নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কদিন আগে ব্লগার সোনাবীজ ভাইয়ের ''কিছু অপ্রচিলত বা অর্ধ-প্রচিলত খাবার'' শীর্ষক পোস্টে একটা মন্তব্যের প্রতি উত্তরে তিনি জানতে চেয়েছিলেন আমার উস্তা ভাজি খাওয়ার কথা । উত্তরটা সেখানেই লিখতে যাচ্ছিলাম কিন্তু পরে মনে হল এটা নিয়ে আলাদা একটা পোস্ট দেওয়া যায় । কারণ প্রথম উস্তা ভাজি খাওয়া নিয়ে অভিজ্ঞতাটা আমার এখনও মনে আছে বেশ । সেই কথাই আজকে লেখা যাক !
ছোট বেলা থেকে আমি শাক সবজি একদম খেতাম না । খেতাম না বলতে একদমই না । ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত আমি লালশাক, আলুভাজি আর আলু ভর্তা ছাড়া আর কোন সবজি খাই নি । চিংড়ির সাথে ঝিঙ্গে থাকলে একটু খেতাম । এই হচ্ছে আমার সবজি খাওয়া লিস্ট । এর বাইরে আর কিছু না । সেখানে উস্তা ভাজি খাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না । তবে একদিন ঠিকই আমাকে খেতে হয়েছিলো এই জিনিস !
তখন আমি সম্ভবত ক্লাস এইটে পড়ি । আমাদের স্কুল তখন চলতো বিকাল চারটা পর্যন্ত । স্কুল থেকে সরসরি চলে যেতাম গিয়াস স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়তে । পড়া শেষ করে তারপর বাসার ফিরতাম । তারপর হত খাওয়া দাওয়া ! যথারীতি সেদিনও স্কুল থেকে পড়তে গিয়েছি । অন্যান্য ছাত্ররা তখনও আসে নি । আমি বসে রয়েছি স্যারের পড়ানোর ঘরে। এমন সময় দেখলাম স্যার এলেন । তিনিও সবে মাত্রই স্কুল থেকে এসেছেন । আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, এই এসো আমার সাথে । আমি বাধ্য ছাত্রের মত স্যারের সাথে স্যারের ঘরের ভেতরে ঢুকলাম । স্যার আমাকে সোজা রান্না ঘরে নিয়ে গেলেন । সেখানে পাটি পাতা আর দুইটা প্লেট । স্যার বসে পড়লেন । আমিও স্যারকে অনুসরন করলাম । স্যার নিজেই আমার প্লেটে ভাত বেড়ে দিলেন । তারপরই আসলো সেই খাবার । দেখলাম স্যার স্ত্রী প্রথমে এক বাটি উস্তাভাজি নিয়ে এলেন । আমি কেবল চুপ করে তাকিয়ে রইলাম সেদিকে । স্যারকে যে বলব আমি এই বিদঘুটে জিনিস খাই না কিন্তু বলতেই পারলাম না । আসলে আমি একটু কম কথা বলতাম সব সময় । স্যার গল্প করছেন আর নিজ হাতেই আমার প্লেটে ভাজি তুলে দিচ্ছেন । আমি চুপচাপ সেই ভাজি ভাতের সাথে মাখিয়ে মুখে পুড়লাম জীবনের প্রথমবারের মত । তেতো একটা স্বাদ মুখের ভেতরে ছড়িয়ে পড়লো । সত্যি বলতে ওমন বিদঘুটে জিনিস আমি তখনও খাই নি । কত কষ্টে সে সেই ভাতের নলা গলা দিয়ে নামলো সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না । বাকি ভাজি টুকু যে কিভাবে শেষ করেছিলাম সেটা আমি বলতে পারবো না । আমার কেবল মনে হচ্ছিলো আমার নাড়ি ভুড়ি সব বের হয়ে আসবে তখনই ।
অর্ধেক খাওয়ার পরেই স্যার বলল, আচ্ছা আাবর উস্তা ভাজি খাও তো ! অনেকেই আবার খায় না ! আমার আবার অনেক প্রিয় !
আমি স্যারের দিকে তাকিয়ে একটু কষ্টের হাসি হাসলাম কেবল ! পরে অবশ্য আরও তরকারি এসে হাজির হল , রুই মাছ তারপর দেশী মুরগি ছিল । তবে মুখের যে তেতো ভাবটা তখন ছিল তাতে অন্য কোন খাবারই আমার আর মুখে স্বাদ নিয়ে আসতে পারলো না !
