নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অসূর্যস্পর্শী

অসূর্যস্পর্শী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি বোরখা পরতে ভয় পাই...

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:১৯

ইসলামের কোন কিছুতেই নাকি কোন ভুল নেই- একথাটি ছোট বেলা থেকে শুনে এসেছি - যদিও আশেপাশের মানুষগুলোকে কখনোই সেভাবে মেনে চলতে দেখিনি।



মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে খুব কম-ই এমন দেখার সুযোগ ভাগ্যে জুটেছে যারা সত্যিকার নিষ্ঠাবান মুসলমান। আমার সারা স্কুলের মাত্র হাতে গোনা কয়েক জন মেয়ে পরত বোরখা, তাও তাদের নিয়ে পিছনে আলোচনা হত - সেইসব আলোচনার বিষয়বস্তু যে ভালো নয় তা তো বলাই বাহুল্য। বোরখার পিছনেই নাকি সব খারাপ জঘন্য মেয়েগুলা লুকিয়ে থাকে, বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে কমেন্ট ছোঁড়ায় আমিও তখন পিছিয়ে থাকতাম নাহ।



হঠাৎ ইংল্যান্ডে এলাম। লন্ডনের স্কুলে লেখাপড়া করতে গিয়ে দেখি অনেক মুসলিম মেয়েই স্কার্ফ পরে - তবে পর্দার সীমানা ব্যাস ওই পর্যন্তই, মা-বাপের জোরাজুরিতে পরা, বেশিরভাগের-ই জামা-কাপড়ের ঠিক নেই - টাইট ফিটিং পোশাকের সাথে উগ্র আচরণের মেয়েদের আংশিক পর্দা করা দেখে ঠিক করলামঃ 'জীবনে আর যাই-ই করি, স্কার্ফ আমি অন্তত পরব না'।



তবে মানুষ যা বলে তা সবসময় করতে পারে না, আমিও খুব সহজেই ধরা খেলাম। আমার বন্ধু নির্বাচনে কোনকালেই বাছ-বিচার ছিল না - ''ধর্ম'' বিচারের তো প্রশ্নই আসেনা - আস্তিক, নাস্তিক, এ্যাগনস্টিক, খৃস্টান, মুসলমান সব ধরনের বন্ধু জুটে গেল। কিন্তু সমস্যাটা হল সেখানেই; কথায় আছে 'খালি কলসি বাজে বেশি', ধর্ম নিয়ে যেই আমি কোনকালেও সেরকম ভাবি নাই, সেই আমি কিনা মুখভরে গর্ব করে আমার বিধর্মী বন্ধুদের বলতে লাগলাম ইসলামের শ্রেষ্ঠতার কথা! যদি বা কোনভাবে কাউকে মুসলিম বানানো যায় - এই সুযোগ তো হাতছাড়া করা যায় না! তবে ওদের প্রশ্নগুলো খুব-ই অদ্ভুত- অনেকে আবার এও জিজ্ঞেস করত - 'তুমি নিজেই যদি জান ইসলাম এত ভাল তাহলে তুমি কেন অন্য মুসলমান মেয়েদের মত স্কার্ফ পর না?' মূলত পোশাকগত তফাৎটাই ওদের চোখে বেশি ধরা পড়ত।



সেবার-ই প্রথমবারের মত টের পেলাম আমি আমার ধর্ম বিশ্বাসে কতখানি দুর্বল - অবিশ্বাসী মানুষের প্রশ্ন আমাকে নাজেহাল করে দিল, আমার এক মামাতো 'practising' কাজিনের সাথেও এই বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করলাম অতি উৎসাহের সাথে। নেট থেকে ইসলাম বিষয়ক নানা আর্টিকেল, বই পড়ার ধুম পড়ল - হঠাৎ অবাক হয়ে আবিষ্কার করলাম আসলেই ইসলাম যা বলছে তা যুক্তিসঙ্গত, শালীন এবং মার্জিত। সেখানে কোন প্রশ্নের অবকাশ নেই। এবং মেনে চলতে পারলে অবশ্যই ভাল বৈ মন্দ নয়।



সামার হলিডে চলছিল, অতি আগ্রহে রাতারাতি স্কার্ফ ধরলাম, হাতাঅলা পোশাক - খারাপ লাগছিল না, জেনেবুঝে কিছু ভাল করার আনন্দটাই আলাদা। বাবা-মা কে বিতর্কের মত করে জবাব দিচ্ছিলাম 'যদি জানো ইসলামের সবটাই ভাল, তাহলে করব না কেন?' আমার আগ্রহের জোয়ারে তারা তখন কিছুই বলতে পারেননি, যদিও মনে করছিলেন যে বড্ড বেশি তাড়াহুড়ো হয়ে যাচ্ছে। তবে আমার কাছে ব্যাপারটি তাড়াহুড়ো মোটেও ছিল না, ইসলামের দৃষ্টিতে দেখলে আমার বয়সী মেয়ের উপর পর্দা ফরয।



বেশ কন্টিনিউ করতে লাগলাম, স্কুল খুললো, আমাকে দেখে এখানকার মানুষের রিঅ্যাকশন ছিল - হয় 'নির্বিকার' অথবা 'বাহ তোমাকে তো খুব অন্যরকম লাগছে'। বছর ঘুরল, পর্দা করতে আমার কক্ষনোই অসুবিধা হয়নি। রাস্তার বোরখা পরা নিকাব পরা মেয়েদের(যারা সত্যিকার-ই ইসলামের পথে আন্তরিকভাবে চলেন/ চলার চেষ্টা করেন) দেখে সম্মানে এবং প্রশংসায় আমার অন্তর ভরে যেত! মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতাম আর ভাবতাম আমিও কি কখনও পারব এরকম সুন্দরভাবে পারফেক্ট পর্দা করতে!? তবে হ্যাঁ, আল্লাহ পাক আবারও আমাকে তোঔফিক দিলেন! অতি শীঘ্রই আমি বোরখা পরা শুরু করলাম, এবারে স্কুলে যেয়ে সুন্দর সুন্দর কম্পলিমেন্ট- 'মাশাআল্লাহ, তোমাকে তো বুরকায় খুব মানাচ্ছে', আমার নিজেরই নিজেকে আয়নায় দেখে মনে হল যেন আমাকে পর্দা করার মত করেই তৈরি করা হয়েছে!



