![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাকী আমি লিখছি জীবনের গলিতে গলিতে যে জীবন-গল্পের শেষ নেই... অন্তহীন !
“গুন্ডে” আর আট দশটা বলিউডি বানিজ্যিক ছবির মতই । নতুন বলতে কিছুই নাই । প্রেম,বন্ধুত্ব,ভুল বোঝাবুঝি,মিলন-বিরহ এবং আইটেম গানসহ সেই চিরপরিচিত একই ফর্মুলা । নতুনত্ব বলতে গেলে যেটা হচ্ছে তা হল যুদ্ধের দামামার ভেতর দিয়েই ছবির শুরু । আর এই যুদ্ধ হচ্ছে পাক-ভারত “তৃতীয় যুদ্ধ”। এই যুদ্ধের “বাই-প্রোডাক্ট” বা “উপজাত” হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে একটি দেশ “বাংলাদেশ” । যেন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিছকই পাক-ভারত যুদ্ধের পরিণতি । এর জন্য পূর্ববাংলার ৯ লাখ মানুষ যে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সাথে যুদ্ধে শহীদ হয়েছে সেটা শুধুই ভারতের জন্য কিংবা ভারতের অখন্ডতার খাতিরে ! বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এমন উৎকট রসিকতা বোধ হয় তেহরিক-ই-ইনসাফের ইমরান খানও করেননি,কিংবা বিএনপি’র গৃহপালিত বুদ্ধিজীবীরাও করেননি । বাংলাদেশ সরকারের উচিত অবিলম্বেই এর আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো । কারণ বলিউডি ছবির দর্শক সারা বিশ্বেই আছে । তাঁদের কাছে একটা জাতির গৌরবময় অস্তিত্বের ভুল বার্তা পৌঁছবে । কোনভাবেই এটা আপোষ করার বিষয় নয় ।
’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে মহিমাময় অধ্যায় । এখানে বিতর্ক বা অস্পষ্টতার কোনই সুযোগ নাই । আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে আমরা কখনোই খাটো করে দেখিনি । বাঙালি জাতি কোনকালেই অকৃতজ্ঞ ছিল না। বন্ধুর মর্যাদা রক্ষার প্রতি এঁরা বরাবরই শ্রদ্ধাশীল ।
“গুন্ডের” শুরুটাই হয়েছে ইতিহাস বিকৃতি দিয়ে । বাংলাদেশ সরকার এর প্রতিবাদ না জানালে বুঝতে হবে আমাদের হীনমন্যতার শেকড় গভীরে ,অনেক গভীরে গেঁথে গেছে ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৩
ব্যবচ্ছেদ বলেছেন: হুম .
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫৩
গেরিলা রুমি বলেছেন: এবার দেখা যাক চেতনার ধারক ও বাহক ইমরান সাহেব কি বলেন। -_-
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৫
ব্যবচ্ছেদ বলেছেন: খুব হাসলাম আপনার মন্তব্য পড়ে হুম,আসলেই ব্যাপারটা পর্যবেক্ষণ করার মত ।
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:১১
নীল জানালা বলেছেন: চেতনা বিক্রেতার চেতে কিনা দেখা যাক।
৭১ আমাদের আবেগ। এই আবেগের কারনেই আমরাও নিজের অজান্তে কিছুটা ইতিহাস বিকৃতি করসি। ২৫ মার্চে পাক বাহিনি বাংলাদেশ আক্রমন না করলে আমরা হয়তো এখনো পূর্বপাকিস্তানই হয়া থাকতাম। কোনদিন ছিনায়া আনতে যাইতামনা নিজেদের অধিকার। আমরা এমনই এক জাতি। মার খাইতে খাইতেও আমাদের মধ্যে একতাবদ্ধ হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মত সাহস জন্মায়না। গতকালকের বাঘ আজকে বিড়াল হয়ে যেতে পারেনা। আসলেই যদি ৭১ এ আমরা সাহসী এবং বীরের জাতি ছিলাম তবে আজকে আমাদের সাহস আর বীরত্ব গেল কৈ? সব শালা দুই বেশ্যা মাগীর চামচা হয়া গেল ক্যামনে? গতকালকের বীর আজকে মোসাহেব? মোসাহেব কোনদিন মাথা তোলার সাহসও দেখাইতে পারেনা। বীরত্ব দেখানোতো দুরের কথা। আজকে আওয়ামিলীগের ছদ্মবেশে দেশ শোষন করছে ভারত। এইটা বুঝতে পারছে অনেকেই। কিন্তু এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার মত সাহস বা মনোবল সিংহভাগ মানুষের নাই। এইটারে বীরের জাতি বলি কিভাবে? পাকিরা ৫২তে জোর কৈরা উর্দু না চাপায়া দিয়া যদি ভারতের মত মহব্বতের সাথে সময় নিয়া গিলাইতো তাইলে আইজকা আমরা উর্দুতে ব্লগিং করতাম। যেমন আর কিছুদিন পরে বাংগালি হিন্দিতে করবো। এই হৈল আমগো সারমর্ম। আত্ম সমালোচনা করা উচিত। খালি বড়াই করা ভালোনা।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩
ব্যবচ্ছেদ বলেছেন: এটা আমাদের জাতিগত দুর্ভাগ্য । আমাদের শাসক গোষ্ঠীরও ব্যর্থতা । তারা আমাদের ভেতরের শক্তিটাকে কাজে লাগাতে পারছে না । যে আবেগ থেকে এই দেশের সূচনা সেই আবেগই হতে পারতো দেশের উত্থানের ট্রিগারিং সোর্স । কিন্তু নতজানুতা আমাদের মানসিকতার খুব গভীরে ঢুকে গেছে,এটা সবক্ষেত্রেই ।
আত্মসমালোচনা করার জন্য একটা সৎ সাহসের প্রয়োজন । কড়ক হলেও সত্যি এটা আমাদের ভেতর একদমই নেই । আর না থাকার কারণেই অনেকে অযাচিত হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পায়,তাঁরা দেশিই হোক আর বিদেশিই হোক ।
আমাদের বড়াইটা উচিত বস্তুনিষ্ঠ । সেখানেই আমাদের সীমাবদ্ধতা ।
৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
সনজিম বলেছেন: নাহ আর চুপ থাকলে শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের কে অভিশাপ করবে, কারন আমাদের সব কিছু নিয়া এখন ইন্ডিয়ার মাতামাত, এই মাতামাতির শেষ কোথায়?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮
ব্যবচ্ছেদ বলেছেন: এই মাতামাতির শেষ কোথায় এটা সময়ই বলবে । হয়তো আরেকবার দেয়ালে পিঠ ঠেকে না যাবার আগ পর্যন্ত এভাবেই চলতে থাকবে ।
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দেবার জাতি আমরা নই । সময় থাকতে উপযুক্ত প্রতিবাদও করার সাহস আমাদের নাই ।
শহীদদের আত্মারা যদি কথা বলতে পারতো তাহলে তাঁরা চিৎকার করেই বলতেন "এমন দেশ আমরা চাইনি"
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪১
সুমন জেবা বলেছেন: এটা আমাদের জাতিগত দুর্ভাগ্য । আমাদের শাসক গোষ্ঠীরও ব্যর্থতা । তারা আমাদের ভেতরের শক্তিটাকে কাজে লাগাতে পারছে না । যে আবেগ থেকে এই দেশের সূচনা সেই আবেগই হতে পারতো দেশের উত্থানের ট্রিগারিং সোর্স । কিন্তু নতজানুতা আমাদের মানসিকতার খুব গভীরে ঢুকে গেছে,এটা সবক্ষেত্রেই ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
ব্যবচ্ছেদ বলেছেন: সত্যিই তাই ... এ থেকে শিগগিরিই মুক্তি মিলছে না ।
৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯
ব্যবচ্ছেদ বলেছেন: মন্তব্যকারী পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । এই পোস্টের একটা জায়গায় আমি মারাত্মক ভুল করে ফেলেছি । ৩০ লাখ শহীদের জায়গায় আমি ৯ লাখ লিখে ফেলেছি ! আসলে আমি ৯ মাস যুদ্ধের সময়কালকে বোঝাতে চেয়েছিলাম । এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি সত্যিই মর্মাহত,লজ্জিতও ।
আশা করছি সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৮
সুমন কর বলেছেন: ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে মহিমাময় অধ্যায় । এখানে বিতর্ক বা অস্পষ্টতার কোনই সুযোগ নাই । আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে আমরা কখনোই খাটো করে দেখিনি । বাঙালি জাতি কোনকালেই অকৃতজ্ঞ ছিল না। বন্ধুর মর্যাদা রক্ষার প্রতি এঁরা বরাবরই শ্রদ্ধাশীল ।
সহমত।