নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আওয়ামীলীগ সব সময় বলে আসে তারা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং সচেতন ভাবেই জামাতের প্রতি একটা ঘৃণা তৈরি করেছে জনগনের মনে । তারা বলে এসেছে যে যারাই জামাতের সাথে তারাই খারাপ, তারাই দেশ বিরোধী । কিন্তু মজার একটা ব্যাপার হচ্ছে এই খোদ আওমীলীগই কিন্তু এক সময়ে জামাতের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে এক জোট হয়ে মাঠে নেমেছিল। এটা নিয়ে আওয়ামীলীগাররা কথা বলেন না । এমনটা ভাব করেন যেন এমন কিছু ঘটেই নি কোন দিন। তখন কি জামাত দেশবিরোধী ছিল না? ৯৬তে বিএনপির এক তরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ জামাতের সাথে মিলে আন্দোলন করেছে। মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। জামাত যে দেশ বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী, তখন আওয়ামীলীগের মাথায় এই কথাটা সম্ভবত ছিল না। জামাত যখন বিএনপির সাথে যুক্ত হল তখন তাদের এই কথা মনে পড়ল।
আপনারা একটা ব্যাপার খেয়াল করলে দেখবেন, আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধের প্রেম ২০০৮ সালের নির্বাচনের প্রচারণার আগে এতোটা প্রবল ছিল না। আমি যখন থেকে বুঝতে শিখলাম তখন থেকে কিন্তু আওয়ামীলীগের মুখে এই মুক্তিযুদ্ধের গল্প এতো ব্যাপক ভাবে প্রচার হতে দেখি নি যতটা এই ২০০৮ সালের পরে এসে দেখেছি। এটা কি আসলেই মুক্তিযুদ্ধের প্রতি প্রেম নাকি নির্বাচনে জেতার এজেন্ডা সেটা বোধকরি আলাদা ভাবে বলে দিতে হবে না। প্রতিটিটা নির্বাচনেই রাজনৈতিক দল কোন না কোন এজেন্ডা সামনে নিয়ে আসে সামনে। আটের নির্বাচনের সময় মোটামুতি ৩৩ শতাংশই ছিল তরুণ ভোটার । তাদের ভোট নিজেদের দলে টানতেই এই মুক্তিযুদ্ধকে সামনে আনা হয়। এই রাজাকারদের বিচার করা হবে এই আশ্বাসেই আওয়ামীলীগ তরুণদের সমর্থন আদায় করে। এই কথা কোন ভাবেই অস্বীকার করা যাবে না যে শেখ হাসিনার সরকারই মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তরুণদের আকৃষ্ঠ করে তোলে।
আমার বলতে দ্বিধা নেই যে আমি নিজেও সেই দলে ছিলাম । কিন্তু হঠাৎ করেই একটা জিনিস আমাদের সামনে এসে হাজির হল যে এই মুক্তিযুদ্ধ, একাত্তর আওয়ামীলীগের নিজেস্ব সম্পত্তি হয়ে উঠেছে। এই মুক্তিযুদ্ধে এবং একাত্তরকে তারা নিজেদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছে। নিজেদের সব আকাম কুকাম ঢাকতে ব্যবহার করেছে।
শুরুতে এই মুক্তিযুদ্ধ একাত্তর কেবল মাত্র জামাত এবং পরে বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয় । কিন্তু দিন যতই যেতে লাগল ততই দেখা গেল চারিদিকে সবার বিরুদ্ধেই এই মুক্তিযুদ্ধ আর একাত্তরকে দাড় করিয়ে দেওয়া হতে লাগল । যে কাউকে ধরে মারধোরের শেষে কেবল একটা শিবির ট্যাগ লাগিয়ে দিলেই ব্যাস, আর কোন কথা ছিল না। সব কিছু জায়েজ ! এমন কি খুন করেই যদি বলা যত শিবির ছিল তখনও সব কিছু জায়েজ হয়ে যেত। কেবল একটা ট্যাগই যথেষ্ঠ ছিল।
এই প্রসঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করি একটা। আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় কি তৃতীয় বর্ষে পড়ি। আমাদের ক্লাসেরই এক ছেলে পড়ত। লাকসামে বাড়ি। ক্লাসের প্রথম সারির ছাত্র ছিল সে। এই ছেলে ক্লাসের আরেকটি মেয়েকে পছন্দ করত । এই ব্যাপারটা আমরা সবাই জানতাম। ভালছাত্র হওয়ার কারণে সেই মেয়েও প্রশ্রয় দিত। একদিন ক্লাসে এসে শুনি এক আওয়ামীলীগ পাতিনেতা তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে তাকে মারধোর করেছে। কারণ হচ্ছে সেই নেতা আমাদের ক্লাসের সেই মেয়ের এলাকার। এবং সেই মেয়ে কোণ দিন তাকে পাত্তা দেয় নি। এই ছেলের সাথে মেলামেশা করতে দেখে তার সহ্য হয় নি। কোন বিচার কিংবা কিছুই হয় নি । কারণ তাকে মারা হয়েছে শিবির ট্যাগ দিয়ে।
সেই সময়ে এই জামাত শিবির ট্যাগে খুব কাজও হত। আস্তে আস্তে আমরা দেখতে লাগলাম যে সবাইকেই এই ট্যাগ দিয়ে দেওয়া হতে লাগল। যারাই সরকারের আকাম কুমাকের কথা বলত তারাই দেশ বিরোধী তারাই স্বাধীনতা বিরোধী তারা জামাত শিবির আর রাজাকার । তুমি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে, তুমি রাজাকার, তুমি সরকারের দমন নিপিড়নের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছ তুমি রাজাকার, তুমি ব্যাংক লুট ঋণ খেলার বিরুদ্ধে বল, তুমি রাজাকার, তুমি সরকারী গুমের বিরুদ্ধে কথা বলছ তুমি রাজাকার !