এই কথা যখন পরে আমি আমার মাকে বলেছিলাম তখন সে যেন আকাশ থেকে পড়লেন । আমি যে উস্তা ভাজি খেয়েছি এই কথা সে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না ।
এখানে একটা কথা বলে রাখি । গিয়াস স্যার আমাকে অনেক আদর করতেন । তার সাথে ইংরেজি শিখতে যেতাম । তার শেখানো ইংরেজির কারণেই ইংরেজিটা বেশ ভাল ভাবে শিখতে পেরেছিলাম ।, ভাল ভিত গড়েছিল যা এখনও আমার জন্য একটা আশীর্বাদ স্বরূপ !
এরপর আরও অনেক দিন আমি এই উস্তা ভাজি ভাজির দিকে যাই ই । তবে আমাকে আবারও উস্তা ভাজি খেতে হল ২০২০ সালের দিকে । তখন আমি নিজেই রান্না করে খেতাম ! লক ডাউনের কারণে বাইরে বের হওয়ার উপায় নেই । তৎকালীন প্রেমিকা যখন জানতে পারলো যে আমি উস্তা ভাজি খাই না, তখন সে আমাকে জোর করেই এই জিনিস খাওয়ার জন্য নানান ফন্দি ফিকির করতে লাগলো । এবং একবার সফলও হয়ে গেল । অবশ্য এইবার উস্তা ভাজিটা অতোটা খারাপ হয়েছিলো না । বিশেষ করে তেতো ভাবটা ছিল না । আমি যখন উস্তা কাটছিলাম তখন সে আমাকে ফোনে ইনস্ট্রাক্শন দিচ্ছিলো যে কিভাবে কী করতে হবে তাহলে আর তেতো লাগবে না ! কাজ কর্ম শেষ করে যখন দুপুরে খাওয়া শুরু করলাম তখন সত্যিই মনে হল যে জিনিসটা খেতে আসলে অতোটা খারাপ না !
তারপর থেকে অবশ্য এখন প্রায়ই আমার উস্তা ভাজি ভাজি খাওয়া হয় । মূলত দুপুরের একটা সবজি হিসাবে লালশাক থাকে সব সময় । যদি কোন কারণে এই লালশাক না থাকে এই উস্তা ভাজি চলে । রাতে প্রায়ই দিনই উস্তাভাজি খাই এখন । এটা শরীরের জন্য বেশ চমৎকার একটা খাবার ।
আমাদের এলাকাতে করোলাকে উস্তাই বলে । শুদ্ধ করে এটার উচ্চারন হবে উচ্ছে । গ্রামের মানুষের মুখে উচ্ছে উচ্চারণটা আমি খুব কমই শুনেছি ।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৫
অপু তানভীর বলেছেন: আর বইলেন না আপু তখন যে কী মাইনকা চিপায় ছিলাম তা আর বলার মত না । কিভাবে সে এই বিদঘুটে খাবার খাওয়ানোর জন্য আমাকে রাজি করিয়েছিল সেি গল্পই তো বললামই না । বললে আপনে একটা না দুইতিনটা হাহা দিতে চাইতেন !
তবে হ্যা এই কথা আসলে বলতেই হবে যে আমার হেলদি লাইফ স্টাইলের ব্যাপারে সে সচেতন ছিল । ডাক্তার ছিল না স্বাস্থ্য সচেতন তো থাকবেই !
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৮
মিরোরডডল বলেছেন:
উস্তা নামে চিনিনা ।
করলা আর উচ্ছে ভাইবোন ।
বড়টা করলা আর ছোটটা উচ্ছে
খুবই মজার খাবার ।
আলু করলা চিংড়ি দিয়ে ভাজা ইয়াম ইয়াম !
এটা নিয়ে আমারও মজার গল্প আছে, বলবো তানভী ?
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৬
অপু তানভীর বলেছেন: উচ্ছে আর উস্তা আসলে একই উচ্চারণ । আমরা গ্রামের দিকে এইটাকে উস্তাই বলি ।
আমার কাছে এই জিনিস মোটেও মজার লাগে না গো ! বিশেষ করে তেতো ভাবটার জন্য । তবে এখন খাই যদিও নিয়মিত !
আপনার গল্প জলদি বলে ফেলেন দেখি । দেরি করবেন না একদম !
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪০
মিরোরডডল বলেছেন:
মনিপু বলেছে, তৎকালীন কন্যার কাছে তাহলে আপনি ঋণী হয়ে আছেন, হেলদি লাইফ স্টাইলের জন্যে।
এই পোষ্ট থেকে আমরা কি জানলাম মনিপু ?
মানুষ প্রেমে পড়লে কতো কাহিনী করে !!!
অপ্রিয় করলা ভাজিও তখন প্রিয় মনে হয়
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৮
অপু তানভীর বলেছেন: এই প্রেমের কারণে কত কিছু করেছি তার কোন ঠিক নাই । এই করলা ভাজি তো অতি সামান্য একটা ব্যাপার । আরও কত কিছু যে আছে । আস্তে ধীরে বলা যাবে !