এপর্যন্ত তো সব ভালোই ছিল, তবে এ তো গেল 'মডার্ন পাশ্চাত্য সমাজ'-এর কথা, চলুন এবার বাংলাদেশে ফিরে যাই...।

দু-তিন বছর বাংলাদেশে যাই না, আমার পুরোন বন্ধু সমাজ 'নতুন আমাকে' দেখতে অভ্যস্ত নয়, এমনকি তারা ইসলামের কথা শুনতেও প্রস্তুত না।



ফেইসবুক, প্রেম-পীরিতি, আধুনিক গান-বাজনা, নিজেদের ব্যান্ডের উদ্বোধন, গিটার এ কে কোন বিদেশী গানের সুর তুলতে পারে, wcg গেমসের খবর, কার গার্ল ফ্রেন্ড- বয় ফ্রেন্ড আছে, কে ট্রীট দিবে - এইসব নিয়ে তারা সারাদিন ব্যাস্ত থাকে... আমি খুলব না খুলব না করেও ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে তথাকথিত 'মুসলিম সমাজ'-এর বাসিন্দাদের ছবি দেখে এবং কিছু কমেন্ট পড়ে হতবাক হয়ে যাই! কী ছিল এরা আর এখন কী হয়েছে! বুঝতে পারি না এদেরকে কি বলব আমার কথা নাকি বলবা না? শেষ পর্যন্ত না বলার সিদ্ধান্ত নেই। দুই-একজন খুব-ই ক্লোজ সমমন-মানসিকতার মানুষ পেলে কিছু হয়তো বলি - বেশি বলতেও ভয় হয়- যদি ফ্রেন্ডশিপ হারাই! তারপর-ও কিছু মানুষ যখন জেনে যায়--- তাদের আক্রমনাত্মক ভঙ্গি, মুখে ব্যাঙ্গের প্রকাশ্য চিহ্ন। যাদের সাথে আমি এতদিন ফ্রি ভাবে কথা বলে আসছি, আজ হঠাৎ তারাই আমার পরিবর্তনের কথার ইঙ্গিত পেয়ে সাপের ফনার মত কথা দিয়ে ছোবল মারে।



সমবয়সী আত্মীয় ভাই-বোনদের মধ্যেও লক্ষ করলাম তারা আমার ব্যাপারটা জেনে আমাকে 'হুজুর' বলে ডাকা আরম্ভ করেছে!! আশ্চর্য, আমি বুঝি না ওদের কাছে 'হুজুর' শব্দটার ডেফিনিশন কী?



আমি কি হঠাৎ করেই আলাদা হয়ে গেলাম? যখন তারা আমাকে না দেখে কথা বলত তখন তো আমাকে আলাদা বলে মনে হয়নি? আমি তাই এখন খুব ভয়ে ভয়ে আছি বাংলাদেশে গেলে কী হবে?? আমি কি সহজভাবে ওদের সাথে মিশতে পারব? কত স্বপ্নমাখা প্ল্যান নিয়ে ফিরছি - বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারব, হয়ত দূরে কোথাও বেড়াতে যাব... কিন্তু ওরা কি আমাকে মেনে নিবে?



তাই বোরখা পরার কথা বাংলাদেশে - ভাবতেও এখন ভয় হয়! 'শুনলাম তুই নাকি নিজেরে চেঞ্জ কইরা ফালাইতেসস' ফ্রেন্ডের এধরনের উপহাস উক্তি শুনে অভিমানভরে ভাবি - কোনটা চেঞ্জ? বোরখা তো আমি তখনও পরতাম যখন এই বন্ধুর সাথে চ্যাটে কথা হত, শুধু আগে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তাম না- আর এখন পরি, এইটাই কি তাহলে চেঞ্জ?



এখন ঢাকার রাস্তায় একটা টিন এজ মেয়ে চুল খুলে, গা দেখানো কাপড়-চোপড় পরে বয়ফ্রেন্ডের হাত ধরে ঘুরে বেড়ালে অস্বাভাবিক দৃশ্য বলে মনে হয় না, তবে বিলাতফেরত টিন এজ মেয়ে বোরখা পরলে সেটা হয় খুব-ই ভয়ংকর – ভীষণ অসামাজিক- মেনে নেয়া যায় না, দুঃখে মাঝে মাঝে চোখে জল আসে... তবে আল্লাহর কাছে এই বলেই শুকরিয়া- 'ভাগ্যিস ঐ সময় আমার বাংলাদেশী শুভাকাংক্ষীদের স্মরণ ছিল না, তা নাহলে কোনদিন-ই বোরখা পরতে পারতাম না।’

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +৩০/-১১

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:২৬

সাচার বলেছেন: বানানো গল্প।

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৩৭

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: তাই নাকি? জানতাম না তো! কিছু না জেনে এভাবে নিশ্চিতভাবে মানুষ কিভাবে বলে দেখে অবাক হচ্ছি।।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:২৯

