নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নৈতিকতার পরাজয় - বর্তমান সময়ে মানুষের নির্লজ্জতা

১১ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২৮

আমরা যেহেতু মানুষ তাই আমাদের জীবনে চলার পথে আমরা নানান সময়ে ভুল করে ফেলি । এই ভুল তখনই অন্যায়ে পরিনত হয় যখন একই কাজ আমরা বারবার করি এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে করে থাকি । এই ভুল বা অন্যায়কে মানুষ চাইলেই সংশোধন করতে পারে । কিন্তু কথা হচ্ছে আপনি আমি সেইটা করতে ইচ্ছুক কিনা !

আমাদের সমাজে দুই ধরনের মানুষকে আমরা দেখতে পাই সব সময় । আগেই বলেছি মানুষ ভুল করবে, সেই ভুল বারবার করে কেউ অন্যায়ও করবে । অনেক সময় দেখা যায় সে এই অন্যায় করছে সে নিজ থেকে বুঝতে পারছে না যে সে অন্যায় করছে । যখন তাকে সেই অন্যায়টা ধরিয়ে দেওয়া হবে তখন, এক হতে পারে সে নিজের ভুল/অনয়ায়টা বুঝতে পারবে এবং নিজ থেকে সেটা সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহন করবে । অন্তত চেষ্টা করবে সেই অন্যায় থেকে বের হয়ে আসতে । অন্য দিকে অন্য দলটা হচ্ছে আপনি যখন তাদের ভুল/অন্যায়টা ধরিয়ে দিবেন তখন সেটা তো তারা সংশোধন করবেই না বরং আপনাকে তাদের শত্রু মনে করবে । আবার যদি নিয়ম কিংবা আইনের কারণে সেই অন্যায় থেকে তারা বিরতও থাকে মনে মনে তারা কখনই এটা মেনে নিতে পারে না । এবং যারা অন্যায়টাকে ধরিয়ে ধরিয়ে ছিল তাদেরকে নিজেদের শত্রু হিসাবেই দেখা শুরু করবে । তাদের মনভাবটা এমন যে আমি যত অন্যায়ই করি না কেন তুমি বলার কে? কেন বলবে !

সামুতে কপি পেস্ট নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে । এটা নিয়ে আলাদা ভাবে বলার কিছু নেই । তবে সেই অনেক কিছু হওয়ার পর থেকে আমি একটা ব্যাপার সব সময় খেয়াল করে দেখা শুরু করেছি যে যাদের যাদের নাম সেখানে এসেছিলো তাদের প্রায় সবাই নিজেকে সংশোধন করেই নিয়েছেন । এবং আমি নিশ্চিত ভাবেই বলতে পারি যে তারা অন্তত এই টুকু স্বীকার করেই নিয়েছেন যে তাদের ঐকাজটা ভুল ছিল ! একটু আগেই বলেছিলাম সমাজে দুই ধরনের মানুষ রয়েছে । তারা প্রথম দলে পড়েন । সত্যি বলতে কি এই ভুলটা কে মেনে নেওয়া, এই গুণটা অনেক বড় একটা গুণ ! এটা যারা করেন, করতে পারেন তারা কোন সন্দেহ নেই ভাল মনের মানুষ ! কিন্তু সেই সাথে সমাজে দ্বিতীয় আরেকটা দলও রয়েছে যারা নিজেদের ভুল ধরিয়ে দেওয়াতে সেটা মেনে নিতে বাধ্য হলেও নিজের মন থেকে সেটা কখনই স্বীকার করেন না । নিয়ম আইনের কারণে অনেক সময় আমাদের অনেক কিছু মেনে নিতে হয় সেই ভাবে । অর্থ্যাৎ এখনও তারা এটা ভেবে বসে থাকেন যে তাদের কোন ভুল ছিল না । এবং তাদের এই মনভাব প্রকাশ পায় তাদের আচরন এবং মন্তব্যের মাধ্যমে ।



এই ধরনের মন্তব্যটাই যে আজকে প্রথম সেটাও কিন্তু না । এটা শুরু হয়েছে সেই শুরু থেকেই । এই ধরনের মন্তব্য আমাদের পুরো সমাজের চিত্র তুলে ধরছে। যেহেতু আমাদের ব্লগটাও সমাজের একটা অংশ উপস্থাপন করে সেহেতু এখানেও আমরা সমাজের একটা চিট্র ঠিক ঠিক দেখতে পাবো ! সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা নিজের অন্যায়কে সংশোধন করবে না শুধু মাত্র নিজের জেদে । কেবল মাত্র ইগোর কারণে । উপরে দেওয়া মন্তব্য সেটার একটা দিক প্রকাশ করেছে বেশ ভাল ভাবেই। মন্তব্যটা কিন্তু এই কারণে করা হয় নি যে সে আসলেই সামুতে কপিপেস্ট নিয়ে চিন্তিত, কিংবা সে চাচ্ছে সামুটে কপিপেস্ট বন্ধ হোক । নুন্যতম শিক্ষা থাকলে কেউ এই লাইনের জন্য কপি পেষ্ট হিসাবে দোষারপ করবে না । মন্তব্যটা করা হয়েছে কেবল মাত্র নিজের এই মনভাব থেকে তাকে এক সময়ে কপি পেস্টের দোষে দোষারোপ করা হয়েছিলো । সেই সাথে এখন সে আর এমন কিছু করতে পারছে না । এই অন্যায় না করতে পারা একটা রাগ একটা হতাশা সেই হতাশা থেকেই এই ধরনের মন্তব্যের আগমন ঘটেছে ! এবং এমন মন্তব্য কিন্তু প্রথমবার নয় ! এর আগেও আরও অনেকের পোস্টেও ঠিক একই ভাবে মন্তব্য এসেছে । কদিন আগে মরুভূমির জলদস্যু ভাইয়ের পোস্টেও ঠিক এমন মন্তব্য ছিল । এবং এটা চলতেই আছে । তারও আগে আরও অনেকের পোস্টেই ঠিক একই ভাবে একই ধরনের মন্তব্য এসেছে !

