নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

**আমি একজন দেশ প্রেমিক**আমার পরিচয় অত্যন্ত সরল, কিন্তু গর্বের। আমি একজন দেশ প্রেমিক। আমার হৃদয়ে সবসময় আমার প্রিয় দেশ এবং এই দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল চিন্তা দানা বাঁধে।

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ

**আমি একজন দেশ প্রেমিক** আমার পরিচয় অত্যন্ত সরল, কিন্তু গর্বের। আমি একজন দেশ প্রেমিক। আমার হৃদয়ে সবসময় আমার প্রিয় দেশ এবং এই দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল চিন্তা দানা বাঁধে। তাদের উন্নতি, সুখ-শান্তি এবং সুরক্ষা নিয়ে আমি সারাক্ষণ ভাবিত থাকি। এদেশের প্রতিটি কণা, প্রতিটি মানুষ আমার কাছে অনন্য। আমার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, এবং দায়িত্ববোধ সবসময় আমার দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত। নিজের সম্পর্কে বলার মতো আর কিছু নেই, কারণ আমার অস্তিত্বের প্রতিটি নিঃশ্বাস, প্রতিটি ভাবনা আমার দেশ এবং সাধারণ মানুষের জন্য।

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“বিবেকহীনদের জন্য কিছু প্রশ্ন”

২৫ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০

ফেসবুকে দেখি কিছু মানুষ “আপা আপা” বলে চাটুকারিতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। মনে হয় তাদের আত্মা পর্যন্ত বেরিয়ে যাবে, তবু তারা অন্ধভক্তি ছাড়বে না! প্রশ্ন হলো—আপনারা কি সত্যিই অন্ধ, নাকি জানতেন সবকিছু, কিন্তু স্বার্থের জন্য মুখ বুজে ছিলেন?

৫ আগস্টের রক্তাক্ত ইতিহাস

৫ আগস্ট ২০২৪-এর আগে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার বুকে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে। নিরীহ তরুণদের হত্যা করা হয়েছে, হাজারো মানুষকে গুম করা হয়েছে। গণতন্ত্রের দাবিতে রাজপথে নামা প্রায় ২০০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, হাজারো আহত হয়েছে।

এই স্বৈরাচারী সরকার একে একে শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সাধারণ জনগণ, এমনকি নিরপরাধ পথচারীকেও রেহাই দেয়নি। পুলিশি নির্যাতন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড—সবকিছু মিলিয়ে দেশে এক ভয়ঙ্কর দুঃশাসন কায়েম হয়েছিল।

তাহলে এখন কিছু মানুষ কীভাবে এই হত্যাকারীদের সমর্থন করে? আপনাদের কি এতটাই স্বার্থপর মনে হয়েছে, নাকি ভয় পেয়েছেন?

বিএনপির নেতাকর্মীরা কি পালিয়েছে?

একটি দল ১৬ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, নেতা-কর্মীরা কারাগারে যাচ্ছে, তবুও তারা পালিয়ে যাচ্ছে না। বিএনপির কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়ে আত্মগোপন করেনি। বরং আন্দোলন চালিয়ে গেছে, জনগণের জন্য রাজপথে থেকেছে।

তাহলে প্রশ্ন হলো—বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর এই বর্বর নির্যাতন চালিয়েও আওয়ামী লীগ এত ভয় পায় কেন? কারণ তারা জানে, বিএনপি কখনো আপস করেনি, করবে না।

জামায়াতকে রাজাকার বলার আগে ইতিহাস জানুন

আজ আওয়ামী লীগ বলছে জামায়াত রাজাকার! কিন্তু ১৯৯৬ সালের আগে এই আওয়ামী লীগ-ই জামায়াতের সাথে হাত মিলিয়ে সংসদে গিয়েছিল।

২০০৮-এর আগেও আওয়ামী লীগ জামায়াতের সাথে সমঝোতা করতে চেয়েছিল। তখন কি তাদের মনে ছিল না যে জামায়াত যুদ্ধাপরাধী? তখন কি হত্যা-গুমের কথা মনে ছিল না? আসলে আওয়ামী লীগের কাছে ইতিহাস শুধুই রাজনৈতিক ফায়দার হাতিয়ার।

আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত হবে? ভুল ভাবনা!