ডেইফ বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার লেখাটা।
কে কি বললে্ তা নিয়ে আপনার ভাবার দরকার নেই। আপনি আপনার মতই করুন যা আপনার করে ভালো লাগবে,মনে শান্তি পাবেন যা করে।কারন আপনি তো জানেই যে কোনটা সঠিক আর কোনটা সঠিক নয়।

লেখার জন্য ধন্যবাদ রইল, ভালো থাকবেন।

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৩৮

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: ভাবতে তো আমিও চাইনা, তবে ভাবা হয়েই যায়।।

আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৩৪

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:


লেখিকার প্রতি সন্মান রেখেই বলছি, আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা কিন্তু বোরখা-ওয়ালীদের ব্যপারে খুবই ভয়ংকর।

এদের আমি 'চিট' বা ভন্ড, ষড়যন্ত্রকারী, গৃহে বিবাদ সৃষ্টিকারী, লোক দেখানো ইবাদতকারী ( রিয়া বলে যাকে ), মিথ্যাবাদী ইত্যাদি হিসাবে দেখেছি।

আর তুরস্কে বিভিন্ন শহরে ঘোরার সময়ে দেখেছি, ওখানকার যে সব মেয়েরা মাথায় স্কার্ফ পরে, তারা টাইট পোষাক পরে। আদাব-ভব্যতার ক্ষেত্রেও একটু পিছিয়ে আছে। সে তুলনায় বে-স্কার্ফধারী মেয়েরা অনেক বেশী শালীন ও আদব-কায়দা জানে।

কোনটাকে যে ঠিক বলবেন, সেটাই প্রশ্ন।

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৪১

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: অনেকে বোধ হয় কালচার হিসেবে বা অন্যান্য কারনে পর্দা করে থাকে, সেখানে এরকম আচরণ দেখা যেতে পারে, তবে শুধু 'বোরখা পরেন যারা' তাদেরকে খারাপ চোখে দেখাটা স্টেরেওটাইপ চিন্তাভাবনা।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৩৫

মোঃ_হাসান_আরিফ বলেছেন: আপনার লেখাটি পরে সত্যিই আমার ভাল লেগেছে
আপনার পরিবর্তন ইতিবাচক
আপনি এগিয়ে জান
প্রয়োজনে মানুষ অনেক কিছুই করে
সময়ের সাথে পাল্টে যায়
মানসিকতার পরিবর্তন আসে
আমি আপনার শুভ কামনা করছি
ভাগ্যে থাকলে আপনার সাথে দেখা হবে দেশে ফিরলে
শেভেচ্ছা রইলো আপনার প্রতি

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৩৫

লালু কসাই বলেছেন: রিট দেইখা মাথা গরম হইয়া গেছে??? ডরানের কিছু নাই...আইসা পড়েন। আমরা ও আপনাকে দেখি কতটুকু পর্দা করা আপনি শিখে এসেছেন...।

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৪৩

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: রিট কি জিনিস?
আমি খুব বেশি পর্দা করা শিখে যাইনি, তবে আশা রাখি, ইনশাল্লাহ এক সময় প্রপার পর্দা করতে পারব।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৩৭

ইমরান মন্ডল বলেছেন: কষ্ট তো লাগে ওখানেই, আজ যে মুসলমান রাই মুসলমানদের বড় শত্রু

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৪৬

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: সেই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের চেষ্টাও আমাদেরই

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৪২

ঢাকাইয়া টোকাই বলেছেন: একজন বললো বানানো গল্প.......।


হতে পারে........ তবে এটা লাখ লাখ মেয়েদের জন্য সত্য গল্প

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৪৫

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: লাখ লাখের কথা জানিনা, তবে আমার লাইফের ঘটনা, একবার ভাবলাম নিচে মিথ্যা-মিথ্যা লিখে দেই 'কাল্পনিক'... কিন্তু ভয়ে ভয়ে সত্যিটা লিখেই ফেললাম।।

৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৪৫

বালক বন্ধু বলেছেন: সুন্দর। আপনার সাথে আছি।
আমার মা, বোন বোরকা পড়ে।

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৫০

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৪৬

শিক কাবাব বলেছেন: ভাত যেমন নিজের ক্ষুধার জন্য, তেমনি, ইসলামের সমস্ত আদেশ নিষেধ পরকালে নিজেরই জন্য। কে নামাজ পড়েও মদ খায়, কে বোরখা পড়েও স্কিন জিন্স পড়ে, ঐ সব দেখে কে ভাল কে মন্দ তা নিয়ে মাথা ঘামাবার সময় কোথায়? নিজের চরকায় তেল দেয়াই বেটার। মরার পর নিজের অবস্থা কি হবে এটা চিন্তা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৪৯

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: ভাল-মন্দ মাথা ঘামাবার সময় লন্ডনে নেই, তবে বাংলাদেশে বোরখা পরা মেয়েদের পিছে লাগার মত সময়ের কারো অভাব নেই! আশা করি সবাই যেন বুদ্ধিমানের কাজ করতে পারেন।

১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৪৭

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: যারা মাইনাস দিচ্ছেন, তারা কারনগুলো জানালে খুশি হই।

১১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৫৩

শিক কাবাব বলেছেন: অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: যারা মাইনাস দিচ্ছেন, তারা কারনগুলো জানালে খুশি হই।
এরা বোরখা বিরোধী। বোরখাকে মাইনাস দিচ্ছে

১২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৫৬

সপ্নবাজ_আমি বলেছেন: সেই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের চেষ্টাও আমাদেরই
-চালিয়ে যান আপনি

১৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৫৯

বিপ্লব কান্তি বলেছেন: সুন্দর কথাগুলি । ধর্মটা নিজের মধ্যেই থাকুক । মার্কেটিং করতে আসলেই সমস্যা । ধর্ম নিয়ে মার্কেটিং করতে নেই । কোন মেয়ে বোরকা পরল নাকি নেংটা হয়ে চলতেছে তা নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথা নেই । সমস্যা তখনই যখন বোরকাওয়ালী তা বোরকার মার্কেটিং করবে অথবা সমকথা নেংটাওয়ালী তার মার্কেটিং করবে ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:১৬

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: মার্কেটিং করতে এখানে বসিনাই, নিজের মনের কথা গুলি শেয়ার করলাম। ভুল-ভ্রান্তি থাকতে পারে।

১৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:০২

মানুষ বলেছেন: কিছু মনে করবেন না, হঠাৎ পরিবর্তন দেখলে (যদিও আপনার কাছে সেটা ধীর প্রক্রিয়া কিন্তু মনে রাখতে হবে আপনার বন্ধুরা আপনাকে অনেকদিন পর দেখছে) সকলের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে। সেটাই স্বাভাবিক। যদি মনে করেন তারা আপনাকে বিদ্রুপ করছে সেটা আপনার নিজের হীনমন্যতা । ঐটা দূর করেন আর কোন সমস্যা থাকবে না।

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:২০

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, আমি উত্তর দিতে প্রস্তুত, তবে বিদ্রুপ অনেকে সত্যি-ই করে... তখন মন খারাপ হয়।আব্বু-আম্মুও নিষেধ করেন এসব মনে না লাগাতে...

ধন্যবাদ পয়েন্ট আউট করার জন্য,...আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব, নিজের হীনমন্যতা দূর করার...

১৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:০৩

এস. এম. রায়হান বলেছেন: বেশ তথ্যপূর্ণ ও আকর্ষণীয় একটি ব্লগ

১৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:০৪

হা...হা...হা... বলেছেন: বোরকা পরার কথা ইসলামে কোথাও নাই। বোরকা কোন ইসলামীক পোষাকও নয়। ইসলামে পর্দা করার কথা বলা আছে। পর্দা বোরকা না পরেও করা যায়। শরীরের নির্দিষ্ট অংশ কাপড় দ্বারা আবৃত রাখার নাই হলো পর্দা করা। বোরকা শরীরকে ঢেকে রাখার একটি সহজ মাধ্যম মাত্র।

পর্দা করাটা আপনি যদি ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে নাও দেখেন তাহলেও প্রয়োজন আছে। একটি মিনি স্কার্ট পরা অথবা কোন শাড়ী পরা মহিলা যার পেট নাভী সব দেখা যাচ্ছে তার থেকে ঘোমটা দেয়া, শরীর আবৃত রাখা মেয়েকে অবশ্যই দেখতে শালীন মনে হবে। আর নিজেকে সবার কাছে শালীন ভাবে উপস্থাপন করতে কে না ছাড়?

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:২৭

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: আমিও জানি 'বোরখা' পর্দা নয়, তবে এটা সহজ উপায়, হাতাঅলা ঢিলেঢালা জামাকাপড় খুঁজে বের করার চেয়ে বোরকা পরে অনেক তাড়াতাড়ি তৈরি হওয়া যায়, সাথে পর্দার নির্দেশও মেনে চলা যায়।

তাছাড়া পর্দা শুধু বাহ্যিক বিষয় নয়, মনের পর্দাটাও অনেক জরুরী। এটা মেনে চলার চেষ্টা করি।

১৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:১৮

শেলী বলেছেন: আপনার সাথে আমি সমব্যথী। আমি যখন পর্দা শুরু করি তখন আমার খুব কাছের মানুষই এটা শ্য করতে পারতনা। আর বন্ধুরা তো হাসাহাসি করত। আমারও মনে হয় বাংলাদেশ থেকে বাইরের দেশে এটা তুলনামূলক স হজ। কারন ওরা আমাদের দেখে মুসলিম হিসাবে। বাংলাদেশেত বেশীর ভাগ মুসলিম,কাজেই ওদেরকে যুক্তি দিয়ে বুঝানো কঠিন।

১৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:২১

আরিফুর রহমান বলেছেন: যতো ফাঁক ফোকড়ই থাক, গল্প গল্পই... এতে সত্যের লেশমাত্র নেই।

তবে ‌'‌বুঝে‌‌‌‌‌' বোরখা পড়া বলতে আপনি যা বোঝালেন.. তার মানে হলো জাকির নায়েক আর ইস্লামিক ফোরাম ইউরোপের প্রপাগানডার কাছে মাথা বিক্রি করে দিলেন।

একটা পোশাক পড়ে চলার মাঝে হয়তো রিচুয়ালিস্টিক একটা ভাব থাকতে পারে, কিন্তু জীবনের কোনো গভীর অর্থ সেখানে নেই। আপনাকে সাহিত্য, শিল্প বা সংগীত নিয়ে কথা বলতে বললে আপনি এক কদম পরেই থেমে যাবেন, আমতা আমতা করবেন, কারন আপনার ভেতরে এর চেয়ে বেশি কিছু নেই। দর্শন নিয়ে আলাপ করা তো চিন্তারও বাহিরে।

এই ধরনের ‌'ফাঁপা' মুসলমানদের শুধু বোরখা নয়, তাম্বুর ভিতরে লুকিয়ে রাখা উচিত, কারন মানবতাকে তারা কিছুই দিতে পারে না।

পারে শুধু দু হাত পেতে কাঙালের মতো নিতে জানে। মানবতা, বিজ্ঞানের সমস্ত সুফল এরা ভোগ করবে, কিন্তু বিনিময়ে কিছু যোগ করতে বললে হাজার বছর আগের ইবনে সিনা জাতীয় বিজ্ঞানীদের দেখিয়ে দিয়ে বলবে এই দেখো জ্ঞান বিজ্ঞানে ‌'মুসলমান‌েরে‌‌' অবদান। এদের লজ্জাও করে না।

১৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৩৭

লুমেন বলেছেন: যে মেয়েরা পর্দা করেনা শালীন তাদের প্রতি যথেষ্ঠ respect আমার আর যেগুলো উল্টাপাল্টা সেগুলোর প্রতি মেজাজ চরম বিগড়ে থাকে। ওরা কি বুঝেনা ওদের কারণে ছেলেগুলো উশৃঙ্খল হয়। এবং মেয়ে গুলো সব হারায় ?

