![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজাকার/মীরজাফর, ভারতের দালাল ।
বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এই কথাগুলো এমনভাবে প্রচলিত আছে, যে আপনি যদি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে চলেন যেখানে সেখানে বিপদে পরবেন । অতিরিক্ত ভারতপ্রীতি-পাকিস্তানপ্রীতি বা ভারত-পাকিস্তান বিরোধিতার কারনে বাংলাদেশের অস্তিত্ব অনেক সময়ই এমনভাবে কমে যায় যে, যুক্তি দিয়ে বুঝাতে হয় ।
ভারত-পাকিস্তানের মতো দীর্ঘসূত্রিতাময় প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে সাম্প্রতিক একটা বিষয় নিয়ে কথা বলি একটু । অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যে কয়েকদিন আগে খেলায়, এমন একটা পরিস্থিতি ছিল যে, অস্ট্রেলিয়া হেরে গেলে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠে যাবে । তাই স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে সবাই ইংল্যান্ডকে সাপোর্ট করেছে, যেন ইংল্যান্ড জিতে যায় । যদিও সাপোর্ট করা বা না করায় ইংল্যান্ডের কিছু যায় আসে না, ইংল্যান্ড তাদের নিজেদের সেমিফাইনালে নিয়ে যাওয়ার জন্য খেলেছে । বাংলাদেশ উঠবে কিনা সেটার জন্য তারা চিন্তা করে নাই । তাদের নিজেদের স্বার্থের কারনে তারা খেলেছে । এখানে আমাদের ভালমন্দের চিন্তা নিয়ে তারা কিছু করে নাই, । আচ্ছা, এগুলো বললাম, ইংল্যান্ডকে যদি আমরা শুধুমাত্র একটা দেশ হিসেবে চিন্তা করি, তাহলে সাপোর্ট করা যেতেই পারে । কিন্তু কিছু লোক এমনভাবে সাপোর্ট করেছে যেটা চিন্তার বিষয় । ইংল্যান্ডের সাথে আমাদের অনেক হিসাব-নিকাশ আছে । এই দেশটার মানুষ আমাদের দেশে আসছিল ব্যবসা করতে, এসে তাদের এত ভালো লেগে যায় যে, এখানকার মায়া কাটাতে না পেরে, এই দেশটাকে ১৯০ বছর ধরে ধর্ষণ করে গেছে ।
.
.
সিরাজ-উদ-দৌলা নিজের জীবন দিয়েও মীরজাফরের মত বিশ্বাসঘাতকের জন্য এদেশকে রক্ষা করতে পারে নাই । দেশের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছিল সেটা চিন্তা করার আগে যদি শুধু সিরাজের কথাই চিন্তা করি, তাকে যখন রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, লর্ড ক্লাইভের কথায় ক্ষমা চাওয়ার দরকার নাই, রাস্তার দুইপাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাঙালিরা যদি একটা করে ঢিলও মারত, ইংরেজদের অস্তিত্ব থাকতো না । সিরাজকে মেরেও ফেলেছে এই বাঙালিই, মীরজাফরের পুত্র মিরান । তারপর বাকিটা ইতিহাস, কত আন্দোলন সংগ্রাম করে ইংরেজদের থেকে বাচলাম । কিন্তু সামান্য একটা ম্যাচে কিছু মানুষ মজা-ফাজলামো করেই লিখুক আর যেভাবেই লিখুক, ইংল্যান্ডকে এইভাবে সাপোর্ট করা কতখানি যুক্তিযুক্ত । ফেসবুকের স্ট্যাটাসের ভাষাগুলো দেখে অবাক হয়েছি, “ স্বজ্ঞানে আজ মীরজাফর হয়ে গেলাম”, ক্লাইভ-সিরাজ ভাই ভাই”, “আবার বৃট্রিশ শাসন চাই”, খেলোয়ারদের নিজেদের ক্রাশ হিসেবে বলা, ইত্যাদি ইত্যাদি... তাহলে ১৯০ বছর এত শোষণ করেও যদি এতো ভালবাসা পায়, আমাদের পূর্ব পুরুষের সাথে কি আমরা বেঈমানি করলাম না ? ক্ষুদিরাম, তিতুমীর, তাদের এতো রক্ত এত আত্মত্যাগ কি বৃথা গেল না ? যারা সাপোর্ট করছেন, করুন, কিন্তু নিজেদের বাপদাদাদের সম্মানটুকু রাখুন অন্তত । উদার হইতে চাইলে হোন, কিন্তু পুরো দেশকে নিয়ে কেন ? বাংলাদেশের মাটি, পানি, বাতাস কি কখন সেই আর্তনাদকে, সেই অত্যাচারকে ভুলতে পারবে ? মীরজাফর তো সিংহাসনের লোভে ইংরেজদের সাহায্য করেছে, আমরা তো একটা ম্যাচের জন্য, নিজেকে, জাতিকে মীরজাফর বলে ঘোষণা দিচ্ছি । বলে আবার উল্লাসও করছি । যেখানে প্রত্যক্ষভাবে ইংল্যান্ডের সাহায্যের কোন প্রয়োজনই ছিল না, অস্ট্রেলিয়া খারাপ খেললে এমনিতেই আমরা সেমিফাইনালে উঠে জেতাম, তাই না ?
