নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রুদ্রাক্ষ

তোমায় গান শোনাবো,তাইতো আমায় জাগিয়ে রাখো... ওগো ঘুমভাঙানিয়া,ওগো দুখজাগানিয়া ...

ব্যবচ্ছেদ

একাকী আমি লিখছি জীবনের গলিতে গলিতে যে জীবন-গল্পের শেষ নেই... অন্তহীন !

ব্যবচ্ছেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিঁপড়াবিদ্যাঃ ফারুকীর ব্যর্থতা আর আমাদের আরো একবার হোঁচট খাওয়া !

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৯

ঘুম ভাঙতে না ভাঙতেই সাজ্জাদের ফোন । পিঁপড়াবিদ্যা দেখতে যেতে হবে । হাতে কাজ ছিল না,তাই রাজী হলাম । সাথে পিন্নীকেও জুটিয়ে নিলাম । বলা বাহুল্য যে, ছবিটির নাম এবং পোস্টারটি এককথায় -অসাধারণ । কিন্তু কেন জানি পোস্টারটিকে (নায়িকার লিপস্টিকে ভেজানো ঠোঁটের উপর একটা কালো পিঁপড়া) আমার মৌলিক বলে মনে হয়নি ! এই পোস্টারের সাথে ২৩ বছর আগের হলিউডি ছবি “Silence of the Lambs” ছবির পোস্টারের মিলে যাওয়াকে যদি কাকতালও ধরে নিই,তাহলেও নিশ্চিন্ত হওয়া যায় না যে,এতবড় কাকতাল সম্ভব কি করে ?


ফারুকীর হাতে কয়েকটা ব্রহ্মাস্ত্র সবসময়ই থাকে।
১। তাঁর প্রতিটি ছবিই আন্তর্জাতিকতার তকমা পাওয়া ।
২। তাঁর ছবির বিষয়বস্তু খুবই সাম্প্রতিক ।
৩। তাঁর ছবি-না হয়ে উঠে ছবি,না হয় টেলিফিল্ম,না হয় নাটক !

এই তিনটি ব্রহ্মাস্ত্র একে অপরের সাথে সংশ্লিষ্ট । আন্তর্জাতিকতা ব্যাপারটা ছবির সাম্প্রতিক বিষয়গুলোর উপরই নির্ভর করে । আর আধা ছবি-আধা টেলিফিল্মঅলা ছবিগুলোই পুরষ্কারের বাজারে সমাদৃত হয় । অন্তত এখন অবধি সেটাই দেখা যাচ্ছে ।



ফারুকীর “টেলিভিশন” মৌলবাদকে ঘিরে,তারও আগের ছবিটা (থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার) লিভ-টুগেদারকে নিয়ে । আর পিঁপড়াবিদ্যা হল এমএলএম ব্যবসা এবং ভিডিও স্ক্যান্ডাল নিয়ে । বাংলাদেশের মত একটি তৃতীয় বিশ্বের দেশের চিত্রপরিচালক এমন “সংবেদনশীল” বিষয় নিয়ে ছবি বানিয়েছেন,বহির্বিশ্বের দেশগুলো সেটার স্বীকৃতি দিতে ভুলবে কেন ? অন্তত পুরষ্কারগুলো চলচ্চিত্রকারের সাহসিকতার জন্য হলেও অনিবার্য । ফারুকীর ছবি যদি আসলেই ছবিই না হবে তাহলে তাঁর ছবি এত এত পুরস্কার পায় কি করে ? এই প্রশ্নের উত্তর সম্ভবত দেওয়া গেল ।