যারা মনে করেন আওয়ামী লীগ আবার স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতায় ফিরবে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। এমন একটি দল, যার বিরুদ্ধে ২০০টির বেশি হত্যা মামলা, যার হাত হাজার হাজার মানুষের রক্তে রঞ্জিত—সেটা কি সহজে স্বাভাবিক রাজনৈতিক দলে পরিণত হতে পারে?

স্বৈরশাসকরা চিরকাল টিকে থাকতে পারে না। ফেরাউনের পরিণতি দেখুন, হিটলারের পরিণতি দেখুন, সাদ্দাম হোসেনের পরিণতি দেখুন। তাদের পতন হয়েছে, কারণ ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।

জিয়াউর রহমান ও আওয়ামী লীগের প্রতারণা

যারা আজ বিএনপিকে দোষ দেন, তারা মনে রাখুন—জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু কৃতজ্ঞতার পরিবর্তে আওয়ামী লীগ ভারতের ইন্ধনে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করল।

তারপরও বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করেনি। জিয়াউর রহমানের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বিএনপি আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যা করেনি।

আওয়ামী লীগ কেবল হত্যা আর প্রতিশোধের রাজনীতি জানে

শেখ হাসিনা তার বাবার হত্যার বিচার করেছে, কিন্তু সে বিচার কি পক্ষপাতদুষ্ট ছিল না? সে বিচার কি আইনের শাসন মেনে হয়েছিল?

এছাড়াও, এই সরকার যাদের ইচ্ছা “রাজাকার” ট্যাগ দিয়ে ফাঁসি দিয়েছে, অসংখ্য বিরোধী নেতা-কর্মীকে গুম করেছে, খুন করেছে।

স্বৈরাচার কখনো ফিরে আসে না, যদি আসে, তবে আদালতের কাঠগড়ায়

যারা আজ আওয়ামী লীগকে বাঁচানোর জন্য গলা ফাটাচ্ছেন, তারা কি নিশ্চিত যে একদিন আওয়ামী লীগকেও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে না?

যারা “আপা আপা” করে অন্ধভক্তির চরম দৃষ্টান্ত দেখাচ্ছেন, তারা একটু চোখ খুলে দেখুন—এই সরকার একদিন আপনাদেরও ছুড়ে ফেলবে, যেমন অতীতে অনেককে ফেলেছে।

উন্নয়নের নামে প্রতারণা

আওয়ামী লীগ বলে, তারা উন্নয়ন করেছে! কিন্তু যদি ৫০ হাজার কোটি টাকা চুরি করা হয়, আর মাত্র ৩ কোটি টাকা দিয়ে রাস্তা বানানো হয়, সেটাকে উন্নয়ন বলে না। সেটা প্রতারণা বলে।

“অন্ধ আনুগত্য নয়, বিবেককে জাগ্রত করুন”

যদি একটি দল নিজের নেতা-কর্মীদের বিপদে ফেলে পালিয়ে যায়, তাহলে সেই দলের পক্ষে দাঁড়ানোর কোনো মানে থাকতে পারে? আমি যদি এমন দলের কর্মী হতাম, তাহলে ঘৃণাভরে সেই দলকে বর্জন করতাম। কারণ আমার বিবেক এবং আত্মসম্মান আছে।

তাই বলছি—অন্ধ আনুগত্য ছেড়ে সত্যকে জানুন, ইতিহাস পড়ুন। ফেসবুকে অযথা চাটুকারিতা করে লাভ নেই। একদিন যখন সাধারণ মানুষের রোষানলে পড়বেন, তখন বুঝতে পারবেন কাদের পেছনে অন্ধভাবে ছুটেছিলেন।

বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে—এই স্বৈরাচারকে আর চায় না! এবারের আন্দোলন হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের, স্বৈরাচার পতনের।

সত্য বলুন, বিবেক জাগ্রত রাখুন, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

চেংগিস খান বলেছেন:





আপনি নিজকে বিকেকবান মনে করেন? আপনার লেখা পোষ্ট পড়ে ব্লগারেরা কি আপনাকে বিকেকবান বলেন?

