নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
**আমি একজন দেশ প্রেমিক** আমার পরিচয় অত্যন্ত সরল, কিন্তু গর্বের। আমি একজন দেশ প্রেমিক। আমার হৃদয়ে সবসময় আমার প্রিয় দেশ এবং এই দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল চিন্তা দানা বাঁধে। তাদের উন্নতি, সুখ-শান্তি এবং সুরক্ষা নিয়ে আমি সারাক্ষণ ভাবিত থাকি। এদেশের প্রতিটি কণা, প্রতিটি মানুষ আমার কাছে অনন্য। আমার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, এবং দায়িত্ববোধ সবসময় আমার দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত। নিজের সম্পর্কে বলার মতো আর কিছু নেই, কারণ আমার অস্তিত্বের প্রতিটি নিঃশ্বাস, প্রতিটি ভাবনা আমার দেশ এবং সাধারণ মানুষের জন্য।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৫ আগস্ট ২০২৪ একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। দীর্ঘদিনের দমন-পীড়ন, ভোট কারচুপি, লুটপাট ও স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ অবশেষে ক্ষমতা হারিয়েছে। শেখ হাসিনা, যিনি একযুগ ধরে রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে ধরে ছিলেন, শেষ পর্যন্ত পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জনগণের বিজয় হয়েছে, আর বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরে আসার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
স্বৈরাচারের পতনের কারণ: কেন আওয়ামী লীগ টিকতে পারল না?
আওয়ামী লীগের পতন আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়; এটি ছিল দীর্ঘদিনের অন্যায়, দুর্নীতি ও গণবিরোধী নীতির ফলাফল। কেন আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা হারালো?
১. প্রহসনের নির্বাচন ও জনগণের প্রতিরোধ
২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আগের রাতে ব্যালট ভর্তি করে, প্রশাসনকে ব্যবহার করে, এবং বিরোধীদের দমন করে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু ২০২৪ সালে জনগণ তাদের এই কৌশল আর মেনে নেয়নি। জনগণের ব্যাপক প্রতিরোধ, আন্তর্জাতিক চাপ ও অভ্যন্তরীণ দলীয় দ্বন্দ্ব আওয়ামী লীগকে দুর্বল করে ফেলে।
২. প্রশাসনের ভেতরে বিভক্তি ও অবাধ্যতা
একসময় যেসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আমলারা আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিল, তারাই একপর্যায়ে দলটির অপশাসন নিয়ে বিরক্ত হয়ে ওঠে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আমলাতন্ত্রের ভেতরে বিভক্তি তৈরি হয়, যা শেখ হাসিনার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ দুর্বল করে ফেলে।
৩. আন্তর্জাতিক সমর্থন হারানো
আওয়ামী লীগ বরাবরই ভারতসহ কিছু বিদেশি শক্তির সমর্থনে টিকে থাকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক মহল বুঝতে পারে যে, শেখ হাসিনা আর ক্ষমতায় থাকার যোগ্য নন। তারা গণতন্ত্রের দাবিতে সমর্থন জানায়, এবং আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
৪. দুর্নীতি ও অর্থ লুটপাট
বিগত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সম্পদের পাহাড় গড়ার খবর ফাঁস হতে থাকে। বিদেশে পাচার হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা জনগণকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। শেখ হাসিনার পরিবারসহ দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে, যা তাদের জনপ্রিয়তাকে আরও কমিয়ে দেয়।
৫. শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়া: ক্ষমতা ধরে রাখার শেষ চেষ্টা ব্যর্থ
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন চূড়ান্ত হয়, যখন শেখ হাসিনা গোপনে দেশ ছাড়েন। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, তিনি ভারত রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে আছেন। তার এই পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং দলটির চূড়ান্ত ভাঙন নিশ্চিত হয়।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ: নতুন ভোরের সূচনা
আওয়ামী লীগের পতন মানেই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনর্জন্ম। এখন দেশের জন্য নতুন সুযোগ এসেছে—
✅ নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন
✅ প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা
✅ দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা
✅ নতুন নেতৃত্বের উত্থান
বাংলাদেশের জনগণ আজ স্বৈরতন্ত্রের হাত থেকে মুক্ত। আওয়ামী লীগ ইতিহাসের পাতায় শুধুই এক ভয়ংকর অধ্যায় হিসেবে থেকে যাবে।
শেষ কথা
৫ আগস্ট ২০২৪ প্রমাণ করেছে যে, গণতন্ত্রকে দমিয়ে রাখা যায়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জনগণের বিজয় নিশ্চিত। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, আওয়ামী লীগ বিলুপ্তির পথে, আর বাংলাদেশ নতুন সূর্যের আলোয় আলোকিত হচ্ছে।
এখন সময় নতুন বাংলাদেশ গড়ার—জনগণের বাংলাদেশ!
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: আরো অনেক খেলা বাকি আছে।
অপেক্ষা করুন আর দেখুন।