![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কারার ঐ লৌহ-কপাট ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট রক্ত-জমাট শিকল পুজার পাষাণ-বেদী ওরে ও তরুণ ঈশান বাজা তোর প্রলয় বিষাণ ধ্বংস নিশান উড়ুক প্রাচী-র প্রাচীর ভেদি।
আনন্দের সাথে জানাচ্ছি আমার এবং ডা: তাওহীদ হোসেন রোমেলের যৌথভাবে করা গবেষণা নিয়ে গবেষণাপত্রটি অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে আজ সকালে। আমাদের গবেষণার বিষয় ছিল "Evaluation of medicines dispensing pattern of private pharmacies in Rajshahi, Bangladesh"
.
২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত রাজশাহীর লক্ষ্মীপুরে চলা এই গবেষণাটিতে কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। ইতিপূর্বে দেশে সেলফ মেডিকেশনের উপরে অনেক সায়েন্টিফিক তথ্য থাকলেও আমাদের জানামতে ফার্মাসীতে মেডিসিন ডিস্পেন্সিং প্যাটার্ন এবং ইর্যাশনাল ড্রাগ ইউজে তাদের অবদানের উপর এটাই প্রথম স্টাডি।
.
১)গবেষণাধীন ফার্মাসীগুলোতে উক্ত সময়ে বিক্রি হওয়া ওষুধের ২২.৭০% বিক্রি হয়েছে কোন প্রকার প্রেসক্রিপশন ছাড়াই। ওষুধের সংখ্যা বিবেচনায় যা প্রায় ৫৬১০টি ওষুধ, এর মধ্যে প্রায় ৬৬.২% বিক্রি হয়েছে সরাসরি ক্রেতার অনুরোধে এবং বাকীটা বিক্রেতাকে শারীরিক সমস্যার বর্ননা দেবার পর বিক্রেতা নিজে ওষুধ নির্বাচন করে বিক্রি করেছেন।
.
২) আমাদের গবেষণালব্ধ তথ্য হতে দেখা যায় সবচেয়ে কম বিক্রি হয় ঘুমের ওষুধ এবং সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালস।
.
৩) আমরা পেয়েছি যে কোয়াকদের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রেস্ক্রাইব করার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হলেও অধিকাংশ অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় হয়েছে প্রেসক্রিপশনের ভিত্তিতে।
.
৪) আমরা একটা ইন্সিডেন্টাল ফাইন্ডিং পেয়েছি যে Macrolides, quinolones, metronidazoles and cephalosporins গ্রুপের.অ্যান্টিবায়োটিক কোন এক কারণে কোয়াক, ওষুধ বিক্রেতা এবং রোগীদের কাছে অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে খুব জনপ্রিয়।
.
৫) ওষুধ বিক্রেতাদের ফেস টু ফেস ইন্টারভিউ থেকেও আমার কিছু বিষয়ে বিষয়ে ভালো ব্যাখ্যা পেয়েছি।
.
সবাইকে অনুরোধ করছি পেপারটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য, আশা করছি কিছু নতুন তথ্য আপনারা জানতে পারবেন।
.
গবেষণা চলাকালীন সময়ে আমার পরিবার, শিক্ষক, বন্ধু এবং জুনিয়রদের মাঝে অনেকেই অনেক সাপোর্ট করেছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম আমি চেষ্টা করেছি কৃতজ্ঞতা স্বীকার অংশে দিতে। তবে আরো অনেকের কথায় সেখানে বলা হয়ে ওঠেনি যাদের অবদানে প্রতিদিন আমি কাজ করার উদ্যম পেয়েছি, হতাশা কাটিয়ে উঠেছি, নতুন কিছু শিখেছি।
.
