নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিটা মানুষের জীবনে বিষণ্ণতা আসে । একটা সময়ে সে বুঝতে পারে যে কোন কিছু করতেই তার ভাল লাগছে না । সব কিছুই তার কাছে অর্থহীন মনে হয় । মাঝে মাঝে এমন অনুভব হওয়াটা দোষের কিছু নয় ! আমরা যখন জীবন যাপন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাই কিংবা আমাদের সাথে প্রতিদিন একই ঘটনা ঘটে জীবনে বৈচিত্রতা নষ্ট হয়ে যায় অথবা জীবনে কোন স্ট্রাগল থাকে না কোন দুঃখবোধ থাকে না তখন মানুষ বিষণ্ণ হয়ে পড়ে । মাঝে মাঝে এমন হতে পারে কিন্তু আপনার জীবনে এই অনুভূতিটা যদি দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হয় তাহলে এটা একটা চিন্তার কথা । বিশেষজ্ঞ মানুষের পরামর্শ নেওয়া জরূরী তখন ।
যাই হোক নিজের কথা বলি । বেশ অনেক দিন থেকেই আমি একটা ব্যাপার খেয়াল করা শুরু করলাম যে শুক্রবারটা এলেই আমার আমার মন মানসিকতা কেমন যে বিষণ্ণ হয়ে আসছে । এই দিনে আমার কোন কাজ কর্ম করতে ভাল লাগছে না । দিনের শুরুটা হয় কেমন একটা অচেনা অনুভূতি দিয়ে । সেই সাথে দিন এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আমার মন খারাপের পরিমানটা সমানুপাতিক হাড়ে বাড়তে থাকে । তারপর মোটামুটি যখন সন্ধ্যা পার হয়ে রাত হতে থাকে তখন আমার এই অনুভূতি হয় যে আমার আসলে কেউ নেই কিছু নেই । আমি বড় একা আমার দুঃখের শেষ নেই । রাতে ঘুমানোর পর আবার যখন শনিবারে উঠলাম তখন সেই সব গায়েব । তখন আর মনে হয় না আমি বড় দুঃখী । পুরো সপ্তাহ সেই অনুভূতি আর ফিরে আসে না । সপ্তাহ ঘুরে আবার যখন শুক্রবার আসে আবার সেই একই অনুভূতি । সকাল থেকে শুরু কর হয় সেই অনুভূতি । রাতে গিয়ে সেটা তীব্র আকার ধারণ করে ।
ব্যাপারটা আমার একটু চিন্তিত করলো । কেন কেবল শুক্রবারেই এমনটা আমার মনে হচ্ছে । তবে সেই সাথে আরেকটা ব্যাপারও খেয়াল করলাম । আমি সাধারণত দুই মাসে একবার ট্যুর দেই পাহাড়ের দিকে । ট্যুরটা শুরু হয় বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয়ে রবিবার সকাল পর্যন্ত । ট্যুরের এই শুক্রবারটায় কিন্তু আবার এই অনুভূতিটা আসে না । তখন বরং দিন কাটে আরও চমৎকার । তাহলে কেন সাধারণ শুক্রবার গুলো আমাকে বিষণ্ণ করে তোলে ।
তারপরই ব্যাপারটা নিজে নিজে ধরতে পারলাম । সপ্তাহের অন্যান্য দিন এবং শুক্রবারের ভেতরে আমি একটা তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরলাম । কোন কোন কাজ আমি অন্য দিন করি আর কোন কাজ আমি শুক্রবারে করি ! তখন আবিস্কার করলাম আমার বিষণ্ণতার আসল কারণ । শুক্রবারের বিষণ্ণতার আসল কারণ হচ্ছে এইদিনে আসলে আমার কোন কাজ থাকে না । অন্যান্য দিনে আমি সকাল বেলা থেকে শুরু করে একেবারে ঠিক করি কখন কোন কাজ করতে হবে । মাথার ভেতরে এই চিন্তা থাকে যে এখানে যেতে ওটা তৈরি করতে হবে কিন্তু শুক্রবারে এমন কোন অনুভূতিই মাথার ভেতরে কাজ করে না । তখন বলা চলে মাথা থাকে একেবারে চিন্তা শূন্য । আর এই কারণে সেখানে অন্য সব অকাজের চিন্তা এসে জড় হয় !