আরও একটা মন্তব্য খেয়াল করে দেখি ।


যে কোন ব্লগারের মন্তব্যের ভাষা এবং শব্দ চয়ন খেয়াল করলেই আসলেই এটা স্পষ্ট হয়ে যায় মন্তব্যটা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে । এছাড়াও ঐ সময়ে পোস্টের পর পোস্ট এবং কবিতার পর কবিতা এসেছে কেবল নিজের এই জেদ কিংবা ইগোর কারণে । কেবল মাত্র ভুল ধরিয়ে দেওয়ার কারণে । এই ইগো এই জেদ, বিদ্বেষ, এসবের শেষ কোথায় ?

আমি আসলে হতাশ । আর কিছু না । কোন অভিযোগ নয়, কোন রাগ থেকেও নয় ! আমি কেবল হতাশ । প্রথম প্রথম যখন এই ধরনের মন্তব্য আমি যখন দেখতাম তখন মনে হত যে যাক হয়তো খানিকটা মন ক্ষুন্ন হয়েছেন । হতেই পারেন । সময়ের সাথে তা ঠিক হয়ে যাবে । কিন্তু এতোদিন পরেও যখন আর সেটা ঠিক হয় নি তখন মনে হচ্ছে যে আসলে এই ব্যাপারটা কখনই ঠিক হওয়ার নয় না । একজন মানুষ পুরো পার করেও যখন এমন আচরণ করেই যান তখন তাকে কি বলা উচিৎ আমার জানা নেই ! বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে এই মনভাব আসলে কোন ভাবেই বদলানো সম্ভব না ।
মানুষ জনের আচরণে আমি সহজে হতাশ হই না । কারণ সব সময় তাদের কাছ থেকে সব থেকে কম আশা করেই আমি থাকি । কিন্তু যখন দেখা যায় সেই মানুষটা সেই ন্যূনতম কাজটাও করছেন না তখন প্রথমে রাগ-বিরক্তি, পরে হতাশাই আসে !

ব্লগ টিম আশা করি আমার এই হতাশা প্রকাশটাকে ক্ষমা সুলভ চোখে দেখবেন । এক জিনিস যখন বারংবার চোখের সামনে দেখতে পাই তখন চুপ করে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে যাই ! মাঝে মাঝে তাই হতাশা বের হয়ে আসে !

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হতাশ হবেন না। আপনারা হতাশ হলে আপনাদের দেখে যারা শিখবে তাদের কি হবে?

১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: বয়সে ছোট মানুষেরা যদি এমন কাজ করে তাহলেও ব্যাপারটা বুঝা যায় ! একজন বয়স্ক মানুষ কেন এমন আচরণ করবেন ? কেন?

২| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:১১

জোবাইর বলেছেন: যে কোনো ভালো কাজ বা উদ্যোগে যখন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের ক্ষতি হয় তখন তাদের অনেকেই এই কাজ বা উদ্যোগকে মেনে নিতে চায় না। তাদের অনেকেই এ ধরনের ভালো উদ্যোগকে বিনষ্ট করার জন্য সবসময় সক্রিয় থাকে। আমাদের সমাজে এ ধরনের লোকই বেশি। হতাশ হবেন না, হতাশ হলেন তো ওরা জিতে গেলো!

১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০৪

অপু তানভীর বলেছেন: আমি সব সময় এড়িয়ে যাই এসব । আমি জানি এমন মানুষ আছে, তারা থাকবে । কিন্তু বারবার চোখের সামনে যখন এই জিনিসটা আসে তখন প্রথমে রাগ পরে বিরক্তি এবং সব শেষে আসে হতাশা !
একটা চমৎকার পোস্টে যখন এমন মন্তব্য আমি দেখতে পাই তখন পুরো পোস্ট পড়ে ভাল লাগা কাজ করছিলো সেটা নষ্ট হয়ে যায় । যতই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি তবুও চোখের সামনে এসে যায় ! কত গুলো দিন ধরে এই একই কাজটা হয়েই যাচ্ছে !
কেবল মাত্র নিজের ইগো বিদ্বেষটা বের করতে একজন মানুষ কেন এমন কাজ করে যাবে ! বোধবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ কেন এমন করবে? এটা আমার মাথায় এখনও আসে না !

