নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নস্টালজিক সেই লোডশেডিং আবার আসছে ফিরে ...

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫৬

বাংলাদেশে যাদের জন্ম মোটামুটি সবার সাথে এই লোডশেডিংয়ের স্মৃতি জড়িয়ে আছে । ছোট বেলা থেকেই লোশেডিং ছিল আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ । আমার স্কুল জীবন যখন শুরু তখন ছিল আওয়ামীলীগের সময় । আমার প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় । থাকি যশোরে । যতদুর স্মৃতি মনে পড়ে তখন নিয়মিত লোডশেডিং ছিল আমাদের বন্ধু । এই লোডশেডিংয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের বাসায় তখন একটা ব্যাটারী কেনা হয় । তখন আসলে আইপিএসের চল ছিল না । আর থাকলেও আমাদের মত মানুষদের সেই জিনিস কেনার সমর্থ্যও ছিল না । দিনের ভেতরে কয়েকবার বিদ্যুৎ চলে যেত । তবে সব থেকে যেটা প্যারা দিত সেটা হচ্ছে সন্ধ্যা বেলার লোডশেডিং । সন্ধ্যা হয়েছে আর বিদ্যুৎ যায় নাই, এমন ঘটনা তখন ঘটতো বলে আমার মনে পড়ে না ! মাগরিবের আযান দিবে আর এই দিকে বিদ্যুৎ বাবাজি ফুরুৎ । ঘন্টা খানেক কিংবা দুয়েক বিদ্যুৎ হীনতার পরে আবার আসতো এবং রাত দশটার আগে আবারও একবার যেত ।

আমার স্কুল জীবনের সন্ধ্যার বেলা পড়াশুনা আমি কোন দিন বিদ্যুতের আলোতে পড়েছি বলে আমার মনে পড়ে না । আমাদের বাসায় ছিল হ্যারিক্যান আর মোমবাতি । সেই সাথে একটা চার্জার লাইটও ছিল । সেগুলো আমাদের পড়াশুনার কাজে লাগতো । তবে সব থেকে যেটা আমার মনে কষ্ট লাগতো সেটা হচ্ছে আলিফ লায়লা দেখার সময় বিদ্যুৎ চলে যেত । রাত আটটার সংবাদের পরে শুরু হত এই আলিফ লায়লা । আমরা তখন এই আলিফ লায়লা দেখার জন্য পুরো সম্তাহ ধরে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতাম । মাঝে মাঝে এমন হত যে যখন অনুষ্ঠানটা শুরু হত তখনই চলে আসতো বিদ্যুৎ, আবার কোন কোন দিন অনুষ্ঠানের একেবারে মাঝ খানে চলে যেত ।

আগেই বলেছি যখন যশোর ছিলাম তখন আমাদের একটা ব্যাটারি ছিল । বিশেষ করে টিভি দেখার জন্যই এই ব্যাটারি কেনা হয়েছিলো । বেশ কিছু দিন আমরা তাই বিদ্যুৎ চলে গেলেও আলিফ লায়লা দেখতে পারতাম । তখন আমাদের ঘরে অনেক মানুষ এসে হাজির হত কেবল এই অনুষ্ঠান দেখার জন্য । নিজেকে বড় পশ পশ মনে হত তখন ! পুরো তল্লাটে তখন বলতে গেলে আমাদের বাসাতেই এই ব্যাটারি ছিল ।
কিন্তু মাঝে বছর খানেকের জন্য আমাদের নীলডুমুর যেতে হয়েছিলো আব্বার বদলির কারণে । এক বছর পরে যখন আবারও যশোরে ফিরে আসি তখন আর সেই ব্যাটারিটা আমাদের সাথে ছিল না । তখন বিদ্যুৎ চলে গেলে আমিও হাজির হতাম অন্য কারো বাসায় । তবে এই কাজটা আমার পছন্দ ছিল না । বাসায়ও ঠিক পছন্দ করতো না । কিন্তু হয় না এমন যে আজকের পর্বটা দেখতেই এমন, তখন আসলে ছোট্ট মনটাকে স্থির রাখা যেত না । আরেকটা স্থান অবশ্য ছিল । আমার বাবা বিডিআরের ফুড সাপ্লাইয়ার ছিল তখন । এবং আমাদের বাসায় ছিল একেবারে বিডিআর ক্যাম্প ঘেষে । এই ক্যাম্পে বিডিআরদের টিভি রুম ছিল বিশাল বড় । ক্যাম্পে তখন জেনারেটর ছিল । সেই সুবাদে টিভি চলতো । আমরা তখন সেখানে যেতাম টিভি দেখতে । কন্ট্রাক্টরের ছেলে হিসাবে আমার প্রবেশাধিকার ছিল সেখানে ।

