নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সহজ ভাষায় যদি প্রশ্ন করা হয় আপনাদের জীবনের সব থেকে বড় ভয়টা কিসের? ভয়শব্দটা কত ভয়ংকর কিছুই না সামনে আসে । তবে আমি ঐ রকম কিছুর কথা বলছি না । মানে কেউ যদি হাতে রামদা নিয়ে আমার দিকে দৌড়ে আসে অবশ্যই আমি ভয় পাবো । এই ভয়তো সবাই পাবে । এমন কিছু না । এমন কোন ভয় যা আপনার মনের ভেতরে সব সময় ধরে আছে । যে ভয় কখনই আপনাকে শান্তি দেয় না । মনের ভেতরে সেই ভয়টা সব সময় তাড়িয়ে বেড়ায় ! বিখ্যাত লোকেরা প্রায়ই এই স্বপ্ন দেখে যে তারা কোন অনুষ্ঠানে গিয়ে হাজির হয়েছে পোশাক ছাড়া ।
আমি অনেক কিছুতেই ভয় পাই । কিন্তু সব থেকে বড় ভয়টা হচ্ছে মানুষের উপর নির্ভর হয়ে যাওয়া । আমার জীবনের সব থেকে বড় ভয় বলতে গেলে এটাই । আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন আমার নানা শরীর প্যারালাইজ হয়ে যায় । তারপর তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় সাত বছর সে বিছানায় পড়ে ছিল । খাওয়া দাওয়া থেকে বাথরুম সব কিছু এই বিছানাতেই হত । প্রথম প্রথম সবাই তার দেখা শুনা করতো । কিন্তু যত দিন যেতে লাগলো সেই দেখা শোনার পরিমান কমতে শুরু করলো । এক পর্যায়ে এমন হল যে তার ঘরে ঢোকা যেত না ঠিক মত । আমি খুব কম গিয়েছি তার ঘরে । আমার কেবল মনে হত সে যেন মনে মনে সব সময় মৃত্যুকে কামনা করতো ! এমন জীবন বেঁচে থাকার আসলেই কোন মানে হয় না !
আমার মনে তখন এই চিন্তাটা এসে ভর করে । যদি জীবনে কোন একদিন এমন হয়, কোন এক সময়ে আমার শরীর খারাপ হয়ে আমিও ঠিক এমন ভাবে অন্যের উপর নির্ভর হয়ে পড়ি ! আমি এই ভাবনাটা নিতেই পারি না । কোন ভাবেই নিতে পারি না ! আমি ছোট বেলা থেকে সব সময় নিজের কাজ নিজে করার ব্যাপারে বিশ্বাসী । অন্য কারো কাছে সাহায্য চাওয়াটা আমার কোন কালে ভাল লাগে না । যদি দরকার পরে কারো কাছে সাহায্য নিতেই হয় তখন সেটা মনে রাখি এবং সেই উপকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সব সময় চেষ্টা করি । ছোট বেলায় কেবল আমি আমার বাবা আর মায়ের উপর নির্ভর করতাম । একটা সময়ের পর সেটাও আমার বন্ধ হয়ে গেছে । এখন যে কোন নিজের উপর নিজে নির্ভর করি সব সময় । আমার শরীরের উপর যেন আমার নিয়ন্ত্রন না হারায় কোন দিন । একেবারে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এমন ভাবে নিজের শরীর নিজের নিয়ন্ত্রনে থাকে এটাই কেবল চাওয়া !
কিন্তু এখন যদি এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে আমি নিজের কাজ নিজে করতে পারছি না । অন্যের কাছে হাত পাততে হচ্ছে, অন্য কেউ তা যে যতই আপন হোক না কেন, তাদের মর্জি মোতাবেক করতে হচ্ছে এই ভয়টা আমার সব সময় করে । এই কারণে আমি টুপ করে মরে যেতে চাই। এতো ভুগে অসুস্থ হয়ে কিংবা বুড়ো অকেজো হয়ে মরতে চাই না ।
প্রিয় মানুষের বদলে যাওয়ার ভয় আমার খুব করে । কে জানি একবার বলেছিলো যে আপনি একজন মানুষের কাছে বিশেষ কেউ হয়ে উঠতে পারবেন, কিন্তু আজীবনই যে আপনি কাছে বিশেষ মানুষ হয়েই থাকবেন, এটার কোন গ্যারান্টি নেই । হঠাৎ করে আপনার প্রিয় মানুষের কাছে আপনি একবারে গুরুত্বহীন হয়ে যেতে পারেন । এবং এটা হতে পারে কোন কারণ ছাড়াই । আপনার কোন দোষ নেই, কোন অপরাধ নেই, তবুও খেয়াল করে দেখলেন যে আপনার প্রিয় মানুষটি আপনাকে আর ভাল বাসছে না । সে হয়তো আপনার সাথেই আছে, আপনার পাশেই ঘুমাচ্ছে কিন্তু তার মনে আপনার জন্য আর সেই ভালোবাসা নেই !