.
.
কি ? জিনিসটাকে এতো বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি কেন ? আরো একটু ক্লিয়ার করতেছি, আমরা অতীতকে খুব দ্রুত ভুলে যাইতো, তাই একটু নিকট অতীতে আসতেছি, যদি ম্যাচটা ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মাঝে না হয়ে, পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে হতো । তখন কি করতাম আমরা ? স্ট্যাটাসের ভাষাগুলো তখন কি হতো ? পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলতাম ? নিজেকে রাজাকার বলতাম ? মুজিব-ইয়াহিয়া ভাই ভাই বলতাম ? ১৯৫২, ১৯৭১ এর কথা ভুলে যেতাম ? ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ ধর্ষণ এর কথা ভুলে যেতাম ? হয়তো যেতাম না, তাই স্ট্যাটাসগুলো হয়তো সেইভাবে আসতো না । কিন্তু ইংরেজদের খুন-ধর্ষণ যেভাবে আমরা ভুলে গিয়ে ৭০ বছর পরে ২০১৭ সালে তাদের ভালবেসে স্ট্যাটাস দিতে পেরেছি, এমনিকি পলাশী যুদ্ধ উল্লেখ করে । সেভাবে হয়তো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৭০ বছর পরে ২০৪১ সালে এখানকার মানুষ ঠিক পাকিস্তানের জন্য এই স্ট্যাটাসগুলোই দিবে । তখন সেটাকে খুব স্বাভাবিক ভাবেই নিবে এখানকার মানুষ । সিরাজকে যেমন ইংরেজরা মারে নাই, মুজিবকেও কিন্তু পাকিস্তানিরা মারে নাই, মেরেছে বাঙালিরাই । ইতিহাসের কিন্তু পুনরাবৃত্তি হয়েছে, হচ্ছে, হবে । তাহলে ৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের মূল্য কই থাকবে ? আমাদের এত আবেগের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের সন্তানরাই ব্যঙ্গ করে কথা বলবে ? আমরা কি চাই একই ভুল বারবার করতে ? ভবিষ্যতে নিজেদের অপমান থেকে বাচাতে চাই ?
.
.
.
আমাদের বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে একটা বিষয় দেখা যায়, সেটা হলো এখানে যাকেই সাপোর্ট করে তার ভাল-মন্দ সবকিছুই অন্ধভাবে সাপোর্ট করে । ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার চেয়ে ভারত-পাকিস্তানের সাপোর্টারদের দিয়ে উদাহরণ্টা দিলে বুঝতে সুবিধা হবে । যেকোন কারনেই হোক, পাক-ভারত ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশের মোটামুটি ৩০-৪০% মানুষ পাকিস্তান এবং ৩০-৪০% মানুষ ভারতকে সাপোর্ট করে । বলাবাহুল্য ক্রিকেটকে ভালবেসেই সাপোর্ট করে । কিন্তু ব্যতিক্রমী কিছু সাপোর্টার ছাড়া, সাপোর্ট করতে গিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ একটা বিষয় লক্ষ্য করা যায় ।
.
.