মোদ্দা কথা শুক্রবারটা আমার কাটে কোন প্রকার প্লান প্রোগ্রাম ছাড়াই কোন কাজ না করেই । এমনও না যে আমি অন্যান্য দিনে অনেক কাজ কর্ম করে উল্টে ফেলি । তবে অন্যান্য দিনে একটা ওয়ার্ক প্লান থাকে । শুক্রবারে সেটা থাকে না একদমই । তারপর আরেক ব্যাপর যে শুক্রবার সন্ধ্যার সময় এই বিষণ্ণ ভাবটা সব থেকে তীব্র হয় ! এই কারণটাও আবিস্কার করলাম নিজে নিজেই । অন্যান্য দিনে আমি ঠিক বিকেল বেলা একটা নাস্তা করি । নাস্তায় বেশির ভাগ দিনে থাকে ছোলাবুট, আলুচপ পিয়াজু । কোন কোন দিন ফ্রাইড চিকেন আ ফ্রেঞ্চ ফ্রাই । একেবারে পেট ভরে খাওয়া হয় । কিন্তু শুক্রবারে বাসা থেকে বের হওয়া হয় না তাই এই নাস্তাটা আামর মিস হয়ে যায় । ঘরের কপি কিংবা বিস্কুট খেয়ে ঠিক পোষায় না । সন্ধ্যার দিকে এই ক্ষুধা বাড়তে থাকে । সাথে বাড়তে থাকে বিষণ্ণতা ! আপনারা একটা ব্যাপার সব সময় খেয়াল করে দেখবেন যে মন খারাপ কিংবা বিষণ্ণতা রাগ সব সময় ক্ষুধায় সাথে সাথে বাড়ে । এই কারণে আমরা যখন রাগ করি তখন সাধারণত কিছুই খাই না । দেখবেন যখনই আপনি পেট ভরে কিছু খাবেন তখনই আপনার রাগ কিংবা মন খারাপের ভাবটা কমে যাবে । ভরা পেটে কোন ভাবেই রাগ ধরে রাখা যায় না । একই ভাবে মন খারাপের ভাবটাও ধরে রাখা যায় না ।
সন্ধ্যার এই মন খারাপের পরিমান বৃদ্ধির পরিমান টার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে । বিকেল হলেই প্রতি শুক্রবার নিচে যাই এখন । একই ভাবে পেট ভর্তি করে খাওয়া দাওয়া করে আসি । তবে শুক্রবারটা সেই কোন প্লান রাখিই না । হয় একটু মন খারাপ । তখন কোন কিছু ঠিক ভাল লাগে না । তখন মাথায় অনেক চিন্তা আসে । মন খারাপের চিন্তা । তবে এই মন খারাপ কেবল শুক্রবারের জন্য । সপ্তাহ একদিন একটু মন খারাপের বিলাশিতা করাই যায় আসলে ....
আমার বিবাহিত বন্ধুরা অবশ্য আমাকে বিয়ে করার পরামর্শ দেয় । তাদের জীবন অভিজ্ঞতা থেকে তারা বলে যে এই শুক্রবারেই তাদের কাজ কর্ম থাকে সব থেকে সব থেকে বেশি। সপ্তাহের বাজার করতে হয় । বউকে সময় দিতে হয় । তাকে বাইরে বের হতে হয় । মার্কেটে যেতে হয় । দাওয়াত খেতে যেতে হয় ! নিজের জন্য সময় পাওয়া যায় কই ! আমি বলি বাবা দরকার নেই । আামর শুক্রবার বরং বিষণ্ণই কাটুক !