একই রকম আরেকটা ভয় হচ্ছে ভালবাসার মানুষ কর্তৃক প্রতারিত হওয়া । আপনারা যারা আমার গল্প টুকটাপ পড়েন, তাদের কাছে একটা ব্যাপার হয়তো ধরা পরবে ! আমার গল্পে কখনই গল্পের নায়ক কিংবা নায়িকা প্রতারণা করে না । মানে অন্য কোন ছেলে কিংবা মেয়ের সাথে চিটিং করে শারীরিক সম্পর্ক করে না । কিন্তু বাস্তবে এমন হতেই পারে । যদি সত্যিই হয় কোন কারণ সেদিন আসলে কী হবে আমার জানা নেই ।
আরেকটা ভয় হচ্ছে ফ্যামিলি মেম্বারের মৃত্যু । বয়সে ছোট হওয়ার কারণে স্বাভাবিক ভাবে এবং বয়সে যদি মৃত্যু হয় তাহলে আমাকে এই ব্যাপার সম্মুখীন হতেই হবে কোন না কোন দিন । করোনার কালে যখন আব্বাকে ঢাকাতে নিয়ে আসা হল তখন মনের ভেতরে এই ভয়টা তীব্র ভাবে জেকে বসেছিলো । প্রতিদিন হাসপাতালে এই একটা ভয় বারবার ঘুরে ফিরে আসতো !
আরেকটা ভয়ের কথা বলি । আমি আমার সাইকেলটা খুব বেশি পছন্দ করি । কিন্তু এই বেশি পছন্দের কারণেই হয়তো আমার মনে প্রায়ই সাইকেল চুরির ভয়টা দেখা দিয়েছে । এমন অনেকবার স্বপ্ন দেখেছি যেখানে দেখতে পেয়েছি যে কোন ভাবে আমার সাইকেলটা চুরি হয়ে গেছে । আমাদের বাসার নিচে যেদিন সাইকেল চুরি হল, সেদিন ভাগ্য গুণে আমারটা চুরি হয় নি । সেদিনের পর থেকে আমি সব সময় সাইকেল সাত তলার উপরে তুলে রাখি । এই সাইকেল চুরি নিয়ে যা স্বপ্ন দেখি তার বেশির ভাগই ভুলে যাই সকালে । কেবল মনে থাকে যে সাইকেল চুরি হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি । তবে একটা স্বপ্নের কথা বেশ ভাল করে মনে আছে । কারণ হচ্ছে এই একই স্বপ্ন আমি তিন বার দেখেছি । এই স্বপ্নটা খানিকটা অদ্ভুত । স্বপ্নে দেখা যায় যে আমি সাইকেল নিয়ে ২৭ নম্বরে গিয়েছি খেতে । ২৭ নম্বরে জিনডিয়ান নামের একটা বড় রেস্টুরেন্ট আছে সেখানে । সেখানকার পার্কিংয়ে আমার সাইকেল রেখেছি । খাবার খেয়ে এসে দেখি আমার সাইকেলটা চুরি হয় নি ঠিক, তবে সাইকেলের সামনের টুকু খুলে নিয়ে সেখানে রিক্সার সামনের অংশ টুকু সেট করে দিয়ে গেছে । মানে হচ্ছে কেউ আমার সাইকেলের সামনের চাকা আর হ্যান্ডেল খুলে সেখানে রিক্সার চাকা আর হ্যান্ডেল লাগিয়ে দিয়ে গেছে । এই একই স্বপ্ন আমি তিন বার দেখেছি । এই রহস্যটা আমি আজও ঠিক বুঝলাম না ।
যাই হোক ব্লগারদের জীবনেও এমন কোন না কোন ভয় নিশ্চিত আছে । সেই ভয় গুলো কিসের ভয় ?