এরপর চলে এলাম চুয়াডাঙ্গাতে । আমার হাই স্কুল কেটেছে বিএনপির আমলে । এই আমলেও ঠিক একই অবস্থা । বরং অবস্থা আরও ভয়াবহ ছিল । এই সময়েও প্রতিদিন কতবার যে বিদ্যুৎ চলে যেত তার কোন ঠিক ঠিকানা ছিল না । আমার একবার মনে আছে চুয়াডাঙ্গাতে এক গরমে ২২ ঘন্টা লোডশেডিং হয়েছিলো । এটা নিয়ে পত্রিকাতে নিউজও হয়েছিলো । তখনও সন্ধ্যার পড়াশুনা করতাম হ্যারিক্যান কিংবা মোমের আলোতে । তবে এই চুয়াডাঙ্গাতে একটা মজার ব্যাপার হত বিদ্যুৎ চলে গেলে । আমাদের চুয়াডাঙ্গার বাড়িটার ঠিক পাশেই আমাদের নানার বাড়ি । সেখানে অনেক কাজিনরা থাকতো । বলতে গেলে তাদের সাথেই বড় হয়েছি । বড় মামা দুই ছেলে মেয়ে । একজন আমার থেকে বছর খানেকের বড় আরেকজন বছর খানেকের ছোট । এছাড়াও মায়ের চাচাতো এক ভাই তার ফ্যামিলি নিয়ে থাকতেন । তারও ছেলে মেয়ে ছিল । বিদ্যুৎ চলে গেলে বিশেষ করে গরম কালে লোডশেডিং হলেই আমরা পড়াশুনা বাদ দিয়ে এক সাথে হতাম নানাদের রোয়াকে । সেখানে গল্প গুজব করে মাঝে মাঝে চোর পুলিশ খেলতাম । জীবনটা তখন কতই না চমৎকার ছিল ।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ঢাকা এলাম । তখন আওয়ামীলীগ আমল শুরু হয়েছে । এখানেও মাশাল্লাহ বিদ্যুতের সেই অবস্থা । তবে এখানে একটা ভাল দিক ছিল । আমরা আগে থেকে জানতাম যে কখন বিদ্যুৎ যাবে । যেমন সকাল আট কি নয়টা থেকে বিদ্যুৎ যাওয়া শুরু হত । প্রতি এক ঘন্টা থাকতো, এক ঘন্টা থাকতো না । এবং এটা চলতো মোটামুটি রাত দশটা পর্যন্ত। এমনটা হত বেশি গরম কালে । এক ঘন্টা আছে এক ঘন্টা নাই । বন্ধু আশিক থাকতো কলাবাগানের দিকে । ওর মেসে একদি গিয়েছি । গ্রুপ স্টাডি করার প্লান । ওমা গিয়ে দেখি বিদ্যুতের ভয়ানক অবস্থা । ওদের ওখানে দিনে দুই ঘন্টা পরপর একঘন্টার জন্য বিদ্যুৎ আসে ।
তারপর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষের দিকে বিদ্যুৎ যাওয়ার পরিমানে কমে গেল অনেক। আবাসিক এলাকাতে বিদ্যুৎ একটু কম যেত । তখন দিনে সব মিলিয়ে ঘন্টা দুয়েক তারপর ঘন্টা খানেক লোড শেডিং হত ।

