নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চরকি অরিজিনালঃ সিন্ডিকেট

০৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৩



সম্প্রতি যে কয়টি বাংলা ওয়েব সিরিজ নিয়ে আলোচনা, হাইপ উঠেছে তার মধে ''সিন্ডিকেট'' এর নামটা সবার উপরে রয়েছে । গত ঈদের দিন সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে চরকিতে । পত্রিকার সংবাদ অনুয়ায়ী এটি রেকর্ড সংখ্যকবার দেখা হয়েছে চরকিতে । এছাড়া সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক ওয়াচ আর টিকটকে এই সিরিজের কিছু ডায়লগ বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে । এদের ভেতরে এলএন স্বপন, মানি ইজ মানি, এই ভদ্র সমাজে সব প্যাঁচ আর প্যাঁচ ইত্যাদি । আমিও সবার হাইপ দেখে দেখতে শুরু করে দিলাম সিরিজটি । আগে সিরিজের গল্প খানিকটা বলা যাক ।

ব্যাংক অব বেঙ্গল নিয়ে কাহিনী । এই ব্যাংকের তিন জন কর্মকর্তা ।
আদনান - আইটি অফিসার । সে অ্যাসপারগার সিনড্রোমে আক্রান্ত । বাবা মা নেই । ছোট বেলা থেকে মামার কাছে মানুষ । এক ছোট বোন আছে, তাকে নিয়ে ঢাকাতে থাকে সে ।
জিশা - আদনানের প্রেমিকা। তারও কেউ নেই । বেঙ্গলে চাকরি করে ।
স্বর্ণা - আদনানের ছোট বেলার বন্ধু । এছাড়া ব্যাংক অব বেঙ্গলের একজন ডিরেক্টরের ভাগনী ।



সিরিজের শুরুতে দেখা যাক জিশা কোন কিছু নিয়ে খুব চিন্তিত । তাকে যেন কোন কিছু তাড়া করে বেড়াচ্ছে । কোন ভয়ংকর অপরাধের সাথে সে জড়িয়ে যাচ্ছে । আদনানকে ডেকে যে বিয়ে কথা বলে । কিন্তু বিয়ের আগেই ব্যাংকের ছাদ থেকে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করে । সবাই এটাকে আত্মহত্যা মনে করলেও আদনানের মনে হয় এটা কোন ভাবেই আত্মহত্যা না । এটা আসলে একটা খুণ । যেহেতু যে অ্যাসপারগার সিনড্রোমে আক্রান্ত তাই একবার যা মাথার ভেতরে ঢুকে যায় তা সহজে বের করতে পারে না । বাল্যকালের বন্ধু স্বর্ণার সাহায্য নিয়ে যে জিশার খুণীর খোজ করতে থাকে । আদনানের এই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয় যখন তার বাবায় কেউ এসে কিছু একটার খোজ করে, তার বোনকে তুলে নিয়ে তাকে থামতে হুমকি দেয় ।

আদনানের মনে হয় যে ভয়ংকর কোন চক্রের সাথে জিশা জড়িয়ে গিয়েছিলো । এবং তারই ফলে জিশাকে মরতে হয়েছিলো । প্রথমে আদনানের মনে হয় যে সকল যে রহস্যের জট আসলে জড়িয়ে আছে ব্যাংকের ফরাসগঞ্জ ব্রাঞ্চের সাথে । সেখানেই জিশা গিয়েছিলো সেখান থেকেই সকল ঝামেলা শুরু । আদনান যখন সেখানে যায় প্রথমে বাঁধা আছে । তারপর ছদ্মবেশ নিয়ে লুকিয়ে খোজ খবর নিয়ে দেখে ব্যাংকের কিছু কর্কচারিটা অবৈধ কিছু কাজের সাথে জড়িতো । ব্যাংক থেকে এক লোক কোন কাগজ পত্র ছাড়াই টাকা নিয়ে যায় । সারাদিন সেই টাকা বাজারে খাটিয়ে সন্ধ্যা বেলা আবার সেই ব্যাংকে জমা দিয়ে যায় । ফলে ক্যাশিয়ার টাকার হিসাবটা মিলিয়ে ফেলে । কারো চোখে কোন কিছু ধরা পরে না । আবার দেখা যায় ব্যাংকের ফরাশগঞ্জের ম্যানেজার সাহেব মানুষের কালো টাকাকে সাদা করে দিচ্ছে । আদনানরা তখন ম্যানেজারকে তুলে নেওয়া চেষ্টা করে । তাদের ধারণা হয় যে এই লোকই আসল কালপ্রিট ।
শেষ পর্যন্ত আদনান কি খুজে বের করতে পারে যে জিশা কেন মারা গিয়েছিলো? কী ছিল সেই কারণ ? সেটা কি আত্মহত্যা ছিল নাকি হত্যা ? কোন সিন্ডিকেট লুকিয়ে আছে ব্যাংকের আড়ালে ?