৩| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি হতাশ হবেন না। আমাদের সমাজটাই এমন। এইভাবেই চলছে। এই মানসিকতার কারনে মানুষ দুর্নীতি করে, চোরের মায়ের বড় গলা হয়। সমাজে এক শ্রেনীর দুষ্ট লোক বা অপরাধী মানসিকতার মানুষ থাকে যারা নিজেদের অন্যায়, ভুল ত্রুটিকে স্বীকার করতে চান না, যদি অন্য কেউ তাকে তা ধরিয়ে দেয়, সেটাকে সহ্য করতে পারে না।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগে লক্ষ্য করছি, মানুষ কিভাবে নিজের সম্মান বা ব্যক্তিত্ব নিজে নষ্ট করছে। নিজেকে সংশোধন করার পরিবর্তে সবাইকে দোষারপ করছে। এমন কি যে মানুষগুলো সত্যি তাদের ভালো চায়, তাদেরকে বানিয়ে ফেলছে প্রতিপক্ষ। দিন শেষে শুধু তিনি এবং তারাই সঠিক।

এই সকল মেন্টররা নিজেরা নিয়ম নীতি মানবে না, সেই নিয়ম নীতি মানতে বাধ্য করলে আমরা খারাপ। আপনি ইচ্ছেমত মানুষকে সমালোচনার নামে যা কিছু বলতে পারবেন - এই স্বাধীনতা না দিলে, না সমর্থন করলে ব্লগের সবাই খারাপ, জামাত শিবির বা আরো অন্য কিছু। কি পরিমান বুদ্ধি বিকলাঙ্গ হলে এই ধরনের আচরন মানুষ করতে পারে, সেটা এখন স্পষ্ট।

জনাব নূর হোসেন নূর একজন বয়স্ক এবং প্রবীন। তাঁর অভিজ্ঞতা এবং আচরনে ব্লগারদের অনেক কিছু শেখার ছিলো। কিন্তু সেটা সম্ভব নয় - এটা আমার মুল্যায়ন নয়, এটা তিনি নিজেই প্রমান করেছেন। আপনিও জানেন, এই সব ইডিওটিক কথাবার্তাকে যুক্তি বলে না। অনলাইনে যা খুশি তা করা যায়, সেই সুবিধায় যদি তিনি কিছু করে খেতে পারেন - তাহলে খাক।

তবে বাস্তব সমাজে, কোন ভদ্র স্থানে এই কথা বললে বা এই ধরনের যুক্তি দিলে মানুষ কান ধরে বের করে দিবে। সেখানে বয়স বিবেচনা করবে না।

১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: আমি মোটেই হতাশ হতে চাই না । আমিও জানি যে আমাদের ব্লগ তথা সমাজেও এই দুই ধরনের মানুষ আছে । আমাদের সব সময়ই উচিৎ ভাল আর বোধ সম্পন্ন মানুষদের আশে পাশে থাকা, তাদের নিয়ে কাজ কর্ম করা । কিন্তু দিনের পর দিন যখন একটা বিরক্তি কাজ একজন করে চলে তখন সেটা চোখের সামনে কত সময় দেখে চুপ করে থাকা যায় ।
এই কপিপেস্টটা নিয়েও আমাদের কথা বলা কিন্তু এভাবেই শুরু হয়েছিল । প্রথমেই কিন্তু আমরা পোস্ট দেই নি । একবার ভেবে দেখুন কতবার তাদের বলা হয়েছে, অনুরোধ করা হয়েছে, আমি তো অনুনয় করা হয়েছে যেন এই কাজটা তারা না করে । একবার দুইবার নয় অসংখ্যবার । তারপর যখন একটু শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তখন তাদের মনভাব এমন হয়েছে যেন তাদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে । কী আজব এক মনভাব !

এড়িয়ে যাবো, হতাশ হব না । কিন্তু মাঝে মাঝে এমন অনুভূতি এসে মনের ভেতরে জমা হয় তখন সব চিন্তা ভাব অন্য রকম হয়ে যায়, হতাশা এসে জড় হয় । এই পোস্ট আসলে সেই হতাশা থেকেই দেওয়া । আর কিছু নয় । আশা ব্লগ টিম আমার এই হতাশা প্রকাশকে কোন অফেন্স হিসাবে দেখবে না ।

৪| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৫৩

অরণি বলেছেন: ওনারা কয়েক জন জোট বেধেছে।

১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩০

অপু তানভীর বলেছেন: আসলে জোট বাঁধাটা খুব একটা সমস্যা না । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যখন কেউ এই অন্যায় গুলো এক সাথে মিলে করে এবং সেটাকে মোটেই অন্যায় মনে করে না । অন্য কেউ যখন তাদের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলে তখন এক সাথে তাদের শত্রু হিসাবেই মনে করে !

৫| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: পরিস্থিতির উন্নতি হবেনা - নানাবিধ কারণে। সেই কারণ গুলো প্রকাশ না করে একটা ইন ডাইরেক্ট ফ্রি কিক দেই- যার মধ্যে কিছু না বলা কথা বলা হয়েছে.... আমাকে একদিন এক ব্লগার মেসেঞ্জারে কল করে ইনিয়েবিনিয়ে অনেক কথা বলেছিলো.....যেমন তিনি তথ্যমন্ত্রীর ডান হাত, তাকে সামু ব্লগের মডারেটও সমীহ করে- তার আনুকূল্য চায়.....তার কথা যেনো আমি সবাইকে বলি- ইত্যাদি ইত্যাদি। এই বলা কথার মধ্যে কিছু সত্যতা আছে।

ধন্যবাদ।

১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩২

অপু তানভীর বলেছেন: পরিস্থির উন্নতি হবে না । অনেকটাই হয়তো আপনি সত্য কথা বলেছে । আমিও জানি । এই কারণেি হতাশা আসে । বুকের ভেতরে হতাশা এসে ভর করে । তবে তারপরেও আশা করে থাকি যে সব কিছু এক সময়ে ঠিক হয়ে যাবে !

