![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনাদের সেই ২০১০ সালের সেই সময়কার কথাটা মনে আছে কিনা জানি। তবে আমার মনে আছে। সেই সময়ে আমি গ্রামের বাড়ি ছিলাম। তখন এই রকম অনলাইন ভিডিও ছিল না । আমরা টিভি চ্যানেলে দেশের খবর দেখতাম। সেই সংবাদেই খালেদা জিয়ার বাড়ি থেকে উচ্ছেদের ঘটনা দেখিয়েছিলো। সেই সময়ে আমি বিএনপির রাজনীতির ভক্ত ছিলাম না। এখনও নই। তবে সেই খালেদা জিয়াকে ওভাবে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করাটা আমার কাছে ভাল লাগে নি। শেখ হাসিনা এই কাজ করেছিলেন কেবল মাত্র প্রতিহিংসা থেকে। পরে অনেক জায়গাতে সেই প্রতিহিংসার বহিপ্রকাশ ঘটেছে তার নগ্ন উল্লাসেই। ৪০ বছর ধরে বসবাস করা বাড়ি থেকে একজন মানুষ শুধু মাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে টেনে হিচড়ে বের করেছিলেন তিনি। খালেদা জিয়াকে তার বাড়ি থেকে এভাবে উচ্ছেদ করাটা কি আসলেই খুব দরকার ছিল? সত্যিই ছিল না। সেই সময়ে আমার মা একটা কথা বলেছিল। বলেছিল একদিন হাসিনার অবস্থাও এমন হবে।
তারপর পনের বছর কেটে গেছে। হাসিনার পতন হল। ৩২ নম্বরে হামলা হল সেটাকে পুড়িয়েও দেওয়া হল।গতকাল সেই বাড়ি ভেঙ্গে ফেলা হল। রাত ভর মানুষ প্রথমে হাতুড়ি শাবল দিয়ে সেই বাড়ি ভাঙ্গার চেষ্টা করেছে । পরে বুল্ডোজার নিয়ে এসে বাড়ি ধ্বংস করা হল। আমার কাজের যাওয়ার রুট এই ৩২ নম্বর দিয়েই। প্রতিদিন আমি ঠিক এই বাড়ির সামনে দিয়েই বাসায় আসি রাতের বেলা। আওয়ামী শাসনের পুরো ১৫ বছর এই ৩২ সড়কটা তারা অবৈধ ভাবে বন্ধ করে রেখেছিল। সরকার পতনের কিছু দিন পরে রাস্তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তখন থেকে আর ঘুরে না গিয়ে সরাসরি এই পথেই যাওয়া যেত। আজকে বাসায় আসার সময় দেখি এই রাস্তায় প্রচন্ড ভীড় । মানুষ জন আনন্দ উৎসব করছে।
আমার খুশি হওয়া উচিত । গত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগ যা করেছে, চোখের সামনে সেই জিনিস দেখে যে কারোই এই দৃশ্য ভাল লাগবে। বাট আই ডোন্ট নো আমার কেন জানি এই দৃশ্যটা ভাল লাগল না। এবং সত্যি কথা বলতে এই একই কাজটা যদি স্বাধীনতা বিরোধী কোনো রাজাকারের বাড়ির সাথে হত তখনও আমার ভাল লাগত না। আমার সব থেকে অপছন্দের মানুষ যাকে আমি প্রচন্ড ঘৃণা করি তার সাথে হলেও আমার ভাল লাগত না।
জনগনের মাঝে এই প্রতিহিংসা এক দিনে তৈরি হয় নি। বছরের পর বছর শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ যে অপকর্ম করেছে, ক্ষমতা হারালে তাদের অবস্থা যে এই রকমই হবে এটা সহজেই অনুমেয় ছিল। আচ্ছা তারা নিজেরা কি এটা জানতো না?
