নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন আশাবাদি ব্যাক্তির কথা

নিজর সম্পর্কে নিজেই তেমন জানি না।

একোয়া রিজিয়া

লেখালেখি তেমন পারি না বললেই চলে। লোকে বলে এটা নাকি আল্লাহ প্রদত্ত গুন। ভ্রমণ কাহিনী লিখতে বুঝি তেমন গুন থাকা লাগে না। তাই ভ্রমণকাহিনী লিখেই এই অঙ্গনে হাতেখড়ি......

একোয়া রিজিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুরে এলাম কুয়াকাটা (প্রথম পর্ব)

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১০

লেখালেখির হাতেখড়ি এখানেই। জীবনে খুব বেশি ঘুরাঘুরির অভিজ্ঞতা নেই। যতটুকু আছে তাই নিয়ে লিখতে বসে গেলাম।



গত বছর গ্রীষ্মের ছুটিতে বেড়াতে গিয়েছিলাম চিরচেনা বরিশাল নগরীতে। যেখানে কেটেছে আমার শৈশব কৈশোরের দিনগুলো। পুরোনো সব বন্ধুরাই যার যার জীবন নিয়ে ব্যাস্ত। অনেকটা কাকতালীয়ভাবেই জুটে গেল কিছু বন্ধু। হঠাৎ করেই মাথায় এল কোথাও ঘুরতে যাওয়া যায়। প্রথমে নিশ্চিত হয়েছিলাম আমি, চয়ন, আকাশ ও মইন এই চারজন যাচ্ছি। যাওয়ার আগের দিন যোগ হল বন্ধু আসিফ। ছোট একটা প্ল্যান করে ফেললাম।



প্ল্যান অনুযায়ী ১৮ জুন সকাল আটটায় সবাই মিলিত হলাম রূপাতলি বাসস্ট্যান্ড। সেখানে গিয়েই প্রথম চমক টা পেলাম। শুনলাম আমাদের সাথে যোগ দিচ্ছে বন্ধু সোহান। আমাদের কুয়াকাটা যাওয়ার কথা রাতেই শুনেছিল ও চয়নের কাছে। আমাদের সাথে আনন্দ ভাগ করে নেয়ার জন্য ঢাকা থেকে রাতেই নৈশকোচে রওয়ানা হয়েছিল। সোহান বাসায় গিয়ে সকালের নাস্তাটাও ঠিকমত করেনি। সারে আটটার মধ্যেই বাসস্ট্যান্ড চলে এল। সোহানের আগমন আমাদের ভ্রমনের আনন্দটা যেন আরো কয়েকগুন বাড়িয়ে দিল। টিকিট কাটা হয়ে গেল। নয়টার বাসে রওয়ানা দিয়ে দিলাম কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে। ছুটে চললো আমাদের গাড়ি...



কুয়াকাটা যাওয়ার পথে ফেরি আসার অপেক্ষায়।















লেবুখালি নদী সত্যিই অনেক সুন্দর। ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারলাম না কেউ ই।



পথে তিনটি ফেরী পার হতে হল আমাদের। পাঁচ ঘন্টা বাসে চলার পর দুপুর দুইটার দিকে কুয়াকাটা পৌছলাম। আমাদের ভ্রমণটা ছিল বর্ষার মৌসুমে। এ সময়ে সাগর পাড়ে অতিথিদের আনাগোনা অনেক কম থাকে। তাই খুব সহজে আর সুলভ মূল্যে থাকার জন্য একটি ভাল হোটেল পেয়ে গেলাম।







হোটেলে উঠেই সবাই একটু ফ্রেশ হয়ে নিলাম। তারপর দুপুরে খাওয়ার জন্য বেড়িয়ে পড়লাম। দুপুরের খাবারে ছিল ভাত, ইলিশ মাছ, চিংরি ভুনা, গরুর গোসত আর ডাল। সবাই পেট পুরে খেয়ে ছুটে চললাম সাগরের পানে।







সাগর পাড়ে গিয়েই সবার মনটা জুড়িয়ে গেল। বিকেল হয়ে গিয়েছিল আর জামা কাপড় যথেষ্ট পরিমানে না থাকায় ঐদিন আর গোসল করা হয়নি। শুধু পা ভিজিয়েই ক্ষান্ত দিলাম।





মইন, খুলনা বিশববিদ্যালয়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত।







আমাদের সবার প্রিয় বন্ধু আসিফ।



এটা আমি নিজেই!



কিছুক্ষণ ভাড়া করা ছাতার নিচে বসে সাগর দেখে দেখেই কাটিয়ে দিলাম। এরপর এল কাঙ্খিত সূর্য ডোবার পালা। কিন্তু আমাদের ভাগ্য নিতান্তই খারাপ। আকাশ মেঘলা থাকার কারনে সাগরবক্ষে সূর্যের হারিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখার শৌভাগ্য আমাদের হল না। ফাকে ফাকে চললো আমাদের একের পর এক ছবি তোলা।



রাশেদ ফেরদৌস আকাশ। আমরা ওকে দাদা আকাশ বলে ডাকি। হা হা হা...



আমাদের ট্যুরের ক্যামেরাম্যন রাকিবুল হাসান খান। ডাক নাম চয়ন।



ও আহাদুজ্জামান সোহান। যে আমাদের সাথে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে ছুটে এসেছিল।







পড়ন্ত বিকেলে সমূদ্রতীরের বালিয়ারিতে আলো-আঁধারীর খেলা।



কুড়িয়ে পাওয়া ঝিনুক।



সন্ধ্যা হয়ে গেলে নামাজ পড়ে ফিরে গেলাম হোটেলে। সাথে নিয়ে নিলাম এক প্যাকেট কার্ড। খেলা চললো রাত নয়টা পর্যন্ত। তারপর বের হলাম রাতের খাবার খাওয়ার জন্য। খাবার খেয়ে আবার চলে গেলাম সৈকতে। সৈকতের রাতের সৌন্দর্য সত্যিই বলে বুঝানো সম্ভব না। তখন ছিল পূর্ণিমা। আকাশে একটি ভরা চাঁদের থালা আমাদের দিকে মিটমিটিয়ে হাসছিল। চাঁদের টানে সমূদ্রও যেন ফুলে ফেপে উঠেছিল। একটানা গর্জন করেই চলছিল। বাতাসটাও বইতে ছিল অকৃত্তিম্ভাবে। সত্যিই রাতের প্রকৃতিটা খুব কাব্যিক ছিল। আমি কবি হলে হয়তো কয়েকটা কবিতা লিখে ফেলতাম! আমরা রাত বারটা পর হোটেলে ফিরলাম। এসে দেখি দারোয়ান ঘুমিয়ে পড়েছে। অনেক্ষণ ডাকাডাকির পর গেট খোলার ব্যাবস্থা হল। রুমে গিয়ে আবার শুরু হল কার্ড খেলা। দুইটা পর্যন্ত কার্ড খেলার পর সকালে সূর্য উদয় দেখার আশা নিয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়লাম।



ভ্রমণের পরবর্তি কাহিনী আসছে আগামী পর্বে ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.