নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুভ্র

আমরা মনে করি রাজাকারদের পুরো বাহিনীকে ধরনী থেকে নিশ্চিহ্ন না করা পয'ন্ত আমাদের যুদ্ধ থামানো যাবেনা-তাই সবার প্রতি আহবান, আসুন- নিজ বাড়িতে নব নব প্রজন্মকে উদ্ভুদ্ধ করি। মনে রাখবেন, পরিকল্পিত আর সংগঠিত বাংলা'র শক্তি অপ্রতিরূদ্ধ। এই লড়াইয়ে বিজয় আমাদের হবেই

শুভ্রাংশু

জয় বাংলা

শুভ্রাংশু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসা'র বিচ্ছিন্ন লেখা হে প্রিয়তমা শাহবাগ

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

-ছিন্নপত্র ১-

ভালবাসা দিবস হোক সেই মেয়েটির জন্য যে বলেছিল, হ্যাঁ আমি শাহবাগের পতিতা। আমার রেট হল কাদের মোল্লার ফাঁসি। পারবি দিতে?



ভালবাসা দিবস হোক সেই রিক্সাচালকের জন্য। ছেলেটা কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে যাচ্ছিল কিন্তু সম্বল বলতে পকেটে দুই টাকার ছেঁড়া একটা নোট। সেই রিক্সাচালক ছেলেটিকে বিনা ভাঁড়ায় শাহবাগ পৌঁছে দিয়েছিল এবং কাদের মোল্লার ফাঁসি চেয়েছিল।



ভালবাসা দিবস হোক সেই বাস হেলপারের জন্য যে কিনা যখন শুনেছিল ছেলেটা শাহবাগ থেকে অনেকদূর হেঁটে এসেছে কোন যানবাহন না পেয়ে। শোনার সাথে সাথে বাসের দরজা খুলে দিয়েছিল এবং শেষপর্যন্ত ছেলেটার কাছ থেকে ভাঁড়া নেয়নি।



ভালবাসা দিবস হোক সেই আঙ্কেলের জন্য যিনি বাসের শাহবাগের সকল যাত্রীর ভাড়া নিজের পকেট থেকে দিয়ে দিয়েছেন। এবং প্রবল উত্‍সাহে বলেছেন উনি প্রতিদিন অফিস শেষে শাহবাগে যান। স্লোগানে গলা মিলান। ওখানে গেলে তরুনদের ভীঁড়ে রক্ত টগবগ করে ওঠে।



ভালবাসা দিবস হোক সেই ভাইয়ের জন্য যিনি জরুরী কাজে ঢাকা এসে না খেয়ে না দেয়ে নিজেকে আন্দোলনের অংশ করে নিয়েছেন।



ভালবাসা দিবস হোক সেই আন্টির জন্য। বাসের এক লোক ইনিয়ে বিনিয়ে বলছিল, শাহবাগের রাস্তা বন্ধ থাকায় রাস্তায় জ্যাম একটু বেশি থাকে তাই বাসায় যেতে দেরি হয়। আন্টি তখন ধমকে উঠে বলেছিল, আপনার দেরি হলে আপনি বাস থেকে নেমে হেঁটে বাসায় যান। তরুনরা যা করছে তা ওদের করতে দিন।



ভালবাসা দিবস হোক সেই ফুল বিক্রেতার জন্য যে যত্ন করে বেছে বেছে সেরা ফুলগুলো দিয়েছিল নামমাত্র মূল্যে যখন শুনেছিল এই ফুলগুলো দিয়ে শাহবাগে দেশের মানচিত্র বানানো হবে।



ভালবাসা দিবস হোক দেশের জন্য। লাল সবুজের মানচিত্রের জন্য। ত্রিশ লক্ষ শহীদের জন্য। দুই লক্ষ ধর্ষিতা মা বোনের জন্য। দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধার জন্য। বাবা মাকে মিথ্যে বলে, নিষেধ কিংবা বকা অগ্রাহ্য করে আন্দোলনে অংশ নেয়া প্রতিটা তরুনের জন্য।



ভালবাসা দিবস হোক ষোল কোটি বাঙ্গালীর জন্য।



Courtesy: Hasan Mahmud Tushar



-------------------------------------

-ছিন্নপত্র ২-



সত্য বড় কঠিন, সেই কঠিনেরেই ভালবাসিলাম



ফার্ম গেটের সিনেমা হলের উল্টা দিকে একটা ছোট চায়ের দোকান। আমি ও আমার এক বন্ধু চা খাচ্ছিলাম। শাহবাগের কথা উঠতেই পাশে দারানো এক তরুন বলে উঠলো এটা আওয়ামী লীগের কল কাঠি। বৃদ্ধ চায়ের দোকানি তখন ঐ তরুন কে প্রশ্ন করলেন, বাবা আপনার বয়স কতো?