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৮
রায়হান চৌঃ বলেছেন: আমার বাঁকি সব রান্না ই ভালো বলতে পারেন, তবে এই উস্তা / করলা ভাজা আমার দ্বারা হয় না কোন ভাবেই। ভহুবার চেষ্টা করেছি কিন্তু এটা ভাজা + ভর্তা দুই মিলে যা হয়, আমার টা ও ঠিক তা ই , কোন ভাবে ই এটা কে ভাজা বলা যায় না, বরং ভর্তা বল্লেই ভালো মানায়
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: ভর্তা হোক কিংবা ভাজি এটা পেটে গেলেই হল । স্বাস্থ্যের জন্য এটা বেশ ভাল । চোখ কান বুঝে খেয়ে ফেলবেন । কোন চিন্তা নাই ।
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৮
জুন বলেছেন: উচ্ছে বা করল্লা আমাদের মা বাবা উভয় পরিবারেই এক প্রিয় খাবার। তবে আমার ভাইয়ের ছেলে আমাদের সবাইকে বিট দিয়েছে। ও যখন থেকে ভাত খাওয়া শিখেছে তখন থেকেই তার প্রিয়। এখন তো টেবিলে ওর সামনে বাটিতে থাকলে পুরোটাই ঢেলে নেয় আর কারো কথা চিন্তা করে না। ছোট বেলায় বিলতো ওর বিয়ের সময় যেন ঐসব বিরিয়ানি ফিরিয়ানী রোস্ট মোস্ট না দিয়ে শুধু ভাত আর করল্লা ভাজি দেয়
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: ছোট থেকে কারো এই তেতো খাবারটা পছন্দের হতে পারে ! সিরিয়াসলি ?
আপনার ভাইয়ের ছেলের সাথে একদিন দেখা করতে হবে । আসল রহস্য জানতেই হবে !
এখনও আমি যখন করল্লা ভাজি ভাই তখন সেই আগের মনভাবটা ফিরে ফিরে আসে তবে পুষ্টিগুণের কথা চিন্তা করে খেয়ে ফেলি !
তাকে রোস্ট আর করোলা দিয়ে একবার রান্না করে দিয়েন তো ! কেমন হয় ব্যাপারটা দেখা দরকার ।
৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
করলা (বড় টা) ভাজি এখন আমি খাই। উস্তা (ছোট তিতাটা) আমি খাই না।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: আমিও এখন খাই । তবে খুব যে পছন্দ করে খাই সেটা না । খেতে হয় তাই খাই ।
৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৫
মিরোরডডল বলেছেন:
মায়ের হাতের করলা ভাজি খুব মজা হয় ।
এখন আমি নিজেও করতে পারি, কিন্তু একটা সময় ছিলো নিজের হাতে করা হয়নি কিন্তু অন্যকেউ করে দিলে খেতাম ।
একবার আমার বোন আর তার হাজব্যান্ড এসেছে ।
বোনের কাছ থেকে জেনে নিলাম তার হাবি কি কি খেতে পছন্দ করে ।
তারপর সেগুলো সব রান্না করলাম ।
খাওয়ার সময় জানতে চাচ্ছি এটা ওটা কেমন হয়েছে ।
তুলে তুলে দিচ্ছি, ওরা খাচ্ছে ।
চিংড়ি দিয়ে মচমচে করলা ভাজি ঝরঝরে গরম ভাতের সাথে নিশ্চয় ভালো লাগবে ।
বললাম, শুনেছি তুমি করলা লাইক করো, কেমন হয়েছে খেতে ?
ওরা হাজব্যান্ড ওয়াইফ একজন আরেকজনের দিকে তাকায়, আবার টেবিলের দিকে তাকায় ।
কিছুটা বিস্মিত,খানিকটা বিব্রত হয়ে আমার কাছে জানতে চায়, করলা ভাজি কোথায় ? খাইনিতো !
আমি সামনে এগিয়ে দিলাম । এইযে, এটা খেয়েছোতো ।
তখন ওরা অবাক হয়ে বলে, এটাতো করলা না, এটা কাঁকরোল ।
আমার অস্থির স্বভাবের জন্য প্যাকেট পড়ে দেখিনি কি লেখা, করলার মতো ছবি দেখেই নিয়ে এসে রান্না করে দিলাম ।
কিন্তু কি যে দিচ্ছি সেটা চিনতে পারিনি, দেখতে অনেকটা একইরকম ।
প্যাকেট আর কিনিনা , ফ্রেসটা দেখে কিনে আনি, অবশ্যই বড়টা ।
এখন আর প্রিয় করলা চিনতে ভুল হয়না
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: কাকরোলটাও অবশ্য করোলা গোত্রেরই বলা চলে । বলা যায় দুঃসম্পর্কের ভাই । একটু কেটে কুটে রান্না করলে টের পাবে না অনেকে ! তবে যাক কাকরোলই নিয়ে এসেছিলেন অন্য কিছু আনেন নাই !