৬| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪২

আরইউ বলেছেন:



আমাদের নূরু সাহেব কোনটা লেখার চোরাইকারবার আর কোনটা সম্পাদনা তা এখনো বুঝে উঠতে পারেননি। উনি নিজেকে সংবাদকর্মী দাবী করেন কিন্তু আমি মোটামুটি নিশ্চিৎ সাংবাদিকতা বিষয়ে ওনার কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। শিক্ষা থাকলে উনি ওনার কপি-পেস্টকে সম্পাদনা করা বলে দাবী করতেননা। হাতুরে সাংবাদিক হলে যা হয় আর কী!

ওনার ভুল ধরিয়ে দিলেই উনি তিড়িং বিরিং ফড়িং ছানার প্রতিবাদী ছড়া লিখে বসেন। সুযোগ পেলেই এখানে ওখানে গিয়ে কপি-পেস্ট বিষয়ে কোন প্রয়োজন ছাড়া মন্তব্য করেন। এসব করে উনি যে নিজেকে দিন দিন হাস্যকর করে তুলছেন তাও বেচারা বুঝতে পারছেননা।

দেখবেন সিরিয়াস বাংলা ম্যুভিতেও ফাকে ফোকরে সুযোগ পেলেই কমেডিয়ানদের — যেমন দিলদার, টেলি সামাদ — এদের নিয়ে আসা হয়। তারা বিভিন্নভাবে লোক হাসানোর চেষ্টা করে। এটা হচ্ছে এক ধরণের কমেডিক রিলিফ। আমাদের ব্লগের কিছু লোকের ধারণা ওনারা নির্দোষ এবং অন্যায়ের স্বীকার; ওনারা নিজেদের মজলুম বলেও দাবী করেন। আমি এসব দেখি আর ব্লগে এসে কমেডিক রিলিফ পাই। আপনিও সেই মজাটা নেবার চেষ্টা করে দেখুন। দেখবেন হতাশা চলে গেছে!

১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫৫

অপু তানভীর বলেছেন: প্রথম প্রথম আমার কাছেও এই কমেডি রিলিফ হিসাবেই নিতে চেয়েছিলাম । কিন্তু মুভিতে যদি মুল কাহিনীর থেকে এই কমেডি চরিত্র বেশি থাকে তাহলে সেটা দেখা যায় মুভি আর ভাল লাগছে না । এখানেও তাই হচ্ছে । একদিন দুইদিন না, দিনের পর দিন এমনই হচ্ছে ।

আপনি যেটা বলছেন অন্যায় কারী নিজের অন্যায় স্বীকার করা তো দুরে থাকুক নিজেদেরই মজলুম হিসাবে দাবী করছেন । এটা তো দিনের পর দিন হয়ে আসছে । এটা নিয়ে আসলে কী যে বলবো সেটা বুঝতে পারছি না । একজন বোধ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ কিভাবে দিনের পর দিন এমন কাজ করে যেতে পারে সেটাও আমার মাথায় আসে না । সত্যিই আসে না !

৭| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৫০

শায়মা বলেছেন: তুমি বলছোব ব্লগের কথা আমি একটা প্রাকটিকাল জীবন থেকে নেওয়া গল্প বলি। আমার স্কুলে প্যারেন্টস ডিলিং করতে গিয়ে আজ মজার এক ঘটনা হলো।

একটা নিরীহ গোবেচারা নান্নে মুন্নে গুল্লুগাল্লু বাচ্চাকে ইয়া দশাসই এক ঘায়ে তার দশটা পড়ে টাইপ বাচ্চা এক ব্যাগের ধাক্কায় তিন হাত দূরে ছিটকায় ফেলেছে। তারপর বাচ্চাটাকে থামিয়ে থুমিয়ে টিচার তার মাকে বলছে এই রকম একটা ইনসিডেন্ট হয়েছে ও একটু পড়ে গিয়েছিলো। কিন্তু আমরা সাথে সাথে ওকে সেইফ করেছি হেন তেন। এই যে একটু ব্যথা পেয়েছে। আমিও একজন পন্ডিৎ হিসাবে টিচারের সাথে সূর মিলিয়ে বটে বটে করছি।

এমন সময় মা তার ব্যথা পাওয়ার জায়গাটা না দেখে বাচ্চার কি হয়েছে না শুনে লাফ দিয়ে পড়ে তুমি একা একা পড়েছো নাকি কেউ ধাক্কা দিয়েছিলো বলো বলো বলো!!!!!!!!
তারপর শুরু করলো টিচারকে এটাক আপনি কই ছিলেন হ্যাঁ? আপনার সামনে পড়ে কেমনে? ধাক্কা দেয় কেমনে? ঐ সব বাদর বাচ্চা নেন কেনো কেনো কেনো কেনো??

মানে বাচ্চা কই ব্যথা পেলো জানার আগে বুঝার আগে নিজের বাচ্চার ক্ষতি দেখার আগেই কাকে দোষ দেবে কাকে ধরবে কাকে মারবে কাটবে সেই চিন্তা অটোমেশনে চলে গেলো হা হা .....


