নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পহেলা বৈশাখে কোনো দিন শখ করে পান্তা ইলিশ খেয়েছি বলে মনে পড়ে না। ইলিশ খেয়েছি, তবে পান্তা দিয়ে নয়। তার মানে কিন্তু এটা না যে আমি পান্তা ভালোবাসি না। বরং উল্টো, পান্তা আমার বেশ পছন্দের একটি খাবার!
একটা সময় পান্তা প্রতিটা ঘরে ঘরে একটি স্বাভাবিক খাবার ছিল। তবে এই খাবারটা বেশিরভাগ বাঙালি এখন আর খায় না। বিশেষ করে যখন থেকে আমাদের সবার বাড়ি বাড়ি ফ্রিজ সহজলভ্য হয়ে উঠেছে, তখন থেকে পান্তা খাওয়ার পরিমাণ কমে গেছে। আগে রাতের অবশিষ্ট ভাতে পানি দিয়ে রাখা হত। সেটাই সকালে লবণ মিশিয়ে খাওয়া হত! তবে যখন থেকে ফ্রিজ এসে হাজির হল, তখন আর ভাত সংরক্ষণের জন্য পানি দেওয়ার দরকার পড়ল না। মানুষ ফ্রিজে ভাত রেখে দিতে পারে, নষ্ট হয় না। পান্তা ভাত তৈরি করার দরকার পড়ে না। বাসায় ফ্রিজ আসার পরেও যে পান্তা খাওয়া হত না, তা না; তবে ধীরে ধীরে সেটা বন্ধ হয়ে গেল।
কোভিডের সময় যখন ঢাকার বাসায় বন্দী অবস্থায় ছিলাম, তখন আমি বেশ কয়েকবার নিয়মিত পান্তা খেতাম সকালে। তখন নিজের রান্না সব নিজেই করতাম। প্রায় দিনই অতিরিক্ত ভাত ফ্রিজে না রেখে পানি দিয়ে রাখতাম। তারপর সকালে সেই পান্তা খেতাম। সারা জীবনের অভ্যাস ছিল যে পান্তায় লবণ আমার মা মিশিয়ে দিতেন। আমি ঠিকমত মেশাতে পারতাম না। তবে ঢাকাতে আর মা পাব কোথায়? নিজেই লবণ মেশাতে হত তখন! অনেক দিন পরে এবার ঈদে গ্রামের বাড়ি গিয়ে পান্তা ভাত খেলাম। রাতের বেলা মা এসে জানতে চাইলেন যে আমি পান্তা ভাত খেতে চাই কিনা। তাহলে ভাতে পানি ঢেলে দেওয়া হবে!
সকালে উঠে দেখি পান্তার সাথে আলু ভর্তা আছে আর আছে ডালের বড়া। একেবারে সেই আগের দিনের মতো। যখন সকালে নিয়মিত পান্তা খাওয়া হত, তখনও এই খাবারটাই আমার সবচেয়ে পছন্দের ছিল। পান্তার সাথে আলু ভর্তা আর ডালের গরম গরম বড়া। একেবারে চুলা থেকেই পাতে এনে দেওয়া হত। কারণ বড়া ঠান্ডা হয়ে গেলে সেটা আর মজা লাগে না। অনেক সময় আমার বাবাকে দেখতাম পান্তার সাথে একটা শুকনা মরিচ ভেঙে নিতেন। এতে নাকি পান্তার স্বাদ আরও বেড়ে যায় যদিও আমি নিজে কখনও চেষ্টা করিনি। বরাবরই আমি ঝাল কম খাই।
পান্তার সাথে আমার আরও একটি পছন্দের খাবার ছিল। সেটা ছিল ইলিশ মাছ। বেশির দিনই এমন হত যে সেই ইলিশ মাছটি আগের দিনের রান্না করা। সেটা গরম করে দেওয়া হত। এছাড়া আরও এক ধরনের ইলিশ মাছ খেতাম পান্তার সাথে। এর প্রচলন সম্ভবত এখন একেবারে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আগে যদি বড় ইলিশ মাছ নিয়ে আসা হত, তখন সবটা তো আর