কে জানি একটা কথা বলেছিল, কথাটা হচ্ছে তুমি মানুষের উপরে ঠিক ততখানি অন্যায়, ততখানি জুলুমই করবে যতখানি তুমি নিজে সহ্য করতে পারবে। শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ কি এই কথাটা মনে করে নি। বিগত ৫ বছরের বৈধ এবং ১১ বছরের অবৈধ শাসনামলে আওয়ামীলীগ এমন একটা খারাপ কাজ নেই যে করে নি। আওয়ামীগীল মাত্র ৬ মাস পালিয়ে রয়েছে। কিন্তু গত ১০/১২ বছর ধরে বিরোধী দলের কোন কর্মী রাতে শান্তিমত নিজের বাসায় ঘুমাতে পারে নি। শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ সেটা হতে দেয় নি। এই তীব্র প্রতিহিংসার রাজনীতি তারা করেছে এটার ফল তারা এখন ভোগ করছে। সামনে আরও কয়দিন ভোগ করবে।
প্রতিটা স্বৈর শাসকের পরিনতিই এমন । সামনের দিনেও এমনই হবে। তাই পরের বার যেই ক্ষমতায় আসুক এই ব্যাপার তাদের অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত । মানুষের প্রতি জুলুম যেন তারা না করে। প্রতিহিংসার রাজনীতি যেন তারা না করে। আর প্রতিটা জুলুমের আগে যেন শেখ হাসিনার এই পরিনতির কথা ভাল করে মনে করে নেয়।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০৯
অপু তানভীর বলেছেন: বাড়ি ভাঙ্গার ব্যাপারটা আসলে অন্য রকম। আপনার যদি নিজের এই অভিজ্ঞতা থাকে, নিজের বাড়ি হাত ছাড়া হয়ে যায় তাহলে ব্যাাপরটা আপনার বোধগম্য হবে।
শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার ফল সে পাচ্ছে । সামনে আরো পাবে।
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:১৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনা মোদির পরামর্শে লাইভে আসছেন।মোদি ১৪ বা ১৫ তারিখ ট্রাম্পের সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৬
অপু তানভীর বলেছেন: মোদী তাকে আর এই দেশের ক্ষমতায় বসাতে পারবে না।
৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩৪
আদিত্য ০১ বলেছেন: ক্ষমতা কি চিরদিনের? ১৬ বছর ক্ষমতা থেকে এখন নাই, এখন যারা আছে তারা কি চিরদিন থাকবে? এই গেরেন্টি এক মাত্র মহান আল্লাহ ছাড়া কেউ দিতে পারে? এখন যে ভাঙ্গার আর আগুন রক্তের হোলি খেলা চলছে ১৬ বছরে অন্তত আগুন বা ভাঙ্গার খেলা হয় নাই। শুধু তাইনা আজকে অনেক নেতার বাড়ী বা ভাষা সৈনিকের বাড়ী ভাঙ্গা হচ্ছে। যাইহোক ঐদিকে যাবো না, ক্ষমতা চিরদিনের না, কেউ এইটাও গেরেন্টি দিতে পারবে না যে আওয়ামীলীগ আবার ক্ষমতায় আসবে না, তারা যখনই আসবে তখন কেমন বদলা নেবে? আপনিই বলেন। তখন স্বৈরাচার ট্যাগ দিবেন লাভ নাই তাতে। এইভাবে প্রতিহিংসা আর রক্তের হোলি খেলা বা জিঘাংসায় আদৌ আমাদের জনগনে কি উন্নতি হচ্ছে, এই ৬ মাসে কি উন্নতি হইছে আপনি বলেন, হইছে যেইটা ভাঙ্গা আর আগুন দেওয়া।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪৭
অপু তানভীর বলেছেন: এই সরকারের আমলে উন্নতি আপনি কেন আশা করছেন বলেন? প্রতিটা বিপ্লব বা অভ্যুত্থানের পরে সকল দেশে অবস্থা ভয়ানক খারাপ হয়। হবে এটাই স্বাভাবিক। ফরাসি বিপ্লবের পর সেখানে কী ভয়ংকর অবস্থা ছিল সেটা কি আপনার কি জানেন?