তারপরেই তো সেই চমৎকার সময় গুলো চলে এল । আমি ঢাকার যে এলাকাতে থাকি সেই এলাকাতে বিদ্যুৎ যাওয়া বলতে একেবারে বন্ধ হয়েই গেল । শেষ কবে বিদ্যুৎ যেত আমার মনে থাকতো না । কালে ভাদ্রে হয়তো কোন কারণে বিদ্যুৎ থাকতো না । আওয়ামীলীগ সরকারকে নিয়ে হাজারটা অভিযোগ আছে আমার তবে আমি সেই ছোট বেলা থেকে যেই অবস্থা দেখে এসেছি আমি তখন কোন দিন ভাবতেও পারি নি এই লোডশেডিং বিহীন সময় আমি কোন দিন কাটাবো !

সম্প্রতি সময়ে আবারও লোডশেডিং শুরু হয়েছে । আজকে খবরে দেখলাম খরচ বাঁচাতে ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র সব বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে । এক হাজার মেগাওয়াট সর্টেজ হবে। তার মানে লোডশেডিং । সরকার থেকে বলা হচ্ছে লোডশেডিংয়ের একটা সিডিউল করা হবে । কোন এলাকায় কখন বিদ্যুৎ যাবে সেটা জানানো হবে । আবারও সেই ছোট বেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল । আবারও সেই লোডশেডিংয়ের দিন ফিরে আসছে !
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে ! :D

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আবার ফিরে এলো সেই পুরুনো দিন!!
B:-)

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: সেই অতীত দিনের স্মৃতি বলতে পারেন । ;)

২| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৭

মোগল সম্রাট বলেছেন: এটি নস্টালজিয়ার প্যারাডক্স: লোকেরা অতীতের ভয়ানক সময়ের জন্যও আকুল হয়ে থাকে। কি আশ্চর্য!

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১২

অপু তানভীর বলেছেন: আসলে সত্যি বলতে কি আমরা ছোট বেলা থেকে সেই লোডশেডিংয়ের ভেতরেই বড় হয়েছি । সেই হিসাবে আমাদের কাছে সেই ব্যাপারটা স্বাভাবিকই ছিল । তখন বিদ্যুৎ গেলে আমরা কতকিছু করতাম সেই স্মৃতি গুলো কিন্তু চমৎকার ছিল !

কিন্তু এখন যখন লোডসেডিং বিহীন থেকে অভ্যাস হয়ে গেছে তখন লোডশেডিংকে এখন সত্যিই ভয়ই লাগে ।
ঈদে বাসায় গিয়েছিলাম । সেখানে শেষ দিন ঘন্টা দুয়েকের মত লোড শেডিং হয়েছিলো । কি যে হাসপাস লাগছিলো সেটা বলে বোঝানোর উপায় নেই । অথচ আমি কিন্তু দিনে ১০ ঘন্টা লোডশেডিং খুব স্বাভাবিক ভাবেই কাটিয়েছি !

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: দু:খজনক । কুইক রেন্টালের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ফলাফল শূণ্য

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: ফল ভোগ করবে জনগন । লোড শেডিং তো আর মন্ত্রী পাড়ায় হবে না ! সো তাদের খুব একটা টেনশনও নেই ।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কুইক রেন্টালের নামে তাদের লোকদের হাজার কোটি টাকার মালিক বানিয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কি হইলো?

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৯

অপু তানভীর বলেছেন: কামের কাম হচ্ছে যে আমরা আবার অতীতের সেই নস্টালজিক অনুভূতি ফিরে পেতে যাচ্ছি ! :D

৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩৫

শাওন আহমাদ বলেছেন: আহা সেইদিন গুলো! লোডশেডিং হলে ঈদের ফূর্তি লাগতো ,পড়াশোনা শিকেয় তুলে আমরা হাইড অ্যান্ড সিক খেলতাম।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪

অপু তানভীর বলেছেন: কোন চিন্তা নেই । সামনে আবারও সেই দিন আসছে । :D

৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: বাংলাদেশের ঘরে ঘরে লোডশেডিং এর যাদুঘর!
অবশেষে "লোডশেডিং কে যাদুঘরে পাঠানো" ঘোষণা বাস্তবায়ন করা হয়েছে- এভাবেই।
মমতাজ বয়াতি এম্পি সংসদে ঘোষণা দিয়েছিল 'এই সরকার এতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে যে, ফেরিওয়ালারা যেভাবে পণ্য বিক্রির জন্য ঘরে ঘরে যায়, সেইভাবে বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে ঘরে ঘরে যাবে কিন্তু বিদ্যুৎ কেনার মানুষ পাবেনা"!

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:২৯

অপু তানভীর বলেছেন: জুলভার্ন ভাই, সত্যই কথা কি বিদ্যুতের এই সুফল আমি নিজ চোখে দেখছি । অন্তত গত ছয় সাত বছরে বিদ্যুতের সেবা আমি ভাল ভাবে ভোগ করেছি । এটা অস্বীকার করলে অকৃতজ্ঞতা হয়ে যাবে । সামনে দেখা যাক কি হয় !

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯

আরইউ বলেছেন:




আশা করছি এটা সাময়িক একটা অসুবিধা।

ছোটবেলায় লোডশেডিং আমার ভালো লাগতো। কেন জানিনা; সম্ভবত পড়ালেখা থেকে ছুটি পেতাম তাই!

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩

অপু তানভীর বলেছেন: সাময়িক বলতে আরও ঠিক কত সময় সেটা আসলে নিশ্চিত না । আমাদের দেশের সিংহভাগ বিদ্যুৎ তৈরি আসে গ্যাস পুড়িয়ে । ার বিশেষজ্ঞদের মতে যা গ্যাস মজুদ আছে তা আর সর্বোচ্চ ২০ বছর চলবে যদি নতুন উৎস না পাওয়া যায় । তার মানে বুঝতে পারছেন তো সামনে কী ভয়ংকর সময় আসতে যাচ্ছে। রামপাল আর রূপপুর চালু হলে নতুন বিদ্যুৎ যুক্ত হবে ।
আর কবে যুদ্ধ থামবে কবে গ্যাসের দাম কমবে সেটা কি কোন হিসাব আছে !!

ব্যাপারটা আমারও এক রকমই ছিল ! লোডশেডিং হলে এক সাথে গল্প গুজব করা যেত কাজিনদের সাথে । এটা মেমোরেবল অভিজ্ঞতা তো বটেই !

৮| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৫১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


আশি-নব্বই এর দশকে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ আসতো, এ কারনে গ্রামে হারিকেনের আলোয় পড়াশোনা করতে হতো। এখন যদি মাঝে মাঝে লোড শেডিং হয় ডরাই না, ট্রেনিং তো জমা দেই নাই। =p~

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪

অপু তানভীর বলেছেন: আমারও সেই একই কথা । অস্ত্র জমাা দিছি কিন্তু ট্রেনিং জমা দেই নাই । কিন্তু এই সময়কার ছেলে মেয়েদের জন্য বিপদ হয়ে যাবে । মানে যারা বুঝতে শিখেই দেখছে যে বিদ্যুৎ থাকে তারা কিভাবে মানিয়ে নিবে সেটা দেখার ব্যাপার !

৯| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:২৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: আহ সেই ইন্টারনেটবীহিন দিনগুলো। সন্ধ্যা মানেই পড়তে বসা। লোডশেডিং হলেই পারাজুরে একটা হুল্লোরের আওয়াজ উঠত।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৭

অপু তানভীর বলেছেন: এই ব্যাপারটা যেন এখনও কানে বাজে । বিদ্যুৎ গেলেই আশে পাশের সব বাসা থেকে আমরা চিৎকার করে উঠতাম !
কী দিন ছিল সেই সব !