একদিনে রান্না করা হত না। কারণ পরিবারে আমরা মাত্র চারজন। আর তখন ফ্রিজও ছিল না যে ফ্রিজে রেখে দেওয়া যাবে। তাই তখন মাছ সংরক্ষণের জন্য ইলিশ মাছকে হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে সংরক্ষণ করে রাখা হত। সেটার নাম যে কী, এখন আর মনে নেই। এভাবে মাছ দুই-চার দিনেও নষ্ট হত না। তখন ফ্রিজ থাকত কেবলমাত্র অভিজাতদের বাসাতেই। সাধারণ মধ্যবিত্তরাও ফ্রিজ কেনার কথা চিন্তাও করতে পারত না। তাই মাছ সংরক্ষণের এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হত। সেই মাছ দিয়ে পান্তা খেয়ে দারুণ লাগত আমার কাছে। এই খাবার সম্ভবত আর কখনও খাওয়া হবে না।
এবার বাসায় গিয়ে এমন কিছু খাবার খাওয়া হল যা অনেক দিন খাইনি। তার ভেতরে একটি হচ্ছে ঝোল খিচুড়ি বা সবজি খিচুড়ি। এই খিচুড়িটা আমার বিশেষ পছন্দ। কিন্তু ঢাকাতে আমার পরিচিত কোনো স্থানেই এই খিচুড়ি পাওয়া যায় না। এখানে সব স্থানেই ভুনা খিচুড়ি। আর সবই পোলাওয়ের চাল দিয়ে তৈরি। ভুনা খিচুড়ি যে ভালো লাগে না, সেটা বলব না, তবে সবজি খিচুড়ির সামনে সেটা কিছু না। আমাদের জেলাতে বড়বাজার পুলিশ মসজিদের পাশে এক লোক এই সবজি খিচুড়ি বিক্রি করতেন। সাথে থাকত ভুনা গরুর মাংস। তিনি সেটা বিক্রি করতেন কেবল সকাল বেলা। এমনও দিন আছে যে খেতে গিয়ে দেখি সব শেষ হয়ে গেছে। এত বিক্রি হত, তবুও তিনি নির্দিষ্ট এক ডেকচির বেশি রান্না করতেন না। সেটা শেষ হয়ে গেলেই চলে যেতেন। আবার পরের দিন। সেই খিচুড়ির স্বাদ যেন এখনও মুখে লেগে রয়েছে। তিনি মারা যাওয়া পরে তার ছেলে চেষ্টা করেছিলেন তবে সেই স্বাদ আর পাওয়া যেত না।
আরেকটা পছন্দের খাবার হচ্ছে শিং মাছের ঝোল। মাছের ভেতরে আমার ইলিশ আর চিংড়ি মাছই সবচেয়ে বেশি পছন্দ। এই দুই মাছ বাদ দিলে অন্য সব মাছ আমার কাছে একই রকম লাগে। তবে শিং মাছের প্রতি আমার আলাদা একটি ভালোবাসা রয়েছে। আমাদের বাসায় যখনই শিং মাছ রান্না করা হয়, তখন কেবল সেটা ঝোল করা হয়। সাথে অন্য কোনো প্রকার তরকারি দেওয়া হয় না। ঢাকাতে বিভিন্ন হোটেলে আমি শিং মাছ খেয়ে দেখেছি। সেখানে নানান ধরনের সবজি দেওয়া থাকে। স্বাদটাই কেন জানি আমার কাছে নষ্ট হয়ে যায় মনে হয়। এবার অনেক দিন পরে বাসায় শিং মাছের ঝোল খেলাম।
প্রতিবার বাসায় গেলে আর কিছু না হোক, এই খাওয়া দাওয়াটা হয় সব মনের মতো। এমন না যে ঢাকাতে আমি না খেয়ে থাকি। সবই হোটেলের রান্না। বাসায় মায়ের হাতের রান্নার সাথে কি সেসবের কোনো তুলনা হয়! এবারও তাই হয়েছে ।
যাই হোক, আজকের এই ফ্যাদা প্যাঁচাল এখানেই শেষ। সবাইকে লেট ঈদ মোবারক!