এই ট্যাগ দিতে দিতে এমন একটা অবস্থা দাড়াল যে দেখা গেল কেবল মাত্র সরকারী চামচা বাদ দিয়ে সবাই হয়ে গেল রাজাকার । দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠই এখন রাজাকার হয়ে গেছে। আওয়ামীলীগ এই মুক্তিযুদ্ধ, এই চেতনাকে এতো এতো ভার ব্যবহার করেছে যে মানুষের ভেতর থেকে এই ট্যাগের অস্ত্রের ভয় একেবারে চলে গেছে। আওয়ামীলীগের চেতনা ব্যবসায় একেবারে লাল বাত্তি জ্বলে উঠেছে।
একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখুন, সেই ২০১৩ সালে কাউকে যখন রাজাকার জামাত শিবির ট্যাগ দেওয়া আর এই ২০২৪ সালে কাউকে একই ব্যাপারে ট্যাগ দেওয়া, এই দুই ট্যাগের ফল কি এক রকম? এখন এই ট্যাগ কেউ কেয়ারই করছে না। বরং এখন যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ কাউকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দেয় তাহলে বরং অবস্থা ভয়াবহ ! পাশার চাল কিভাবে উল্টে গেল!
এছাড়া আরেকটা ব্যাপার দুঃখজনক যে দশ বছর আগে মুক্তিযোদ্ধাদের দেশের মানুষ যেভাবে সম্মান করত এখন এই ২০২৪ সালে সেই রকম ভাবে কি সম্মান করে? মুক্তিযোদ্ধাদের আওয়ামীলীগ নিজের স্বার্থে এমন ভাবে ব্যবহার করে গত ১৫টা বছর যে মুক্তিযোদ্ধারা আগের সেই ইমেজ ধরে রাখতে পারেন নি। এর পেছনে যে শুধু আওয়ামীলীগ দায়ী সেটাও কিন্তু নয়। মুক্তিযোদ্ধারা নিজেরাও কি দায়ী নয়? আপনারা কী বুঝতে পারেন নি যে আওয়ামীলীগ আপনাদেরকে সামনে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে নিজেদের স্বার্থের জন্য? আপনারা এর বিরুদ্ধে কেন কথা বলেন নি?
যখনই আওয়ামীলীগ কোন অন্যায়ের ঢাল হিসাবে মুক্তিযোদ্ধাদের দাড় করিয়েছে আপনারা কিন্তু সেখানে ঢাল হিসাবে দাড়িয়েও গেছেন । আওয়ামীলী অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবার করা মানেই কিন্তু একাত্তরের বিরুদ্ধে যাওয়া নয় । কিন্তু দিনের পর দিন এই কথাটাই প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়েছে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে যাওয়া মানেই মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যাওয়া, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যাওয়া ! এই চেষ্টা সফল হয় নি।
আমার নিজ এলাকার পলায়নকৃত এমপি সাহেব একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন । আট সালে তিনি নির্বাচত হয়ে এমপি হলেন। তারপরে তার ভাইকে জেলার মেয়র বানান তিনি । এরপর এই চব্বিশ পর্যন্ত দুইজন একই অবস্থায় ছিলেন। এই দুইজন জেলার এমন কোন অকাম নেই যে করেন নি। প্রতিটা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া, সরকারী প্রকল্পে টাকা মারা, ভয় ভীতি দেখিয়ে জায়গা জমি দখল এমন হেন অপকর্ম নেই যে এই দুই ভাই মিলে করে নাই। আর বিরোধীদের নেতাকর্মীদের উপরে যে অকথ্য নরক নেমে এসেছে তারও কোন হিসাব নেই। ২০১৪ এর পরে কোন বিএনপির নেতা কর্মী রাতে তাদের বাসায় ঘুমাতে পারে নাই। যখন সরকার পতন হলে এই দুই ভাইয়ের বিশাল দুই বিল্ডিং সবার প্রথমে আগুণে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা পলাতক । এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনারা এই হামলাকে কি একজন মুক্তিযুদ্ধার উপরে হামলা হিসাবে প্রচার করবেন? নাকি তার কর্মের ফল বলবেন একজন চরম দুর্নীতিবাজ নিপীড়কের উপরে হামলা বলবেন?