আমি যা বুঝি পর্দা মানেই হিজাব নিকাব না। মন আর চোখ এই দুটো control তবে হা এগুলো হল safe way.

কুরআন খুব কম জানি সেখানে নারী পুরুষ উভয় কে ই পর্দার তাগিদ দেয়া হয়েছে । কোন হিজাব or specific dress কে না আমি বুঝি একটা চাদর যা শরীর কে ঢেকে রাখতে সম্ভব অশালীন দৃষ্টি থেকে ।

ধন্যবাদ short attractive ভাবে লিখে য়ান আল্লাহ আপনার সহায় হোন ।

আর যা ই করেন নিজের কাছে clear থাকুন আর আল্লাহর উপর আস্হা রাখুন ।

বাংলা type যানিনা


০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৩৩

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: আমিও জানি পর্দা মানে শুধু হিজাব নিকাব নাহ, মন, কথা, দৃষ্টি, পোশাক সবকিছুই control করতে হবে, এই কথাটাই মেনে চলার চেষ্টা করি, আর এটাও মানি যে শুধু বোরখা পরলে বা পর্দা করলেও কেউ কারো চেয়ে মহান হয়ে যায় না।। কেননা অন্তরে কি আছে শুধুমাত্র মনুষ নিজে আর আল্লাহ-ই জানেন।।

তবুও দোয়া করি যেন সত্যিকারভাবেই পর্দা করে চলতে পারি।

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৫৫

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: বাংলা টাইপ তো খুবই ভাল হয়েছে মাশাআল্লাহ, চালায়ে যান...

২০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৩৯

মেটাফর বলেছেন: আমার সোলমেট (ভালো বাংলা প্রতিশব্দ পেলাম না) বোরকা পড়ে। এ নিয়ে প্রতিদিন আমাকেই যে পরিমান স্টেরেওটাইপের সম্মুখীন হতে হয় বলার মত না। লোকের কথা হচ্ছে, আরে মেয়ে আইবিএ-তে পড়ে, বোরকা কেন? ক্ষেত নাকি? এ নিয়ে আমার সাথে যথেষ্ট ঝামেলা হয়ে গেছে কয়েকজনের। আমি ওকে বলি, তোমার যেটা ভালো মনে হয় সেটাই কর। লোকে কি বললো পাত্তা দেয়ার দরকার নাই। আপনার জন্যও আমার একই কথা রইলো।

মাঝে মাঝে মনে হয়, বর্ণবাদের সাথে এর কোন পার্থক্য আছে কি? একটা মানুষের শরীর না দেখতে পারলেই সে খারাপ???

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৪৮

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: ''মাঝে মাঝে মনে হয়, বর্ণবাদের সাথে এর কোন পার্থক্য আছে কি? একটা মানুষের শরীর না দেখতে পারলেই সে খারাপ???''

আমিও বুঝি না- তবে রাসুল(স) কে নিয়েই মানুষ ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত, সেখানে আমরা তো কোন ছাড়...

২১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৪৮

প্রোটন১৩ বলেছেন: ভাল লাগল আপনার কথা শুনে..মেয়েদেরকে বানানো হয়েছে তাদেরকে সবার আড়ালে লুকিয়ে রাখার জন্য আর স্বামীকে দেখানোর জন্য.এটাই ইসলামের কথা..ধরে রাখুন এবং পুরোপুরি যাতে ইসলামি নীতিতে চলতে পারেন সেই কামনায়..


আর প্রত্যেকটা মানুষের চলার জন্য যতটুকু ইসলামের নীতি জানা দরকার ততটুকু জানা প্রত্যেকটা মুসলমান মানুষের জানাটা তার উপর ফরজ...

আপনি নিশ্চিত করে নিতে পারেন

২২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৫৭

টানজিমা বলেছেন: বোরখাকে মাইনাচ দেই নাই........
আপনার মানসিক সমস্যাটাকে দিলাম.......

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৩৯

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: ধন্যবাদ

নিজের খারাপ দিকগুলি বদলানোর চেষ্টা করব

২৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:০৮

ক্যাটস-আই বলেছেন: আমার তিন বোন তারা খুবই সুন্দরী কিন্তু তারা স্কুল লাইফ থেকেই বোরকা পরে এবং নিজেরা জেনেবুঝেই পরে। আমাদের ফ্যামিলিটাই ধর্মীয় মাইন্ডের এবং এটার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব আমার আম্মার। আসল কথা হলো একটা ফ্যামিলিতে বাবার চেয়ে মায়ের ভূমিকা বেশী থাকে। তাই একটা মেয়ের মনমানসিকতা যদি সবদিক থেকেই ভালো (বিশেষ করে ধর্মীয় মাইন্ডের) হয় তাহলে সে পরবর্তী জীবনে সাকসেস হবেই ইনশাআল্লাহ।
আলালাহ আপনাকেও সবদিক থেকে সাকসেস করুন সেই দোয়াই করি।
+++++++++++++++++