এই সরকারের কাছ থেকে আমার প্রধান আশা হচ্ছে জরুরী কিছু সংস্কার করেই দেশে নির্বাচন দেওয়া। তারপর জনগনের ভোটে ক্ষমতায় আসবে তার দায়িত্ব হবে দেশকে এগিয়ে নেওয়া। সেই সরকারের কর্যক্রম দেখে বলা যাবে যে শেখ হাসিনার সরকার ভাল ছিল নাকি খারাপ।
আওয়ামীলীগ তার কর্ম ফল ভোগ করছে কেবল। অন্তত আমার কাছে সেটাই মনে হচ্ছে । পরে যখন আবার আওয়ামীলীগ আসবে তখনও যদি তারা এই জুলুম করে তারপর তারা তাদের কর্মফল ভোগ করবে। সিম্পল হিসাবে।
৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪০
আদিত্য ০১ বলেছেন: লেখক বলেছেন: মোদী তাকে আর এই দেশের ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। এই বাংলাদেশে মোদি না পারলেও ট্রাম্প পারবে, আর আমেরিকার ইশারায় এই বাংলাদেশের সরকার চেঞ্জ হয়। সো আওয়ামীলীগ আবার ক্ষমতায় আসবে না এইটা গেরেন্টি আপনি কভাবে দিবেন,আর যেদিন আসবে, সেদিন কি হবে ভেবে দেখেন। কি দরকার ছিলো কাল থেকে আবার ভাঙ্গার বা কি দরকার ইনফ্লুয়েঞ্জাদের কথায় ভেড়ার পালের মত এভাবে আগুনের হোলি খেলা। ইলিয়াস বা পিনাকি যা কয় তাই করে। কয়দিন পর ছাত্ররা দল গঠন করবে, এরা ক্ষমতায় গেলে বিএনপি বা খালাদের বাড়ি পুড়িয়ে যে দিবে না, বা জামাতের অফিস যে পুড়াবে না তার গেরেন্টি নাই। যাইহোক জিঘাংসা থেকে বাঙ্গালী বের হতে পারবে না। যে ক্ষমতায় আসবে সে তার বিরোধীকে এভাবে শেষ করার নেশায় নামবে, এইগুলা চলতে থাকলে আমরা জনগনে কথা কে ভাবে? বলেন
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫৪
অপু তানভীর বলেছেন: আওয়ামীলীগ, বিএনপি বা অন্য কোন দল যদি এই সময় থেকে শিক্ষা না নেয় তাহলে কারো কিছু করার নেই। প্রতিহিংসা কেবল প্রতিহিংসারই জন্ম দেবে। ক্ষমতায় কেউ চিরোদিন থাকবে না।
লেটস সি ট্রাম্প পারে কিনা! কারো কারো কথা শুনে মোদি যেন শেখ হাসিনা কে কথা বলতেই আমেরিকা যাচ্ছে। মোদী রয়েছে আপন ধান্দায়।
এই দেশে নির্বাচিত সরকার ছাড়া যদি অন্য সরকার আসে তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধবে। আর আওয়ামীলীগ যদি জনগনের ভোটে আসতে পারে আমার তাতে বিন্দু মাত্র আপত্তি নেই।
৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আদিত্য ০১@আপু তানভীর ভাইয়ের কথাই আসল রিয়েলিটি। মেনে নেন।
৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫২
