![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাকী আমি লিখছি জীবনের গলিতে গলিতে যে জীবন-গল্পের শেষ নেই... অন্তহীন !
আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত সব মানসিক রোগের ভেতর সবচেয়ে আশ্চর্য এবং অদ্ভুত রোগ হিসেবে ধরা হয় পিকা রোগকে (Pica- Eating Disorder)। এই রোগে আক্রান্ত মানুষজন এমন কিছু জিনিস খান যার ভেতরে একটুও পুষ্টিগুণ নাই ! যেমন, ইটের গুঁড়ো, কাঁদামাটি,পাথর, রং,চক,পয়সা,সাবান,কাপড়,কাগজসহ বিভিন্ন ময়লা সামগ্রী ! The Handbook of Clinical Child Psychology জানাচ্ছে যে, প্রাতিষ্ঠানীভূত ( Institutionalized People ) জনসংখ্যার ভেতর এর প্রাদুর্ভাব ৪ থেকে ২৬ শতাংশ, অপ্রাতিষ্ঠানীভূত ( Non-institutional People ) জনসংখ্যার তুলনায় ।
এই রোগের কারণ হিসেবে ধরা হয় যে,যাদের শরীরে পর্যাপ্ত খনিজ পদার্থের অভাব রয়েছে তাঁদের ভেতর এই রোগের প্রবণতা থাকতে পারে । এর বেশি কিছু জানা যায় নি এখনো । তাই আজ পর্যন্ত এর কোন চিকিৎসাও আবিষ্কার করা সম্ভব হয় নি । তবে আমার মনে হয় সঠিক পদ্ধতির কাউন্সেলিং এবং Behavior Modification Therapy কাজে দিতে পারে ।
এই রোগের গুরুতর সমস্যা হল...
১. বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন, রংয়ের ভেতরের বিষাক্ত উপাদানগুলো বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে । শিশুর ভেতর এই রোগ থাকলে তার শিক্ষণত্রুটি সহ ব্রেইন ড্যামেজ হতে পারে ।
২. পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেতে বাধাপ্রদান করে যার ফলে রোগীর ভেতর পুষ্টিহীনতা তৈরি হতে হয় ।
৩. বিভিন্ন কঠিন পদার্থ যেমন পাথর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে । শুধু তাই-ই নয় পরিপাক নালীতে বাঁধা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে ।
৪. বিভিন্ন কঠিন এবং তীক্ষ্ণ জিনিস যেমন পেপারপেন্সিল বা ধাতুর নানা উচ্ছিষ্ট অংশের দ্বারা ক্ষুদ্রান্ত্র ছিঁড়ে যেতে পারে ।
৫. খাদ্যবস্তুর অভ্যন্তরস্থ ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবী দ্বারা মারাত্মক সংক্রমণ হতে পারে ।
৬. কিডনি বা লিভার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ।
©somewhere in net ltd.