নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের যে আফসোস গুলো আজও পূরণ হয় নি

১৪ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৫



ছোট বেলা থেকে আমার পরিবারের একটা শিক্ষা ছিল যে সব সময় নিজের গন্ডি বুঝতে হবে । যা আমার নেই, যা আমার সাধ্যের বাইরে সেই জিনিসের জন্য কখনো আফসোস করা যাবে না । এটা আমি কোন দিন করি নি । তবে না চাইতেও অনেক কিছু মনের মাঝে চলে আসে । এমন কিছু ব্যাপার আছে যা নিয়ে আমার আফসোস আছে । প্রায়ই মনে হয় যে এই ব্যাপারটা আমার সাথে কেন ঘটে নি! কেন পাই নি! এই আফসোসের কথা শুনলে হয়তো অনেকে হাসবে । আবার অনেকের কাছে এটা খুবই ছোট একটা ব্যাপার মনে হবে । কিন্তু আমার কাছে এই না পাওয়া গুলো এখনও বেশ গুরুত্বপূর্ন । এখনও আশা করি যে এই ব্যাপার গুলো ঘটবে আর আফসোস গুলো পূরণ হবে !

১. তখন সবে মাত্র ঢাকাতে এসেছি । সময়টা ২০০৭ সাল । ঢাকার পথ কিছুই চিনি না । কোচিং ছিল ফার্মগেট আর বাসা ছিল মোহাম্মাদপুর । চেনা জানা বলতে মোহাম্মাদপুর থেকে ফার্মগেটের পথ টুকু । বাসে করে যাই আসি । একদিন প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে । তখন বৃষ্টি হলেই ঢাকার পথ ঘাট ডুবে যেত । আড়ং সিগনালে এসে বাস থেকে নেমে গেমাল । একটু আগেই প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে । বৃষ্টি তখনও পুরোপুরি থামে নি । গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে । সংসদ ভবনের দিকে যাওয়ার পথে পানি জমেছে । এতো জ্যাম লেগে গেছে যে মনে হল যে এই ভীড়ের ভেতরে বাসে বসে না থেকে হাটা দিই ।
বাস থেকে নেমে ছাতা মেলে হাটতে শুরু করেছি, তখন দেখলাম দৃশ্যটা । একটা ছেলে আর মেয়ে । ছেলে মেয়ে দুজনেই নিজেদের প্যান্টের গুটিয়ে নিয়েছে । এক হাতে মেয়েটা ছাতা ধরেছে, বন্ধ । অন্য হাতে স্যান্ডেল । ছেলেটার এক হাতে স্যান্ডেল অন্য হাতে ছাড়া তবে সেটা খোলা । এক ছাতার নিচে তারা রাস্তায় জমা সেই পানিতে হাটছে আর গল্প করছে । চারিদিকের দিন দুনিয়ার কোন খবর নেই তাদের । হাটছে গল্প করছে !

এই দৃশ্যটা এখনও আমার চোখ লেগে আছে । ১৪ বছরের আগের একটা দৃশ্য এখনও আমি সেটা । আফসোস টা হচ্ছে যদি এমন ভাবে প্রিয় মানুষটির সাথে ঠিক এমন ভাবে হাটা যেত ! এমন ভাবে এক ছাতার নিচে ! এমন সুযোগ কোন দিন আসে নি । হয়তো সামনে কোন দিন আসবে !

