![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাকী আমি লিখছি জীবনের গলিতে গলিতে যে জীবন-গল্পের শেষ নেই... অন্তহীন !
“Trance” মুভিটা দেখলাম । “Hypnotism” নিয়ে কাহিনি । অসাধারণ জমজমাট একটা ছবি । একটা পেইন্টিং চোর বিখ্যাত একটা পেইন্টিং চুরি করার পর অ্যাক্সিডেন্টে স্মৃতি হারিয়ে ফেলে । সেটা উদ্ধার করার জন্য একজন পেশাদার Hypnotist এর দরকার পড়ে । সেটা নিয়েই কাহিনি । ছবিটার কাহিনি আর বিষয়বস্তু আমার পঠিত বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে ভালোলাগাটা সংগতকারণেই বেড়ে গেল । তখনও আমি জানতাম না আরো একটা চমক আছে আমার জন্য । ছবির শেষে দেখলাম এর পরিচালক ড্যানি বয়েল ! উচ্ছ্বাসটা আরো বেগতিক বেপরোয়া হয়ে গেল । ড্যানির “ Sunshine”, “127 Hours”, “Slumdog Millionaire”, দেখে আমি যারপরনাই মুগ্ধ । হলিউড ছবি যে শুধু “ফিকশন” আর ধুন্ধুমার “অ্যাকশন” সর্বস্ব নয়,এইরকম ছবি দেখলে সেটাই মনে হয় । সারা পৃথিবীতে সাইকোলজির বিষয়বস্তু নিয়ে কত ছবি তৈরি হয়েছে,এই মুহূর্তে আমি জানি না(তবে জানার চেষ্টা করেছিলাম;ফলাফলঃ বিফল মনোরথ! কারণ অজস্র ছবি )।
Trance এর কাহিনি বলে ছবিটি দেখার মজাকে গলা টিপে হত্যা করার কোন ইচ্ছাই আমার নাই ! তবে কিছু কথা বলার আছে ...
১. ছবির কাহিনি এবং বিষয়বস্তুর প্রতি কুশীলবদের চারিত্রিক “ডেডিকেশন” সত্যিই দেখার মত ।কত অবলীলায় ওরা সংস্কার ভাঙতে পারেন,সেটা আশ্চর্যের ব্যাপার বটেই । আমাদের বাংলাদেশে এইরকম “চারিত্রিক ডেডিকেশন” পেতে আমাদের আরো একটা শতাব্দীর অপেক্ষার প্রয়োজন আছে !
২. গান,অতি নাটুকেপনা আর অভিনয়ের অতিরঞ্জন ছাড়াও যে শুধুমাত্র কাহিনি আর মেদহীন অভিনয়ের কারণেই ছবি উপভোগ্য হতে পারে,এই ধারণা এই উপমহাদেশে খুব প্রচলিত নয় । ছবির কাটতি বাড়ানোর জন্য এখন আবিষ্কার করা হয়েছে “আইটেম সং”! খুব সম্প্রতি আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্রেও এর আমদানি ঘটেছে ! একজন অর্ধনগ্ন নায়িকার পেছনে শত শত ছেলে-মেয়ের নাচাকুঁদা কিভাবে একটা ছবির “আইটেম থিম” বা “উপভোগ্যের নির্ধারক” হতে পারে সেটাই আমার মাথায় ঢুকে না । পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যতগুলো ছবি বিভিন্ন পুরস্কার দ্বারা সম্মানিত হয়েছে,সেগুলোর কোনটাতেই এইরকম উদ্দাম নৃত্যগীত নাই । এই জন্যই বোধ হয় আমাদের এত দুর্দশা ! কারণ আমরা একটা ছকে আটকে আছি,যেখানে থাকবে পুতপুতে প্রেমের কাহিনি,৪-৫টা গান,একটা “আইটেম সং”,দু’চারটা ঢিসুম-ঢিসুম,অতিরঞ্জিত ভাবালুতা(কান্না,মিলন,চুম্বন কিংবা শয্যাদৃশ্য) ...এই হল ফর্মুলা ।
৩. বহিঃবিশ্বের ছবি দেখলে বুঝা যায় ওঁদের চিন্তাভাবনার অগ্রসরমানতা,গভীরতা। ওঁরা ছকবদ্ধ চিন্তাধারায় বিশ্বাসী নয়,প্রেমপিরিতি,নাচগান ছাড়াও মানুষের জীবনের আরো বিভিন্ন পর্যায় আছে । প্রতিদিন নিত্যনতুন জীবননির্যাসের উপর ওঁদের সূক্ষ্মদৃষ্টিই আমাদের থেকে ওদের আলাদা করে রেখেছে । চিন্তার বিভিন্নতা,বিচিত্রতা থেকেই জ্ঞানের বিকাশ,সেই জায়গাতেই ওঁরা আমাদের থেকে শ্রেষ্ঠ ।
পাদটীকাঃ আমাকে বাংলাবিরোধি বা বাংলা ছবি বিরোধি ভাবার কোন কারণ নাই।আমি যথেষ্ট বাংলা ছবি দেখি।
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখেছি। অসাধারণ ছবি।
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৫
ব্যবচ্ছেদ বলেছেন: আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে । ধৈর্য নিয়ে দেখলে সবারই ভালো লাগবে আশা করি ।
ধন্যবাদ আপনাদেরকে
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩২
সুমন কর বলেছেন: দেখতে হবে।