এই লেখার একটা বিশেষ ব্যাপার হল লেখার বানান গুলো আমি চ্যাটজিপিটি দিয়ে সংশোধন করিয়েছি। আমার লেখায় টুকটাক বানান ভুল থাকে। সম্ভবত এই লেখায় কোন বানান ভুল নেই।
pic source
২৪ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৮
অপু তানভীর বলেছেন: ভুনা খিচুড়ি ব্যাপারে একটা গল্প বলি । গল্পটা পোস্ট বললেই সম্ভবত ভাল হত । অনেক আগে কোন পোস্টে সম্ভবত এই গল্পটা আমি বলেও ছিলাম । আপনার মন্তব্য পড়ে মনে পড়ল ।
যাই হোক, গল্পটা হচ্ছে, আমার এক প্রেমিকা ছিল । একবার তার কাছে বায়না ধরলাম যে তার হাতের ভুনা খিচুড়ি খাব । সে রান্না করে নিয়ে এল । এবং নিজ হাতেই আমাকে খাইয়ে দিল । কিন্তু আমার সেই খিচুড়ি মোটেও পছন্দ হল না । এখন সে রান্না ভাল করে নি নাকি ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার কারণে স্বাদ লাগে নি সেটা আমি জানি না । খাওয়া এক পর্যায়ে তো ভেতরের খিচুড়ি গলা দিয়ে উঠে চলে আসছিল । সেটা ঠেকিয়েছিলাম অনেক কষ্টে । সেই যে ভুনা খিচুড়ির প্রতি একটা ঋণাত্বক মনভাব তৈরি হল সেটা আজও যায় নি । তবে আমার মায়ের হাতের ভুনা খিচুড়ি আমি খাই । বিশেষ করে প্রতি ঈদে নামাজের পরে প্রথম নাস্তা এই ভুনা খিচুড়ি ।
২| ২৪ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯
ইসিয়াক বলেছেন: ছোটবেলায় আমি একবার গ্রামে বেড়াতে গিয়েছি।তখন জ্যৈষ্ঠ্য মাস। দাদীজান সকালবেলা কাঁঠাল ভেঙেছেন। দারুন রসালো কাঁঠাল।কয়েক কোয়া খাওয়ার পর দাদীজান বললেন পান্তা ভাত দিয়ে কাঁঠাল খাবি।খুব মজা লাগবে। আমি প্রথমে মানা করলেও যখন জানলাম আজ কাঁঠাল আর পান্তাভাত ছাড়া অন্য কিছুর ব্যবস্থা নেই কারণ একসাথে দশ/ বারোটা কাঁঠাল পেকেছে দাদীজান সেজন্য গরম ভাত চুলায় দেননি। কি আর করা নিম রাজী হয়ে পান্তা ভাত লবন দিয়ে মেখে কাঁঠাল দিয়ে খেলাম। সত্যি দারুণ স্বাদ লেগেছিল। তবে আম দিয়ে পান্তা ভাত আমার ভালো লাগে না।
২৪ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৮
অপু তানভীর বলেছেন: কাঠাল আমার খুবই অপছন্দের একটা ফল । তবে কাঠালের বিচি আমি আবার ভেজে খেতে পছন্দ করি । কাঠাল দিয়ে পান্তা খাওয়ার কথা আমি আজকেই সম্ভবত প্রথম শুনলাম আপনার কাছে !
৩| ২৪ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
ইসিয়াক বলেছেন: আপনি কি কখনও পান্তা ভাত ঝাল পেঁয়াজ লবন দিয়ে মাখিয়ে একটু মুচমুচে ( কড়া করে) করে ভাজা ডিম ভাজি দিয়ে খেয়ে দেখেছেন? সত্যি বলছি দারুণ লাগে। আমি এখনও সুযোগ পেলে খাই। পান্তা ভাতের সাথে আরও ভালো লাগে আগের দিনের রান্না করা শুকনো বেগুনের তরকারি সাথে ঝাল পেঁয়াজ লবন।
২৪ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২০
অপু তানভীর বলেছেন: ঝাল আমি বরাবরই কম খাই । তাই শুকনো ঝাল মাখিয়ে আামর খাওয়া হয় নি । তবে আলুভর্তা যে বানানো হয় সেটা বানানো হয় শুকনো মরিচের । সেটার ঝাল মুখে লাগে । দেখি সুযোগ পেলে আপনার ফর্মুলা একবার প্রয়োগ করবো !
৪| ২৪ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১
ইসিয়াক বলেছেন: আমার সবচেয়ে পছন্দের খাবার মসুর ডাল, আলু ভর্তা আর ডিম ভাজি। এই খাবারটা যে বেলায় হয় সেই বেলায় আমি একটু বেশি ভাত খাই।
আমি সবজি খিচুড়ি খুব ভালো রান্না করতে পারি কিন্তু খিচুড়ি আমার পছন্দের খাবার না। আমার পছন্দের খাবার বেশি করে গরুর দিয়ে রান্না করা তেহারি।
২৪ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
অপু তানভীর বলেছেন: ঢাকাতে এসে প্রথম যে খাবার পছন্দ হয়েছে তা হচ্ছে তেহারি তারপর কাচ্চি । কোভিডের আগ পর্যন্ত আমি জীবনে এতো তেহারি আর কাচ্চি খেয়েছি তার কোন হিসাব নেই । এমনও মাস গিয়েছে যেখানে ভাতের থেকে আমার কাচ্চি তেহারি বেশি খাওয়া হয়েছে । তবে এখন তেহারি কাচ্চি খাওয়া বলতে গেলে একেবারে বন্ধ করে দিয়েছি । আরও ভাল করে বললে দিতে হয়েছে শারীরিক কারণে । রেড মিচ খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি অনেক !
