নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানব ক্রূরতার আরেকটি উদাহরণ

০৩ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০০



সকাল বেলা ফেসবুক চালু করেই ছবিটা চোখে পড়ল। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ফেসবুক পেইজে ছবিটা পোস্ট করা হয়েছে। ছবিটি তুলেছেন রাজীব ধর নামের একজন। ইনানী সমুদ্রসৈকতে একটা ঘোড়া একাকী দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু এই দাঁড়িয়ে থাকার পেছনে যে ভয়ংকর এবং মানবিক নিষ্ঠুরতার এক ভয়ংকর গল্প দাঁড়িয়ে আছে, তা জানা নেই অনেকের। অবশ্য কক্সবাজারে এই দৃশ্য খুব বেশি অস্বাভাবিকও না। এই দৃশ্য সেখানকার মানুষ এবং পর্যটকদের চোখে প্রায়ই পড়ার কথা। নিঃসঙ্গ এক ঘোড়া রাস্তায় কিংবা সমুদ্রতীরে একাকী ঘুরে বেড়াচ্ছে।

এই ঘোড়াগুলো একসময় পর্যটকদের মনোরঞ্জন করে এসেছে। মালিকদের কাছে তখন এই ঘোড়াগুলোর দাম ছিল, কারণ তারা পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এসেছে। বয়সের ভারে কিংবা কোনো কারণে যদি ঘোড়াটা আঘাত পেয়ে অকেজো হয়ে যায়, তাহলে মালিক তখন সেই ঘোড়াটা এভাবে একা ছেড়ে দেয়। একা একা ঘোড়াটা তখন এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ায়। হয়তো বুঝতেও পারে না কেন তার এই অবস্থা! যদি এমন হয় যে খাওয়ার মতো ঘাস থাকে আশেপাশে, তখন হয়তো ঘোড়াটা আরও বেশ কিছুদিন বেঁচে থাকে। যদি ঘাস না থাকে, তাহলে অনাহারে-অযত্নে মারা যায়!

আচ্ছা, মানব চরিত্রই কি এমন? যে প্রাণীটি এতদিন তার আয়-রোজগার করে পকেট ভর্তি করেছে, আজ যখন তার দরকার শেষ, তখনই একেবারে ছুড়ে ফেলে দিল। অবশ্য কেবল এই পশুর কথাই কেন বলছি! মানুষ তো তাদের নিজের আপন বাবা-মা কেও ছেড়ে চলে যায়!

আজকে সকাল থেকে মনটা কেমন যেন বিষণ্ণ হয়ে আছে। এই ছবিটা সকাল থেকেই আমার চোখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কী নিঃসঙ্গ, একাকী লাগছে!

ঢাকার সদরঘাট থেকে গুলিস্তানে এখনও ঘোড়ার গাড়ি চলে। ঘোড়াগুলোর অবস্থা কী যে করুণ! কেবল মাত্র মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য এই প্রাণীগুলোকে কত অমানবিক ভাবে খাটানো হয়! একটা সময়ে পশু চালিত গাড়ি ছাড়া আমাদের কোনো উপায় ছিল না। কিন্তু ইঞ্জিনচালিত যান চালু হওয়ার পর এখন এই প্রাণীচালিত যানের কোনো প্রয়োজন নেই, বিশেষ করে নিজেদের মনোরঞ্জনের জন্য তো নয়ই!

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মানব সভ্যতার উৎপত্তিকাল থেকেই মানুষ এমন, সভ্যতার বিলুপ্তি পর্যন্ত এটা চলতেই থাকবে।

মানুষ মানুষের প্রতিই যেই রকমের নৃশংসতা দেখায়, সেখানে পশু-পাখী কোন ছাড়? এমন মন খারাপ করা ভিডিও আর ছবি নেট দুনিয়ায় লক্ষ-কোটি আছে। কতো মন খারাপ করবেন? আমি যতোটা কম পারি, এসব দেখি। চোখের সামনে পড়লেও এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি সব সময়ে।

০৩ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:১৪

অপু তানভীর বলেছেন: আমিও এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি সব সময়। তবে আজকে সকাল বেলা, ফেসবুক খুলে প্রথমেই এই ছবিটা চোখের সামনে এসে হাজির হল। আমি অনেক দিন আগে কুয়াকাটা গিয়েছিলাম । সেখানেও আমি এমন একটা ঘোড়া দেখেছিলাম । ঘোড়াটা খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটছিল ।
আজকে সকাল থেকেই ঘুরে ফিরে এই ছবিই আসছে বারবার । আজকে আবার সারাদিন মেঘ বৃষ্টি ! বিষন্ন আবহাওয়া । মন খারাপের ভাব যেন আরও বাড়িয়ে দিল !

২| ০৩ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৩৩

ধূম্র ধূম্রাট বলেছেন: ঠিক এই বিষয়টা যখন কর্পোরেট জগতে অথবা ক্যারিয়ার জগতে ঘটে তখন আমরা এটাকে বাস্তবতা বইল্যা চালাইয়া দিই তখন কিন্তু আমাদের মানবিকতা আর উতলাইয়্যা উঠে না । মানুষের সবচেয়ে বড় ক্রূরতা হইলো সে একেক সময় একেক রকমভাবে মানবিকতা দেখায় ।

০৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: ঘোড়া আর সক্ষম মানুষ কী এক হল?

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: ঘোড়াটিকেতো খুববেশি দুর্লব দেখাচ্ছে না।

০৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: আহত !