আমার মায়ের হাতের সব রান্না মজার হলেও এই উচ্ছে আমি কোন দিন খাই নি । এমন কি এখনও বাসায় গেলে এই জিনিস খাই না । ঢাকায় কিভাবে খাই জানি না তবে বাসায় গেলে খাওয়া হয় না একদম !
৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ রে রে রে! লগিন না করে পারলুম না। প্লাস দিয়ে নিলুম আগে, তারপর আরো মন্তব্য নিয়ে আসছি
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার পোস্টেই মন্তব্যটা অনেক খানি লিখেছিলাম । তারপরই মনে হল বড় মন্তব্য না করে বরং এটা দিয়ে আলাদা একটা পোস্ট করা যাক !
৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মিরোরডডল বলেছেন:
মনিপু বলেছে, তৎকালীন কন্যার কাছে তাহলে আপনি ঋণী হয়ে আছেন, হেলদি লাইফ স্টাইলের জন্যে।
এই পোষ্ট থেকে আমরা কি জানলাম মনিপু ?
মানুষ প্রেমে পড়লে কতো কাহিনী করে !!!
অপ্রিয় করলা ভাজিও তখন প্রিয় মনে হয়
হাহাহা , সেই গাছে তোলার মত
আবার দেখ উত্তর লিখেছে , ডাক্তার ছিল যে !
আচ্ছা বল তো আমাদের কি ট্যালি বুক আছে যেখানে অপূর্ব প্রেমিকাদের হিসাব লেখা হয় ?
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫০
অপু তানভীর বলেছেন: আপু বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না তবে একটা ট্যালি বুক আমার সত্যিই ছিল । সেখানে আমি সব প্রাক্তন ক্রাশদের নাম ঠিকানা মোবাইল নম্বর লিখে রাখতাম । তারপর অবশ স্মার্ট ফোন যুগ চলে এল । সব খাতা কলম ডায়েরি হারিয়ে ফেল । নয়তো হয়তো এখনও থাকতো সেই ট্যালি বুক টা !
১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: * সরি অপু' র প্রেমিকা হবে
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: মেনশন নট !
১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪১
মিরোরডডল বলেছেন:
হাহাহা , সেই গাছে তোলার মত
আবার দেখ উত্তর লিখেছে , ডাক্তার ছিল যে !
আচ্ছা বল তো আমাদের কি ট্যালি বুক আছে যেখানে অপূর্ব প্রেমিকাদের হিসাব লেখা হয় ?
হা হা হা হা ……………
মনিপু, তানভী যতগুলো প্রেম করেছে, মনে হয়না কোন প্রফেশন বাদ গেছে ।
স্বাস্থ্য সচেতন, অচেতন সবই থাকার কথা
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৫
অপু তানভীর বলেছেন: না না এখনও বাদ আছে । আমার এবার একটা ইঞ্জিনিয়ার কন্যার সাথে প্রেম করার বড় শখ । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমার ধারে কাছের বয়সের সকল কন্যাদের বিয়ে হয়ে গেছে ! কিভাবে কী হবে বুঝতে পারছি না !
১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: করল্লা হোক, আর উচ্চে হোক -দুটোই আমার পছন্দের খাবার। করল্লা যত রকম রান্না হয় সবই আমি খাই। আমি সকালে খালি পেটে করল্লার জুস খাওয়া পাবলিক। এযে কিছুক্ষণ আগেই লাঞ্চে করল্লা ভাজি খেলাম।করল্লা হোক, আর উচ্চে হোক -দুটোই আমার পছন্দের খাবার। করল্লা যত রকম রান্না হয় সবই আমি খাই। আমি সকালে খালি পেটে করল্লার জুস খাওয়া পাবলিক। এযে কিছুক্ষণ আগেই লাঞ্চে করল্লা ভাজি খেলাম।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৭
অপু তানভীর বলেছেন: আমি এইটা খুব খেয়াল করে দেখেছি যে যাদের একটু বয়স একটু বেশি তাদের কাছেই এই খাবারটা অনেক প্রিয় । আমি যখন আমার বাবা কে এই ভাজি খেতে দেখতাম তখন ভাবতাম মানুষ এই জিনিস খায় কিভাবে । সেই বসয়ে আমি এই খাবার একদমই খেতাম না । কিন্তু এখন এই বয়সে আমি খাচ্ছি প্রায়ই । হয়তো দেখা যাবে আর ৫/৭ বছর পরে আমারও অনেক প্রিয় খাবার হয়ে গেছে এটা !