ডাল আলুভ্তা আর ডিম ভাজি তো আমাদের ব্যাচেলরদের প্রধান খাবার । যে হোটেলে আমি খাওয়া দাওয়া করি সেই হোটেলে রাতের বেলা এই খাবার পাওয়া যায় । মাঝে মাঝেই এটা আমি খাই যদি পছন্দ মাছ মাংস না পাওয়া যায় !
৫| ২৪ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৯
নতুন বলেছেন: সারা জীবনের অভ্যাস ছিল যে পান্তায় লবণ আমার মা মিশিয়ে দিতেন। আমি ঠিকমত মেশাতে পারতাম না। তবে ঢাকাতে আর মা পাব কোথায়? নিজেই লবণ মেশাতে হত তখন! অনেক দিন পরে এবার ঈদে গ্রামের বাড়ি গিয়ে পান্তা ভাত খেলাম। রাতের বেলা মা এসে জানতে চাইলেন যে আমি পান্তা ভাত খেতে চাই কিনা। তাহলে ভাতে পানি ঢেলে দেওয়া হবে!
মায়ের হাতের পান্তা খাবার সৃতি মনে পরে গেলো।
এখন আর কেউই খাইয়ে দেয় না....
২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:০৩
অপু তানভীর বলেছেন: সত্যি বলতে কি কোভিডের সময়ে সেইবারই জীবনের প্রথম আমি নিজে পান্তায় লবন মিশিয়েছিলাম । এর আগ পর্যন্ত মাই এই কাজটা করে দিতেন !
৬| ২৪ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মিরোরডডল বলেছেন:
হ্যাঁ তানভী আগে একবার বলেছিলো, ব্রেকাপের কারণ ছিলো প্রেমিকার হাতের রান্না হিমশীতল ঠাণ্ডা ভুনা খিচুড়ি
what a tragedy!!!
হট ফুড খেতে হয় হট, একদম গরম গরম ধোঁয়া উঠা।
তানভীর প্রেমিকা আসলে অনেক ট্রিকি।
টেকনিক্যালি সেই ব্রেকাপ করেছে।
মুখে তুলে খাওয়ালো, আবার এমন ঠাণ্ডা পরিবেশন করলো, যেন সারা জীবনের জন্য তানভী খিচুড়ির মতো মজাদার খাবার থেকে দূরে সরে যায়। সাপও মরলো, লাঠিও ভাঙ্গলো না।
২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:০৭
অপু তানভীর বলেছেন: নাহ ওটার পরেও অনেক দিনই সম্পর্ক টিকে ছিল তবে আমার মন থেকে প্রেমিকার হাতে খাওয়ার ফ্যান্টাসী একেবারে উবে গিয়েছিল। তারপর আর কোন দিন আমার মনে হয় নি যে প্রেমিকার নিজ হাতে কিছু খাই ।
ছোট বেলাতে অবশ্য মায়ের হাতের খাওয়া ছাড়া আর কারো হাতেই খেতাম না । কেমন যেন লাগতো । আমি ভেবেছিলাম হয়তো প্রেমিকার বেলা বড় রোমান্টিক ব্যাপার হবে । কিন্তু সেটা আর হয় নি ! এরপর আর কখনই কারো হাতে আমি কিছু খাই নি।
৭| ২৪ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মিরোরডডল বলেছেন:
নতুন বলেছেন: মায়ের হাতের পান্তা খাবার সৃতি মনে পরে গেলো।
এখন আর কেউই খাইয়ে দেয় না....
কেনো না!!
এখনতো নতুনের আরেকটা মা আছে, ডানা।
বাবা মেয়ে একে অপরকে মুখে তুলে খাওয়াবে।
২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:০৭
অপু তানভীর বলেছেন: তবে মায়ের হাতেই স্বাদ আসলে কোন ভাবেই রিপ্লেস করার উপায় নেই । কোন ভাবেই না।
৮| ২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৩৫
নতুন বলেছেন: ডানা কয়েক বছর আগে আমাকে কি জানি একটা খাইয়ে দিয়ে শারমিনের কাছে গিয়ে বলছে, জানো আমি বাবার মা হয়ে গেছি...
২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:০৮
অপু তানভীর বলেছেন: বাহ চমৎকার একটা ব্যাপার তো ! সেই সময়ের অনুভূতিও অন্য রকম হওয়ার কথা !
৯| ২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চ্যাটজিপিটি আর কি চ্যাট করবে!!! আপনার পোষ্টে ''বানাম বুল'' না থাকাটা আপনের ইজ্জতের সাথে সম্পৃক্ত। দুইটা পাইলাম!! ইজ্জত রিস্টোরড!!!!