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৩৯

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: ইনশাআল্লাহ দোয়া চাই

২৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:১০

অনিত্য বলেছেন: এই যুগে সবাই মেয়েদের স্বাধীনতার কথা বলে। একটা মেয়ে তাই স্বাধীনতার নাম করে সংক্ষিপ্ত কাপড় পরে চলতে পারে অনেক দেশেই, এমনকি আমাদের দেশেও। কিন্তু কোন মেয়ে স্বেচ্ছায় নিজেকে ঢেকে চলতে চাইলেই তখন সেই স্বাধীনতাবাদী মানুষদের গায়ে লেগে যায়। কেন? একটা মেয়ের কি শুধু নিজেকে প্রদর্শন করার জন্য উন্মুক্ত হবার স্বাধীনতাই আছে? নিজের মতো করে নিজেকে ঢেকে চলার স্বাধীনতা নেই? "বোরখা পড়া যাবে না" এটাও কি মেয়েদের উপরে অনেক দেশে আজকাল জোর করে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে না? এটা কি নারী স্বাধীনতা?

আপনার সাথে আমি এই বিষয়ে একমত যে আমাদের দেশের তুলনায় ওয়েস্টার্ন দেশগুলোতেই এখন ইসলাম মেনে চলার পরিবেশ বেশি ভাল। এছাড়া এখানে যারা স্বাধীনতার সব রকম সুযোগ পাওয়ার পরেও নিজের থেকে ধর্ম পালন করার প্রতি আগ্রহী হয়, স্বভাবতঃই তারা নিজ ধর্মটাকে সেভাবেই ধরে রাখতে চায়। মেহেদী লাগানো দাড়ি রেখে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়বো, আবার দেদারসে ঘুষ খেয়ে যাবো, এমনটা আমাদের দেশের মতো এখানে দেখি না।

তাই দেশে ঘুরতে গিয়ে বেশি আশা করার দরকার নেই। আমেরিকায় যারা পথেঘাটে বোরখা বা হিজাব পড়ে চলে, সবাইকে বরং তাদের সম্মান করে চলতেই দেখেছি। (লন্ডনে অবশ্য দেখেছি বাঙ্গালীদের মধ্যে হিজাব পড়াটা ধর্ম থেকে জাতিগত কালচার বা ফ্যামিলির বাধ্যকতাতেই বেশি হয়। তাও সেখানেও অনেক স্বাধীনভাবে হিজাবধারী মেয়েদের চলতে ফিরতে দেখেছি)। কিন্তু বাংলাদেশে গিয়ে কমবেশি কিছু কথা আপনাকে শুনতেই হবে। কিছু করার নেই।

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৪১

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: i know.. :( একমত

২৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:১০

ক্যাটস-আই বলেছেন: ক্যাটস-আই বলেছেন: আমার তিন বোন তারা খুবই সুন্দরী কিন্তু তারা স্কুল লাইফ থেকেই বোরকা পরে এবং নিজেরা জেনেবুঝেই পরে। আমাদের ফ্যামিলিটাই ধর্মীয় মাইন্ডের এবং এটার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব আমার আম্মার। আসল কথা হলো একটা ফ্যামিলিতে বাবার চেয়ে মায়ের ভূমিকা বেশী থাকে। তাই একটা মেয়ের মনমানসিকতা যদি সবদিক থেকেই ভালো (বিশেষ করে ধর্মীয় মাইন্ডের) হয় তাহলে সে পরবর্তী জীবনে সাকসেস হবেই ইনশাআল্লাহ।আল্লাহ আপনাকেও সবদিক থেকে সাকসেস করুন সেই দোয়াই করি।
+++++++++++++++++

২৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:২৫

বাশিওয়ালা বলেছেন: শুধু বলব ভাল থাকবেন......

২৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৩১

মদন বলেছেন: +

২৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৩৬

গুরু তুমি মহান, তোমারে করি প্রনাম বলেছেন: আপ্নের যা খুশি পরেন... মনে চাইলে না পইরা থাইকেন...
ওইটা অনেকের কাছে আরো বেশি পছন্দের হইব।

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৪৪

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: গুরু তুমি মহান, তোমারে করি প্রনাম বলেছেন: আপ্নের যা খুশি পরেন... মনে চাইলে না পইরা থাইকেন...
ওইটা অনেকের কাছে আরো বেশি পছন্দের হইব।



আপনি সেই সমস্ত মানুষের পক্ষ থেকে একটা বেশ ভাল উদাহরণ দিলেন।

২৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৪৬

মেরিনার বলেছেন: পোস্টে ++

পড়ে দেখবেন ইনশা'আল্লাহ্:

www.somewhereinblog.net/blog/peace55/29114576

৩০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৫০

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: ইনশাল্লাহ পড়ে দেখব, ধন্যবাদ

৩১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:২৮

লুমেন বলেছেন: thanks i think ur much wise about islam plz help me by giving some info in the sense of women rights by using hijab. I know everybody told that islam provide best right for women. I do strogly agree with that but expectation is to get the logical explanation.

for women rights in the way of hijab>>> as a man i'm freedom to show my face open my hair etc.


I think there is a lot of logical explanation. but we r so far from there.

I strongly believe that Islam A-Z logical no blind believe can b there


Best of luck

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:২৪

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: my knowledge is very little... bt theres a lot of stuffs to talk about, if u wanna discuss, u most welcome to email in [email protected]

৩২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৫৮

প্রদীপ মিত্র বলেছেন: আপনার পরতে ভাল লাগলে পরেন, অন্যে কে কি বলে তাতে কি?