এই শুক্রবারে এখন সারাদিন মুভি দেখে কাটে । তারপর সন্ধ্যার দিকে বই নিয়ে বসি । বই পড়ার ফাঁকে সেই মন খারাপের চিন্তা একটু একটু উকি দেয় । তবে রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ার পরে সেই সব চলে যায় দুরে । সকালে আবারও সব কিছু আগের মত । এক কফি সাথে বিস্কুট আপেল কলা দিয়ে সকালের নাস্তা ।
জীবন চলছে আসলে বেশ । এভাবে চললেই আর কিছু চাওয়ার নেই ....
pic source
২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০০
অপু তানভীর বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় বেশির ভাগ মানুষের বিষণ্ণতা আসে মনকে অলস রাখলে ! মন যদি সব সময় কর্মক্ষম থাকে তাহলে বিষণ্ণতার কাবু করতে পারবে না সহজে ।
তবে হ্যা জীবনে বড় কোন দুর্ঘটনা বা বিশেষ কিছু না পাওয়া থেকে যে বিষণ্ণতা আসে সে গুলো আলাদা ব্যাপার ! আবার সব জীবনে একদমই কিছু না পেলে আবার সব কিছু পেয়ে গেলেও বিষণ্ণতা ভর করতে পারে !
২| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বউ থাকলে বিস্কুট, আপেল আর কলা খেতে হতো না সকালের নাস্তায়।
তবে ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে বউ থাকলে কোন কোন বেলা উপোষও করতে হতে পারে।
দিল্লির লাড্ডু খাবেন কি না এটা আপনাকে ঠিক করতে হবে।
আমি কিন্তু উপরে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করি নাই। এগুলি মনিষীদের কথা।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: সকালে আসলে আগে আমি খেতাম পরোটা আলুভাজি আর ডিম । কোন কোন দিন খিচুড়ি । তখন বাসা ছিল চার তলাতে । কিন্তু এখন বাসা সাত তলায় । এই এতো উপর থেকে নিচে নেমে নাস্তা খাওয়ার মত এনার্জি আমার নেই । তাই আগের দিনই ফল বিস্তুক নয়তো পাউরুটি এনে রাখা হয় । সাথে কফি বানিয়ে নিই । এতে খুব চমৎকার ভাবে সকালের নাস্তা হয়ে যায় । তবে মাঝে মাঝে অবশ্য নিচে নামি । বিশেষ করে যে সকালে বৃষ্টি হয় তখন খিচুড়ি খেতে ইচ্ছে করলে !
আর অন্য দিকে আমি শুয়ে থাকবো বউ আমার জন্য নাস্তা বানাবে এই মতবাদে আমি ঠিক বিশ্বাসী না। আমি যে কাজ বউয়ের জন্য করতে প্রস্তুত কেবল সেই সেই কাজই তার কাছ থেকে আমি আশা করবো । নয়তো না । আর সকাল বেলা তার জন্য নাস্তা বানানোর মনভাব আমার মোটেই নেই । তাই তাকেও এই কাজতে বলতে পারি না আমি !
দিল্লীর লাড্ডু আপাতত খাওয়ার ইচ্ছে আমার নেই । এখনও পর্যন্ত নেই । তবে কতদিন পর্যন্ত সেটা টিকে থাকবে সেটা বলতে পারছি না !
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার অবস্থা তোমার ঠিক উলোটো! শুক্রবার আমার সব চাইতে ব্যস্ততায় কাটে।
আর সন্ধ্যে হলেই মনখারাপ গুলো জড় হয়। রাত যত বাড়ে, মন খারাপ তত গভীর হয়.....
সেই ছোটবেলার অভ্যাস, সূর্য্য ডোবার আগেই ফিরতে হত বাড়ি! এখন কোনটা যে বাড়ি সেটা বুঝে ওঠার আগেই রাত্রি নামে। মনখারাপ গুলো নিয়েই কিছু সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়ি। এমনভাবেই দিন, মাস, বছর কেটে যায়। মিউজিক্যাল চেয়ার রেসে আমি একটা একটা করে চেয়ার হারিয়ে ফেলছি....আমার জন্য একটি চেয়ারও থাকবেনা, আমিও একদিন থাকবনা। শুধু মনখারাপ গুলো থেকে যাবে জনে জনে....