২. এই আফসোসটাও এই বৃষ্টি কেন্দ্রীক । সময়টা আরও একটু পরে । বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গেছি তখন । আমার তখনও মাঝে মাঝে এই শখ ছিল যে আমি বাসে করে এদিক ওদিক চলে যেতাম । একদিন বৃষ্টির ভেতরে বসে উঠে বসলাম । বাসের নাম তরঙ্গ । এটা মোহাম্মাদপুর থেকে যায় বাড্ডা পর্যন্ত । আমি বসে আছি একদম শেষ সীটে । আমার সামনের বেশ কিছু সিট ফাকা যদিও বাসে তখন অনেকেই দাড়িয়ে আছে । সিট গুলোতে কেউ বসে নি কারণ জানলা দিয়ে বৃষ্টির ছাট এসে সব ভিজে গেছে । আমি পেছনের সিটে বসে চার পাঁচ সিট সামনে বসা এক কাপলের দিকে তাকিয়ে আছি । জানলা দিয়ে বৃষ্টির ছাট তখনও আসছে কিন্তু সেই কাপলের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই । ছেলেটা বসে আছে জানলার পাশে । বেশির ভাগ বৃষ্টির পানি তার গায়েি লাগছে । ছেলেটা একটা হাত মেয়েটার মাথার কাছে দিয়ে রেখেছে । মেয়েটার মাথা নড়ছে । কি বলছিলো সেটা আমি পেছন থেকে শুনতে পাচ্ছিলাম না তবে মেয়েটা অনবরত কথা বলেই যাচ্ছে । এই দৃশ্যটা দেখেও আমার মনে সেই যে একটা ইচ্ছে জেগেছে যে এমন বৃষ্টির দিনে ঠিক একই ভাবে বৃষ্টি ভেজা কোন বাসের সিটে প্রিয় মানুষটির সাথে বসে গল্প করতে করতে যাবো কোন অনির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে ! যদিও এই সুযোগ আসে নি কোন দিন ।

৩. এই ঘটনা আরও অনেক আগের । তখন স্কুলে পড়ি । আমাদের এলাকাতে স্থানীয় বিএডিসি টা ফার্ম হিসাবে পরিচিত । এখানে বিকাল সকাল দুপুরে সব সময় মানুষ জনের আনাগোনা লেগেই থাকতো । তাদের ভেতরে কাপলরাও যে থাকতো সেটাও বলার অপেক্ষা রাখে না । আমরা যেতাম বন্ধু বান্ধব নিয়ে । এমন এক বিকেল বেলা গিয়ে গল্প করছি এমন সময় দৃশ্যটা চোখে পড়লো । দেখতে পেলাম একটা ছেলে দুটো মেয়ের সাথে গল্প করছে বসে । মেয়েদের একজন যে তার প্রেমিকা সেটা বুঝতে কষ্ট হল না । মফস্বলে মেয়েদের সাধারণত একলা বের হতে দেওয়া হয় না । একজন কাজিন কিংবা বান্ধবীর সাথে বের হলে কোন সমস্যা হয় না । আমরা নিজেদের মাঝে গল্প করলে চোখ চলে যাচ্ছিলো বারবার ওদের দিকে । তখনও ছেলেটা উঠে দাড়ালো । সাথে একটা মেয়েও । এবার দুজনে সামনে রাখা সাইকেলটার দিকে এগিয়ে গেল । তারপর ছেলেটা সাইকেলে উঠলো, মেয়েটাও সাইকেলের সামনে রডে উঠে বসলো । তারপর ছেলেটা সাইকেল চালাতে শুরু করলো । আমার চোখ পুরোটা সময় সেই সাইকেলে চালানোর দিকেই রয়ে গেল । তখনই মনে হয়েছিলো যে এমন করে কি নিজের প্রিয় মানুষকে নিয়ে সাইকেল চালানো যাবে ? কবে যাবে?

৪. এই আফসোস টা অতি সম্প্রতি জেগেছে মনে । আমাদের ব্লগের মডারেটর জাদিদ ভাই কয়েকদিন আগে বৃষ্টির দিনের একটা ছবি শেয়ার করেছেন । ছবিটা তার অনুমতি নিয়ে এখানে পোস্ট দিলাম ।
ছবিটা দেখার পরে মনের ভেতরে কেবল একটা ইচ্ছেই বারবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে যে, কোন বৃষ্টির দিনে যদি এখানে যাওয়া যেতো । এই দেখা যাচ্ছে বৃষ্টি বেজা পথ, ভেজা বেঞ্চ ঠিক যেন কোন গল্পের বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা কোন দৃশ্য ।