পাকিস্তান ক্রিকেটপ্রেমীরা পাকিস্তানের খেলা ও খেলোয়ারদের ভালবাসা দেখানোর পর মূলত ভারত বিরোধী অবস্থান নেয়, মানে ভারতকে কেন সাপোর্ট করা যাবে না, প্রথমে তাদের খেলা ভাল না, তারপর আস্তে আস্তে আসে ফেলানি হত্যা, ফারাক্কা, তিস্তা, বাণিজ্য বৈষম্য, অর্থনৈতিক শোষণ, ভুমিদখল ইত্যাদি ইত্যাদি নানা জিনিস তুলে ধরে বুঝিয়ে দেয় যে ভারতকে কোন ভাবেই সাপোর্ট করা যাবে না । যারা জেনে বুঝেও এর পরে ভারত সাপোর্ট করে তারা ভারতের দালাল । মালাউনদের পা চাটা কুত্তা । এরপর ধর্মের ব্যপারটাও টেনে নিয়ে আসে । বাংলাদেশের হিন্দুরা ভারত সাপোর্ট করবে এটা মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু যেসব মুসলমান হয়ে ভারত সাপোর্ট করে তারা মুসলমানই না । ভারত বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছিল তাদের নিজেদের জন্য, দুই পাশে পাকিস্তান থাকলে তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তারা মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পরে । শুরু হয়েছিল এই বলে যে, খেলাকে ভালবেসে পাকিস্তান সাপোর্ট করে, সেখান থেকে ধীরে ধীরে পুরো ভারত বিরোধী অবস্থান । অনেক অতি উৎসাহী আবার খেলা দেখতে দেখতে নিজেকে পাকিস্তানী ভেবে পাকিস্তান জিন্দাবাদ ধবনি দিয়ে ফেলেন, ভুলেই যান যে তিনি করতেছেন, কেউ কেউ আবার বলেন যে এখনও পাকিস্তান ভেঙে না গেলে অনেক ভাল হইত । তাদের অনেকেই মনে করে, অতীতে যাই হয়েছে, সেটাকে তখনকার জিনিস মনে করে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে সুসম্পর্ক গরে তোলা উচিত । আমরা তাদের “পাক-ফ্যান”, ডাক্তারী কাটাকুটির জিনিস ব্যবহার করি, মুসলমান-মুসলমান ভাই-ভাই ইত্যাদি দিয়ে নিজেদের পাকিস্তানপ্রীতি ও ভারতবিরোধীতার যুক্তি দাড় করায় ।
.
.
অন্যদিকে যারা ভারতীয় ক্রিকেটের সাপোর্ট করে, তারাও ক্রিকেট খেলাকে ভালবাসতে গিয়ে, শেষে এসে পাকিস্তান বিরোধীতা শুরু করে । কেন পাকিস্তান সাপোর্ট করা যাবে না । পাকিস্তানীরা ভাষা কেড়ে নিয়ে গিয়েছিল, আমাদের ক্ষমতা দেয় নাই, নির্বাচন মানে নাই, ২৩ বছর শোষণ করেছে, সামাজিক-অর্থনৈতিকভাবে বৈষম্য করেছে, গণহত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে, মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ৩০ লক্ষ মানুষকে মেরে ফেলেছে । যে দেশটা এত কিছু করল, সেই দেশকে কিভাবে সাপোর্ট করা যায় । যারা সাপোর্ট করে তারা রাজাকার, বাপ-দাদা চৌদ্দ গুষ্টি রাজাকার, ইত্যাদি ইত্যাদি নানা যুক্তি দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা থেকে পাকিস্তানবিরোধী হয়ে যায় । এদের মাঝেও কিছু অতিউৎসাহী আছে, যারা নিজেদের ভারতীয়দের সাথে মেলাতে চান, যারা মনে করে বাংলাদেশ ভারতের প্রদেশ হলে ভাল হইতো । যারা মডারেট তারা মনে করে, ভারতের সাথে বড় কোন ঝামেলা নেই, যাও আছে মিটিয়ে ফেলা উচিত । তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে, প্রান দিয়েছে, সুতরাং তাদেরকে অবিশ্বাস করার কিছু নাই । ভারত-বাংলাদেশের মানুষ একই সংস্কৃতির । দুদেশেই বাঙালি আছে ইত্যাদি যুক্তি তারা দিয়ে থাকে ।
.
.