২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫
অপু তানভীর বলেছেন: আমার ভেতরে একটা বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার হচ্ছে আমার ঘুমে কখনও সমস্যা হয় না । বিছানায় শোয়ার কিছু সময় পড়েই আমার ঘুম চলে আসে । এক ঘুমে রাত পার হয়ে যায় !
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে যখন মন খারাপ হয় আমি সেটা চিন্তা করি যে সেই মন খারাপটা আমি কোন ভাবে দুর করতে পারি কি না ! অর্থ্যাৎ যে কারণে আমার মন খারাপ সেটা আমার দ্বারা দুর করা সম্ভব কিনা ! যদি হয়, তাহলে সেটা সমাধানের চেষ্টা করি । ধরুন কোন বন্ধুর সাথে ঝগড়ার কারণে তার সাথে কথা বলা বন্ধ। কিন্তু এই দুরত্বের কারণে আমার মন খারাপ । তখন নিজ উদ্যোগেই তার সাথে আবার সম্পর্ক ঠিক করি । কিন্তু যদি মন খারাপের ব্যাপারটা আমার হাতে না থাকে তাহলে আমি সেই সময়ে খাওয়া দাওয়া করি । আমার বিছানার পাশেই তিনটা বোয়ামে সব সময় কিচমিচ চকলেট আর বাদাম থাকে । এগুলো একেবারে থাকে হাতের কাছে । এছাড়া ফল বিস্কুট থাকে সব সময় । খাওয়া দাওয়া করলে মন খারাপের ভাবটা কমে যায় অনেক !
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৪
মিরোরডডল বলেছেন:
দিনের শুরুটা হয় কেমন একটা অচেনা অনুভূতি দিয়ে
প্রতি শুক্রবার যেহেতু এই অনুভূতি দিয়ে দিন শুরু হয়, এখনও কি অনুভূতিটা অচেনাই আছে ?
চেনা হয়ে যাবার কথা বাই দিজ টাইম ।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫৮
অপু তানভীর বলেছেন: অচেনা বলতে আমি বলতে চেয়েছি যে গত ছয়দিনে যেই পরিচিত অনুভূতিটা থাকে ছুটির দিনে সেটা একেবারে অন্য রকম হয়। সেটাকে আমি চিনতে পারি না সেদিন । শব্দটা অচেনা না হয় অন্যরকম হলে বেশি ভাল হত মনে হয় !
হ্যা এই অন্য রকম অনুভূতিটা এখন তো চেনাই । মন খারাপের বিষণ্ণ অনুভূতি !
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০০
মিরোরডডল বলেছেন:
তারপর মোটামুটি যখন সন্ধ্যা পার হয়ে রাত হতে থাকে তখন আমার এই অনুভূতি হয় যে আমার আসলে কেউ নেই কিছু নেই । আমি বড় একা আমার দুঃখের শেষ নেই । রাতে ঘুমানোর পর আবার যখন শনিবারে উঠলাম তখন সেই সব গায়েব । তখন আর মনে হয় না আমি বড় দুঃখী
এসবই হচ্ছে একাকীত্ব থেকে ।
ছুটির দিনে অবসরে একা কাটে, তাই এমন হয় ।
যেহেতু ছয়দিন কাজের মাঝে সবার মাঝে আনন্দে কাটে, তাই এই একদিনের একাকীত্বটাকে এঞ্জয় করার ট্রাই করবে ।
এই সময়গুলো তানভী যা ভাবে, যা করে এটাই রিয়েল তানভী ।
নিজেকে জানার জন্য, বোঝার জন্য একটা দিন একান্ত নিজের মতো করে কাটানো ভীষণ জরুরী ।
So take it positively and enjoy your own company man.