আদিত্য ০১ বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই সরকারের আমলে উন্নতি আপনি কেন আশা করছেন বলেন? আমি সেইদিকে যাবো না, কিন্তু আমার মেইন সামারাইজ ছিলো যে এই প্রতিহিংসা বা জিঘাংসা চাইলে ছাত্ররা বন্ধ করতে পারতো, এইটা বুদ্ধিমানে কাজ ছিল। এই প্রতিহিংসা বা জিঘাংসা ইনফিনিট লুপে চলতেই থাকবে তাতে আমাদের জাতি হিসেবে কি উন্নতি হবে? আমি এইটাই বলতে চাচ্ছি যে ক্ষমতায় আসবে কেন প্রতিহিংসা বা জিঘাংসা শিকার তার বিরোধীরা। এভাবে চলতে থাকলে প্রতিহিংসা বা জিঘাংসা মাত্রা বেড়েই যাচ্ছে তাতে আমরা জনগন কি পাচ্ছি
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৬
অপু তানভীর বলেছেন: এই পরিস্থিতি কমে আসবে। বিশেষ করে যখন নির্বাচিত সরকার আসলেই এই প্রতি হিংসা কমে আসবে। এখন এই কথায় কথায় হামলার কারণ হচ্ছে দেশের শৃঙ্খলা পুলিশের পক্ষে পুরোপুরি সামলানো সম্ভব না। এটা অস্বীকার করারও কিছু নেই। ইউসুফ সরকার এই কাজে ব্যর্থ। আর এখন সামান্য উস্কানিতেই এসব হবে। আওয়ামীলীগের এখন উচিৎ কোন প্রকার উস্কানি টাইপের কাজ না করা। আওয়ামীলীগের উপরে মানুষের ক্ষোভ কমতে সময় দিতে হবে। এটা আওয়ামীলীগ বুঝতে পারছে না। আর কেন যে বুঝতে পারছে না সেটা আমি বুঝতে পারছি না।
এই যে ভয়ংকর হামলাটা হল, কেন হল বলেন?
একটা পরিস্থিতি কল্পনা করেন যে,৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জামাত যদি সমাবেশ করার ঘোষণা দিত তখন তাদের অবস্থা কেমন হত?
৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫৫
আদিত্য ০১ বলেছেন: সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আদিত্য ০১@আপু তানভীর ভাইয়ের কথাই আসল রিয়েলিটি। মেনে নেন। কুতুব ভাই আমি বুঝতে পারছি আপু ভাইয়ের কথা কিন্তু আমার মেইন সামারাইজ ছিলো যে এই প্রতিহিংসা বা জিঘাংসা ইনফিনিট লুপে চলতেই থাকবে তাতে আমাদের জাতি হিসেবে কি উন্নতি হবে? কি দরকার এই প্রতিহিংসা বা জিঘাংসা জিইয়ে রাখা, কেমন অসুস্থ পরিস্থিতি? এর পর যে ক্ষমতায় সে আরও বেশি করতে চাইবে? কি দরকার বলেন
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৮
অপু তানভীর বলেছেন: এই পরিস্থিতি কমার জন্য আওয়ামীলীগকে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। সবার আগে তাদের তার কৃত অন্যায়ের কথা করতে হবে। আপনি কি এই ছয় মাসে কোন আওয়ামীলীগে অনুতপ্ত হতে দেখেছেন?
এখন আপনি বলেন তাদের প্রতি মানুষের সহানুভূতি কিভাবে আসবে আর কেন আসবে?