সমস্যাটা হয় যারা রাজনৈতিক দিক বিবেচনা থেকে সাপোর্ট করে না তাদেরকে নিয়ে । পাকিস্তান-ভারতের ক্রিকেট খেলা না হয়ে যখন kঅন্যদলের সাথে এই দুইদেশের খেলা হয় তখনও তাদের মাঝে ভারতবিরোধীতা ও পাকিস্তানবিরোধীতা দেখা যায় । কোন খেলায় যদি ভারতকে সাপোর্ট করা হয়, পাকিস্তানী ক্রিকেট সাপোর্টাররা তাদের যুক্তি দিতে থাকে । সাপোর্টারদের ভারতের দালাল বা ভাদা, মালাউন, নব্য রাজাকার ইত্যাদি উপাধি দিয়ে থাকে । অন্যদিকে কোন খেলায় যদি পাকিস্তানকে সাপোর্ট করা হয়, ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা তাদের যুক্তি দিতে থাকে । রাজাকার, আলবদর, পাকিস্তানীদের বংশধর , যুদ্ধশিশু, মৌলবাদি ইত্যাদি উপাধি দিয়ে থাকে । তারপর ঝগড়া শুরু হয় , গালাগালি হাতাহাতি, ব্যক্তিগত সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলে । নিজেদের আত্মপরিচয় ভুলে গিয়ে ভারত-পাকিস্তানের জন্য লড়াই করতে থাকে পরস্পরের বিরোধিতা করতে গিয়ে ।
.
.
এখন আমরা যদি নিরপেক্ষভাবে দুপক্ষের কথা ভাবি, তাহলে দেখব যে, কেন ভারত এবং পাকিস্তান দেশকে সাপোর্ট করা যাবে কিংবা কেন সাপোর্ট করা যাবে না, সেক্ষেত্রে দুইপক্ষের কথাতেই যথেষ্ট যুক্তি আছে । রাজনৈতিক দিক দিয়ে বিবেচনা করলে দেখা যাবে দুইটা দেশই আমাদের অতীতে এবং বর্তমানে অনেক ক্ষতি করেছে । কিন্তু তারা নিজেরা কেন পাকিস্তান এবং ভারতকে সাপোর্ট করছে । তাদের যুক্তি হল, খেলার মধ্যে রাজনীতি আনা যাবে না তাই আফ্রিদি বা শচীনকে লেজেন্ডারি ক্রিকেটার হিসেবে ভালবাসা থেকে পাকিস্তান-ভারতের ক্রিকেটকে ভালবাসে । খেলাকে ভালবেসে সাপোর্ট করা যেতেই পারে , এতে খারাপের কি আছে ? কিন্তু সেটা কি বেশি বেশি হয়ে যায় কিনা সেটা খেয়াল রাখতে হবে ।
.
.
আমার অনেক ভারতীয় বন্ধু আছে, যারা বিশ্বাস করে ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র কিন্তু ভারতীয় সরকার বাংলাদেশের স্বার্থ অনেক ক্ষেত্রেই নজরে আনে নাই, কারন এতে তাদের স্বার্থের ক্ষতি হয় । কিন্তু জনগণের মাঝে মিশ্রমনোভাব আছে যে, তাদের পক্ষ থেকেও অনেক গাফিলতি আছে ঠিকই কিন্তু পরিপূর্ণ বিশ্বাস করতে পারে না বাংলাদেশের মানুষের উপর । কারন এখানকার অনেক মানুষ তাদের ভাষায় উগ্র-ভারতবিরোধীতা আছে । আবার অবৈধ অভিবাসন সমস্যাও আছে । যেটা ভারতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে । তাই জনগণের দিকে খেয়াল রেখে তাদের সরকার তাদের স্বার্থটাই আগে দেখবে । এখানে আমাদের সরকারগুলোর ব্যর্থতা যে, আমরা সেই বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি নাই, আর আমাদের কুটনৈতিক দক্ষতার অভাবে ভারতের কাছ থেকে আমাদের নায্য জিনিসগুলো বুঝিয়ে নিতে পারি নাই । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাদের ধারনা, মুক্তিযোদ্ধারা অনেক দেশপ্রেমিক, আমরা যুদ্ধ করেছি । কিন্তু ভারত ছাড়া বাংলাদেশের জন্ম হত না, বাংলাদেশ পাক-ভারত যুদ্ধের বাই-প্রোডাক্ট, এটা কম বেশি সবাই মনে করে । ১৬ ডিসেম্বরকে তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিজয় দিবস হিসেবেও পালন করে ।
.
.