৫. শেষ করি এমন একটা ইচ্ছে দিয়ে যেটা আমার পূরণ হয়েছে । আমার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল যে এমন কিছু সময় কাটানো যেখানে আমার আসলে কোন কাজ করতে হবে না । আমার নিজের একটা ঘর থাকবে । বিছানার পাশে থাকবে প্রচুর বই । সারা দিন আমি শুয়ে বসে বই পড়বো । খাবো দাবো আর বই পড়বো । আর কোন কাজ কর্ম করবো না । এই ভাবে অন্তত মাস খানেক কাটাবো কেবল বই পড়ে ! কিন্তু এই সুযোগ আসলে কোন দিন আসে নি । পেটের জন্য কাজ করতেই হত সব সময় । বাসা থেকে বের হওয়া লাগতো । বই যদিও পড়তাম তবে ঐ ইচ্ছেটা পুরন হয় নি । সব সময় কেবল বই পড়া আর কোন কাজ না করা । কিন্তু সেই সুযোগটা চলে এল করোনা কালীন সময়ে । ২০২০ সালের মার্চ থেকে যখন লকডাউন দিয়ে দিল তখন বাসায় পুরোপুরি আটকে গেলাম । যদিও আমার এতে কোন সমস্যা ছিল না । সারা দিন মুভি দেখি আর বই পড়ি । এছাড়া আর কোন কাজ নেই । কয়েকদিন যাওয়ার পরে আবিস্কার করলাম যে আমি আসলেই আমার সেই কাঙ্খিত স্বপ্নের সময় পার করছি । সারা দিন বই পড়া খাওয়া দাওয়া আর মুভি দেখা । এছাড়া আর কোন কাজ নেই ।

তবে একটা ব্যাপার আমি ঠিকই আবিস্কার করলাম যে আমি আসলে ঠিক যেভাবে ভেবেছিলাম আমার এই ইচ্ছেটার কথা, ইচ্ছেটা পূরণের সময়ে আসলে সেই রকম মনে মনেহল না । বলতে চাচ্ছি যে যখন ইচ্ছেটা কেবল ইচ্ছেই ছিল তখন এটার প্রতি যতখানি আকর্ষণ ছিল, যতখানি আবেদন ছিল, পুরণের সময়ে ততখানি আকর্ষণ আমি অনুভব করছিলাম না । তখন কেন জানি মনে হল যে এই ইচ্ছেটা পূরণ না হলেই বুঝি ভাল হত । আমার উপরে না পূরণ হওয়ার ইচ্ছে গুলোর বেলাতেও হয়তো একই ঘটনা খাটবে ! এখনও সেগুলো পূরণ হয় নি বলেই হয়তো সেগুলো আমার কাছে এতো আকর্ষনীয় মনে হয় । আমি যদি সত্যিই বৃষ্টির ভেতরে এক ছাতার নীচে আমার প্রিয় মানুষের সাথে হাটার সুযোগ পাই তখন হয়তো আমার কাছে ব্যাপারটা এতো আকর্ষনীয় মনে হবে না !
কিছু আফসোস থাকা ভাল সম্ভবত ।

pic source

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
প্যান্ডোরার বাক্স থেকে শুধু আশাটাই উড়ে গেছে!
কেউই ওটার নাগাল পায় নি আর আমৃত্যু পাবেওনা।
তাই আশা নিয়েই থাকতে হয় আজীবন।
সব আশা পূরণ হয়ে গেলে জীবনটা পানসে
হয়ে যাবে। তাই থাকতে দিন আশাকে অধরা।
আশা মিরিচিকার পিছে ছুটে জীবনটাকে বিষময়
করার মানেই হয় না।

১৪ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:১১

অপু তানভীর বলেছেন: আশা পূরণ হয়ে গেলে, সেই পূরণ হওয়ার সেটা কে আরও ততখানি আকর্ষনীয় মনে হয় না যতখানি আগে মনে হত ! আর সব আফসসো যদি পূরণ হয়ে যায় তাহলে জীবন সত্যিই পানসে হয়ে যাবে !

