নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা ভাষা মানে ভালবাসা।আমি বাঙ্গালী।গর্বিত একজন মানুষ।

অতল মানব

আত্মপরিচয়হীন লেখক

অতল মানব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভঙ্গুর শিক্ষাব্যবস্থা

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

বাংলাদেশ।জন্মভূমি।আমাদের দেশ।পাশ্চাত্য সংস্কৃতি এসে যেমন এদেশের সংস্কৃতিকে ভেঙ্গে দিচ্ছে ঠিক তেমনই ধীরে ধীরে এদেশের শিক্ষাব্যবস্থাও ভাঙ্গার পথে।সে দিন খুব বেশি দূরে নয় যেদিন পুরো বিশ্বের মানুষ এদেশের মানুষদের তেমন দাম দিবে না।
কেনো এমন হচ্ছে ভাই?প্রশ্ন করুন নিজেকে।হচ্ছে আমাদের নিজ দোষে।এখানে একক কারও দোষ না।পুরো জাতি দোষী।
এখন আসুন বিস্তারিত জানি।আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পাশ করেছেন যে এবার থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭ টি সৃজনশীল প্রশ্ন এবং ৩০ টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন থাকবে।গতবার ছিলো ৬ টি এখন ৭ টি।সময় পরিসর কি বৃদ্ধি করেছে? না তা করেনি।২ ঘন্টায় ৭ টি প্রশ্ন তাও আবার সৃজনশীল লেখা কারও জন্য সঠিকভাবে লেখা সম্ভব না।
সৃজনশীল জিনিসটা কি?
নিজের মধ্যের বাহ্যিক জগত হতে প্রাপ্ত জ্ঞান দিয়ে কিছু প্রকাশ করাই সৃজনশীলতা।প্রথমত সৃজনশীল জিনিসটা এনে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা দুর্বল করে দিয়েছে।কারণ উন্নত বিশ্বের Creative Writing নামক জিনিসটার বাংলা হলো সৃজনশীল।উন্নত বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থায় তারা বাইরের জগত থেকে শিক্ষা গ্রহন করে তাদের সেই Creative Writing নামক জিনিস লিখে।তাদের দেশে এর জন্য অনেক সুযোগ থাকে।কোন একটি বিষয় থেকে বিস্তারিত জ্ঞান আহরণ করার জন্য যা আমাদের দেশে নেই।উন্নত বিশ্বের সংস্কৃতি অনুসরণ করতে গিয়ে যেমন সংস্কৃতি ধ্বংস হচ্ছে তেমন শিক্ষাও হচ্ছে।হুটহাট করে কিছু না বদলে দিয়ে সময় নিয়ে তা বদলানো অনেক উত্তম।
এখন বলি গণিত সৃজনশীল নিয়ে।আচ্ছা একবার প্রশ্ন করুন নিজেকে নিজের থেকে বানিয়ে গণিত কি লেখা যায়?গনিত যদি নিজের থেকে বানিয়ে লেখা যেত তাহলে এদেশে হাজার হাজার আইনস্টাইন জন্ম নিতো।গণিতে সৃজনশীল দেওয়া এ জাতির বাড়াবাড়ির প্রকাশ।
সৃজনশীল তো একদিন থেকে আছেই এখন আসি পরীক্ষার নিরাপত্তার কথায়।
প্রশ্ন ফাঁস
এ জিনিসটা বর্তমানে প্রকট হয়ে ধরা দিচ্ছে।একধরনের চুরি যা এদেশে এখন সর্বজনস্বীকৃত।কেউ এ নিয়ে কিছুই বলে না।মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিক বাদ দিলাম,ভার্সিটি পরীক্ষার প্রশ্নও এখন বের হয়ে যাচ্ছে।এবারের মেডিকেল এক্সামে আমার এক পরিচিত ব্যক্তির মেয়ে ৯৬ সঠিক করে আসছে।ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় মেডিকেলের এক্সামে আগে ৮৫ উঠানো দায় হয়ে যেতো।আর এখন ৯৬।আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ ইউনিটের পরীক্ষা,খ ইউনিটের পরীক্ষা দুটোরই প্রশ্ন টাকার বিনিময়ে পাওয়া গেছে বলে এক ছাত্রের কাছে শুনেছি।ভাই টাকা দিয়ে যদি প্রশ্নই কিনতে হয় তাহলে পরীক্ষা নেন কেনো?টাকা দিয়ে সবাইকে ঢুকায় দেন।
আবার যাদের আর্থিক সমস্যা।যারা গরীব মেধাবী তাদের কথা একবার চিন্তা করুন।তারা কিভাবে এমন অসৎ উপায়ে প্রশ্ন কিনে পরীক্ষা দিবে?আর এসবের কারণে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দূর্নিতিবাজ হবে যারা দেশকে ধ্বংস করবে।এরাই দেশ বিদেশে যাবে।দেশের নাম খারাপ করবে।এরাই চিকিৎসা করবে আর রোগী মারবে।
এসবের জন্য দায়ী কে?
আমরা সবাই।
আমরা যদি এভাবে প্রশ্নের দিকে না ছুটতাম তাহলে কেউ প্রশ্ন বিক্রির অথবা ফাঁসের সাহস পেতো না।

আসুন নিজেরা বদলাই।দেশ বদলে যাবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



কস্ট করে টাইপ করেছেন, কোন প্রয়োজনীয় বিষয় নেই; বরং আপনি পেছনে পড়ে থাকা মানুষ।
শিক্ষা নিয়ে আপনার ধারণা নেই।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:১০

অতল মানব বলেছেন: হা হা হা। ভবিষ্যৎ তা বলে দিবে ভাই।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:২৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যা চোখে পড়ার মত। এটা সবাই বুঝছে, কিন্তু ঠিক করায় এগিয়ে আসছে না কেউ ই।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

অতল মানব বলেছেন: নিজেরা না শুধরানো পর্যন্ত কেউ ঠিক করতে পারবে না ভাই।আমরা যদি নিজেরা এর সাথে না জড়িয়ে প্রতিবাদ করি তাহলে কিছু একটা সম্ভব করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.