অন্যদিকে পাকিস্তানি কিছু বন্ধুদের কথা ছিল কিছুটা এমনই । তাদেরও মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে আমাদের নিয়ে । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি ছিল । মিডিয়ার স্বাধীনতা না থাকায় পূর্ব পাকিস্তানে কি হচ্ছে, অনেকাংশেই পশিম পাকিস্তানীরা জানত না । তার উপর সরকারি প্রোপাগান্ডা তাদেরকে বাঙালি বিদ্বেষী করে তুলেছিল ধীরে ধীরে । তারপর হঠাত জানলো একদিন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেছে । পরবর্তীতে তাদের মনোভাব হচ্ছে, ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য দায়ী বা জোড় করে করেছে । তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইতিহাস বইয়ে পাকিস্তান গঠনে বাঙালিদের ভুমিকার কথা বলা হয়, কিন্তু শাসকগোস্টির দ্বারা কিভাবে শোষিত হয়ে ২৩ বছরে সেইসব কিছুই লেখা নাই । তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তাদের ভাষায়, ভোগাস বা ভারতের ষড়যন্ত্রই মনে হয় । সেইগুলি নিয়ে তারা ঠাট্টামশকরা করার সাথে সাথে কষ্টও পেয়ে থাকে যে তারা ভারতের কাছে হেরে গেছে । আমরা আমাদের দেশে তাদের সম্পর্কে যত কথাই বলি না কেন, তাদের ধারনা ভারতীয়দের মতই, যে, যুদ্ধটা আসলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে হয়েছিল । আর বর্তমান পাকিস্তানীদের কাছে বাংলাদেশ একটা সম্ভাবনাময় দেশ, অনেকেই এখন আসল ইতিহাস ঘেটে কি হয়েছিল ১৯৭১ সালে জানার পর লজ্জাবোধ করে । কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে তাদের ভাষ্য হলো, যেহেতু অধিকাংশ পাকিস্তানী মনে করে তাদের কোন দোষ ছিল না, তাই সরকার যদি ক্ষমা চায়, বাংলাদেশের মানুষ খুশি হলেও, সেই সরকার তাদের নিজেদের জনগনের বিরুদ্ধে চলে যাবে, সরকার চাইয় না জনগনের রোষানলে পড়ুক ।
.
.
.
এখন আসি আমাদের নিয়ে । আমরা কেন নিজের খেয়ে বনে মোষ তাড়াতে ব্যস্ত বা কেন নিজেদেরকে এতো বেশি ভারতঘেষা বা পাকিস্তানঘেষা ভাবি ? কেনই বা এত বিরোধিতা করি ? কারন আমরা একপক্ষ থেকে চিন্তা করি, অন্যপক্ষ থেকে চিন্তা করি না, ধরেইনিই যে, আমরাই ঠিক, বাকিরা ভুল । আমরা নিজেরা কি ঠিক আছি বা ছিলাম ? তাদের নিয়ে ঝগড়া করে কি আমরা বুঝিয়ে দিচ্ছি না যে, আমরা তাদের নিয়ে কত ভাবনা চিন্তা করি ? কত সময় ব্যয় করি তাদের ভেবে ভেবে ?
.
.