সামনে আওয়ামীলীগ আবার ফিরে আসবে আশা করি। নির্বাচনের প্রচারের জন্য তাদের কোন না কোন এজেন্ডার দরকার হবে। আওয়ামীলীগের এবার বুঝতে হবে যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তারা গত ১৫ বছর যে ব্যবসা করে এসেছে, সেটা আপাতত বন্ধ হয়ে গেছে । পাব্লিক এক সময়ে এই চেতনা খুব খেয়েছে । এখন এই খাদ্যের প্রতি তাদের অনিহা চলে এসেছে। বিশেষ বর্তমান তরুন প্রজন্ম এতে একেবারেই ধরা দিবে না। বরং এখন যদি এটা ব্যবহার করে পাব্লিকের সিম্প্যাথি আর তাদের দিকে আর আসবে না । এবার তাদের নতুন কোন টপিক নিয়ে মাথে নামতে হবে। নতুন করে তাদের ভোট আদায় করতে হলে আওয়ামীলীগকে নতুন কিছু ভাবতে হবে। এই সামনের নির্বাচনে জেন-জিদের একটা বড় অংশ ভোটার । এই ভোটে তো আওয়ামীলীগের আশা একেবারে বাদ দিতে হবে। পরের ভোটে আওয়ামীলীগের বেশ আশা রয়েছে। কিন্তু তাদেরএমন কোন এজেন্ডা বেঁছে নিতে যেটা পাব্লিক খাবে। কী হতে পারে সেই এজেন্ডা ?
একটা সম্ভবনা দিয়ে শেষ করি লেখা।
এই সরকার সংস্কার শেষে যে নির্বাচন দিবে সেই নির্বাচনে অবধারিত ভাবেই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। সম্ভবনা হচ্ছে বর্তমানে বিএনপির মাঝে এই আত্মবিশ্বাস চলে এসেছে যে তারা জামাত ছাড়াই ক্ষমতায় যেতে পারবে। এবং এটা সত্যও বটে। তারা পারবে। বিগত কয়েক বছরের বিএনপির আচরণ দেখে সেটাই মনে হয়েছে বিএনপি জামাতের সাথে থাকবে না। সেই হিসাবে বিএনপি একাই সরকার গঠন করবে। জামাত নির্বাচন নিবন্ধন এখনও বাতিল অবস্থায় আছে। ইউনুচ সরকার সেটা প্রত্যাহার করবে কিনা সেটা নিয়ে এখনও সন্দেহ আছে। যদি করেও জামাত একা একা কিংবা অন্য ইসলামী দলের সাথে নির্বাচনে যাবে। এমন একটা সম্ভবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না সেই টার্মে জামায়েতের সাথে আওয়ামীলীগ জোট বাঁধবে সেই ৯৬ এর মত করে। এটা যদি হয় তাহলে ব্যাপারটা দেখার মত হবে। চেতনার একমাত্র সোল এজেন্ট জামাতের সাথে জোট করে বিএনপির বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে। ব্যাপারটা দেখার মত হবে। যদি মরে না যাই তাহলে আগামী চার/পাঁচ বছরের ভেতরেই এই ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে।
(ছবিটা ফেসবুক থেকে নেওয়া আর লেখাটা নিজের ব্লগে প্রকাশিত।)
২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩৬
অপু তানভীর বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের ব্যবসা সব থেকে বেশি কাজে দিয়েছে। তবে এটা এতো বেশি বেশি ব্যবহার করে ফেলেছে ব্যবসায় লাল বাত্তি জ্বলেছে ।
সব দলই লেবাস ধরে । ধরবে এটাই তাদের রীতি । আওয়ামীলীগকে সামনের বার অন্য কোন লেবাস ধরতে হবে । তবে একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে আওয়ামীলীগ এতো এতো আকাম করেছে যে অন্য দলগুলোর আপাতত কোন লেবাস না ধরলেও চলবে ! আওয়ামী ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে দাড়ালেই চলবে!