আপনি কি মনে করেন যে, আপনি আধুনিক বিশ্বের রাজনীতি বুঝেন? ১ জন জাপানী কিংবা সুইডিস রাজনৈতিক পোষ্ট লেখক কি আপনার ষ্টাইলে লেখেন? আপনার লেখায় কোন ভালো ও সঠিক রাজনৈতিক ভাবনার পরিচয় নেই।

২৫ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: আপনার মন্তব্য বেশ মজার! তবে আমি যুক্তি ও বাস্তবতার ভিত্তিতেই কথা বলি, তাই আপনার প্রশ্নের উত্তরও বাস্তবতার আয়নায় দেব।

আপনি জিজ্ঞাসা করেছেন, আমি কি বিবেকবান?—
হ্যাঁ, আমি বিবেকবান বলেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলি। আপনি কি চান আমি স্বৈরশাসকদের অন্যায়কে বৈধতা দিই? তাহলে তো বিবেক বিক্রি করতে হয়!

আপনি বলছেন, আমি আধুনিক বিশ্বের রাজনীতি বুঝি না?—
তাহলে বলুন, যে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম হয়, ভোট হয় রাতের আঁধারে, বিরোধীদের গুম-খুন করা হয়, সেই দেশকে আপনি আধুনিক গণতান্ত্রিক দেশ বলবেন?

আপনি সুইডেন বা জাপানের লেখকদের উদাহরণ দিয়েছেন—
দেখুন, সুইডেন-জাপানের লেখকদের আমাদের মতো গুলি খাওয়া লাগে না, গুমের ভয় থাকে না, রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি হয় না। তাই তারা শান্তভাবে লেখেন, আর আমরা লিখি রক্তের দাগ মুছে দিয়ে। আপনি কি চান, আমরা নির্যাতিত হয়েও নিরব থাকি?

আমার লেখা আপনার ভালো না লাগতেই পারে, কারণ আমি সত্য বলি, আর সত্য অনেকের গায়ে লাগে। তবে প্রশ্ন এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই—আপনি কি গণতন্ত্রহীনতাকে সমর্থন করেন, নাকি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস রাখেন?

২| ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

চেংগিস খান বলেছেন:




আপনি লিখেন যে, বিএনপি নেতারা ও কর্মীরা পালায়নি; আপনি ইহার কারণ জানেন? জানলে, উত্তরে লিখুন।

২৫ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: নিশ্চয়ই জানি, এবং আমি যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করব, যাতে আপনি পাল্টা প্রশ্ন করার সুযোগ না পান।

বিএনপি নেতারা ও কর্মীরা কেন পালায়নি?
1. বিএনপি জনগণের দল, দালালের দল নয় – আওয়ামী লীগের মতো ভারতীয় হাইকমিশনের অনুমতি নিয়ে চলতে হয়নি বিএনপিকে। তারা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে, বিদেশি মদদে নয়।
2. বিএনপি’র আদর্শ ও নেতৃত্ব দৃঢ় – ১৬ বছর ধরে ভয়াবহ দমন-পীড়ন, গুম, খুন, মামলা-হামলা সহ্য করেও বিএনপির শীর্ষ নেতারা দেশ ছাড়েনি। বরং খালেদা জিয়া জেলে থেকেছেন, তারেক রহমান নির্বাসনে থেকেও রাজনীতি করেছেন।
3. আওয়ামী লীগের মতো বিশ্বাসঘাতকতা করেনি – আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে পালিয়ে ভারত ও ইউরোপে আশ্রয় নিয়েছিল, শেখ হাসিনাও ১৯৮১ সালে লন্ডন ও দিল্লির শেল্টারে ছিলেন। অথচ বিএনপি নেতৃত্ব জনগণের মাঝে ছিল, থাকবে।
4. আওয়ামী লীগ চোর ও ডাকাতদের দল, বিএনপি নয় – চুরি করলে পালাতে হয়, যেমন আওয়ামী দালালরা ৫ আগস্ট ২০২৪ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। বিএনপি তো রাষ্ট্র লুট করেনি, তাই পালানোর প্রশ্নই আসে না।