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৫৮

পাইকার বলেছেন: ঘোড়ার মালিকের মথায় এক ফোঁটা বুদ্ধিও নাই । ঘোড়াটার মাংস কোনো রেস্টুরেন্টে কাছে গুপনে বিক্রি কইরাদিলে কিছুটা হইলেও কামাইতে পারতো। আফসুস লুকটা বাঙালি হইতে পারল না।

এইগুলারে ধইরা নিয়া গেলে কেউ কি টের পাইবো ? না পাইলে চিটাগাংয়ের ব্লগাররা মালকোচা বাইন্ধা দৌড় লাগান। সমুদদুর দেখার সাথে সাথে টুপাইস কামইতেও পারবেন।

০৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২১

অপু তানভীর বলেছেন: ঘোড়ার মাংস যে আপনি যে কোন রেস্টুরেন্টে খান নি সেটার নিশ্চয়তা কী বলুন!

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:২৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব খারাপ লাগলো :(

০৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২১

অপু তানভীর বলেছেন: তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না !

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫

পাইকার বলেছেন: Horse meat scandal in Europe : The Telegraph

০৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২২

অপু তানভীর বলেছেন: এ জিনিস আমাদের ঘটে যে না সেই কথা নিশ্চিত করে বলা যাবে না । বিশেষ করে ঢাকার যে ঘোড়া গুলো আচে সেগুলো কোথায় যায় কেউ বলতে পারে না।

৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঢাকা শহরে চলমান ঘোড়াগুলোর দুটি আস্তাবল, একটি বঙ্গবাজার সংলগ্ন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার এর নীচে আরেকটি ঢাকা মেডিকেল এর প্রথম গেট, বুয়েটের ডাঃ ফজলে রাব্বি হল হতে যে রাস্তাটি টিএসসি'র দিকে গেছে সেটি। সেখানে গেলে দেখা যায় ঘোড়াগুলোর করুণ দশা। এসব ঘোড়া নিয়ে যারা ব্যবসা করছে তাদের শিক্ষা, চিন্তা, চেতনা হয়তো অনেক পেছানো যেখানে একটি পশুর অসহায়ত্ব তাদের ভাবায় না। কিন্তু আমাদের সমাজে তথাকথিত অনেক উচ্চ শিক্ষিত, আধুনিক চিন্তার অধিকার চেতনাধারী মানুষদের খুঁজে পাওয়া যাবে, যারা পশু নয়, সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে পশুর কাতারে নামিয়ে এনে ব্যবহার করতে পিছপা হন না। সত্য কথা বলতে, মানুষ নামের প্রাণীটিই প্রচন্ড স্বার্থপর, মনে হয় সৃষ্টির একমাত্র স্বার্থপর প্রাণী।

০৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৩১

অপু তানভীর বলেছেন: সত্যি বলতে কি আমরা মানুষ হিসাবেই এতোটাই আত্মকেন্দ্রিক যে সামনের মানুষ কোন পর্যায়ে আছি সেটা নিয়েই আমরা ভাবি না । পশু পাখি তো অনেক পরের ব্যাপার ! আপনি ঠিকই বলেছেন যে ''মানুষ নামের প্রাণীটিই প্রচন্ড স্বার্থপর, মনে হয় সৃষ্টির একমাত্র স্বার্থপর প্রাণী''।

৮| ০৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:২৮

ধূম্র ধূম্রাট বলেছেন: ঘোড়া আর সক্ষম মানুষ কী এক হল?

তো ঘোড়া কী বাঁইচে থাকতি অক্ষম নাকি ঘোড়ার সারভাইবেলের কোন ক্ষমতা নাই । আর মানুষ সক্ষম হলিও তাকে যখন সুবিধা বঞ্চিত করা হচ্ছে এবং প্রতিকুলতায় ডুবাইয়ে দেয়া হচ্ছে তখন কী মানুষ পূর্ণাঙ্গ সক্ষম থাকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবার জন্যি ?

মনে হতিছে ঘোড়ার ওকালতি করতি গিয়ে আপনি ঘোড়ার চোখে দুনিয়া দেকতিছেন !

০৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৩২

অপু তানভীর বলেছেন: জ্বী বুঝতে পেরেছি । ভাল থাকুন !

৯| ০৬ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯

শাওন আহমাদ বলেছেন: জীবন মানে হারাও, বাবা হারাও;বোন‌ হারাও‌; ভাই হারাও; পছন্দের সময় হারাও; জায়গা হারাও; স্বপ্ন হারাও; দিন দিন শুধু হারানোর তালিকা বাড়বেই।
জীবনের দীর্ঘ একটা সময় ঘুরেফিরে ব্যথা পাও; ব্যথা দাও; সহ্য করো; সহ্য করো সহ্য করো আর অনর্থক স্বপ্ন দেখো, ডালপালা ছড়াও বংশবিস্তার করো তারপর মরে যাও ব্যাস এটুকুই তো নাকি।

মানুষ বরাবরই অকৃতজ্ঞ প্রাণী

০৬ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: মানুষ বরাবরই অকৃতজ্ঞ প্রাণী !
আমার তো মনে হয় প্রাণী কুলের ভেতরে কেবল আমরাই অকৃতজ্ঞ প্রাণী !

১০| ০৬ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:০২

শায়মা বলেছেন: আহারে! কি কষ্ট লাগছে। এমনই অনেক পথশিশুরাও ঘুরে বেড়ায় শহরের এখানে সেখানে।

০৬ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৩৯

অপু তানভীর বলেছেন: সত্যিই তাই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.