১০| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:২০

কামাল৮০ বলেছেন: আমাদের স্কুল জীবন কেটেছে গ্রামে।তখন গ্রাম দুরের কথা,গঞ্জে বাজারেও ইলেক্ট্রিসিটি ছিল না।সন্ধা হলেই আমরা হেরিকেনের কাঁচ মুছবে লেগে যেতাম।সে সব দিন কোথায় গেলো।সে সব দিনের ছবি এক দিন হয়তো নাসা তুলে আনবে!

১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: তাহকে সে অনেক আগের কথা । আমি অবশ্য সব স্থানেই বিদ্যুৎ দেখিছি জন্ম থেকেই ! তবে সন্ধ্যা বেলা হলেই হ্যারিক্যান জ্বালানোটা দেখে আসছি । তবে এখন আর সেসব দেখা যায় না !

১১| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৯৮০ সালে আমরা টাঙ্গাইলে ছিলাম। সন্ধ্যার একটু আগে বাসায় একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল হারিকেন পরিষ্কার করে তৈরি রাখা। কারণ সন্ধ্যার পরে নিশ্চিতভাবে বিদ্যুৎ চলে যাবে ২ ঘণ্টার জন্য অন্তত।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:০৩

অপু তানভীর বলেছেন: একদম সত্যি কথা বলেছেন । সন্ধ্যা বেলার অন্যতম গুরুট্বপূর্ন কাজ ছিল হ্যারিক্যানের কা^চ পরিস্কার করা !
সন্ধ্যার পরে বিদ্যুৎ তো যাবেই যাবে ।

১২| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ও আল্লা কী দিন এর কথা মনে আসলো !!!
দেখি আমি ও কয় লাইন লিখি।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:০৭

অপু তানভীর বলেছেন: দেরি করবেন না । দ্রুত লিখে ফেলুন !

১৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো, রূপপুর পরমাণু কেন্দ্র চালু হলে যখন এর নিয়ন্ত্রন একসময় বাঙালীর হাতে যাবে তার পরেই একটা দূর্ঘটনা ঘটবে (আল্লাহ না করুন)। কারণ বাঙালীরা এ ধরনের সিরিয়াস বিষয় ততটা সিরিয়াসলি নিবে না। প্রফেশনালিজমের যথেষ্ট অভাব রয়েছে আমাদের, আর এটা একটা সামাজিক সমস্যা।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: কোন ভাবেই যেন বাঙালীদের হাতে এটার রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব না দেওয়া হয় । বাঙালির ভেতরে আসলে এই সিরিয়াসনেস নেই । তারা গাফিলতি করবেই । ফল স্বরূপ ভয়ংকর অবস্থা হবে !

১৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১৫

শায়মা বলেছেন: লোড শেডিং মানেই ছিলো পড়ালেখা বন্ধ, লুকোচুরি খেলা বা বসে বসে গল্প সবাই মিলে।
আমি মাঝে মাঝে হারমোনিয়াম নিয়ে গলা ছেড়ে চোখ বুজে আন্ধারে ভ্যা ভ্যা করতাম। এবার এমন বেশ কয়েকটা ভ্যা ভ্যা করে থামার পর। পাশের বাড়ি থেকে এক ডেপো ছেলে বলে উঠলো উফ বাঁচলাম। তখন আমি থ্রী ফোরে পড়ি। বাসাগুলো লাগোয়া ছিলো। পাঁচিল টাচিলের ধার ধারতোনা তেমন কেউ। শুধুই গ্রীল টাইপ ফেন্স ছিলো কাজেই এক বাড়ি থেকে আরেকবাড়ি ভ্যা ভ্যা শুনতে শুনতে ওদের কান ঝালাপালা।
সেই কথা শুনে আমাদের বাসার সবার সে কি হাসি আর আমার এমন রাগ! তারপর মনে মনে ফন্দি আঁটলাম কেমনে এই ডেপো শয়তানের ডেপোমীর বদলা নেবো। :)

১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২০

অপু তানভীর বলেছেন: কেমন করে সেই শয়তানের ডেপোমীর বদলা নিয়েছিলে বল তো ?