২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০১
অপু তানভীর বলেছেন: আমি সব সময়ই নিজের একাকীত্বকে উপভোগ করার চেষ্টাই করি । আমার কাছে আমার থেকে ভাল বন্ধু আর কেউ নেই । এবং এটা হয়ে এসেছে আজীবনই । সব সময়ই আমার মনে হয়েছে যে আমার আসলে আর কারো দরকার নেই । আমি যখন একা থাকি তখনই বেশি ভাল থাকি । এবং সত্যি বলতে কী আমি ঠিক এই কারণেই কিন্তু ঢাকাতে থাকি । একদম একা আর নিজের মত থাকার কারণে । যে কাজ আমি করি তা বেশির ভাগই অনলাইণ ভিত্তিক । গ্রামের বাসাতে গিয়েও সেই কাজ করা যায় খুব ভাল ভাবেই । তবে সেখানে গেলে নিজের মত করে এই সময় গুলো কোন ভাবেই পাওয়া যাবে না । এই ভয়তেই বাসায় যেতে চাই না !
তবে কাজের ভেতরে না থাকলে, কোন প্লান না থাকলে সব চিন্তা ভাবনা অন্য দিকে চলে যায় । এটা নিয়ন্ত্রন করা জরূরী !
৬| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: "ব্যস্ততা আমাকে দেয়না অবসর
তাই বলে ভেবনা আমায় স্বার্থপর " - বিষন্নতা যদিও আসলেই খারাপ তারপরেও তা আমার মনে হয় আমাদের সকলের কাছেই এসে ধরা দেয় অলস সময়ে।
এই যেমন ভাইজান ,বিষন্নতা আপনার কাছে আসে খালি বিষ্যুদবার বিকালে বা শুক্রবারে অথচ সেই বিষন্নতাই বিবাহিতদের কাছে শুক্রবারে আসার কোন সুযোগ ঐ পায়না স্ত্রী নামক পাহাড়াদার ও সংসার নামক কারাগারের কামের চাপে । কারন, এই দিন যে কত কাম করতে হয় তা শাদী কি বাদই বুঝবেন ভাইজান।
আর তাই এ বিষন্নতা নামক পেত্নী থেকে মুক্তির জন্য আপনাকে জরুরীভাবে পত্নী নামক ব্যবস্থা জরুরী ভিত্তিতে গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যাইতেছে।
তখন , পত্নীর পাহারায় আপনি বিষন্নতা নামক পেত্নীকে নিয়ে ভাবার ফুরসতই পাবেন না ।
এ বিষয়ে সাফল্যের শতভাগ গ্যারান্টি।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: আপনাকে তো আমার শুভাকাঙ্খি বলে জানতাম, আপনে আমাকে এ কি পরামর্শ দিচ্ছেন । শুনেন আপনে যে ফাঁদে পড়েছেন আমাকে মোটেই সেই ফাঁদে ফেলবেন না ! কেবল এক দিনের বিষণ্ণতা দুর করতে বাকি ছয়দিন যে আমি মহা বিপদে থাকবো মহা অশান্তিতে থাকবো সেই হিসাব আছে ?
না না না ।
মোটেই ঐ দিকে যাবো না ।
আমাকে কেউ সেই দিকে নিয়ে যাইতে পারবে না !
কেবল প্রেমিকা ট্রায়াল দিয়ে দেখেছি ! জীবন সেই সময়ে কী যে ভাজা ভাজা হয়েছে । যখন পার্মানেন্ট ভাবে আসবে তখন না জানি কি হবে ! মাফ চাই আমি !
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১৭
মিরোরডডল বলেছেন:
অন্যান্য দিনে আমি ঠিক বিকেল বেলা একটা নাস্তা করি ।
..........................................................................
...................................................................................
একই ভাবে মন খারাপের ভাবটাও ধরে রাখা যায় না ।
শুধু ক্ষুধার কারনে খাওয়া না, Good food is a real entertainment.
অন্যদিন বাইরের কেনা খাবার খায় তানভী ।
Why not you treat yourself some nice home cooking food.
