিখেই আমার মনে এই বিশ্বাস চলে এল যে আরে আমি সব শিখে ফেলেছি । সব কিছু পারবো ! এটা খানিক ডানিং ক্রিগার ইফেক্ট ! এখানে আমি ছিলাম চিত্রের এ পয়েন্টে । দেখুন আমি আমি ইলাস্ট্রেটরের কাজ একদম জানতাম না তখন আমার এই ব্যাপারে কনফিডেন্স একেবারে ছিল জিরোতে । এরপর আমি যখন আরও কাজ শেখা শুরু করলাম তখন আসলে আমি বুঝতে পারলাম যে আমি আসলে কিছুই জানি না । আমার কন্ফিডেন্স নামতে শুরু করলো । সেখানে বর্তমানে বি তে আছে । এরপর যদি কোন দিন সত্যি এক্সপার্ট হতে পারি তখন হয়তো সি এর পথে যেতে পারবো !
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
জ্ঞান ও কমনসেন্সের অভাবে আর্থারের কারণে ডানিং ক্রুগার ইফেক্ট বের হল ;আপনি এমন আর্থার চেনেন কয়জনকে?