নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তারু্েণ্যর উচ্ছাস

শিশির বিনদ্ু

শিশির বিনদ্ু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রেক-আপের পর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আমরা মানুষেরা খুবই মায়া প্রবণ। এই গুনটা আমাদেরকে মানুষ বানিয়েছে আবার এই গুণের কারণেই আমরা ক্ষতিগ্রস্থ। হ্যা আমি জানি, আমি জানি হঠাৎ বদলে যাওয়া মেয়েটা বা ছেলেটার অনুপস্থিতি আপনাকে পুরোই এলোমেলো করে দিয়েছে। আপনি এই মায়া কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। সবকিছুই বেসামাল হয়ে গেছে আপনার। কিছুই ভুলতে পারছেননা আপনি।এইদিকে কথা না রাখা মানুষটা আপনার চোখের সামনে আপনার চেয়ে বেটার আরেকজন সংগী নিয়ে দিব্যি আরামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তো? ... তো কি করবেন আপনি?? রিভেঞ্জ নিবেন?? মোবাইলে লুকিয়ে রাখা ভিডিওগুলো পাবলিকের কাছে প্রকাশ করে দিবেন?? ভয়েস রেকর্ডিং গুলো ওদের বাসায় পাঠাবেন?? রাস্তা ঘাটে ওদেরকে বিব্রতকর পরিস্থিতে ফেলে দিবেন?? সবার সামনে গায়ে হাত তুলবেন?? গালে থাপ্পর বসাবেন??



লাভটা কি হবে একটু বলবেন?? শান্তি পাবেন?? এগুলো করার পর কতটুকু তৃপ্তি পাবেন আপনি?? করার পর কি দুনিয়ার সব শান্তি আপনার উপর এসে ভর করবে?? দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী ব্যাক্তিতে পরিণত হবেন আপনি?? গ্যারান্টি আছে আপনার কাছে?? থাকলে আপনি এগুলোই না আরো কিছু করতে পারেন, কারণ আপনার শান্তি আপনি নিশ্চিত করবেন এতে কারো কিছু যাবে আসবেনা। কিন্তু আদৌ কি আপনি খুব সুখে থাকবেন??

তাহলে কেন করবেন এসব?? কেন সমাজের কাছে ছোট হবেন?? শুধুমাত্র সবার কাছ থেকে একটু সিম্প্যাথি পাওয়ার জন্য কেন এসব করতে যাবেন??



হুম তারপর ও কথা আছে, তাহলে যে আপনার সাথে বিট্রে করল তার কি কোন প্রতিকার নাই?? হুম নাই। কোন প্রতিকার নাই। কজ আপনি তাকে বিশ্বাস করেছেন, ভালবেসেছেন। যদি রিভেঞ্জের ব্যাপার চলে আসে তাহলে নিজেই চিন্তা করে দেখুনতো ওটা কি আদৌ ভালবাসা ছিল, নাকি অন্যকিছু ছিল??

তারমানে আমি বলছি না আপনারা একে অপরের সাথে এরকম জঘন্য কিছু করেন। আমি একটা জিনিস এখনো বিশ্বাস করি, প্রকৃতি সব কিছু ব্যালেন্স করে।

বারবারই আমরা একটা জিনিস ভূলে যাই ভালবাসাটা সম্পূর্ণই মনের ব্যাপার। জোর দিয়ে কখনোই এটা পাওয়া যায় নাই ভবিষ্যতেও যাবেনা। কলিযুগ থেকেই তো এই প্রথা চলে আসছে আপনি একদিনে কিভাবে চেইঞ্জ করবেন এই নিয়ম? এই বিধান তো প্রকৃতির করা। প্রকৃতির বিরুদ্ধে কিভাবে যুদ্ধ ঘোষনা করবেন আপনি??



একটা কথা বলি... ললিপপ খাবেন?? কয়টা খাবেন?? দুইটা?? তিনটা?? তারপর?? তারপর আর ভালো লাগবেনা। নিজেকে এইবার সেই তিন চার বছরের শিশুকালে নিয়ে যান। কয়টা খাবেন ললিপপ?? দশটা?? বিশটা?? হুম একশোটাও খেতে পারবেন। কিভাবে চেঞ্জ হয়ে গেলেন?? কেন আর ভাল লাগেনা চকোলেট?? উত্তর আছে??

যদি থাকে তাহলে উত্তরটা যে চলে গেছে তার ক্ষেত্রে কেন প্রযোজ্য হবেনা বলতে পারেন?? হুম পারেন কিন্তু মানতে চাননা। এইটাই প্রব্লেম... আমরা চাইলেও অননেক কিছু পারিনা, কিন্তু পারতে হয়, পারতে হবে।

পারলে আপনি সফল, না পারলে আপনি লুজার। চয়েস আপনার হাতে। কোনটা হতে চান?? রাগকে শক্তিতে কনভার্ট করেন। এই শক্তি অনেক বড় শক্তি। এই শক্তির ক্ষমতা অনেক বড়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২৮

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
রাগকে শক্তিতে কনভার্ট করেন। এই শক্তি অনেক বড় শক্তি ।
এই শক্তির ক্ষমতা অনেক বড় ।


সহমত !!!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

শিশির বিনদ্ু বলেছেন: ধন্যবাদ :-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.