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩২
আমি সাজিদ বলেছেন: আমি আওয়ামী লীগের সমালোচক ছিলাম, কিন্তু বিএনপি জামায়াতও সমথর্ন করি না। ছাত্রদের কাঁধে চড়ে অনেকেই এখন গনতন্ত্রের পক্ষের লোক সাজছে। অনেক সত্যিকারের অপরাধী এখন মিডিয়া ট্রায়ালে নির্দোষ।
সামনে কি হয়, দেখার অধীর আগ্রহে...
২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩৭
অপু তানভীর বলেছেন: মানুষ আওয়ামি সমর্থক ছিল মন্দের ভাল হিসাবে। কিন্তু আপনি বলেন বর্তমান আওয়ামীলীগ থেকে নিকৃষ্ট আর কেউ আছে ? তারা বিএনপিকে তো বটেই জামাতকেও ছাড়িয়ে গেছে।
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪৮
আলামিন১০৪ বলেছেন: জামাত মরে গেলেও আর আমলীগরে পুছবে না
২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭
অপু তানভীর বলেছেন: রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই । শেখ হাসিনা এভাবে পালাবে কোন দিন ভেবেছিলেন?
৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:০৫
অস্বাধীন মানুষ বলেছেন: নানী পালায় না,নানী কনে বেসে গেছে নানার বাড়িতে।
নানী বুঝতে পারছেন এই দেশে মুক্তিযুদ্ধা নামক চেতনার ব্যবসা এই দেশের মানুষ এখন আর চলবেনা
তাই এখন নানার সাথে ছলা পরামর্শ করে দেশটাকে অস্থিতিশীল রাখায় ব্যস্ত আছে ।
২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: চেতনার ব্যবসা আপাতত এখানেই শেষ। আর তাদের চেলাপেলাদের আসলে কোন কাজই সফল হবার নয় । এতোদিনে সেটা পরিস্কার হয়ে ওঠার কথা !
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৪৯
এক্সম্যান বলেছেন: লীগ নিয়ে আসলে বলার কিছু নাই। পিলখানা হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট অনেক অনেক অপ্রকাশিত কথা প্রকাশ হচ্ছে। এগুলো জানার পর কোনো মানুষের পক্ষে ওদের সমর্থন করা আসলেই কঠিন হবে।
৫ আগাস্টের পর বিএনপি যে ভাবে বাজার-ঘাট দখল, চাদাবাজি করছে তাতে ক্ষমতায় গেলে মনে হয় এরাও লীগের মতই হয়ে যাবে।
৭১ এর কারনে জামাতকে পছন্দ না করলেও ৫ আগাস্টের পর থেকে জামাতের প্রতি মানুষ মনে হচ্ছে একটু আগ্রহি হচ্ছে, বিশেষ করে তাদের ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে তারাহুরা না করা, সংখ্যালঘুদের সহযোগীতা এবং বন্যায় কাজ করা প্রশংসিত হচ্ছে।
আমার মনে হয় না জামাত কারো সাথে যাবে এবং নির্বাচনে ৮-১০ টি সিটও পাবে।
৩য় কোনো শক্তি ক্ষমতায় গেলে আমি খুশি হব।
২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০৭
অপু তানভীর বলেছেন: বিএনপিও আওয়ামীলীগের মতই আকাম করা শুরু করবে ক্ষমতা পাওয়ার পরে, যার অনেকটাই শুরু করে দিয়েছে । তবে আমার মতে যে আওয়ামীলীগ যতখানি নিচে নেমেছে গত বছরে এতোটা আসলে কেউ নামতে পারবে না ।
জামাত বিএনপির সাথে যাবে না এটা আমার ধারণা । একা একাই নির্বাচনে যাবে। যদি যায় তাহলে খুব সম্ভবনা আছে আওয়ামীলীগ তাদের সাথে মিশলেও মিশতে পারে !
তৃতীয় শক্তির উত্থানের খুব কি সম্ভবনা আছে? আমার মনে হয় না। ঘুরে ফিরে সেই আওয়ামী আর বিএনপি !
৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:২৭
কামাল১৮ বলেছেন: স্বাধীনতার বিপক্ষে যারা কথা বলে তারা রাজাকার।দেশে রাজাকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০৯
অপু তানভীর বলেছেন: দেশের বিরুদ্ধে কথা বলার লোকের সংখ্যা বরং কমে গেছে । আপনি হচ্ছে দেশের বিরুদ্ধে কথা বলা অন্যতম একজন । গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আপনি যেভাবে আওয়ামী পা চাটাচাটি শুরু করেছেন সব থেকে বড় রাজাকার আসলে আপনি নিজেই ।
৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৩৬
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আওয়ামী লীগ আর যাই করুক জামায়াতের সাথে কখনো জোট বাঁধবে না।
মুক্তিযুদ্ধের বয়ান দিয়েই আওয়ামী লীগকে এগোতে হবে।
একটা বিশেষ সরকারি প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তার সাথে কয়েকদিন আগে কথা হল। জিজ্ঞাসা করলাম, আওয়ামী লীগকে ব্যান করা হবে? তিনি কিছু পরিসংখ্যান দিয়ে উত্তর দিলেন। বললেন, আওয়ামী লীগ আর জামায়াতকে এক পাল্লায় মাপা যাবে না।
আওয়ামী লীগের যে পরিমাণ কর্মী আছে তার এক শতাংশ যদি সশস্ত্র হয়ে উঠে তাহলে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলে এর পুরো ফায়দা নিবে ভারত।
আমার ধারণা, বার্মা এক্টের প্রভাবে শেখ হাসিনাকে সরে যেতে হয়েছে। আজ দেখলাম, আরাকান আর্মি রাখাইনে ক্ষমতা নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াবে। মনে হয় এক দশকের মধ্যে ক্ষমতায় আসবে। বেচে থাকলে শেখ হাসিনা একদিন কিছু সময়ের জন্য হলেও এদেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন।
২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৪
অপু তানভীর বলেছেন: তাহলে বলব আপনি আওয়ামীলীগকে এখনও ঠিকমত চিনতেই পারেন নাই। আওয়ামীলীগ ক্ষমতার জন্য যে কোন কিছু করতে পারে। যেখানে ক্ষমতা নেই সেখানে তারা নেই।
//আওয়ামী লীগের যে পরিমাণ কর্মী আছে তার এক শতাংশ যদি সশস্ত্র হয়ে উঠে তাহলে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।// এই বয়ান দিয়ে আর লাভ নেই । সুশীল আওয়ামীলীগেরা এই জুজুর ভয় অনেক দেখিয়েছে । কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ঠেঙ্গা ছাড়া আর কিছুই না।
ঘুরে দাড়াবে সেটা ঠিক । তবে এর ভেতরে যদি শেখ হাসিনা মারা যান, এখন তার বয়স ৭৬, তাহলে আওয়ামীলীগের মাঝে কতগুলো ভাঙ্গল হবে তার কোন ঠিক নেই।
৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:৪৫
কাঁউটাল বলেছেন: পাংগু নোগোতিশীল
২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৪
অপু তানভীর বলেছেন: ?
৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের ব্লগেই কয়েকটা বুইড়া আর জোয়ান আওয়ামী ট্যাগার পাবেন, যারা ব্লগের আওয়ামী বিরোধীদেরকে সব সময়ে ট্যাগিং করতো। এই গলুর উত্তরসূরীরা কারা, তা ব্লগের সবাই জানে। এরা কোন সময়ে বলবে না হাসিনার বেয়াই, নাতিপুতিরা রাজাকার, আওয়ামী প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের শালা সেই রাজাকার, যে ক্র্যাক প্লাটুনকে ধরিয়ে দিয়েছিল। তারা বলবে না যে শেখ মুজিব যুদ্ধের পরে রাজাকারদের জন্য সাধারন ক্ষমা ঘোষণা করেছিল। এদের অপকর্মের আরো বহু উদাহরন আছে।
আওয়ামী লীগের লোকজনের মুক্তিযুদ্ধ বা যোদ্ধাদের প্রতি কোন শ্রদ্ধা, ভালোবাসা নাই। এরা চেতনা ব্যবসায়ী।
এই চেতনার দন্ড নেতিয়ে পড়ায় এখন শুধু দুয়েকটা ভায়েগ্রা সেবন করা নির্লজ্জ দালালকে ব্লগে দেখবেন। বাকীদের খানিকটা শরম লাগায় চেহারা দেখায় না!! এইসব উচ্চকন্ঠ দালালদের ধরে ধরে জুতাপেটা করা এখন সময়ের দাবী!!! ভালো কথা, আপনের এইখানেও দেখি কিছু এসে হাজির হয়েছে!!!!
২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২১
অপু তানভীর বলেছেন: স্বাধীনতার পরেই স্বয়ং শেখ মুজিব প্রশাসনেই কত যে পাকিস্তানপন্থি লোক তার একটা লম্বা লিস্ট দেওয়া যাবে পরিস্কার ভাবেই ।
আওয়ামী চেতনা মানে হচ্ছে তুমি আমার পিষ্ঠদেশ চাটতে থাকো তাহলেই তুমি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এমন কি যদি রাজাকার হয়ও তবুও ! তাই তো মোদীর ভাই কামাল আর গলুর মত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারাও দেশ প্রেমিক হয়ে ওঠে !