আমার বাসায় এই ব্যাপারটা হয় ! এক শিল্পী আছে আশে পাশেই । লোডশেডিং হোক বা না হোক এই অত্যাচার আমাকেও সহ্য করতে হয় প্রায়ই । ভাবছি আমিও তেমন করে চিৎকার করে কিছু বলবো কিনা যখন সে গান থামাবে ! ;)

১৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫০

জ্যাকেল বলেছেন: B:-) B:-) আপনার সহ বেশ কিছু মানুষের জন্য নস্টালজিক মনে হতে পারে আমার জন্য ভয়াবহ সময় ছিল, আছে।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২১

অপু তানভীর বলেছেন: আসলে তখন সেটাই তো স্বাভাবিক ছিল । আমরা জন্ম থেকে এমনটাই দেখে আসছিলাম । তাই মেনে নেওয়া ছাড়া কি আর কিছু ছিল !

১৬| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:৩৪

জোবাইর বলেছেন: যুগের পর যুগ ধরে লোডশেডিংয়ের চরম যন্ত্রনার দিনগুলো নিয়ে স্মৃতিকাতর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। সবচেয়ে ভালো লেগেছে, আপনি লোডশেডিংয়ের চরম যন্ত্রনার দিনগুলোর কথা যেমন বলেছেন, আবার গত ছয়-সাত বছরে বিদ্যুতের সেবা পেয়ে যে সন্তুষ্ট হয়েছেন সেটাও উল্লেখ করেছেন।

আমরা জাতিগতভাবে কত অকৃতজ্ঞ তা আপনার পোস্টের কিছু মন্তব্য দেখলে বুঝা যায়! সরকার সবেমাত্র লোডশেডিংয়ের কথা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যেই অনেকে ছয়-সাত বছরের লোডশেডিংবিহীন সুখের দিনগুলোর কথা ভুলে গেছে!
অনেকে এখানে অপ্রাসাঙ্গিকভাবে বিতর্কিত কুইক রেন্টালকেও টেনে এনেছে। কুইক রেন্টালের জন্য তো লোডশেডিং হচ্ছে না। লোডশেডিং হচ্ছে কুইক রেন্টাল এবং সরকারি যেসব ক্ষেত্রে গ্যাস ও তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় সেই গ্যাস ও তেলের দাম আন্তর্জাতিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায়।

এরা সবাই একদিকে বাংলাদেশ শ্রীলংকা হয়ে যাবে ভয় দেখায়। আবার সরকার দেশ যাতে শ্রীলংকা না হয় সে ব্যবস্থা নিলেও সমালোচনা করে। মহাবিপদ :(

১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: সত্যি বলতে বিদ্যুতের এই উন্নয়ন আমি কোন দিন স্বপ্নেও ভাবি নি । আমি যা ভোগ করবো সেটা স্বীকার করে নিতে আমার কোন আপত্তি নেই । বরং এটা অস্বীকার করাটা অন্যায় হবে ।

কুইক রেন্টালের কথাটা যে কারণে আসছে সেটা হচ্ছে এই খাতে টাকা চলে গিয়েছে প্রচুর পরিমানে । কিন্তু কাজের কাজ হয় নি । কুইকরেন্টারের দুর্নীতি অনিময়ম নিশ্চিত ভাবেই আপনার অজানা নয় !

১৭| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লোডশেডিং নিয়ে আমার স্মৃতির কোন সীমা পরিসীমা নাই। লক্ষ কোটি স্মৃতি। দেখি, কোন একদিন লেখা যায় কিনা। :)

১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২৭

অপু তানভীর বলেছেন: আরে তবে আর দেরী কেন । সেই লক্ষ কোটি স্মৃতির ভেতরে একটা লিখে ফেলুন তো জলদি জলদি!

১৮| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: ছোটবেলায় লোডশেডিং আমার কাছেও একটা আনন্দের ব্যাপার ছিলো। এখন জ্বালানি সাশ্রয় করতে কিছুদিন নিয়মিত লোডশেডিং হবে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে প্রতিদিন ২/৩ ঘন্টা লোডশেডিং মেনে নিতে রাজি আছি, তবে ডিজেল পুড়িয়ে জেনারেটর চালালে তো আবার ডিজেলের সংকট শুরু হবে।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১২

অপু তানভীর বলেছেন: দেখা যাক এই ২/৩ ঘন্টা লোডশেডিং সহ্য করে আদৌও কোন লাভ হয় কিনা !

