নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সালটা ২১২৬ । কোন প্যারালাল ইউনিভার্স । বিজ্ঞানের জয় জয়কার । ধার্মিকেরা এখানে সংখ্যা লঘু । বিজ্ঞানই এখানে ঈশ্বর । বিজ্ঞানের বাইরে কেউ যেতে পারে না । কোন কোন দেশে মানুষ বিজ্ঞানের বাইরে একটা কথা কেউ বলতে পারে না । তবে অনেক দেশেই অবশ্য নমনীয় ভাব বজায় রেখেছে । দেশ বিজ্ঞান ভিক্তিক হলেও সেখানে ধর্ম বিশ্বাসও প্রচলিত আছে !
প্রতি দেশের নিজেস্ব একটা বিজ্ঞান কাউন্সিল রয়েছে । দেশে যদিও সাধারণ ভাবেই ভোট হয়, সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বচিত হয় তবে আসল ক্ষমতা থাকে রয়েল একাডেমি অব সায়েন্স কাউন্সিলের হাতে । প্রায় সব দেশেই এই কাউন্সিলের প্রধানরাই প্রছন্ন ভাবে দেশ পরিচালনা করেন । প্রেসিডেন্ট তাদের পরামর্শ মোতাবেক কাজ করেন ।
দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারীদের একজন হয়ে উঠতে মানুষকে হতে হয় সর্বোচ্চ জ্ঞানের অধিকারী, সব থেকে বড় মেধাবী । থাকতে হয় যুগান্তকারী কোন আবিস্কার নয়তো সর্বজনীন কোন বৈজ্ঞানিক থিউরি । দেশের নিরাপত্তায় নিয়োজিত গুরুতপূর্ণ ব্যক্তিকে বড় ডিগ্রীধারী হতে হবে । নয়তো তাকে চাকরি দেওয়া হয় না ! দেশের অন্যান্য পেশা মানুষদেরকেও যে অসম্মান করা হয় তেমনটা অবশ্য নয় । তবে সবচেয়ে বেশি সম্মানটা পান বৈজ্ঞানিক, বিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষকগন !
এমনই কোন একটি দেশের গল্প । আজকে সেই দেশে বিজ্ঞান কাউন্সিলের একটা গোপন সভা বসেছে নিরাপত্তা ভবনে। সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং গোপনীয়তা নিয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে । কেবল মাত্র কয়েকজন সর্বোচ্চ পর্যায়ের পরিচালক রয়েছেন সভাতে । এছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চতর কয়েকজন অফিসারও আছেন । আছেন গোয়েন্দা সংস্থার ডিরেক্টর । তবে কোন রাজনৈতিক দলের সদস্যকে সেখানে রাখা হয় নি । এমন কি দেশের প্রেসেডেন্ট পর্যন্ত এই সভার খবর জানেন না । হয়তো জানবেনও না !
রয়েল কাউন্সিল অব সায়েন্সের চেয়ারম্যান আদিমান আদিব আসন গ্রহনের সাথে সাথে সভা শুরু হল । আজকের সভার বিষয় বস্তু প্যারামজিদ ।
আদিমান বসতে বসতেই গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান রমানুজকে বললেন, কি খবর জনাব রমানুজ! আজকে এতো জরুরী তলব দিয়ে এখানে আমাদের সবাইকে জড় করেছেন ! তাও আবার রেডওয়ান ফ্লাগ দিয়ে ? খুলে বলুন তো সব !