১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:৩১
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: ওবায়দুল কাদের ভাইয়ের একটি ভিডিও ( ভিডিওটি এডিট করা কিনা জানি না ) রয়েছে। যেখানে সে বলেছে যে ,তার বাবা রাজাকার ছিল। অথচ এতগুলি বছর রাজাকারের ছেলেকে আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক করে রেখেছে। হাসিনার এক আমলে এক রাজাকারকে সে ধর্ম মন্ত্রীও করেছিল।
রাজাকার বা চেতনা এই সব বলে আর ভাত পাবে না আওয়ামীলীগ। আমার এক আত্মীয় আওয়ামীলীগ করে এখন বলতেছে , "উন্নয়ণ" থেমে যাবে !
২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২৫
অপু তানভীর বলেছেন: আওয়ামীলীগের সমর্থক হলেই আর কোন সমস্যা নেই । যত সমস্যা হচ্ছে তাদের আকামের সমালোচনা করলে । তাদের চুরিকে চুরি বলা যাবে না যদি আওয়ামী চেতনা মতে। তবে এই তত্ত্ব আগে কাজ করলেও বর্তমানে এটা আর কাজ করছে না । শেখ মুজিব, চেতনার ব্যাপারে যে কাল্ট সৃষ্টি হয়েছিল সেটা একেবারে গুড়িয়ে গেছে । এখন আওয়ামীলীগকে নতুন কিছু ভাবতে হবে !
১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:৩৯
আমি সাজিদ বলেছেন: আওয়ামী লীগ যে নষ্টামি করে গেছে, তাতে৷ তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার মুখ নাই। বিএনপি কতোটা শুদ্ধ হল তা দেখতে বসেও হতাশ হলাম।
২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২৬
অপু তানভীর বলেছেন: এতোদিন আওয়ামীলীগকে সবাই মন্দের ভাল হিসাবে দেখে এসেছে । এখন সেটা বিএনপি । মন্দের ভাল ।
১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এতদিনের জানাশুনায় একটু ধারনা দেন যদি এই ব্লগ থেকে কাউকে দেশের প্রধান উপদেষ্টা করার প্রস্তাব দেয়া হয় তবে আপনি কাকে উপযুক্ত মনে করবেন?
২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: যারা ব্লগে ড. ইউনুসের সমালোচনা করছে তাদের বাপ দাদার চৌদ্দ গুষ্ঠির যোগ্যতা মিলেও তার সমান হবে বলে মনে হয় না ।
১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আওয়ামী লীগ সশস্ত্র হবে,এটা ঠিক সুশীলের বয়ান না। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদেরও বয়ান। ব্যক্তিগত আলাপচারিতা।
আওয়ামী লীগ অতীতেও ভেঙেছে। এমনকি আশির দশকে কিছু আওয়ামী লীগ নেতা বাকশাল করে শেখ হাসিনাকে পার্টি অফিসেও ঢুকতে দেননি।
৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪০
অপু তানভীর বলেছেন: আলাপের তো আর শেষ নেই । কত আলাপই না শোনা যায় । কিন্তু বাস্তবে হয় অন্য কিছু । অন্য সব হিসাবের সাথে এই ২৪এর হিসাব মিলালে ভুল হবে। আপনি কোন দিন ভেবেছিলেন যে শেখ হাসিনা এভাবে দেশ ছেড়ে পালাবে? তাও তো তিনি পালিয়েছেন !
১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:০৭
আমি সাজিদ বলেছেন: তবে তাই হোক। যেহেতু মন্দের ভালো বললেন, দেখা যাক বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কতটুকু চেঞ্জ নিয়ে আসে?
তবে শুরুতে এত হাইকমিশন থাকতে পাকিস্তানি হাইকমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ তো ভালো ঠেকলো না। একটা ফেইলিউর স্টেটের ( আই মিন যেখানের এখন সরকার এস্টাবলিশমেন্টের, স্বৈরাচারী) প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাৎ - এর মানে কি বিএনপি পাকিস্তানের গনতান্ত্রিক আন্দোলনকে সমর্থন করে না? দেখি কি হয়। দেশের উন্নয়ন বড় কথা। দেশের স্বার্থে সৎ কাউকে মেনে নিতে আপত্তি নেই।
৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: আপত দৃষ্টিতে এখন বিএনপিই কি মন্দের ভাল নয়?
অবশ্য অনেকেই অনেক কিছু আশা করে আছে আমি ততখানি আশাবাসি অবশ্য নই ।
সৎ মানুষ রাজনীতিতে আসে না কিংবা আরো ভাল করে বলল রাজনীতিতে আসলে আমাদের দেশের মানুষ সৎ থাকে না ।
দেশের মানুষের ভোট যাকে দিবে সে ক্ষমতায় আসবে ! এর উপরে আর কোন কথা নেই ।
১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:১০
গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: টাইটেল এবং ছবি দুটাই অসাম হইছে।পোষ্টে পঞ্চম লাইক দিলাম
৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: এই রকম আরো অনেক ছবিই পাবেন ফেসবুকের দেয়ালে, ঢাকার নানান দেয়ালে !
১৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭
গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: আমরা এই জন্য আন্দোলন করি নাই যে ফ্যাসিবাদকে সরায়ে গ্রেনেডবাজ বা চন্দ্রাভিযানের দলকে ক্ষমতায় আনব। রাষ্ট্রে বড় আকারের মেরামত করা হবে। এখন পর্যন্ত যা হচ্ছে, খালি চোখে দেখতে পাচ্ছেন পরাজিত শক্তি একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সম্ভবত এই বছরটা ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতেই চলে যাবে।
বিসিএস এর মাধ্যমে প্রশাসন এবং পুলিশে আওয়ামী লীগের কয়েকশো ক্যাডার ঢুকানো হয়েছে। এগুলো শুধু বিসিএস এর সংখ্যা। বিসিএস এর বাহিরে পুলিশে হাজার হাজার লোক ঢুকানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর কর্নেল এবং এর উপরের পদমর্যাদার লোকজনের মধ্যে আওয়ামী পন্থীলোক ঢুকানো হয়েছে। সেনাবাহিনী থেকে বিদায় দেওয়া তুলনামূলক সহজ, প্রশাসন থেকে বিদায় দেওয়া কঠিন।
সচিবালয়ের ভিতরে অসংখ্য রয়ের এজেন্ট। সরকারের এমন কোন বিভাগ নাই এমনকি শিল্পকলা একাডেমী পর্যন্ত আওয়ামীলীগীকরণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার বারুদের স্তূপে বসে আছে। ঠিক করতে সময় লাগবে।
৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০১
অপু তানভীর বলেছেন: আপনি আন্দোলনে গেছেন জেনে ভাল লাগল ।
রাষ্ট্র পুরোপুরি ভাবে মেরামত আসলে কোন ভাবেই সম্ভব না । যদিও না সম্ভব হয় তবে সেটা টিকে থাকবে না খুব বেশি সময় । সুযোগ পেলেই আবারও দুর্নীতি এসে বাসা বাঁধবে। এর কারণ আসলে কোন রাজনৈতিক দল না। এর কারণ আমরা নিজে । আপনি নিজে কি হলপ করে বলতে পারেন কখনই সুযোগ নেন নি? আমরা সবাই অন্যের দুর্নীতির ব্যাপারে খুব সজাগ কিন্তু নিজের দূর্নীতি নিয়ে খুব বেশি ভাবি না । যতদিন না আমরা নিজেকে ঠিক করবো ততদিন রাষ্ট্র ঠিক হবে না।
আওয়ামী এজেন্ট আসলে থেকেও খুব একটা লাভ নেই । এরা আসলে সুযোগসন্ধানী । তারা আওয়ামী না, চেয়ারের উপর অনুগত। চাটুকারদের এটাই হচ্ছে স্বভাব। নিজের দরকার যে কারো পা ধরতে এরা পিছপা হয় না । শেখ হাসিনার ক্ষমতা ছিল তাই তার পা ধরে ছিল এখন সেখানে লাথি মারতেও এরা পিছপা হবে না।
১৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:২২
গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: যেই দলের প্রধান তারেকের মত পকেটমার সেই দলকে নিয়ে বেশি কিছু না আশা করা ভালো।
জামাত -জাতীয় পার্টি রাজনীতিতে বড় ফ্যাক্টর হবে । স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রের সংখ্যা তিন থেকে চার কোটি। আমাদের ৯০ ভাগ চেতনা বিক্রির ব্যবসা ধান্দাবাজি বুঝে গেছে। আওয়ামী লীগের প্রতি যে অসীম ঘৃণা এই সরকার তৈরি করেছে তা সহজে মুছে যাবে না। ডার্ক ম্যান , আহসানের ব্লগ, ক্লাসি মডেল, বাউন্ডুলে, নিমো, এমডি মুসা, কামাল, সোনামণি- যারা র আওয়ামী লীগের আমলে চাঁদাবাজি করে খেত এই সমস্ত টেন পার্সেন্ট লোকের কেউ কেউ ভুল পাল্টে নতুন সরকারের সময় চুরি-চামারের সুযোগ খুঁজবে, কেউ কেউ মোদীর চেতনা বুকে ধারণ করে ছুরি মারার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
প্রেজেন্ট জেনারেশন আগামী ৩০ বছর বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে থাকবে। শেখ হাসিনার জীবিত অবস্থায় আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা আমি দেখিনা।
৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: বিপ্লব আর দেশ চালানোর ব্যাপারটা এক না। এটা আপনাকে বুঝতে হবে !