আর তোমার পোস্ট পড়ে আমি হা হা =p~
চোরের মায়ের বড় গলা প্রবাদ শুনেছি বটে কিন্তু আবার চোরেরাই আজকাল সেই প্রবাদ নিয়ে বড়াই করে, বড় বড় আলাই বালাই কাব্য লেখে, অন্যদের মায়ের ছোট গলা নিয়ে গিয়ান দিয়ে বেড়ায়। মানে চোরই যদি এখন নিজের মায়ের বড় গলা না দেখে অন্যের মায়ের ছোট গলার দিকে আঙ্গুল তুলে তখন তো আজীবনের চিরন্তনী সকল প্রবাদ বাক্য ফেইল হইয়া পড়ে। :P


যাইহোক মানুষের উচিৎ যখন কেউ কারো দিকে আঙ্গুল তোলে তখন সেই ব্যাক্তি ইগো বা গায়ের জোরে উলটা পাল্টা বোকামী না করে সবার আগে ভেবে দেখা উচিৎ আমাকে তারা বলছে কেনো?

তারপর তার সিদ্ধান্ত সে সেটা মানবে কি মানবে না।

মানে চোর চিন্তা করবে আমি কাউকে পাত্তা দেবো কি দেবো না। আমি কি চুরি করা বন্ধ করবো কি করবো না।

মানুষ না জেনে বুঝে ভুল করতেই পারে সেই ভুল সে সংশোধনও করতে পারে। ভুল সংশোধনে কোনো দোষ নেই।

কিন্তু গায়ের জোরে তিড়িং বিড়িং লম্ফ ঝম্প করাটাই বোকামীর এক নাম্বার লক্ষন।

১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১২

অপু তানভীর বলেছেন: তার মানে দেখো বাস্তব জীবনেও এমন মানুষ অহরহই আছে এবং এমন ঘটনা ঘটছে সব সময় । আসলে আমার ব্লগটা তো সমাজেরই একটা অংশ । সমাজের মানুষেরাই তো ব্লগে আসে । আমাদের চারপাশের সমাজে যা হবে ব্লগেও তো সেই রকম ঘটনা ঘটবে । এমনটা ভাবা তো মোটেই অস্বাভাবিক কোন ব্যাপার না । বাস্তবে যেমন মানুষ তুমি দেখতে পাবে এখানেও তেমন মানুষ দেখতে পাওয়াটাই স্বাভাবিক !

কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা ছিল না । আমরা ব্লগাররা তো নিজেদের সমাজের শুদ্ধ মানুষ হিসাবে দাবি করি । কিন্তু আসলেই কি এখন তা দাবি করতে পারি?

৮| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৫৯

শায়মা বলেছেন: এই পোস্টের দুইটা কমেন্ট পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ।
অপুভাইয়া অনেক দুঃখ আর হতাশা নিয়ে পোস্টখানা লিখেছিলো কিন্তু কমেন্ট দুইটা পড়ে মনে হয় হাসতে হাসতে আমার মত =p~
হয়ে যাবে।


:P

১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১৪

অপু তানভীর বলেছেন: হাইসো না হাইসো না বুঝছো ! মনের দুঃখে এই সব কথা লিখছি । আর তুমি কিনা হাসতেছো !!

৯| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গত কয়েক বছরে একুশে বইমেলায় এমন কিছু কবি ও লেখকের এমন কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে, কোনো কোনো কবি অন্য কবিদের উৎকৃষ্ট মানের কবিতা নিজের বইয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ অন্য কবিদের কবিতার লাইন হুবহু তুলে দিয়েছেন নিজের কবিতায়। আরো একটা ঘটনা একবার ভাইরাল হলো, কোনো এক গল্পকার অন্য এক গল্পকারের গল্প নিজের বইয়ে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন। এসব যারা করেন, তারা হয়ত সাময়িক ভাবে কিছু বাহবা পেয়ে থাকেন। কিন্তু একবার চিন্তা করুন, যখন এটা সাব্যস্ত হলো যে তারা অন্যের কবিতা বা গল্প চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, তখন কি তারা সাহিত্য মহলে মুখ দেখাতে পেরেছেন? তাদের গা থেকে এই চৌর্যবৃত্তির ছাপ কি কোনোদিন মুছবে?

একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ভুল করতেই পারেন। তিনি সেই ভুল স্বীকার করে নিজেকে শোধরালে তার মাহাত্ম্য বাড়ে, অর্জিত সম্মানও সমুন্নত থাকে। কিন্তু ভুলকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে নানান তীর্যক বাক্য ছোঁড়াছুড়ি করে আদতে নিজের অর্জিত সম্মানখানিই ছুঁড়ে ফেলে দেন, যেটা হয়ত তিনি বুঝতেই পারেন না।