২| ১৪ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১৭

অশুভ বলেছেন: প্রথম ঘটনাটি যদি ২০০৭ সালের জুন মাসের ৮ তারিখে হয়ে থাকে, তাহলে সমূহ সম্ভবনা আমাকে আর আপনার ভাবীকে দেখে থাকতে পারেন। ;)

আপনার আফসোসের কথা শুনে নিজের জীবনের কিছু অপ্রাপ্তির কথা মনে পড়ে গেল। কিছু চাওয়া-পাওয়া অপুর্ণ থাকা খারাপ না। লেখায় ভাললাগা।

১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:০৭

অপু তানভীর বলেছেন: জুন মাস না হয়ে আরও এক মাস পরে হলে হয়তো মনে হয়তো আপনাদেরই দেখেছি । আমার যতদুর মনে পড়ে আমি জুন মাসেই ঢাকা এসেছিলাম । ঢাকা আসার মাসখানেক পরের ঘটনা এটা এই টুকু মনে আছে ।

জীবনে আসলেই কিছু চাওয়া পাওয়া অপূর্ণ হয়ে থাকাটা খারাপ না । অনুপম রায়ের সেই গানটার মত, যেটা ছিল না ছিল না সেটা না পাওয়াই থাক, সব পেলে নষ্ট জীবন

ভাল থাকুন সব সময় !

৩| ১৪ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: জীবনের কিছু কিছু অপূর্ণতার মধ্যে একধরনের তৃপ্তি আছে। সহজলভ্যতার মধ্যে কোনো ভালো লাগা নাই।

পোস্ট ভালো লেগেছে। +

১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: এটা আমরা আসলে সহজে বুঝতে পারি না । আমাদের সব চাহিদাই আমাদের কাছে পূরণ হওয়া চাই ই চাই । নয়তো আমাদের মনে শান্তি আসে না । অথচ সব আফসোস যদি পূরণ হয়ে যায় তখন সেই জীবনটাই যে একেবারে অন্য রকম হয়ে যাবে !

৪| ১৪ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
নং ৩ আমার দরকার।

১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: আজই সাইকেল কিনে ফেলুন । তারপর প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ঘুরে আসুন !
ইচ্ছে পূরণ !

৫| ১৪ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮

সাসুম বলেছেন: জীবনে কোনদিন একটা খেলনা দেখিনাই ভাল মানের, একটা গাড়ি পাইনাই, একটা সাইকেল পাই নাই। ছুডু বেলায় খুব ইচ্ছে ছিল একটা সাইকেল কিনব, কিন্তু কেনার সামর্থ্য ছিলনা।

পরে অনেক বড় হতে হতে আকাশ ছুয়ে ফেলেছি তাও সেই আফসোস টা যাচ্ছেনা। এখন নিজের ছেলের জন্য লাখ লাখ টাকার খেলনা কিনি, বাসার সবাই চিল্লাই। তাদের কে কিভাবে বুঝাই আমার না পাওয়ার হাহাকার নিজের ছেলের জন্য কিনে মেটাই।

আহা আমাদের না পাওয়ার হাহাকার গুলো

১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:১৩

অপু তানভীর বলেছেন: আমার জীবনে আসলে জাগতিক এই সব জিনিস পত্র নিয়ে আফসোস ছিল অনেক কম । আশে পাশে সব ছেলে মেয়েদের তূলনাতে আমার পরিবার আমাদের অনেক ভাল রেখেছে সেই সাথে এও শিক্ষা দিয়েছিলো যে গন্ডির বাইরে কিছু না চাইতে । আমার সকল না পাওয়ার তালিকাটা ছিল আমার বড় ভাইয়ের সাথে । তাকে দেওয়া হলে আমাকে কেন দেওয়া হবে না এইটা নিয়ে । বাইরের কারো সাথে না ।

তবুও মানুষের জীবনে অনেক কষ্ট থাকে অনেক না পাওয়া থাকে যা এক সময়ে বড় হাহাকারের সৃষ্টি করে । সবার জীবনেই আছে ! তোর জীবনেও আছে । এই কারণে ছেলের কোন আবদার অপূর্ণ রাখবি না । বিশেষ করে খেলনা আর দরকারী জিনিসের বেলাতে !

৬| ১৪ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সবার জীবনেই না পাওয়ার গল্প থাকে। ইচ্ছেগুলো পূরণ হোক।

১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:১৪

অপু তানভীর বলেছেন: সবার জীবনেই কিছু না পাওয়ার গল্প থাকে । এটাই সব থেকে সত্য কথা !

