![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাকী আমি লিখছি জীবনের গলিতে গলিতে যে জীবন-গল্পের শেষ নেই... অন্তহীন !
আজকাল বলিউডে যেসব সিনেমা হয় সেগুলো দেখে যদি কারো হিন্দি ছবিতে অ্যালার্জি আসে,তাতে কোন একজন মুভিখোরকে খুব বেশি দোষ দেওয়া যায় না ! প্রিয়াঙ্কা,ক্যাটরিনা,আর দীপিকাদের “জিরো ফিগার” ড্যান্স...সালমান,অক্ষয়,রণবীরদের পেশীবহুল শরীরের অহেতুক প্রদর্শন,একটা “আইটেম গান”...এই হল এখনকার বলিউডি ফর্মুলা ! যে ছবির আইটেম গানের কথা যত অশ্লীল,যে আইটেম গানে “আইটেম গালের” শারীরিক কসরত যত বেশি সে ছবি বক্সঅফিসে তত বেশি হিট...ইউটিউবে তত বেশি হিট ...
সেই প্রচলিত ধরানা ভেদ করে মাঝে মাঝে দু’একটি ছবি এমনভাবে বের হয় যেন উড়াতে উড়াতে ছাইয়ের ভেতর একটা মূল্যবান রত্ন খুঁজে পাওয়া যায় !
বিকাশ বেহেলের “কুইন” ছবিটা আহামরি কিছু নয় । তবে এমন কিছু আছে যেটা দর্শককে ভালোলাগাতে বাধ্য । “মডার্ন”, “ফ্যাশানেবল” না বলে ছেলেটা মেয়েটাকে বিয়ে করতে আপত্তি করে । লজ্জায়,অপমানে মেয়ের মুখ কালি হয়ে যায় । বিয়ের পরে প্যারিস আর অ্যামস্টারডামে হানিমুনে যাবার কথা ছিল নববিবাহিত দম্পত্তিটির । যেহেতু বিয়েটাই হল না,তাই মেয়েটি সিদ্ধান্ত নিল সে একাই হানিমুনে যাবে ! প্যারিসে পৌঁছে মেয়েটি জীবনের রুঢ় বাস্তবতার মুখোমুখি হয় । বাবা-মা-ভাই আর পরিচিত স্বজনহীন প্যারিসে মেয়েটি ভিন্ন একজন মেয়ের জীবনাচরণের সাথে পরিচিত হয় । সে বুঝতে পারে সবার জীবনধারা একইরকম নয়,কেউ আছেই শুধু জীবনকে উপভোগ করার জন্য । তারা জীবনে কোন পিছুটান রাখতে রাজি নয় । প্যারিস থেকে মেয়েটি চলে যায় অ্যামস্টারডামে । যেখানে স্থান সংকটের কারণে তাকে তিনটা ছেলের সাথে একই রুমে থাকতে হয় । তারপর একসময় তাদের সবার ভেতর একটা বন্ধুত্ব হয় । এই বন্ধুতার প্রোগ্রেসটা ছিল সত্যিই দেখার মত ।
বন্ধুত্বকে আসলে দেশ,সময়,বয়স বা সীমারেখা দিয়ে বাঁধা যায় না । বন্ধুত্ব বা ভালোবাসা সর্বজনীন । হোক বন্ধুটি রাশিয়ান,ফরাসি বা জাপানি ...ভালোবাসার প্রকাশ কিন্তু চিরকালীন,সর্বজনের ।
মেয়েটা তার নিজস্ব জগতের খুব কাছাকাছি চলে আসে । আর আট দশটা ভারতীয় নারীর মতই কেটে যেত তার জীবনটা । কিন্তু সেই চিরপরিচিত সংস্কার,নিয়ম-রীতি,অনুশাসনের বাইরেও আরেকটা জীবন আছে,যে জীবনটা হতে পারে শুধুই নিজের,যে জীবনের মালিক কোন স্বামী নয়,সে নিজেই...স্বামীহীন হানিমুনে এটাই তার উপলব্ধি ।
ছবির শেষটা আরো চমৎকার । যে কারণটি মেয়েটিকে একটা অনিশ্চিত পরিবেশে ঠেলে দিয়েছিল সেই কারণকেই মেয়েটি ক্ষমা বা ধন্যবাদ জানাবার মত মানসিক উদারতা দেখিয়েছে । এই ব্যাপারটাই ছবিটিকে অনন্য করে দিয়েছে,আসলে ।
কঙ্কনা রনৌতের অভিনয়টা ছিল দেখার মত । কঙ্কণাকে সবসময় গ্ল্যামারাস চরিত্রে দেখা যায় । এই ছবি দিয়ে সেই ইমেজ বদলাবার প্রচেষ্টাটা সম্পূর্ণ সফল ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০৬
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: ফেমিনিষ্ট ছবি। ভালো লেগেছে এটা।