ব্যাপারটা আরো বেশি দুঃখজনক হয় তখনই, যখন কেউ কেউ অন্যান্যদের অপরাধগুলোকে সাপোর্ট করতে থাকেন। এগুলো ব্যক্তির অসততারই পরিচায়ক। ধর্মের উপর জ্ঞান দ্বারা কারো ধার্মিকতা বোঝা যায় না, তাহলে শয়তানই হতো উত্তম ধার্মিক ব্যক্তি, কারণ, ধর্মের উপর তার জ্ঞান অপরিসীম। ন্যায় ও সততাই ধর্ম। প্রকৃত ধার্মিক ব্যক্তি ও প্রজ্ঞাবান হলেন তিনি, যিনি ন্যায়-পরায়ন ও সত্যনিষ্ঠ। আর লজ্জা হলো এমন একটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, যা মানুষকে ন্যায়পরায়নতা ও সততা বজায় রাখতে বাধ্য করে। যার লজ্জা নাই, তার কোনো অপরাধবোধও নাই। তিনি যে-কোনো নিকৃষ্ট কাজ করতে পারেন। এ কথাগুলো আমিসহ যে-কারো জন্যই প্রযোজ্য। কারণ, কথাগুলো তো আর আমার নিজের বানানো না, এগুলো সার্বজনীন সত্য কথা।

দুঃখজনক।

১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:২৩

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার মন্তব্যে দুইটা ব্যাপার চলে এসেছে । এক হচ্ছে অন্যের লেখা অন্যের কবিতা নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া । এই কাজটা মানুষ সত্যি কিভাবে করতে পারে !
আর দুই হচ্ছে এই যে অন্যায়টাকে নিজে যেমন সমর্থন করা অন্য কিছু মানুষও সমর্থন করে কিভাবে?

ব্যাপারটা আসলেই দুঃখজনক আর হতাশা জনক । এর বাইরে আসলে আর কিছুই বলার নেই । কারণ আমরা যাই বলি না কেন এটা তাদের মাথায় ঢুকবে না ।

১০| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমার পর্যবেক্ষণ খমতা অতি নিম্ন পর্যায়ের, প্রায় গোল্ড ফিসের কাছাকাছি ।
আমি যতটুক দেখেছি মোটামুটি চার রকমের কপি-পেস্ট হয়েছে সামুতে।
কেউ সরাসরি পত্রিকার সংবাদ পোস্ট করেছেন।
কেউ বিভিন্ন ধর্মীয় আর্টিকেল থেকে কিছু কিছু অংশ কেটে এনে জুড়ে দিয়ে পোস্ট করেছেন।
কেউ নানান জনের পোস্ট থেকে কেটে-জুড়ে পোস্ট করেছেন।
কেউ সরাসরি অন্যের লেখা নিজের নামে পোস্ট করেছেন।

প্রথম দুই গ্রুপের জন্য বলার কিছু নাই।
শেষ দুই গ্রুপ ব্লগার নিজেদের লেখা তৈরি করার যথেষ্ট যগ্যতাসম্পর্ন্ন। কপি-পেস্ট করার কোনো প্রয়োজন তদের পরে না। তবুও কেনো তারা কপি পেস্ট করেন সেটাই আমার বুঝে আসেনা। গোল্ড ফিস সম বুদ্ধী নিয়ে সেটি বুঝার চেষ্টা করাও আমার সাজে না।

১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:২৪

অপু তানভীর বলেছেন: শেষ দুই গ্রুপ ব্লগার নিজেদের লেখা তৈরি করার যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পর্ন্ন। কপি-পেস্ট করার কোনো প্রয়োজন তদের পরে না। কপি পেস্ট মানুষ করে আসলে যোগ্যতার অভাবে না । এটা মানুষ করে স্বভাবের জন্য । অন্য কোন কারণে না ! কেবল স্বভাব !

১১| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার প্রচেষ্টা আপনি চালিয়ে যান। কাজ হচ্ছে

১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:২৫

অপু তানভীর বলেছেন: এটাই একটা শান্তনা যে এখন সামুতে এই অন্যায়টা কমে গেছে অনেক ।

১২| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: কপি পেস্টের বিরুদ্ধে ব্লগে সচেতনতা শুরু হওয়ার পর থেকে এই ব্লগার যে ধরণের আচার আচরণ করেছেন তা সত্যিই প্যাথটিক। একজন বয়স্ক ব্লগারের কাছ থেকে আরো ম্যাচিউরড আচরণ কি আমরা আশা করতে পারি না?

১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: আমার প্রথমে কেবল মনে হয়েছিলো যে এটা আসলে সাময়িক । এক সময়ে ঠিক হয়ে যাবে । কিন্তু কোথায় কি !!

১৩| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বহুবার বলেছি আবারও বলছি হুমায়ুন আজাদ স্যারের বিখ্যাত উক্তি।
"বাঙালী শতভাগ সৎ হইবে এমনটা আশা করা অন্যায়। বাঙালী পঞ্চাশভাগ সৎ হলেই তাদের পুরস্কৃত করা উচিত।"
স্যারের কথার উপরে আমার আর কিছু বলার নেই। লিখায় সমর্থন জানবেন। ধন্যবাদ।

১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৩৩

অপু তানভীর বলেছেন: একদম সত্য কথা বলেছেন তিনি । সত্যিই পুরস্কৃত করা উচিৎ ।

১৪| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩০

সাসুম বলেছেন: তুই এত হতাশ হইলি যে ? আমাদের সম্পাদক ব্লগারকে তুই মনে হয় আজকে চিনোস?