৭| ১৪ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: সে জন্যেই তো কবিগুরু বলিয়াছেনঃ "যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না"!

এবং কবি নবীন চন্দ্র সেন মানুষের আশা এবং অপ্রাপ্তি সম্বন্ধে তার আশা কবিতায় লিখিয়াছেন .....

"ধন্য আশা কুহকিনী। তোমার মায়া
অসার সংসার চক্র ঘোরে নিরবধি।
দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়
মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি।
ভবিষ্যৎ অন্ধ, মূঢ় মানবসকল
ঘুরিতেছে কর্মক্ষেত্রে বর্তুল-আকার,
তব ইন্দ্রজালে মুগ্ধ, পেয়ে তব বল।
বুঝিছে জীবনযুদ্ধে হায় অনির্বার
নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিকরে
নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে।"


অতএব, ৫ নম্বরটা পড়ার পর নিশ্চিন্তে বলা যায়, আসলে আফসোসগুলো অপূর্ণ থাকাই শ্রেয়ঃ।

১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: আমার সাথে এই ব্যাপারটা অনেকবার হয়েছে । কোন একটা জিনিস আমি তীব্র ভাবে চাইছি, মনে হচ্ছে এই জিনিস না পেলে আমি দমবন্ধ হয়ে মারা যাবো কিন্তু যখন সেটা হাতে পেলাম তখন মনে হচ্ছে না পেলেই হয়তো ভাল হত । একবার একটা মানিব্যাগ খুব পছন্দ হল । এতো পছন্দ যে হাতের সব টাকা খরচ করে কিনে ফেললাম সেটা । বাসায় এসে তারপর মনে হল যে হাতের সব টাকা শেষ আর এটা না কিনলেই ভাল হত ! মাস খানেক আগে দারাজ থেকে একটা জিনিস অর্ডার দিয়েছিলাম । ওভারসীজ প্রডাক্ট ছিল । আসতে প্রায় মাস খানেক লাগলো । প্রতিদিন চেক করি যে কবে আসবে কবে হাতে পাবো ! জিনিস টা হাতে এসেছে দুদিন আগে । কিন্তু হাতে পাওয়ার পরে মনে হল, দুইর এই জিনিস না কিনলেই ভাল হত !

৮| ১৪ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৪৩

ছাকিব নাজমুছ বলেছেন: ছোট বেলার পূরণ না হওয়া অসংখ্য আফসোসের সাথে প্রতিদিনই যোগ হয় নতুন নতুন আফসোস। তারপরেও বলবো হয়তো ভালই আছি।

১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:২০

অপু তানভীর বলেছেন: আমার অবশ্য নতুন করে খুব কমই আফসোস যোগ হয় । যখন যা ইচ্ছে হয় সেটা সাধ্যের ভেতরে হলে আমি সেটা তখনই করে ফেলি ।

৯| ১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু তানভীর,




যা পাওয়া হয়ে গেলো তার প্রতি মানুষের তেমন আকর্ষণ থাকেনা। না পাওয়া জিনিষের প্রতি তীব্র আকর্ষন মানুষের চিরকালের!

যখন ইচ্ছেরা অপূর্ণ থেকে যায় আর আশাগুলো মরে যায়, ভাববেন না এখানেই শেষ, ঈশ্বর আড়ালে হাসেন-ধীরে বৎস ধীরে! পথের পরেও থাকে পথ!!!!!!!

১৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:১৩

অপু তানভীর বলেছেন: কিন্তু কিছু কিছু চাওয়া যদি জীবনে না পূরণ হয় তখন জীবনটাই অন্য রকম হয়ে যায় । যেমন ভালোবাসার মানুষটাকে চাইলাম কিন্তু তাকে পেলাম না । এখন তাকে পেলে কি তার প্রতি আকর্ষণ কমে যেতো তাকে আর ভালোবাসতাম না? অবশ্যই বাসতাম !

