নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী ব্লগ।

অভিজিত সিংহ

আমি একজন বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী।

অভিজিত সিংহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিকপা ওরারিঃ২ বিষয়হানঃ আমার নীতি-নৈতিকতার উৎস ধর্ম নাগই ।

০১ লা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

এর আগে আলোচনা করেছিলু, আমার মানু আকখুরুম না খালকরলা যে, মানু যদি সত্যিই যদি সৃষ্টির সেরা জীব ইলে তাঙারে কিদিয়া আলাদা আলাদা করিয়া ধর্মের মাধ্যমে নীতি-নৈতিকতা হিকানি লাকতই তা কিদিয়া? তাঙার মধ্যে এরে গুন অহন সহজাত হনার কথা।

এবাকা আহিহিক আমার মানুর মধ্যে নীতি-নৈতিকতা, ভালো মন্দের বিচারনবিবেচনা এতা কোহান্ত আহিলাতা? এরে প্রবৃত্তি কি মানুর সহজাত? সেই উত্তরে যিতও গা, কিন্তু এর আগে চেইক আমার মানুর সাথে অন্যান্য প্রাণীদের, বিশেষ করিয়া আমাদের নিকটাত্মীয় "Great Apes"-দের মধ্যে কিতা কিতা সাদৃশ্য আছিতা।
মানুর সাথে অন্যান্য পশুপাখির সাদৃশ্য

ষোলশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে Rene Descartes বিজ্ঞানি আগয় লিখিছেতে animals are mere machines but man stand alone. তার এরে ধারনা যে হাইহান নাবে, তা বহু পরীক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে আমার সামনে উঠিয়া আহিল।
শিম্পাঞ্জি আহানি পারের
“The Expression of the Emotions in Man and Animals” এরে লেরিখ অহত ডারউইন মাতিছেতা।
If a young chimpanzee be tickled—and the armpits are particularly sensitive to tickling, as in the case of our children,—a more decided chuckling or laughing sound is uttered; though the laughter is sometimes noiseless. The corners of the mouth are then drawn backwards; and this sometimes causes the lower eyelids to be slightly wrinkled. But this wrinkling, which is so characteristic of our own laughter, is more plainly seen in some other monkeys. The teeth in the upper jaw in the chimpanzee are not exposed when they utter their laughing noise, in which respect they differ from us.


হুকাং শিম্পাঞ্জি শৌ আগরে কাতুকুতু দিলে তা আমার মানব শৌ অসারে আচরণ করের। যদিও অনেক সময় আহানি অসারে শব্দ না করের। তার থতাহার কোন পিছবারেদে দিকে টান টান ইয়া যারগা, তলহার আহি অগুর পাতা হুরকাং ইয়া যারগা। তা আতাও খেয়াল করিছে যে, এরে অভিব্যাক্তির লগে আমার মানুর অভিব্যাক্তির চাঙ অহন পার্থক্য নেই।


হুদ্দা শিম্পাঞ্জির মধ্যেই না? গিরকে আতাও লক্ষ্য করলো
Young Orange, when tickled, likewise grin and make a chuckling sound; and Mr. Martin says that their eyes grow brighter. As soon as their laughter ceases, an expression may be detected passing over their faces, which, as Mr. Wallace remarked to me, may be called a smile.
২০১৫ সালে PLoS One পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া একটি গবেষণায় বলা হয়, মানুষ হাসার সময় যে মাংসপেশি ব্যবহার করে, শিম্পাঞ্জীরাও সেই একই পেশীর ব্যবহার করে।
পশু পাখির ভিতরে ও সময়ের হিসাব থইতারাঃ