বাসার রান্না খেতেও মজা এবং হেলথদি ।
এতে করে রান্না করে কিছু সময়ও কাটবে এবং ভালো কিছু খাওয়াও হবে ।
Don’t say you don’t cook.
মানুষ মাত্রই রান্না জানা একটা বিশাল গুন ।
আর আজকাল কতো ইজি হয়ে গেছে সব ।
পছন্দের গান শুনতে শুনতে ইউটিউব দেখে কুইক রেসিপি রান্না করবে,
Every Friday can be challenging.
Try to cook some new food that you like.
মনে করে বৃহস্পতিবার রাতেই সুপারমার্কেট হয়ে আসবে ।
নিজের হাতের রান্না খাবে, আর সাথে থাকবে প্রিয় কোন মুভি ।
কোথায় যাবে বিষণ্ণতা, সময়ই পাবে না নিজেকে সময় দেবার ।
বলবে, শুক্রবারটা যে কেনো এতো তাড়াতাড়ি চলে যায় !!!
যদি আরেকটু সময় পেতাম
২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৮
অপু তানভীর বলেছেন: আমি সব কিছু রান্না করতে পারি । আবার ভাববেন না যে ডিম ভাজি আলু ভর্তা রান্নার কথা বলছি । করোনার দুই বছর ফুল টাইম বাসায় সব কিছু আমি রান্না করে খেয়েছি ! তার ভেতরে মাংস থেকে শুরু করে ডাল ভুনা মাছ রান্না সব কিছু ছিল । এছাড়াও আগে আমি রান্না করেই খেতাম । বুয়ার রান্না আমি ঢাকাতে খুব কমই খেয়েছি । তবে এখন কেন জানি আর এই প্যারা ভাল লাগে না । এখন বেশ কিছু দিনই আমি নিয়মিত বাইরেই খাওয়া দাওয়া করি ।
তবে এটা সত্য যে নিজের হাতের রান্নার কোন তুলনা নেই ।
৮| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩৬
সাসুম বলেছেন: ওয়াহিদা মাসানা সুলাসা রুবায়া বাসায় নিয়ে আয়। শুক্রবার আর বিষণ্ণ লাগবেনা। সুন্নত পালন হবে আবার বউরা আদরে আদরে ভরিয়ে রাখবে।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৯
অপু তানভীর বলেছেন: আমার সুখের জীবন তোর সহ্য হইতেছে না, না ?
তুই নিয়া আয় ! তুই সুখে থাক !
আমার এই আদর দরকার নেই !
৯| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪২
মিরোরডডল বলেছেন:
ওয়াহিদা মাসানা সুলাসা রুবায়া
তানভীর চার বউরের নাম কিন্তু জেনে গেলাম
সাসুম কিন্তু তানভীর বন্ধু না, চিরশত্রু, যেই পরামর্শটা দিলো
২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১১
অপু তানভীর বলেছেন: আমিও বেটাকে আমার বন্ধুই ভাবতাম । বেটা নিজে বিয়ে করে আটকে গেছে এখন সবাইকে এই করাতে উড়ে পড়ে গেলেছে ।
আমি একটাই করতে চাইছি না আবার চারটা ! বিয়ার দিকে আপাতত যাওয়ার কোন ইচ্ছে নেই । তবে ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে বাসায় কোন ভাবেই সামলানো যাচ্ছে না । এই বছরের শেষ পর্যন্ত তারা সময় দিয়েছে । আমি ভাবছি এই বছরের ভেতরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবো !
১০| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: বয়স বাড়ার সাথে সাথে সমাজবদ্ধ হয়ে থাকতে হলে নিজের, পরিবারের ও সমাজের প্রতি কিছু দায়বদ্ধতা সারতে হবে।
আরেকটু বয়স বাড়লে মৃত্যু ভয় গ্রাস করবে- তখন সঙ্গী চাইলেও জোটানো মুশকিল হবে।
বয়সের সাথে সাথে এই চাহিদাগুলো পুরন করা উচিৎ। সন্তান হলে দায়বদ্ধতা বাড়ে-সপ্নগুলো নতুন মোড় নেয়। বন্ধু বান্ধব একটা সময় দূরে সরে যাবার পরে সঙ্গী ও সন্তানের সং প্রয়োজন। সাইড ইফেক্ট কিছু আছে- শীল্প ও সাহিত্য সৃষ্টিতে বড় ধাক্কা আসবে তখন- অর্থটা একটা মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়াবে তখন।
তবুও সময় থাকতে বোঝেন মনা। এক সময়ে এসব বিষয় ইগনোর করে আমার কিছু বন্ধুরা বড় বিপদে আছে।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: আমার পরিবার বিশেষ করে আমার মা আপনার এই কথা গুলো বারবার আমাকে বলে । বাসায় গেলে প্রতিদিন অন্তত একবার করে এই কথা সে বলবেই । জীবনে সত্যিই হয়তো সঙ্গী সাথীর দরকার । আমার এই সাপ্তাহিক বিষণ্ণতা সঙ্গী থাকলে হয়তো আসতো না । এটা আমিও জানি । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তখন অন্য বিষণ্ণতা আসতো । এবং সেটা আমার কাছে অনেক বড় একটা ব্যাপার !
সবাই বিয়ে করছে বলে আমাকে বিয়ে করতে হবে এই ব্যাপারটা আমি কখনই ঠিক মেনে নিতে পারি নি । এখনও পারিনা । সঙ্গীর ব্যাপারে আমার নিজের কিছু ক্রাইটেরিয়া আছে । ক্রাইটেরিয়া মানে কিন্তু এটা না যে তাকে অনেক সুন্দরী কিংবা শিক্ষিত হবে । আমি বেশ কিছু মেয়ের সাথে কথা বলেছি জীবনে । বিশ্বাস করুন , কারো সাথে কথা বলার এক সপ্তাহের ভেতরেই তার সাথে কথা বলার আগ্রহ চলে গিয়েছে আমার । এমন মানুষের সাথে কিভাবে জীবন কাটাবো বলেন ! এই বছরের শুরুতে আমাকে ধরে একেবারে বিয়ে দিবেই । আমি পাত্রীর সাথে ফোনে কেবল এক ঘন্টা কথা বলেছি । তারপর আমি আর বাসার দিকে যায়ই নি ! জানি গেলে আমার খবর আছে । সেই মেয়ের বিয়ে হয়েছে তারপর বাসা মুখো হয়েছি । দেখা যাক সামনে কপালে কী আছে ! সেই ক্রাইটেরিয়ার ৫০% মিল পেলেও আমি তাকে বিয়ে করে ফেলবো নিশ্চিত । কিন্তু পেতে তো হবে !!
১১| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:০৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: বিদেশে পালিয়ে এসে লাভ নাই। বিদেশে বিষন্নতা আরো বেশি। দেশে আছে আত্মীয় পরিজন,দারুন সব বন্ধু বান্ধব যাদের দেখা বিদেশে পাবেন না। বিদেশটা বড় রোবটিক লাইফ। মনটা ইদানিং শুধু দেশ দেশ করে। কিন্ত সন্তানদের কারনে ফেরা সম্ভব হয় না ----
২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৫৪
অপু তানভীর বলেছেন: আমার আসলে কোন কালেই বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছে জাগে নি । তবে এখন মনে হচ্ছে দেশ ছেড়ে না পালিয়ে আর উপায় নেই কোন !