আমার মতে কিছু কিছু চাওয়া পূরণ হলে বরং তার প্রতি আকর্ষণ আরও বৃদ্ধি পায় । সেই এটা তো চরম সত্য যে পেয়ে গেলে কিছু ক্ষেত্রে আকর্ষণ কমে যায় । তখন মনে হয় যে না পেলেই হয়তো ভাল হত ।

১০| ১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৫৩

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: একটা লাল সাইকেল, খুব ভোরে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে, ঝুড়ি ভর্তি অর্কিড নিয়ে বাড়ি ফেরা, আমার এই আক্ষেপ বহু বহু দিনের। বৃষ্টিতে আরো বেশি সাইকেলের কথা মনে পরে।

১৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:১৫

অপু তানভীর বলেছেন: যখন গ্রামে ছিলাম তখন বৃষ্টি হলেই আমার প্রধান কাজ ছিল সাইকেল নিয়ে বাইরে বের হয়ে যাওয়া । এই ইচ্ছেটা সব সময় আমি পূরণ করেছি । আপনার ইচ্ছে পূরণ হোক, এই কামনা করি !

১১| ১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:১৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

সরি, ৩ নং নয়, ৪ নং দরকার ছিল।

১৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:১৫

অপু তানভীর বলেছেন: এটা তো পূরণ হওয়ার সম্ভব ! একটু চেষ্টা করে দেখুন ।

১২| ১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৫০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: যদি থাকে নসিবে আপনি আপনি আসিবে.....

১৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: তা ঠিক । নসিবে থাকলে হবে একদিন !

১৩| ১৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:০৪

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: আপনার কাহিনী পড়ে এখন নিজের জীবনের চাওয়া পাওয়া মিলাইতে গিয়ে মনটা খারাপ হইয়া গেলো। :D

১৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:২১

অপু তানভীর বলেছেন: এই কয়টা আফসোস পড়ে আমার ভাববেন না যে জীবনে কেবল এই আফসোসই আছে । এই গুলো হচ্ছে জীবনের কয়েকটা আফসোস মাত্র ! আরও কিছু আছে । তবে সেই না পাওয়া গুলোর বেশির ভাগই মেনে নিয়েছি জীবনে !

১৪| ১৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনার দ্বিতীয় ঘটনা পড়ে আমার পুরনো একটা দিনের কথা মনে পড়ে গেলো।

১৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:২১

অপু তানভীর বলেছেন: আপনিও লিখে ফেলুন সেই ঘটনা । পড়ে ফেলি !

১৫| ১৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ৮:৪৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ছোট বেলায় না পাওয়ার হাহাকার অনেকেরই আছে; সবাই তো আর সচ্ছলনা।

১৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:২২

অপু তানভীর বলেছেন: সবার জীবনেই না পাওয়ার হাহাকার থাকে । যে যেমন পরিবেশে বড় হয়েছে তাদের না পাওয়া গুলো তেমন । এক জন সচ্ছল পরিবারে বড় হওয়া মানুষেরও অনেক রকম হাহাকার থাকে ।

১৬| ১৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৩১

ফয়সাল রকি বলেছেন: আপনি তো বড়োই রোমান্টিক মানুষ!

১৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:২৩

অপু তানভীর বলেছেন: এইটাই জীবনে কাল হইছে ভাইসাব !

১৭| ১৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৩২

জুন বলেছেন: এমন আফসোস থাকা ভালো অপু। তাড়িয়ে তাড়িয়ে আজীবন একে উপভোগ করা যায় B-)
লেখায় অনেক ভালো লাগা রইলো।
+

১৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:০৩

অপু তানভীর বলেছেন: এটা অবশ্য ঠিকই বলেছেন । কিছু আফসোস না থাকলে জীবনে অনেক বড় একটা আফসোসের তৈরি হবে । জীবন উপভোগ করার জন্য কিছু আফসোস থাকা ভাল !

১৮| ১৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৩৩

জুন বলেছেন: স্যরি *তারিয়ে তারিয়ে, স্পেলিং মিস্টেক #:-S

১৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:০৪

অপু তানভীর বলেছেন: আরে বানান একটু ভুল হতেই পারে :D

১৯| ১৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১৮

রানার ব্লগ বলেছেন: সমস্যা কি ?? আপনার বান্ধুবী কে বলেন তিনি নিজেই সেই ব্যাবস্থা করে দেবে !!! মেয়েরা এমন কিছু ম্যাজিক জানে তা ছেলেরা জানে যা না !!!