১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমরা প্রাইমারি স্কুল থেকে কেবল হাইস্কুলে গিয়ে ক্লাস সিক্সে ভর্তি হয়েছি, সেই সময়ের কথা।
আমি এখনকার চাইতে ছোটোবেলায় আরো বেশি শান্ত, ভদ্র, বিনয়ী ছিলাম, যদিও মা এবং ভাইবোনদের সাথে একটু বেশি বাড়াবাড়ি করতাম। তো, কী কারণে যেন একবার ক্লাসে একটু দুষ্টুমি করে ফেললাম আর ধরা খেলাম এক টিচারের কাছে। কী করেছিলাম মনে নেই, কিন্তু শিক্ষকের কাছে একেবারে ত্যাঁদড়ের হাড্ডি হিসাবে চিহ্নিত হয়ে গেলাম - এমনই এক ছাত্র, যে লেখাপড়া জানেও না, করেও না, একেবারে ডান্ডিবাই টাইপ। স্যার ততদিনে কয়েকটা ছাত্রকে ভালো ছাত্র হিসাবে চিনে ফেলেছেন, আর মূলত আমি অন্য সেকশনের ছাত্র, ঘটনাক্রমে কয়েকদিন ধরে দুই সেকশন একত্রে চালানো হচ্ছে, আর স্যার আমাকে চেনেনও না।
জাস্ট তার পরের দিন। ক্লাস ফাইভের বৃত্তি পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। স্যার ক্লাসে এসে জিজ্ঞাসা করলেন কে কে বৃত্তি পেয়েছে। অন্য একটা ছেলের সাথে যেই মাত্র আমি দাঁড়িয়েছি (আমরা দুজন বৃত্তি পেয়েছি)- স্যরা হয়ত বলতে চাইছিলেন - এই বেয়াদব, তুই বস, তা না বলে খুব অবাক হয়ে টেনে টেনে জিজ্ঞাসা করলেন - ও, তুইও বৃত্তি পাইছস? তার বিশ্বাসই হচ্ছিল না, বান্দরে আবার বৃত্তি পায় কেমনে?
মূল কথায় আসি। স্যার এখন আমাদের খবরাখবর নেয়া শুরু করলেন। প্রথম প্রশ্ন - আজকে তুই ভাত খাইছস কী দিয়া?
আমি আদতেই ভুলে গিয়েছিলাম কী দিয়া ভাত খাইছিলাম, তার উপর স্যারের ভয়েও এমনিতেই কাবু হইয়া গেছি - মুখ ফস্কে বলে ফেললাম - স্যার, পাটশাক দিয়া ভাত খাইছি।
সারা ক্লাসে হাসির রোল। স্যার এটাও সম্ভবত বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, পাটের আবার শাক হয় নাকি, এবং পাটের শাক দিয়া আবার ভাতও খাওয়া যায় নাকি?
অন্য ছেলেটাকে জিজ্ঞাসা করা মাত্র উত্তর দিল - স্যার, ইলিশ মাছ দিয়া ভাত খাইছি। পরে তাকে জিজ্ঞাসা করলে বলেছিল, পুঁটিমাছ দিয়া ভাত খাইলে কি পুঁটিমাছের কথাই বলতে হবে নাকি? - এ ধরনের কিছু, অত মনে নাই। অর্থাৎ, সে ইলিশ দিয়া খায় নাই, সেটা শিওর।
আমার মূল পোস্টে বলেছিলাম, আমি করলা বা উচ্ছে ভাজি খাওয়া শিখি আমার স্ত্রীর বাড়িতে। ছোটোবেলা থেকেই বাসায় করলা/উচ্ছে ও পাটশাক রান্না করা হতো। উচ্ছে তো অবশ্যই, পাটশাকও ডালের সাথে রান্না করতো আমার মা, এবং মা-বাবা, দাদিরা সেই ডালের পাটশাক বা ডালের উচ্ছে খুব মজা করে খেত, আর ওগুলো দেখলে আমার উটকি আসতো (উটকি মানে বমি শব্দটা কাজে লাগাইলাম)। অনেক জোরাজোরি করলে হয়ত একটু-আধটু মুখে দিতাম, কিন্তু মেইন কারি হিসাবে উচ্ছে বা পাটশাক আমি কখনোই খাই নি বিয়ার আগে, প্রয়োজনে না খেয়ে মারা যাব, অনশন করবো, কিন্তু ওগুলো আমি মুখে দিব না।
ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারতো। না, আরো ইতিহাস আছে।
আমার স্ত্রীকে দেখি প্রায়ই বাজার থেকে পাটশাক কিনিয়ে আনে। পাটশাক নাকি তার কাছে খুবই মজার লাগে। আর এই পাটশাক দেখে একদিন আমি স্বপ্নে দেখলাম - পাটপঁচা পানির গন্ধে আমি টিকতে পারছি না (যদিও আমাদের খেতের পাট পানিতে জাগ দেয়া, ধোয়ার কাজ আমি অনেক করেছি)। আমি স্ত্রীকে বললাম, টেবিলে আমার সামনে যেন পাটশাক না দেখি