তারপরেও আমরা আশাবাদী । দেখা যাক ওয়াকার ইউনুচ সরকার কতদুর কী করতে পারে !
হোপ ফর দ্যা বেস্ট !
১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪
গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: বাইদা রাস্তা, হাসিনা পালায় নাই, বাংলাদেশ ভারত স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক, দিল্লিতে স্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে গেছে।
কিন্তু হাসান বালবৈশাখী কোথায় গেল?
৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০৫
অপু তানভীর বলেছেন: এমন অবাঞ্চিত কথা আমরা না বলি । আমরাও যদি তাদের মতই আচরণ করি তাহলে তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য রইলো কোথায় !
১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৯
রাসেল বলেছেন: চিন্তার কিছু নাই। আমরা আরো আকর্ষণীয় মোড়কে, নতুন স্বাদে, তমোক দেশের কারিগরি সহায়তায় চেতনাকে নিয়ে আসব, জনগণ সেই চেতনা খাওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বে।
৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০৭
অপু তানভীর বলেছেন: এখন দেখার ব্যাপারে সেই চেতনা আসলে কেমন হয় ! দেখার অপেক্ষায় !
২০| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চেতনার বড়ির ব্যবসাই লীগের (BAL) আসল ব্যবসা। আর হাসু ছিল এই লাভজনক ব্যবসার মা ।
তবে মানুষ কখন যে চেতনার বড়ি গিলা ছেড়ে দিয়েছে, তা উনারা বুঝবার পারেনাই।
তাইতো হাসু দিদি এখন মোদি দাদার কাছে তালিম নিতে গিয়েছে এবং নিচছে , যাতে করে আবার নতুন রুপে কোন ব্যবসা শুরু করতে পারে।
৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১২
অপু তানভীর বলেছেন: সময়ের সাথে আপডেট হওয়া দরকার ছিল । এরা বর্তমান জেনারেশনের পালস ঠিক মত ধরতেই পারে নি। এরা ভেবেছে আমাদের জেনারেশনকে যেভাবে চেতনার বড়ি গেলানো গেছে জেনজিদেরও যাবে । মাইর খেয়েছে এখানেই ।
দেখা যাক সামনে কী হয় !
২১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মনে করেন আপনি রাজনীতি করেন। আপনার শত্রুও রাজনীতি করে। এখন আপনার লক্ষ্য কী? নিশ্চয়ই ক্ষমতায় যাওয়া? তৃতীয় আরেকটা পক্ষকে হঠাতে হবে। একা পারছেন না। তো কী করবেন?
রাজনীতিতে শত্রু-মিত্র বলে কিছু নেই। আওয়ামী লীগ-জামায়াত এরশাদকে হঠাতে আন্দোলন করেছে। কিন্তু গোলাম আজম-সাঈদি-নিজামীকে কি মন্ত্রী-এমপি বানিয়েছে? তাদের দলের সাথে জোট করেছে?
৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০
অপু তানভীর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন! রাজনীতিতে শত্রুমিত্র বলে কিছু নেই ।
৯৬তে এরশাদ না বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামী জামাত জোত বেঁধেছিল। জামাতকে দেওয়া কথা না রেখে পরে আওয়ামীলীগ একাই ক্ষমতায় যায় ! এরকণে জামাত পরে বিএনপির সাথে জোট বাঁধে !
৯৬তে আওয়ামীলীগ যা করেছে আর ২০০১ এ বিএন যা করেছে দুটো একই ব্যাপার । ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আওয়ামীলীগ-বিএনপি দুটোই জামাতের কোলে চড়েছে । দেখবেন আবারও চড়বে ! অপেক্ষা করেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩২
জ্যাকেল বলেছেন: হাসিনা ফ্যাসিজমের অস্ত্র হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ, সপরিবার হত্যা(পৃথিবীতে সপরিবারে হত্যা মাত্র ১ টি)।
উহাকে আপনে চেতনা বলিয়া বর্ণনা করতেছেন, যা মুটামুটি সঠিক।
তবে লুটতরাজ, বাটপারি, ছেচড়ামি, নোংড়ামি করতে হলে একটা লেবাস ধারণ করা দরকার, যাহা হইতেছে বর্ণিত চেতনা।
বাস্তবে হিন্দুদের দেশছাড়া করেছে লীগের গুন্দাপান্ডারা।
বাস্তবে বালিশ দুর্নিতি করে চেতনার ভেকধারিরা।
গুম
খুন
ধর্ষণ সবই ফ্যাসিস্ট দলের লোকেরাই করে।
এই ফ্যাসিজম বাংলাদেশে আর বরদাশত করা হবে না।