৩৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:২৭

রাজসোহান বলেছেন: হুম

৩৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:২৫

রুমমা বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো।আমি চেষ্ঠা করি মাথায় কাপড় দেয়ার কিনতু গরমে বেশীক্ষন রাখতে পারিনা।তবে যতক্ষন পারি রাখার চেষ্ঠা করি।তবে আমি দেখেছি এখন মাথায় কেন কাপড় দেই সেটা ব্যখ্যা করতেই অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।অনেকে বলে এত কম বয়সে পর্দা করার কি দরকার বুড়া হইলে কইর।আর এ কারনেই শাড়ি এড়িয়ে চলার চেষ্ঠা করি।তোমার লেখাটা অনেক ভালো লাগলো অনেক।+

৩৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:৫৯

মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন: আমাদের মনে রাখা উচিত- মুসলিম নামধারী বা-মা'র ঘরে জম্ম নিয়েই আমি মুসলিম হয়ে যাবোনা, আমি মুসলিম হবো তখন যখন আমি বুঝবো- ইসলাম কি? স্রষ্টা কি? কুরআন কি ও কেন? নবী রসূল কেন? আখিরাতের বিশ্বাস কেন করতে হবে? কুরআনের বিধান আমার জন্যে পালন করা জরুরি কিনা বা আমি এটা পালন করতে প্রস্তুত কিনা। সর্বোপরি আমি জেনে বুঝে একটা আদর্শ গ্রহণ করতে যাচ্ছি- এখন আমার মনকে বুঝাতে হবে যে আমি প্রকৃত পথে এগোচ্ছি না ভ্রান্ত পথে।

এখন উপরের কথাগুলো আমরা সেভাবেও নিতে পারি যদি আমি- অন্য কোনো মতবাদ-ধর্ম, বা নাস্তিক্য আদর্শ- সামাজিক রীতি-নীতি গ্রহণ করতে চাই সেক্ষেত্রে।

ইসলাম, খৃস্টবাদ, যায়নিজম, কম্যুনিজম, হিন্দুইজম : যেটাই আমার মনে দাগ কাটুক না কেন সেটাই আমি স্বাধীনভাবে গ্রহণ করতে পারি।

আর যদি আমি কোনো ধর্ম-দর্শন বা পূর্বেরকার থেকে প্রচলিত কোনো মতবাদ গাইডেন্স হিসেবে গ্রহন না করে নিজের স্বাধীন মন থেকে উদ্ভুত কোনো মতবাদকে প্রায়োরিটি দেই সেটাই হতে পারে আমার জন্যে আদর্শ।
এতে কেউ কি বাধা দেয়ার আছে?

সর্বশেষ বলি : আল্লাহ মানুষকে সব কিছুর জন্যে স্বাধীন করে দিয়েছেন এবং তাঁর দিকেও আহবান করেছেন, যদি কারো মনে ধরে তো আল্লাহর ডাকে সাড়া দিলেই পারে। না দিলে আল্লাহর কোনো ক্ষতি নেই।

আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন

৩৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:০৯

পুরাতন বলেছেন: ++

৩৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:১৬

বাংলা'র নবাব বলেছেন: আপনার শালীনতাবোধ থেকেই আপনি বোরখা পরা শুরু করেছেন। ভালো লাগলো জেনে। সব মেয়েদের যদি এই শালীনতাবোধ টা জাগ্রত হতো তাহলে কতইনা ভালো হতো!

৩৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২২

মোঃ_হাসান_আরিফ বলেছেন: বিভিন্ন জনের মন্তব্য দেখে এখন কেমন লাগছে?
জানাবেন, খুশি হব।

১০ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:১৬

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: মন্তব্য পড়তে ভাল লাগে, তবে + এর সাথে মাইনাস-ও সমান তালে বাড়ছে... আমি বুঝি না কি সমস্যা... inspiration এর অভাব বোধ করছি... ইশশশ ভাল ঈমানদার মানুষদের মধ্যে থাকতে পারতাম ... ঃ(

৩৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪২

বৈকুন্ঠ বলেছেন: hot & pink!!!!!!!!!!!!!!!???????????

তবে লেখসেন ভালো। মনগড়া কথাবার্তি এত সুন্দর কৈরা লেখতে কয়জন পারে?
অবাক হৈলাম এইটা ভাইবা যে আপনের গল্পের নায়িকরে আল্লায় নামাজ পরার তওফিক দান করার অনেক আগেই বোরখা পরার তওফিক দান করলো।

১০ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:১১

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: আপনার যা ইচ্ছা ভাবুন, কাউকে বিশ্বাস করানোর জন্য লিখি নাই, জাস্ট শেয়ার করসি নিজের ফিলিংস...
আমার মতে ৫ ওয়াক্ত নামাজ কন্টিনিউ করাটা পর্দার চেয়েও কঠিন...

*hot & pink নাহ।। hotpink এক ধরনের রঙ, রংটা খুব সুন্দর লাগে, তাই এই নাম নেয়া...

৪০| ১০ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৩৩

কি নাম দিব বলেছেন: বোরকা পড়লে অনেকে অনেক বাজে মন্তব্যও করে। আর এগুলো খোঁচা দেয়া তো ডালভাত। নিজে শক্ত থাকলে বোরকা চালিয়ে যাওয়া ব্যাপার না। প্রথম প্রথম বোরকা নিয়ে খোচাগুলো অনেক কষ্ট দিত, এখন কিছুই লাগেনা, অভ্যাস হয়ে গেছে। মেনে নিয়েছি বা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছি যে বোরকা পড়লে এমন কথা শুনতেই হবে।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য, ভালো থাকুন সবসময়।

১২ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৪১

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: ধন্যবাদ, আমিও আশা করি যেন ঠিকভাবে কন্টিনিউ করতে পারি।।

৪১| ১০ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:০২

রুচি বলেছেন: আপু, তোমার লেখাটি ভীষন ভাল লেগেছে। বিলেতে থেকেও যেখানে পর্দা করতে সমস্যা হয়নি সেখানে বাংলাদেশের লোকজনের কটুক্তি দেখে অবাক হবার কিছু নেই। যে বাংগালীরা নামাজ না পড়াকে স্মার্টনেসের অংশ ভাবে, সি বিচে শালীন পোশাক (স্যালোয়ার কামিজ) পড়াটাকে ক্ষ্যাত বলে গন্য করে তাদের কাছ থেকে আর কি আশা করবা? তারা স্মার্ট হতে হতে ওয়েষ্টার্ন কালচারকেও ছাড়িয়ে যেতে চায়। যাকনা।
তুমি চালিয়ে যাও ........ একজন নিশ্চই তোমার সঙ্গে আছেন। ভাল থেক...............