রেড ওয়ান ফ্লাগ ইন্ডিকেশন টা হচ্ছে এমন একটা সংকেত যা কেউ এড়িয়ে যেতে পারে না । সর্বোচ্চ পর্যায়ের লোকজন থেকে শুরু করে দেশের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবার ব্যক্তিগত যোগাযোগ মডিউলে এই নির্দেশণা পাঠানো যায় । এর অর্থ হল আপনাকে আসতেই হবে। কেউ যদি অসুস্থ হয়ে বিছানাতেও পড়ে থাকে তখন তার সেই বিছানা সহ তাকে উঠিয়ে নিয়ে আসা হয় । কারো এই নির্দেশনা উপেক্ষা করার ক্ষমতা নেই । দেশের প্রেসিডেন্ট, রয়েল সায়েন্স কাউন্সিল চেয়ারম্যানেরও না । তবে সবাই এই রেডওয়ান ফ্লাগ সংকেত পাঠাতে পারে না । অল্প কিছু মানুষের কাছে এই ক্ষমতা রয়েছে ।
রমানুজ একটু গলা খায়েরি দিয়ে বলল, স্যার আমরা প্যারামজিদ এর লেখকের পরিচয় বের করেছি ।
সভা কক্ষে যেন বোমা পরলো । সবাই যেন একেবারে নিশ্চুপ হয়ে গেছে । কারো মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না । কেউ যেন ঠিক মত কথাটা হজম করতে পারছে না । অবশেষ বদমাইশটাকে পরিচয় বের করা গেল । আদিমান বলল, কে সে?
রমানুজ সামনে থাকা মডিউলে একটা চাপ দিল । টেবিলের ঠিক মাঝে ত্রিমাত্রিক একটা ছবি ফুটে উঠলো । সবাই অবাক হয়ে দেখলো খুব সাধারণ চেহারার একজন মানুষ । নম্র ভদ্র একজন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের মত চেহারা !
রমানুজ বলল, লোকটার নাম সাদেব মাহাতাব । বসিলাতে থাকে । নিজের একটা ছোট খাবারের ব্যবসা আছে । সেটা নিয়েই থাকে ।মানুষের উপরকার করে । কারো কোন ক্ষতি করেছে বলে এমন কোন রিপোর্ট আমাদের কাছে নেই । এমন কি কারো সাথে কোন ঝগরা বিবাদ পর্যন্ত কোন করে নি । এই হচ্ছে ''প্যারামজিদ'' এর আসল লেখক ।
এতো সময় সবাই সাদেব মাহাতাবের নাম চেহারা এবং কাজ কর্ম শুনছিলো । সবার মনে মাহাতাবের জন্য একটা সহানুভূতি কাজ করছিলো । আদতে সে ভাল মানুষই মনে হচ্ছে । কিন্তু যখনই প্যারামজিদের নাম শোনা গেল তখনই সবার মুখের ভাব বদলে গেল ।
বিজ্ঞানের জগতে প্যারামজিদ এক কলঙ্কের নাম ! যখন সব কিছুই বিজ্ঞান ভিক্তিক তখন প্যারামজিদ হচ্ছে চরম অবৈজ্ঞানিক এক গ্রন্থ । এই গ্রন্থে এমন সব কথা বার্তা লেখা আছে যা সরাসরি বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক । বিজ্ঞান অনেক সুত্র প্যারামজিদে অস্বীকার করা হয়েছে । বিজ্ঞান কাউন্সিল অবশ্যই মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কিন্তু যখন সেটা বিজ্ঞানের সাথে সাংর্ঘষিক সেটা বিজ্ঞান কাউন্সিল কিভাবে মেনে নিবে? যখনই বইটা প্রকাশ হল তখনই চারিদিকে জনরোষ তৈরি হল । দেশের বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ বইটাকে নিষিদ্ধের দাবী জানালো । তাদের বক্তব্য যে যদি এই বই তাদের বাচ্চারা পড়ে তাহলে বিজ্ঞানের উপর থেকে তাদের মন সরে যেতে পারে । এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না !