১৬ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:১২

অপু তানভীর বলেছেন: কিসের ভেতরে কি !

২০| ১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আরে ভাই আপনার বৃষ্টি ভেজার স্বপ্ন পুরনের কথা বলছি রে !!!

১৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১০

অপু তানভীর বলেছেন: বান্ধবী আর প্রিয় মানুষের ভেতরের পার্থক্য কি জানেন না? বান্ধবীকে কেন বলব?

২১| ১৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৩৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সাসুম ভাইয়ের মত আমার জামাইও ছেলেদের বলে। এরা ছোট বেলা থেকে যে খেলনা পেয়েছে হিসাব করার মত না। বাসায় রেখে চলে আসতাম অফিসে দুজনই। আসার সময় প্রতিদিনই গাড়ি কিনে দিয়ে আসতাম। তারপর আবার মাঝখানে কান্নাকাটি শুরু করলে শাশুড়ি পাঠাতেন বাসার হেল্পারকে দোকানে গাড়ি কিনে আনার জন্য। এখন খেলনা লাগে না কিন্তু বেহিসাবী বই খাতা কিনে দেয় তাসীনের বাপে তাদেরকে। বলে আমরা পুরান বই পড়ে বড় হইছি। খাতায় কাঠপেন্সিল দিয়ে লিখে মুছে আবার লিখেছি তোরা যেন এসবের অভাব বোধ না করিস । কলম ডজনের ডজন আনে , বদ বাচ্চাগুলো কই ফালায় দেয় কে জানে।

আমি আল্লাহর রহমতে প্রাচুর্যের মাধ্যমে বড় হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। আব্বা সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায় কুয়েত চলে যান সরকারী ভাবে। কত যে খেলনা নিয়ে আসতেন কুয়েত থেকে। কুয়েতের পর তিনি কাতার যান সেখানেও অনেক বছর থাকে।

আমার আফসোস তেমন একটা নাই আলহামদুলিল্লাহ। একটাই আফসোস ঘুরে বেড়ানো যেটা হচ্ছেই না হচ্ছেই না হচ্ছেই না। তাসীনের বাপ খালি বলে যাবে যাবে অথচ যায় না। এখনো সমুদ্র দেখি নাই, সেটা আফসোস, জানি না কবে পূর্ণ হবে।

আমি কিন্তু আপনার আগে ঢাকা আইছি । ২০০১ আসছি। সেদিনগুলোর কথা মনে হলেই কেমন যেন লাগে। মিরপুর-১৪ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে একা আসতাম এত দূরের পথ। তখন আবার কিছুদিন স্টাফ বাস ছিল না। কেমন যেন আড়ষ্টতা কাজ করতো। এখন যেমন অনেক সাহস তখন তো তা ছিল না।

১৬ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: ছোট বেলাতে আমিও অভাব জিনিসটা বুঝি নি । স্কুলে গেলে আশে পাশের বন্ধুদের কে দেখলে বুঝতে পারতাম যে কতটা ভাল আছি তাদের থেকে । তবে একটা জিনিস একটু বড় হয়েই টের পেলাম আমার চাহিদার একটা বাউন্ডারি আছে । আমি সেই বাউন্ডারি কোন দিন ক্রস করি নি ।


ঢাকাতে প্রথম প্রথম আসার পরে আমারও এমন হত ! এখন অবশ্য সব ঠিক হয়ে গেছে সব অভ্যাস হয়ে গেছে !

২২| ১৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৩২

ঢুকিচেপা বলেছেন: কিছু আফসোস অবশ্যই পূরণ হবে বা হতে পারে কিন্তু তখন আর তার প্রয়োজন এবং সেই আকুতি থাকবে না।

১৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: সময় একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। যখন সে জিনিসটার আবেদন থাকে সেই সময় পার হয়ে গেলে সেটার আকর্ষণ আর তেমন থাকে না । সত্যি বলেছেন যে হয়তো পূরণ হবে কোন দিন তবে সেই আকুতি সেই আকর্ষণ থাকবে না !