১২| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:২৬
নিমো বলেছেন: একটু আধটু বিষন্নতা খারাপ না। তবে বেশি তীব্র হলে সাংঘাতিক সমস্যা হবে। মানুষ সব সময়ই দলে থাকতে চায়। তা সে বাস্তবেই হোক বা ভার্চুয়াল। আপনি বিয়ে না করলেও, একটা সম্পর্কে থাকা জরুরি। বেশি বিষন্ন হলে চোখে জল আসে এমন চলচ্চিত্র দেখতে পারেন, পড়তে পারেন বিভূতিভূষণ, মানিক বা তারাশঙ্কর। সময় থাকলে Anno 2070 খেলে দেখতে পারেন। অনেক উপদেশ দিলাম, রাগ করবেন না যেন।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৫৮
অপু তানভীর বলেছেন: আমারও তাই মনে হয় যে একটু বিষণ্ণতা আসলে খারাপ না । আমারটা তীব্র না কোন ভাবেই । যেমন সপ্তাহে বাকি ছয়দিন আমার হুসই থাকে না । এই যেমন এখন মন্তব্যের জবাব দিচ্ছি আর মাথার ভেতরে কাজ করছে এখনও কত কাজ বাকি । কালকে আমাকে আলাদা ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে তার মানে সেই সময় টুকুর কাজ আমাকে এখন শেষ করে তারপর ঘুমাতে হবে । অথচ এখন সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে । কখন করবো সেটা খুজে পাচ্ছি না ! এই অবস্থায় বিষণ্ণ হওয়ার সময় কোথায় !
দিনের ভেতরে অবসরে আমি হয়তো বই পড়ি নয়তো মুভি দেখি । একটা মুভি দেখতে বেশ কয়েকদিন লেগে যাই উইকডেইজে ।
রাগ করি নি মোটেই । এসব নিয়ে রাগ করতে আছে নাকি !
১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৩
শায়মা বলেছেন: ভাইয়ু এই কারণেই বলি ব্যস্ততাই সকল সুখের চাবিকাঁঠি।
ব্যস্ত থাকলে বিষন্নতা কোন দিক দিয়ে পালাবে তারও পথ খুঁজে পায় না। হা হা
২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৫৯
অপু তানভীর বলেছেন: এর থেকে সত্য কথা আসলে আর নেই । কোন কিছু নেই । ব্যস্ত থাকতে হবে । সব সময় ব্যস্ত থাকতে হবে । যে কোন কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে !
১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০০
মোগল সম্রাট বলেছেন: কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন তাইলে খ্রাপ কয় না। "সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন "
২৪ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০২
অপু তানভীর বলেছেন: এটা সত্য কথা । অনেক সত্য কথা !
১৫| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
তখন অনার্সে পড়ি।
এক বান্ধুবী কথা কথায় বললো তার নাকি সব সময় সোম বার খারাপ যায়। আমাকে বললো- তোমার কোন দিন খারাপ যায়?
আমি বললাম - কোনো দিনই খারাপ যায় না।
বান্ধবী বললো - একটু লখ্য করে খুঁজলেই সপ্তাহের খারাপ দিনটা পেয়ে যাবা।
আমি জবাবে বলে ছিলাম - আমার ঠেকা পরেনাই সাইধা সপ্তাহের একটা দিন মাটি করার।
২৪ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০২
অপু তানভীর বলেছেন: হাহাহা ! একেবারে ঠিকই কইছেন আমার ঠেকা পরে নাই !!
১৬| ২৪ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমার মনে হয় আপনাকে একাকিত্ব গ্রাস করেছে।
২৪ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১৭
অপু তানভীর বলেছেন: আমি অনেক আগে থেকেই একা থাকতে পছন্দ করি ।
১৭| ২৪ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:০২
ফয়সাল রকি বলেছেন: বিষন্নতা উপভোগ করুন, ধুমায় গল্প লিখুন।
২৪ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১৮
অপু তানভীর বলেছেন: এখন গল্প লেখার চেয়ে বই পড়তে বেশি ভাল লাগে শুয়ে শুয়ে !
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বিষন্নতা মানুষকে শেষ করে দেয়। সমস্যা থেকে নিজে নিজে বের হতে না পারলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। আপনি বুদ্ধিমান মানুষ নিজেই সমস্যার কারণ বের করে ফেলেছেন।
প্রত্যেক মানুষের মন প্রফুল্ল আর শীতল থাকুক, জীবন কাটুক আনন্দে।