নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রুদ্রাক্ষ

তোমায় গান শোনাবো,তাইতো আমায় জাগিয়ে রাখো... ওগো ঘুমভাঙানিয়া,ওগো দুখজাগানিয়া ...

ব্যবচ্ছেদ

একাকী আমি লিখছি জীবনের গলিতে গলিতে যে জীবন-গল্পের শেষ নেই... অন্তহীন !

ব্যবচ্ছেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রয়েড ও যৌনতাঃ কিছু ভুল

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১০

বিংশ শতাব্দীর বিতর্কিত ব্যক্তিদের মধ্যে ফ্রয়েড অন্যতম । কারণ ফ্রয়েডের তত্ত্ব একদিকে যেমন সারা বিশ্বের মানুষের চিন্তা-ভাবনার ভিত নড়িয়ে দিয়েছে,অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন মহল থেকেও তিনিসহ তাঁর তত্ত্ব প্রবলভাবে সমালোচিত হয়েছে । প্রথমতঃ ফ্রয়েড শাশ্বত মানুষিক সুদৃশ্য আবরণে কঠোরভাবে আঘাত হেনেছেন। স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষের আত্মসম্মানকে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়েছেন। দ্বিতীয়তঃ ফ্রয়েডের তত্ত্ব চিরাচরিত ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় তা অসংখ্য মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত করেছে ।

এসব অভিযোগের বিপরীতে যে যুক্তিটি দাঁড় করানো যায় সেটা ফ্রয়েডের তত্ত্বেই নিহিত আছে ।ফ্রয়েডের তত্ত্বের পরিপ্রেক্ষিত সর্ব-কামবাদ (Pan-sexualism) হলেও তিনি কিন্তু যৌনতাকে ক্ষুদ্রার্থে ব্যবহার করেন নি,তিনি যৌনতাকে ব্যবহার করেছেন রূপক ভাবে তবে একটা বৃহৎ ব্যাপক অর্থে । যেটা অনেকেই বুঝতে চান না । মানুষের জীবনের যেকোন আনন্দময়,সুখময় পর্যায়কেই ফ্রয়েড যৌনমূলক বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন । যেমনঃ বই পড়া,সিনেমা দেখা,গল্প করা,ঘুরতে যাওয়া,অভিনয় করা,শিক্ষাদান করা ...ইত্যাদি ব্যাপারগুলো নিছক শখের ফলাফল নয়,ফ্রয়েড এইসকল স্বস্তিদায়ক ঘটনাগুলোকে যৌনতার অর্থে ব্যবহার করেছেন । তাঁর মতে,প্রতিটি মানুষের অবদমিত কামনা-বাসনা বিকল্প কোন নিষ্কাম বস্তু বা ক্রিয়ার মাধ্যমে অপস্থাপন (Displacement) ঘটে বলেই আমাদের মধ্যে একধরণের আসক্তির উদ্ভব হয় এবং পরিণামে সেটা সুখদায়ক হয়ে উঠে ।এবং সেজন্যই এ ব্যাপারগুলোকে যৌনমূলক রূপে অভিহিত করা যায় ।

ফ্রয়েডের তত্ত্বের একটি বিশেষ অভিনবত্ব হল,তিনি একজন মানুষের সুস্থ,সুন্দর জীবনাচারণের বাইরে একই মানুষের অভ্যন্তরীণ অন্ধকার দিকগুলোতে আলো ফেলতে চেষ্টা করেছিলেন । মানুষ যে ফেরেশতা নয়, দুধে-ধোয়া তুলসি পাতাও নয়,দোষ-গুণ,ভালোমন্দ মিলিয়েই যে মানুষ,তিনি সেই ব্যাপারটিতেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন । কিন্তু ফ্রয়েডের তত্ত্বের এই অভ্যন্তরীণ বোধগত দিকটি (Cognitive side) উপেক্ষা করে অনেকে আমাদের নৈমিত্তিক ভাবনার সাথে সাংঘর্ষিক বিবেচনা করে ফ্রয়েডের সমালোচনা করেছেন । অনেকে ফ্রয়েডকে Sex Obsessed Person বলে অভিহিত করেন কিন্তু ফ্রয়েডের Sex Obsession নিছক যৌনতাকেই নির্দেশ করে না,মানুষের বাহ্যিক-অভ্যন্তরীণ তথা সমগ্র সত্তার রহস্য উন্মোচনে/ বিশ্লেষণে তা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে ।



১৮৫৬ সালের ৬ মে মোরাভিয়াতে ( বর্তমানে চেকোস্লোভাকিয়া) ফ্রিবারগ নামক স্থানে একটি ইহুদি পরিবারে ফ্রয়েড জন্মগ্রহণ করেন । Id, Ego, Super-ego, Narcissism, Oedipus complex, Electra Complex, Defense Mechanism, Dream Interpretation প্রভৃতি মনোবিজ্ঞানের এক একটা গুরুত্বপূর্ণ অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়ের সূত্রপাত করেছেন ।



১৯২৩ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মুখ ও চোয়ালে ক্যান্সার নিয়ে দীর্ঘকাল ভুগেছেন। ১৯৩৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরে লন্ডনে ফ্রয়েড মৃত্যুবরণ করেন।





মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

তৌফিক আনজাম বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৩

ব্যবচ্ছেদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ :D

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৪

প্লাবণ ইমদাদ বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর যৌনমনোবিজ্ঞান লেখার জন্য...যৌনতাই শেষ কথা.......নয়....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.