গবেষণাপত্রটি ক্রিয়েটিভ কমন্স ৪.০ অনুসারে প্রকাশিত এবং কপিরাইটের অধিকারী আমরা লেখকগণ। অর্থাৎ এই গবেষণাপত্রটি আনঅল্টার্ড কপি যে কোন মাধ্যমে বিনামূল্যে পুর্ব অনুমতি ব্যাতিরেকে শেয়ার করা যাবে শুধুমাত্র লেখকের ক্রেডিট প্রদান সাপেক্ষে। এই গবেষণা পত্রে উল্লেখ করা তথ্যগুলোতে Creative Commons Public Domain Dedication waiver করা হয়েছে যার অর্থ হলো এই তথ্যগুলো যে কেউ পরবর্তী গবেষণার কাজে কোন পূর্বঅনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবে। আমরা বিজ্ঞানকে আটকে রেখে তথ্য গোপন করার পক্ষপাতী নই।
.
আরো কিছু গবেষণামূলক কাজ এবং তার ফলাফল সামনে নিয়ে আসতে পারবো বলে আশা রাখি। আমার এবং আমার গবেষণা দলের জন্য সবার কাছে দোয়াপ্রার্থী।
গবেষণা পত্রের জন্য মূল লিঙ্কঃ http://rdcu.be/peDK
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৫
অসুন্দর মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ
সময় নিয়ে গবেষণা পত্রটি পড়ার জন্য। আমরা পেপারটিতে কিছু সম্ভাব্য সমাধানের কথা বললেও আলাদা করে আমাদের কোন রিকোমেন্ডেশন রাখি নি কারণ এই গবেষণার কাজ করতে গিয়ে আমাদের মনে হয়েছে সমস্যা উপর থেকে যা দেখা যায় তার থেকে অনেক জটিল এবং সরাসরি সমাধান প্রস্তাবের আগে সমস্ত সমস্যার জট খুলে আনা দরকার। আমরা এই কাজটিকে বেজ ধরে সামনে মে মাস থেকে আরো একটি বিস্তারিত কাজ শুরু করতে যাচ্ছি।
সরকার ইতিমধ্যে একটি খসড়া ওটিসি ড্রাগলিস্ট তৈরি করেছে, যা বর্তমানে মুল্যায়ন চলছে।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪০
সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: অভিনন্দন জানাই সফল গবেষণার জন্য।
আমাদের দেশে বিনা প্রেসক্রিপশনে ওষুধ কিনার বিরুদ্ধে কোনো আইন নেই। অথচ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতেই এই ব্যাপারে কঠোর আইন রয়েছে। আর ডাক্তার এবং জনসংখ্যার যে অনুপাতটা দেখিয়েছেন ১:৩৬০০, বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটা সত্য হলেও, literary অনুপাতটা আসলে ১:১ কারণ আমাদের দেশে প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি সদস্যই একেকজন ডাক্তার(পড়ুন কোয়াক)। এখন সবাই self medication খুব ভালো জানে। নিজের রোগ নিজেই বুঝে আগে আগে ওষুধটা খেয়ে নেয়। তারপর যদি দেখে ঝামেলা আরো বেড়ে গেছে তখন ডাক্তার অথবা তথাকথিত ফার্মেসির শরণাপন্ন হয়।
সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, দেশে যাবতীয় আইন প্রয়োগ হোক।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৮
অসুন্দর মানুষ বলেছেন: ভালো বলেছেন।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনাদের কর্ম কে সাধুবাদ জানাই।
আপনাদের এই গবেষণালদ্ধ ফলাফল বর্তমানে তেমন একটা কার্যকর হবে না বলে আমি মনে করি। এটি হয়ত ভবিষ্যতে কেউ রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। তবে আপনাদের গবেষণা প্রক্রিয়াটি ভালো লেগেছে। সেখোনে, সাক্ষাৎকার, তুলনামূলক, পরিসংখ্যানমূলক, অনুসন্ধানমূলক ও অনুমান নির্ভর বিভিন্ন বিষয়কে এপ্লাই করেছেন। এটা উত্তম গবেষণার একটি ভালো দিক।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০০