১৯| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ১২ বছরে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ১১ বার : গত ১২ বছরে বিদ্যুতের দাম ১১বার বেড়েছে। এতে পাইকারি বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ১১৮ শতাংশ। আর খুচরা পর্যায়ে বেড়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ। বাকি ঘাটতি মেটাতে প্রতিবছর ১১ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে।

অথচ, তারপরো লোডশেডিং!!!!!!!!!!!!! X((



২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০১

অপু তানভীর বলেছেন: বিদ্যুতের দাম বাড়েছে অনেক অনেক বেশি । যদিও আমরা সুবিধা যে পাই নি সেটাও বলা যাবে না । বর্তমান এই সমস্যা যদি সাময়িক হয় তাহলে ঠিক আছে । কদিন মেনে নেওয়া যাবে কিন্তু এটা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে ব্যাপার আগের থেকেও খারাপ হবে । আগে কম টাকা দিয়ে লোডশেডিং পেতাম এখন ডাবল টাকা দিয়েও লোডশেডিং পাচ্ছি !

২০| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি তো সুন্দর করে লিখেছেন। ছোটবেলা থেকে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় জীবন পার করে বর্তমান সময়ের ফ্রি পাওয়ার কাট যেকোনো মেট্রোপলিটন সিটির পক্ষে এটা খুবই আশার। কারণ সার্বিকভাবে দেশের অন্যান্য স্থানেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বা বিদ্যুৎ সরবরাহের এই নজীর আছে কিনা সেটা দেখার....।
কিন্তু আমার কাছে লোডশেডিং মানে একটা ডিসকাস্টিং ব্যাপার। জোরে প্রচুর ঝামেলায় পড়তে হয়েছে পরীক্ষার চূড়ান্ত সময়েও লোডশেডিং এর জন্য মোমবাতি নিয়ে সময় কাটিয়েছি, সঙ্গে প্রচন্ড গরম। এখনো যেখানে থাকি প্রতিদিন সকালে অন্তত চল্লিশ থেকে এক ঘন্টা করে লোডশেডিং হয়। পাম্পে জল না তোলা থাকলে দুশ্চিন্ত ার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

যাই হোক আমরা এখনও বিরক্তিকর অধ্যায়ে আছি। আপনি বিরক্ত মুক্ত পরিবেশে আছেন। অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।

২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: আসলে ছোট বেলা থেকেই তো এসবের ভেতরেই ছিলাম । মানে হচ্ছে ছোট থেকে এই ব্যাপারটা দেখে আসছি । সেই কারণে এটা আসলে সয়ে গেছে । স্বাভাবিক একটা ঘটনা আর । কিন্তু এখন যদি আবার শুরু হয় তাহলে ব্যাপারটা খুবই খারাপ হবে । কারণ এখন সারা সময়ে বিদ্যুৎ পেয়ে এসেছি । এতে অভ্যাস হয়ে গেছে ।

ব্যাপারটা স্বাভবিক হলে ঠিক আছে । কিন্তু যদি স্থায়ী হয়ে যায় তাহলে ব্যাপারটা খারাপ হবে । বেশ খারাপ হবে । আবার নতুন অভ্যস্ত হতে অনেক সময় লাগবে !

২১| ২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমাদের দেশে সব কিছুর অপচয় হয়েছে - হচ্ছে - তারমধ্য বিদুুৎ গ্যাস ও পানীয় পানি অন্যতম। ভবিষ্যত বাংলাদেশ ভয়ংকর সময় অপক্ষো করছে।


২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৯

অপু তানভীর বলেছেন: প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদটা শেষ যখন হয়ে যাবে তখন অবস্থা যে কোন দিকে যাবে ঠিক বুঝতে পারছি না !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.