তারা অনুতপ্ত তো নয়ই বরং প্রতি নিয়ত হুমকি ধামকি দিয়েই চলেছে।
৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আদিত্য ০১@আওয়ামী লীগ যদি এমন ফ্যাসিবাদের থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করে আনতো তবে বিএনপির একটা নেতা ও জেলের বাইরে থাকতো না।
৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:১০
আদিত্য ০১ বলেছেন: সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আদিত্য ০১@আওয়ামী লীগ যদি এমন ফ্যাসিবাদের থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করে আনতো তবে বিএনপির একটা নেতা ও জেলের বাইরে থাকতো না। ভাই ঐটাই বললাম সবাই চায় তার প্রতিশোধ তার ক্ষতির চাইতে বেশি নিতে। এতে প্রতিহিংসা বা জিঘাংসা বেড়েই যাচ্ছে। আওয়ামীলীগ পাচ্ছে তার কর্মফল, এখন যারা করবে তারাও পাবে। এতে লাভ কি বলেন
১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:১৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই মনোভাবের সঙ্গে আমার সাম্প্রতিক অনুভূতির মিল আছে। এই ঘটনাটি প্রথম ফেসবুকে দেখি, যখন একজন জ্বলন্ত দালানের ছবি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল। আগুনে একটি বাড়ি ভস্মীভূত হওয়া কখনোই সুখকর দৃশ্য নয়—এমনকি শত্রুর বাড়ি পুড়তে দেখলেও আমাদের মানবিক অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আমারও তাই হয়েছিল, যে কারণে কাজের মধ্যে থেকেও একটি পোস্ট দিয়েছিলাম।
আপনার সেই বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া-আসার অভিজ্ঞতা পড়ে মনে হলো, সম্ভবত ৯৬-৯৭ সালের দিকে প্রথমবার এই বাড়িটিতে গিয়েছিলাম। তখন সবে মফস্বল শহর থেকে ঢাকায় এসেছি। সে সময় এটি জাদুঘর হিসেবে সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। যতদূর মনে পড়ে, জাদুঘরের উল্টোপাশে লেকের ধারে পার্কের মতো একটি জায়গা ছিল, যেখানে অনেক লোক সমাগম হতো। যখন প্রথমবার এই বাড়িতে যাই, তখন এটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি এবং এক বিফল, ব্যর্থ এবং সীমাহীন এক বিষাদময় ট্র্যাজেডির নায়কের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিল। যিনি করুণভাবে পরিবারের বহু সদস্যের সঙ্গে নিহত হয়েছিলেন।
কিন্তু কালের পরিক্রমায় সেই একই বাড়ি এক ফ্যাসিস্ট শাসনের দুর্গে পরিণত হয়েছিল। আর অবশেষে এটা জ্বালিয়ে দেয়া হলো। যদি কখনো আমরা গণতান্ত্রিক সভ্য একটি দেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারি তাহলে পুরো এই ঘটনাটি একসময় ইতিহাসের পাঠ এবং বিচার বিশ্লেষনের বিষয় হবে।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: এটাকে অনেকে সুশীলতা বলবে । তাদের মতে, তুমি আমার চোখ তুলে নিয়েছো দেখে আমিও তোমার চোখ তুলে নিব। একটা বিখ্যাত প্রবাদ বাক্য আছে না যেখানে বলা হয়েছিল চোখের বদলে যদি চোখ নেওয়া হয় তাহলে পুরো দুনিয়াই অন্ধ হয়ে যাবে।
আমার সব থেকে ঘৃণ্য মানুষের বাড়ির সাথেও এটা হোক আমি চাই না। সত্যিই চাই না।
সময় বলে দিবে যে এর পরিণতি কেমন হবে।
তবে আওয়ামীলীগের অবস্থ যে এমন কিছুই হবে সেটা তো অনুমেয়ই ছিল। এমন কোন অপরাধ নেই যে আওয়ামীগ করে নি। আগের সরকার গুলোতে শুধু এক পক্ষে অন্যের পক্ষের ক্ষতি করতো কিন্তু আওয়ামীলীগ গত ১৫ বছরে পুরো দেশের মানুষকে নিজেদের শত্রুতে পরিণত করেছে। তার ফল তারা এখন ভোগ করছে।
১১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আওয়ামীলীগ এর হাজার গুণ করেছে। তখন আমরা সুশীল ছিলাম। সুশীল থাকলে আজও হাসিনা ক্ষমতায় থাকতো। উচিত ছিল আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ধরে ধরে শাস্তি দেয়া। সেটা সেনাবাহিনীর জন্য পাড়া যায়নি। সেনাবাহিনী শেষ মুহূর্তে বাধ্য হয়ে ছাত্রদের পক্ষে আসে। শেখ হাসিনা অল্পের জন্য হেরে গেছে। জিতে গেলে আমাদের ধরে জবাই করতো।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৪০
অপু তানভীর বলেছেন: এটা অবশ্যই বলার অপেক্ষা রাখে না যে যদি বিপ্লব ব্যর্থ হত তাহলে কত মানুষ যে শেখ হাসিনা মেরে ফেলত তার ঠিক নেই। এখন আমরাও যদি সেই একই কাজ করি তাহলে শেখ হাসিনা আর আমাদের ভেতরে পার্থক্য থাকল কই বলেন?