সুতরাং, প্রশ্ন করার আগে ইতিহাসটা ভালো করে পড়ুন। আর পালিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলতে চাইলে, আগে আপনার নেত্রী কোথায় সেটা খুঁজে বের করুন!

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:১০

চেংগিস খান বলেছেন:



বাংলাদেশে ১ম আমেরিকান ক্যু'এর (১০৭৫ সাল ) পর, জেনারেল জিয়া অন্য জেনারেলদের নিয়ে ক্যান্টমেন্টে বসে বিএনপি গঠন করেছিলো; ইহা মিলিটারীর দল।

এবার বিএনপি পালায়নি কারণ, আমেরিকান দুতাবাস, তাদেরকে এবারের ক্যু সম্পর্কে অপ্রিম জানায়েছিলো।

২৬ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৭:০৯

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: আপনার উক্তি ঐতিহাসিক বিকৃতি এবং ভিত্তিহীন মিথ্যাচারের উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

১. বাংলাদেশে “আমেরিকান ক্যু” ১০৭৫ সালে হয়েছিলো—এটি কীভাবে সম্ভব?
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মই ১৯৭১ সালে, আর আপনি বলছেন ১০৭৫ সালের কথা! ইতিহাস বিকৃতির এমন হাস্যকর প্রচেষ্টা দেখেও লজ্জা লাগে।
2. বিএনপি মিলিটারি দল?
যদি বিএনপি মিলিটারি দল হতো, তবে ১৯৯০ সালে গণআন্দোলনের মুখে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়তো না। বরং, আওয়ামী লীগ যেভাবে গণতন্ত্র হত্যা করে ১৫ বছর ধরে লুটপাট করছে, বিএনপিও তাই করতো।
3. “বিএনপি পালায়নি কারণ আমেরিকা ক্যু সম্পর্কে জানায়নি”—
বিএনপি পালায়নি কারণ তারা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সাল থেকে একদলীয় ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দিয়ে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। বিএনপি পালানোর দল নয়, আওয়ামী লীগের মতো ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাসত্বও করে না।

আপনার বক্তব্যের মধ্যে কোনো ঐতিহাসিক সত্যতা নেই, শুধু বিকৃত ইতিহাস, মিথ্যা প্রচার, এবং আওয়ামী প্রপাগান্ডার ছায়া দেখা যায়। আপনি যদি সত্যিকারের ইতিহাস জানতে চান, তাহলে কেবল আওয়ামী দালালদের মুখে নয়, আন্তর্জাতিক গবেষণা ও নিরপেক্ষ সূত্র থেকে জানার চেষ্টা করুন।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:১২

চেংগিস খান বলেছেন:



আপনার বেশ কিছু পোষ্ট পড়ে আমার মনে হয়েছে যে, আপনি আধুনিক সময়ের রাজনীতি বুঝেন না; বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও পরের ৫৪ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝেন না।

২৬ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৭:১১

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: আপনার বক্তব্যের ভিত্তি কতটুকু, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।

