নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অদ্ভুতুড়ে

সেই মন প্রাণ খুলে গল্প করার দিন শেষ,শুধু তাড়াহুড়ো করে যদি কিছু কথা বলে ফেলা যায়; সময় যা ছিল হাতে সবটাই নিঃশেষ,পড়ে আছে শুধু অজস্র অসময়।

অদ্ভুতুড়ে › বিস্তারিত পোস্টঃ

মজার মজার ঘটনা..........

০৩ রা জুন, ২০০৯ রাত ১১:১২

আমার কর্মক্ষেত্র বদল হয়েছে। আগের অফিস ছিল ধানমন্ডিতেই, বাসা থেকে পাঁচ মিনিটের পথ। আর এখনকার অফিস সেই নারায়নগঞ্জ, যেতে লাগে কমপক্ষে দেড় ঘন্টা। অফিসের গাড়িতে যাবার সময় নানান বিষয়ে কথা হয় সহকর্মীদের সাথে। রাজনীতি-সমাজনীতি থেকে শুরু করে মজার কোন ঘটনা কোন কিছুই বাদ পড়েনা সেই অনানুষ্ঠানিক আলোচনাতে। একঘেয়ে জীবন থেকে ক্ষণিকের মুক্তি পেয়ে প্রাণখুলে হাসার উপলক্ষ্য তৈরি হয় সেখানে। যাহোক আজ যেসব ছোট ছোট ঘটনার কথা লিখব তার উৎস কিন্তু সেই মুহুর্তগুলোই।



ঘটনা ১:

আমার এক কলিগের ঘটনা, তাঁর মেয়ে কে নিয়ে। মেয়ের বয়স ৬, সে কখনো চুইংগাম খায়নি আগে। তো তাকে চুইংগাম খেতে দেয়া হল প্রথমবারের মত, আর বলা হল, কোন অবস্থাতেই সেটা গিলে ফেলা যাবে না। সে সব শুনল আর বুঝল। তারপর চুইংগাম মুখে নিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে, একসময় হাসি হাসি মুখ করে খুব বড় কিছু করে ফেলেছে এমন ভাবে বলল, “আব্বু, আমি চুইংগামটা গিলে ফেলতে পেরেছি”। তারপর তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে।



ঘটনা ২:

বাসের পেছনে অনেক সময় অনেক কথা লেখা থাকে, সবাই হয়ত দেখেছেন। এমন কি বাসে বডিতে যিনি রঙ করেন সেই পেইন্টার এর নামও লেখা থাকে সাথে তার ফোন নম্বরও থাকে। আর সেই পেইন্টারদের বানান দেখলে মাঝে মাঝে হাসব না কাঁদব বোঝা যায় না। এমনি এক বাসের নানা ভুল বানানে নীতিকথা লেখা আর লেখা পেইন্টারঃ রাব্বি ভাই, ফোন নম্বরঃ ০১৮১৯******। আমার এক কলিগ সাথে সাথে তার সেলফোন থেকে ওই নাম্বারে ফোন করলেন আর বললেন, রাব্বি ভাই, বানান লেখার আগে দয়া করে বাচ্চাদের বানান শিক্ষা ধরনের বই কিনে পড়ে নেবেন। তারপর যত ইচ্ছে পেইন্টিং করেন, আর নীতি কথা লেখেন।



ঘটনা ৩:

আমার আগের কোম্পানীতে বিভিন্ন ধরনের জেনারেটরের ফিল্টার বিক্রি করা হত। আমাদের এক কাস্টমার যিনি ছিলেন ফিল্টার ব্যাবসায়ী, মানে আমাদের কাছে ফিল্টার কিনে বাজারে বিক্রি করতেন। তিনি বললেন একদিন। তাঁর এক ভাগ্নে নাকি তাকে ফোনে করে বলেছে, “মামা, তোমার নাকি ফিল্টারের দোকান আছে, তাহলে আমাদের বাসাতে ২ টা ফিল্টার পাঠিয়ে দিও তো”। “তুই ফিল্টার দিয়ে কি করবি?”, মামার প্রশ্ন। “আর বোলনা মামা, আমাদের এখানে পানিতে যে আয়রন,কিছুই করা যায় না, তুমি কিন্তু ফিল্টার পাঠাতে ভুল না”



মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৭/-২

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০০৯ রাত ১১:২৫

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: অফিসের গাড়ীতে আসলেই অনেক মজা হয়।
দুএকজন থাকেই নতুন নতুন সব গল্প করার জন্য।

২| ০৩ রা জুন, ২০০৯ রাত ১১:২৮

বড় বিলাই বলেছেন: মজা লাগল। +

৩| ০৩ রা জুন, ২০০৯ রাত ১১:৪৭

আকাশ_পাগলা বলেছেন: হাসলাম।

আমি কিছু কিছু লিখি এইটাইপ।

সময় থাকলে দেখতে পারেন।
Click This Link

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ রাত ১২:১৫

|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন: আপ্নার প্রোফাইলের গানটা পড়ে মন উদাস হইলো :(

অফিসের গাড়ীতে ব্যাপক মজা হয়। তয় আমাদের ফিন্যান্স এর আক আপু যোগ হওয়ায় পুংটা পুলাপাইন ইদানীং যুত করতে পারতেছে না, আমনিতে এইগুলা ম্যানেজার লীডার কিসসু মানে না :) :)

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৮:৪২

ফিরোজ-২ বলেছেন: মজা লাগল। +

৬| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:২১

আমি জমিদার বলেছেন: আসলেই অিফসের গাড়িতে অনেক মজার মজার কাহিনী ও অভিজ্ঞতা শেয়ার হয়
পেলাচ ++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.