১২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৩
ধুলো মেঘ বলেছেন: ভাই, সব কিছুই কিভাবে যেন আমার পক্ষেই আছে। ২০১০ সালে আমি আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতি করতাম। তাই খালেদা জিয়ার কান্না দেখে আমার একরকম পৈশাচিক আনন্দ হয়েছে। আমি মানুষের কাছে বলে বেড়িয়েছি, খালেদা জিয়া কেমন লোভী, ১ টাকায় বাড়ি কিনে নিয়েছে, সিভিল লোক ক্যান্টনমেন্টের মত স্পর্শকাতর জায়গায়ই কেন বাড়ি নিতে হল - এই যুক্তিতে হালাল করেছি।
গতকাল ৩২ নং বাড়ি ভেঙেছে - খুব খুশী হয়েছি। আনন্দে নাচতে ইচ্ছে করছে। এরপরে আমার বাড়ি যখন ভাংতে আসবে বা আমাকে যখন বের করে দেবে, তখন কি ভেবে খুশি হব কে জানে?
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: ঐ যে বললাম আপনি আপনি যখন প্রতিহিংসা দেখাবেন অন্যের প্রতি আপনার প্রতিও মানুষ প্রতিহিংসাই দেখাবে। অন্য কিছু দেখাবে না ।
১৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩৫
রানার ব্লগ বলেছেন: প্রকৃতির একটা নিয়ম আছে। আপনি কারো জন্য কুয়া খুড়লে প্রকৃতি আপনার জন্য ডাবল কুয়া খুড়বে। প্রক্রিয়া কিন্তু চলমান।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: এই চলমান প্রক্রিয়ার সমাপ্তি টানতে কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতেই হবে।
কিন্তু আসবে টা কে?
১৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:২৫
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ভালো বলেছেন ।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা এটাই সত্য
১৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২১
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সঠিক কথা তুলে ধরেছেন ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
অপু তানভীর বলেছেন: এটাই আসলে সত্য । এমনই বরাবর হয়, হবে যতসময় না একজন সিদ্ধান্ত নেবে যে আমরা প্রতিহিংসার বদলে প্রতিহিংসা ফেরৎ দিবো না।
১৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩০
নতুন বলেছেন: যেমন মানুষ তেমন নেতাই উপরে উঠে। তার সবচেয়ে ভালো উদাহরন আমাদের দেশ।
শেখ হাসিনা কে পীরের মতন উপরে উঠিয়ে আয়ামীলীগের নেতা কর্মীয়রা দূনিতি/সন্ত্রাসী করেছে ১৬ বছর।
এবার তাদের তাড়ানো গেছে।
কিন্তু জনগন কি ভালো নেতার জন্য প্রস্তুত?