২৩| ১৯ শে জুন, ২০২২ ভোর ৬:১৮

মিরোরডডল বলেছেন:




শিরোনামটা মনে হয় ঠিক হয়নি তানভী ।
যে আফসোসগুলো আজও পূরণ হয়নি, আফসোস কি পূরণ হয় ?
ইচ্ছা বা স্বপ্ন, আশা পূরণ না হলে আফসোসের জন্ম হয় ।

কাজেই শিরোনাম হতে পারতো, জীবনের যে স্বপ্ন বা ইচ্ছাগুলো পূরণ হয়নি ।
অথবা আমার জীবনের আফসোসগুলো, that makes sense.

১৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

অপু তানভীর বলেছেন: একবার মনে হয়েছিলো যে ইচ্ছেই লিখি । তারপর মনে হল যে না এগুলো ঠিক ইচ্ছে না । সেই সময়ের সেই ক্ষণ গুলো সেই ইচ্ছে গুলো আসলে এখন যদি পূরণও হয় তবুও সেগুলো সেই আবেদন এখন আর থাকবে না । অর্থ্যাৎ এগুলো আর কোন ভাবেই পূরণ হওয়া সম্ভব না ! সেই হিসাবে এগুলো আসলে আফসোসই !
তবে চার নম্বরটাকে অবশ্য ইচ্ছে বলা যায় ! উপরের তিনটে আফসোসই !

২৪| ১৯ শে জুন, ২০২২ ভোর ৬:২৭

মিরোরডডল বলেছেন:





তবে একটা ব্যাপার আমি ঠিকই আবিস্কার করলাম যে আমি আসলে ঠিক যেভাবে ভেবেছিলাম আমার এই ইচ্ছেটার কথা, ইচ্ছেটা পূরণের সময়ে আসলে সেই রকম মনে মনেহল না । বলতে চাচ্ছি যে যখন ইচ্ছেটা কেবল ইচ্ছেই ছিল তখন এটার প্রতি যতখানি আকর্ষণ ছিল, যতখানি আবেদন ছিল, পুরণের সময়ে ততখানি আকর্ষণ আমি অনুভব করছিলাম না ।


কারনটা খুবই সিম্পল ।
স্বপ্নটা ছিলো এরকম একটা সময় কাটাবার কিন্তু সেটা নিজের ইচ্ছামতো, যখন খুশী তখন ।
আর যেটা হয়েছে সেটা সিচুয়েশন ডিম্যান্ড বাই ফোর্স । তাই এঞ্জয় করলেও সেখানে তৃপ্তি ছিলো না ।
মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোনকিছু করে আনন্দ পায় ।
কিন্তু সেই ভালোলাগার কাজটাই যদি বাধ্যতামূলকভাবে করতে হয়, তখন সেটার প্রতি আর আকর্ষণ থাকে না ।



১৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: কেবল ভাললাগার কাজই নয় যে কোন কাজই যখন আমরা বাধ্যতামূলক ভাবে করি তখন সেটার প্রতি কোন আকর্ষণ থাকে না ! এই যে আমরা কাজ করি জীবিকার জন্য, বেশির ভাগ মানুষই কিন্তু তাদের কাজকে ভালোবাসে না । তারা কেবল বাধ্য হয়ে কাজটা করে । ফলে তাদের কাজের প্রতি কোন আকর্ষণ থাকে না । জীবন হয়ে ওঠে দূর্বিষহ ! কিন্তু যদি জীবিকার এই কাজ গুলোর প্রতি তাদের যদি ভালোবাসা কাজ করতো তাহলে তাদের জীবন গুলো আরও কত আনন্দময় হতে পারতো !

২৫| ২০ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:৩৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমর রোমান্টিক সব আফসোস দেখছি !!! চিত্ররূপ দিলে অন্য রকম ভালোলাগা আসে মনে, দারুণ হয়েছে বর্ণনা !
শুভ কামনা :)

২০ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: বাস্তবিক আরও অনেক কিছুই আছে যা আফসোসের কারণ । তবে এই আফসোস গুলো মনের ভেতরে একটা দাগ কেটে বসে আছে সেই কবে থেকে ।

এই আফসোস কি আর পূরণ হবে কোন দিন !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.