একটা ছবির আন্তর্জাতিকতা বা সর্বজনীনতা কোন শর্ত নয় । ছবির থিম,অভিনয় আর উপস্থাপন যথার্থ হলে এই শর্তটি এমনিতেই সেটে যায় । পিঁপড়াবিদ্যার থিম চমৎকার কোন সন্দেহ নাই,অভিনয়টাও ভাল । কিন্তু উপস্থাপনে এত “ছ্যাঁচড়ামি” বিনোদিত করে না,বিরক্তি উৎপাদন করে বরং । প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে যদি কেউ নিজেকে অটো সাজেশান দেয় যে “Yes,its okay,its okay ,I am enjoying a movie” তাহলে দর্শক শুরুতেই ধরা খেয়ে যায়,প্রতারিতও হয়,যেখানে ছবির পেছনে অনেক অনেক পুরস্কার !
বিরতির আগ পর্যন্ত যদিবা ধৈর্য রাখা যায়,কিন্তু বিরতির পরে এই ছ্যাঁচড়ামি আর সহ্য করা যায় না । একজন বেকার যুবকের মানবিক চাহিদা,এমএলএম ব্যবসায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া আর একজন নায়িকার খ্যাতি এবং ভিডিও স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাকে একই সমান্তরালে চালিয়ে নিতে গিয়ে ছবিটি একসময় খেই হারিয়ে ফেলেছে । যেকোন ছবির প্রথম শর্ত হল ছবিতে দর্শককে ধরে রাখবার ক্ষমতা । অনেকটা ছোট গল্পের মতই কিংবা একটা বাক্যের মৌলিক শর্তগুলোর (আকাঙ্ক্ষা,আসক্তি এবং যোগ্যতা) মতই ।পিঁপড়াবিদ্যায় যোগ্যতার সম্ভাবনার দেখা মিললেও বাকি দুটো মাঠেই মরে গেছে ! আর এই মারা যাবার চিতায় ঘৃতাহুতি দিচ্ছিল ফারুকীর অযাচিত জীবনঘনিষ্ঠ সংলাপের প্রায়োগিকতা । খুব বেশি দৈনন্দিনতার উপস্থাপন দেখাতে গিয়ে পুরো ব্যাপারটা একসময় কেমন যেন ছেলেখেলা মনে হয় ।


আবার বলি,ছবির কাহিনি বা বিষয়বস্তুতে চমৎকারিত্ব ছিল,অভিনবত্বও ছিল,কিন্তু দুর্বল উপস্থাপনার জন্য মুখটা তেতো হয়ে যায় । দুজন মানুষের মানসিক অবস্থার দুর্দশাকে আরো শৈল্পিকভাবে দেখালেই বরং ভাল লাগতো ।


দর্শকের মাথার ভেতর যদি পুরো ছবি দেখার আগ্রহের পোকাই না ঢুকানো গেল তাহলে সেই পোকার বিষপিঁপড়া হয়ে উঠার সম্ভাবনা শতভাগ । এখানেই ফারুকীর ব্যর্থতা আর আমাদের আরো একবার হোঁচট খাওয়া !

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২১

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: খুব ইচ্ছা ছিল ছবিটি দেখব কিন্তু আপনার কথায় নিরাশ হলাম

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৯

কসমিক- ট্রাভেলার বলেছেন:




প্রিয় ব্যবচ্ছেদ ভাই

অন্যের কর্মের ব্যাবচ্ছেদ না করে, পারলে নিজে ভালো কিছু করে দেখান।

দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে।


৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪৫

িফরোজ শরীফ বলেছেন: ভাই, কয় বছর পরে এখানে লগ ইন করলাম মনে পড়ে না! শুধুমাত্র আপনার এখানে কমেন্ট করার জন্য।

ফেসবুকেও কমেন্ট করতে পারতাম। কিন্তু কেন যেন ইচ্ছা করল না।

তাই এখানে আসা।

আপনার লেখাটা পড়তে গিয়ে মনে হইলো আপনি জাস্ট ফারুকীর সমালোচনা করার জন্য কোমড় বেধে লিখতে শুরু করেছেন। ফারুকীকে আপনি পার্সোনালি অপছন্দ করেন বলে মনে হইলো।

সামনাসামনি বিতর্ক হবে। আলোচনা হবে।

সিনেমাটা ভাল ছিল, ভাই। অনেক ভাল ছিল। আপনার কেন খারাপ লাগল, বুঝলাম না।

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭

ব্যবচ্ছেদ বলেছেন: এটাও একটা সাফল্য বটে ! কি বল ফিরোজ ?
কোমড় বেঁধে লাগার কোনই প্রশ্ন উঠে না । তিনি আমার বাড়া ভাতেও ছাই দেননি । একজন দর্শক হিসেবে কথা বলাটা কোন পার্সোনালি অপছন্দের মধ্যে পড়ে না । উনার থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার আমার একটা পছন্দের ছবি । উনার এই পিঁপড়াবিদ্যা নিয়ে একটা প্রত্যাশা তো ছিলই । সেটার না পুরণ হয়নি বলেই এই ব্যবচ্ছেদ । এটাকে এত নেগেটিভলি নেওয়ার কিছুই নেই । সব জিনিস সবার জন্য নয় ।

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯

ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: ফারুকিকে একজন নাট্য পরিচালক হিশাবে কোনোভাবে মেনে নেওয়া গেলেও তিনি যখন ছিনেমা পরিচালোনা করতে আসেন তখন রিতিমতোন ভয় হয়, ফারুকিও একজন ছিনেমা পরিচালক, সেই ছবি হলে যেয়ে দেখা আর আতত হোততা কোরা একি কথা

৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০২

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: কমেন্ট মুছে দিলেন X( X((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.