ঘটনা শেষ হলো না। একদিন রান্নাঘরে দেখি ছোটো ছোটো পাটশাকের আঁটি। আনইউজুয়াল সাইজ। যে লোকটা এগুলো কিনে এনেছে, সে জানালো - আজকাল পাটশাকের চাষ হয়, আলাদা সবজি বাগানে এ চাষ হয়। আমি কোন্ জগতে বাস করছি, তাজ্জব হইয়া ভাবতে থাকলাম।
শিক্ষকের কথায় আবার আসি। যে ছেলে পাটশাক খায় না, নামও পর্যন্ত শুনতে পারে না, সেই আমি কেন বলেছিলাম পাটশাক দিয়ে ভাত খেয়েছি, তা বেশ রহস্যময়। অন্তত বলতে পারতাম, কাঁচা মরিচ আর পেঁয়াজ দিয়ে পান্তা খেয়েছি, তবুও মান সম্মান রক্ষা হতো কিন্তু পাটশাকের কথা কেন বললাম? যদি পাটশাক আমার প্রিয় হতো, তবুও একটু সান্ত্বনা দিতে পারতাম নিজেকে, যেহেতু খেয়ে অভ্যস্ত, কাজেই বলে ফেলাটাও দুরস্ত, আমি যা খাই না, খাই নি, তার কথা কেন বললাম?
কয়েক বছর আগে এ ঘটনা নিতে ফেইসবুকে আলাপ হচ্ছিল। কিছু ছাত্র এখনো মনে রেখেছে আমার সেই পাটশাক দিয়ে ভাত খাওয়ার কথা
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৫
অপু তানভীর বলেছেন: স্কুল কলেজে আমি অবশ্য সব সময় ভদ্র হয়েই থাকতাম । বলা যায় সব থেকে ভদ্র ছেলেদের তালিকা করলে আমার নাম সেখানে আসবে । স্যারেরা এই নামেই চিনতো । তবে একদিন আমিও একটা ছেলের সাথে খানিকটা মারামারি করেছিলাম । স্যারের কাছে রিপোর্ট গেলেও স্যার আমাকে কিছু না বলে সেই ছেলেটাকে প্যাদানী দিয়েছিল ।
আপনার পাট শাক আর করলা ভাজি খাওয়ার গল্প কিন্তু অনেকটা আমার মতই । আমিও বাসায় কোন দিন করলা খাই নি । এমন কি এখনও বাসায় গেলে আমি এই জিনিস খাই না । বাসায় রান্না হলেও না । আমি যখন বাসায় বলি যে আমি করলা ভাজি খাই কিংবা আমি রান্না করেও খেয়েছি তারা কোন ভাবেই বিশ্বাস করতে চায় না ।
তারপর দেখেন আপনি খাওয়া শুরু করলেন আপনার স্ত্রীর হাত দিয়ে আমিও ঠিক তেমনই খানিকটা । যদিও সে বউ না তবে সম্ভাব্য বউ ছিল আরকি । তার কাছেই খাওয়া শুরু হয়েছে । আসলে পুরুষ মানুষের জীবনই এই রকম । সব পুরুষ মানুষই এই এক জায়গাতে ঠিক ঠাক ধরে খেয়ে যায় । এখানে কোন কিছুই খাটে না !
শেষ কথা হচ্ছে আপনি সত্যিই কেন পাটশাক খাওয়ার কথা বলেছিলেন বলেন তো ! ঐদিন যা খেয়েছিলেন সেই কথা বললেও হত । বরং সেটা বললেই যুক্তিযুক্ত হত কিন্তু যেই জিনিস আপনি একদম পছন্দই করেন না সেই সময়ে সেই খাবারের নামটা মাথায় আসলো কেন ! এটা আসলেই একটা চিন্তার ব্যাপার !
১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হা হা হা হা ……………
মনিপু, তানভী যতগুলো প্রেম করেছে, মনে হয়না কোন প্রফেশন বাদ গেছে ।
স্বাস্থ্য সচেতন, অচেতন সবই থাকার কথা
শিশু শিশু প্রতি শিশু
বাদ যাবে না কোন প্রফেশনের কন্যা !
আর বাদ যদি যেয়ে ও থাকে, আমরা বড় আপুরা কি ঘাস কাটি ?
ঘরে ঘরে দুর্গ থুক্কু ব্লগে ব্লগে সবদিকে খোঁজ নিয়ে সেই কোটা ফিলাপ করবো।
উখে ...।।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৮
অপু তানভীর বলেছেন: আমিও ঠিক একই মনবাদে বিশ্বাসী । বাদ যাবে একটা শিশু !