pic source
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯
অপু তানভীর বলেছেন: এই যে বললেন নাথিং আন্ডার ইয়োর কন্ট্রোল । এই যে একটা ব্যাপার ঘটছে যেখানে আসলে আমার নিয়ন্ত্রন নেই । এই ব্যাপারটা আমার পছন্দ না একদম । আমি জানি জীবনে চলার পথে এমন সব কিছু আমাদের সামনে চলে যাবে যার সব টুকু আমাদের নিয়ন্ত্রনে থাকবে না । এমন কিছু ঘটবে যা মেনে নিতেই হবে । কিন্তু প্রিয়জনের বদলে যাওয়া আর তার কর্তৃক প্রতারিত হওয়ার ব্যাপারে আসলে একেবারে সম্পর্নরূপে মানুষের নিয়ন্ত্রনের বাইরে । আপনি যতই বোঝাপড়ার কথা বলেন, কত বিশ্বাসী কিংবা টেকিংকয়ারের কথা বলেন না, সব কিছু ঠিক থাকার পরেও প্রিয় জনের প্রতি মানুষের ভালোবাসা বদলে যেতে পারে! এটার কোন ব্যাখ্যা নেই । এটার কোন সমাধানও নেই ।
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:২২
কামাল৮০ বলেছেন: অবিশ্বাস্য মনে হলেও আমার আসলে এমন কোন ভয় নাই।জীবনে যাই আসুক মেনে নেয়ার মনোবল আমার আছে।
আমরা যতবেশি মানবিক হবো ততবেশী একে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হবো।
বৃদ্ধ হলে যে সমস্যা এটা উন্নত বিশ্বে কম হয়।চিকিৎসা ফ্রী যে ভাতা দেয় তাতে মোটামুটি চলে।আর কি চাই।সন্তানদের মানবিক করে গড়ে তুলতে পারলে সমস্যা কম হয়।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০১
অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা । অনেক বয়স হয়ে গেলে মানুষের জীবনের অনেক ভয়ই চলে যায় । আমি এটা জানি . একটা সময়ে যে সব বিষয় আমাকে ভীত করে তুলতো যখন সেই ব্যাপার গুলো আমার নিজের সাথে ঘটে গেল, আমি অভিজ্ঞতা পেয়ে গেলাম তখন সেই ব্যাপার গুলো থেকে আমার ভয়ও কমে গেল । আপনার যেহেতু অনেক বয়স তাই আপনার ভয় না থাকারই কথা !
৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার প্রায় সবগুলো ভয়ের সাথে আমার ভয়গুলো মিলে গেল( তবে এখন পার্থিব যত দামী জিনিস হোক সেটা হারানোর ভয় আমাকে গ্রাস করে না)
তবে আমি আরো কিছু যোগ করছি;
১। সম্মান হারানোর ভয় - প্রফেশন লাইফে কিংবা নিজের পরিবার প্রতিবেশী বন্ধুদের মাঝে।
২। আমি পুরুষ। পুরুষদের ইচ্ছে বা কল্পনার বাইরে অযাযিতভাবে কোন বিশেষ সময়ে কিছু কাম ক্রোধ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তখন অনেক বুদ্ধিমান ব্যক্তিত্ত্ববান পুরুষেরাও বড় ধরনের ভুল করে ফেলে! এই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত্বের জন্য অনেক সময় আত্মহত্যার মত বড় ধরনের ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নিতে হয়। আমি সবসময় নিজেকে শাসন করি, নিজের সেইসব ভয়ঙ্কর রিপুকে দমন করার চেষ্টা করি- আর একান্তমনে কামনা করি তেমন পরিস্থিতির মুখোমুখি যেন না হতে হয়।
আমার বাবাও দীর্ঘ ৮/১০ বছর বিছানায় পড়ে ছিল। আপনার মত আমিও চাই।
এখন সবচেয়ে বড় ভয় প্রিয়জন হারানোর ভয়। বিশেষ করে নিজের সন্তানদের।
ভাল লিখেছেন। আরো কিছু মনে আসলে পরে জানাব।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৯
অপু তানভীর বলেছেন: আমারও পার্থিব জিনিস পত্র হারানোর ভয় খুব একটা নেই । সাইকেলটার প্রতি আলাদা একটাা টান থাকার কারণ হচ্ছে সাইকেলটা আমার খুব কাছের একজন মানুষের । সেই মানুষটা এখন আর এই দুনিয়াতে নেই ।
সব সম্মানীয় মানুষের জীবনেই এই ভয়টা থাকে । সম্মান হারানোর ভয় । বিশেষ করে পরিচিত মানুষের কাছে ।
দুই নম্বর যে কারণটা বললেন, এই অকাজটা আমার নিজের সাথেই ঘটেছে । এমন কিছু কাজ করেছি ক্ষণিকের প্রতিক্রিয়ার যেটা পরে ভাবলে নিজের প্রতি একটা ধিক্কার জন্মে ।
আমি কোন ভাবেই আসলে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে বেঁচে থাকতে চাই না । এমন কি সেটা নিজের সন্তানেরও না । অন্যের উপর নির্ভরশীল হওয়ার আগেই যেন আমার মৃত্যু হয় এটাই কেবল কামনা করি ।
৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৫৪
রেজাউল৮৮ বলেছেন: সাইকেলের সামনের চাকা খুলে রিকশা লাগিয়ে দেওয়া তেমন ভয়ংকর না। ভয়ংকর হতো যদি সেখানে ট্রাক্টর লাগিয়ে দেওয়া হতো। বোঝেন ই তো , মগজহীন লোকদের হাতে ট্রাক্টর বড় বিপদজনক হতে পারে।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১১
অপু তানভীর বলেছেন: ভয় আসলে সাইকেলটা হারানোর । তবে তিন দিন একই স্বপ্ন দেখার মাজেজাটা আমি আজও ঠিক বুঝতে পারলাম না ! এর পেছনের রহস্য কী থাকতে পারে !
৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৫৫
মুনাওয়ার সিফাত বলেছেন: রোগ অসুস্থতা সবার জীবনেই আসবে। তাও আমি ক্যান্সার, কিডনি জটিলতার কারণে বিছানা বন্দি হওয়াকে খুব ভয় পাই৷ এসব রোগ একজনের হলে পুরো পরিবারের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আল্লাহ হেফাজত করুক। আমিন৷
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১২
অপু তানভীর বলেছেন: সত্য
৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০১
গেঁয়ো ভূত বলেছেন:
আমার মতে জীবনে যত ধরনের কষ্ট আছে সবচেয়ে বড় কষ্ট হলো অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকা। বিশেষ করে জীবন সায়াহ্নে নিদারুন অসুখ-বিসুখে অন্যের গলগ্রহ হয়ে বেঁচে থাকা তো যার পর নাই কঠিন, এমনও বয়বৃদ্ধ মানুষ আছেন যারা ঘর থেকে বের হতে পারেন না এমনকি পেশাব-পায়খানাও ঘরের মধ্যেই করতে হয়, এমন জীবনকে তো সবাই ভয় পায়।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৩
অপু তানভীর বলেছেন: মানুষের জীবনে অসুখ বিসুখ বিপদ দুর্ঘটনা ঘটবেই । সেটা তো মেনে নিতেই হবে । যদি এমন হয় তাহলে চাওয়া যেন সুস্থ হতে পারি, যদি সুস্থ না হই তাহলে যেন একেবারে মরেই যাই । অন্তত এমন ভাবে বেঁচে থাকতে চাই না যেন অন্যের উপরে নির্ভর করে থাকতে হয় !
৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:২০
নতুন বলেছেন: কাছের মানুষের মৃত্যু সম্ভবত মানুষকে এরকমের ভয় থেকে মুক্তি দেয়।
২০১৩ তে আমাদের প্রথম মেয়েকে ৬ দিন বয়সে হারাই। তারপরে ২০১৮ তে মা এবং ২০২১ এ বাবা।
এখন আর মৃত্যু ভয় নেই। যে কোন বিপদ মোকাবেলার সাহস আছে। কারন যাই হোক উপরে প্রিয়জন হারানোর মতন শোক তো আর পাবো না। তাই অন্য কিছু থেকেও কোন ভয় নেই।
আমিও চাই যতদিন সুস্থ আছি ততদিন যেন বেচে থাকি। বৃদ্ধ বয়সে বিছানায় যেন পড়ে থাকতে না হয়।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৫
অপু তানভীর বলেছেন: উন্নত বিশ্বের এই একটা সিস্টেম আমার বেশ ভাল লাগে যে বৃদ্ধ বয়সে ছেলেমেয়েদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়না । আমাদের দেশে বৃদ্ধ মানুষের অবস্থা বড় করুণ ।
মৃত্যু আসলেই সব ভয় দুরে করে দেয় । আমার জানা নেই কবে এই ভয়কে আমার মেকাবেলা করতে হবে । এইভয়টা যদি এড়ানো যেত !!
৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৫০
জুন বলেছেন: আপনি যা যা লিখেছেন তা সবই ভয়ংকর বিশেষ করে প্রিয়জন হারানো, কিন্ত আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভয় ভুত
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: অথচ আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে কোন দিন ভুতের মুখোমুখো আপনাকে হতে হবে না ! কিন্তু ভয় গুলোর সামনে পড়তে হবে !
৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৫৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
অনেকগুলি ভয়ইতো আছে!! তাদের মধ্যে দুটি ভয় হচ্ছে স্বপ্নের।
একটি হচ্ছে দাঁত সংক্রান্ত, অন্যটি শীত সংক্রান্ত। এই দুই স্বপ্ন কতবারযে দেখেছি!! খুবই ভয় আর কষ্টের স্বপ্ন।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৭
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার ভয় নিয়ে লিখে ফেলুন দেখি । বিস্তারিত ভাবে । ভয় নিয়ে লিখলে হয়তো কমবে ভয় !
১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার অনেক কিছুতেই ভয়....আমার ভয় কিম্বা হতাশা প্রিয় মানুষের সুন্দর মুখের আড়ালে কুৎসিত মানসিকতা যখন আমাকে আক্রান্ত করে....আমার ভয়, যদি চলত শক্তিহীন কখনও অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে হয়...
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৭
অপু তানভীর বলেছেন: অন্যের উপর নির্ভরশীল হওয়ার ভয়টা সব থেকে বড় ভয় । এই জীবন দুর্বীসহ ! আমি মোটেই এটা চাই না । মোটেই না ।
১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অন্যের গলগ্রহ হয়ে বেচে থাকার ভয়।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৮
অপু তানভীর বলেছেন: অনেকেরই এই ভয়টাই রয়েছে ।
১২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মানুষ যখন কাউকে প্রচণ্ড ভালোবাসে তখন তাকে হারানোর ভয় করবেই। এখন যে যুগ চলছে ইন্সিকিউর ফীল না করাটাই অস্বাভাবিক। অধিকাংশ সম্পর্কে কোন একজন প্রতারণা করবেই। এমনই হয়ে আসছে। আমরা যত বেশি ভয় পাই ততো বেশি ভয় আমাদের মানসিক অশান্তি দেয়।ফেসবুকে একটা ভিডিও দেখলাম একটা মেয়ে বিবাহিত এক ছেলের সাথে পরকীয়া করছে দেখে ঐ হেলের বউ মেয়েটিকে ধরে পা চাটার ভিডিও করে সেটা আপলোড দিয়েছে। ভিডিওটা বেশ ভাইরাল। হয়তো হোম পেজে দেখেছেন।
যাকে নিয়ে আপনি ভয় পান বা যে আপনার ভয়ের কারণ সে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সুফল বয়ে আনে না।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২০
অপু তানভীর বলেছেন: ভালোবাসা অনেক সময়ই মানুষের ভয়ের কারণ হয়ে দাড়ায় । কাউকে ভালবাসার মানেই হচ্ছে নিজের ভালো থাকার ব্যাপার উপর নিজের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলা । আপনি যখন কাউকে ভালোবাসবেন না, তখন আপনি আপনার ভালো থাকা মন্দ থাকার ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন । কিন্তু যখনই ভালোবাসবেন তখন এই ভালো থাকার কিছু অংশ কিংবা বেশির ভাগ অংশের নিয়ন্ত্রন চলে যাবে অন্যের কাছে ।
১৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: একসময় ভাবতাম বিয়ে করব না। কিন্তু পরে ভয় কাজ করত। যদি বংশধর না থাকে, কে দেখবে আমাকে। যদিও বংশধররা যে সবসময় দেখে; এমনও না। তাছাড়া টাকা-পয়সা থাকলে কাউকে রেখে নেওয়া যাবে।
এখন একটাই ভয় কাজ করে। যদি ভালো কিছু করে না যেতে পারি শেষকালে বিপদে পড়তে হবে।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২২
অপু তানভীর বলেছেন: আসলে নিজের বংশ যে রক্ষা করতেই এমন ভাবনা আমার মনে কোন কালেই কাজ করে না । কারণ পৃথিবী থেকে প্রায় সকল বিখ্যাত লোকের বংশ শেষ হয়ে গেছে কিংবা যাবে । সেখানে আমার বংশ না থাকলে আসলে কিছুই যাবে আসবে না ।
আর ছেলে মেয়ে থাকলে দেখবেই বর্তমান সময়ে এটা ভাবা বোকামী । আর উপরে তো বলেছি কারো উপর নির্ভর করে থাকতে চাই না ।
১৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমার একটাই বড় ভয় কইতাম না
আর তেলাপোকার ভয় আছে।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৩
অপু তানভীর বলেছেন: আসলে তেলাপোকাকে ভয় না, ওটাকে ঘেণ্ণা করেন মাত্র !
১৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৫
মিরোরডডল বলেছেন:
সব কিছু ঠিক থাকার পরেও প্রিয় জনের প্রতি মানুষের ভালোবাসা বদলে যেতে পারে!