এছাড়া দেশে আছে কিছু উগ্রবাদী বিজ্ঞানমস্ক মানুষ । বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে তারা সামান্য বিরূপ কথা পর্যন্ত শুনতে পারে না । তাদের এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞান কেবল মানুষের কল্যান করেছে । কোন ক্ষতি সাধন করেন নি । তাদের সমানে যদি কেউ বিজ্ঞান বিজ্ঞানের আবিস্কারের ব্যাপারে কোন খারাপ কিছু বলে তাহলে তারা তীব্র ভাবে রেগে যায় । একবার একজন ঈশ্বরে বিশ্বাসী মানুষ তার ফেসবুক স্টাটাসে লিখেছিলো যে বিজ্ঞানের আবিস্কারে এটম বোমা তৈরি হয়েছে যা মানব জাতির ক্ষতি সাধান করেছে । ব্যাস আর যায় কোথায় । তার সেই স্টাটাসে এই বিজ্ঞানমস্কেরা সমানে গালি গালাজ করতে শুরু করলো । কেবল সেখানেই থেমে থাকলো না, কিছু লোক তো তাকে সরাসরি হামলা করে বসলো ছুরি দিয়ে । এই ঘটনা কয়েক বছর আগের । সেই সময়ে সারা দেশে আলোচনার একটা ঝড় উঠেছিলো । তবে দেশের বেশির ভাগ মানুষেরই কেমন একটা প্রছন্ন সমর্থন ছিল এই হামলার ব্যাপারে । তাদের বক্তব্যটা ছিল যে কোন সাহসে একজন বিজ্ঞানের নামে কটু উক্তি করে । যেখানে বিজ্ঞান জীবন এতো সুন্দর এতো সহজ করেছে । সেই লোককে শেষে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে । জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্ননত হলেও অনেক দেশে অবশ্য এই বিজ্ঞানের ব্যাপারটা বাধ্যতামূলক করা হয় নি । অনেকে দেশেই অবশ্য এখনও নয়মীয় ধর্ম বিশ্বাসের ব্যাপারে । তাদের কাছে ব্যক্তিগত ধর্ম বিশ্বাসের সাথে তাদের কোন বিরোধ নেই । বিরোধ তখনই হবে যখন সেটা অন্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে । ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই স্বাধীন !
তবে এই দেশে অনেকের বক্তব্য হচ্ছে মানুষের বিজ্ঞানুভূতি খুব সেন্সেটিভ একটা ব্যাপার । এমন কোন কথা বলা আসলে উচিৎ না যেখানে কেউ মনঃক্ষুন্ন হয় । তাই সবাইকে এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ ।
এরপর প্যারামজিদ বইটা বের হল । সেই বইতে হাস্যকর সব যুক্তি উপস্থাপন করা হল । বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক এমন অনেক কিছুই লেখা ছিল । স্বভাবই দেশের মানুষ আবারও ফুসে উঠলো । বই নিষিদ্ধের দাবী উঠলো । লেখককে গ্রেফতার করার দাবী উঠলো । তবে এখানে লেখক একটা বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছিল । নিজের পরিচয় লুকিয়েই সেই বইটা প্রকাশ করেছিল অনলাইনে । অনেক চেষ্টা করেও তার পরিচয় বের করা গেল না ।
চেয়ারম্যান আদিমান বললেন, আপনি কি নিশ্চিত যে এই সেই লোক ? দেখে তো মনে হচ্ছে না ।
-আমার কাছে শতভাগ প্রমান আছে যে এই সেই লোক ।
-তাহলে কী করা যায় একে নিয়ে !