যতদিন না প্রতিটি কোটা পূর্ন হচ্ছে ততদিন সংগ্রাম চলবে !
১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ডায়াবেটিস পেশেন্টের জন্য সকালে করলার জ্যুস খুব উপকারী, যদিও আমি খাই নি কখনো। বানানোর প্রক্রিয়া খুব জটিল।
আপনার তদান্তীন প্রেমিকার প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম রহিল, যিনি আপনাকে করলা খাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন। এজন্যই কবি গাহিয়াছেন :
প্রেমিকারা কভু খায় নি কো একা করলা উচ্ছে ভাজি
প্রেমিকরে আগে খাওয়ানো শিখাইয়া ডেকে আনিয়াছে কাজী।
উচ্ছের স্বাদ করলার চাইতে বেটার। এজন্য দেখবেন, করলা ৬০ টাকা কেজি, আর উচ্ছে ৮০-১২০ টাকা কেজি।
তবে, অধুনা বাজারে নানা জাতের করলা আর উচ্ছের ভার্সন দেখা যায়; তাতে কিছু উচ্ছের সাইজ বড়ো হয়েছে, আর কিছু করলার সাইজ ছোটো হয়ে উচ্ছের পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মনে হয়। প্রকৃত ঘটনা কী, তা জানিতে হইবে।
উস্তা ভাজি রান্নার একটা শাশুড়ীয়/স্বস্ত্রীয় পদ্ধতি বলছি। প্রথমে উস্তা ধুয়ে পানি ঝেড়ে ফেলে শুকনো করে কাটতে/কুটতে হবে। উস্তার সমান পেঁয়াজ লাগবে, অর্থাৎ, উস্তা ও পেঁয়াজের অনুপাত হবে ১ : ১। পেঁয়াজের সাথে ছোটো ছোটো টুকরো করে কিছু আলু। কড়াইতে তেল নিয়ে শুকনা মরিচ, রঁসুন ভাজতে হবে, একটু পর পেঁয়াজ ঢেলে দিতে হবে। পেঁয়াজের রঙ একটু বাদামি হওয়ার পর উস্তা ছেড়ে দিতে হবে। এতে কিন্তু কোনোভাবেই পানি দেয়া যাবে না। হলুদ দেয়া যাবে না। উস্তার রঙ সবুজ থাকবে। উস্তা নরম হয়ে গেলে কড়াই নামিয়ে ফেলুন।
উচ্ছে হলো বইয়ের শব্দ, শুদ্ধ। উস্তা আঞ্চলিক বা মৌখিক শব্দ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৪
অপু তানভীর বলেছেন: আমার তৎকালীন প্রেমিকা মোটেই আমাকে অনুপ্রাণীত করে নাই । এটাকে অনেকটা জোর জবরদস্তি বলে । জানেনই তো প্রেমিকা জাতি তাদের সকল প্রকার বল প্রয়োগ করে অসহায় প্রেমিকদের উপর। এই খানেও ব্যাপারটা ঠিক তেমনই ছিল । আর যখন আরও জানতে পেরেছিলো যে আমি এই জিনিস পছন্দ করি তখন খেতে হবে মানে খেতে হবেই । তাও আবার নিজে রান্না করেই খেতে হবে !
করলার জুস আমি দেখেছি । আমাদের এখানে একটা শরবতের দোকান আছে । আমি প্রায় সেখান থেকে বেলের শরবত খেতাম । সেখানে দেখেছি । আমার কোন দিন সাহস হয় নি এই জিনি মুখে নেওয়ার !
করলা থেকে উচ্ছে কিন্তু একটু তেতো বেশি । করলাকে ঠিক ভাবে প্রোসেস করলে তেতো ভাবটা অনেকটাই কেটে যায় কিন্তু উচ্ছে থেকে এই তেতোভাবটা কাটানো যায় না বললেই চলে ।
আপনার রেসিপিটা নিয়ে রাখলাম । যদি আবার রান্না শুরু করি চেষ্টা করা যাবে ।
আমি সারা জীবন আসলে উস্তা কিংবা উইস্তে বলেই এসেছি । আমাদের এলাকাতে এই নামেই ডাকে এটাকে ! উচ্ছে শুদ্ধ ভাষা !
১৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭
তাপসী নূর বলেছেন: একটু পড়লাম। ভালোই লাগলো। আশা করি সময় করে পুরোটা পড়বো।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৪
অপু তানভীর বলেছেন: পড়ে ফেলুন সব টুকু !
১৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৩
অপ্সরা বলেছেন: চিংড়ি আর করোলা আমার অনেক প্রিয়। আমি দুইটা সব্জীই একটু খাই তার মধ্যে এই করোলা আর ঢেড়স।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৭
অপু তানভীর বলেছেন: এখন অবশ্য করোলার সাথে ঢেড়স ভাজিও আমি খাচ্ছি নিয়মিত । তাহলে তোমার বাসায় একদিন করোলা আর ঢেড়স ভাজি খাওয়ার দাওয়াত দেও দেখি !
১৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১১
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: উচ্ছে নাম শুনেছি কিন্তু চিনতে পারছিলাম না।শেষ লাইনে ক্লিয়ার হলাম---যাহা করলা,তাহাই উচ্ছে।একটু বেশি আলু দিয়ে করলা ভাজি করলে অতোটা তিতা লাগে,বেশ খাওয়া যায়।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৮
অপু তানভীর বলেছেন: উচ্ছে শব্দটা শুদ্ধ রূপ । আঞ্চলিক ভাবে এটাকে উস্তা কিংবা উইস্তা ডাকে । সাথে করোলা তো আছেই ।
করোলার তিতা ভাবটা কাটানো যায় তবে ছোট সাইজ মানে উচ্ছের বেলায় তেতো ভাবটা থাকেই !
১৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৬
কামাল৮০ বলেছেন: উস্তার বিচি আমার অপছন্দ।বিচি ফেলে খাই।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: আমারও তাই।
২০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: ইটা নিয়ে অনেক গপ্পো আছে!
মানুষ যে কত রকমের উচ্ছে/করল্লা ভাজি খায় তার ইয়ত্ত্বা নেই, কেউ কেউ প্রায় কাচা কাচা করল্লা ভাজি গপাগপ খায়।
আপনার স্যারের বাসায় উচ্ছে খাওয়ার গল্পটা মজার ছিল।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২০
অপু তানভীর বলেছেন: সত্যি বলতে কী সেই দৃশ্য আমার চোখের সামনে এখনও যেন ভাসে । আমি স্যারের পাশে চুপচাপ উচ্ছে দিয়ে ভাত খেয়ে চলেছি । একের পর এক নলা নিচ্ছি বটে তবে সেটা গলা দিয়ে নামছে না !
এখনও আমার হাসি আসে খুব !
মানুষ কাঁটা কিভাবে এটা খায় কে জানে ! আমার পক্ষে খাওয়া সম্ভব না কোন কালেই !
২১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪০
অঙ্গনা বলেছেন: করলা ভেজে ( ভাজি না কিন্তু ) খেয়েছেন ?
গ্রিন করলা গ্রেট করে কাঁচা পিয়াজ শুকনা মরিচ ভর্তা অমৃত লাগে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৪
অপু তানভীর বলেছেন: আমি খাই নি আর খেতেও চাই না
২২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫২
মোগল বলেছেন: ছোটবেলায় পছন্দ করতাম না, কিন্তু এখন আমার খুব পছন্দের খাবার করল্লা ভাজি।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৮
অপু তানভীর বলেছেন: সবারই দেখা যাচ্ছে একই ব্যাপার । ছোট বেলাতে পছন্দ করে না কিন্তু বড় বেলাতে পছন্দ ! করোলা একটা রহস্যময় খাদ্য দেখা যাচ্ছে ।
২৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৫
রায়হান চৌঃ বলেছেন: সোনাবীজ ভাই কে ধন্যবাদ, আবার ও ট্রাই করব, চালিয়ে যাব পাছন্দ না হওয়া পর্যন্ত
তবে, অঙ্গনার করলা খাওয়ার ষ্টাইল টা ও আমার ভালো লাগে,
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৫
অপু তানভীর বলেছেন: খাওয়ার চেষ্টা করে যান । এতে অবশ্য উপকারই আছে । কোন ক্ষতি নেই ।
২৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:১১
সোহানী বলেছেন: ইয়ে মানে আমিও খেতাম না এক সময়। এখন বয়স বাড়ার সাথে সাথে ভেজেটেরিয়ান হয়ে যাচ্ছি। তাই খারাপ লাগে না। বিশেষকরে আমার মা অসম্ভব মজা করে করলা ভাজি করতো। যদিও আমি পারি না। তবে আলু কুচি করে আমি ভাজি করি।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৭
অপু তানভীর বলেছেন: মজা বলবো না আমি তবে আমি এখন খাই নিয়মিত । শারীরের কারণেই আসলে খাওয়া হয় । স্বাদ থেকে খাওয়া নয় !
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ব্লগে শুধু লাইক না ফেসবুকের মত হাহা রিয়েক্ট দেয়ার অপশন আসা দরকার ছিল খুব। কি মাইনকা চিপায় ই না পরছিল অপু।
আমার ছেলে যখন ওর বাবার সাথে খেতে বসে তখন এমন দৃশ্য দৃশ্যায়ন হয় আমার বাসায়।
তৎকালীন কন্যার কাছে তাহলে আপনি ঋণী হয়ে আছেন, হেলদি লাইফ স্টাইলের জন্যে।
শুভ কামনা।