বাংলাদেশের প্রায় সব গ্রামেই কিছু বয়োবৃদ্ধ লোক দেখা যায়। এদের ধর দুই পা কবরে চলে গেছে খালি যে কোন দিন যায় যায় অবস্থা।
এদের সমাজে কোন কাজ নেই, রাস্ট্রে কোন অবদান নেই, সভ্যতায় কোন দায় নেই এবং এদের অন্তরে কোন মনুষ্যত্ব নেই। স্রেফ সভ্যতার গায়ে একটা বিষণ্ণ চিহ হিসেবে লেগে থাকে।


এদের একটাই কাজ- গ্রামে এর সাথে অর বিবাদ লাগানো, এক ভাইকে আরেক ভাইর বিরুদ্ধে খেপানো, জামাই রে বউর বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে ডিভোর্স দেয়ানো, গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে পান মুখে দিয়ে এর জমির জন্য ওর নামে মামলা করানো আর সকাল বিকাল কোন এক টং এ বসে তরূনী যুবতী কিশোরি দের দেখে হতাশা গ্রস্থ হয়ে যাওয়ার আর মুখ থেকে পানের পিক ফেলে হেড়ে গলায় বসে বসা-

গেল গেল , দেশ টা রসাতলে গেল!

আমাদের নুরু মিয়া হলেন- ব্লগের সেই দুই পা কবরে চলে যাওয়া বয়স্ক সিটিজেন।

এক লাইন শুদ্ধ করে লিখতে পারেননা, পত্রিকা থেকে কপি পেস্ট করে সেটার নাম দেয় সম্পাদনা। মানে- এই ব্লগের বর্তমান অবস্থা কি পরিমান খারাপ চিন্তা কর- এই ধরনের কোয়ালিটি লেস লেখক রাই নাকি আজকের আলোচিত ব্লগার। এবং কেউ তার চুরি ধরিয়ে দিলেও চুরি তো নয় সেটাকে সিনাজুরি হিসেবে জাহির কর‍্তে লেগে যায়।

তো যা কইছিলাম- উপরে উল্লেখিত বুড়ো গুলো একদম মরার আগ মুহুর্তেও তাদের শয়তানি ছাড়তে পারেনা। এরা মরার আগ মুহুর্তে তার এলাকাবাসী কে বলে যায়- মরার আগে আমার লাশ টা গলায় দড়ি বেঁধে গ্রামের সামনে একটা গাছে ঝুলিয়ে দিও। এটাই শেষ ইচ্ছা।

হয়ত সবাই অবাক হবে এই ইচ্ছা দেখে- বাট আসলে মনে মনে এই বৃদ্ধের ইচ্ছা হল- এইভাবে লাশ ঝুলানো দেখলে পুলিশ এসে গ্রামের সব গুলারে জেলে ধইরা নিয়ে যাবে, এটাই মনের শান্তি এই মানবের। যাতে করে মরার পরেও গ্রামের মানুষ দের অশান্তিতে রাখা যায়।

তো আমাদের নুরু সাব অইলো- এই জীবনের শেষ প্রান্তে চলে যাওয়া এই গ্রাম্য বুড়ো দাদুর একদম সহীহ শুদ্ধ প্রতিচ্ছবি।

১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২২

অপু তানভীর বলেছেন: আমি সত্যিই অবাক আর হতাশ । একদিন দুইদিন এক সপ্তাহ এমাস তারপর মাসের পর মাস ! এবং এই পক্রিয়া চলতেই থাকে । কেন এমন হবে ?
সিরিয়ালি ল্যাবে এই ব্রেন নিয়ে গবেষণা করা দরকার । খুজে খুজে বের করা দরকার যে এমন আচরন করার আসল কারণ কী? কেন এমন করবে একজন ?
এমন তো না যে তারা কিছু জানেন না বা বুঝেন না ! তারপরেও কেন !

তোর কথা আসলে অস্বীকার করে দেওয়ার মত না !

১৫| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৪

কামাল৮০ বলেছেন: আমি কিছু লিখি না,আমার এই সমস্যা নাই।

১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩৫

অপু তানভীর বলেছেন: লেখা না লেখার সাথে এটা ঠিক জড়িত না । এটা মানসিক সমস্যা !

১৬| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪৭

মোগল বলেছেন: নূরু ভাইএর গায়ে চাঁদগাজির বাতাস লাগছে

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: কিছুই বলার নেই ।

১৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩৪

রেজাউল৮৮ বলেছেন: আমি ওনার তেমন কোন দোষ দেখি না। ‌
পাঞ্জেরী বা অগ্রদূত গাইড মুখস্ত করে পড়েছি। স্যার দশে সাড়ে নয় দিলে মন্তব্য করতাম স্যার যেন গায়ের মাংস কেটে নম্বর দেয় নম্বর দিতে এত কার্পণ্য করেন কেন স্যার?
আরেক জায়গা থেকে মুখস্ত করে বমি করে দিতে পারাটাই ছিল সাফল্যের মাপকাঠি।
ক্লাসের শুরুর দিকে দু তিনজন ছিল যারা দু-চারটা নোট বই পড়ে সেখান থেকে মিলিয়ে লিখতো। এরা ছিল আমার মত ছেলের কাছে সুপার জিনিয়াস। এটাই আমাদের কালচার। বিশ্ববিদ্যালয় এসেও বড় ভাইয়ার আপুদের হাতে লেখা নোট পড়ে দিন পার করেছি, আমি নিজে মূল বই খুব কমই পড়েছি। আমার কাছাকাছি গ্রেডের ছাত্রদের অধিকাংশের অবস্থা এমনই ছিল।
আবার বলি এটা দেশের সামগ্রিক চিত্র, আমাদের কালচার

