নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যে হাউজিংটায় থাকি, সে হাউজিং এ খুব মানুষ মারা যাচ্ছে। প্রায় দিনই মসজিদের মাইকে মোয়াজ্জিন সাহেবের কন্ঠস্বর ভেসে আসে সময়ে অসময়ে ।
একটি শোক সংবাদ । একটি শোক সংবাদ ।
অথচ আমি যতবার মাইকে তার কন্ঠে এই কথা গুলো শুনি আমার মনে হয় তিনি বলছেন 'একটি সুখ সংবাদ' । সত্যি সত্যিই আমি প্রথম যেদিন শুনেছিলাম সেদিন আমার সুখ সংবাদই মনে হয়েছিল ।
আগে কালে ভাদ্রে এই শোক সংবাদের শুনানি আসত। কিন্তু কদিন থেকে ঘন ঘন শোনা যাচ্ছে।
আজকে সন্ধ্যার একটু পরে বের হয়েছি। উদ্দেশ্য ছিল সন্ধ্যার নাস্তা শেষ করে একেবারে রাতের খাবার নিয়ে তারপর ফিরব। গলির মাথায় আসতেই মাইকে আওয়াজ ভেসে এল ।
একটি শোক সংবাদ ! একটি শোক সংবাদ!
ঠিক দুইদিন আগে একজন মারা গিয়েছিল । তারও একদিন আগে আরেকজন মারা গিয়েছিল । গত সপ্তাহেও একজনের মারা যাওয়ার কথা মনে আছে।
আমাদের গ্রাম কিংবা গ্রামের আশে পাশে যখন কোন মানুষ মারা যায় তখন গ্রাম ভর্তি মানুষ তার বাসায় গিয়ে হাজির হয় । তাকে শেষ বারের মত দেখতে। আশে পাশের গ্রাম থেকেও মানুষ যায় সেই বাড়িতে।পুরো গ্রাম জুড়ে একটা অন্য রকম পরিবেশ তৈরি হয় ।
আমার ইদানীং মাঝে মাঝেই মৃত্যুর কথা মনে হয় । মনে হয় যে হয়তো আমি একা একাই মারা যাব। এটা নিয়ে অবশ্য আমার খুব একটা দুঃখবোধ নেই। আমি এমনিতেও খুব বেশি মানুষজন পছন্দ করিও না। আর মরে গেলে এর পরে কি হবে সেটা চিন্তা করে আর লাভ কি !
মৃত্যুর কথা এলেই আমি মনে মনে হিসাব করে দেখি জীবনে কী পেলাম আর কী পেলাম না । আমার চাহিদা কোন কালেই খুব বেশি ছিল না । এখনও নেই । সবাই বলে বড় স্বপ্ন দেখো, জীবনে উন্নতি কত সফল হও! আমার সত্যি এসব নিয়ে কোন দিন কোন মাথা ছিল না । আমি কোন দিন কিছু হতে চাই নি । যা কিছু তার বেশির ভাগই আমার পরিবারের কারণে। তারা চেয়ছে বলে করেছিলাম, করতে হয়েছে । তবে কিছু জিনিস পাওয়ার ইচ্ছে ছিল জীবনে। সেসবের ভেতরে একটা জিনিস পাওয়া আর কখনও সম্ভব হবে না । এটা আমি আরও বছর চার আগে থেকেই জানি । সেটার আশা তখন থেকেই বাদ দিয়েছি। আমি সব সময় প্রাক্টিক্যাল। যা পাব না, যা আমার পক্ষে পাওয়া সম্ভব না এমন জিনিস নিয়ে আমি কখনও আফসোস রাখি না। আমার আফসোস কেবল সেই জিনিস গুলো নিয়ে যা আমার পক্ষে সম্ভব। আর বাকি যে একটা ক্ষুদ্র আশা ছিল মানে যে জিনিসটা না পেয়ে মরলে মনের ভেতরে একটা অফসোস থাকত, সেটা সম্প্রতি পূরণ হয়ে গেছে।
এটা নিয়ে একটা গল্প মনে পড়ল । ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি বান্দরবানের এক দুর্গম পাহাড়ে উঠেছিলাম । সেই সময়ে সে পাহাড়ে ওঠাটা সতিই ভয়ংকর ব্যাপার ছিল । ভোর চারটার দিকে উঠে আমাদের ট্রেকিং শুরু হয়েছিল। পাড়াতে ফিরে এসেছিলাম দশটার পরে। এই পাহাড়েই নামতে গিয়ে একটা সময়ে আমার হাত ছুটে গিয়েছিল । কয়েকটা সেকেন্ড আমি একেবারে নিচে পড়ছিলাম । সেই সময়ে আমার সত্যিই মনে হয়েছিল এবার বুঝি গেলাম সত্যি সত্যিই । তবে কপাল ভাল যে একটা বাঁশে আটকে গিয়েছিলাম। তবে সে হাত ছোটা আর বাঁশে আটকে যাওয়ার ভেতরের সময়ে একটা কথা আমার ঠিক মনে হয়েছিল । একটা আফসোস ! মনে হয়েছিল সেই কাজটা তো করা হল না !