আমি সময়ের হিসাব কিসারে থরাংতা? খুব সহজ ঘড়ির সাহয্যে। কিন্তু পশু পাখিয়ে? তাণি কিতা সময়ের হিসাব থয়া পারতারাত? উত্তর হান যদি জানা না থার অতাইলে Pavlov এর সেই বিখ্যাত পরীক্ষার কথাহান মনে আসে গো।
Young Orange, when tickled, likewise grin and make a chuckling sound; and Mr. Martin says that their eyes grow brighter. As soon as their laughter ceases, an expression may be detected passing over their faces, which, as Mr. Wallace remarked to me, may be called a smile
২০১৫ সালেPLoS One পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া একটি গবেষণায় বলা হয়, মানুষ হাসার সময় যে মাংসপেশি ব্যবহার করে, শিম্পাঞ্জীরাও সেই একই পেশীর ব্যবহার করে।[এখানে তিনি পশুপাখিদের মধ্যেcircadian rhythm-এর কথা বলছেন। Circadian Rhythm হোল একটি সহজাত প্রাকৃতিক সময় নির্ধারক ব্যাবস্থা, যা পশুপাখিদের সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সাথে সময়ের হিসাব রাখতে সাহায্য করে। আর এই article-এ এইকথাই উল্লেখ করা হচ্ছে যে পায়রা, বানর বা ইঁদুরের মধ্যে এই ব্যবস্থাটির কার্যকারিতার মধ্যে বিশেষ কোন তফাত নেই। এই circadian rhythm পশুপাখিদের মধ্যে তো আছেই, এমনকি অন্ত্রে অবস্থিত সূক্ষ্ম আণুবীক্ষণিক ব্যাকটেরিয়াও এই circadian rhythm-এর দ্বারা পরিচালিত হয়।

এর অর্থ খুবই পরিষ্কার যে মানুর মধ্যে যে circadian rhythm বুনিয়া যেহান আছে,তা কোন ভিন গ্রহত্ত নাহিসে বরং তা বির্বতনের ধারায় পূর্বসুরিত্ত উত্ত্রাধিকার সূত্রে পাছিয়াছিয়াহানে।

মনুষ্যেরতর প্রজাতির ও ভাবাবেগ আছেঃ


মনুষ্যেতের জীবের ভিতরে যে অনুভুতি আছে তা আলাদা আলাদা করিয়া মাতানি দরকার না পড়বো। যেগর ঘরে কুকুর, মেকুর বা অন্য কোন জীবজন্তু থাইলে তাঙি এরে বিষয়ে সাক্ষী দিতাই। যদিও একসময় মানু নিংকরলা যে মানুর যেসারে ভাবাবেগ আছে অন্য প্রাণীরাঙ নেই।

Jane Goodall নামে বিজ্ঞানী আগই ষাটের দশকে বুনো শিম্পাঞ্জি নিয়া গবেষনা আহান শুরু করল। তার উদ্দেশ্য হান আসিল আমার মানুর পূর্ব-পুরুষের আচার আচরন কিসারে আসিল সে বিষয়ে খানি আলোকপাত করানি। তার লেংকরা লেরিখে The Chimpanzees of Gombe: PATTERNS OF BEHAVIOR“ তে তা তার পরীক্ষালব্দ ফলাফল ও পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করিছে যে আমার মানুর মধ্যে এরে বুনো শিম্পাঞ্জিদের আচার আচরণ এবং ব্যবহারের মধ্যে অদ্ভুত সাদৃশ্য লক্ষ্য করিছে। তা আতাও অবাক ইছে যে এরে সাদৃশ্য দেখিয়া যে তাঙারে নাঙহান ধরিয়া ডাকাতি অকরলা। তা অবাক বিষয় লক্ষ্য করিছে এরে বুনো শিম্পাঞ্জি অতাই তাঙার দৈনন্দিন কাজর সুবিদার কা বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যাবহার করতারা।
পরবর্তী গবেষণাগুলি থেকে আরও নতুন তথ্য উঠে আসে। বোঝা যায় মানুষের মতো শিম্পাঞ্জিদের ভাবাবেগ আছে। মানুষের মতো তারাও তাদের ভাবাবেগ এবং মনের অনুভূতি, মুখের অভিব্যক্তির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পারে। হয়তো এই অভিব্যক্তি মানুষের কাছে খুব একটা পরিচিত নয়, কিন্তু বেশ কিছুদিন এই শিম্পাঞ্জিদেরকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করলে এই অভিব্যক্তি শনাক্ত করা কঠিন নয়। মানুষের মতোই শিম্পাঞ্জিরাও একে অপরের অভিব্যক্তি খুব সহজেই বুঝতে পারে এবং তারা এই বিষয়ে খুবই পারদর্শী।
শিম্পাঞ্জির নীতি-নৈতিকতা বোধঃ
Morality মাত্তে আমি যদি নিরপেক্ষতা, ন্যায় পরায়ণতা, স্বার্থপর হীনতা এবং সহানুভূতি হারপারাং, অতাইলে এরে বৈশিষ্ট্যতা হুদ্দা আমার মানুর মধ্যে নাবে, শিম্পঞ্জির ভিতরে পারাং। শতাব্দির পর শতাব্দি ধরিয়া মানু এটা নিঙকরেইয়া আছিতা এরে নীতি -নৈতিকতা, সহানুভূতি, বিবেচনা বুদ্ধি হুদ্দা আমার মানুর ভিতরে বৈশিষ্ট এবং তা এমন এক স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট যেহান মানুরে পশুর গরাঙত্ত আলাদা করিছে। আর এরে ধারনা অহন humanity মাত্তে আমি যেহান হারপাছি, সেই ধারনার এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ আগো ইয়া উবাইয়া আছে।