ভারতের বিরুদ্ধে আমাদের অনেক অভিযোগ আছে, আমাদের সংস্কৃতিকে নষ্ট করতেছে, নাকি আমরা তাদের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছি ? হিন্দি গান, মুভি, আইপিএল ছাড়া কি আমরা থাকতে পারতেছি ? আমরা কি একই জিনিস করছি না কারোর সাথে ? আদিবাসিদের বাঙালি হিসেবে কি আমরা ভাবছি না ? তাদেরও তো আলাদা ভাষা আছে, ধর্ম আছে । তাদের সংস্কৃতিকে কি আমরা গ্রাস করছি না ? আমরা কি ভারতের হাজার হাজার পণ্য ব্যবহার করতেছি না ? আমরা নিজেদেরকে বিশ্বের সামনে এখনও ঐভাবে উপস্থাপন করতে পারি নাই যে, আমাদেরটা তারা অনুসরণ করবে । ভারত সেই পর্যায়ে উঠে গেছে, আমরাও নিজেদের কন্ট্রোল করতে না পেরে তাদেরটা অনুসরণ করতেছি, তাদেরটা বর্জন করতে পারছি না । দোষটা কাদের ? আমাদের । এখানে তো ভারতের বিরোধীতার কিছু নাই । ভারত আমাদের সাহায্য করেছিল কেন ? অবশ্যই তাদের স্বার্থ ছিল । আমরা যেমন তাদের সাহায্য নিয়েছিলাম আমাদের স্বার্থের জন্য । সেজন্য তাদেরকে বেশি বেশি ভালবাসারও কোন কারন নাই আলাদা ভাবে, যেমন ভাবে ইংল্যান্ড ম্যাচ জেতার জন্য আমাদের এক্সট্রা ভালবাসা পেতে পারে না । আবার, কথায় কথায় ভারতকে গালি দেওয়ার অধিকারও নাই আমাদের । মালাউন, নেংটি, হিন্দুদের দেশ হিন্দুস্তান ইত্যাদি হিংসাত্বক কথা বলে প্রতিবেশিসুলভ সম্পর্ক নষ্ট করার কোন মানে হয় না । মাঝে মাঝে আমাদের যখন তারা নানা কটু কথা বলে, ভেবে দেখতে হবে, আমরা তাদের কেমন চোখে দেখি আর কেমন করে কথা বলি । সেইসব শোনার পরে তারাও স্বাভাবিকভাবেই পালটা উসকানিমূলক নেতিবাচক কথা বলবেই । আমরা সেগুলি থেকে বিরত থাকলে তারাও সেইগুলো করবে না ।
.
.
পাকিস্তানের ক্ষেত্রে বলা যায়, ভারতের চেয়ে দেনা পাওনা অনেক বেশি, ইংল্যান্ডের মত । আমাদের কখনই ভাবা উচিত না, আমাদের দেশ পাকিস্তান থাকলে ভাল হইত বা বিপরীতে পাকিস্তানীরা অনেক বেশি খারাপ । নেগেটিভ পজিটিভ দুই ব্যাপারই আছে তাদের মাঝেও, যেমনটা আমাদের মাঝেও আছে । আবারো আদিবাসীদের উদাহরণ নিয়ে আসি, পার্বত্য শান্তিচুক্তির আগে আমরা তাদের সাথে কি ব্যবহার করেছি, সেটা কি পাকিস্তানীদের থেকে আলাদা কিছু ছিল নাকি তাদের কাছ থেকে আমরা শিক্ষা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রয়োগ করেছি । জন্মলগ্ন থেকে পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্টতা থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতা বাঙালিদের হাতে না থাকাটা আমাদের বোকামির ফসল । কোন দেশ নাই যেখানে সংখ্যাগরিষ্ট জনগন যুদ্ধ করে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য, সবদেশেই দেখেছি, সংখ্যালঘুরা অধিকার আদায়ের আন্দোলন করছে । মুক্তিযুদ্ধ তো তাদের করার কথা ছিল আজ । বৃটিশ শাসন থেকে মুক্তি পেয়ে ততকালীন নেতাদের কান্ডজ্ঞানহীনতার কারনেই ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তানে যায়, আর সেটা নিয়ে তারা নিজেদের কাছে রাখতে চাইছে আর আমাদেরকে শোষন করার সুযোগ পাইছে । দোষ বা ভুল, তাদের থেকে আমাদেরই বেশি । এইসব বিষয় বিবেচনা করে হয়তো সাপোর্ট কেউ সাপোর্ট করবে বা কেউ করবে না, সেটা তাদের বিষয় । কিন্তু পাকিস্তানকে গালি দেওয়ার তো কিছু না । আমরা যখন পাকিস্তানকে ফাকিস্তান বলছি, বা আরো নেগেটিভ শব্দ ব্যবহার করছি, ভেবে দেখছি কি যে একটা দেশকে আমরা অপমান করতেছি । তারা যখন এই জিনিসগুলো শুনবে তারা কি ভাববে ? আর উত্তরে আমাদের কি বলবে ? হচ্ছেও সেটাই । বাংলাদেশও গালি খাচ্ছে তাদের কাছে । আমরা কি পরোক্ষভাবে গালি খাওয়ার কাজটাই করছি না ?
.
.
.