১. “আধুনিক রাজনীতি বুঝি না” –
আধুনিক রাজনীতি মানে কি একদলীয় ফ্যাসিবাদ? জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতা দখল করাকে কি আপনি আধুনিক রাজনীতি বলছেন? তাহলে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা পাল্টে ফেলতে হবে।
2. “বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও ৫৪ বছরের ইতিহাস বুঝি না” –
আমি ইতিহাস জানি বলেই বলতে পারি, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের দল হলেও, ১৯৭৫ সালে তারা একদলীয় BAKSAL কায়েম করেছিল, যা ছিল স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের দল, জিয়াউর রহমানই বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

আপনি ইতিহাস জানার নামে শুধু আওয়ামী প্রপাগান্ডা প্রচার করছেন। প্রকৃত ইতিহাস জানতে নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক গবেষণাগুলো পড়ুন, শুধুমাত্র দলীয় বই বা গুজব নয়।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:২৯

চেংগিস খান বলেছেন:




আপনি বলেছেন, "আমার লেখা আপনার ভালো না লাগতেই পারে, কারণ আমি সত্য বলি, আর সত্য অনেকের গায়ে লাগে "

-আপনার নিজের রাজনৈতিকম ধারণা সব সময় আপনার কাছে "সত্য" বলে মনে হতে পারে; উহা যে, আসলে সত্য তা জানার জন্য আপনাকে আধুনিক রাজনীতি বুঝতে হবে।

২৬ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৭:১৩

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: আপনার যুক্তি ভিত্তিহীন এবং একপাক্ষিক। সত্য কোনো ব্যক্তিগত মতামত নয়, এটি নির্ভর করে ইতিহাস, প্রমাণ এবং বাস্তবতার ওপর।

১. “আমার রাজনৈতিক ধারণা সত্য বলে মনে হতে পারে” –
এটি আমার একার বিশ্বাস নয়, ইতিহাস ও বাস্তবতা বলে। গণতন্ত্র মানে নিরপেক্ষ নির্বাচন, জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, এবং ক্ষমতার পালাবদল। কিন্তু আপনি যদি একদলীয় দুঃশাসনকেই আধুনিক রাজনীতি মনে করেন, তাহলে আপনার বোঝাপড়াতেই সমস্যা রয়েছে।

২. “সত্য জানার জন্য আমাকে আধুনিক রাজনীতি বুঝতে হবে” –
আধুনিক রাজনীতি বুঝতে হলে আপনাকে আওয়ামী লীগের একচেটিয়া শাসন, ভোট ডাকাতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, এবং আন্তর্জাতিক রিপোর্টগুলো পড়তে হবে। শুধু দলীয় প্রচার শুনলে সত্য কখনোই ধরা দেবে না।

আপনি আসলে কী বোঝাতে চাচ্ছেন? আধুনিক রাজনীতি মানে কি স্বৈরতন্ত্রকে জায়েজ করা? নাকি সত্য বিকৃত করে একদলীয় শাসন চাপিয়ে দেওয়া?

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:০৫

চেংগিস খান বলেছেন:




জিয়া শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনেনি, শেখ হাসিনা দেশে ফিরতে পেরেছে ইন্দিরা গান্ধীর কারণে। জিয়াকে আওয়ামী লীগ তো দুরের কথা, আমেরিকাও সহজে হত্যা করতে পারতো না; উহাকে হত্যা করেছে ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা অফিসার। আপনি দেশের ইতিহাস বুঝেন বলে মনে হয় না।

২৬ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৭:১৬

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: আপনার বিকৃত ইতিহাসের অপপ্রচার রুখতে কিছু বাস্তব তথ্য তুলে ধরছি—