অনেকের কাছেই মনে হয় যে আরফান নিশোর অভিনয় আসলে একই রকম । কোন বৈচিত্র নেই । আমার কাছে তা অভিনয় ভালই লাগে । অথবা আমি সব সময় বাংলাদেশী অভিনেতা অভিনেত্রীদের কাছ থেকে একটা নির্দিষ্ট লেভেলের বেশি কিছু আশা করি না । এই কারণে হয়তো তাদের কাজ কর্ম আমাকে সন্তুষ্ট করে । আমি সিরিজ মুভি দেখে আরাম পাই । অন্য দিকে অনেকেই হাইপ দেখেই ভেবে বসে থাকে কি না জানি হবে এক্সপেক্টেশন থাকে আকাশচুম্বি । তাই হতাশও হন বেশি !

বেশি হাইপ তোলা কোন কিছুই খুব একটা ভাল হয় না । আমি বলবো সিন্ডিকেটের বেলাতেও একই ব্যাপার । বেশি এক্সপেক্টেশন নিয়ে সিন্ডিকেট দেখতে বসলে আপনাকে হতাশ হতে হবে । কিন্তু যদি স্বাভাবিক মানসিকতা স্বাভাবিক আশা নিয়ে দেখতে বসেন তাহলে মনে হবে যে ঠিকই আছে । সিরিজটা একটু স্লো মনে হবে । আমার কাছে তাই মনে হয়েছে । অথবা বলা যায় যে পরিচালক একটা পর্ব বেশি বানিয়েছেন স্ক্রিন টাইম বাড়ানোর জন্য । একটা দুইটা চরিত্র একেবারে অপ্রয়োজনীয় ভাবে যুক্ত করা হয়েছে । তার থেকেও বড় কথা শেষ রহস্য, আসল কারণটা যখন জানা গেল পদ্ধতিটা জানা গেল তখন মনে হবে যে অনেক ফাঁক রয়ে গেছে । বিশেষ করে যারা গোয়েন্দা মার্ডার মিস্ট্রি পড়েন তাদের কাছে সেটা মোটেই পছন্দ হবে না । এই টুকু বাদ দিলে মোটামুটি দেখার মত একটা সিরিজ । তবে কিছু কিছু স্থানে এমন কিছু দৃশ্য আছে (যা আমার কাছে একেবারে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে) পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখা যাবে না । একা একা মোবাইলে দেখতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না অবশ্য !

এই হচ্ছে সিন্ডিকেট সিরিজের গল্প । সিরিজটা চরকিতে আছে । দেখে ফেলতে পারেন আজই ।
হ্যাপি ওয়াচিং


এছাড়া ওয়াচলিস্টে আরও যা যা দেখতে পারেন
হইচই অরিজিনালঃ কাইজার
হইচই অরিজিনাল সিরিজঃ রিফিউজি
তিনটি কোরিয়ান ড্রামা
দুটো বাংলা অরিজিনাল ওয়েব সিরিজঃ ''আইজ্যাক লিটন'' ও ''নিখোজ''
চরকি অরিজিনাল ফিল্মঃ রেডরাম
ঈদে দেখা দুটি বাংলা ওয়েব সিরিজ ও একটি বোনাস নাটক
নুহাশ হুমায়ূনের হরর ওয়েব সিরিজ ''ষ''

ছবি সোর্স চরকি ডট কম

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কাহিনির পর থেকে আর পড়লাম না। যদি এটা দেখতে বসি, তখন মজাটা থাকবে না বলে :)

প্রতি শুক্রবারে আরটিভিতে ওয়েব ফিল্ম দেখায় (প্রিমিয়ার)। গোটা দুই দেখেছি, ভালো করেছে।

০৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪৫

অপু তানভীর বলেছেন: বাংলাদেশে এখন বেশ ভাল ভাল কিছু ওয়েব সিরিজ । আশা করি সামনে এই ক্ষেত্রে আরও নতুন আর ভাল ভাল কিছু কাজ হবে । এখানে যদি ঠিক মত স্বাধীনতা দেওয়া হয় পর্যাপ্ত ইনভেস্টমেন্ট হয় আর মানুষজন দেখে নিয়মিত তাহল এটা অনেক সামনে যাবে !

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি অদ্যাবধি চাকরিতে কিছুই দেখিনি। নেটফ্লিক্সেও ইদানিং বিরক্তি লাগছে।

০৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪৬

অপু তানভীর বলেছেন: দেশী সিরিজ যেহেতু আমাদের সবার দেখা উচিৎ । কিছু ভাল ভাল কাজ আছে এখানে ।
নেটফ্লিক্স তো নেটফ্লিক্স । আমার অবশ্য খারাপ লাগে না !

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমার চরকি নাই।

০৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪৮

অপু তানভীর বলেছেন: চরকিতে একটা সবস্ক্রিপশন নিয়েই নেন। বছর ৫০০ টাকা । খুব বেশি কিছু না । প্রথমআলো ওয়েব সাইট থেকে কিনতে পারেন, এখন সেখানে ছাড় চলছে। আমি কিনেছিলাম অফারে । ৩০০ টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.