প্রায় দিনই বেশ ভাত ফ্রিজে না রেখে পানি দিয়ে রাখতাম। বেশ না, বেশী হবে।
তারপর সকালে সেটা পান্তা খেতাম। সেটা না, সেই হবে।
সম্ভবতঃ নাকি সম্ভবত? আপনি ''সম্ভবত'' লিখেছেন, আধুনিক বাংলায় এটা শুদ্ধ কিনা শিওর না।
পান্তা আমার পছন্দ হলেও বহু বছর ধরে খাওয়া হয় না। ভর্তা, মাছভাজা ঠিক আছে, তবে আমি পান্তার চিন্তা করলেও সাথে ডিমভাজা মাস্ট।
তার ভেতরে একটি হচ্ছে ঝোল খিচুড়ি বা সবজি খিচুড়ি। আমরা যেটাকে পাতলা খিচুড়ি বলি, সেটাই সম্ভবতঃ আপনাদের ওখানে ঝোল খিচুড়ি।
মাছের ভেতরে আমার ইলিশ আর চিংড়ি মাছই সবচেয়ে বেশি পছন্দ। আমার দুই চরম পছন্দের মাছ। তবে আমার ক্ষেত্রে এর সাথে পাবদাও যুক্ত হবে। অবশ্য এমনিতে যে কোনও মাছই আমার পছন্দ.........পোয়া মাছ বাদে!!!
২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১২
অপু তানভীর বলেছেন: যাক মান ইজ্জত যে রক্ষা পাইছে এইটা বড় একটা ব্যাপার । দুইটা ভুল বের হয়েছে । তবে আপনারও কিন্তু হইল না । এখানে বেশী হবে না, হবে বেশি । বেশী মানে হচ্ছে ছদ্মবেশী । বেশি মানে অতিরিক্ত । আমি শব্দটা বদলে দিলাম । অতিরিক্ত । আর সম্ভবতই হবে । নতুন নিয়ম অনুযায়ী শব্দের শেষে বিসার্গ বসবে না !
পান্তার সাথে আমার ডিম ভাজা ঠিক মনে ধরে না । ডিম ভাজা হতে পারে খিচুড়ির সাথে । হ্যা ওটা ঝোল খিচুড়িও বলে !
পাবদা মাছটাও বেশ । হোটেলে আমার পাবদা আর টেংড়া মাছ বেশি খাওয়া হয় ।
১০| ২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩৭
শায়মা বলেছেন: পান্তাভাত আমার অনেক পছন্দ তবে গরুর মাংসের সাথে!!!
ঐ ইলিশকে নোনা ইলিশ বলে । আমার দাদী বানাতো।
আর ঠান্ডা খিচুড়ির প্রেমিকার গলা দিয়ে বমি চলে আসা দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি !!! হা হা হা
২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১৩
অপু তানভীর বলেছেন: ঐ দৃশ্য আর কল্পনা করো নাতো । এখনও ওটা মনে পড়লে মনে হয় এইটাই আমার জীবনের সব থেকে করুন দৃশ্য । এটা না থাকলেই বরং ভাল ।
১১| ২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৪৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: এইসব এলকোহলিক ভাতের স্যূপ আর খাবেন না
২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১৭
অপু তানভীর বলেছেন: হে হে হে ! বুড়ো বয়সে মাল খেয়ে সম্ভবত সব কিছুতেই এলকোহল দেখতে পায় ! মাল কম খেলে সব কিছু স্বাভাবিক ভাবেই সে দেখতে পেত !
১২| ২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: গত কয়েকদিন ঠিকমতো কিছু খাওয়া হয়নি। এই ঝাল ঝাল আলুভর্তা আর ডালের বড়ার বর্ণনা দেখে মনে হচ্ছে কালকেই খেতে হবে...
২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১৮
অপু তানভীর বলেছেন: কালকেই খেয়ে ফেলুন । জীবনে আছে কি আর বলেন ! একদম দেরী করবেন না ।
১৩| ২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:০৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমরা চ্যাঁপার ভর্তা দিয়ে পান্তা খেতাম। সেই স্বাদ ছিল!
২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: ভর্তা পান্তার স্বাদ শতগুণে বাড়িয়ে দেয় !
১৪| ২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: পান্তা ভাতের সাথে বাসি মুসুরির ডাল আর মচমচে ঝুড়ো আলু ভাজি কিংবা ঝুড়ো মাংস চমৎকার লাগে! তবে শেষের এ দুটো পদী পান্তা ভাতের সাথে মিশানো যাবে না একটু একটু করে মিশিয়ে লোকমা তুলে খেতে হবে। তার আগে অবশ্য পান্তা ভাত খায় পরাশক্ত মরিচ, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ,লবণ আর ডাল দিয়ে ভালো করে চটকে নিতে হবে। বেশি করে পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে ডিমের ঝুরিও খারাপ না।
আমাদের মত 'বানাম বুলের' রাজাদের চ্যাট জিপিটি অবশেষে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। কৌশলটা একটু বাৎলে দিয়েন
২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:২০
অপু তানভীর বলেছেন: ডিমের ঝুরি দিয়ে অবশ্য আমি খাই নি । একবার খেয়ে দেখতে হবে !