সভার কক্ষে থাকা একজন বলে উঠলো, স্বাভাবিক । আজই একে গ্রেফতার করা হোক । তারপর আমাদের বিজ্ঞানুভূতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য শাস্তি দেওয়া হোক । ব্যাস ঝামেলা শেষ । একবার যদি একে শাস্তির আওয়ায় আনা হয় তাহলে অন্য কেউ আর বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পাবে না ।
আদিমান বলল, নাহ, আমার মনে হয় এটা করা ঠিক হবে না । যদিও বিজ্ঞানুভূতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য একটা আইন আমাদের কাছে আছে । এই আইনে এই লেখককে শাস্তি দেওয়া যায় । তবে আমি আপনি সবাই জানি যে এই আইনটা করা হয়েছে দেশের বিজ্ঞানমনস্কদের শান্ত করতে । এখন যদি আমরা এটা ব্যবহার করি বিশেষ করে এই ক্ষেত্রে এটা একটা বড় ইস্যু হয়ে যাবে । আপনারা সবাই জানেন সাধারণ মানুষের কিছু অংশ এখনও প্রচলিত বিশ্বাসে বিশ্বাসী । তাদের কথাও আমাদের ভাবতে হবে ।
-তাহলে আমরা কিছু করবো না?
আদিমান হাসল । তারপর বলল, আমরা সরাসরি কিছু করবো না তবে……
-তবে?
-এমন অনেকেই আছে যারা অনেক কিছু করতে পারে…
রমানুজ কিছু সময় তাকিয়ে রইলো চেয়ারম্যান আদিমান আদিবের দিকে । তারপর সেও হেসে ফেলল । তবে মুখ দিয়ে কিছুই বলল না সে । সে ঠিক ঠিক বুঝে গেছে তাকে কী করতে হবে ।
চেয়ারম্যান সভা শেষ করার আগে আরেকবার সবাইকে মনে করিয়ে দিল যে এই সভার ব্যাপারে যে বাইরে কোন কথা না হয় । কেবল মাত্র যারা যারা এই সভায় উপস্থিত আছেন তাদের ছাড়া আর কেউ এইসব ব্যাপারে না জানাই ভাল । এমন কি বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং তার রাজনৈতিক দলের কেউ যাতে না জানে !
সবাই সম্মত হয়ে বের হয়ে গেল সভা কক্ষ থেকে ।
পরিশিষ্টঃ
সাদেব মাহাতাবের কলাপে বিন্দু বিন্দু ঘাম । যদিও গাড়িতে এসি আছে তার পরেও সে ঘামছে । এই ঘাম গরমে নয়, এই ঘাম প্রাণ ভয়ের । তার গাড়িটা এগিয়ে চলছে উত্তর দিকে । সেখান থেকে দেশের বর্ডার ক্রস করার ইচ্ছে তার । তার পরিচয় বের হয়ে গেছে । পুরো ইন্টারনেটে কে বা কারা তার পরিচয় প্রকাশ করে দিয়েছে । সেই বিজ্ঞান মনস্কদের এক্সট্রিমিস্ট গ্রুপটা তার নামে হুলিয়া জারি করেছে । মাহাতাব এখন জানে যে তার পরিচিত মানুষেরাই তার শত্রু হয়ে উঠবে । তাকে পালাতে হবে । পাশের দেশে চলে যেতে হবে । সেখানে গেলে হয়তো কিছুটা নিরাপদ অনুভব করবে সে । অনেক কয় বছর ধরেই সেখানে এক জন রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছে । তার মতই মত প্রকাশ করতে গিয়ে সে হামলার শিকার হয়েছিল। এখন ওখানেই আছে । মাহাবের এখন লক্ষ্য সেখানেই যাওয়া !
মাহাতাব সব সময় বিশ্বাস করে এসেছে মানুষ যে কোন কিছু বিশ্বাস করতে পারে । যতসময় পর্যন্ত সেই বিশ্বাস অন্য একজনের ক্ষতির কারণ না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কোন সমস্যা নেই । কিন্তু যখনই একজন নিজের বিশ্বাস অন্যের উপর জোর করে কিংবা ভয় ভীতি দেখিয়ে চাপিয়ে দিতে চায় তখন থেকেই যত সমস্যার শুরু !