অসুন্দর মানুষ বলেছেন: লেখাটি পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
"আপনাদের এই গবেষণালদ্ধ ফলাফল বর্তমানে তেমন একটা কার্যকর হবে না বলে আমি মনে করি।" এমন মনে হবার কারণ ঠিক বুঝতে পারি নি।
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি রাজশাহী শহরে থাকি। এই গবেষণাপত্রটি আমার কাজে দেবে। প্রিয়তে নিলাম।
ধন্যবাদ অসুন্দর মানুষ।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০১
অসুন্দর মানুষ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪২
অশ্রুকারিগর বলেছেন: খুব ভালো লাগল আপনার রিসার্চ পেপারটা পড়ে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০১
অসুন্দর মানুষ বলেছেন: আপনি পড়েছেন জেনে আমারও ভালো লাগলো
৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৪
কালীদাস বলেছেন: কংগ্রাচুলেশনস জার্নালটাও ভাল, বিএমসির কোন জার্নালই নিজেদের স্ট্যান্ডার্ডে কোন ছাড় দেয় না। পেপার পুরোটা পড়িনি, আপনার কি ফাইন্ডিংসগুলো পড়লাম পোস্ট থেকে। পেপারে একটা জিনিষ বাদ গেছে, জানিনা কোন রিভিউয়ার বলেছিল কিনা, আপনারা স্যাম্পলিং প্রসেডিওর সম্পর্কে কিছুই বলেননি, জাস্ট র্যানডম বলে ছেড়ে দিয়েছেন। হিসাব বলে এধরণের স্টাডিতে প্রবাবিলিটি স্যাম্পলিং করা প্রায় বেশ ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার হবে স্যামপ্লিং ফ্রেম জানার জন্য।
এনিওয়ে, ভাল এটেম্পট, চালিয়ে যান। সরকার এসব দেখে না, সরকার টাকা খরচ করে ঘাটের মরা এনে তাদের ভুয়া ফাইন্ডিংস থেকে ডিসিশন নেয়
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৯
অসুন্দর মানুষ বলেছেন: আমরা সিম্পল র্যান্ডম স্যামপ্লিং করেছি, ফার্মাসীগুলোর যে সরকারী লিস্ট আছে সেটাকে সাথে নিয়ে লক্ষ্মীপুরের সব ফার্মাসীর একটা লিস্ট করেছি, সেখান থেকে আমরা র্যান্ডলি ৭৫টা ফার্মাসীকে পিক করেছি। মূল পেপারে আছে সেটা।
ফ্রেম জানতে আমাদের ২ জনকে প্রায় তিন ঘন্টা ঘুরতে হয়েছে, এলাকা ছোট হওয়াতে পেরেছি, আমাদেরটাতে কোন ফান্ডিং ছিল না সবই মূলত ছোট ভাইদের সাথে করা
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমেই অভিনন্দন জানাচ্ছি শ্রমসাধ্য গবেষণা কাজটির সফল পরিসমাপ্তির জন্য। আ্জকাল দেশে মানসম্মত গবেষণা খুব কমই হয়ে থাকে। আপনাদের এ প্রয়াসকে স্বাগত ও সাধুবাদ জানাই।
মূল গবেষণাপত্রটির উপর চোখ বুলিয়ে গেলাম। ৪ নং পৃষ্ঠা থেকে ৭ নং পৃষ্ঠা পর্যন্ত যে Discussion করেছেন তা বেশ তথ্যমূলক এবং যুক্তিপূর্ণ। তবে Discussion এর পরে আপনাদের Recommendation গুলো point আকারে দিলে মনে হয় ভাল হতো।Conclusion এ যে সুপারিশগুলোর উল্লেখ করেছেন, তা আলাদা Recommendation হেডিং এর আকারে আনা যেত।
আশাকরি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ আপনাদের এ গবেষণাটিকে আমলে নেবেন এবং অচিরেই একটি OTC Medicines নীতিমালা প্রণয়ন করবেন।
পোস্টে প্রথম 'লাইক' দিয়ে গেলাম।