সে আফসোস দুর হয়েছে। এখন যদি হুট করে মরে যাই কোন দিন, আমার কেন জানি মনে হয় যে হুট করে একদিন চলে যাব, তখন আমার নিজের কাছে কোন আফসোস থাকবে না। আমি চাই না, আমাকে নিয়ে আসলে কেউ শোক করুক । মৃত্যুর পরের শোক দিয়ে আসলে আমার কী দরকার টা । মৃত্যুর পরে আমাকে কেউ মনে না রাখলেও চলবে। এই পৃথিবীতে সবাইকেই মানুষ ভুলে যায় । কেউ মনে রাখে না।
একবার চিন্তা করে দেখেন, আপনি যত ভাল মানুষ আর যত মহানই হৌউন না কেন আপনাকে কিন্তু এক সময়ে সবাই ভুলে যাবে । আমি কেবল মাত্র আমার দাদার নাম জানি । তার চেহারা কেমন ছিল, কেমন স্বভাবের ছিল সেটা আমার জানা নেই। তার বাবা কে ছিল কোন ধারণাই নেই আমার । যদি স্বাভাবিক বয়সে মারা যাই, তাহলে আমার পরে কেবল মাত্র আমার ভাইয়ের ছেলে বেঁচে থাকবে। বুড়ো হয়ে মরলে তার সন্তান হয়তো আমাকে চিনবে কিন্তু তার সন্তানের সন্তান আমাকে চিনবে না। তার মানে আমার পরের দুই প্রজন্মের পরেই আমার নাম নিশানা এই পৃথিবী থেকে একেবারে মুছে যাবে।
অবশ্য একটু আগে যে বললাম যে মারা গেলে আফসোস থাকবে না, এই কথাটা সম্ভবত সত্যি না। আমার ঘরে আমার না পড়া বইয়ের সংখ্যা প্রায় দেড়শ । এ দেড়শ বই না পড়ে মরে গেলে একটা আফসোস থাকবে বই কি !
ছবি পিক্সেল থেকে সংগ্রহ করা
১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২৫
অপু তানভীর বলেছেন: সুখের সংবাদ প্রচারিত হলে ব্যাপারটা খুব ভাল হত না । এতে অন্য মানুষ ঈর্ষান্বিত হত বেশি বেশি । শোকে মানুষের মনে অন্য মানুষের ভেতরে যে সহানুভূতি জন্মে সুখে তা জন্মে না যদি না প্রকৃতি শুভাকাঙ্খি হয় !
২| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৩৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এখনো কতো কিছুই করা হয়নি। তারপরেও সময় শেষ হয়ে যাবে একদিন।
১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২৭
অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা কত কিছু হয় নি কিন্তু যা ইচ্ছে ছিল তার অনেক কিছুই হয়েছে । যত দিন যাবে নতুন নতুন ইচ্ছে এসে জমা হবে নতুন ভাবে ইচ্ছে পূরণ হবে তারপর এক সময়ে তা শেষও হয়ে যাবে।
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫২
মিরোরডডল বলেছেন:
তবে কিছু জিনিস পাওয়ার ইচ্ছে ছিল জীবনে যার ভেতরে একটা জিনিস পাওয়া আর কখনও সম্ভব হবে না । এটা আমি আরও বছর চার আগে থেকেই জানি ।
এই গল্পটা শুনতে চাই তানভী।
১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২৭
অপু তানভীর বলেছেন: কিছু গল্প না বলাই থাকুক ।
৪| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
সে আফসোস দুর হয়েছে। এখন যদি হুট করে মনে যাই কোন দিন, আমার কেন জানি মনে হয় যে হুট করে একদিন চলে যাব, তখন আমার নিজের কাছে কোন আফসোস থাকবে না।
আমি চাই না আমাকে নিয়ে আসলে কেউ শোক করুক ।
আচ্ছা ঠিক আছে কেউ শোক করবে না কিন্তু সম্প্রতি যেই আফসোস পূরণ হয়েছে সেই গল্পটাও শুনতে চাই
১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: আমি আসলেই চাই না আমার মৃত্যুতে কেউ শোক করুক । আমাকে মনে রাখারও দরকার নেই । আর আমি যখন মারা যাবো (যদি স্বাভাবিক বয়সে মরি) তাহলে আমার প্রিয় আর কাছের মানুষ গুলোও সব চলে যাবে ওপাশে কিংবা আমার পরপরই । যারা আমার কাছের নয়, যাদের চিনি না তারা মনে রাখলো কি রাখলো না তাতে আসলে কী যায় আসে !
এই গল্পটাও অবশ্য আমার ফেসবুকে লেখা হয়েছে । এখানে যদি লিখি জানবেন এক সময়ে।
৫| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তবে, আপনার সেই কাজটা যে করা হয়েছে এ কথা শুনে খুশি হলাম।
১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৩১
অপু তানভীর বলেছেন: খুশি হয়েছে জেনে আমিও খুশি হলাম।
৬| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০৩
মিরোরডডল বলেছেন:
এই লেখার শিরোনামের জন্য তানভীকে মাইর দেয়া উচিত।
আমিতো প্রথমে দেখে ভাবলাম আবার কা কে যেনো আমরা হারালাম, প্যানিক করার মতো শিরোনাম
১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: আসলে সন্ধ্যা বেলায় মাইকে ঘোষণার পরপরই এই একটা লাইনই মাথার ভেতরে ঘুরপাক খাচ্ছিলো । সেটাই শিরোনামে দিয়ে দিলাম।
৭| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০৭
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমি বেশ আগে মৃত্যু নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। চাঁন্দ গাজী আমাকে তিরস্কার করেছিলেন। খুব সম্ভবত নিজের মৃত্যুর কথাও তার মনে হয়ে গিয়েছিলো।
=================
২০০৮ এর কথা। তখন মোহাম্মদপুর থাকতাম। তাজমহল রোডের কাছে। টাউন হলে আড্ডা দিতো এমন ১০/১২জন বুড়া মানুষের সাথে পরিচয় ছিলো। আমিও তাদের আড্ডায় বসতাম মাঝে মধ্যে। আমাকে জ্ঞান দিতে পেরে তারা আন্দিত হতো, আমি জ্ঞান নিয়ে আনন্দিত হতাম। আমার বিলিং এ তাদের একজন থাকতেন।
হঠাৎ ঐ রোডে মড়ক লাগলো বলা চলে। প্রতি মাসে একজন একজন করে বুড়া বয়সী মানুষ মারা যেতে থাকলেন। কাকতালীয় ভাবে একের পর এক রোডে মৃত্যু আসছিলো, কোন সিরিয়াল ব্রেক হচ্ছিলো না। আমার বিল্ডিং এর ঐ আঙ্কেল হঠাৎই বাসা ছেড়ে দিলেন। জিজ্ঞাসা করেছিলাম ঘটনা কি, তিনি বললেন যেভাবে সিরিয়াল লেগেছে, এখানে থাকলে হয়ত আমারই মৃত্যু হবে। মাস দুয়েক পর জনালাম মৃত্যু সিরিয়াল ব্রেক করে নি, তিনি মারা গেছেন।
=================
আপ্রাণ চেষ্টা করি আফসোস না রাখতে। কিন্তু মানুষের মন মনে হয় এমন ভাবেই তৈরী যে কিছু না কিছু আফসোস থেকে যায়।
১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫
অপু তানভীর বলেছেন: আমি সব সময়ই বাস্তববাদী । আমি খুব ভাল করেই জানি যে আমার কী করতে পারবো আর কী করতে পারবো না । এমন জিনিসের চাহিদা আমার নেই যা পূরণ হবে না । আরো ভাল করে বললে আমি নিজে যা করতে পারবো না তেমন জিনিসের চাহিদা আমার একদমই নেই । এই কারণে আমার আফসোসের পরিমান কম ।
আর সোনা মিয়ার কথা গোনার ভেতরে নেওয়ার কিছু নাই ।
৮| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একজন মানুষ মারা গেলে তার পরিবারটা অসহায় হয়ে পড়ে।
যদি মারা যাওয়া ব্যক্তিটি হয় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম কোন ব্যক্তি।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটাই দেখা যায়।
আর আপনি যেটা বলছেন সেটা একটা বিলাসিতা মাত্র ।
আপনি মারা গেলে 150 টা বইয়ের কিছু যায় আসে না।
১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশ টুকুর বক্তব্য আমার পোস্টের সাথে অপ্রাসংঙ্গিক !