মাহাতাবের নিজের নয় বছরের মেয়ে নিধির মুখটার কথা মনে পড়ছে খুব । মাহাবের স্ত্রী নিতু আর মেয়ে নিধিকে ও রেখে এসেছে ওর মায়ের বাসায় । এখন এক্সট্রিমিস্টিরা ওদের বাসায় হামলা না করলেই হল ! ওকে চলে যেতে হবে, পালিয়ে যেতে হবে । তবে ও নিজের বিশ্বাসকে থেমে যেতে দেবে না । মাহাতাব খুব ভাল করেই জানে ওর মত চাপিয়ে দেওয়া কিছু মেনে নিতে চায় না অনেকেই । ওর মত আরও অনেকেই আছে যারা কেবল নিজের বিশ্বাস নিয়ে বাঁচতে চায় । অন্যের চাপিয়ে দেওয়া কিছু নয় ।
হয়তো প্যারালাল ইউনিভার্সে সত্যি সত্যিই এমন একটা কিছু ঘটছে
ছবি সুত্র। ছবিটি ai দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ।
১৪ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: লেখার জন্য, কোন নির্দিষ্ট বিশ্বাসের জন্য কারো শরীরে আঘাত দেওয়া যাবে না এমন মনভাবের মানুষও হয়তো সেই সময়েও পাওয়া যাবে । হয়তো বলছি কেন, সব সময়ই পাওয়া যাবে ।
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫০
নিমো বলেছেন: হা-হা হা-হা! যে কোন মতবাদ-আদর্শ আরও যা যা নামে ডাকা যায় সবই হচ্ছে Mirror_of_Erised।
১৪ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: যে যেমন ভাবে যা দেখে
৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫৫
মোগল বলেছেন: অপু তানভীর বুদ্ধিমান হইয়া যাইতেছে।
১৪ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: আমি আগের মতই বোকা আছি
৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: বহু বছর আগে "এবসেন্ড মাইন্ড প্রফেসর" নামে একটা মুভি দেখেছিলাম- এই পোস্ট পড়ে সেই কাহিনীর কথা মনে পড়লো।
১৪ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: মুভিটা দেখা হয় নি । সেই মুভির কাহিনী কেমন ছিল ?
৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখাটা খুব বেশী ভালো লাগলো না।
আসলে বলা উচিত, শুরুর দিকে যে আশা তৈরি হয়ে ছিল, শেষটায় তা পূরন করতে পারে নি।
১৪ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:০২
অপু তানভীর বলেছেন: হয়তো আরও একটু বেশি লেখা দরকার ছিল তবে লিখতে আমার মনে হয়েছে এই টুকুই থাকুক !
মতামতের জন্য ধন্যবদ । ভাল থাকুন সব সময় !
৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫৬
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: সাইন্স আর ধর্ম তো আলাদা জিনিস না। আমরাই দুইটাকে দুই রকম ভাবি।
১৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৪
অপু তানভীর বলেছেন: আপনি এক রকম মনে করেন অন্য জন আরেক রকম । ঝামেলা বাঁধে যখন একজন অন্য জনকে নিজের মনভাব জোর করে খাওয়াতে চায় !
৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৯
খাঁজা বাবা বলেছেন: দুটি বিষয় ভাইস ভার্সা করা হয়েছে বর্তমান ও ভবিষ্যতের সাথে।
আসলেই কি একটা আর একটার তুলনা বা পরিপূরক?
১৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৬
অপু তানভীর বলেছেন: একে অন্যের সাথে পরিপূরক করানোর চেষ্টা করা হয় নি আসলে । এইটাই বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যদি একটা গ্রুপের সাথে ঠিক তেমন আচরণ করা হয় যেটা তারা বর্তমানে অন্য গ্রুপের সাথে করছেন । তাহলে পরিস্থিতিটা কেমন হত !
৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০৬
কামাল৮০ বলেছেন: বিজ্ঞান মনস্করা ছুরি নিয়ে আক্রমন করেছে?বিজ্ঞানের যা কিছু খারাপ ব্যবহার সেটা বিজ্ঞান করেনি,করেছে মানুষ এবং তারা বিজ্ঞানী না। সবথেকে ভালো লেগেছে,অন্যের ক্ষতি না করে যার যা বিশ্বাস করা করুক।যার যা লিখার আছে লিখুক।
১৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: প্যারালাল ইউনিভার্সে কী হবে কিংবা হচ্ছে সেটা তো আর বলা যায় না । তবে হ্যা ছুরি নিয়ে হয়তো আক্রমন করবে না । ওরা তখন অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করবে ! ছুটি চাপাতি অন্য একটা গ্রুপের জন্যই বরাদ্দ থাকুক !
এটাই হচ্ছে মুল কথা । আমি যা ইচ্ছে লিখতে পারি যত সময় না সেটা অন্য কারো ক্ষতি হচ্ছে । একজন যেমন বিশ্বাস করতে পারে সব কিছু উপরওয়ালা সৃষ্টি করেছেন তেমন অন্য আরেকজন সেই বিশ্বাসকে অবিশ্বাস করতে পারেন । এতে কোন সমস্যা নেই । কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি তখনই হয় যখন একটা গ্রুপ অন্য গ্রুপের উপরে নিজের মনভাব চাপিয়ে দেয় ভয় ভীতি দেখিয়ে বিশ্বাস করাতে চায় ! জগতের সকল সমস্যা আসলে তখনই শুরু হয় !
৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১৯
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। হিজিবিজি লাগছে, পরে ঠান্ডা মাথায় আবার পড়বো
১৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: তালগোল পাঁকাবে না । ঠান্ডা মাথায় আরেকবার পড়ুন । পড়ার সময়ে বর্তমান সময়ের অন্য সব কিছু এক পাশে সরিয়ে রাখবেন তখনই দেখবেন যে তালগোল পাঁকাবে না ১
১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১৬
জ্যাকেল বলেছেন: রিভার্স গেইম!
১৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩১
অপু তানভীর বলেছেন: প্যারালাল ইউনিভার্স যেহেতু ! রিভার্স হওয়াটা বিচিত্র কিছু না !
১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:৪১
সোহানী বলেছেন: হুম প্যারামজিদ পড়ার পর লালসালুর কথা বার বার মনে হচ্ছিল।
আসল সত্যটা হলো, আমরা এতো বেশী হতাশ যে কিছু একটা আঁকড়ে ধরতে চাই। আর এ সুযোগটা নিয়েছে মজিদরা।
খুব দু:খ নিয়ে থাকি দেশের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৭
সাসুম বলেছেন: সেই ইউনিভার্সের সেই সালে কিছু মানুষ নামক প্রাণী থাকবে। যারা জ্ঞান বিজ্ঞান ভিত্তিক সমাজের অন্যতম পুরোধা এবং সমাজের যে কারো বাক স্বাধীনতাতে বিশ্বাস করে।
হোক সেটা মহা পরাক্রমশালী রয়াল সায়েন্স সোসাইটির হেড বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে লিখা কিংবা বিজ্ঞান যে একটা হোয়াক্স এটা লিখা।
মোদ্দা কথা লেখার জন্য কারো গায়ে হাত তুলবে, কারো কল্লা ফেলে দিবে এমন সব লজিকে তারা বিলিভ করেনা।
তারা প্যারামজিদ এর উপর এই আক্রমণ এর প্রতিবাদ জানায়, এবং বাক স্বাধীনতা রক্ষায় আজীবন লড়াই করে যায়।
প্যারা মজিদ রা একা নয়, তাদের লিখার স্বাধীনতা আর বাক স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এখনো অনেক মানুষ লড়াই করছে।
এই লড়াই হাজার বছর ধরে চলা লড়াই।
প্যারা মজিদ দের প্রতি এমন অবিচারের প্রতিবাদ জানাই