অবশ্যই পারে, আর সেকারনেই এটা নিয়ে অহেতুক ভয় থেকে বের হয়ে আসতে হবে ।
আমি কিন্তু একথাটাই বলেছি, ইউ ক্যান ট্রাই ইউর বেস্ট বাট তারপরও হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে ইউ ক্যান্ট হেল্প ।
তাই এগুলো নিয়ে মনে ভয় থাকলে সম্পর্ক এঞ্জয় করতে পারবে না । সারাক্ষন একটা আতংক কাজ করবে যেটা অযাচিত ভবিষ্যতের অচেনা ভয়ে বর্তমানটাও নষ্ট হবে ।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৪
অপু তানভীর বলেছেন: আমার সমস্যা হচ্ছে আমি সহজে কোন মানুষকে আমার ধারে কাছে আসতে দেই না আবার কেউ একবার চলে এলে তাকে সহজে দুরে ঠেলে দিতে পারি না । একবার কেউ প্রিয় হয়ে উঠলে তাকে মন থেকে বের করতে আমার ব্যাপক হ্যাপার ভেতর দিয়ে যেতে হয়, আমার স্বাভাবিক জীবন অনেক অনেক দিন পর্যন্ত বিঘ্নিত হয় !
ভয়টা আসলে আসলে এখানেই !
১৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩১
মিরোরডডল বলেছেন:
ভয় না, তবে চাওয়ার মিল আছে । এই একটা জায়গায় মনে হয় সবার চাওয়া একরকম সেটা হচ্ছে একটিভ অবস্থায় যেন মৃত্যু হয় । বিছানায় লং টাইম অসুস্থ হয়ে থাকা, মানুষের ওপর নির্ভর করে যেন থাকতে না হয় । যে কদিন বাঁচবো, যেন নিজের কাজ নিজে করে যেতে পারি, চলমান অবস্থায় যেন যেতে পারি ।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪২
অপু তানভীর বলেছেন: এটা বলা যায় সব থেকে বড় চাওয়া । কোন ভাবেই কারো উপরে নির্ভরশীল হতে চাই না । নিজের চোখে আমি আমার নানার অবস্থা যা দেখেছি তাতে কোন ভাবেই ঐ অবস্থায় আমি পড়তে চাই না ।
১৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০১
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: জীবন চলার পথে হরেক রকম ভয় নিয়ে ভালো লিখেছেন।
১) পরনির্ভরশীল হবার ভয় ভেতরে তাড়া করে। আল্লাহর কাছে নিজের জন্য দোয়া করি যেনো শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত কারো উপর নির্ভর করে দিনাতিপাত করতে না হয়। নিজের দাদীকে দেখেছি কী অসহায় ছিল যখন বিছানায় পরে ছিল।
২) প্রিয় মানুষের পরিবর্তন ভীষন ভয় করে। ভেতরটা ভেংগে চুরমার হয়ে যায় তবু কিছু বলা যায় না। এর চাইতে কষ্ট মনে হয় ধরায় আর নাই।
৩) কারো সামনে অপমান হবার ভয়।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৩
অপু তানভীর বলেছেন: অপমান হওয়ার ভয়টা আমার ভেতরে কম । এর কারণ হিসাবে বলা যায় আমি মানুষের সাথে মিশি কম । যেখানে মানুষ থাকবে সেখানে খুব দরকার না পড়লে যাই না । যাওয়ার দরকারও পড়ে না ।
উপরের দুটো ভয় দেখা যাচ্ছে সবারই ভেতরেই রয়েছে।
১৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭
অপ্সরা বলেছেন: আমি নির্ভয় কারণ ......... ........ যখন পর হয়ে যায় তার আর কোনো ভয়ই থাকে না জীবনে।
ফিল ইন দ্যা ব্লান্কস হা হা হা
০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৩
অপু তানভীর বলেছেন: আরে তুমি তো হচ্ছো পরী ! দ্য এঞ্জেল ! এই কারণে তুমি নির্ভয় !
১৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ভয়ের সাথে আমার ভয়টা মিলে গেছে। সে ভয়ের কথা ভাবতে ভাবতে একটা প্রার্থনার জন্ম হলোঃ একটি প্রার্থনা
শেষের ভয়ের স্বপ্নটা পর পর তিন বার দেখাতে রহস্যটা ঘনীভূত হলো। বিশেষ করে সাইকেলের সম্মুখাংশ সরিয়ে নিয়ে রিক্সার সম্মুখাংশ বসিয়ে দেয়ার ব্যাপারটা কোন বিশেষ অর্থ বহন করে কিনা, কে জানে!!