শেষ অংশে বলব আমি তো সেই কথা বলিও নি । আমি মারা গেলে আমার কোন কিছুই যায় আসে । সব কিছু যেমন আছে তেমনই থাকবে । কিছুই বদলাবে না । আমি বলেছি আমি বই গুলো না পড়ে মারা গেলে আমার ভেতরে আফসোস থাকবে। আপনার কাছে যা বিলাসিতা অন্যের কাছে সেটা বিলাসিতা নাও হতে পারে !
৯| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:২২
কামাল১৮ বলেছেন: মানুষ মরে যায় বেচেথাকে তার মহান কাজ।যে যত বড় মহান কাজ করবে তার নাম তত বেশিদিন বেচে থাকবে।অরশ্য এতে তার কোন লাভ নাই।কিন্তু নামকে বেশিদিন বাচিয়ে রাখতেই আমরা ভালো কাজ করি।
১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪০
অপু তানভীর বলেছেন: মহান কাজ করেই বা কতজন মানুষের মাঝে বেঁচে থাকে ? অনেকেই জোর করিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয় । পাঠ্যপুস্তকে আমরা যে সব মহান ব্যক্তিদের মনে রাখি তাদের যদি সেখানে না রাখা হয় তাহলে তাদেরকে কয়জন মানুষ মনে রাখতো !
আর আসলেই এই যে মনে রাখা এতে ই ব্যক্তির আসলে কিছুই যায় আসে না। মৃত্যুর পরে আমার নাম কেউ মনে রাখলেই কি আর না রাখলেই বা কী !
১০| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৪৪
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আমি এখন মরে গেলে হয়ত হাজার হাজার আফসোস নিয়ে মরে যাব। কত শত বই পড়া বাকি, কত শত মুভি দেখা বাকি, কত শত প্লট মাথার মধ্যে তা লেখা বাকি, কত জায়গায় ঘুরতে যাওয়া বাকি। খালি আফসোস আর আফসোস৷
১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: এই আফসোস আসলে কোন কালেই পূরণ করা সম্ভব না । প্বথিবীতে এতো এতো বই বের হয়েছে যে একজন মানুষের পক্ষে তার সিকি ভাগও পড়ে ফেলা সম্ভব না, সব বই তো পড়া অনেক পরের ব্যাপার । অন্য ভাষার সাহিত্যও বাদই দিলাম কেবল বাংলা ভাষাতে যত বই বের হয়েছে টার এক শতাংশ বই একজনের জীবদ্দশাতে পড়া সম্ভব না ।
তাই অন্তত যে বই গুলো নিজের কেনা সেগুলো অন্তত পড়ে মরতে চাই।
১১| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:১১
আরিফ রুবেল বলেছেন: একবিংশ শতাব্দীতে শোকের আয়ু কয় দিন?
সকাল সকাল আপনার পোস্ট ধাক্কার মত লাগল। আমারও না পড়া বইয়ের সংখ্যা নেহায়েত কম না।
১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: এখনও কাছের মানুষ গুলোর কাছে অনেক দিনই তবে আমাদের ব্যস্ত জীবনে অন্যের জন্য শোক করার সময় কোথায় বলুন !
দ্রুত পড়ে ফেলুন সব বই ! জীবনে আসলে আর আছেই বা কি !