হুরকা কালেতো আমার মানব শিশু আগরাং দেখরাং, তাঙার মধ্যে হুরকালেতো নিরপেক্ষতা, সততা ও সুবিচারের বোধ থার। তাঙি হুরকা কালেতো সহমর্মী, পরহিতৈষী এবং পরোপকারী। অনেক সময় তাঙি আগে অন্যগরে সাহায্য করতারা, কোন লাভের আশায়। এই জন্য তাঙারে কোন ধর্মীয় শিক্ষা দেনা না লাগের।
এই স্বভাব নিরপেক্ষতা, সততা ও ন্যায্যতার বোধ মনুষ্যেতর প্রাণী মধ্যেও দেখা যায়। কতগুলি বাঁদরকে নিয়ে করা একটি গবেষণায় দেখা যায়, একই কাজের জন্য যখন তারা সমান পুরস্কার পায়, তখন সবকটি বাঁদর খুশি থাকে। কিন্তু একজনকে কোন ভালো কিছু বা বেশি কিছু দিলে, তখন অন্যরা আর আগের মত সেই পুরস্কারটি গ্রহণ করতে চায় না।
তার মানে বোঝা গেল শিম্পাঞ্জিরা নিজের ভালোটা বোঝে। কিন্তু শুধু কি তাই? তারা কি শুধুই স্বার্থপর? ২০১৩ সালে প্রকাশিত আরেকটি স্টাডিতে দেখা গেল তারা একে অপরের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। যদি কোন শিম্পাঞ্জি দেখে তাদের গোষ্ঠীর কোন সদস্যের খাবারের অভাব আছে, তাহলে তারা নিজেদের খাবার ভাগ করে নেয়। তাদের এই আচরণ ঠিক মানুষেরই মত।
২০০৬ সালে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় দেখা গেল, ঠিক মানব শিশুর মতো শিম্পাঞ্জিরাও একে অপরকে সাহায্য করতে করে এবং এটি তাদের একটি সহজাত প্রবৃত্তি। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেল শিম্পাঞ্জিরা তাদের গোষ্ঠীর কোন এক সদস্যকে একটি দরজা খুলে খাবারের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে এবং সেই কাজ করতে গিয়ে তারা কোন রকম লাভ-ক্ষতির তোয়াক্কা করে না। কিছু গবেষণায় দেখা গেল শুধুমাত্র শিম্পাঞ্জি নয়, ইঁদুরের মধ্যেও গোষ্ঠীর অন্য সদস্যের প্রতি একই রকম সহানুভূতি এবং সহমর্মিতা প্রকাশ পায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.