বিরোধিতা করি বা না করি, আমাদের মনে রাখতে হবে, দক্ষিন এশিয়ার এই তিনটি দেশই হাজার হাজার বছর ধরে একটা দেশই ছিল । আমাদের জাতিসত্ত্বা, মানসিকতাও একই গোছের । মাঝে বৃটিশরা না আসলে হয়তো আমরা এক দেশই থাকতাম । তখন হয়তো এই তিনদেশের মাটির প্রতিই আমাদের ভালবাসা সমান ভাবেই থাকতো । তিনদেশের সীমানাও প্রকৃতি ঠিক করে দেয় নি, দিয়েছে বৃটিশরা । অন্যের ঠিক করে দেওয়া ম্যাপ দেখেই আমরা নিজেদের মধ্যে বিভেদ আনতে পারি না । তাই গালাগালি দিয়ে নিজেদের পূর্বপুরুষদের অপমান করতেছি আমরা । সেই সাথে প্রতিবেশি সুলভ সম্পর্ক নষ্ট করতেছি । মানুষ পরিবেশি হলে, অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যাইতো, কিন্তু মাটিকে তো আর অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে না । যতদিন ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ আছে, এক সাথেই থাকতে হবে । নিজেদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি, জেদাজেদি, রেষারেষি যেটাই করেছি, মনে রাখতে হবে, এক হাতে কখনই তালি বাজে নাই । যেহেতু একসাথেই থাকতে হবে, সেহেতু সব ঝামেলা মিটিয়ে কিভাবে নিজেদের উন্নতি করা যায়, স্বার্থ রক্ষা করা যায় সেটা ভাবতে হবে, সেই অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে । আরে ভাই, ইউরোপের দিকে দেখেন, দুইটা বিশ্বযুদ্ধ করেছে, হিংসা-বিদ্বেষ-ঘৃণা কম ছিল না তাদের মাঝে । তারপরও এখন দেখেন সব চেপে গিয়ে কেমন উন্নতি করতেছে এক সাথে কাজ করে । আর সেখানে আমরা আছি ভারত-পাকিস্তান নিয়ে, একজন আরেকজনকে সহ্যই করতে পারছি না, সহযোগিতা তো দুরের কথা । আমরা এখনও সত্যি সত্যি মানসিকতার দিক থেকেও অনেক পিছিয়েই আছি ইউরোপের থেকে । তাই উন্নতির চাকা ধীর গতিতেই চলছে ।
.
.
আর ভারত-পাকিস্তানের কথা বাদ দিলাম, আমরা তাদের বিরোধিতা করতে গিয়ে তো নিজেদেরকেই অপমান করতেছি বারবার । বলতেছি বাঙালি খারাপ, এটা সেটা বলে পরস্পরকে গালাগালি করছি । বলতেছি যে, বাঙালি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ, বোকা, হারামী, নিকৃষ্ট জাতি ইত্যাদি ইত্যাদি । কিন্তু এইগুলো কি আমার নিজের দেশকেই গালি দিচ্ছি না ? দেশের মানুষকেই গালি দিচ্ছি না ? মানে নিজেকেই গালি দিচ্ছি না ? আমি আপনাকে বলছি, “তুই বাঙালি দেখেই তুই হারামিগিরি করছিস” আবার আপনিও আমাকে বলছেন, “তুই বাঙালি দেখেই তুই হারামিগিরি করছিস” । মানে তো দুইজনই হারামি হয়ে হারামিগিরি করতেছি । আর ফেসবুক তো আছেই, ওপেনে গালাগালি, স্ট্যাটাস, ব্লকিং । আমরা দুইজনেই রাগের মাথায় আছি দেখে বুঝতে পারছি না, কিন্তু আশে পাশের অন্য সবাই কিন্তু ব্যাপারটাতে মজাই পাচ্ছে, পিনিক নিচ্ছে । এভাবে কি বাংলাদেশকে আমরা অন্যদেশগুলোর কাছে হাস্যকর একটা জাতিতে পরিণত করছু না ? আমাদের জাতি মিশ্র জাতি । আমরা সবসময় চিন্তা করি যে, তাই আমাদের মধ্যে এত অমিল । আমরা কেন চিন্তা করি না যে, আমাদের মধ্যে বৈশিষ্ট্যও বেশি আছে, বুদ্ধিমত্তা বেশি থাকার সম্ভাবনাও আছে অন্য এক বৈশিষ্ট্যের জাতি গুলোর থেকে ।
.
.
