![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাকী আমি লিখছি জীবনের গলিতে গলিতে যে জীবন-গল্পের শেষ নেই... অন্তহীন !
ঢাকা নগরীকে আমি সবসময় বর্ণনা করেছি “অশান্তির নগরী” হিসেবে ! অথচ অশান্তির নগরী এই ঢাকাই নাকি বিশ্বের প্রথম ১০টি সুখী শহরের মধ্যে ৭ম ! তাও কিনা অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্ট,স্পেনের বার্সেলোনা এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী এবং বারাক ওবামার দেশ আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার মত শহরকেও পেছনে ফেলে !
ওঁদের মত ঢাকা শহরে ঢাউস ঢাউস উড়াল সড়ক নেই,পাতাল রেল দূরে থাক স্থল রেল ব্যবস্থারই ঠিক নেই,মেট্রো রেল নেই,স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা নেই...আরো কত কিছু যে নেই তাঁর তালিকাটা বিশাল বড় হয়ে যাবে । তবুও এই শহর সুখী শহর-জনাকীর্ণ,নোংরা এই ঢাকা শহর ! এ বছর পৃথিবীর ১৪০ টি দেশের মধ্যে বসবাসের জন্য বাংলাদেশের ঢাকা ১০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে মাত্র ৩৮ দশমিক ৭ ! আর ঢাকার অবস্থান ১৩৯ তম ! (ইআইইউ,২০১৩ অনুসারে)
আমেরিকায় একজন মানুষ তাঁর পুরো জীবনে যে সময়টুকু জ্যামে পার করে তার মোট পরিমাণ মোটে ১ মাস ! অথচ ঢাকাবাসীদের জীবনে প্রতি বছরেই হয়ত আস্ত ১টা মাসই জ্যামে কাঁটাতে হয় !
মাত্র ২০ মিনিটের পথ ১ ঘন্টায় পাড়ি দিয়ে ঘরে ফিরে এসে আমরা ভুলে যাই,সারাদিন রোদে ঘেমে-নেয়ে একাকার হওয়া রিকশাচালক যাত্রী গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে ফুটপাথ থেকে যখন এক চাপ চা আর একটা বিস্কিট কিনে তৃপ্তি করে খান,তখন তিনি ভুলে যান তাঁর ভাগ্যবিড়ম্বিত অসহায় জীবনের ঘানির টানার কথা,সকাল থেকে রাত অবধি টিএসসিতে ঘুরে ঘুরে বালতির সবগুলো গোলাপ বিক্রি করতে পারাই সজীবদের কাছে সুখ! মাস শেষে টিউশনির বেতন হাতে পেলে আমি নিজেও ভুলে যাই সারামাসের পীড়নের কথা,১২-১৩ ঘন্টা ভ্রমণ শেষে বাড়িতে ঢুকে বাবা-মায়ের মুখ দেখলে ভুলে যাই ক্লান্তিকর অস্বস্তির কথা ...
ঢাকাবাসীর সুখগুলো দৃশ্যমান কোন অতিরঞ্জন বা আড়ম্বর নয়,এখানকার মানুষগুলোর “সুখ” একটা বিশেষ ধরণের অনুভূতি,যেটা শুধুমাত্রই অনুভবের বিষয়,প্রকাশের নয় ।
©somewhere in net ltd.