১২| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:০১
কথামৃত বলেছেন: এই শতাব্দীতে শোকের আয়ু বড় জোড় ৪ দিন
১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: নতুন শোক আসা পর্যন্ত
১৩| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭
নতুন বলেছেন: দুনিয়াতে কত কিছু এখনো জানা হইলো না, দেখা হইলো না, এটা একটা আফসোস থাকবে চলে গেলে...
মানুষের কাছে সবচেয়ে দামী জিনিস হইলো নিজের জীবন। আপনি এই জীবন অন্যের কাজে লাগাবেন কেন? আপনাকে দিয়ে বাড়তি কিছু করানোর জন্যই বিভিন্ন ইজম/মতবাদ তৌরি করাহয়েছে।
আমি মারা গেলে আমার নাম দুনিয়াতে থাকলো বা হারিয়ে গেলো তাতে আমার কিছুই জায় আসেনা। কিন্তু এই জিনিসটাকে এমন একটা আইডিয়াতে রুপন্তর করেছে অনেকে যার জন্য অনেক মানুষ পৃথিবিতে অনেক চেস্টা করে তাদের নাম রেখে যেতে...
আমার কাছে মনে হয় জীবনের সময়টা সুখী হয়ে জাপন করে যেতে পারাই উদ্দেশ্য হউয়া উচিত।
১০ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: কত কিছু দেখা হল না এই অফসোস তো বলা চলে সকল মানবের ভেতরেই ছিল আছে আর থাকবে ! আর একজন মানুষের পক্ষে আসলে সব কিছু দেখাও সম্ভব না ।
আমার কাছেও ঠিক এইটাই এখন খুব ভাল করে মনে হয় । নিজের জীবন নিজর ইচ্ছে নিজের সুখ খুশির থেকে বড় আসলে জগতে আর কিছু নেই ।
১৪| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৩
নতুন বলেছেন: আমার কাছেও ঠিক এইটাই এখন খুব ভাল করে মনে হয় । নিজের জীবন নিজর ইচ্ছে নিজের সুখ খুশির থেকে বড় আসলে জগতে আর কিছু নেই ।
ব্যক্তিজীবনে পাশের মানুষের জন্য যথাসাধ্য উপকারের চেস্টা করি। মনে পরেনা স্বজ্ঞানে কারুর ক্ষতি করেছি।
জীবনটা ছোট তাই দুক্ষ আর কস্টনিয়ে না ভেবে সবাইকে নিয়ে কিভাবে আনন্দে থাকা যায় সেটারই চেস্টা করি।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:১৮
অপু তানভীর বলেছেন: আমার ব্যাপারটাও ঠিক একই রকম । মানুষের ক্ষতি নয় এবং একই ভাবে নিজের ক্ষতি করে অন্যের উপরকারও নয়। সব কিছুর থেকে নিজের সুখই সব থেকে বেশি জরূরী !
১৫| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইন্নালিল্লাহ পড়তে গিয়েও গিলে ফেললাম!!!
১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: পড়ে ফেলতে পারেন । মানুষ তো মারা গেচে ঠিকই !
১৬| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫১
আরোগ্য বলেছেন: ছোটকালে তো আমারও এই সমস্যা ছিলো। ভাবতাম মানুষ মরলে সুখ সংবাদ হয় কেমনে?
১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২০
অপু তানভীর বলেছেন: শোক আর সুখ সংবাদ
১৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৯
আরইউ বলেছেন:
অপু, আপনার এই পোস্ট পড়ে আমার লেখা একটা পোস্টের কথা মনে পরে গেল। সম্ভবত ১০-১২ বছর আগে আমি যখন ঐ পোস্ট লিখি তখন সাইকোলজিকালি আই ওয়াজ ইন আ ব্যাড প্লেস। টাইম হিলস! যাহোক, আশা করি আপনি ভালো আছেন।
১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: নাহ সময় সব কিছু ঠিক করে না । কিছু কিছু ব্যাপার থেকেই যায় সব সময় ।
আমি আছি আগের মতই । আপনার কী খবর ?
১৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৫৬
আরইউ বলেছেন:
আমি ভালো আছি, ধন্যবাদ। টানা কিছুদিন কাজ করেছি। এখন কিছুদিন ছুটিতে থাকবো।
১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৫৯
অপু তানভীর বলেছেন: টানা কিছুদিন আমিও কাজ করেছি গতবছর শেষের দিক থেকে । এই দুই তিন ধরে সেই ব্যস্ততা আপাতত বন্ধ । তবে নতুন আরেকটা বই নিয়ে কাজ চলছে । মুল কাজ শেষ হয়ে গেছে এখন রিরাইরিং চলছে । সেটা নিয়ে একটু কাজ চলছে । ব্যস্ত থাকলে সময় বেশ ভাল যায় ।
১৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৩০
আরইউ বলেছেন:
চমৎকার, কাজে ব্যস্ত আছেন জেনে ভালো লাগলো। বইয়ের কাজ চলুক। শুভকামনা, সবসময়!
১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:২৫
অপু তানভীর বলেছেন: কাজে ব্যস্ত থাকার মত ভাল ব্যাপার আর কিছু হয় না।
২০| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫১
আরইউ বলেছেন:
আপনাকে একটা ধাঁধা দিয়ে যাই। বলতে হবে মন্তব্যকারী কোন ভাষায় মন্তব্য লিখেছেন।*
*নিজ দায়িত্বে পড়বেন। পড়তে গিয়ে মাথাব্যথা হলে আমি দায়ী নই।
১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫৭
অপু তানভীর বলেছেন: মন্তব্যকারী যে বৈশিষ্টের কথা গুলো উল্লেখ করেছেন সেটাতো খাপে খাতে গলুর সাথে মিলে যাচ্ছে । একেবারে লাইন বাই লাইন । অথচ দেখেন ....
২১| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০৮
আরইউ বলেছেন:
ওহ, আপনি মুসিবত ভাষা বুঝতে পেরেছেন!
হা হা হা। গলু মাথা পাগলা অবস্থায় আছে; লিলিপুটগাজী শব্দটা নিতে পারছেনা বেচারা। লিলিপুট শব্দটা ব্লগে জনপ্রিয় করে নিজেই যে লিলিপুট সম্রাট হয়ে যাবে তা বুঝতে পারেনি গলু!
ব্লগে একজন “শুওর” বলে গালি দিয়েছিল কাউকে; বলেছিল মা-মাসী তুলে গালি দেয়ার কথা। তাকে মেডিসিন দেয়া হচ্ছে। সুস্থ্য হওয়া না হওয়া উপরওয়ালার হাতে!
১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৮
অপু তানভীর বলেছেন: একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখেন। গলুর মিয়ার চামচামী করে যারা তারা প্রত্যেকেই একেকটা চিজ ! এদের বৈশিষ্ট্য আলাদা ভাবে চিহ্নত করে সংরক্ষণ করা দরকার !
সুস্থ হবে বলে তো মনে হচ্ছে না !
২২| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৫
আরইউ বলেছেন:
সবই উপরওয়ালার ইচ্ছা।
চোরার লাস্ট পোস্টের প্রথম দুই প্যারা পড়ে দেখবেন। হাসতে হাসতে আমি শেষ।
১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: আমি অবশ্য এখন এই সময় নষ্ট করি না ওদিকে গিয়ে !
২৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:০১
আরইউ বলেছেন:
এটাও ভালো। আমি যেহেতু চিকিৎসা শুরু করেছি সেহেতু দায়িত্বশীল একজন ডাক্তার হিসেবে রোগীকে নিয়মিত দেখতে যেতে হয়। দেখি কতদিন চিকিৎসা চালাতে পারি। দোয়া করবেন, হা হা হা!
১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:০৭
অপু তানভীর বলেছেন: এই কয়েকটা গোন কেইস। এগুলো কখনও ঠিক হবে না ।
আমার আরেকটা নিক আছে, সেদিন লিংক দিয়েছিলাম । সময় করে সেখান থেকে একবার ঘুরে আসুন ! মজা পাবেন আশা করি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৩৪
তাসমিমা ইসলাম প্রতিভা বলেছেন: আসলেই,আমিও যখন ছোট তে প্রথম শুনেছিলাম।শোক সংবাদ কে সুখ সংবাদই শুনেছিলাম।আচ্ছা যেভাবে শোকের সংবাদ প্রচারিত হয় এভাবে সুখ সংবাদ প্রচারিত হলে কেমন হতো!?