আমি একটু পরেই একটা পোস্টে সহজ পদ্ধতিটা দেখাবো । ওখানে দেখবেন । একেবারে সহজ পদ্ধতি !
১৫| ২৫ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:১০
আরইউ বলেছেন:
পান্তা ভাত আমার কখনোই পছন্দের খাবারের তালিকায় ছিলনা। তবে ভাতের সাথে আলু ভর্তা, ঘন ডাল, আর ডিম ভাঁজি আমার খুব পছন্দের খাবার ছিল একসময়।
ঢাবিয়ান বলেছেন: এইসব এলকোহলিক ভাতের স্যূপ আর খাবেন না
ইন্টারেস্টিং পয়েন্ট! পান্তা ভাতকে এই প্রথম "এলকোহলিক ভাতের স্যূপ" বলতে শুনলাম। পান্তা ভাতে আসলেই কিছুটা আ্যালকোহল উৎপন্ন হয় ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ার কারণে, তবে এর মাত্রা খুব একটা বেশি নয়। অবশ্য কেউ যদি দিন দু'এক রেখে দেন তবে চোলাই মদ বানানোর উপযোগী হয়ে যাবে।
অ্যালকোহলের ভয়ে পান্তা ভাত খাওয়া বন্ধ করার কোন দরকার নেই আসলে। সত্যি কথা হচ্ছে এমনি ভাত খাবার চেয়ে পান্তা ভাত খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। ডায়াবেটিসের জন্য ভালো; পেটের জন্য ভালো (গাট মাইক্রোবায়োটা ফ্রেন্ডলি); সাধারণ ভাতের চেয়ে এতে পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে। যাহোক, ভাত যত কম খাওয়া যায় তত ভালো!
@ভুয়া, আমার মনে হয় ব্লগাররা সবচেয়ে বেশি বানান ভুল করেন "বেশি" শব্দটির। আমার জানামতে বেশি=আধিক্য; বেশী=বেশধারী।
পোস্টে বানান ভুল না থাকায় পড়তে আরাম লাগছে, অপু। এআই ব্যবহার করে পোস্টের বানান শুদ্ধ করা খুব ভালো একটি কাজ। অবশ্য দু' একজন দেখছি এআই দিয়ে আস্ত পোস্ট লিখছেন (পরীক্ষামূলক অনেকে করেছেন, সেটা ভিন্ন বিষয়) যা মোরালি/এথিকালি কতটুকু ঠিক আমি জানিনা।
ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা!
২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:২৮
অপু তানভীর বলেছেন: পান্তা মূলত যারা ছোট থেকে গ্রামে বড় হয়েছে সেই নম্বয়ের দশকে তাদের প্রিয় খাবার । আরো ভাল করে বললে এটা ধরতে পারেনন স্বাভাবিক খাবার তাদের কাছে । তবে শহরে বড় হওয়ার মানুষদের কাছে এটা এতোটাও অভাবে জনপ্রিয়তা পায় নি ।
আমার পোস্ট দেখে সোনা মিয়া পোস্ট দিয়েছে । অবশ্য সোনার মিয়া নিজ থেকে কিছু লেখার যোগ্যতা কোন কালেই তো ছিল না । কোন ব্লগার কী পোস্ট দিল সেইটা নিয়ে আর বেকার সময় পার করার জণ্য টিভি পত্রিকা দেখে সেটাই উগলে দেয় ব্লগে । সেটাতে আবার জ্ঞানী ভং ধরে !
পোস্ট লেখার ব্যাপারে এআইয়ের সাহায্য নেওয়াটা আমার কাছে খারাপ মনে হয় না । এটা অনেকটা ধরেন ক্যালকুলেটরের মত । ক্যালকুলেটর আমাকে সাহায্য করে । তবে পুরো পোস্ট লেখার ব্যাপারটা আমার কাছে ঠিক মনে হয় না । আপনার হয়তো জানা নেই বিভিন্ন পেইড ব্লগে (যেমন মিডিয়াম) আই দিয়ে লেখা শক্ত ভাবে নিষিদ্ধ । ধরা পড়লে একেবারে মনিটাইজেশন বন্ধ ।
ভাল থাকুন আপনিও !