১. “জিয়া শেখ হাসিনাকে ফেরত আনেনি” –
মিথ্যা! শেখ হাসিনার দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হয় জিয়াউর রহমানের সময়েই। জিয়া ১৯৭৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার পাসপোর্ট ইস্যু করার অনুমতি দেন, যা তাকে দেশে ফেরার পথ তৈরি করে। যদি ইন্দিরা গান্ধীই তাকে ফেরানোর ব্যবস্থা করতেন, তাহলে তিনি ১৯৭৫-১৯৭৮ পর্যন্ত দেশে ফিরতে পারলেন না কেন?
2. “জিয়াকে আমেরিকা বা আওয়ামী লীগ নয়, ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা অফিসার হত্যা করেছে” –
মোটেও সত্য নয়! জিয়াউর রহমানের হত্যার নেপথ্যে ছিল গভীর ষড়যন্ত্র। সামরিক-বেসামরিক অনেক পক্ষ এতে জড়িত ছিল, যার মধ্যে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। “১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা অফিসার” বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা আসলে সত্য আড়াল করার প্রচেষ্টা।

আপনি যদি সত্যিকারের ইতিহাস জানতে চান, তাহলে শুধু দলীয় প্রচার শুনবেন না। নিরপেক্ষ গবেষণা, ঐতিহাসিক তথ্য, এবং আন্তর্জাতিক দলিলপত্র পড়ুন। বিকৃত ইতিহাস চালিয়ে দিয়ে সত্য লুকানো যাবে না!

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:০৮

চেংগিস খান বলেছেন:




১৯৭১ সালে, শিরিরের রাজাকারেরা ও জামাতের রাজাকারেরা মিলে কয়েক লাখ বনাগগালী হত্যা করেও আজকে রাজনীতি করছে; আওয়ামী সরকার সামান্য কিছু মানুষ হত্যা করার পর, দল কেন রাজনীতি করতে পারবে না? সরকারে দলের সবাই ছিলো কিনা?

২৬ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৭:১৯

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: আপনার বক্তব্য সরাসরি গণহত্যাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ভয়ংকর! কিছু মূল পয়েন্টে আপনার যুক্তির অসারতা তুলে ধরা হলো—

১. রাজাকারেরা ১৯৭১ সালে গণহত্যা চালিয়েছে, তাই আওয়ামী লীগও মানুষ হত্যা করতে পারবে?

→ আপনি নিজেই স্বীকার করলেন যে আওয়ামী লীগ সরকার “সামান্য কিছু মানুষ হত্যা করেছে”—এর মানে, আপনি রাষ্ট্রীয় হত্যার পক্ষ নিচ্ছেন! হত্যার সংখ্যা কম-বেশি হলে কি তা ন্যায়সঙ্গত হয়ে যায়?

২. “সরকারি দলের সবাই ছিল কি না?”

→ কোন সরকার? যে সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করে, ভোট চুরি করে, বিরোধী দল দমন করে, গুম-খুন চালিয়ে যায়, তারা গণতান্ত্রিক দল হতে পারে না।

৩. আপনার নীতি কী? গণহত্যা বৈধ, যদি সেটা আওয়ামী লীগ করে?

→ আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে, ১৯৭১ সালের দালালদের বর্বরতার কারণে আওয়ামী লীগ আজকে মানুষ হত্যা করতে পারে? যদি তাই হয়, তাহলে আপনি গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ও ন্যায়বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন।

সত্য হলো: হত্যা, গুম, নির্যাতন—কারো জন্যই বৈধ নয়। যারা ১৯৭১ সালে অপরাধ করেছিল, তাদের বিচার যেমন হওয়া উচিত, তেমনি বিগত দিনে যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে হত্যা চালিয়েছে, তাদের বিচারও হতে হবে!

৮| ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:১৩

নিমো বলেছেন: জামায়াত শিবির রাজাকার এটা ইতিহাসের পরম ও চিরন্তন সত্য। আওয়ামী লীগের বলা বা না বলায়, কিংবা বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ায়ও এটা বদলে যাবে না।