জনগনের মাঝে বিএনপি, জামাত, হেফাজতের মতন দলগুলি বসে আছে তারা কিভাবে ক্ষমতার মজা পেতে পারে।
এই তিন দল ইচ্ছা করলেই দেশে শান্তি আনতে পারে। কিন্তু তাতে জনগন এই সরকারকে ৫ বছর দেখতে চাইবে।
তাই দেশে সন্ত্রাস, ডাকাতী, ধর্ষন, গনধোলাই, চাদাবাজীর মতন ঘটনা চলছেই।
যাতে জনগন অতিস্ত হয়ে নিবার্চনের পক্ষে রায় দেয়।
দেশের এই অস্থির অবস্থার জন্য বড় দলগুলিই সবচেয়ে বেশি দায়ী।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের দেশ সত্যিই ভাল নেতার জন্য প্রস্তুত না। সবাই আছে নিজের ধান্দাতেই।
১৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯
নতুন বলেছেন: ড: ইউনুস নিজের জন্য বা তার পরিবারের জন্য দূনিতি করবেনা।
তিনি কাউকে হত্যা, গুম বা নির্যাতনের নিদৃশ দেবেন না।
তিনি বিশ্বের সকল দেশেই সন্মান পাবে, তিনি যে সরকারের সাথে বিদেশে শ্রমিক পাঠানো, দেশে ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য আলোচনা করবে সবাই সাহাজ্য করবে।
সেটা তো আমাদের জনগনের দরকার নাই। তেমন নেতা আমাদের দেশে ক্ষমতায় আছে কিন্তু তাকে বিপদে ফেলতে প্রতিদিনই কাজ চলছে।
তাদের দরকার বিএনপি/জামাত/হেফাজতের নেতারা ক্ষমতায় আসলে নিজেরা করে কেটে খাবে। তাই সবাই সেই ধান্দাতেই আছে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা, এটা সত্য যে গুটি কিছু মানুষ আছে আমাদের দেশে যারা সত্যিই নিজের না বরং দেশের জন্য কাজ করে। কিন্তু এই সংখ্যাটা অতি নগন্য। পুরো দেশের সংখ্যার তুলনায় তা অতি নগন্য।
আপনি নিজেই দেখেন গত ছয় মাসে ১৭০ টা আন্দোলন হয়েছে নিজেদের দাবী আদায়ের জন্য যার ভেতরে বেশির ভাগই ধান্দাবাজি। দেশের এই অবস্থায় যেখানে কিছুই ঠিক নেই, ঠিক হতে সময় লাগবে, আর এই সুযোগে সব হামলে পড়েছে।
১৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০২
নতুন বলেছেন: এই সময়ে ১৭০ টা আন্দোলন দরকার ছিলো দূনিতির বিরুদ্ধে। বিভিন্ন অফিসে দূনিতিবাজদের ধরিয়ে দিতে জনগনের আন্দোলনের দরকার ছিলো।
এই সময়ে দরকার ছিলো মুজুদারের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাস, চাদাবাজীর বিরুদ্ধে।
এই সরকার যেমন পাসপোর্টের ভ্যারিফিকেসন বাদ দিয়েছে। এই খাত হতে পুলিশের প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বছরে আয় হতো। কোন নিবাচিত সরকার এটা বন্ধ করে পুলিশকে নাখোশ করতো না।
আশা করি বাংলাদেশের মানুষও ভালো নেতাদের ক্ষমতায় পাঠাবে, দেশে পরিবর্তন আসবে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৩
অপু তানভীর বলেছেন: বেশি ভাগ আন্দোলন হয়েছে নিজেদের আখের গোছাতে। সরকার দুর্বল এই সুযোগ নিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নেওয়া যাক।
আমাদের দেশে কোন নির্বাচিত সরকার (যেগুলো আছে) কোন দিন দেশের জন্য কিছু করবে না। তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। যারা ছিল যারা আসবে সব। যদি এই ইউসুফ সরকার কিছু করতে পারে তবে আমাদের সাধারণ মানুষের কপালে হয়তো কিছু জুটবে। এছাড়া আমাদের কপালে আর কিছু নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৯
এ পথের পথিক বলেছেন: চুশীল, এলিট খুনি হাসুর দোষররা বহুত কষ্টে আছে ।
যাক আলহামদুলিল্লাহ, আপনি একজন যে সুফল ভোগ করছেন এবং ব্লগে সত্য বলেছেন ।
ধন্যবাদ ভাই ।