১৬| ২৫ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:৪৭
জটিল ভাই বলেছেন:
আপনি এখানে পান্তাকান্ড ঘটাচ্ছেন আর অন্যদিকে আপনার পৃষ্ঠপোষক আপনার এই ভাতের স্যুপ খাওয়া যে কতোটা স্বাস্থ্যহানিকর, তা নিয়ে ভেবে ভেবে শুকনো ভাতের মতো শুকিয়ে যাচ্ছে
তাই ঢাবিয়ান ভাইয়ের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলি, এইসব এলকোহলিক ভাতের স্যূপ আর খাবেন না
২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: সোনা মিয়ার জ্ঞান হচ্ছে হাটুতে । নিজে মাল খেয়ে সব কিছুতেই মালের গন্ধ পাচ্ছে ! এটা নিয়ে এতো ভাবার কিছু নেই।
১৭| ২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৩৪
শায়মা বলেছেন: একটা ছড়া মনে পড়লো-
ঐ দেখা যায় তালগাত
ঐ আমাদেল গা
ঐখানেতে বাত কলে কানাবগার তা.....
ও বগা তুই খাস কি?
পান্তাভাত চাস কি???
পান্তা আমি খাই লা '
পুঁটি মাত পাই লা......
আমি ওখন বৈদেশী
খানাগুলান পরদেশী
(যদি) বাটার ব্রেড পাই
লম্ফ দিয়ে আপুত অপুত খাই.....
২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: কানা বগি না হয়ে কানা বলদ হলে বেশি ভাল হত ! কানা রামপাঠাও মন্দ নয় কিন্তু
১৮| ২৫ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরইউ আর অপু দু'জনকেই ধন্যবাদ। বেশি আর বেশী এর মধ্যে পার্থক্য বলে দেয়ার জন্য। টু বি ভেরী অনেষ্ট, আমার এইটা জানা ছিল, শুধু পরীক্ষার খাতায় লেখার সময়ে গড়বড় হয়ে গেল। এই জন্যই বলে, ম্যান ইজ মর্টাল!!!
তবে আপনারা দুজনে এটাতো মানেন যে, আমার ''বানাম বুল'' হয় খুবই কম!! আর এর পুরোটা ক্রেডিট আমি দেই সামুকে। ব্লগিং শুরু করার আগে আমার বানানের অবস্থা ছিল ভয়াবহ!!! প্রথমদিকে পোষ্ট লিখতে গেলে আমার প্রায় প্রতিটা কঠিন আর কনফিউজিং বানান চেক করতে হতো!!!
২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে সামু ব্লগের সব সাধারণ ব্লগার থেকে আপনার বানান ভুল কম হয় । কম হয় বলছি কেন, আপনার ভুল হয় না বললেই চলে !
১৯| ২৫ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:২৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গরমকালে শুটকির ভর্তা দিয়ে পান্তা দারুন লাগে।
২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:১৮
অপু তানভীর বলেছেন: শুটকি যদিও আমি খাই নি । শুটকি আমার খুব একটা পছন্দ না । আলু ভর্তার সাথে ডালের বড়া বা ইলিশ মাছ। এটাই সেরা কম্বিনেশ মনে হয় আমার কাছে।
২০| ২৬ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গতকাল অফলাইনে পড়েছি পোস্টটা। ছোটবেলায় পান্তাভাত মাঝে মধ্যে খেয়েছি। শুকনা মরিচ পোড়া ডলে পেয়াজ দিয়ে পান্তাভাত খেতে খুব ভালো লাগতো। ঢাকায় জন্ম এবং বেড়ে ওঠা বলে পান্তাভাতের সাথে দেখা সাক্ষাৎ খুব কম হয়েছে। এরকম অনেক কিছু মিস করি যা এই ঢাকার বুকে থেকে পাওয়া হয় নাই।
২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:২০
অপু তানভীর বলেছেন: শহর অঞ্চলে বসবাস করা সকল মানুষেরই বুঝি এমন গ্রামের কিছু কিছু ব্যাপার মিস করে থাকে । অনেক কিছু হারিয়ে যায় শহরায়নের ফলে ! আস্তে আস্তে এমন ভাবে কত কিছুই না হারিয়ে গেছে ।
২১| ২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই পোস্টটি আগে মোবাইল থেকে পড়েছিলাম এবং ভালো লেগেছিল।
ভালো লাগার বিশেষ কারণ লেখাটি নিজের শৈশবের পান্তা খাওয়া দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। ঠিক আপনার লেখার মতোই, মফস্বলের বাড়িতে ফ্রিজ ঢোকার আগ পর্যন্ত সকালে প্রায়ই আমরা সাধারণ একটা ভর্তা বা ভাজির সাথে গরমের সময়টায় পান্তা খেতাম। পান্তা খেতে ভালোই লাগতো।
ফ্রিজ আসার পরে, অনেক দিন পান্তা কিভাবে যেন হাওয়া হয়ে গেল! আবার একটা সময়, যতদিন দেশে ছিলাম, ঠিক রমনার বটমূল স্টাইলে ইলিশ সহকারে পয়লা বৈশাখের দিনে পান্তা খাওয়া শুরু হলো।
এদেশে পয়লা বৈশাখের দিনে বেশ ঠাণ্ডা থাকে, তবুও প্রস্তাবনা পাই "আজ কি পান্তা খাবে?"