নিজেদেরকে আর ছোট না করে, পরস্পরকে সম্মান করার মানসিকতা গড়ে তোলাটাই আগে জরুরী । না হলে ঝগড়া করে তালগাছ নিজের করে নিলেও সেই গাছে তাল কিন্তু ধরবে না । মানে জেতা গেলেও মানুষের ভালবাসা পাওয়া যাবে না । তাদের বিরোধীতা করে কি আমাদের দেশপ্রেমের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে ? ভারত-পাকিস্তানের জন্য কেন আমরা নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করবো ? ভাই ভাই সম্পর্ককে নষ্ট করবো ? যদি তাদের খেলা আমাদের ভালো লাগেই তাহলে, সাপোর্ট করবো । তবে অতিউৎসাহী হয়ে কিছু করতে যাবো না যেটা আমাদের নিজস্ব জাতিসত্ত্বাকে নষ্ট করে বা আবেগকে অপমান করে । আবার পাকিস্তানের ম্যাচ ফিক্সিং বা ভারতকে যদি আইসিসি মনে করে যদি তাদের খেলা ভাল না লাগে, তাহলে সাপোর্ট করবো না । কিন্তু এর বেশি যুক্তি দিতে গিয়ে ক্রিকেটের মত ভালবাসার জিনিসকে তিতা করার সাথে সাথে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ককেও তিতা করার কোন মানে হয় না ।
.
.
আর সর্বশেষ কথা, বাংলাদেশ এখন ক্রিকেট বিশ্বে এমন এক শক্তি, যে ভারত-পাকিস্তানের মতো দ্বিতীয় অপশনের কথা চিন্তা না করলেও হবে আমাদের ।
হ্যাপি ক্রিকেটিং...
১৩ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০১
অরণ্য সাদেকুর রহমান বলেছেন: এই পোস্টটা ২০% মানুষের কাছে ভাল লাগবে যে, পাক-ভারত বাদ দিয়ে
২| ১৩ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " এই পোস্টটা ২০% মানুষের কাছে ভাল লাগবে যে, পাক-ভারত বাদ দিয়ে "
-ভালো, ঐ ২০% ভালো থাকুক, বিসিএস পাশ করে চাকুরী পাক।
১৩ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩
অরণ্য সাদেকুর রহমান বলেছেন: হা হা হা. পেয়ে যাক তাহলে
৩| ১৩ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩
জাহাঙ্গীর হোসেন সজল বলেছেন: পড়ে খুবই ভালো লাগল
৪| ১৩ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫
ছাসা ডোনার বলেছেন: সত্য কথা লিখেছেন , কার গোয়াল কে দেয় ধোঁয়া?
৫| ১৩ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিজেদেরকে আর ছোট না করে, পরস্পরকে সম্মান করার মানসিকতা গড়ে তোলাটাই আগে জরুরী । না হলে ঝগড়া করে তালগাছ নিজের করে নিলেও সেই গাছে তাল কিন্তু ধরবে না । মানে জেতা গেলেও মানুষের ভালবাসা পাওয়া যাবে না । তাদের বিরোধীতা করে কি আমাদের দেশপ্রেমের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে ? ভারত-পাকিস্তানের জন্য কেন আমরা নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করবো ? ভাই ভাই সম্পর্ককে নষ্ট করবো ? যদি তাদের খেলা আমাদের ভালো লাগেই তাহলে, সাপোর্ট করবো । তবে অতিউৎসাহী হয়ে কিছু করতে যাবো না যেটা আমাদের নিজস্ব জাতিসত্ত্বাকে নষ্ট করে বা আবেগকে অপমান করে । আবার পাকিস্তানের ম্যাচ ফিক্সিং বা ভারতকে যদি আইসিসি মনে করে যদি তাদের খেলা ভাল না লাগে, তাহলে সাপোর্ট করবো না । কিন্তু এর বেশি যুক্তি দিতে গিয়ে ক্রিকেটের মত ভালবাসার জিনিসকে তিতা করার সাথে সাথে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ককেও তিতা করার কোন মানে হয় না ।
.
.
আর সর্বশেষ কথা, বাংলাদেশ এখন ক্রিকেট বিশ্বে এমন এক শক্তি, যে ভারত-পাকিস্তানের মতো দ্বিতীয় অপশনের কথা চিন্তা না করলেও হবে আমাদের ।
হ্যাপি ক্রিকেটিং...
+++++++++++
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেক সময় নিয়ে, বড় করে, একটা অপ্রয়োজনীয় পোস্ট লিখেছেন, দরকারী কিছু না।