০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৮
অপু তানভীর বলেছেন: সাইকেল অংশ টুকু নিয়ে আমি ভেবেছি ।সাইকেল চুরি যাওয়ার একটা ভয় আছে, সেই হিসাবে সাইকেলটা চোরে নিয়ে যাবে । এটা দেখবো স্বপ্নে কিন্তু প্রথম অংশ টুকু এভাবে বদলে দেওয়া কেন দেখবো সেটা আজও আমি বুঝতে পারলাম না । তাও আবার একাধিক ভাবে যখন একই স্বপ্ন দেখছি !
২০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৩
শার্দূল ২২ বলেছেন: আপনজন পর হয়ে যাওয়ার ভয় আমার নেই, কারণ আমি বুঝে ফেলেছি দুনিয়াতে আপনজন কারো থাকেনা, বরং আমি চাইলে কারো আপনজন হলেও হতে পারবো। কিন্তু যখন ভাবলাম আপনজন সহ জলে ডুবার সময় আমি কি আমাকে বাদ দিয়ে তাকে বাঁচাবো নাকি নিজে উঠে যাবো উপরে তাকে ফেলে। এমন হলে আপনজন থেকে আর হয়ে কি লাভ।
পরের উপর নির্ভর হওয়া নিয়ে বেশি ভয়। প্রতিদিন আল্লাহকে বলি এমন কোনো অসুখ দিওনা যার জন্য কারো হাত ছাড়া উঠে দাড়াতে পারবোনা। কিংবা খেতে।
আর যেই ভয়টা বেশি পাই আজকাল সেটা হলো আমি এবং আমার সন্তান যেন পরমানু যুদ্ধে না পড়ি।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২১
অপু তানভীর বলেছেন: যুদ্ধের ব্যাপারে আসলে আমার খুব একটা ভয় লাগে না কেন জানি । আমার মনে হয় যে আমরা কোন ভাবেই এই যুদ্ধের ভেতরে পরবো না ।
পরের উপর নির্ভর হওয়ার ব্যাপারটাই সব থেকে বেশি ভয় ধরিয়ে দেয় ! পরিস্থিতি যত কঠিন হোক, যত বড় বিপদ হোক আমাকে যেন কোন ভাবেই অন্য কারো উপর নির্ভর করতে না হয় !
২১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বনের বাঘে না বরং আমাদেরকে মনের বাঘে খায়।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: সত্য
২২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শেরজা তপন , আহসান ভাই জুন আপু যে কথাগুলো লিখেছেন, সাথে আপনার ভাবনার প্রকাশ এসব কিছুই আমাদের অনেকের সাথে মিলে যায়।
আবার ভাবি এসব ভয়গুলো মনে থাকে বলেই আমরা অনেক কিছু সমঝে চলি। যা ইচ্ছে তাই করা থেকে বিরত থাকি।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৩
অপু তানভীর বলেছেন: এটাও অবশ্য ঠিক বলেছেন । মানব ভয় না থাকাটা বরং একটা ভয়ের কথা । এই ভয় গুলো আছে বলেই আমি জীবনে অনেক কিছু করা থেকে নিজেকে বিরত রাখি যা পরবর্তিতে আমাদের জীবনের জন্যই ভাল হয় ।
২৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আমি সবচেয়ে বেশী ভয় পাই মানুষকে। কাউকে বিশ্বাস করাটা আমার জন্য কস্টের। আরেক টা জিনিস ভয় পাই সেটা হলো কোন অবাঞ্চিত জুনিয়র আমাকে বেফাস কোন অবাঞ্চিত অপমানজনক কথা বলে ফেলে কিনা তার ভয়। ইদানীং বাচ্চারা থেকে শুরু করে টিনেজ রা বেয়াদবিকে একটা অসাধারণ মাত্রায় নিয়ে গেছে
০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৪
অপু তানভীর বলেছেন: মানুষকে আমারও ভয় । বিশেষ করে বিশ্বাসের ভয় । তাই এখন কাউকেই ঠিক বিশ্বাস করে হয়ে ওঠে না । যে কাউকে বিশ্বাসটা অর্জন করে নিতে হয় ।
২৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ব্যাক্তি জীবনে আমার সবচেয়ে বড় ভয় নিজের "রাগ এবং অভিমান"কে নিয়ে। একটা পর্যায়ে এটা আমাকে অনেক নির্দয় করে দেয়, সেই পর্যায়টাকে আমি নিজেই ভয় পাই। কিন্তু বড্ড পরিতাপের বিষয় আপন এবং কাছের মানুষগুলো কখনো এই আবেগ অনুভূতিকে মূল্য দেয় না আমাদের সমাজে। আর সেই সূত্র ধরে মানুষকে ভয় আমারও করে। মানুষ বড্ড আমি, আমার, আমাদের কেন্দ্রিক... এই আমি, আমার, আমাদের এর স্বার্থে এতটুকু আঁচড় লাগলেই সবার মুখোশ খুলে যায়।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪২
অপু তানভীর বলেছেন: একটা সময়ে আমার এই রাগটাকে নিয়েও আমার ভয় ছিল । রাগ মানে কিন্তু এমন না যে রেগে লেগেই আমি বড় চিৎকার চেঁচামিচি করতাম । আমার রাগের ধরণ হচ্ছে কারো উপর রাগ করলে তাকে একেবারে নিজের জীবন থেকে বের করে দিতাম । এভাবে কত মানুষের সাথে, কত বন্ধুর সাথে যে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেছে তার ঠিক নেই । এই কারণে এই ভয়টা ছিল যাতে কারো উপরে রাগ না হয় !
২৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:৩১
নিমো বলেছেন: গোটা জগৎটাই টিকে আছে Symbiosis এর উপর। তাই আপনি-আমি চাই বা না চাই পরনির্ভরশীল থাকবই। ভয়কে জয় করাই মানব জীবনের সার্থকতা।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫
অপু তানভীর বলেছেন: নির্ভরতা থাকবেই কিন্তু আমার কোন ভাবেই এই পুরোপুরি অন্যের উপর নির্ভর করার সাথে খাপ খাইয়ে উঠা হবে না । এর থেকে মরে যাওয়াই আমি শ্রেয় মনে করবো ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
তানভী, এতো ভয় থাকলে জীবন চলবে কিভাবে ????
অল্প সল্প প্রেমের গল্পের মতো কিছু ভয় বা দুর্বলতা থাকে কিন্তু এতগুলো থাকলেতো সমস্যা ।
প্রিয় মানুষের বদলে যাওয়ার ভয় আমার খুব করে ।
This is nothing under your control.
সময় এবং পরিস্থিতিতে মানুষ অনেক সময় বদলায় ।
যদি প্রিয় মানুষটা বদলে যায়, it’s unfortunate but you can’t take it back.
তাই এটাকে ভয় না পেয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুতি থাকতে হবে যে প্রিয় মানুষটা আজ যেরকম সারাজীবন এমন নাও থাকতে পারে।
মানুষতো একদিনে হুট করে বদলায় না, তাই কখনো যদি বদলে যায় সেই আতংক নিয়ে না থেকে তার সাথে বোঝাপড়া যেন ঠিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবে । তাহলে তার গ্র্যাজুয়াল চেঞ্জ চোখে পরবে । তখনই বুঝতে পারবে কি করা উচিৎ ।
একই রকম আরেকটা ভয় হচ্ছে ভালবাসার মানুষ কর্তৃক প্রতারিত হওয়া ।
Again, nothing you can do.
So rather being always scared, handle it in different way.
কারো সাথে কমিটমেন্টে যাবার আগে বা খুব বেশি ইমোশন্যালি ইনভল্ভড হবার আগে অনেক সময় দিতে হবে ।
একটা সার্টেন টাইম মানুষ সত্য গোপন করতে পারে বা অভিনয় করতে পারে বাট নট ইনএ লং রান ।
যদি মনে হয় কথার সাথে কাজের মিল নেই, মিথ্যা বলে, সত্য গোপন করে don’t get involved.
আর যদি সম্পর্কে যাবার পরের প্রতারণার কথা বলে, তাহলে আবারও বলবো বোঝাপড়া আর বিশ্বাসের জায়গা ঠিক রাখবে, কেয়ারিং হয়ে সবসময় পাশে থাকলে ঠিক বুঝবে সে কি চায়, কোথায় তার অপূর্ণতা । কথা বলে সেগুলো ফিক্স করে নিবে ।
দুজন দুজনকে নিয়ে হ্যাপি থাকলে একটা সম্পর্কের মধ্যে থেকে কেউ প্রতারণা সচরাচর করেনা । সম্পর্কে যখন দূরত্ব তৈরি হয়, নেগ্লেজেন্সি আর ডিজস্যাটিসফেকশন থাকে তখন অনেকের পদস্খলন হয় । তাই এগুলো নিয়ে ভয়ে আতংকে না থেকে ফেইস ইট এন্ড উইন ইট । ইউ অলওয়েজ ক্যান ট্রাই ইউর বেস্ট । তারপরও যদি হয়, ব্যাড লাক । গেট রিড অফ এন্ড মুভ অন ।
এই ভয় দুটো চাইলেই ইউ ক্যান এভয়েড।