১২ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৪২

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: রাইট - আল্লাহ সুবহনাহুওয়াতা'আলা সবসময় আমাদের সঙ্গে আছেন।

৪২| ১০ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৪২

স্টাডি-ইটিই বলেছেন: আপনার চিন্তা চেতনায়, এবং দৃষ্টিভংগিতে দুর্বলতা আছে সেটা আরিফ ভাই এর কমেন্টেই উঠে এসেছে। আমার এক বন্ধুও হঠাৎ করে ইসলামের বেশী ভক্ত হয়ে পড়েছিল। ইসলাম সম্পর্কে জানার জন্যে নেট থেকে বিভিন্ন বিষয় ঘাটাঘাটি করতে লাগল। এবং বিভিন্ন সময়ে আমাকেও জিজ্ঞাসা করত। আমি তার ধর্মানুভুতির বাইরে কিছু বলতাম না। যেসব বিষয় জানি তার উত্তর দিতাম। একদিন সে আমাকে চাঁদ দেখে ঈদ করা নিয়ে জিজ্ঞাসা করল। আমি দুটি মতবাদই জানালাম। এরপর আবার নেট ঘেটে সে সৌদি আরবে চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে ঈদ পালন করল। ঢাকায় এভাবে যারা ঈদের নামাজ পড়ে তাদের দেখে ওর মনে হল এরা বেশী প্র্যাকটিসিং মুসলিম। আমিও কিছু বললাম না। এর কিছুদিন পর হাত বাঁধা নিয়ে প্রশ্ন। এরপর বিভিন্ন বিষয়ে অনেকরকম ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ দেখে আমাকে জিজ্ঞাসা করল ইসলামের প্রায় সব বিষয়ে কেন এত মতভেদ হয়? তাকে তখন এ সিরিজটা দেখতে দিলাম। আসলে আমরা যখন একটা বিষয় নিয়ে ভাবি, বিশ্বাসের কারনে তখন অন্য দিকগুল দেখিনা। এই যে আপনি ব্রিটেনে পর্দা করার অবাধ স্বাধীনতা পাচ্ছেন। অথচ খেয়াল করলেন না যে ব্রিটন ইসলামী রাস্ট্র না। মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতার চর্চার যে সুফল আপনি ভোগ করলেন, তা তারা ইসলাম থেকে পায়নি বা পায়নি অন্য কোন ধর্ম থেকেও। একটি সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল এটি। এ শিশুতোষ বইটি পড়ে দেখতে পারেন।

৪৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:১৬

মোঃ_হাসান_আরিফ বলেছেন: ভাল সব সময় ভাল
আর ঈমানদার মানুষদের মধ্যে থাকতে চাই লেই থাকতে পারবেন
ভাল ভাবে খোজেন পেয়ে যাবেন

৪৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৫৮

সেলিম তাহের বলেছেন:
“আমার বান্ধবী প্রভু বোরখা পড়েনা, মোরে কয়
যাঁরা পরহেজগার তারা কভু নারীর শরীর
কু-নজরে নয়, দেখে আল্লার শরিফ নয়নে;
লুচ্চা ও লম্পট যারা তারাই কেবলি বোরখার
অজুহাত তোলে। আল্লা দিক্‌ কালো কাপড়ের
পট্টি বেঁধে এইসব পুরুষের নাপাক নজরে।

তোমার কি মত? দেখো, বসে আছে দর্জি আর তাঁতী
তারাও সমান ভাবে তোমার মতের উদগ্রীব
তাদের ব্যবসা ধান্দা, তারা আছে কাঁচি ও কাপড়ে
সেলাই মেশিনগুলো ফোঁড় দেবে তোমার নির্দেশে।

প্রভু, মন্দ নয় দেখোঃ পোশাকে দুরস্ত্‌ , আছে ভান
টুপিও রয়েছে, কিন্তু চোখে পট্টি কালো কাপড়ের
হাঁটিতেছে বেয়াকুফ। রাস্তায় বোরখা নাই, আর
লোকে চিনিতেছে ঠিক কে যে লম্পট কে যে পরহেজগার।”

৪৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:২৩

চোখেরবালি বলেছেন: আপনার লেখাটা সত্যিই মন ছুয়ে গেল। খুব সুন্দর উচ্চারন।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: মন থেকে ধন্যবাদ ...

৪৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩১

মোঃ_হাসান_আরিফ বলেছেন: এখনও বোরখা পরতে ভয় পান

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

অসূর্যস্পর্শী বলেছেন: কনফিডেন্স রাখার চেষ্টা করি, আর আল্লাহর কাছে দোয়া চাই... তবে বাংলাদেশে ফিরলে কি পরিস্থিতি হবে দেখার বিষয়!

৪৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আল্লাহর কাছে এই বলেই শুকরিয়া- 'ভাগ্যিস ঐ সময় আমার বাংলাদেশী শুভাকাংক্ষীদের স্মরণ ছিল না, তা নাহলে কোনদিন-ই বোরখা পরতে পারতাম না।’


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.