২৬ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৭:২৩

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: আপনার বক্তব্য একপাক্ষিক ও প্রোপাগান্ডামূলক। ইতিহাস কখনো কোনো দল বা গোষ্ঠীর হাতে বন্দি নয়। কিছু মূল পয়েন্ট তুলে ধরছি—
1. “জামায়াত-শিবির রাজাকার, এটা চিরন্তন সত্য”—
→ ১৯৭১ সালে জামায়াতের কিছু নেতার ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক আছে, কিন্তু রাজনীতি দলগতভাবে নয়, ব্যক্তি ও নীতির ওপর নির্ভর করে।
→ যদি শুধু অতীতের দায়ে দলকে রাজাকার বলা হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের মদদে যারা একসময় পাকিস্তানপন্থী ছিল, তাদের কী বলা হবে?
2. “আওয়ামী লীগ বলুক বা না বলুক, এটা বদলাবে না”—
→ তাহলে আওয়ামী লীগ যখন ১৯৯৬ সালে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা করেছিল, তখন কি তারা হঠাৎ ভালো হয়ে গিয়েছিল?
→ ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা নিজে কেন বলেছিলেন যে, জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য হতে পারে?
3. “বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লেও এটা বদলাবে না”—
→ আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েম করে একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিয়েছিল, সেটাও ইতিহাসের চিরন্তন সত্য।
→ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিনতাই করে গণতন্ত্র হত্যা করাটাও সত্য।

আপনার ইতিহাসের পাঠ নির্বাচনী ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইতিহাসের সব দিক জানা উচিত, শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ মার্কা প্রোপাগান্ডা নয়!

৯| ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৭:৩১

নিমো বলেছেন: যদি শুধু অতীতের দায়ে দলকে রাজাকার বলা হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের মদদে যারা একসময় পাকিস্তানপন্থী ছিল, তাদের কী বলা হবে?
রাজাকারই বলা হবে।

তাহলে আওয়ামী লীগ যখন ১৯৯৬ সালে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা করেছিল, তখন কি তারা হঠাৎ ভালো হয়ে গিয়েছিল?
আওয়ামী লীগের কোন কিছু করাকরিতেতো জা-শির রাজাকারিত্ব খারিজ হয়ে যায় না।

২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা নিজে কেন বলেছিলেন যে, জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য হতে পারে?
সেটা হাসিনাই বলতে পারবে। এসব বলেও জা-শির রাজাকারিত্ব খারিজ করতে পারবেন না।

আপনার ইতিহাসের পাঠ নির্বাচনী ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইতিহাসের সব দিক জানা উচিত, শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ মার্কা প্রোপাগান্ডা নয়!
হা!-হা! আপনার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ডেটাসেট খুব উন্নত নয়। আরও ভালো করে ট্রেইন করতে হবে। ভালো থাকুন।

২৬ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:৫৩

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: আপনার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ডেটাসেট উন্নত নয়” →
→ আমি একজন ব্লগার, ইতিহাসের ছাত্র, এবং সত্য বলার সাহস রাখি। আপনি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, যা দুর্বল যুক্তিরই বহিঃপ্রকাশ।
→ তথ্য যখন আপনাকে পরাজিত করে, তখনই আপনি প্রসঙ্গ পাল্টান।

১০| ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:০৮

নিমো বলেছেন: কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: আপনি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, যা দুর্বল যুক্তিরই বহিঃপ্রকাশ।

তাই নাকি। দয়া করে একটু ad hominem নিয়ে জানুন। জা-শির রাজাকারিত্ব স্বীকৃত। আওয়ামী লীগকে টেনে এনে জা-শির রাজাকারিত্ত শোধরানোর সুযোগ নেই। এখানে পরাজয়ের কিছু নেই, সত্য ইতিহাসে উন্মোচিত হয়েই আছে, ঢাকনা দেয়ার চেষ্টা নাই বা করলেন।

১১| ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখা পড়লাম।

১২| ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:২৯

ক্লোন রাফা বলেছেন: লিখলেন কি আর প্রমাণ করলেন কি⁉️কানা হয়ে অন‍্যদের কানা বলা‼️পুরো ব‍্যপারটা হ, য,ব,র,ল॥

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.