তরুন - কেন?

বৃদ্ধ দোকানি - আপনার মা বাবা বাইচা আছে?

তরুন - চোখে প্রশ্নবোধক

বৃদ্ধ দোকানি - তাইলে শুইনেন, কতো হাজার হাজার লাশ নদী, নালা, খাল, ক্ষেতে পইড়া আছিল যুদ্ধের সময়। মানুষ ভয়ে পানিতে নামতো না তখন।কিন্তূ এই হত্যা কেবল প্রত্যেক গ্রামের ২/৩ জনের কাজ। কতো বার হইছে গুলি খাওয়া দুই বন্ধুরে কাধে লইয়া মাইলের পর মাইল হাটতে হইছে। বন্দুক গুলি ও পিঠে ঝুলাইয়া রাখতে হইছে।

এতক্ষন আমি চুপ ছিলাম। এবার বললাম, চাচা আপনি কি মুক্তিযুদ্ধা?

বৃদ্ধ দোকানি - কি দরকার বাবা? আমি কিছু কইতে চাই না।

আমি অনেক অনুরোধ করার পর উনি বললেন- হ, আমার নাম নেতা আবুল হোসেন।

আমি - চাচা, আপনি চান না রাজাকারদের বিচার হউক? ওদের ফাসি হউক?

মুক্তিযুদ্ধা আবুল হোসেন - বাবা, এখন আমরা বুড়া হইয়া গেছি। তোমাদের উপর সব ভার দিছি। তোমরা যদি পারো, তাইলে মরার আগে শান্তি পামু।

আমি- চাচা আপনার হাত টা আমার মাথার উপর রাখেন, আর আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আমরা যেন আপনাদের এ দায় থেকে মুক্ত হতে পারি।

রিক্সায় উঠে মনে মনে শপথ নিলাম, আমরা পারবো, আমাদের পারতেই হবে। ৪২ বছর আগে একটা প্রজন্ম নিজেদের জীবন আত্নত্যাগ করে আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। আর এখন আমরা তাদের হত্যার বিচার করতে পারবো না? এই লজ্জার চেয়ে মৃত্যু অনেক ভাল।

" জয় বাংলা" "জয় শাহবাগ"



-Madhu Sudan Sah



--ছিন্নপত্র ৩-

সারা দেশ যখন শাহবাগমুখী তখন ঢাকার ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ গণজাগরণের প্রজন্ম চত্বরে যেতে চাওয়ায় ১৪-১৫ জন শিক্ষার্থীকে বেদম পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু পেটানো নয়, এ জন্য তাদের স্কুল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। অভিভাবকদের এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে একজন অভিভাবক কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন। অভিভাবকরা এ ঘটনার পর তাঁদের সন্তানদের আর ওই স্কুল ও কলেজে না পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।



নির্যাতনের শিকার একাধিক ছাত্র বলে, গতকাল সকাল ১০টার দিকে আবেদনপত্র নিয়ে অফিস কক্ষে যাওয়ার পর পরই পেটানোর পাশাপাশি তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনসেট ভেঙে ফেলা হয়, যাতে ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে কাউকে না জানানো যায়।



এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও কলেজের চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাশার দুই ছাত্রকে বেত দিয়ে মারার কথা স্বীকার করে বলেন, কয়েক জন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করে অন্য শিক্ষার্থীদের জড়ো করছিল,

আরাফাত হোসেনের বাবা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ক্যামব্রিয়ান কলেজের এমন ন্যক্কারজনক আচরণে যুদ্ধাপরাধীর চেহারা প্রকাশ পেয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্তরালে জামায়াতি পক্ষপাতিত্বের কথা জানলে কখনো সেখানে সন্তান ভর্তি করতেন না বলে তিনি জানান।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

কোবির বলেছেন: উপরের কাহিনীর আগে পড়েছি ফেসবুকে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

শুভ্রাংশু বলেছেন: সবাইকে পড়বার সুযোগ দিন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.