২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের পান্তা খাওয়ার সব থেকে ভাল সময় ছিল গরম কাল । শীতকালে আমরা পান্তা খেতাম না । আর এখন তো আর কোন সময়েই আর পান্তা খাওয়া হয় না । ফ্রিজ আসার মত করেই আরও কত শত প্রযুক্তি আমাদের জীবন থেকে এমন সব ঐতিহ্যগুলো গায়েব করে দিয়েছে ! তবে এই বিশেষ মুহুর্তে এই ঐতিহ্যগুলো ফিরে ফিরে আসে - এটা মন্দের ভাল!
২২| ২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫০
শায়মা বলেছেন: হি হি আবার এত্তা ছলা বব্বো..... পান্তা আমি খাই না
পুতি মাত পাই না......
এত্তা যদি পাই........
ওমনি ধরে হাই মাই খাই
তবুও কেউ দেখার নাই.....
২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫৪
অপু তানভীর বলেছেন: কেউ দেখার নাই । ভেরি ভেরি স্যাড !
২৩| ০১ লা জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পান্তা ভাত আমারও খুব ভাল লাগে।এখনও মাঝে মাঝে খাওয়া হয়।আমার মা মশুর ডালের ভর্তা করতেন শুকনো মরিচ দিয়ে।
এটাই আমার কাছে বেশি ভাল লাগত।
০১ লা জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৪
অপু তানভীর বলেছেন: আমার মনে হয় আমার সম বয়সী কিংবা তার থেকে একটু বেশি সময় তাদের সবাই একটা কমন সাধারণ খাবারের তালিকাতে এই পান্তা রয়েছে ।
২৪| ০১ লা জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
নয়া পাঠক বলেছেন: কাঁঠাল দিয়ে পান্তা, ওফ সে কি মজা! আর পান্তার সবচেয়ে বেশি মজা হল কাঁচা পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ আর লবণ! ছোটবেলায় প্রায় খেতাম, প্রথম প্রথম খুব একটা ভাল না লাগলেও একদিন কাঁঠাল দিয়ে খাওয়ার পর প্রায় রোজই খেতাম, কোনদিন হয়ত কাঁঠল, কোনদিন পেঁয়াজ-মরিচ, কোনদিন ডাউল অথবা আলুভর্তা দিয়ে। আমার মা’ অনেক মজা করে ডাউল রান্না করতেন। অবশ্য তিনি শুধু ডাউল নয়, যে কোন রান্নাই খুব ভাল রান্না করতেন। আমাদের এলাকায় অনেক মানুষ আমার মায়ের হাতের রান্না খেতে খুবই ভাল বাসতেন। আমাদের বাড়িতে প্রতিদিন কমপক্ষে ২-৩ জন বাহিরের মেহমান আসত। আর তাদের আপ্যায়নের জন্য মায়ের সে কি চেষ্টা! ঘরে যদি খাবার নাও থাকত, হাতের কাছে যা থাকত তাই দিয়েই তিনি তাদের যথাযথভাবে আপ্যায়ন করতেন।
আল্লাহ তাঁকে জান্নাতবাসী করুন। আমিন।
০১ লা জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৪
অপু তানভীর বলেছেন: আল্লাহ তাঁকে জান্নাতবাসী করুন। আমিন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি পহেলা বৈশাখে কোনো দিন শখ করে পান্তা ইলিশ খাইনি।
আমিও কখনও পহেলা বৈশাখে পান্তা খাইনি।
ডালের বড়া পান্তার সাথে খাইনি কিন্তু গরম ভাতের সাথে শুকনো মরিচ ভাঁজা দিয়ে অনেক মজা।
ইলিশ মাছ খাইনা কিন্তু ইলিশের ডিম পছন্দ।
আমার মায়ের হাতের শিং মাছের ঝোল পৃথিবীর সেরা খাবারের একটা।
তানভী, মিররের বন্ধুরা বলে ও নাকি খুব ভালো বিফ ভুনা খিচুড়ি রান্না করতে পারে