কিছুদিন আগে মেভেরিক ভাই লেখা চুরির বিরুদ্ধে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন। ওই পোস্টে গেলে দেখতে পাবেন ব্লগের বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা ব্লগার , যাদের একাধিক জন দেশের বাইরে থাকেন, বাইরের কালচারের সঙ্গে পরিচিত তারাও মেভেরিক ভাইয়ের পোস্টের নিন্দা করেছেন, কপি-পেস্ট কে সমর্থন করেছেন। কারণ লেখাচুরিকে আমরা চুরি বলেই মনে করি না।

বস্তুত আপনার এবং ব্লগার আরইউ এর শক্ত প্রতিবাদের কারণে ব্লগে এই মুহূর্তে চুরিবিরোধী মনোভাব চাঙ্গা ( কিন্তু চুরি কিন্তু বন্ধ হয়নি) ।

নুরু সাহেব চিরকাল দেখে এসেছেন পয়সার জুরে তার চেয়ে কম শিক্ষিত লোকেরা সম্পাদক হয়ে এসছে। ‌ তিনি যদি কপি-পেস্ট করে সম্পাদক হতে চান আমাদের কালচারে তাকে কতটা দোষ দেওয়া যায়?
আমি আর একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি নুরু সাহেব কিন্তু কখনো দাবি করেননি এটি আমার মৌলিক লেখা। পক্ষান্তরে এরশাদ কিন্তু সবসময় চোরাই লেখা গুলো যে সংগৃহীত তা কখনোই স্বীকার করেনি।

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা এটা সত্য যে আমাদের পড়াশুনার কালচার এমন । আমি ছোট থেকে গাইড বই মুখস্ত করে বড় হয়েছি । বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমরা এর ওর নোট নিয়ে পড়েছি (যদিও আমি নিজের নোট নিজেই তৈরি করেছি) । কিন্তু এটা কি ব্লগের কপি পেস্টের এই ব্যাপারটা ক্ষেত্রে খাটে?
সত্যিই খাটে?
এটা যদি ফেসবুকের কোন গ্রুপে হত তাহলে হয়তো আমার কিছু মনে হত না । কিন্তু ব্লগটাকে আমার কাছে সব সময়ই অন্য কিছু মনে হয়েছে । এখানে এখনও যারা আসে তারা সাধারণ বোধ বুদ্ধি চিন্তা ধারার থেকে কিছু হলেও উন্নত হবে বলে আমার এখনও বিশ্বাস ।

আমাদের প্রধান সমস্যা যে আমাদের মাঝে এই ''লেখা চুরি করা যে একটা অন্যায়'' এই ব্যাপারটাই নেই । আমাদের কাছে চুরি মানে হচ্ছে এমন সব বস্তু যার বিক্রি করা যায় যে বেঁচলে লাভ হবে, এই বাইরে আর কিছু চুরি হতে পারে না । এখানেই হচ্ছে সব থেকে বড় সমস্যা । এই মনভাব আম জনতার থাকবে এটা না হয় স্বাভাবিক কিন্তু তাই বলে ব্লগের অধিকাংশ মানুষেরও যদি এই মনভাব থাকে তাহলে তো সমস্যা । এটা অবশ্যই বদলানো দরকার ।

নুরু সাহেব নিজের বলে দাবী করেন নি কিন্তু তিনি যে সরাসরি কপি করে বসিয়েছেন এটাও কিন্তু স্বীকার করেন নি । তাকে আমি সরাসরিই জিজ্ঞেস করেছিলাম একটা পোস্টে যে এই লেখাটা আপনার কিনা । সিম্পল এই প্রশ্নের জবাব সে দেয় নি, এড়িয়ে গেছে । তিনি যদি সৎ হতেন অবশ্যই সরাসরিই বলতেন যে হ্যা আমি এই পোস্ট ওমুক তমুক জায়গা থেকে কপি করে লিখেছি কিন্তু তিনি তা বলেন নি । আর সম্পাদনার নামে তিনি যা করেন তাকে বিশ্বাস করেন আর যাই হোক সম্পাদনা বলে না । মোটেই বলে না । কী এমন ক্ষতি হয় যদি লেখার সাথে আসল দুই লেখার লিংক যুক্ত করে দিলে ! এই সহজ সিম্পল ব্যাপারটা আমি আজও বুঝতে পারি না । নুরু সাহেবকে এই কথাটাই বলা হয়েছে । সেটা তিনি শোনেন তো নাই বরং আমরা যারা বলে এসেছি তাদেরকে তিনি শত্রু মনে করে এসেছেন । এখনও করছেন । উপরের এই মন্তব্য গুলো আসলে সেটারই বহিঃপ্রকাশ !

কপি পেস্ট এখনও বন্ধ হয় নি কিন্তু আগের থেকে যে অবস্থার উন্নতি হয়েছে সেটা তো নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন ? এবং এখনও যদি লেখা কপি আমার চোখ পড়ে আমি সেটা রিপোর্ট করি । আপনিও নিয়মিত রিপোর্ট করেন । ব্যবস্থা নেওয়া হয় । দেরিতে হলেও নেওয়া হচ্ছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.